নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তালেবে ইলম, ইসলামের দাঈ!

আবু আনাছ

আমি বেশী কিছু জানি না, তবে যা জানি তা তোমাকে জানাবোই।

আবু আনাছ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাহাস নয়,আসুন স্বয়ং রাসুল (সাঃ) থেকে চাক্ষুস সালাত শিখি !

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

বাংলাদেশের ব্রেলভী ও দেওবন্দীদের আক্বীদা হলো রাসুল ﷺ জীবিত। তার প্রমান পাওয়া যায় তাদের বিভিন্ন বক্তব্য ও লেখনিতে।যেমন
হোসাইন আহমদ মাদানীকে মদীনায় তার ছাত্ররা প্রশ্ন করলো,
-রাসুল ﷺ কি কবরে জীবিত? তিনি বললেন,
-আলমে মেছালীতে রাসুল ﷺ জীবিত।
কিন্ত ছাত্ররা দলিল প্রমাণাদী পেশ করলো যে,
“(হে নবী!) নিশ্চয় আপনি মৃত্যুবরণ করবেন আর তারাও মৃত্যুবরণ করবে।” [সূরা যুমার ৩০]
-
মাদানী ছাত্রদেরকে বিভিন্ন দলিলের মাধ্যমে বুঝাতে চেষ্টা করলেন, কিন্ত তারা বুঝতে অপ্রস্তুত। এরপর মাদানী ছাত্রদেরকে নিয়ে রওযায়ে আতহারের কাছে নিয়ে গেলেন এবং হাত দিয়ে ইশারা করলেন, এই ইশারাতে রাসুল ﷺ তাঁর কবর থেকে মাথা উঠিয়ে সকলকে দেখা দিয়ে আবার মাটির নিচে লুকিয়ে গেলেন।
বই:ইরশাদাতে মুরশিদী, পৃষ্ঠা ৪২।
লেখক:মাওলানা আহমাদ শফি, প্রিন্সিপাল, আল্‌-জামিয়াতুল আহ্‌লিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম।
-
►►একটি চ্যালেঞ্জঃ
আমাদের সমাজের মুসলমানেরা আজ সালাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে প্রচন্ড ইখতেলাফে জর্জরিত।
তারা বুজতে পারছে না কোনটা ছেড়ে কোনটা মানবো। তাই হায়াতুন্নবী আক্বীদায় বিশ্বাসী বাংলাদেশী আলেমদের নিকট অনুরোধ চলুন আমরা মদিনায় ছুটে যাই।রাসুল ﷺ এর নিকট থেকে আমরা সমস্তু ইখতেলাফের সমাধান জেনে আসি। তিনি তো এতদিন শুধু হাত বা মাথা বের করছেন। আমরা রাসুল ﷺ কে অনুরোধ করবো পুরো শরীর বের করতে।তারপর রাসুল ﷺ এর ইমামতিতে মদিনা মসজিদে পুরো ২ রাক’আত সালাত আদায় করবো; যেন চাক্ষুস দেখে নিতে পারি রাসুল ﷺ এর সালাত কেমন!
তখন আমরা বুঝতে পারবো রাসুল ﷺ সালাত কি
-হানাফী মাযহাবের মতো?
-শাফেয়ী মাযহাবের মতো?
-নাকি মালেকী মাযহাবের মতো, নাকি
-নাকি হাম্বলী মাযহাবের মতো!
-
এইভাবে আমরা সমস্তু ইখতেলাফ রাসুল ﷺ থেকে জেনে নিব। ফলে আমাদের মাঝে তিনি ‘হায়াতুন্নবী’ না ’জিন্দা নবী’ এই বিতর্ক থাকবে না। বিতর্ক দূরীভুত হবে সালাতসহ অন্যান্য সকল ইখতিলাফী মাসআলায়।
-
ব্রেলভী-দেওবন্দী আলেমরা রাজী আছেন এই চ্যালেন্জ গ্রহণ করতে?
-
!
মন্তব্য___________
১। উপরে বর্নীত কিচ্ছাটি যে একটা ডাহা বানোয়াট এবং মিথ্যা একটি কাহিনী তাতে কোন সন্দেহ নাই। কারন নবী ﷺ কোনদিন কবর থেকে উঠে এসেছেন, ইতিহাসে এমন কোন প্রমান নেই। যে এই দাবী করে সে একজন কাজ্জাব (চরম মিথ্যাবাদী), সে একজন দাজ্জাল (মারাত্বক রকমের ধোঁকাবাজ)। এমন ধোকাবাজ বক্তা সম্পর্কে আল্লাহ নবী ﷺ আমাদের ১৪৫০ বছর আগেই সতর্ক করে গিয়েছেন; একদিন আল্লাহর রাসুল ﷺ বললেন,
-আমি আমার উম্মাতের জন্য একটি বিষয়কে দাজ্জাল এর থেকেও বেশী ভয় করি। (একজন সাহাবী বললেন), আমি ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
-হে আল্লাহর রাসুল, সেটি কি? তিনি বললেন,
-বিপথগামী এবং পথভ্রষ্ট আলেম। [মুসনাদে ইমাম আহমাদঃ ২১৬২১, তাবরানীঃ ৭৬৫৩,হাদীসটি সহীহ।]
-
২।ফিতনার যুগেই এই সকল বক্তার আবির্ভাব বেশী হবে। যেমন আল্লাহর রাসুল ﷺ বলেছেন,
-(ফিতনার যুগে) কিছু লোক এমন হবে, যারা জাহান্নামের দরজার দিকে মানুষকে দাওয়াত দিবে (অর্থাৎ তাদের দাওয়াত এমন ভ্রষ্টতাপূর্ণ হবে, যা জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে);যারা তাদের ডাকে সাড়া দিবে তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে। [সহীহ বুখারীঃ হাদীস নং-৩৩৩৬,৬৬৭৯]
-
৩। নবী ﷺ সম্পর্কে যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা প্রচার করে তার জন্য কি প্রতিদান রয়েছে এই হাদীসে দেখুন, নবী ﷺ বলেছেন,
-যে ব্যক্তি আমার উপরে মিথ্যারোপ করে,সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে নির্ধারণ করে নেয়। [সহীহ বুখারীঃ ১০৭; সহীহ মুসলিম]

