![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ) জীবনের আশ্চর্য ঘটনা!
=================================
সত্যের সেনানী আওলিয়াকুলের উজ্জ্বল নক্ষত্র বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ)! তাকে তার পিতা জিলান নগরীর একটি মক্তবে বিদ্যা শিক্ষা করার জন্য ভর্তি করাতে নিয়ে গেলেন। কথিত আছে যে, যাত্রাপথে একদল ফেরেশতা এসে তাকে বেষ্টন করে রইলেন এবং তাকে বেষ্টন করে শিক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে গেলেন। আরও বলা হয়ে থাকে যে, বড়পীর সাহেবকে (রহঃ) যখন মক্তবে নিয়ে যাওয়া হল তখন মক্তবে ছাত্রদের সংখ্যা অনেক ছিল। বসবার কোন স্থান ছিল না, তখন হঠাৎ তার সঙ্গী ফেরেশতাগণ গায়েব হতে আওয়াজ দিলেন,
-‘তোমরা বিশ্বনিয়ন্ত্রা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের প্রিয় বান্দার বসার জন্য জায়গা করে দাও’। সত্যি এহেন অদৃশ্য বানী শুনে শিক্ষক-ছাত্রবৃন্দ চমকিয়ে উঠলেন এবং সাথে সাথে শিক্ষক ছাত্রগণ আগুন্তকের জন্য জায়গা করে দিতে নির্দেশ প্রদান করলেন।
-
মক্তবের ওস্তাদজী তাকে একেবারে প্রাথমিক স্তরে ‘আলিফ’, ‘বা’, ‘তা’, ‘ছা’ পাঠ করানো শুরু করতেই তিনি আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ্ পাঠ করতঃ আলিফ-লাম-মীম হতে আরম্ভ করে মহাগ্রন্থ আল কোরআন করীমের ১৮ পারার শেষ পর্যন্ত মুখস্ত পড়ে ফেললেন। শুধু মুখস্ত নয় বরং তারতীব তাজদীদ সহকারে পড়েলেন। তার পড়া শুনে ওস্তাদজী অবাক হয়ে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন,
-তুমি কিভাবে কার নিকট হতে এত সুন্দরভাবে কোরআন পড়া শিখেছ এবং কিভাবে ১৮ পারা কোরআন শরীফ মুখস্ত করলে? ওস্তাদজীর কথার জবাবে সত্যের সেনানী মাহবুবে সোবহানী কুতুবে রাব্বানী হযরত বড়পীর সাহেব উত্তর করলেন,
-আমার মাতা কোরআন শরীফের হাফেজ, আমি মাতৃগর্ভে থাকা কালীন সময়ে তিনি প্রত্যহ কোরআন তেলায়ত করতেন।
গর্ভস্থায় মায়ের পেটের মধ্যে থেকে তেলায়াত শুনে শুনে আমারও মুখস্ত হয়ে গেছে।
→ অর্থাৎ তিনি ১৮ পারা কোরানের হাজেফ হয়ে ভূমিষ্ঠ হন। [সুবহানাল্লাহ… (?!?) ]
!
তাহক্বীক
=======
উপরের গল্পটি অমূলক ও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কেননা মহান আল্লাহ বলেন,
وَاللَّهُ أَخْرَجَكُم مِّن بُطُونِ أُمَّهَاتِكُمْ لَا تَعْلَمُونَ شَيْئًا وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ ۙ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
-আল্লাহ তোমাদের মায়ের পেট থেকে তোমাদের বের করেছেন এমন অবস্থায় যখন তোমরা কিছুই জানতে না৷ তিনি তোমাদের কান দিয়েছেন, চোখ দিয়েছেন, চিন্তা-ভাবনা করার মতো হৃদয় দিয়েছেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো৷ [সূরা নাহল ৭৮]
→ উল্লেখ্য যে, আওলিয়াদের কারামাত সত্য এই স্লোগানকে সামনে রেখে আব্দুল ক্বাদের জিলানী (রহঃ)- এর নামে এ ধরনের আরও অসংখ্য মিথ্যা কথা আমাদের সমাজে চাল আছে, যা একশ্রেণীর বিদ’আতী হুজুরেরা ও লেখকরা প্রচার করে থাকে। এগুলি থেকে সাবধান থাকা জরুরী!
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯
আবু আনাছ বলেছেন: আমিন, সুম্মা আমিন...!
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯
নব্য রাজাকার বলেছেন: জাজাকাল্লাহ...
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯
আবু আনাছ বলেছেন: ওয়া ইয়াকা..
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪১
আহলান বলেছেন: কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে : “আর যখন আল্লাহ্ নবীদের অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলেন যে, তোমাদেরকে কিতাব ও হিকমত যা কিছু দেই অতঃপর তোমাদের যা কিছু থাকে তার সমর্থকরূপে যখন একজন রসূল আসবেন তখন তোমরা অবশ্যই তাঁর প্রতি ঈমান আনবে এবং তাঁকে সাহায্য করবে। তিনি (আল্লাহ্) বললেন : তোমরা কী স্বীকার করলে? এবং এ সম্পর্কে আমার অঙ্গীকার কি তোমরা গ্রহণ করলে? তারা বললো : আমরা স্বীকার করলাম। তিনি (আল্লাহ্) বললেন : তোমরা সাক্ষী থাকো এবং আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী থাকলাম।” (সূরা আল ইমরান : আয়াত ৮১)।
আল্লাহ কখন নবী (আঃ) দের অঙ্গিকার গ্রহণ করেছিলেন? কখন কাদেরকে সাক্ষি করেছিলেন? কখন নবীগন স্বিকার করেছিলেন? জানেন নাকি কিছু? জন্মের পরেই যদি সব কিছু হয়ে থাকে, তবে কোরআনের এই আয়তের ব্যাখ্যা কি হুজুর? বিদাত বিদাত করতে করতে বাচ্চু রাজাকার আর সাইদী সাবের তো জান খারাপ। আরেক জন তো এপিএসের বউ নিয়ে ভাগছে সে নাকি আবার বাংলাদেশ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ... বেদাত কি জিনিষ বুঝেন? বেদাত কত প্রকার ও কিকি জানেন কিছু?
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০০
আবু আনাছ বলেছেন: কোন পোষ্ট এ কোন কমেন্ট করতে হয় সেটাই তো এখনও জানলেন না।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩১
মোহাম্মদ হোসাইন বিন বাশার বলেছেন: আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক জানার তাউফিক দান করুন আমীন।