নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্ম থেকে জ্বলছি

চল কিছু জেনে আসি

আমিই গণতন্ত্র

নতুন বোতলে পুরনো মদ

আমিই গণতন্ত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনলাইন ব্যাংকিং ? কিন্তু যখন ইন্টারনেটই নাই?

০৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫

গত কয়েকমাস ধরে টিভি খুললেই দেখা যায় অনলাইন ব্যাংকিং এর নানা রকম বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনে খুব সুন্দরভাবে দেখায় যে অনলাইন ব্যাংকিং এ কত সুন্দর ভাবে বিছানায় শুয়ে শুয়ে সব কাজ করে ফেলা যায়! যথারীতি বিজ্ঞাপন দেখে আমিও ব্যাবহার করা শুরু করলাম। প্রথম প্রথম ভালই লাগল যদিও নেট এর জন্য সবসময় পকেট রাউটার নিয়ে ঘুরতে হয়। তবে জরুরী কাজে হঠাৎ করে ঢাকার বাইরে নোয়াখালী গিয়ে টের পেলাম আসল বিপদ! আমি ব্যাবহার করি কিউবি কিন্তু ঢাকার বাইরে কিউবি নেই বললেই চলে, অন্তত যেখানে গিয়েছি সেখানে মানে নোয়াখালীতে তো নেইই। কিন্তু হঠাৎ ফোন পেলাম বাসা থেকে জরুরী এক ব্যপারে । তখনও বুঝিনি কি বিপদে আমি পড়েছি ! সাধারণত মোবাইলের অ্যাপ দিয়েই ব্যালেন্স চেকের মত সহজ কাজগুলো করে ফেলি, কিন্তু ওখানে বসে করতে গিয়ে দেখি নেটই তো নাই, তাই আমার এ্যাপস'ও অকেজো ! কানেক্ট করতে গিয়ে দেখি নেট নাই!! কিন্তু খুব জরুরী টাকা পাঠাতে হবে। তারপর মনে পরল এসএমএস করে কিভাবে যেন ব্যালেন্স চেক করা যায় শুনেছিলাম কিন্তু এতসব জটিল কোড, পাসওয়ার্ড মনে রাখা কারও পক্ষেই সম্ভব বলে আমার মনে হয় না। এছাড়াও আরও কিছু সমস্যা আছে যেগুলোর সমাধান কাস্টমার কেয়ারে ফোন করেও পাওয়া যায় না। কোনওভাবেই সামান্য চেকের কাজটা করতে পারলাম না ! প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে ঢাকায় ফিরে সমাধান খুঁজলাম। জানলাম স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ব্রিজ ব্যাল্যান্স এর কথা। এই অ্যাপ ব্যাবহার করে এ্যাকাউন্ট কিংবা ক্রেডিট কার্ডের ব্যালেন্স চেক, ট্র্যানজেকসন চেক - সবকিছুই করা যায় তাও আবার ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়াই! এমনকি কোন এসএমএস কোড বা পাসওয়ার্ড মনে রাখারও প্রয়োজন নেই! যেকোনো সময় যখন তখন অ্যাকাউন্ট ব্যাল্যান্স চেক করা যায় কোনও রকম ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া !



যারা আমার মত সমস্যায় পড়েছেন তারা বুঝবেন কি নিজের এ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স সময়মত না জানতে পারলে কি ভয়ানক সমস্যাতে পড়তে হতে পারে ! ঠিক, যে এরকম সমস্যা বারবার কিংবা সচরাচর হয় না, কিন্তু যখন এরকম পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, তখন আফসোসে নিজের হাত-পা কামড়ানো ছাড়া উপায় থাকে না ! আগের ব্যাংকে কিছু লোন আছে সেগুলো মিটিয়েই ব্যাংক বদলাবো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

এস.কে.ফয়সাল আলম বলেছেন: মোবাইলে জিপির একটা সাধারণ সিম থাকলেই তো এখন দেশের যে কোন স্থান থেকেই অনলাইন ব্যাংকিং করা যায়। ঢাকার বাইরে গেলে ছোট কয়েক মেগা'র মিনি ইন্টারন্টে প্যাক কিনে নিলেই হল।
...........
আমি অনেক দিন ধরেই ইন্টারন্টে ব্যাংকিং ব্যবহার করছি কোন সমস্যা ছাড়াই।
দরকার নেই স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মত গলাকাটা চার্জযুক্ত ব্যাংকের সেবার। ( অবশ্য কোটি কোটি টাকা ওয়ালাদের কথা আলাদা) :)

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১১

শফিক১৯৪৮ বলেছেন: টাকাই নেই তো বড় আর ছোট সমস্যা! মহল্লার নসু মিয়ার জয় হো!

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২

ভোরের সূর্য বলেছেন: ভাই কিছু মনে করবেন না। ভুলটা আপনারই কারণ আপনি কিউবির সার্ভিস ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ভালভাবেই জানা উচিৎ কোথায় কোথায় কিউবির সার্ভিস আছে আর কোথায় নাই।নোয়াখালীতে কিউবি নিয়ে যেয়ে কানেক্ট করতে যাওয়াটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না।
আর নেট স্লো হলেও আপনার মোবাইলেতো অন্তত যেকোন ফোন কোম্পানির নেট ইউজ করা যায় তাহলে আপৎকালিন সময়ের জন্য ছোট ১০/২০ টাকার মিনি প্যাক ইন্টারনেট এ্যাকটিভ করে নেয়া মিনিটের ব্যাপার মাত্র।

আমি নিজেও কিউবি ব্যবহার করি এবং ব্যবসার প্রয়োজনেই আমাকে খুব বেশি পরিমাণে ইন্টারনেট ব্যাংকিং করতে হয়।

আপনি বিশেষ করে ব্যালান্স চেকের কথা বেশি বলেছেন। প্রায় সব ব্যাংকের কল সেন্টার আছে(যেমন ১৬১২৩ এরকম) সেখানে ফোন করে আপনার ব্যালান্স জিজ্ঞাসা করলেই পেয়ে যেতেন। অন্তত ব্যালান্স জানতে এর চেয়ে সহজ উপায় আর নাই যদিনা এসএমএস এ ব্যালান্স চেক করেন।

আর তাও যদি না পারেন তাহলে নোয়াখালি শহরে তো এটিম মেশিনের অভাব নাই। সেখানে যেয়েও তো আপনি ব্যালান্স চেক করতে পারতেন।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং নিয়ে আমার একটি লেখা আছে। পড়ে দেখতে পারেন। দেখুন এখানে

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮

হ্যারিয়ার-৩ বলেছেন:
এতদিন ব্লগ চালান এরপরেও নোয়াখালিতে কিউবির নেটওয়ার্ক খুজেন!

মাইজদিতে 3G এসে গেছে। আর মোবাইল ব্যাঙ্কিং 2g তেও ভাল চলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.