নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোমিন মেহেদী রাজনীতিক-কলামিস্ট-ব্লগার ও শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে বাংলাদেশের তরুণ সমাজের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন ক্রমশ সত্যকে সত্য আর মিথ্যেকে মিথ্যে বলার বলিষ্ঠতা আছে তার। আর একারনেই পদে পদে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে কেউ কেউ। দেশের প্রধান কবি শামসুর রাহমানের স্নেহধন্য মোমিন মেহেদী বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার আন্দোলন জোটের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন ২০০৪ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত। পাশাপাশি একটি বৃহৎ ছাত্র সংগঠনের শীর্ষস্থানিয় নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবি’র চেয়ারম্যান-এর দায়িত্ব পালন করার সাথেসাথে প্রচারিতব্য একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলের নির্বাহী পরিচালক হিসেবেও কাজ করছেন। তিনি দৈনিক যুগান্তর, সমাচার, খবরপত্রসহ বিভিন্ন কাগজে কাজ করে অভিজ্ঞতার ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। ১৯৮৫ সালের ২৮ আগস্ট ময়মনসিংহে জন্মগ্রহনকারি মোমিন মেহেদীর পৈত্রিকনিবাস বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে। তার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে। বর্তমানে তার প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ৪৪। এরমধ্যে ডিভোর্স (২০০৫), শকুনেরা উড়ছে (২০০৬), জীবনজুড়ে যুদ্ধ (২০০৭), কাকতাড়–য়ার দেশে (২০০৭), ভুল করেছি ভালোর আশায় (২০০৯), এই চাকাটা ভালোবাসার (২০০৯), ছন্দ ছড়ায় বঙ্গবন্ধু (২০০৯), সাহসের জোস্নায় শান্তজ সুখ (২০১০), যে শহরে তুমি নেই (২০১০), আমাদের পিতা তিনি আমাদের মিতাও, দেয়ালে টাঙানো রোদ(২০১১), +ভূত –ভয়, সময়কথন, বৃত্ত ত্রিভুজ এবং ভালোবাসা, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশে নারী, কাগজের ভূত(২০১২) উলে¬খযোগ্য। তিনি ভালোবাসেন তার জীবনসাথী শান্তা ফারজানাকে আর শান্তজ গল্পকে। অনন্ত সাহসের পথে নির্ভিক পথিক মোমিন মেহেদীর মূল লক্ষ্য সাংবাদিকতা, লেখালেখি, গান, গল্প, নাটকের সাথেসাথে রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে স্বাধীনতার সুখকে প্রতিষ্ঠিত করা। তিনি সাহিত্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্মাননা (২০০১), মেহেন্দীগঞ্জ ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক (২০০২), অর্নিবান সম্মাননা (২০০৩), বাংলাভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র সম্মাননা পুরস্কার (২০০৪), বাঁধনহারা সম্মাননা (২০০৬), কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত সম্মাননা (২০০৭), বঙ্গবন্ধু সম্মাননা (২০০৮), চন্দ্রিমা সাহিত্য সম্মাননা (২০০৯), আনন্দ আড্ডা সাহিত্য পুরস্কার, ভারত (২০০৯), কবি গুরু সম্মাননা (২০১০), নক্ষত্র সাহিত্য পদক (২০১০) পুন্ড্রবর্ধন সম্মাননা ও কবি আলাওল সম্মাননা(২০১১), শেরে বাংলা সম্মাননা এবং বঙ্গবীর ওসমানী স্বর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন। দেশের প্রথম সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অনলাইন পত্রিকা banglareport24.com- এর প্রধান সম্পাদক মোমিন মেহেদী’র আশার আলোর বাস্তবায়ন নিয়ে আমাদের প্রত্যয়দীপ্ত পথ এগিয়ে যাবে আগামীর দিকে... নানাদিকের নানাকথা আর কাজের কথা ভেবে মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বর ২০১২ সালের ৩০ তারিখে মোমিন মেহেদীর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করেছে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সাহসী জনতার রাজনৈতিক দল নতুনধারা বাংলাদেশ(এনডিবি) আত্ম প্রকাশের পর এযাবৎ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠন নিয়ে ব্যাপক ব্যস্ততার পরও লিখে চলেছেন অবিরাম-করছেন নিরন্তর সংগ্রাম... আহমেদ কায়সার
মোমিন মেহেদী
ইদানিং সংবাদের শিরোনাম হয়ে উঠছে সহিংস। সেখানে নতুন একটাধারা তৈরি হয়েছে। এধারায় আমরা আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদেরকে নির্মমভাবে নির্যাতনের চিত্র দেখছি। ক্রমশ সহিংসতার রাস্তায় আরো দৃঢ় হয়ে ওঠা জামায়াত-শিবির থেতলে দিয়েছে পুলিশের মাথা অথবা বোমায় উড়ে গেল পুলিশের কবজি। তারপরও কি বিরোধী দলীয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলবেন, ‘হরতাল পালনে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করুন।’ যদি তা-ই বলেন; তাহলে মনে রাখবেন নতুন প্রজন্মের রাজনীতি সচেতন ভোটাররা রাজনীতির নামে অপরাজনীতি করার জন্য যেভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জবাব দেবে; ঠিক একইভাবে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরকে জবাব দেবে। কেননা, নতুন প্রজন্ম বুঝতে শিখেছে যে, জামায়াত-যুদ্ধাপরাধীরা যেভাবে বাংলাদেশকে কষ্টের কালো অন্ধকারে ঢেকে দিয়ে হলেও ক্ষমতার রাজনীতিতে এগিয়ে থাকতে চায়; ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের মানুষের সুখ-শান্তি-সম্মৃদ্ধির কথা না ভেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিও ক্ষমতার জন্য খুন-হামলার রাজনীতিতে বড্ড পরিপক্ক ও দক্ষ। আর তাই বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা আন্দোলনের সূত্র ধরে জামায়াত-শিবিরের বোমায় দুই হাতের কবজি উড়ে যায় বোয়ালিয়া থানার পুলিশ সদস্য মকবুল হোসেনের। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান -যাযাদিরাজশাহীতে জামায়াত-শিবিরের বোমা হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মকবুল হোসেন নামের এক পুলিশ সদস্যের ডান হাতের কবজি উড়ে গেছে। তাকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।নির্মমতা এতটাই চেপে বসেছে ছাত্রশিবির আর জামায়াত ইসলামীর হায়েনাদের উপরে যে, তারা কোনরকম খুন-হামলা করতে আর দ্বীধা করছে না। যে কারনে চাঁপাইনবাগঞ্জের শিবগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শহরের রানীবাজার মাদ্রাসা মার্কেটের সামনে থেকে ঝটিকা মিছিল বের করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হাতবোমা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশেও রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছোড়ে। প্রায় আধা ঘণ্টা এ সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় বোমার আঘাতে বোয়ালিয়া মডেল থানার পিএসআই মকবুল হোসেনের দুই হাতের কবজি উড়ে যায় এবং আহত হন কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম রফিক। জামায়াত-শিবিরকর্মীরা হঠাৎ করে ঝটিকা মিছিল বের করে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো হাতবোমা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বোয়ালিয়া থানার পিএসআই মকবুল হোসেন ও দাঙ্গা পুলিশের কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম রফিক গুরুতর আহত হন। পরে র্যাবসহ অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুধুমাত্র দেশ-মাটি আর মানুষের জন্য নিবেদিত