নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অলটারনেটিভ

মনজুরুল হক

আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশেচারিদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতরতবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানাহাজার শিশুর জন্ম দেয়,যারা মানুষ ।

মনজুরুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

করপোরেট বেনিয়াদের হাতে বন্দী দ্রোহ আর প্রতিবাদের প্রতীক একুশে ফেব্রুয়ারি এখন একুশ উৎসব!

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:১২



রেসের ঘোড়াকে কীভাবে ধীরে ধীরে রেসের ময়দানের প্রথম কাতার থেকে সরিয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং ক্রমান্বয়ে ময়দান থেকে সরিয়ে এনে তার ঘাড়ে জোঁয়াল চাপিয়ে গাড়িটানা ঘোড়ায় রূপান্তরিত করা হয়, এবং সবশেষে তাকে শেয়াল-শকুনের খাবারে পরিণত করা হয় তার জাজ্বল্যমান উদাহরণ আমাদের মহান ভাষা দিবস। যাকে এখন জাতিসঙ্ঘের সনদের বলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বলা হচ্ছে। ভাষা দিবস বা মহান শহীদ দিবস কিংবা শুধুই একুশে ফেব্রুয়ারি যে একটি জাতির প্রতিবাদ, প্রতিরোধ এবং সেই প্রতিরোধ বা প্রতিবাদের নজির এই ভূবিশ্বে কেবলমাত্র বাঙালিরই আছে সেই সত্যটি ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দেয়ার চেষ্টা যারা করে আসছিল এখন তারা মোটামুটি সফল! নিজের মায়ের ভাষা কেড়ে নেয়ার পাকিস্তানি জুলুম এবং চক্রান্ত প্রতিহত করতে যে বাঙালি গর্জে উঠে অকাতরে প্রাণ দিয়ে তার মায়ের ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেই প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় মাটিচাপা দেয়ার কাজটা দিনের পর দিন সুনিপুণভাবে করা হচ্ছে।

অনেকেই বলে থাকেন একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ দিবস। এটা রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও এখন মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু এটা যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, জুলুমের বিরুদ্ধে অসহযোগ যুদ্ধ, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে টিকে থাকার লড়াই। সেই জায়গা থেকে বাঙালিকে টেনে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে গত চার দশক ধরে। ১৯৭২ সালের আগ পর্যন্ত একুশে ফেব্রুয়ারিতে খুব ভোরে লখো মানুষ খালি পায়ে শহীদ বেদিমূলে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছিল। সেই শ্রদ্ধা নিবেদনে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিলনা। ছিল ভাইয়ের রক্তে কেনা মায়ের ভাষার প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা।

১৯৭২ সালে একুশে ফেব্রুয়ারি প্রভাতের বদলে রাত বারটা শূণ্য মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সরকারিভাবে বেদিমূলে পুষ্পার্ঘ দেয়ার চল করার পর থেকেই প্রভাতফেরি নামক চিরায়ত সংস্কৃতি বদলে যেতে থাকে। তখন থেকেই প্রভাতফেরি হয়ে ওঠে রাষ্ট্রীয় প্রটোকলের অঙ্গ। সেখানে সৈন্য সামন্ত নিয়ে রাষ্ট্রের একটি আনুষ্ঠানিকতাই প্রধান হয়ে ওঠে। আর এর ফলে ধীরে ধীরে ভাষা দিবস তার স্বকীয়তা হারিয়ে পরিণত হয় কেবলই এক আনুষ্ঠানিকতায়। আরো পরে এসে করপোরেট কালচারের আগমন ঘটার পর ওই মধ্যরাতের পুষ্পার্ঘ নিবেদনের রসদে যোগ হয় করপোরেট কেতা। সৈন্যদের স্যালুট, গার্ড অব অনার, প্রটোকল মতে রাষ্ট্রের কুশিলবদের ক্রমবিভাজন। প্রটোকল মতে কে কে প্রথমে শহীদ মিনারে যাবেন সেই সব কেতাও চালু করা হয়। আজ এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে নির্দ্বিধায় বলে দেয়া যায়- মহান শহীদ দিবস এখন আর ভাষা রক্ষার সেই গৌরবোজ্জ্বল প্রতিবাদের প্রতীক নয়।

আমরা যারা শহীদ দিবসকে কেবলই ভাষা রক্ষার জন্য আত্মত্যাগ বলি তারাও যথাযথ মূল্যায়ন করিনা। সেটি কি কেবলই মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলন ছিল? শুধুই কি ভাষাকে রক্ষা করার জন্য একশ চুয়াল্লিশ ধারা লঙ্ঘন করে ছাত্ররা গুলি খেয়ে জীবন দিয়েছিল? না। যদিও আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারির ইতিহাস সেভাবেই লেখা, যদিও সেই বায়ান্ন থেকে আজ এই দুই হাজার এগার সালে এসেও আমরা ইতিহাসে তেমনই বিবরণ দেখি। কিন্তু সেই বায়ান্নর রাজপথের মানুষগুলোর যারা আজো বেঁচে আছেন তারা জানবেন যে সেটি কেবলই ভাষা রক্ষার আন্দোলন ছিল না। ছিল ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ। সেই প্রতিবাদ ভাষা রক্ষার জন্য না হয়ে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধেও হতে পারত। যেহেতু ঔপনিবেশিক শাসকরা তাদের উপনিবেশের প্রজাদের প্রথমে ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল, তাই প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল ভাষা রক্ষার জন্য। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকরা যদি বলত ‘বাংলা বা উর্দু নয়, ইংরেজিই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। তাতেও বাঙালি প্রতিবাদী হত। কেননা সাতচল্লিশে পাকিস্তান গঠনের পর পরই বাঙালির মোহভঙ্গ শুরু। যা একাত্তরে এসে পূর্ণতা পায়। বাঙালি তার স্বাধীন সার্বভৌম স্বদেশ পায়।

আজ এই দুহাজার এগার সালে যদি কোনো কারণে সরকার ঘোষণা করে- ‘এখন থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মত দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা আরবী হবে’! তাহলে কি বাঙালি তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে? সরকারের বিরুদ্ধে সর্বগ্রাসী আন্দোলন করে অকাতরে রক্ত দেবে? মনে হয় না। কারণ সেটি হলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করার সময় বা এখন পুনরায় বাহাত্তরের ধর্ম নিরপেক্ষ সংবিধান পূর্ণমুদ্রণের পরও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকতে পারত না। তুলনাটি এজন্য আসছে যে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বাঙালির বিদ্রোহ বা উপনিবেশের বিরুদ্ধে স্বাধীকারের লড়াই-ই একুশের মূলমন্ত্র। ভাষা সেখানে উপলক্ষ মাত্র। এতো গেল গোড়ার দিককার কথা।

করপোরেট কালচারের অবাধ আমদানি এবং ভাষা দিবসসহ অন্যান্য দিবসে সেই কালচারের দবদবানি এতটাই বেড়েছে যে এর পর থেকে শুরু হয়েছে ভাষা দিবস নিয়ে ন্যাক্কারজনক ‘খেলা’। পঁচাত্তরের পর থেকে সেনা শাসনের দিন শুরুর পর বাঙালির সংস্কৃতিতে ‘সৈনিক’ শব্দটির প্রচলন করা হয়। এই সৈন্য শব্দটিকে জুড়ে দেয়া হয় লেখকের সঙ্গে, শ্রমিকের সঙ্গে, চিত্র পরিচালকের সঙ্গে, এমনকি শিক্ষার সঙ্গেও। সর্বশেষ জুড়ে দেয়া হয়েছে ভাষার সঙ্গে। এখন আর বায়ান্নর ভাষা শহীদ নয়, বলা হয় ‘ভাষাসৈনিক’! সৈনিক কালচারের সঙ্গে অপূর্বভাবে গেলানো হয়েছে করপোরেট কালচার। এই দুই অভূতপূর্ব কালচারের তোড়ে হারিয়ে গেছে মহান একুশ। গৌরবের একুশ। আত্মত্যাগের একুশ। স্বাধীনতার অনুঘটক একুশ। স্বাধীকারের বীজতলা একুশ। ঔপনিবেশিক শাসনমুক্তির একুশ। তার বদলে একুশের এখনকার পরিচয়- ‘ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে’!

একুশকে শুধু এভাবেই ‌'নপুংশক' বানিয়ে থামেনি তারা। এর সঙ্গে আরো অনুপান জুড়ে দেয়া হয়েছে। এখন ফেব্রুয়ারি এলেই ডজন খানেক টিভি চ্যানেল আর কুড়ি খানেক সংবাদপত্র হণ্যে হয়ে খুঁজে বেড়ায় সেই সময়কার ‘ভাষাসৈনিকদের’। তাদের একেকজনকে ধরে এনে তাকে দিয়ে স্মৃতিতর্পণ করানো হয়। কে সেই সময় দেয়ালে পোস্টার সেঁটেছিলেন, কে সেই সময়ে মিছিলের ভেতরে কোথাও না কোথাও ছিলেন, কে মনে মনে সেই মিছিলে যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু ‘অনিবার্য কারণে’ যেতে পারেননি, কে নিজে না গেলেও তার বাবা-চাচাকে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তারাও আজ ‘ভাষাসৈনিক’! আর সেই সব ভাষাসৈনিকদের ‘মহামূল্য স্মৃতি’ চড়া দামে ‘কিনে’ এই করপোরেট কালচার ভাষাকে মহিমান্বত করার নামে বাজারি পণ্যে রূপান্তর করে দিচ্ছে।

ঠিক এমনি ঘটনা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও ঘটানো হচ্ছে। যিনি কোনো দিন বন্দুকের বাঁটে হাত রাখেননি, যুদ্ধ তো দূরের কথা, যিনি কখনোই সেই যুদ্ধকে সমর্থন করে পাকিস্তানি বশ্যতা ত্যাগ করে শহর ছাড়েননি, কিংবা নিজের ছেলেকে আদর্শে উদ্বুদ্ধ করে যুদ্ধে পাঠাননি তারাও এখন মুক্তিযোদ্ধা। মহান মুক্তিযোদ্ধা। এদেশে একেকটি সরকার বদলের পর পরই যেমন মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বদলে কখনো স্ফিত হয়, আবার কখনো খর্ব হয়। তেমনি বছরের পর বছর ‘ভাষাসৈনিকদের’ সংখ্যা স্ফিত হচ্ছে। যেহেতু রফিক, জব্বার, সালাম, বরকতদের মত এখন আর মৃত দেখানো সম্ভব হচ্ছে না তাই ‘অংশীদার’ বানানোর কোশেশ চলছে অব্যহতভাবে। এভাবে চলতে থাকলে দুহাজার ত্রিশ সালেও বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ‘অন্যতম যোদ্ধা’ আবিষ্কার সম্ভব! এমনকি গানিতিক নিয়মে সেই ‘যোদ্ধার’ বয়স বায়ান্নতে এক বছর হলেও!

এটা যে বাঙালি জাতির জন্য কী পরিমান অপরিনামদর্শী এবং সেই ভাষা শহীদদের প্রতি কী পরিমান অপমানজনক তা বোধ করি আমাদের করপোরেট কালচারে ডুব দিয়ে অশেষ পূণ্য হাসিল করা করপোরেট চোগলখোররা বুঝতে পারছেন না। তারা যে বুঝতে পারছেন না তা নয়। তারা সব কিছু বুঝেশুনেই করছেন। কেননা তারা পুঁজির নিয়ম মেনে জগতের সব কিছুতেই পুঁজির অংশীদারিত্ব আবিষ্কার করেন, এবং সব কিছু থেকেই লগ্নিপুঁজির মুনাফা তুলে নিতে চান। আর দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের এই চাওয়াকেই আমাদের বিভিন্ন সরকার সমর্থন করে।

সমাজে আর এক শ্রেণীর কূপমণ্ডুক আছেন যারা মনে করেন সর্বস্তরে বাংলা চালু করলেই ভাষা আন্দোলনে যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে, মর্যাদা দেয়া হবে! তাই তারা ফিবছর গাড়ির নাম ফলক, দোকানের সাইনবোর্ড, বিভিন্ন সতর্কবাণী বা সরকারি নোটিস সমূহ এবং আদালতে বিচারকদের রায় যেন বাংলায় প্রদান করা হয় সেই দাবি তোলেন। তারা ভাবেন এভাবেই ভাষা দিবসকে প্রকৃত সন্মান জানানো হচ্ছে! তাদের এই নিবীর্য কর্মকাণ্ডকে সমর্থন জানিয়ে সমাজের সর্বস্তরে তা চালু করার জন্য তো করপোরেট বণিকেরা বসে আছেন। তারা এসে ভাষা দিবসকে সামনে রেখে ওই এক মাসের বা মাত্র আঠাশ দিনের জন্য বাংলা চালুর মচ্ছব করে চলেছেন।

আমরা একদিকে বাংলা ভাষার স্বকীয়তা, বাংলা ভাষার ‘সতীত্ব’ নিয়ে হাপিত্যেশ করছি, অন্য দিকে আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম ফেরিওলা ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়ায়, বিশেষ করে বেসরকারি রেডিও চ্যানেলগুলোতে এক অদ্ভুত ধরণের ‘জারজ বাংলা’ মেনে নিয়েছি!
সারা দিন রাত রেডিও-টিভি চ্যানেলগুলোতে দেশের ধীমানরা জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা দিচ্ছেন, অথচ কেউ প্রতিবাদী হয়ে বলছেন না যে এটা বাংলা নয়! এভাবে বাংলাকে ‘ধর্ষণ’ করার কোনো অধিকার তোমাদের নেই! বলছেন না, প্রতিবাদ করছেন না, সেও তো এমনি এমনি না। সেখানেও বিকিকিনি! ধীমান বুদ্ধিজীবী আলোচকরা জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা দিয়ে তো খালি হাতে ফিরছেন না! তাকেও ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে কড়কড়ে কারেন্সি! কেউ কেউ আবার একে ‘বাক স্বাধীনতা’ নাম দিয়ে এর পক্ষে ওকালতিও করছেন।


