![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শব্দে আমার আশ্রয়, লেখায় আমার মুক্তি। এখানে আমি লিখি, ভেবে দেখি, আর খুঁজি মানুষের মনের গল্প।
বীরের জাতি নাকি নীরব জাতি?
সকাল আটটা— শহরের সবচেয়ে ব্যস্ত সময়। বাস কাউন্টার, স্টেশন কিংবা রাস্তার মোড়ে ভিড় জমে অফিসগামী নারী-পুরুষে। কারও হাতে ফাইল, কারও চোখে তাড়া, সবারই একটাই চিন্তা— সময়মতো অফিসে পৌঁছাতে হবে।
কেউ সিএনজি নিচ্ছে, কেউ টেম্পো, কেউ বাসে ঝুলে যাচ্ছে জীবনের প্রয়োজনে। গরম, ধুলো, ট্রাফিক— সব সহ্য করেও সবাই ভদ্রতার মুখোশ ধরে রাখে। কারণ, আমরা “শিক্ষিত” মানুষ, আমরা “ভদ্র” মানুষ।
কিন্তু মজার বিষয় হলো— এই ভদ্রতা আর শিক্ষিত চেহারার আড়ালেই লুকিয়ে থাকে এক ভয়ানক অসহায়ত্ব। বাসের চালক ও হেলপার— দুইজন মানুষ, অথচ তাদের সামনে পঞ্চাশজন যাত্রী নীরব!
ভাড়া নিয়ে তর্ক হোক বা অযথা ঝগড়া, কিংবা রাস্তার মাঝখানে যাত্রী নামাতে অস্বীকৃতি— যাত্রীদের কণ্ঠে প্রতিবাদ নেই। শুধু চোখাচোখি আর নিঃশব্দে ক্ষোভের আদান-প্রদান। কেউ বলে, “এইসব লোকের সাথে কথা বলে নিজের অপমান বাড়াব কেন!”
তাই সবাই চুপ। নীরব। সহনশীল।
আমরা গর্ব করে বলি— “আমরা বীর বাঙালি।”
কিন্তু বীর মানে কী? বীর মানে তো অন্যায়ের প্রতিবাদ করা, ন্যায়ের পাশে দাঁড়ানো। অথচ আমরা প্রতিদিন রাস্তায়, বাসে, অফিসে, বাজারে অন্যায় দেখি, সহ্য করি, আর চুপ করে থাকি।
তাহলে আমরা আসলে কেমন বীর?
যে জাতি নিজের সামান্য অধিকার নিয়েও মুখ খোলে না, সে জাতি কি সত্যিই বীর হতে পারে?
আজ দরকার বাহাদুরির না, দরকার সচেতনতার। দরকার নীরবতা ভাঙার সাহস।
কারণ, প্রতিবাদ সবসময় ঝগড়া নয়— কখনও কখনও সেটা সম্মানের আর আত্মমর্যাদার প্রকাশ।
২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৫৬
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
কোন কোন সমস্যা সমাধানের জন্য রাস্তায় নামার দরকার?
৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: আমরা নীরবে কষ্ট সহ্য করার জাতি ।
৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:২৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কিছুই করার নেই ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৫০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমরা জাতি নাকি বেজাতি সেটাইতো বুঝতে পারছি না।