থাকেন পুলিশ বাহিনী। মাঝে সাঝে দূর্নীতির অভিযোগ এসে জমা হলেও একথা সত্য যে, পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তা-শান্তি আর মৈত্রীর জন্য নিবেদিত একটি বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিয়োজিত মকবুল হোসেনের কোন অন্যায় ছিলো না। তিনি যা করেছেন, তা তাঁর দায়িত্ব ছিলো। সেই দায়িত্ববান মানুষটিকে নির্মমভাবে বোমা মেরে আহত করেছে ছাত্র শিবিরের হায়েনারা। আর বেগম জিয়া সেই হায়েনাদের কাছে চেয়েছেন সহায়তা। এই হলো বাংলাদেশ। যেখানে ক্ষমতার জন্য নিজেকে-নিজের দলকেও বিলিয়ে দিতে পিছপা হননা প্রধান দু’দল। বিএনপি-আওয়ামী লীগ; দু’দলেই রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা। তাদের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। অথচ সেই মুক্তিযোদ্ধারা এখন ক্ষমতার জন্য নিকৃষ্ট জামায়াত-শিবিরের কাছে করজোর মিনতি করে। যে কাজটি এখন বিএনপি করছে,সেই কাজটি এখন প্রত্যক্ষভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ না করলেও একটা সময় ছিলো যখন জোট করেছে এই জামায়াতের-ই সাথে। সে যাইহোক, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ক্রমশ সহিংস হয়ে উঠছে তারা। যে কারনে বোমা হামলা করেছে পিএসআই মকবুলের উপর। তাঁর দুই হাতের কবজি উড়ে গেছে। আর রফিকের বাঁ হাতে বোমার সপ্লিন্টারে ক্ষত হয়েছে। জামায়াত-শিবিরকর্মীদের ছোড়া একটি শক্তিশালী বোমা হাত দিয়ে ঠেকানের সময় বিস্ফোরণ ঘটে মকবুলের কবজি উড়ে যায়। তিনি ওই বোমাটি হাত দিয়ে না ঠেকালে তার বুকে অথবা মাথায় লাগত। এতে তার মৃত্যুও হতে পারত। তিনি বলেন, এটি জামায়াত-শিবিরের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। এটি ছিল তাদের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের কর্মসূচি। তারা ঝটিকা মিছিল বের করেই বোমাবাজি শুরু করে। তাদের এ নাশকাতা ঠেকাতে পুলিশ এগিয়ে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো হাতবোমা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এই বর্তমানে নতুন প্রজন্ম জেগে উঠছে শাহবাগ থেকে সারাদেশে। সাহসের সাথে এগিয়ে চলছে তারা। তাদের বুকে জমছে কষ্টের বোঝা। আজ বোনের উপর-কাল ভাইয়ের উপর-পরশু বাবার উপর বোমা হামলা করছে জামায়াত-শিবিরের হায়েনারা। সেই হায়েনাদেরকেতো আর ছেড়ে দেয়া যায় না। আর তাই তারা তৈরি হচ্ছে। অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে প্রাথমিক চেষ্টাটা চলবে বয়ে চলা সময়ের সাথে সাথে। এতে কাজ না হলে সেই একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠবে আরেকবার।মাঝে মাঝে আশ্চর্য হতে হয় এই ভেবে যে, বিরোধী দলীয় নেত্রী জামায়াত-শিবির-যুদ্ধাপরাধীদেরকে একাত্তরের রক্তাক্ত দিনগুলোতে যেভাবে মোসাহেবী করেছেন, ঠিক সেভাবে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৩ বছর পর এসেও একই কাজটি করছেন। তিনি কথায় কথায় যুবদল নয়; ছাত্রদল নয়; শ্রমিকদল নয়; মহিলাদল নয়; এমনকি বরাবর যারা রাজপথে জীবন দেয়ার জন্য লড়াই করে, সেই সেচ্ছাসেবক দলকেও নয়; ডাক দিয়ে কথা বলেন-সহায়তা চান ছাত্র শিবিরের কাছে-যুদ্ধাপরাধী-জামায়াতের কাছে। এই বর্তমানের উত্তরণ না হলে হয়তো একসময় জামায়াতের রক্তপিপাসু হাতের মুঠোয়-ই চলে যাবে বিএনপি। তখন আর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শও থাকবে না; থাকবে না বিএনপির নূন্যতম অস্তিত্বটুকু... অতএব, বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবির আর যুদ্ধাপরাধীদেরকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে। তাতে করে হয়তো তৈরি হবে বিএনপির আগের স্থানটি। তা না হলে সেই লাউ, সেই কদু... মোমিন মেহেদী : কলামিস্ট ও আহবায়ক, নতুনধারা বাংলাদেশ(এনডিবি)ইদানিং সংবাদের শিরোনাম হয়ে উঠছে সহিংস। সেখানে নতুন একটাধারা তৈরি হয়েছে। এধারায় আমরা আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদেরকে নির্মমভাবে নির্যাতনের চিত্র দেখছি। ক্রমশ সহিংসতার রাস্তায় আরো দৃঢ় হয়ে ওঠা জামায়াত-শিবির থেতলে দিয়েছে পুলিশের মাথা অথবা বোমায় উড়ে গেল পুলিশের কবজি। তারপরও কি বিরোধী দলীয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলবেন, ‘হরতাল পালনে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করুন।’ যদি তা-ই বলেন; তাহলে মনে রাখবেন নতুন প্রজন্মের রাজনীতি সচেতন ভোটাররা রাজনীতির নামে অপরাজনীতি করার জন্য যেভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জবাব দেবে; ঠিক একইভাবে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরকে জবাব দেবে। কেননা, নতুন প্রজন্ম বুঝতে শিখেছে যে, জামায়াত-যুদ্ধাপরাধীরা যেভাবে বাংলাদেশকে কষ্টের কালো অন্ধকারে ঢেকে দিয়ে হলেও ক্ষমতার রাজনীতিতে এগিয়ে থাকতে চায়; ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের মানুষের সুখ-শান্তি-সম্মৃদ্ধির কথা না ভেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিও ক্ষমতার জন্য খুন-হামলার রাজনীতিতে বড্ড পরিপক্ক ও দক্ষ। আর তাই বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা আন্দোলনের সূত্র ধরে জামায়াত-শিবিরের বোমায় দুই হাতের কবজি উড়ে যায় বোয়ালিয়া থানার পুলিশ সদস্য মকবুল হোসেনের। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান -যাযাদিরাজশাহীতে জামায়াত-শিবিরের বোমা হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মকবুল হোসেন নামের এক পুলিশ সদস্যের ডান হাতের কবজি উড়ে গেছে। তাকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।নির্মমতা এতটাই চেপে বসেছে ছাত্রশিবির আর জামায়াত ইসলামীর হায়েনাদের উপরে যে, তারা কোনরকম খুন-হামলা করতে আর দ্বীধা করছে না। যে কারনে চাঁপাইনবাগঞ্জের শিবগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শহরের রানীবাজার মাদ্রাসা মার্কেটের সামনে থেকে ঝটিকা মিছিল বের করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হাতবোমা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশেও রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছোড়ে। প্রায় আধা ঘণ্টা এ সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় বোমার আঘাতে বোয়ালিয়া মডেল থানার পিএসআই মকবুল হোসেনের দুই হাতের কবজি উড়ে যায় এবং আহত হন কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম রফিক। জামায়াত-শিবিরকর্মীরা হঠাৎ করে ঝটিকা মিছিল বের করে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো হাতবোমা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বোয়ালিয়া থানার পিএসআই মকবুল হোসেন ও দাঙ্গা পুলিশের কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম রফিক গুরুতর আহত হন। পরে র্যাবসহ অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুধুমাত্র দেশ-মাটি আর মানুষের জন্য নিবেদিত থাকেন পুলিশ বাহিনী। মাঝে সাঝে দূর্নীতির অভিযোগ এসে জমা হলেও একথা সত্য যে, পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তা-শান্তি আর মৈত্রীর জন্য নিবেদিত একটি বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিয়োজিত মকবুল হোসেনের কোন অন্যায় ছিলো না। তিনি যা করেছেন, তা তাঁর দায়িত্ব ছিলো। সেই দায়িত্ববান মানুষটিকে নির্মমভাবে বোমা মেরে আহত করেছে ছাত্র শিবিরের হায়েনারা। আর বেগম জিয়া সেই হায়েনাদের কাছে চেয়েছেন সহায়তা। এই হলো বাংলাদেশ। যেখানে ক্ষমতার জন্য নিজেকে-নিজের দলকেও বিলিয়ে দিতে পিছপা হননা প্রধান দু’দল। বিএনপি-আওয়ামী লীগ; দু’দলেই রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা। তাদের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। অথচ সেই মুক্তিযোদ্ধারা এখন ক্ষমতার জন্য নিকৃষ্ট জামায়াত-শিবিরের কাছে করজোর মিনতি করে। যে কাজটি এখন বিএনপি করছে,সেই কাজটি এখন প্রত্যক্ষভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ না করলেও একটা সময় ছিলো যখন জোট করেছে এই জামায়াতের-ই সাথে। সে যাইহোক, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ক্রমশ সহিংস হয়ে উঠছে তারা। যে কারনে বোমা হামলা করেছে পিএসআই মকবুলের উপর। তাঁর দুই হাতের কবজি উড়ে গেছে। আর রফিকের বাঁ হাতে বোমার সপ্লিন্টারে ক্ষত হয়েছে। জামায়াত-শিবিরকর্মীদের ছোড়া একটি শক্তিশালী বোমা হাত দিয়ে ঠেকানের সময় বিস্ফোরণ ঘটে মকবুলের কবজি উড়ে যায়। তিনি ওই বোমাটি হাত দিয়ে না ঠেকালে তার বুকে অথবা মাথায় লাগত। এতে তার মৃত্যুও হতে পারত। তিনি বলেন, এটি জামায়াত-শিবিরের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। এটি ছিল তাদের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের কর্মসূচি। তারা ঝটিকা মিছিল বের করেই বোমাবাজি শুরু করে। তাদের এ নাশকাতা ঠেকাতে পুলিশ এগিয়ে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো হাতবোমা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এই বর্তমানে নতুন প্রজন্ম জেগে উঠছে শাহবাগ থেকে সারাদেশে। সাহসের সাথে এগিয়ে চলছে তারা। তাদের বুকে জমছে কষ্টের বোঝা। আজ বোনের উপর-কাল ভাইয়ের উপর-পরশু বাবার উপর বোমা হামলা করছে জামায়াত-শিবিরের হায়েনারা। সেই হায়েনাদেরকেতো আর ছেড়ে দেয়া যায় না। আর তাই তারা তৈরি হচ্ছে। অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে প্রাথমিক চেষ্টাটা চলবে বয়ে চলা সময়ের সাথে সাথে। এতে কাজ না হলে সেই একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠবে আরেকবার।মাঝে মাঝে আশ্চর্য হতে হয় এই ভেবে যে, বিরোধী দলীয় নেত্রী জামায়াত-শিবির-যুদ্ধাপরাধীদেরকে একাত্তরের রক্তাক্ত দিনগুলোতে যেভাবে মোসাহেবী করেছেন, ঠিক সেভাবে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৩ বছর পর এসেও একই কাজটি করছেন। তিনি কথায় কথায় যুবদল নয়; ছাত্রদল নয়; শ্রমিকদল নয়; মহিলাদল নয়; এমনকি বরাবর যারা রাজপথে জীবন দেয়ার জন্য লড়াই করে, সেই সেচ্ছাসেবক দলকেও নয়; ডাক দিয়ে কথা বলেন-সহায়তা চান ছাত্র শিবিরের কাছে-যুদ্ধাপরাধী-জামায়াতের কাছে। এই বর্তমানের উত্তরণ না হলে হয়তো একসময় জামায়াতের রক্তপিপাসু হাতের মুঠোয়-ই চলে যাবে বিএনপি। তখন আর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শও থাকবে না; থাকবে না বিএনপির নূন্যতম অস্তিত্বটুকু... অতএব, বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবির আর যুদ্ধাপরাধীদেরকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে। তাতে করে হয়তো তৈরি হবে বিএনপির আগের স্থানটি। তা না হলে সেই লাউ, সেই কদু...
মোমিন মেহেদী : কলামিস্ট ও আহবায়ক, নতুনধারা বাংলাদেশ(এনডিবি)
©somewhere in net ltd.