মোবাইল কোম্পানিগুলো বাংলায় বার্তা পাঠাচ্ছে, বাংলায় গর্জে ওঠার আহ্বান জানাচ্ছে, বাংলায় এটা পাবেন ওটা পাবেন বলে সাধারণের নাকের ডগায় মূলো ঝোলাচ্ছেন। জাপানি গাড়ি বিক্রেতারা ‘বাংলাকে ভালোবেসে’ গাড়িরে ব্লুবুক বাংলায় করে দিচ্ছে! বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বিষাক্ত শিশুখাদ্যের টিনে বা প্যাকেটে বাংলা লিখে দিচ্ছে! আর এভাবেই বায়ান্নর পর থেকে একেকটি প্রজন্মকে শেখানো হচ্ছে ভাষা আন্দোলন বলতে যা বোঝায় শেষ বিচারে তা হল সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন। এখনকার প্রজন্মও শিখে নিচ্ছে সর্বস্তরে বাংলা, কেবলমাত্র বাংলা চালু হলেই মহান একুশে ফেব্রুয়ারির সার্থকতা আসবে।

করপোরেট বেনিয়াদের সঙ্গে শাসকদের এই সখ্যতা যে মহান একুশকে দ্রোহের প্রতীক থেকে ‘সেলিব্রেশন ডে’ বানিয়ে দিচ্ছে সেদিকে আমাদের বিদ্যা বুদ্ধির ব্যাপারিদের নজর আছে বলে মনে হচ্ছে না। তারা যে এই দিনকে সামনে রেখে বিভিন্ন ফ্যাশন ডিজাইন করছে, কস্টিউম বানাচ্ছে, শাড়ি-পাঞ্জাবীর জমিনে বর্ণমালা বসিয়ে সঙ সাজার প্রতিযোগীতা করছে, গালে-মুখে-হাতে-কপালে বর্ণমালা লিখে দিনটিকে রং উৎসব বা ‘কালারফুল ডে’ বানাচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকে ‘মহান একুশের বইমেলা’ নাম দিয়ে ‘আনন্দমেলা’র প্রচলন করছে, ঘরে ঘরে একুশ উপলক্ষে সেলিব্রেশন ফুডের মেনু বিলোচ্ছে, একে অপরকে শহীদ দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে! শহীদ বেদিমূলে রাত বারটা থেকে পুষ্পার্ঘ অর্পণের ছবি দিয়ে নিজ নিজ বা গোষ্ঠিগত ক্যারিয়ারকে ইলেক্ট্রিফায়েড করাচ্ছে তাতে করে মোটেই অবাক হওয়া যাবেনা যদি আগামী কয়েক বছর পর শহীদ দিবসে জমজমাট কনসার্টের আয়োজন করে বলিউড-হলিউডের নামকরা গাইয়ে বা অভিনেতা এনে পুষ্পার্ঘ অর্পণের ডেমো করা হয়!

এই বেজন্মা করপোরেট কালচারের ভেতর যারা অতিকষ্টে নিরবে নিভৃতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের জন্য চোখের জল ফেলছেন তারা সেই দ্রোহ আর সংগ্রামের এই করুণ পরিনতি দেখে কি-ইবা করতে পারি! হ্যাঁ, একটি কাজই করতে পারি। আর তা হলো সেই সব বীর শহীদদের কাছে নতজানু হয়ে করজোড়ে ক্ষমা প্রর্থণা!

২০.০২.২০১১


মধ্যরাতের এই শহীদ মিনার আমার নয়

এই করপোরেট ফ্যাশনও আমার নয়!

এই আমার তেপ্পান্ন সালের একুশ।


মন্তব্য ৩৮৪ টি রেটিং +১১৬/-০

মন্তব্য (৩৮৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:২০

এ কে এম নাহিদ বলেছেন: সুন্দর একটি লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

অনুধাবনঃ

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:১৯

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ এ কে এম নাহিদ।
আপনার লেখাটি পড়তে যাচ্ছি....

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৩৩

ব্লগী তানীম বলেছেন: তেমন কোনো তথ্য প্রমান না থাকা সত্তেও পোস্টটি স্টিকি করে রাখা উচিত।

ভাই,বুঝিয়ে লাভ নেই-প্রাচীন যুগের মতো ছাপোষা বাঙালী হয়েই থাকলাম।মাথা নত করে যেভাবে চলছি তাতে মনে হয় একদিন ক্ষমা চেয়েও নিস্কৃতি মিলবে না।
তারপর -আবার আপনি সুন্দর করে লিখবেন -আর আমি পড়েই যাবো !!

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৪৬

মনজুরুল হক বলেছেন: আমার ক্ষমতা থাকলে এই বেনিয়াদের মুখে উপর লাথি মারতাম।

যেহেতু তা নেই, যেহেতু সরকারকে কোন কিছু বোঝানো আমাদের মত সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব, তাই নিরুপায় অসহায়ের যা করণীয়, তাই-ই করতে চেয়েছি- করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থণা।

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৩৫

ব্লগী তানীম বলেছেন: ওহ,
পোষ্টটা (বাংলা জানিনা) প্রিয়তে রেখে দিলাম।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:২০

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনার ব্যক্তিগত ব্লগে পরে মন্তব্য করে আসব।
ভালো থাকুন।

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৪১

পিয়ানিস্ট বলেছেন: প্রতি বছর শহীদ দিবস নিয়া এই ধরনের প্যান প্যানানি লেখার বাণিজ্য যে কবে শেষ হবে? তথ্য উপাত্তের খবর নাই, শুধুই কথার ফুলঝুরি ।

৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৫১

দূর্যোধন বলেছেন: দারুন পোস্ট !! অসাধারন !

মিডিয়া বেনিয়াদের দৃষ্টি এইখানে আসবেনা,যারা একুশ নিয়া উৎসবে মত্ত এবং সেই উৎসব পালনে নেশগ্রস্ত হয়ে গিয়েছেন,তাদেরও কি এই পোস্ট বিচলিত করবে না ???

শোকের দিন কর্পোরেট বেনিয়াদের কাছে হয়ে গিয়েছে '' দুনিয়া কাঁপানো ৩০ মিনিট'' !!!

নতুন প্রজন্ম জানবে কি?? হুট করে বাংলার মানুষ এই ৩০ মিনিটে খেপে গিয়ে রাস্ট্রভাষা বাংলা বানিয়ে ছেড়েছিলো !!!!অথচ এই বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করতে গিয়ে সেই ১৯৪৮ থেকেই কিভাবে অগ্রসর হতে হয়েছে প্রতিকুলতার বিপক্ষে ..........তা তাদের কে জানাবে ?????


পোস্টে +

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:০৫

মনজুরুল হক বলেছেন: আরে আরে বলেন কি দূর্যোধন ! আদ্দিকালের এইসব প্যানপ্যানানি কেউ শোনে নাকি আজকাল? সবই তো ওই ৩০ মিনিটে হয়েছিল! এবার হয়ত দেখছেন না, কিন্তু আস্থা রাখুন, আগামীতে পান্তা ইলিশের মত মেন্যু আসল বলে!

নতুন প্রজন্মকে শুধু এতটুকু বোঝানো হচ্ছে- মাথায় একটা একুশ লেখা পট্টি বাঁধো, পাঞ্জাবীতে ক খ গ ঘ লেখো। তারপর গলায় একটা ওড়না ঝুলিয়ে শহীদ মিনারে যাও।

৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:০৭

ক্রস ফায়ার০০৭ বলেছেন: এটাকেই স্টিকি করা হোক।

আমার পড়া একুশ নিয়ে সেরা লেখা।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৩৩

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ক্রস ফায়ার০০৭ ।

৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:২৫

বৃষ্টিস্নাত বলেছেন: ক্রস ফায়ার০০৭ বলেছেন: এটাকেই স্টিকি করা হোক।

আমার পড়া একুশ নিয়ে সেরা লেখা।

একমত

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৩৪

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ বৃষ্টিস্নাত।

৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩৫

মেটালিফেরাস বলেছেন: ভাল পোস্টের অভাবে ব্লগে আসাই ছেড়ে দিয়েছি।
আজ এমন দিনে এমন একটি পোস্টের প্রয়োজন ছিল। অভিনন্দন নিন কমরেড।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৩২

মনজুরুল হক বলেছেন: অভিনন্দন রইল।

৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩৭

ব্লগী তানীম বলেছেন: হারিয়েই গিয়েছিলো লেখাটা - প্রায় !
ধন্যবাদ মডুদের স্টিকি করার জন্য।

১০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪৫

মিঠাপুর বলেছেন:
আজ ওদের কাছে আমরা অসহায়.............. X(( X(( X(( X(( X(( :(( :(( :(( :(( :(( :((

জাতী হিসাবে আমরা দিন দিন নপুংসুক হয়ে যাচ্ছি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৩৫

মনজুরুল হক বলেছেন: মনে হয়না। ওরা জাতির খুবই ক্ষুদ্র একটি অংশ। এখন ওরা শক্তিমান, তবে প্রতিবাদীরাও শক্তিমান হয়ে উঠবে এক দিন।

১১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪৫

অসামাজিক ০০৭০০৭ বলেছেন: একুশ আমার চেতনা,একুশ আমার গর্ব,একুশ আমার প্রেরনা...
সেই ভাষা শহীদদের প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছি...
এ রকম একটি সুন্দর পোষ্টের অপেক্ষার ছিলাম,
স্টিকি করায় সামুকে ধন্যবাদ..
ভালো লাগলো মনজুরুল হক ভাই...
আপনাকেও ধন্যবাদ...

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৩৭

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ এই পোস্ট পড়ার জন্য এবং চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

১২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪৬

বালক বন্ধু বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। আমার মনের কথাগুলো সব উঠে এসেছে।

মাঝে মাঝে ভাবি ৮ ই ফাল্গুন যদি আমরা আমাদের শহীদ দিবস করি তাহলে মনে হয় আমরা আমাদের এই চেতনাকে রক্ষা করতে পারবো। হয়তবা একটু অফটপিক হল। কিন্তু গত তিন চার বছর যাবত আমার মনে এই বিষয়টি খুচাচ্ছে।

ভাই রেসের শব্দটি একবার সেসের লিখেছেন। ভাষাকে ভাসা। এই দুটো একটু ঠিক করে দিন। তাহলে লিখাটা সত্যকারের আবেগ লাগা হবে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৩৫

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ। দিয়েছি। পোস্ট করার সময় থেকেই বাগ আক্রমণ! বিজয়কে ইউনিকোডে কনভার্ট করতে খুব সমস্যা হচ্ছিল। অনেকেরই কমেন্ট ৫/৬ বার করে এসেছিল। আমি নিজেও কমেন্ট করতে পারছিলাম না।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৪২

মনজুরুল হক বলেছেন: গায়ক আব্দুল লতিফ তার গাওয়া "আটই ফাল্গুনের কথা আমরা ভুলি নাই" গানটি গেয়ে বছর পনের আগে তিনি অনেক চেষ্টা করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত হয়নি। একুশে ফেব্রুয়ারিকে একুশে ফেব্রুয়ারি বলতে তো সমস্যা নেই। মাতৃভাষার রক্ষা মানে তো এটা নয় যে আমরা কেউ ইংরেজি শিখব না। ইংরেজি না জানলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কাজ করা যাবেনা। যাদের ইংরেজিতে দক্ষ হতে ইচ্ছে করবে তারা উচ্চতর ইংরেজি নিশ্চই পড়বেন। তাই বলে রাজধানীতে প্রাইমারি স্কুলের চেয়ে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সংখ্যা বেশী হলে গরিব মানুষদের ছেলে মেয়ে পড়বে কোথায়?

১৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫১

প্রমিথিউস আনবাউন্ড বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন। ধন্যবাদ। একটি বিষয় ভাবা দরকার ভাষার দাবী কিংবা মুক্তিযুদ্ধ যেনো আমাদের মাঝে উগ্র জাতিয়তাবোধের লালন না করে। আমাদের ভাষা সংগ্রাম এর অন্তর্গত নির্যাস যেনো প্রত্যেকটি জাতির মুক্তির লড়াই সংগ্রামে র প্রেরনা হয়ে ওঠে। আমাদের জাতিগত মুক্তির সাফল্য আমরা নিতে পারিনি এটা যেমন সত্য তেমনি তা অর্জন করার দায়িত্ব ও আমাদের সেটাও মনে রাখা দরকার বলে আমি মনে করি। এর জন্য আমাদের আরো বেশী সক্রিয় হতে হবে সামাজিক এবং রাজনৈতিক ভাবে ।এর কোন বিকল্প নেই। করপোরেটাইজেশন এর সপক্ষের সকল শক্তি এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিপক্ষ হতে পারে কারন এখন "ওরাই আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়"। যেমনটা উপনিবেশিক শক্তির চাপিয়ে দেয়া ভাষার বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। তেমনি নতুন অর্থনৈতিক উপনিবেশের ক্রিয়নক বহুজাতিক কর্পোরেট এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া সময়ের দাবী। এভাবেই ২১' এর চেতনাকে ধারন করা যেতে পারে চুড়ান্ত মুক্তির লক্ষ্যে


আরেকটা বিষয় বলা দরকার যেটা আমাদের ভাষার লড়াই সেটা অন্য জাতির উপনিবেশ বিরোধী লড়াইয়ের জন্য প্রেরনা হতে পারে এই মর্মে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অন্যান্য সকল জাতির জন্য হতে পারে এতে দোষের কিছু দেখিনা কিন্তু আমাদের জন্য অবশ্যই উদযাপন নয় বরং সংগ্রামী চেতনা। এ আমার নিজস্ব মতামত।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৭

মনজুরুল হক বলেছেন: প্রমিথিউস আনবাউন্ড , চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

"ভাষার দাবী কিংবা মুক্তিযুদ্ধ যেনো আমাদের মাঝে উগ্র জাতিয়তাবোধের লালন না করে।"
ইতিমধ্যেই এটা করেছে! পাহাড়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিস্বত্ত্বার সঙ্গে আমরা যে আচরণ করে আসছি সেটি বায়ান্ন কিংবা একাত্তর আমাদের শেখায়নি। যে জাতি তার মুখের ভাষা রক্ষার জন্য অকাতরে প্রাণ দিতে পারে, সে জাতি কী করে তারই ভূখণ্ডে বসবাসরত আর এক ক্ষুদ্র জাতিস্বত্ত্বাকে নি:শ্চিহ্ন করার কাজ সমর্থন করতে পারে?
তার আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার অস্বীকার করতে পারে!

আর করপোরেট বেনিয়া থেকে মুক্তির উপায় কি রাষ্ট্রের কর্ণধারা খুঁজেছেন, না ভেবেছেন? বাজার অর্থনীতির যুগে আমরা যা-ই করতে চাই না কেন, তাতে স্পন্সর দরকার পড়ছে! করপোরেটরা এগিয়ে আসছে কাড়ি কাড়ি টাকা নিয়ে। সেই করপোরেটদের সঙ্গে পাল্লা দেয়ার জন্য দেশী মুৎসুদ্দীরাও পিছিয়ে নেই।

একটি চ্যানেলকে দেখবেন বাঙালির চিরায়ত প্রায় সব অনুষ্ঠানই তারা "মেলা" আকারে আয়োজন করে চলেছে! যেন এটি ওদেরই!

১৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫১

নষ্ট কবি বলেছেন: Click This Link

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৪৪

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫৫

দিনমজুর বলেছেন: পোষ্টটি স্টিকি করার জন্য মডুদের ধন্যবাদ। মনজুরুল হককে ধন্যবাদ দ্রোহ আর প্রতিবাদের একুশে ফেব্রুয়ারিকে স্রেফ উৎসবে পরিণত করার কর্পোরেট সংস্কৃতির চর্চার বিরুদ্ধে লিখার জন্য।

ইতিহাস ও সংস্কৃতির নানান উপাদানকে বাণিজ্যিক ব্যাবহারের জন্য প্রয়োজন তার "যথাযথ নির্বিষীকরণ" অর্থাৎ যেই প্রেক্ষিতে এবং উদ্দেশ্যে সেই ইতিহাস এবং সংস্কৃতির বিকাশ, সেটাকেই আড়াল করে ফেলা, সংগ্রাম এবং যাপনকে স্রেফ উদযাপনে পরিণত করে ফেলা। ৩০ মিনিটের ভাষা আন্দোলন, জাগরণের গান... ইত্যাদি এরকমই কিছু উদ্যোগ...

মনুজরুল হককে আবার্ও ধন্যবাদ গোটা বিষয়টাকে নিয়ে লেখার জন্য।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:১৪

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ দেব না।

আপনারা ভাবছেন, ভেবেছেন এটাই আমার এই ক্রান্তিকালে অনেক বড় পাওয়া। সবকিছু পেয়েছি'র দেশে যখনই একটু তলিয়ে দেখতে চাই, তখনই কোনো না কোনো প্রান্ত থেকে আঘাত আসে। আসবেই। সেটা মাথায় নিয়েই বলে যেতে হবে।

যেহেতু এই মুহূর্তে আমাদের ক্ষমতা অত্যান্ত সীমিত, অত্যান্ত বিশৃঙ্খল, তাই জনে জনে জোট বাঁধার জন্য হলেও আমাদের এই প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে হবে। এটা আমি মনে করি।

আপনারা সঙ্গ দেয়ায় শক্তি পাই।

১৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫৯

শ।মসীর বলেছেন: করপোরেট বেনিয়াদের সঙ্গে শাসকদের এই সখ্যতা যে মহান একুশকে দ্রোহের প্রতীক থেকে ‘সেলিব্রেশন ডে’ বানিয়ে দিচ্ছে সেদিকে আমাদের বিদ্যা বুদ্ধির ব্যাপারিদের নজর আছে বলে মনে হচ্ছে না।

বিদ্যা বুদ্ধির ব্যাপারিরাইত আমার মনে হয় পথিকৃৎ। মিস্টি মিস্টি কথা বলে কর্পোরেট বেনিয়াদের টাকায় হওয়া অনুস্ঠান গুলোত এনারাই মাতিয়ে রাখেন। দুনিয়া কাঁপানো ৩০ মিনিটে তাই সামনের সারিতে এনাদেরকেই দেখা যায়। জাতিকে দিক নির্দেশক, সত্যিকরের আদর্শে উদ্বুদ্ধ করতে পারে এমন কথা তারা কেউ শেষ কবে বলেছেন জানিনা। টকশো শেষে খাম টাই যে পাথেয়।

চরম দিশহীন পথে আমাদের হেঁটে চলা, শেষ কোথায় কে জানে.......।

ছুটির দিন সেলিব্রেশন করে পার করে দেয়া- এভাবেই চলছে, চলবে....

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৪৬

মনজুরুল হক বলেছেন: "দুনিয়া কাঁপানো ৩০ মিনিটে তাই সামনের সারিতে এনাদেরকেই দেখা যায়। জাতিকে দিক নির্দেশক, সত্যিকরের আদর্শে উদ্বুদ্ধ করতে পারে এমন কথা তারা কেউ শেষ কবে বলেছেন জানিনা। টকশো শেষে খাম টাই যে পাথেয়।"

দারুন বলেছেন শামসীর।
কড়কড়ে কারেন্সি নোটের গন্ধই আলাদা!

১৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৬

জানা বলেছেন:

আমাদের 'বোধ', 'ভালবাসা' আর 'অনুভূতি' এসবের কোনটাতেই আর গভীরতা নেই বোধ করি! ভাণ, মেকি চর্চা আর আরোপিত কার্যকলাপে আমাদের মনন কেবল ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে! যা কিছু আমার/আমাদের নিজস্ব, তার স্মরণ এবং উদযাপণ শুধু চাকচিক্যের গোঁয়াড় ভুত হয়ে জেঁকে বসছে আমাদের ঘাড়ে দিনের পর দিন। আমরা প্রতিনিয়ত সরে যাচ্ছি আমাদের সত্যিকারের 'আমরা' থেকে!


দরকারী এই লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৫৫

মনজুরুল হক বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ জানা।
আপনার বলা এই কথাগুলো আমরা বহু বছর ধরে বলে আসছি। আগে আমাদের অগ্রজরা বলেছেন। পরে আমরা বলেছি। এখনো আমাদের উত্তসূরিরা বলে চলেছেন।
তবে এইসব কথা যারা বলেন তাদেরকে এই সমাজে একটা ট্যাগ দিয়ে দেয়া হয়! কমিউনিস্ট ট্যাগ । তাও আবার বিগত! সেই ট্যাগ আবার ভোটের সংখ্যা নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। বাম প্রগতিশীলরা ভোটের বাজারের চুনোপুঁটির খরিদদার তো, তাই তাদের মূল্যায়ন নেই।

বদরুদ্দীন উমর, আকতারউজ্জামান ইলিয়াস, ডা. সাইফুদদাহার, ড.আহম্মদ শরীফ প্রমুখরা এসব বহু দিন ধরেই বলে চলেছেন। কে শুনবে? তারচে' বরং আমরা চ্যানেলগুলোতে ভাঁড়দের ভাঁড়ামো দেখতে পছন্দ করি।

১৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২৪

যাযাবর মন বলেছেন: কোন বিপ্লবি চেতনাকে নপুংশক করা হয়নি আপনি কন। আজ মুক্তিযোদ্ধা বলতে বুঝায় রবীন্দ্র সংগীত গলায় ধারন করা দাদা বাবুদের সংস্কৃতি বলতে অন্তঃপ্রান কোন এক সুশীল তরুন। মুক্তিযোদ্ধা হতে হলে প্রথমেই তাকে কোন এক অদৃশ্য যুক্তি কারনে সেক্যুলার হয়ে উঠতে হবে। রমনার বটমূলে গম্ভীর মুখের চর্বিত সংস্কৃতি চর্চায় যে জাতির মুক্তি এটা মনে প্রাণি বিশ্বাস না করলে মুক্তিযোদ্ধা থেকে খাল্লাস। হা হা, রমনার বটমূল থেকে নাকি জাতিকে বিপ্লবী চেতনা শিখে নিতে হবে। লাত্থি মারি ঐসব নপুংশক চেতনাকে। এই সব কর্মকান্ড দেখে কে বলবে যে এই দেশেরই হাজার হাজার তরুন একদিন নকশালবাড়ী আন্দোলনে উদ্দীপিত হয়ে এই ব-দ্বীপ কাঁপিয়ে দিয়েছিল।

যাহোক ,মজার ব্যাপার কি জানেন যে প্লাটফর্মে বসে আপনি এই কথা লিখছেন তারাও সেই কর্পোরেট বেনিয়া বই কিছু নয়। আপনি কি বলতে চেয়েছেন তার চেয়ে তাদের কাছে বেশী জরুরী হলো এই পোস্ট থেকে কতগুলো হিট এই বেনিয়ারা পাবে। ভাল লেখেছেন নিঃসন্দেহে। তবে হরদম এই রকম লেখা আশা করি। মৌসুমী লেখকের তকমা যেন আবার গায়ে না লেগে যায়। ভাল থাকবেন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:০১

মনজুরুল হক বলেছেন: "এই সব কর্মকান্ড দেখে কে বলবে যে এই দেশেরই হাজার হাজার তরুন একদিন নকশালবাড়ী আন্দোলনে উদ্দীপিত হয়ে এই ব-দ্বীপ কাঁপিয়ে দিয়েছিল।"

আপনার এই লাইন দুটি অসাধারণ! দেখবেন আবার এই লাইনের কারণে আপনাকে ট্যাগ দিয়ে দেয়া হতে পারে-নকশাল!

না ভাই। আমি এই প্ল্যাটফরম সম্পর্কে মোটামুটি জানি। এরা করপোরেট বেনিয়া হলে ব্লগ নয়, এফ এম রেডিও চালাত।

আমি মৌসুমী লেখক নই। মাঝের একটি বছর একেবারেই অনিয়মিত। ২০১০ এর এপ্রিলের আগে নিয়মিত ছিলাম। এখন আবার লিখতে শুরু করেছি। জানিনা থিতু হতে পারব কি না।

১৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৪৭

জর্জিস বলেছেন: সালাম সালাম হাজার সালাম, সকল শহীদের স্মরণে
আমার এ গান রেখে যেতে চাই, তাঁদের স্মৃতির চরণে

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:০২

মনজুরুল হক বলেছেন: বেশ।

২০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৪৭

নিভৃত নয়ন বলেছেন: কখনো এরকম ভাবে চিন্তা মাথায় আসে নি।আপনি নতুন ভাবে আমার চিন্তাকে নাড়া দিলেন।

অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর লেখার জন্য

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:০৪

মনজুরুল হক বলেছেন: সম্ভবত এটুকুই আমার মজুরি। আর সেই মজুরি পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ।

২১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৫৪

ফেরারী... বলেছেন: এক কথায় 'অসাধারন' !!!

ইংরেজদের ২০০ বছরের শাষন আমাদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছে আর ৪৭ এর পরের শাষন আমাদের রক্তকে করেছে দুষিত আর নষ্ট । বিবেক আর সত্ত্বা জাগ্রত ছিল বলেই স্বাধীনতা ছিনিয়েছিলাম, যেটা ৭৫ থেকেই কর্পূরের মত হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে ।।

ভালো থাকবেন ।

২২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৫৭

ফেরারী... বলেছেন: এক কথায় 'অসাধারন' !!!

ইংরেজদের ২০০ বছরের শাষন আমাদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছে আর ৪৭ এর পরের শাষন আমাদের রক্তকে করেছে দুষিত আর নষ্ট । বিবেক আর সত্ত্বা জাগ্রত ছিল বলেই স্বাধীনতা ছিনিয়েছিলাম, যেটা ৭৫ থেকেই কর্পূরের মত হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে ।।

ভালো থাকবেন ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:১৪

মনজুরুল হক বলেছেন: এখনো সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি।
এখনো আশা টিকে আছে আপনাদের প্রজন্মের হাতে।

২৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০৪

অসম্ভব০০৯ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর লেখার জন্য

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:১৫

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনারা সময় নিয়ে পড়েছেন সেটাই অনেক বড় পাওনা।
অনেক ধন্যবাদ।

২৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০৫

ফেরারী... বলেছেন: নেট ও সামু স্লো হবার কারনে ২বার মন্তব্য প্রকাশিত হওয়ায় দুঃখিত :|

২৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০৬

অ্যামাটার বলেছেন: সময়োপযোগি একটা লেখা। ধন্যবাদ মনজুরুল হক ভাই।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:১৬

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ অ্যামাটার।
দীর্ঘ দিন পর দেখা!

২৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০৭

অ্যামাটার বলেছেন: সময়োপযোগি একটা লেখা। ধন্যবাদ মনজুরুল হক ভাই।

২৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:২১

অসম্ভব০০৯ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর লেখার জন্য

০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ১:২০

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ।

২৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:২৭

দিনমজুর বলেছেন: অধ্যাপক আনু মুহম্মদ এ বিষয়ে আজকে ফেসবুকে একটি দারুণ লেখা লিখেছেন, মন্তব্য হিসেবে লেখাটি দীর্ঘ হয়ে গেলেও সবার সাথে ভাগাভাগি করার লোভ সংবরণ করা গেল না...

প্রান্তিক ভাষা বাংলা এবং মাতৃভাষার অধিকার

২১ ফেব্রুয়ারী যখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেযেছে ততদিনে বাংলা ভাষার বাজারদর বাংলাদেশে একদম নীচের দিকে। বাজার অর্থনীতির চাহিদা যোগানের ভারসাম্যে বাংলাভাষার দাম কমতে কমতে প্রায় শূণ্যের কোঠায় এসে ঠেকেছে। অতএব যে বাংলা ভাষার জন্য লড়াইকে কেন্দ্র করে ২১শে ফেব্রয়ারী একটি বিশেষ দিন হয়ে উঠলো সেই ভাষা মোটামুটি পরিত্যক্ত পর্যায়ে আসবার সময়েই দিনটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ভালই একটি আনন্দের বিষয়। ভালই একটি পরিহাসের বিষয়ও বটে। ফেব্রুয়ারী মাস তাই এমনিতেই একটি প্রতারণা ও প্রহসনের মাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২১ ফেব্রয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষিত হবার পর থেকে এতে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

এটা বলা অনাবশ্যক যে, দেশে দেশে জনগণের যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন এর মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক মাত্রা থাকেই। প্রতিটি দেশে মানুষ লড়াই করেন তার নিজে দেশের অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরূদ্ধে, অগণতান্ত্রিক মতাদর্শের বিরূদ্ধে। প্রতিটি দেশের মানুষ লড়াই করেন নিজের ভূমিতে তার জায়গা তৈরির জন্য। কিন্তু এসব লড়াই ভৌগলিক সীমা অতিক্রম করে কখনো সঙ্গে সঙ্গে, কখনো একটু বিলম্বে। প্রতিটি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক লড়াই অন্যান্য দেশের গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহকে শক্তি যোগায়। এক দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন অন্য দেশের অগণতান্ত্রিক শক্তির জন্য হুমকি হয়ে ওঠে।

আমরা সবাই জানি যে, ২১ ফেব্রুয়ারী মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাঙালী জনগণের লড়াই এবং দিবস। কিন' এটি শুধু বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার লড়াই ছিল না। এটি ছিল সকল জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় কথা বলা, লেখা ও ভাব প্রকাশের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইও। সেজন্য ২১ ফ্রেব্রয়ারী প্রকৃত পক্ষেই প্রথম থেকেই একটি আন্তর্জাতিক বহজাতিক দিবস। এই অন-র্নিহিত শক্তির প্রকাশই ঘটলো এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে। বস্তুত: মাতৃভাষায় শিক্ষা, জ্ঞানচর্চা ও ভাব প্রকাশের অধিকার বিশ্বের অধিকাংশ ভাষাভাষি মানুষই এখন কার্যকর করতে পারছেন না। অধিকাংশ ভাষাই এখন হুমকির সম্মুখীন। অধিকাংশ ভাষাভাষী মানুষই বর্তমানে পরাজিত, বিপর্যস- অবস্থায় প্রাণপণে চেষ্টা করছেন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। ২১ ফেব্রুয়ারী তাদের সে চেষ্টাতেই একটি প্রতীকি অবলম্বন।

বেশিরভাগ জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষাকে এরকম প্রান্তিক অবস্থানে নিয়ে যাবার সঙ্গে পুঁজিবাদী বিশ্বব্যবস্থার বর্তমান উন্নয়ন ধারার প্রত্যক্ষ সমপর্ক আছে। এই প্রত্যক্ষ সমপর্ক অনুসন্ধান করতে গেলে আমরা এটাও উপলব্ধি করবো যে যাকে আমরা বিশ্ব্বায়ন বলে জানি তা আসলে একচেটিয়াকরণ। বিশ্বের সকল অঞ্চলের মানুষের জায়গা করে দিয়ে এই বিশ্বায়ন ঘটছে না। এই বিশ্বায়ন বস'তঃ সকল অঞ্চলের মানুষকে শৃঙ্খলিত করে ক্ষুদ্র অংশের একক ভাষা, সংস্কৃতি, মতাদর্শ, রূচি এবং একচেটিয়া মালিকানার সকলের উপর চাপিয়ে দেয়ার আরেক নাম।

অর্থনীতি ক্ষেত্রে আমরা এর প্রকাশ দেখি, পুরো বিশ্বকে কতিপয় বহুজাতিক সংস্থার করতলগত করবার মধ্যে; মতাদর্শিক ক্ষেত্রে আমরা এর প্রকাশ দেখি শ্রেণী, লিঙ্গ, জাতিগত, বর্ণগত নিপীড়ন ও মতাদর্শের স্পষ্ট অস্পষ্ট একটি কাঠামোর আধিপত্য সৃষ্টির মধ্যে; এবং আমরা এর প্রকাশ দেখি অন্য সব ভাষার উপর কয়েকটি ভাষার বিশেষত একটি ভাষার একচেটিয়া আধিপত্যের মধ্যে।

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন উপনিবেশ-উত্তর দেশে ঔপনিবেশিক ভাষার যে আধিপত্য দেখা যায় তা এক ঐতিহাসিক আধিপত্যেরই ধারাবাহিকতা। বাংলাদেশে ফরাসী বা সপ্যানীশ ভাষাও প্রধান ভাষা হয়ে উঠতে পারতো যদি এই অঞ্চলের ঔপনিবেশিক প্রভু ফ্রান্স বা সেপন ইত্যাদি হতো। ইংরেজি এই অঞ্চলে এখন প্রভুভাষা কারণ ব্রিটিশরা এখানে ঔপনিবেশিক প্রভু ছিল। ইংরেজি এখন সারাবিশ্বের প্রভুভাষা কারণ পুঁজিবাদী বিশ্বব্যবস্থায় এখন কেন্দ্রীয় ও প্রধান শক্তি ইংরেজিভাষী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ ইংরেজি থেকে মার্কিন ইংরেজিতে ভর স্থানান্তরের পেছনেও বিশ্ব ক্ষমতার বিন্যাসের বিন্যাস-পুনর্বিন্যাস সমপর্কিত।

ইংরেজী ভাষা এখন শুধু একটি ভাষাই নয় এটি একটি ক্ষমতার প্রতীকও। ইংরেজী ভাষা জানা মানে সেই ক্ষমতার স্বাদ পাওয়া, এই ভাষা জানা মানে অনেক সুযোগ -এর দরজা খুলে যাওয়া, এই ভাষা জানা মানে হীন দীন অবস'া থেকে সমৃদ্ধ শক্তিধর অবস'ায় পৌঁছে যাওয়া। বাংলাদেশে ইংরেজী ভাষা জানলে শুধু ক্ষমতার স্বাদই পাওয়া যায় তা নয়; কর্মসংস্থান ও উপার্জনের বিভিন্ন রাস-ার সঙ্গেও তার যোগ প্রত্যক্ষ। ইংরেজী ভাষা জানা না থাকলে জ্ঞানবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় স্বচছন্দ বিচরণ, বিশ্বের খবরাখবর, এমনকি চলচিচত্র জগতের সঙ্গে যোগাযোগও বাধাগ্রস- হয়।

বাংলা ভাষার তাহলে সমস্যা কী? বাংলা ভাষায় এই কাজগুলো হয় না কেন? এটা কি ভাষার গাঠনিক সমস্যা না এই ভাষা যে সমাজের, তার অবস্থান ও গতিপ্রকৃতির প্রকাশ? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে গেলে অন্যান্য ভাষার এবং অন্যান্য ভাষাভাষীদের অবস্থাও আমাদের দেখতে হবে। পার্শ্ববর্তী দেশের হিন্দী ভাষার কি একই অবস্থা? না। হিন্দী ভাষা দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান অধিপতি ভাষা। বিশ্বেও তার প্রভাব বাড়ছে। হিন্দী ভাষাতে বিভিন্ন ভাষা থেকে রূপান্তরিত হবার প্রক্রিয়া অব্যাহত এবং শক্তিশালী থাকায় কেউ শুধু হিন্দী ভাষাভাষী হলেও তার বিশ্ব-বিচিছন্ন হয়ে পড়ার আশংকা নেই। ইংরেজীর দাপট সেখানেও আছে কিন্তু হিন্দী পাল্টা দাপটের জায়গাও তৈরি করেছে। পাশাপাশি হিন্দী ভাষা এই অঞ্চলের অন্যান্য ভাষার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। কারণ হিন্দী ভাষী একচেটিয়া মালিকদের অর্থনৈতিক আধিপত্যও বাড়ছে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:১১

মনজুরুল হক বলেছেন:
আনু ভাইয়ের এই লেখাটি আমি পড়িনি। এখানে পোস্ট করে ভালো করেছেন।
এই লেখাটাই আলাদা একটি পোস্ট হতে পারে।

পরে এই লেখা নিয়ে আরো আলোচনা করতে হবে।

২৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩৩

আদনান মাননান বলেছেন: ভাল বলেছেন । কিন্তু এখন ও সবকিছু করপরেট দের হাতে যায়নি । এখন ও ভালবাসা থেকে একজন বাবা তার সন্তান কে নিয়ে ফুল দিতে যান । আ্মরা আবেগ থেকেই প্রভাত ফেরি তে যাই ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:১৫

মনজুরুল হক বলেছেন: নিশ্চই আমরা আবেগ থেকেই প্রভাতফেরিতে যাই। কিন্তু আমাদের আবেগ তো মাটি চাপা পড়ে গেছে প্রটোকলের নিচে। রাত বারটা এক মিনিটে কি প্রভাতফেরি হতে পারে?

আপনি-আমি কেউই কিন্তু বলছি না যে সব শেষ হয়ে গেছে! বলছি শেষ হতে চলেছে, বা শেষ করানো হচ্ছে। এখন আমাদের প্রজন্ম বা তারও পরের প্রজন্ম রুখে দাঁড়ালে নিশ্চই ভাষা শহীদদের প্রতি প্রকৃত সন্মান দেখানো হবে। সেটাই আমাদের কাম্য।

৩০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪২

মনজুরুল হক বলেছেন: সম্ভবত কোন টেকনিক্যাল কারণে আমার উত্তর যাচ্ছে না। ইরর দেখাচ্ছে। এ কারণে যাদের উত্তর দিতে পারছিনা তাদের কাছে মার্জনা চাইছি.....

৩১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৪

ব্লগী তানীম বলেছেন: একুশের এই রাতে আসুন আমরা শপথ নেই -

আমরা পরিবর্তিত হবনা
আমরা পরিমার্জিত হবনা
আমরা - প্রতিজন নিজের বিবেকের প্রতি সচেতন থাকবো
বাংলা,বাংলাদেশ সভ্যতা - সংস্কৃতি সুদূর ভবিষ্যতে হারিয়ে যেতে দেবো না।


আগামীকাল ভোরের সূর্যে - আমরা প্রত্যেকে নিজেকে বাঙ্গালী বলে জানবো ও জানাবো পুরো পৃথিবীকে।

এটাই হোক প্রভাতফেরীর শপথ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:১৭

মনজুরুল হক বলেছেন: আমরা পরিবর্তিত হবনা
আমরা পরিমার্জিত হবনা
আমরা - প্রতিজন নিজের বিবেকের প্রতি সচেতন থাকবো
বাংলা,বাংলাদেশ সভ্যতা - সংস্কৃতি সুদূর ভবিষ্যতে হারিয়ে যেতে দেবো না।

আগামীকাল ভোরের সূর্যে - আমরা প্রত্যেকে নিজেকে বাঙ্গালী বলে জানবো ও জানাবো পুরো পৃথিবীকে।

এটাই হোক প্রভাতফেরীর শপথ।
-------------------------------
আপনার লেখাটিই আমাদের প্রেরণা হয়ে উঠুক।

৩২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৪

অস্থির পোলাপাইন বলেছেন: সারা বছর গান্জাখোর-ডাইলখোর-খানকিরা সেইখানে রাজত্ব করে আর ফেব্রুয়ারি আইলেই সেইখানে সব সুশিল সাদা পান্জাবি পইরা এক হাতে বই আরেক হাতে বিড়ি নিয়া আড্ডা মারে ।