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

শরীফ বিন ঈসমাইল বলেছেন: তথ্য বহুল পোষ্ট..!
অনেক কিছুই জানতে পারলাম।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪

আহলান বলেছেন: আল্লাহর রাস্তায় যাঁরা নিহত (শহীদ) হয়, তোমরা তাদেরকে মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত। তবে তা তোমরা উপলব্ধি করতে পারো না।
দেখুনঃ- সূরাহ বাকারা, আয়াত নং ১৫৪ ।

যারা আল্লাহর পথে নিহত (শহীদ) হয়েছে, তোমরা তাদেরকে মৃত জ্ঞান করো না। বরং তারা জীবিত; তাদের রব-প্রতিপালকের নিকট তারা রিযিকপ্রাপ্ত হয়।
দেখুনঃ- সূরাহ আলে ইমরান, আয়াত নং ১৬৯ ।

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেনঃ- যেই রাতে আমাকে মি’রাজে নেয়া হলো সেই রাতে যখন আমি মূসা (আ.) এর নিকট এলাম এমতাবস্থায় যে, তিনি লাল বালুকাস্তুপের নিকট স্বীয় কবরে দাঁড়িয়ে নামায পড়ছিলেন।
দেখুনঃ- সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৯৮১ । মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ১২৫০৪ । সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ১৬৩১ ।

হযরত আবুদ দারদা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন তোমরা জুমু‘আর দিনে বেশী করে দরূদ পড়ো কেননা, এদিন উপস্থিতির দিন-ফেরেশতাগণ এদিনে উপস্থিত হন আর তোমাদের কেউ যখনই আমার প্রতি দরূদ পড়ে, তখনই সেই দরূদ আমার নিকট পেশ করা হয়-এ পর্যন্ত যে, সে দরূদ পড়া থেকে ফারেগ হয়।” হযরত আবুদ দারদা (রা.) বলেন, আমি বললাম আপনার ওফাতের পরও তা হবে? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন-( আমার) ওফাতের পরও তা হবে কারণ, আল্লাহ তা‘আলা যমিনের ওপর হারাম করেছেন যে, নবীগণের শরীর ভক্ষণ করবে কাজেই নবীগণ জীবিত এবং রিযিকপ্রাপ্ত হন।
দেখুনঃ- সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১০৮৫

হযরত আউস ইবনে আউস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন নিশ্চয়ই তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম দিন হচ্ছে জুমু‘আর দিন এদিনে হযরত আদম (আ.)কে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং এদিনে সিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে আর এদিনে সবাই সেই আওয়াজে বেহুঁশ হয়ে যাবে সুতরাং এদিনে তোমরা আমার প্রতি বেশী করে দরূদ শরীফ পড়ো। কেননা, তোমাদের দরূদ আমার নিকট পৌঁছানো হবে। এ সময় জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করলেন--ইয়া রাসূলুল্লাহ! (আপনার ওফাতের পর) যখন আপনি মাটিতে গলে যাবেন, সে অবস্থায় আপনার নিকট কিভাবে আমাদের দরূদ পৌঁছানো হবে ? তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করলেন--“নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা যমিনের ওপর হারাম করেছেন যে, নবীগণের শরীর ভক্ষণ করবে।
দেখুনঃ- সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ১০৪৮ । সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ১৩৭৩ । ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১০৮৫ ।

যে কেউ আমার প্রতি সালাম প্রেরণ করবে, আল্লাহ তা‘আলা আমার রূহ ফিরিয়ে দিবেন, তখন আমি তার সালামের উত্তর প্রদান করবো।
দেখুনঃ- সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ২০৪১ । বাইহাকী-সুনানে কুবরা, হাদীস নং ১০২৭০

আসলেই আপনাদের সাথে বাহাস করার কোন কারণই নেই ...আপনারা রাসুলে করিম (সাঃ) এঁর মান, শান মর্তবা মর্যাদা সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ!

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০

গ্রিন জোন বলেছেন: রাসুল স. জিন্দা কি মৃত তা নিয়ে বাহাস করে লাভ নেই। তার কাজ ও কাজের বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। রাসুল স. জিন্দেগি সামনে নিয়ে পর্যালোচনা করতে হবে। তাহলে দেখা যাবে ঘরে ইসলাম আর ময়দানের ইসলামের মধ্যে কত ফারাক। যারা ঘরে বসে আরামসে জীবন পার করে দিয়ে জান্নাতে যেতে চাই তাদের জন্য দুঃখ।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

আবু আনাছ বলেছেন: @আহলান!
এত কষ্ট করে হাদীসগুলো না লিখে চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করলেই পারতেন।
যাবেন মদিনায় ?

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩২

আহলান বলেছেন: আমি কেনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করব। যে বিশ্বাস করে না সেই গিয়ে দেখে আসুক। আর হুজুর সা: করে দেখতে মদিনায় যাওয়া লাগে না, সেই রকম ঈমান আক্বিদা থাকলে যে কোন জায়গা থেকেই তার জিয়ারত নসীব হয়। কেন? হাদিসগুলো কি আপনি অস্বিকার করার সাহস দেখাচ্ছেন নাকি? আর কোরানের আয়াত গুলো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.