| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাস্তায় যদি একটি সুন্দরী মেয়েকে হঠাৎ দেখেন জামা কাপড় খুলতে শুরু করেছে তখন আপনি কি করবেন? জানি, উত্তর দিতেও আপনি এখন বিব্রতবোধ করছেন। কিন্তু মজার বিষয় কি জানেন? এই মেয়েটা ছোট জামা পরিধান করে থাকলেও অনেকেই হা করে তাকিয়ে থাকবে কিন্তু যখন উলঙ্গ হয়ে হাটবে তখন ঠিক সেই মেয়েকেই সকলে পাগল বলবে। ছিঃ ছিঃ বলে সকলেই প্রস্থান করিবে।
আপনি যেমন মানুষ ঠিক তেমন করেই কিন্তু একজনকে আশা করেন কিন্তু যদি তারচেয়ে খুব কম মানের কিংবা খুব বেশী মানের কাউকে নিজের করে পেয়েযান তখনও কিন্তু আফসোস এবং প্রশ্ন দুটোই মনের মধ্যে কাজ করবে। আর এই কাজ করার শক্তিটা একমাত্র মানুষেরই। ইহাকেই হয়ত বিবেক শক্তি বলে। ইহাই মানুষকে হতাশ, আশা, স্বপ্ন, আবার নগ্ন ও হিংস্র করে তোলে।
বাটা কিংবা এপেক্স এর শো-রুম থেকে একজোড়া জুতা কিনতে গেলে ২ হাজার টাকার কমে কোন জুতাই খুঁজে পাইনা। অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করে যা পছন্দ হয় তা নিজ পকেটের পছন্দ হয়না। টানাটানির সংসারে এভাবেই রেক্সিন পায়ে দিয়ে চামড়ার অভাব মিটিয়ে থাকি বেশীরভাগ মানুষই। একে আমি বলি দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো। এভাবেই চলছে জীবন। এরই নাম জীবন যুদ্ধ। প্রশ্নটা তাহলে...
প্রশ্নটা হলো এই অল্প চামড়ার দাম যদি এতটা হয় তাহলে একটি গরুর পুরো চামড়ার দাম কত? উত্তর হয়ত আমাদের কাছে নেই কিন্তু সেই বিবেককে কাজে লাগান তো এবার। কত হতেপারে এই দাম? এই অংকটা আবার আমার মাথায় কেন আসবে! আমিতো মাত্র একজন চামড়ার জুতো কিনলেওয়ালা তাইনা? না, আমি একজন মুসলিমের হকওয়ালাও।
অনেকেই বলেন, কাওমি হুজুর, এতিমরা, গরীবরা আমাদের টাকায় চলে আবার আমাদের সাথে তর্ক। প্রশ্ন তাহাদের, সরকার,পুলিশ, সরকারী কর্মকর্তা, কর্মচারীওতো জনগনের টাকায় চলে কিন্তু তারা কি জনগনের কথা শুনে নাকি জনগন তাহাদের কথা শুনে? এত গভীরে যাচ্ছিনা আজ। শুধু বলবো যেই চামড়ার জুতোর দাম এতবেশী সেই চামড়ার দাম এত কম কেন?
বুঝতেছেন না! শুনুন, প্রতিবছর কোরবানী এলেই চামড়ার দাম কমে। আর কম মূল্যের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ হয় এদেশের লাখ লাখ এতিম ও গরীব মানুষেরা। যারা বা যেসব প্রতিষ্ঠান এই চামড়া বিক্রির মাধ্যমে এই মোটা অংকের অর্থের যোগান দিতেন, সেইসব প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ কিন্তু লাভবান একটা মহল। যারা কমদামে এই চামড়া কিনে ঠিকই দিনের পর দিন চামড়ার জুতোর দাম বাড়াচ্ছেন। আর গড়ছেন এ বছর এক গাড়ীর যায়গায় আগামী বছর তিনটি গাড়ী কিংবা আরোও একটি বাড়ী। অথচ সেই গরীবরা যুদ্ধ করে টিকে থাকতে।
আপনি যদি সেই সুন্দরী নারীর মত তাহার কর্মকে ঘৃণা করে থাকেন তবে যেসব মানুষেরা এমন কর্মে সাহায্য করে, এমন কর্ম করে তাহাদেরকেও ঘৃণা করুন। প্রতিবাদ করুন নিজ নিজ যায়গা হতেই। আমার মতে এমন প্রতিবাদ হতে পারে।
>> ঘৃণিত মানুষদের সাথে কোরবানি দেওয়া পরিহার করুন।
>> চামড়ার মূল্য কম হলে সমপরিমাণ মূল্য মাদ্রাসায় দান করে সেই চামড়া কেটে মাটিচাপা দিয়ে দিন।
>> এদের সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করুন।
>> এদেরকে মানসিকভাবে বয়কট করুন।
মনে রাখতে হবে যারা ছোট্ট ছোট্ট কাজে ইসলামের বিপক্ষে চলেযায় কিঞ্চিত ব্যবসায়ের নাম দিয়ে তাহারা ইসলামের বন্ধু নয়। তাহারাই ইসলামের গোপন শত্রু। তাই প্রতিবাদের সুর বাজুক নিজ নিজ স্থান হতেই। যারা বিবেকবান তারা শোধরাবে আর যারা বেঈমান তাদেরকে বয়কট করুন। বিশ্বাস করি নিজ থেকে শুরু করলেই পরিবর্তন হবে এ সমাজ।
©somewhere in net ltd.