আর ২১ ফেব এর কথা তো বাদ ই দিলাম যেইসব ভায়েরা পান্জাবি পড়াটা খ্যাত মনে করে তারাই সব্বার আগে পান্জাবি লাগায়া শাহবাগ থেইকা ২০০০ টাকার ফুল কিইন্যা ১৫০০ টাকা দিয়া ব্যানার বানায়া (অমুক লীগ-দল-শিবির) সক্কাল বেলা ফুল দিতে আয়া পড়ে । গাড়িটা রাখে বারডেমের পার্কিং এ যাতে রোগির আত্মীয় স্বজনের গাড়ি না রাখতে পারে । এরপর ফুল দেয়া শেষ ক্যামেরায় খোমা দেখানো শেষ তারপর সে বিভিন্ন সভার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ফার্মগেটের কাছে গাড়ি জ্যামে আটকাইলে ৮-১০ বছর এর এক বাচ্চা পোলা তার গাড়ির কাছে আসে দশটাকার পপকর্ণ বেচতে সে না বলার পরও পোলাটা গাড়ির সামনে থেকে যায় না তখন তার মুখ দিয়ে বেড়িয়ে আসে "বাস্টার্ডস' । অশিক্ষিত গুলা হাজার-হাজার টাকার ফুল দিতে পারে কিন্ত গরীব কারো জন্যা দশটা টাকা বাইর করতে পারে না । মাদ____ত ।


সারাবছর Hi-Hello-Morning ঢং মাইরা কইয়া ২১ তারিখ সকালে সুপ্রভাত বলা হারামিগুলারে চরম বাটপারি লাগে আমার কাছে ।


যাইহোক ভাষা-শহীদদের অন্তরের অন্তস্হল থেকে স্মরণ করছই এবং তাদের কাছে দোয়া চাই যাতে আমরাও তাদের মত সংগ্রামের মধ্যমে বিপ্লব আনতে পারি । বিপ্লব ছাড়া এ দেশটার কিছু হবে না ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৪৩

মনজুরুল হক বলেছেন: আমি যা বলতে চেয়েছি তা আপনিই বলে দিয়েছেন। সে জন্য ধন্যবাদ। নতুন করে কিছু বলার রইল না। ভালো থাকবেন।

৩৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৪

ব্লগী তানীম বলেছেন: একুশের এই রাতে আসুন আমরা শপথ নেই -

আমরা পরিবর্তিত হবনা
আমরা পরিমার্জিত হবনা
আমরা - প্রতিজন নিজের বিবেকের প্রতি সচেতন থাকবো
বাংলা,বাংলাদেশ সভ্যতা - সংস্কৃতি সুদূর ভবিষ্যতে হারিয়ে যেতে দেবো না।


আগামীকাল ভোরের সূর্যে - আমরা প্রত্যেকে নিজেকে বাঙ্গালী বলে জানবো ও জানাবো পুরো পৃথিবীকে।

এটাই হোক প্রভাতফেরীর শপথ।

৩৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৫

অস্থির পোলাপাইন বলেছেন: সারা বছর গান্জাখোর-ডাইলখোর-খানকিরা সেইখানে রাজত্ব করে আর ফেব্রুয়ারি আইলেই সেইখানে সব সুশিল সাদা পান্জাবি পইরা এক হাতে বই আরেক হাতে বিড়ি নিয়া আড্ডা মারে ।

আর ২১ ফেব এর কথা তো বাদ ই দিলাম যেইসব ভায়েরা পান্জাবি পড়াটা খ্যাত মনে করে তারাই সব্বার আগে পান্জাবি লাগায়া শাহবাগ থেইকা ২০০০ টাকার ফুল কিইন্যা ১৫০০ টাকা দিয়া ব্যানার বানায়া (অমুক লীগ-দল-শিবির) সক্কাল বেলা ফুল দিতে আয়া পড়ে । গাড়িটা রাখে বারডেমের পার্কিং এ যাতে রোগির আত্মীয় স্বজনের গাড়ি না রাখতে পারে । এরপর ফুল দেয়া শেষ ক্যামেরায় খোমা দেখানো শেষ তারপর সে বিভিন্ন সভার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ফার্মগেটের কাছে গাড়ি জ্যামে আটকাইলে ৮-১০ বছর এর এক বাচ্চা পোলা তার গাড়ির কাছে আসে দশটাকার পপকর্ণ বেচতে সে না বলার পরও পোলাটা গাড়ির সামনে থেকে যায় না তখন তার মুখ দিয়ে বেড়িয়ে আসে "বাস্টার্ডস' । অশিক্ষিত গুলা হাজার-হাজার টাকার ফুল দিতে পারে কিন্ত গরীব কারো জন্যা দশটা টাকা বাইর করতে পারে না । মাদ____ত ।


সারাবছর Hi-Hello-Morning ঢং মাইরা কইয়া ২১ তারিখ সকালে সুপ্রভাত বলা হারামিগুলারে চরম বাটপারি লাগে আমার কাছে ।


যাইহোক ভাষা-শহীদদের অন্তরের অন্তস্হল থেকে স্মরণ করছই এবং তাদের কাছে দোয়া চাই যাতে আমরাও তাদের মত সংগ্রামের মধ্যমে বিপ্লব আনতে পারি । বিপ্লব ছাড়া এ দেশটার কিছু হবে না ।

৩৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৭

লাল দরজা বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে কিছু লিখতে ইচ্ছে হচ্ছিল, আধ ঘন্টার উপর চেষ্টা করে লগইন করতে পারলাম। এখন লেখার খেই হারিয়ে গেছে! আপনার লেখাটা অনেক বিমর্ষ করে দেয় মন।

একুশের অনুপ্রেরনায় যদি ‘ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে’! হয় তাতে দ্রোহ আর প্রতিবাদের প্রতীক একুশে ফেব্রুয়ারি নপুংশক হয়ে যাবে কেন?

বাংলাদেশে বিশ্বকাপ, এটা ত ২০০০ ভাগ কর্পোরেট বানিজ্য। তা হলে সারাদেশের মানুষের এই আনন্দের জোয়ার কে আমরা কিভাবে দেখব!

বিশ্বের দরবারে সাড়ে তিন মিনিটের বিউটিফুল বাংলাদেশ কে কি বলা যায় এখন?

গালে অ আ লিখা, সাদা কালো পোষাক পরা, ফেসবুক প্রোফাইলে শহীদ মিনারের ছবি রাখা, ব্লগের ব্যানারে শহীদ মিনারের ছবি ঝোলানো এসব কিছুকেই কি কর্পোরেট ফ্যাশন বলে উড়িয়ে দেব মঞ্জু ভাই? তাহলে ত ব্লগিং করা ও নাজায়েজ হয়ে যাবে!

অত ঘুরায়ে প্যাচায়ে বলতে পারবো না, মঞ্জু ভাই আপনার লেখাটা আমর ব্রাশ ফায়ারের মত লাগল। কোন কিছু বোঝার আগে এতে ঝাজরা হয়ে যায় সব, খুজে পাওয়া যায় না কিছুই। দয়া করে ভুল বুঝবেন না।

আর একটা কথা, রাষ্ট্র ধর্ম'র ব্যপারটার সাথে রাষ্ট্র ভাষার যে তুলনাটা করলেন এর চুলচেরা কারন আমি বলতে পারবো না তবে এই বাংলাদেশে খালি কইয়া দেখুক কোন হেডম যে আরবি, একমাত্র হবে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ভাষা। সেই সরকারের চৌদ্দ গুষ্টিকে উটের লেঞ্জায় বাইন্ধা সমুদ্র পথে আরব দেশে পাঠাবে বাংলাদেশের মানুষ। এটা বিশ্বাস করি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৫৪

মনজুরুল হক বলেছেন: ‘ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে’ হওয়াকে নপুংশক বলা হয়নি লাল দরজা। বলা হচ্ছে এইসব তকমা লাগানোর পর একুশকে "সেলিব্রেশন ডে" করে ফেলার বেনিয়া চিন্তা নিয়ে।

"গালে অ আ লিখা, সাদা কালো পোষাক পরা, ফেসবুক প্রোফাইলে শহীদ মিনারের ছবি রাখা, ব্লগের ব্যানারে শহীদ মিনারের ছবি ঝোলানো এসব কিছুকেই কি কর্পোরেট ফ্যাশন বলে উড়িয়ে দেব মঞ্জু ভাই? তাহলে ত ব্লগিং করা ও নাজায়েজ হয়ে যাবে!"

হাহাহা! ব্যাপারটা কি এমন? এসব কবিরা গুনাহ তা কিন্তু নয়। বলার চেষ্টা করেছি এই আয়োজনগুলো ঘটা করে অনুষ্ঠিত করতে করতে একুশের যে মূল চেতনা সেটাই বিস্মৃত হয়েছি আমরা। অন্যায়ের প্রতিবাদ। আপানি-আমি দেখলাম ফেলানী হত্যাকাণ্ড একটি আন্তর্জাতিক অন্যায়, কিন্তু তেমনভাবে রাষ্ট্রীয় বা সাধারণের যেমন ফুঁসে ওঠার কথা তা কি হয়েছে?

এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত যে বায়ান্ন বা একাত্তরের পর রাষ্ট্র ধর্ম তকমাটা সংবিধানে লেপে দেয়া যেত না। এখন (এরশাদ আমলে) তারা পেরেছে। তেমনি চার দলীয় জোট আমলে একবার সুর উঠেছিল ব্লাসফেমি আইন করতে হবে। ধরে নিন জোটে জামাত বা তাদের ঘরানার আসন সংখ্যা আর একটু বেশী হলে সেটাও হয়ে যেত।

করপোরেট কৌশলের মূলে আছে আমাদের ভোগেচ্ছা বাড়িয়ে দেয়া। একবার সেটা বেড়ে গেলেই তাদের আর কিছু করতে হয় না। বাকি কাজ আমাদের ভোগেচ্ছাই করে দেয়।

খুব গভীরে ভাবার জন্য ধন্যবাদ লাল দরজা।

৩৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৮

নীল বালক বলেছেন: অনেক ক্ষোভের কথা লিখলেন, কিন্তু কোথাও লিখেন নাই তাহলে কি করা উচিৎ ছিলো বা এখনো আমরা কি করতে পারি! একুশের বই মেলা নিয়েও দেখলাম আপনার ক্ষোভ! ক্ষোভ একুশকে ধারণ করার জন্য বর্ণমালা আঁকা পোষাক ডিজাইন বা পরা নিয়েও! তাহলে এই যে সামুতে একুশ নিয়ে বিশেষ ব্যানার করা হয়েছে, ওটা নিয়ে কি বলবেন? কুর্পোরেট থাবায় কিছু ক্ষেত্রে একুশের মর্‍্যাদা ক্ষুণ্য হচ্ছে সেটা ঠিক আছে, কিন্তু যেভাবে ঢালাও ভাবে সব কিছুকেই একুশ বিরোধী বলে চিত্রায়িত করলেন তাতে মনে হবে টাকা পয়সার যোগ থাকলেই বোধহয় ভালোবাসা থাকে না, চেতনা থাকে না। ধরুন আপনার মতোই এমন একটা লেখা যদি কেউ পত্রিকায় লিখে এবং লেখার সুবাদে কয়টা টাকা পায় তাহলেই কি তার ভাবনা বা লেখাটা শুধুই টাকা কামানোর বাহানা হিসেবে গণ্য হবে?
যে মানুষটা একুশের জন্য একটা পোষাক ডিজাইন করলো, যেই মানুষটা বর্ণমালা কে ভালোবেসে গালে অ-আ-ক-খ লিখে নিলো তার অনুভূতিটাকে একদমই তুচ্ছ ভাবার কারণ দেখি না।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:২৩

মনজুরুল হক বলেছেন: "যে মানুষটা একুশের জন্য একটা পোষাক ডিজাইন করলো, যেই মানুষটা বর্ণমালা কে ভালোবেসে গালে অ-আ-ক-খ লিখে নিলো তার অনুভূতিটাকে একদমই তুচ্ছ ভাবার কারণ দেখি না।"

ডিজাইন করার জন্য অনেক কিছু পড়ে আছে। ভ্যালেন্টাইন বা ওই ধরণের ডে করুক না তারা, কে মানা করেছে? দয়া করে একুশকে মাফ করে দিতে বলেছি ভাই সাহেব।

এটা কোনো বেনিয়া হারামিদের ভাগাড় নয়। আমার বাঙলা। আমার মায়ের ভাষা।
বিশ্বের সব চেয়ে মিষ্টি ভাষা হিসেবে স্বীকৃত। এখানে ফ্যাশন দেখানোর কিছু নাই।

৩৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৫০

লাল দরজা বলেছেন: মন্তব্য করতে পারছি না কেন কে জানে!

৩৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৫১

লাল দরজা বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে কিছু লিখতে ইচ্ছে হচ্ছিল, আধ ঘন্টার উপর চেষ্টা করে লগইন করতে পারলাম। এখন লেখার খেই হারিয়ে গেছে! আপনার লেখাটা অনেক বিমর্ষ করে দেয় মন।

একুশের অনুপ্রেরনায় যদি ‘ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে’! হয় তাতে দ্রোহ আর প্রতিবাদের প্রতীক একুশে ফেব্রুয়ারি নপুংশক হয়ে যাবে কেন?

বাংলাদেশে বিশ্বকাপ, এটা ত ২০০০ ভাগ কর্পোরেট বানিজ্য। তা হলে সারাদেশের মানুষের এই আনন্দের জোয়ার কে আমরা কিভাবে দেখব!

বিশ্বের দরবারে সাড়ে তিন মিনিটের বিউটিফুল বাংলাদেশ কে কি বলা যায় এখন?

