![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে তিনটি অভ্যাস আপনাকে গরীব থেকে ধনী হতে সাহায্য করবে।
আপনি এটাকে জীবনের মানি ম্যানেজমেন্ট ও বলতে পারেন।উপার্জন না বাড়িয়েও আপনি ধনী হতে পারেন যদি শুধু আপনার ফিলোসফি বা ধ্যানধারণায় পরিবর্তন আনতে পারেন। পৃথিবীর সব মানুষই ধনী হতে চাই। এটা মানুষের সহজাত কামনা। টাকার পিছনে আমরা সবাই ছুটি , টাকার প্রয়োজন সবারই আছে। কেউ যদি বলে তার টাকার প্রয়োজন নেই, তাহলে আমি মনে করি তার সাইকোলজিক্যাল প্রবলেম আছে নয়তো সে টাকার পিছনে ছুটে ছুটে ব্যারত্থ কিন্তু টাকা ধরে রাখতে পারে নাই সেই ব্যারথতা থেকেই এই কথা বলে। এই পৃথিবীতে সবার উপার্জন সমান না এই কথা ঠিক। কেউ অল্প আয় করেও কিছু জমাতে পারে আবার কেউ মিলিয়ন মিলিয়ন আয় করেও ঠিক মত মাস চলতে পারে না।
আমি আপনাদের সাথে কিছু সাধারন ফর্মুলা শেয়ার করবো যেটা আমি মেনে চলি, হয়তো এটা আপানকেও সাহায্য করবে উপার্জন যত কমই হোক শেখান থেকে কিছু জমাতে।
১। ৭০/৩০ঃ আমি এই নিয়মের নাম দিয়েছি ৭০/৩০ রুলস।
আপনি মাসে যা আয় করেন টা থেকে ৭০% খরচ করেন, বাসা ভাড়া, খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য আনুসাঙ্গিক কাজে। আপনি ২০০০০ টাটা উপার্জন করলে ১০০০০ টাকার বাসা ভাড়া দিয়ে থাকার মানে হয় না। প্রতিদিন মাছ-মাংশ খাওয়াও জরুরি না। বিলাস বহুল চিন্তা ভাবনা এখানেই বন্ধ করুন। আপনি এমন জায়গায় থাকুন বা এমন ভাবে চলুন যাতে আপনি আপনার উপার্জনের ৭০% টাকা দিয়েই অনায়েসে চলতে পারেন। ওয়ারেন্ট বাফেটের সেই কথাটা বলতে চাই, আপনি জমানোর পর যা থাকবে সেটা দিয়ে চলার চেষ্টা করুন। ৩০% আগে জমান, বাকি যা থাকবে সেটা দিয়ে চলার চেষ্টা করুন। দেখবেন বছর শেষে একটা ভালো এমাউন্ট চলে এসেছে আপনার কাছে।
২। ইনভেস্টমেন্টঃ .আপনি কয়েক বছর ধরে যখন টাকা জমাতে থাকবেন, একটা সময় হয়তো আপনার কাছে ভালো এমাউন্ট জমা হয়ে যাবে। আপনি এই টাকাটা একটা ভালো কোন কাজে ইনভেস্টের সুযোগ খুজেন। মনে রাখবেন টাকায় টাকা আনে। অবশ্যই যে কাজটা আপনি জানেন না বা যে বিষয়ে আপনার ধারনা নেই অন্য মানুষের কথায় সেই সব জায়গায় ইনভেস্ট করবেন না। তাড়াহুড়ো করবেন না। মনে রাখবেন আপনার যখন অর্থ আছে ইনভেস্ট করার মত, তখন সুযোগ আসবেই ভালো কোন কাজে ইনভেস্ট করার। ইনভেস্ট করার আগে দেশের ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা মাথায় রাখবেন । কোথায় ইনভেস্ট করলে আপনি রিটার্ন ভালো পাবেন। হুজুগে কান দিবেন না। সবাই শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করে রাতা রাতি ধনী হয়ে গেল, আমি পারলাম না। ফরেক্স মার্কেটে মাসে মাসে ব্যালেন্স দ্বিগুণ হয় আমারো হবে এই সমস্থ চিন্তা পরিহার করুন। মনে রাখবেন পৃথিবীর অন্যতম কঠিন কাজের মধ্যে একটা হলো বৈধ উপায়ে অন্যর পকেটের টাকা নিজের পকেটে আনা অর্থাৎ ব্যাবসা করা। কাজটা জতটা সহজ ভাবা হয় আসলে কি ততটা সহজ? না কখনোই না। এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য, ব্যাবসায়িক জ্ঞ্যান, লোভ পরিহার এবং সঠিক জায়গায় ইনভেস্টমেন্ট। রাতারাতি ধনী হওয়ার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। দেখেবন হয়ে যাবে।
৩। জমানোর অভ্যাসঃ
আমাদের দেশে একটা বড় সমস্যা হল আপনি যদি মোটামুটি আয় করেও একটু খারাপ ভাবে চলেন , আর কিছুটা জমানোর অভ্যাস থাকে লোকে আপনাকে বলবে কিপটা। অন্যর কথায় কান দিবেন না। আজ আপনি যদি বিপদে পরেন , এদের কেউই আপানকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করবে না। এই বুদ্ধি সেই বুদ্ধি দিবে। যখন আপানর অর্থ প্রয়োজন তখন আসলে কোন বুদ্ধিই ভালো লাগবে না। কারন প্রয়োজনটা অর্থের বুদ্ধির না। যাইহোক, আপনি কোন কাজে ইনভেস্টের সময় পুরোটাকাটা সেই খাতে ইনভেস্ট করবেন না। কিছু টাকা হাতে রাখুন। ব্যাবসায়ে বিপদ –আপদ বলে আসে না। ওয়ারেন্ট বাফেটের এর কথাটা মেনে চলুন, এক ঝুড়িতে সব ডিম রাখতে নেই। কারণ ঝুড়িতে যখন আঘাত পরবে ঝুড়ির সব ডিম ভেঙে যাওয়ার সম্ভবনা থাকবে। আপনি আসতে আসতে দুই তিনটা খাতে সেই অর্থ ইনভেস্টের পরেও কিছু টাকা জমিয়ে রাখার অভ্যাস করুন। যদিও আপনার সব জায়গা থেকে লাভ আসে তবুও আপনি জমানোর অভ্যাস ছেড়ে দিবেন না। একি জায়গায় সব টাকা ইনভেস্ট করবেন না যদিও আপনি দেখেন সেই ব্যাবসা থেকে আপনার ১০০% প্রফিট হচ্ছে। মনে রাখবেন আপনার বিপদের দিনে এটা সাহায্য করবে।
আরও আর্টিকেল পরতে ঘুরে আসতে পারেন আমার ব্লগ we-freelancer.com থেকে।
ধন্যবাদ সবাইকে। শুভ কামনা
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২
সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন।