![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৩রা জুলাইয়ের মধ্যে সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশীদের ইকামা সংশোধন বা পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় ৪ঠা জুলাই থেকে সৌদি সরকার অবৈধ শ্রমিকদের ডিপোর্ট করবে। এমন ঘোষণায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী পাঠানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর এক মাস থাকা-খাওয়া বাবদ সরকারকে ঢালতে হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। চার লাখ পাসপোর্ট দিতে এমন অর্থ ব্যয় করতে হয়। অর্থাৎ প্রতিটি পাসপোর্ট দিতে খরচ পাঁচ হাজার টাকা। এসব অর্থের মধ্যে একেক জন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা নগদ পেয়েছেন আট লাখ ৯৮ হাজার ৫৩৩ টাকা ৪০ পয়সা। আর দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা সাত লাখ ৭৯ হাজার ৩১৪ টাকা ৫০ পয়সা পেয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তাড়াহুড়ো করে অতিরিক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী সৌদি আরবে পাঠানোর কারণেই এত টাকা গচ্চা গেছে সরকারের। এর মধ্যে সরকারিভাবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে অতিরিক্ত লোক পাঠানো হয়েছে। আর এ বাবদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে খরচ হয়েছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ৩১৯ টাকা ১০ পয়সা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবে জুন মাসের শেষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ২১৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পাঠানো হয়। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ এবং বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে সবচেয়ে বড় দু’টি দল সৌদি আরবে যায়। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা একটি দল সৌদি আরবে পাসপোর্টের কাজে যায়। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিওতে বলা হয়, সৌদি আরব সরকার ঘোষিত সে দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিকদের বৈধকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দা কর্তৃক কনস্যুলার সেবা প্রদানের কাজে সার্বিক সহযোগিতার জন্য আগামী ২৭শে মে বা তার নিকটবর্তী সময় থেকে ৩রা জুলাই বা তার নিকটবর্তী সময় পর্যন্ত ভ্রমণের সরকারি মঞ্জুরি দেয়া হলো। সরকারি আদেশে বলা হয়, ভ্রমণকালে ওই সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী দপ্তরে কর্মরত রয়েছেন বলে গণ্য করা হবে এবং বেতন-ভাতার কোন অংশ বৈদেশিক মুদ্রায় দেয়া হবে না। শুধুমাত্র কর্মকর্তা বা কর্মচারী যাতায়াতের জন্য বিমান ভাড়া এবং ভ্রমণ ও অবস্থান সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ভাতা বিধি অনুযায়ী পাবেন। এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট খাত থেকে পাওয়া যাবে। ওদিকে সৌদি আরবে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশী শ্রমিকদের বৈধ করতে স্বল্প মেয়াদের জন্য ৫০ জন প্রথম শ্রেণী এবং ১০০ জন দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা চায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সদর দপ্তর ও মিশন থেকে অতিরিক্ত ২৫ জন কর্মকর্তা ও ২০ জন সহায়ক কর্মকর্তা পাঠায়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশী নাগরিকদের বৈধকরণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য গত ৫ই জুন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে ৮০ জন সরকারি কর্মকর্তা পাঠানো হয়। এ সময় তাদের জন্য অগ্রিম টাকা ওঠানো হয় ছয় কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ৩১৯ টাকা ১০ পয়সা। এ টাকার মধ্যে কর্মকর্তা প্রতি বিমান ভাড়ায় ব্যয় হয়েছে ৯০ হাজার টাকা। ট্রানজিট ভাতা ধরা হয়েছে ৮৯ ডলার। টার্মিনাল চার্জ ধরা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৬০ ডলার। সেখানে ৩০ দিন অবস্থান করার জন্য নগদ ভাতা পেয়েছেন ২৭৩০ ডলার এবং ৩০ দিনের জন্য তাদের হোটেল ভাড়া ধরা হয়েছে ২৭৩০ ডলার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সৌদি আরবে যাওয়ার বিষয়ে বলেন, সৌদি আরবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের যে টাকা দেয়া হয়েছে তা অনেক বেশি। কারণ, এ ধরনের কাজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নিয়মিত করে থাকেন। তাদের নিয়মিত বেতনের বাইরে আর তেমন কিছু দেয়া হয় না। যারা ঢাকা থেকে জরুরি সার্ভিস দেয়ার জন্য গেছেন তাদের ক্ষেত্রে বিমান ভাড়া এবং থাকার জন্য ভাড়া দেয়া হয়েছে। কিন্তু অন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সৌদি আরবে গিয়ে কাজের জন্য প্রতিদিনের ভাতা নগদ পেয়েছেন। এর আগে গত ১১ই মে থেকে ৩রা জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা দিয়ে সৌদি আরবে পাসপোর্ট প্রদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এখন প্রবাসী বাংলাদেশীদের চাপ কমে যাওয়ায় শুধু দূতাবাসের কর্মকর্তা দিয়েই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সূত্র: Click This Link
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৬
অন্য কথা বলেছেন: আমার এক আত্মীয়র ছেলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের শিট দিয়েছে। দেখা গেলো তার ছেলে দু'বিষয়ে অকৃতকার্য। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাই একই শ্রেণীতে পুনরায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে। তার বাবা তাকে জিজ্ঞাসা করলো -
- কি বাবু, পরীক্ষায় ফলাফল খারাপ করেছ কেন?
- বাবা আমি তো অনেক ভালো করেছি , মাত্র দু'বিষয়ে ফেল। অন্তু না তিন বিষয়ে ফেল করেছে।
বাবা কিছু না বলে ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেন ।
২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনার কবিতা বন্ধ করেন।
সরকারের মাত্র ২০ কোটি টাকা লস হইছে!
লাভ কত হইছে?
আর্জেন্ট পাসপোর্ট রিনিউয়াল ফি ও আউটপাস ফি বাবদ
৫,২২৫ + ১০২৫ = ৬,২৫০
6250 x 400000 = 15,625,000,000,000
এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হইছে।
মাসে মাসে কত রেমিটেন্স আসবে সেটা নাহয় বাদই দিলাম।
সরকার সর্বচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বেশী লোক পাঠিয়ে দ্রুত ব্যাবস্থা নিয়েছে। নতুবা তাদেরকে দেশে এসে বা লাইনে দাঁড়িয়ে মেসিনরিডেবল পাসপোর্ট নিতে হত। টাইম ওভার হয়ে যেত সরকার বুঝতে পারে তাৎক্ষনিক ব্যাবস্থা নিয়েছে।
যেটা আগেকার ঢিলা সরকার কখনো করেনি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: আফটার অল সরকার সর্বচ্চ গুরুত্বের সাথে প্রয়জনিয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
পুর্ববর্তি সরকারগুলো কখনোই এসব করত না।
এর আগে প্রবাসীরা ভিক্কুকের মত এম্ব্যসির দ্বারে দ্বারে ঘুরতো