গালে অ আ লিখা, সাদা কালো পোষাক পরা, ফেসবুক প্রোফাইলে শহীদ মিনারের ছবি রাখা, ব্লগের ব্যানারে শহীদ মিনারের ছবি ঝোলানো এসব কিছুকেই কি কর্পোরেট ফ্যাশন বলে উড়িয়ে দেব মঞ্জু ভাই? তাহলে ত ব্লগিং করা ও নাজায়েজ হয়ে যাবে!

অত ঘুরায়ে প্যাচায়ে বলতে পারবো না, মঞ্জু ভাই আপনার লেখাটা আমর ব্রাশ ফায়ারের মত লাগল। কোন কিছু বোঝার আগে এতে ঝাজরা হয়ে যায় সব, খুজে পাওয়া যায় না কিছুই। দয়া করে ভুল বুঝবেন না।

আর একটা কথা, রাষ্ট্র ধর্ম'র ব্যপারটার সাথে রাষ্ট্র ভাষার যে তুলনাটা করলেন এর চুলচেরা কারন আমি বলতে পারবো না তবে এই বাংলাদেশে খালি কইয়া দেখুক কোন হেডম যে আরবি, একমাত্র হবে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ভাষা। সেই সরকারের চৌদ্দ গুষ্টিকে উটের লেঞ্জায় বাইন্ধা সমুদ্র পথে আরব দেশে পাঠাবে বাংলাদেশের মানুষ। এটা বিশ্বাস করি।

৩৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৫২

লাল দরজা বলেছেন: ...

৪০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৫৩

লাল দরজা বলেছেন: টেস্টিং: কি হইল কমেন্ট করতে পারি না ক্যান!

৪১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০২

মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: অসাধারন পোস্ট। অত্যন্ত ভাল লেখা। ধন্যবাদ লেখক আপনাকে এই সুন্দর লেখার জন্য।+

৪২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০৬

ইচ্ছেফড়িং বলেছেন:

হ। একুশেগ্রন্থ মেলায় ব্লগারদের বই প্রকাশের তালিকা দিতে যখন ৫০০ টাকা করে এই সামহোয়ারইন এর নরওয়ের ব্যবসায়ী দাবি করে তখন তাদের ২১ শের চেতনার ব্যাপারে কোন সন্দেহে থাকেনা। একেবারে খাসা চেতনা তাদের।আপনেও তো দেহি কম যাননা, কোন হিসাবে তাদের ৫০০ টাকা ধরায় দিয়ে নিজ বইয়ের বিজ্ঞাপন দেন।তহন আপনার ঐসব কর্পোরেট বেনিয়া বুর্যোয়া স্লোগান থাকে কই?

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:০৩

মনজুরুল হক বলেছেন: জনাব ইচ্ছেফড়িং। আপনার সামান্য ভুল হচ্ছে। ব্লগে বই এর বিজ্ঞাপান দুএকজন বাদে কোন লেখক দিচ্ছেন না। দিচ্ছে প্রকাশক। "ঐতিহ্য" প্রকাশন তাদের প্রকাশিত বইগুলোর বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, যেমন তারা পত্র পত্রিকায় দেয়।

আমার বইয়ের বিজ্ঞাপনও আমার দেয়া না ভাই।

নরওয়ের ব্যবসায়ী! বলেন কি? সামহোয়্যারইন ব্লগ দিয়ে তারা কোনো ব্যবসা করতে পারে বলে আপনার মনে হল? এ ব্যাপারে আর একটু খোঁজ খবর নিন। অযথা একজন বিদেশী যিনি এই বাঙলার প্রতি পরম শ্রদ্ধাশীল তাকে না জেনে এমন একটি অপবাদ দেয়ার আগে আপনার উচিৎ ছিল এ বিষয়ে জ্ঞাত হওয়া।

৪৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০৭

নেটপোকা বলেছেন: ভাল লাগল।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪১

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০৯

লাল দরজা বলেছেন: :P

৪৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:১৫

মনজুরুল হক বলেছেন: সবারই কমেন্ট এসেছে। কারো কারো কমেন্ট ৫/৬ বার করে পেস্ট হয়েছে! কোথাও কোনো সমস্যা ছিল। আশা করি এবার পোস্ট স্বাভাবিক আচরণ করবে!

৪৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:১৫

এম চৌধুরী বলেছেন: আপনার লেখায় কিছু যুক্তি বেশি দুর্বল। কোন কোন ক্ষেত্রে মনে হল জোর করে যুক্তি চাপিয়ে দিচ্ছেন।

যাই হোক। তারপরও মূল বক্তব্যের সাথে একমত হওয়া যায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে।

শুভকামনা।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:০৫

মনজুরুল হক বলেছেন: আমি কোনো যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করিনি। ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরেছি মাত্র।
"কিছু কিছু ক্ষেত্রে" একমত হয়েছেন যে তা-ই যথেষ্ট।

৪৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:২০

সপ্নদেথিএথনো বলেছেন: এই বেজন্মা করপোরেট কালচারের ভেতর যারা অতিকষ্টে নিরবে নিভৃতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের জন্য চোখের জল ফেলছেন তারা সেই দ্রোহ আর সংগ্রামের এই করুণ পরিনতি দেখে কি-ইবা করতে পারি! হ্যাঁ, একটি কাজই করতে পারি। আর তা হলো সেই সব বীর শহীদদের কাছে নতজানু হয়ে করজোড়ে ক্ষমা প্রর্থণা!
লেখকের সাথে সহমত

আমাদের তেপ্পান্ন সালের একুশ চাই ,
অসাধারন লেখার জন্য ধন্যবাদ্ ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:০৬

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৪৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:২৯

ইচ্ছেফড়িং বলেছেন: সামহোয়ারইন কর্পরেশনের ২১ এর চেতনার স্ক্রীন সর্টটা ৭২ নং কমেন্টে অস্পস্ট আসছে, পাঠকের জন্য একটু বড় করে নীচে দিলাম। যাহোক কেউ কেউ কিভাবে ২১ এর চেতনা নিয়ে তথাকথিত দ্বিতীয় সন্তান সমতুল্য প্লাটফর্ম থেকে এইধরনের বেনিয়াপনা করে সেটাও ভাবার বিষয় বৈকি।



৪৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৩৯

রাজীব_নন্দী বলেছেন: দারুন লিখেছেন মঞ্জু ভাই। সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এই লেখাটি স্টিকি করার জন্য। কর্পোরেট সংস্কৃতির আগ্রসনের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ ধ্বনিত হোক চারপাশে। আমি ফেসবুকে শেয়ার দিচ্ছি..

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:০৮

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব।
আমার বেশ কয়েক দিন ধরে ফেস বুকে যাওয়া হচ্ছে না।
তুমি শেয়ার করলে ভালো হয়।

৫০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৫২

ফেরদৌস রহমান বলেছেন: কর্পোরেট নামক নাব্য ক্লাইভরা আবার এসছে আমাদেরকে নিজেদের মত করে গড়ে আমাদের আসল পরিচয় কে নিশ্চিন্ন করে দিতে । আর আমাদের মত দেশের সরকার আর তাদের পোষা উমিচাঁদরা এবার গোপনে নয় প্রকাশ্যে ওদরে পোশাকেই নিজেদের রাঙ্গিয়ে আমাদের খুনকে ঢাকতে চাচ্ছে। কাজেই এখনই সময় ওদের নীলনকশা উম্মোচন করার।

সময়োপযোগী ও অসাধারণ পোষ্টের জন্য লেখক কে ধন্যবাদ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:১১

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনার অনবদ্য মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
জনসমক্ষে মুখোস খুলে দেয়াই এই মুহূর্তের আশু কর্তব্য।

৫১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:৪৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: করপোরেট বেনিয়াদের হাতে বন্দী দ্রোহ আর প্রতিবাদের প্রতীক একুশে ফেব্রুয়ারি এখন একুশ উৎসব!

রেসের ঘোড়াকে কীভাবে ধীরে ধীরে রেসের ময়দানের প্রথম কাতার থেকে সরিয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় ......


অন্য দিকে আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম ফেরিওলা ইলেক্ট্রিক মিডিয়ায়, বিশেষ করে বেসরকারি রেডিও চ্যানেলগুলোতে এক অদ্ভুত ধরণের ‘জারজ বাংলা’ মেনে নিয়েছি!

তারা যে এই দিনকে সামনে রেখে বিভিন্ন ফ্যাশন ডিজাইন করছে, কস্টিউম বানাচ্ছে, শাড়ি-পাঞ্জাবীর জমিনে বর্ণমালা বসিয়ে সঙ সাজার প্রতিযোগীতা



আরো লাইন খুজলে পাওয়া যাবে কিছু শব্দ যেমন কর্পোরেট, রেস, কস্টিউম, ফ্যাশন, ডিজাইন ইত্যাদি এগুলো ইংলিশ প্রতিশব্দ! আমি বাংলা ভাষায় মোটেও পারদর্শী নই, কারন ভুলটা নিজের, একেতো ভালো ছাত্র না আর দ্বিতীয় তো আমার কাছে বাংলা ভাষার প্রতি সম্মানবোধ আছে তবে আমি পাগল না যে এর উপর পুরো দখল নিতে হবে। আমার যতটুকু দরকার আমি ততটুকুই শিখেছি এবং আমার কাছে মনে দেশ এবং মানবজাতীর জন্য যান্ত্রিক দক্ষতা অথবা মৌলিক বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ন আরো ব্যাপক সেইজন্য প্রকৌশল গত শিক্ষার উপর বেশী জোর দিয়েছি।

তবু যতটুকু জানি ততটুকু বলি, ইংরেজী ভাষা বলিয়ে দেশ ইংল্যান্ডের একটা ফ্যাক্ট বলি সেটা হলো ব্রিটিশরা নিজেদের ব্যাপারে খুবই নাকউচু এবং ঐতিহ্যের ব্যাপারে, কিন্তু যখন এরকম খবর পত্রিকায় আসে তখন ওদের ধারনাটা সম্পর্কে বোঝা যায় ওরা সব ভাষাকে শ্রদ্ধা করে নিজেদেরকে আরো ডাইনামিক করবার চেষ্টা করছে!

এই ডাইনামিজমের সাথে একটা কথা খুব খাটে সেটা হলো ফিউশন। আপনি যদি আধুনিক গানের জেনারা গুলো দেখেন সবগুলোই ফিউশনাইজড। মেটাল গানে তো অবশ্যই সম্প্রতি চালু হওয়া ন্যু মেটাল বা ন্যু রক বলতে কিন্তু সেটাই বোঝায়। ন্যু একটা ইউরোপীয়ান খুব সম্ভবত সুইডিশ শব্দ যেটার অর্থ এখন বা ইংলিশে নাও। এর অর্থ বোঝায় সমসাময়িক ধারা গান। এখানে হয় র‌্যাপ কোর থাকবে সাথে মেটাল বা রক এবং এতে পপটাও মিশে যায়। এটা গেলো সঙ্গীতে যদিও আমাদের দেশের রবীন্দ্র বা নজরুল সঙ্গীত যারা চর্চা করেন তারা মনে করে এরাই পৃথিবীতে বিশুদ্ধতম সঙ্গীতে চর্চা করেন কিন্তু আমার মনে হয় না তারা ঠিক। যখন সঙ্গীত নিয়ে কথা বলা হয় তখন মৌলিক যৌগিক সবধরনের স্বাদ নিয়ে শ্রদ্ধা রেখেই কথা বলা উচিত!

এখন ফিউশনের কথায় আসি। ভাষায় ফিউশন প্রক্রিয়া খুবই সাধারন ঘটনা। আপনি যেমন একটা জায়গায় ভুল করেছেন বলেছেন ইলেক্ট্রিক মিডিয়া!। এটা ভুল, হবে ইলেক্ট্রোনিক্ মিডিয়া। কারন এইসব মিডিয়ার যন্ত্রাংশ গুলো ইলেক্ট্রনিক্স এর উপর নীর্ভরশিলল। যদি আপনি কমিউনিকেশন ইনস্ট্রুমেন্ট গুলো তখন আরএফ রিলেটেড ইকুইপমেন্ট গুলো সবই ইলেক্ট্রিনিক্স রিলেটেড। শুধরে দিন দয়া করে! যাই হোউক, ফিউশন নিয়ে কথা বলার কারন দেখি না! কারন যে এটা মানে না সে মনে হয় ডাইনামিক না। তবে ডাইনামিক কথাটা সমাজের কিছু কিছু মানুষের কাছে কেন জানি ডিজুস বলে গালি দেয়ার মতোই লাগে। বুঝলাম না, যেখানে ডিজুস নামের পন্যটা অন্যান্য দেশের সাঙস্কৃতিতে সরাসরি কন্ট্রিবিউট করছে সেখানে আমাদের কি সমস্যা?

যাই হোউক। ওটা অন্য তর্ক। এখন আসি কর্পোরেট বেনিয়া বলে গালাগাল। আমি আসলে ঢালাও এ গালাগালের পক্ষে না। একটা হলিউডি মুভি দেখেছিলাম সেটা হলো ঐ ছবির ভিলেন যখন রকের (ওয়েলকাম টু দ্য জাঙ্গল : রানওয়ে) সামনে ধরা তখন ভিলেন রাটজার হাউয়ার বলছিলো,"আমি যখন এসেছিলাম তখন তোমাদের পরনে কাপড় ছিলো না, তোমরা খালি পায়ে ঘুরতে, আমি আসবার পরে তোমাদের হাতে এসেছে ডলার, তারপরও কি?..." কথাটা শেষ করবার আগেই একজন গুলি করে দেয় ওর তল পেটে!

কারন হলো ওখানে স্বর্নের খনি আছে তাই সে জিম্মি করে ফেলেছে পুরো এলাকাটাকে। কয়েকবছর আগে আমি একটা আর্টিক্যাল পড়েছিলাম, সেটা হলো বোতসোয়ানা, এঙ্গোলার মতো দেশে ডায়মন্ডের খনী থাকা সত্বেও তারা কেন গরীব, গৃহ যুদ্ধে আসক্ত? পড়ে বুঝেছিলাম ওদের ডায়মন্ড খনীগুলোর আসল ক্রেতা হলো সুইজারল্যান্ড, কানাডা ইত্যাদীর মতো বড় বড় কিছু দেশ। কিন্তু তারা সরাসরি এখানে কাজ করেন না। স্হানীয় সরকার এবং বিদ্রোহীদের দিয়ে ওখানকার কর্তৃত্ব নিয়ে প্রথমে সেগুলো নিয়ে কাজ করে ইন্ডিয়ানরা। কিছু রিডিফাইন্ড এবং পরিশোধন করে ইন্ডিয়ার হাব ঘুরে প্রথমে যায় সুইজার ল্যান্ড। ইউরোপ আমেরিকায় আইন খুব কড়া বলে ইন্ডিয়ার অপেক্ষকৃত করাপ্টেড আইন দিয়ে সেটাকে হালাল করিয়ে নেয়া হয়। তারপর সেগুলো ছড়িয়ে পড়ে। আরেকটা উদাহরন দিতে পারি ইরাকে যে ডাব্লু এমডির কথা বলে যুদ্ধটা লাগানো হয় সেটা আসলে বুশের মৃতপ্রায় হেলিবার্নের ব্যাবসায়িক স্বার্থ আর তার বাবার অস্ত্রের কোম্পানীর কনসাল্টেন্সিতে কিছু কাজ পাবার জন্য। এখন আস্তে আস্তে খবর গুলো বের হচ্ছে!

বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তেমনী দেখা যায়, শয়তান মাহমুদুর রহমান যারা পত্রিকায় হিরো সাজেন আর তলে তলে টাটার কাছে কয়েকশ কোটি টাকার শেয়ার তারেক কাকার সাথে লুটপাট অথবা এশিয়া এনার্জী বা শেলের কাছে বিভিন্ন সময়ে মাথা বিকিয়ে দেয়া আমাদের দেশের বেশীর ভাগ আদর্শবাদী নেতারা কাজ করেন আমার কাছে তখন মনে হয় এটাই কর্পোরেট বেনিয়া।

একটা সময় ছিলো টিএন্ডটি র লাইন পেতে আমাদের ঘাম ছুটে যায়। তখন বাংলাদেশের কারো মাথাতেই কিন্তু খেলেনি বাতাসের ফ্রিকোয়েন্সি কাজে লাগানোর। আবার একটি শব্দ নিয়ে আসি ডাইনামিজম। তৎকালীন এরশাদ সরকার আর পরের খালে সরকারের ডাইনামিজমের অভাবে আমরা অনেকেই জানি অপটিক্যাল ফাইবারের লাইন আমরা পাই নি, আমরা এখনও হতাশায় ডুবৈ ৯৩ থেকে ৯৬ পর্যন্ত লাগাতার হরতাল হবে না এই প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় নি বলেই স্যামসাং স হ হাবিজাবি কোম্পানী গুলো সব আমাদের দেশে না বসে সব চলে যায় মালয়েশিয়ায়। ৯০ এর আগের মালয়েশিয়া আর পরের মালয়েশিয়া এখন অনেক পার্থক্য কারন সুশাসন আর বিদেশী ইনভেস্টমেন্ট। বাংলাদেশের এই বিদেশী ইনভেস্টমেন্টের কথা মনে হয় প্রথম বলেন সাইফুর রহমান, তার পর এস কিবরিয়া সেটাকে ইলাবোরেট করেন। আমরা তারপরও সামর্থ হইনি নিজেরা একটা ইলেক্ট্রনিক্সের কোম্পানী দিতে। আমি এখনও যদি বলি বাংলাদেশে ইলেক্ট্রনিক্স দিয়ে কাজ করে এমন কয়টা কোম্পানী আছে আপনি খুজে পাবেন না। চট্টগ্রাম ইপিজেডে গেলে একটা রাশান কোম্পানী যারা ডায়োড আইসি কিছুটা বানায় আর পাওয়ার আইসি নামের এক হগা কোম্পানী যাদের এচীভম্যান্ট এখনও আমার তেমন জানা নাই। আমরা এখনো হোয়া ওয়ে বা জেটিই বা এরিকসনের মতো কোম্পানী খুলতে পারিনি। আমরা টেলিটকের মতো কোম্পানী খুলতে পারি কিন্তু তার সব কাজ করাই হোয়া ওয়ের রিজেক্টেড মাল যেগুলো একটেল বা জিপি ফেলে দিয়েছে সেগুলো দিয়ে। মোর্শেদ কাকুকর ছেলের সিটিসেলের পুরো টেকনিক্যাল পার্ট দেখে হোয়া ওয়ে।

হোয়াওয়েকে আমি কখনো দেখিনি দেশের নীতি নির্ধারনী কাজে কোনো হাত দেবার জন্য, দেখনি এরিকসনকে। তাহলে এরা কর্পোরেট বেনিয়া না। আপনাদের চোখে কর্পোরেট বেনিয়া হলো জিপি ওরফে টেলিনর অথবা এয়ারটেল অথবা পাগলা লিংক! হতে পারে। কিন্তু তারা যদি কর্পোরেট বেনিয়া হয় তাহলে বুশ কি? তাহলে হেলিবার্ন কি? অথবা বোতসোয়ানয় যেগুলো ঘটছে অথবা এশিয়া এনার্জী? আমি জপিতে যখন কাজ করছিলাম তখন দেখতাম ফিক্সড ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ডের একটা টেস্ট রান করাবো তার জন্য একটা পার্মিশন নেবার জন্য কত কাগজ দিতে হয়। এমন বলা হয় বিটিআরিসি থেকে যে কিছু দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়, তখন এই টেস্ট রান দি্যে কি হবে? তখন তো এরকম প্রজেক্ট দৈনিক একটা রান করানো যায়। যটদূর জানি আমাদের ইউনিটের একজন তখন জিপির চাকরী ছেড়ে পাগলা লিংকে আরও বর পোস্টে জয়েন করে এবং তারাও এটার পিছনে লাগে।

এফেয়ার্সে কথা বলতে গিয়ে দেখি ওখানকার হোমড়া চোমড়া দেখি তাবলীগ করে, বিশাল দাড়ি। সব সময় আল্লাহ খোদার নাম। তারে কমু যে মামা ঘুষ দিয়া দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়, সে টার আগেই বলে বসে,"আল্লাহ খুব ভালো জায়গায় রেখেছেন, এরকম একটা পজিশনে থেকেও কাউকে একটা টাকা ঘুষ দিতে হয় না। সব হয় নিয়ম মতো!" পাগলা লিংকের ব্যাপারে অনেক কথা শুনতাম বাইরে থেকে কিন্তু আমি এখনও জানি এই ফিক্সড ইন০টারনেট ব্রডব্যান্ড এখনও নামায় নাই কেউ। যদি ধরে নিতাম এরা কর্পোরেট বেনিয়া তাহলে এরা যা এক রাতে করতে পারতো সেটা হলো পুরো আইএসপি বিজনেস ডিডিএনের লাইসেন্স দিয়ে নিজেদের করে নিয়ে সব কয়টা দেশী আইএসপির বারোটা বাজাই দেয়া যেতো! অথবা পুরা মনোপলীটা চালু করতে পারতো। কিন্তু করে নি, এবং এখনও জানি বিটিআরসির ঘুষের রেট কতো এবং কেনো তারা অপারেটরদের লাইসেন্স নিয়ে সুন্দর বাগড়া বাজায়!

আরো একটা কথা বলি, সবকিছুর ইন্টারপ্রেট দুভাবে করা যায়। আপনি এক কোরান শরীফ তুলে নেন এবং তার নানা জনের অনুবাদ নেন এক নেন মনীরউদ্দীনের অনুবাদ তার সাথে আরও অনেক পুরোনো অনুবাদ মিলিয়ে দেখেন তাহলে দেখবেন অনুবাদে হেরফের। সবাই আরবীতে হাফেজ কিন্তু অনুবাদ করছেন দুভাবে। আপনি যদি বর্তমান অনুবাদ হাতে নেন তাহলে তার ব্যাখ্যা একেক আলেমের কাছে একেক রকম। বেসিকও মাঝে মাঝে বদলে যায়। এজন্যই কেউ হয়তো শংকা করে বলেছিলেন, আল্লাহর কোরান আর হাদিস একটাই কিন্তু এর উপরই গড়ে উঠবে ৭২ রাস্তার দল, যার মধ্য থিকা কেবল একটা দলই যাইবো বেহেস্তে!

সবকিছুরই দুইটা ইন্টারপ্রেশন থাকতে পারে।আপনি যেভাবে দিছেন সেটাও যেমন দেয়া যায় আমিও এটা অন্যভাবে দিতে পারবো! আশা করি বুঝতে পেরেছেন। উল্লেখ্য আমি এখানে কোনো যুক্তি তুলে ধরিনি শুধু কিছু ফ্যাক্টস লিংক স হ দিয়েছি যাতে কিছু কথার তথ্য মানুষ পেতে পারেন! গুছানো না যদিও কিন্তু নিজের মতো করে এভাবেই লিখি!

ভালো কথা, আমি আপনার মতো বাংলায় এতটা পারদর্শী নই তাই অনেক ইংলিশ সব্দ ঢুকে পড়েছে। এটা কি এখন ধর্ষিত ভাষা হয়েছে ভাই? একটু জানাবেন?

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:০৯

মনজুরুল হক বলেছেন: হাহাহা! উদাসী স্বপ্ন। এখানে এখন সকাল ৬টা! এখন আর আপনার কমেন্টের উত্তর দিচ্ছি না। আপাতত বলে রাখি; আপনার বক্তব্যে অনেক আলোচনার রসদ রয়েছে। দিনে কথা হবে। আর হ্যাঁ, বানান বিভ্রাট ধরে দেয়ায় ধন্যবাদ।

আচ্ছা এই পোস্টের কোথাও কি বলা হয়েছে যে ইংরেজি বলা যাবে না , শেখা যাবে না, ইংরেজিই বাঙলাকে ধর্ষীতা করছে? পোস্টের মূল সুর কিন্তু ইংরেজি বিরোধীতা নয়, আনুষ্ঠানিকতা দিয়ে মূল চেতনাকে দূরে সরিয়ে দেয়ার সুচতুর করপোরেট চেষ্টার বিরোধীতা করা হয়েছে। যা হোক দিনে কথা হবে।

৫২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৫:০৮

স্বাধীকার বলেছেন: কর্পোরেট কালচার নিয়ে দুটি কথা--

গ্রামীনের বিজ্ঞাপনে- মাইগ্রেশন শিখাইলো, সহজ, আপন, বন্ধু প্যাকেজ দিয়ে । ক্লাশে মাইগ্রেশন পড়াইতে গিয়ে কত বই পড়তে হয়-ঐ হারামীরা কি জানে-এসব দেখা কি রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়?
মোবাইল কম্পানী গুলোর দুনিয়া কাপানো, চেতনাধারী, সুড়সুড়ি মার্কা বিজ্ঞাপন দেখলে মনে হয়-আমাদের পূর্ব পূরুষ কর্পোরেটদের কাছ থেকেই চেতনা প্রাপ্ত হয়ে যুদ্ধে গিয়েছিল, জীবন দিয়েছিল।-এসব নিয়ে আর কথা বলিনা। ইচ্ছাও হয়না। সবকিছু বেশ্যাদের দখলে।

রেডিও গুলোর উপস্থাপনা শুনলে মনে হয় কমোডে বসে জকিরা প্রাকৃতিক কাজও করছে আবার উপস্থাপনাও করছে তাই তাদের উচ্চারণ এমন হচ্ছে। মেয়ে জকি গুলার কথা শুনলে মনে হয় স্যানোরা পাল্টাইতেছে সাথে উপস্থাপনাও করছে।-এদের থুতু দিতে ইচ্ছা হয় কেবল।

এবার কিছু দ্বিমত করছি---

গায়ে পতাকা আকা, ক, গ, ঙ আকাঁতে দোষের কিছু নেই-এটাও আবেগেরই প্রকাশ, দেশের সরকার প্রধান রাতে শহীদ মিনারে গেলে তাতে শহীদ মিনার অপমানিত হয় বলে মনে করিনা-এর বাস্তবতাও আমাদের বুঝতে হবে।
ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ-এই অর্জন গুলোতে আমাদের যে প্রতিপক্ষ, তাদের বিরোদ্ধে এদেশের সর্বস্তরের মানুষ জীবন দেওয়ার জন্যও প্রস্তুত ছিল, জীবন দিয়েছে। কিন্তু এখন এমন কি সংগ্রামের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে যেখানে আমাদের সরকার গুলোর বিরোদ্ধেই আমাদের জীবন দিয়ে কুকুরের মতো মরতে হবে? যেখানে ৯০ এর আন্দোলনে জীবন দিয়েও যারা প্রত্যাক্ষ করছে স্বেরাচার ভাই হয়ে যায়, ক্ষমতার অংশীদার হয়। যখন দরকার তখন আমাদেরকে ঠিকই পাবেন, যেমন গত জরুরী অবস্থাতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি অত্যাচারী মইন গংরা।

সমাজ যেহেতু পরিবর্তনশীল তাই পরিবর্তনকেও আমরা সাধুবাদ জানাবো-তা ইতিবাচক হতে হবে। দেশের প্রতিটি সেক্টরে যেখানে বিভেদ, দলাদলী, সেখানে এমন কারও উপরই আমরা ভরসা করতে পারিনা। সব কিছুর জন্যই দায়ী আমাদের সীমাহীন লোভ। এখানের সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, ডাক্তার, শিক্ষক, ছাত্র, ডান, বাম, সবাই সুবিধাভোগী। অনেকেই কেবল সুযোগের অভাবে চরিত্রবান। প্রমান ছাড়া কাউকে দেশপ্রেমিক ভাবতে কষ্ট হয়।

আপনার লেখাটির প্রয়োজনীয়তা আছে বলেই বড় কমেন্টস করলাম।++ দিলাম। ভালো থাকবেন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৩

মনজুরুল হক বলেছেন: "গায়ে পতাকা আকা, ক, গ, ঙ আকাঁতে দোষের কিছু নেই-এটাও আবেগেরই প্রকাশ, দেশের সরকার প্রধান রাতে শহীদ মিনারে গেলে তাতে শহীদ মিনার অপমানিত হয় বলে মনে করিনা-এর বাস্তবতাও আমাদের বুঝতে হবে।"

এই আবেগকে আমি অস্বীকার করছি না। তবে এ ধরণের আবেগ (আসলে আবেগ না বহুজাতিক পুঁজির কাছে আত্মসমর্পণ) আমাদের কোথায় নিয়ে যেতে পারে তার নজির দেখুন পহেলা বৈশাখ। বাঙালির নতুন বছরের মেঠো উৎসব এখন আর কোনো চাষাভূষার হাতে নেই। দখল করে নিয়েছে বহুজাতিক করপোরেশনগুলো। তাদের সৌজন্যে আনন্দ মিছিল হয়, হাত পাখা, পানির বোতল, ফেস্টুন, ব্যানার, মুখোস, পান্তা-ইলিশ, কস্টিউম সবই তাদের স্যেজন্যে! এখানে হালখাতার সেই বাঙালি চাষা কই?
এভাবেই একুশ দখল হচ্ছে। এখন কি একটি কিশোর এটাকে শোকের দিন বলে বোঝে? না। সে জানে শহীদ মিনারে ফুল দিতে হয়। এবং তা আনন্দ মিছিল করে ! মুখে-গালে শহীদ মিনার আঁকতে হয়। মেয়েরা জানে লাল পেড়ে সাদা শাড়ি পরতে হয়। ব্যাস! সেলিব্রেশন!! ভালো তো। চলুক না!

৫৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৫:১০

বিলাশ বিডি বলেছেন: পোস্টটাতে দেখি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আর "বেনিয়া সাম্রাজ্যবাদ কর্পোরেটবাদ পূঁজিবাদ" ইত্যাদিতে ভরা।

দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে যেতে পারবেন না? আর গেলে আপনার মতে প্রটোকল ছাড়া যেতে হবে?

আমরা কবে যে অপ্রয়োজনীয় আবেগ এর উর্দ্ধে উঠে দেশের সত্যিকারের ভালোটা বুঝতে পারবো!

মোবাইল কম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে মানুষের বিনা কারণ ক্ষোভ আমার কখনোই মাথা ঢুকেনা।

ভাই, আপনি আসলে কী বলতে চেয়েছেন এই লেখায় আমার কাছে ক্লিয়ার না! এক্সাক্টলি সমস্যাগুলা কী? এবং আপনার মতে সেগুলোর সমাধান কী? প্লিজ, অল্প কয়েকটা বুলেট পয়েন্ট এর মাধ্যমে বলুন, অপ্রয়োজনীয় কথা বললে মূল কথা হারিয়ে যায়।

ধন্যবাদ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১০

মনজুরুল হক বলেছেন: পোস্ট আর একবার পড়ুন। এখানে কোনো দাঁতভাঙ্গা শব্দ নেই। সরল বাংলা। না বুঝলে লেখককে অভিসম্পাত দিয়ে বিদায় নিন। ভুলেও নিজেকে নির্বোধ ভাববেন না।

৫৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৫:৩১

সুমিন শাওন বলেছেন: এই কথাগুলো জাতীয় পত্রিকায় আসে না কেনো, ছাপে না কেনো, ওরা ও কি কর্পোরেট-এর ভাই ভাগিনা তাইলে?????

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১১

মনজুরুল হক বলেছেন: সম্ভবত আজকের "ভোরের কাগজে" ছাপা হয়েছে। আমি দেখিনি এখনো, তাই নিশ্চিত নই।

৫৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:২০

কালো-ভোমরা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। বিশ্লেষণ সহ পুরো লেখাটিই ভালো লেগেছে। শুধু নিম্নোক্ত দুটি বিষয়ে অামার পর্যবেক্ষন ও চিন্তাভাবনা একটু ভিন্ন বলে সেতা নোট করলাম।

কিন্তু পাকিস্তানি শাসকরা যদি বলত ‘বাংলা বা উর্দু নয়, ইংরেজিই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। তাতেও বাঙালি প্রতিবাদী হত। কেননা সাতচল্লিশে পাকিস্তান গঠনের পর পরই বাঙালির মোহভঙ্গ শুরু।

যদিও বিষয়টি যা হয় নি তা নিয়ে হাইপোথেটিক্যাল। অামরা অালোচনাও কিছু হাইপোথেটিক্যাল করতে পারি। ইংরেজী রাষ্ট্রভাষা হওয়া নিয়ে অতটা গুরুতর সমস্যা হত বলে মনে হয় না। দুই পাশের দুইভাষা রেখে অান্তর্জাতিক ভাষা হিসাবে ইংরেজীর প্রতি অত চরম বিদ্বেষ কেউ দেখাত কিনা অামার তা নিয়ে সন্দেহ অাছে। তবে পাকিস্তানের প্রতি অামাদের মোহভংগ সেক্ষেত্রে অন্য কোন বিষয় কে কেন্দ্র করে বের হয়ে অাসত, হয়তো অারেকটু সময় লাগত।

আজ এই দুহাজার এগার সালে যদি কোনো কারণে সরকার ঘোষণা করে- ‘এখন থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মত দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা আরবী হবে’! তাহলে কি বাঙালি তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে?

বাঙালী অান্দোলন করে যখন একমাত্র রাষ্ট্রভাষা উর্দু হবে এটা বলা হয়। অাবার অামরা প্রশ্ন তুলি যখন একমাত্র রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বলা হয়। যদি একাধিক রাষ্ট্রভাষা, একাধিক রাষ্ট্রধর্ম, ইত্যাদি থাকে, তাহলে অামাদের ক্ষোভ যে বহুলাংশে থাকবে না, অামি সেরকমটিই মনে করি।

বাঙালী কোন কিছুর একক শ্রেষ্ঠত্বের চেয়ে অনেককিছুর সহাবস্থানই বেশী পছন্দ করে বলে আমার মনে হয়।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২১

মনজুরুল হক বলেছেন: মূল বিষয় ছিল পাকিস্তানের প্রতি ঘৃণা। সেটির বহিঃপ্রকাশ ঘটে রাষ্ট্র ভাষা রক্ষা করার মাধ্যমে। আমার মতে উর্দুর বদলে জিন্না ইংরেজির কথা বললেও একই ঘটনা ঘটত।

আলোচনা হতে পারে এটা নিয়ে- রাষ্ট্রভাষা বা রাষ্ট্রধর্ম কেন প্রয়োজন পড়ে। আমি মনে করি শাসকদের শাসন করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন হাতিয়ারের দরকার পড়ে। সেই সব হাতিয়ার, যেমন, সেনা, পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দাসহ অন্য অনেক হাতিয়ারও যখন পর্যাপ্ত মনে হয়না, তখন তাদের দরকার পড়ে রাষ্ট্রধর্মসহ বিভিন্ন কালা কানুন এবং নিষেধাজ্ঞা। যা দিয়ে শাসক জনতার দাবি বা বিদ্রোহ কিংবা আন্দোলন দমন করে। এর ভেতর ইতিবাচক কিছু নেই। সবই শাসনযন্ত্রের অনুপান।

৫৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:২৮

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: লেখায় আবেগের তোড়ে যুক্তি ভেসে গেছে।

রাষ্ট্রধর্ম, রাষ্ট্রভাষা এগুলোর প্রয়োজনটা কী? প্রয়োজনে সরকারী ভাষা থাকতে পারে। ভারত বা যুক্তরাষ্ট্রের মত বহুজাতিক রাষ্ট্রগুলোর কোন রাষ্ট্রভাষা নেই (যদিও হিন্দিওয়ালারা হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা বলে প্রচার করে, যদিও ওর কোন সাংবিধানিক স্বীকৃতি নেই, ওটা ইংরেজীর মতই একটি সরকারী ভাষা)। ফ্রান্স, জার্মানি, বাংলাদেশের মত জাতিরাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রভাষা প্রয়োজন হয়েছে। ফ্রান্স ও জার্মানির ইতিহাস কিন্তু অন্য ভাষাভাষীদের প্রতি মানবিক নয়। আমরা বাড়াবাড়ি করে যেন সেদিকে পা না বাড়াই।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৬

মনজুরুল হক বলেছেন: এখানে রাষ্ট্রভাষা নিয়ে মাতম করা হয়নি ভাই। শুধু বলা হয়েছে শোকের বদলে একুশকে উৎসব করা হচ্ছে। আমি এর বিরোধীতা করি।

কারো কাছে যদি এই করপোরেট বাঁশ ভালো লাগে তো লাগুক না! আমার কি? আমার আবেগ দিয়ে আমি করপোরেট সংমিশ্রণকে ভণ্ডামি বলি। বলতেই থাকব।

৫৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:৩১

আফজাল বাঙ্গাল বলেছেন: খুব চমৎকার লাগল আপনার লিখাটি। আজ সকালে ব্লগে ঢুকেই এমন একটি লিখা পড়তে পারব নিজেকে বিশ্বাস করতে পবছিন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৭

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ আফজাল।

৫৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:০৬

কাকপাখি ২ বলেছেন: এটা যে বাঙালি জাতির জন্য কী পরিমান অপরিনামদর্শী এবং সেই ভাষা শহীদদের প্রতি কী পরিমান অপমানজনক তা বোধ করি আমাদের করপোরেট কালচারে ডুব দিয়ে অশেষ পূণ্য হাসিল করা করপোরেট চোগলখোররা বুঝতে পারছেন না

করপোরেট চোগলখোর

ভাল বলছেন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩০

মনজুরুল হক বলেছেন: আমার বাসার পাশে মাইকে আজ সারাদিন বাঁজছে........রূপবানে নাচে কোমর দুলাইয়া!!!!

সোনু নিগম বা শাহরুখ খান আগামী বার এসে যদি বলে.....বাংগালা আমার বালো লাগে! বা বাংগালিকো পেয়ার করি! বলতেই পারে।

৫৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:০৭

কাকপাখি ২ বলেছেন: করপোরেট চোগলখোর

বাংলা ভাষায় নতুন একটা টার্ম যোগ হইল

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩১

মনজুরুল হক বলেছেন: হা হা হা! কাগজে লিখতাম করপোরেট ছেনালি। এখানে একটু ভদ্রস্থ করে দিলাম!

৬০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:০৯

কাকপাখি ২ বলেছেন: করপোরেট চোগলখোরদের স্যুটেড বুটেড মেকি হাসি ওয়ালা চেহারায় আমি মুত্র ত্যাগ করি X(

৬১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:২৯

আলিম আল রাজি বলেছেন: অসাধারণ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়্যা।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩২

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ আলিম আল রাজি।

৬২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৪০

বুদ্ধা এবং মৈত্রী বলেছেন: "সেটি কেবলই ভাষা রক্ষার আন্দোলন ছিল না। ছিল ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ। সেই প্রতিবাদ ভাষা রক্ষার জন্য না হয়ে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধেও হতে পারত। যেহেতু ঔপনিবেশিক শাসকরা তাদের উপনিবেশের প্রজাদের প্রথমে ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল, তাই প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল ভাষা রক্ষার জন্য। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকরা যদি বলত ‘বাংলা বা উর্দু নয়, ইংরেজিই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। তাতেও বাঙালি প্রতিবাদী হত। কেননা সাতচল্লিশে পাকিস্তান গঠনের পর পরই বাঙালির মোহভঙ্গ শুরু। যা একাত্তরে এসে পূর্ণতা পায়। বাঙালি তার স্বাধীন সার্বভৌম স্বদেশ পায়। সেটি কেবলই ভাষা রক্ষার আন্দোলন ছিল না। ছিল ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ। সেই প্রতিবাদ ভাষা রক্ষার জন্য না হয়ে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধেও হতে পারত। যেহেতু ঔপনিবেশিক শাসকরা তাদের উপনিবেশের প্রজাদের প্রথমে ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল, তাই প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল ভাষা রক্ষার জন্য। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকরা যদি বলত ‘বাংলা বা উর্দু নয়, ইংরেজিই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। তাতেও বাঙালি প্রতিবাদী হত। কেননা সাতচল্লিশে পাকিস্তান গঠনের পর পরই বাঙালির মোহভঙ্গ শুরু। যা একাত্তরে এসে পূর্ণতা পায়। বাঙালি তার স্বাধীন সার্বভৌম স্বদেশ পায়।"

আমার মনের কথাটি এখানেই লুকিয়ে আসে । ভাষার জন্য বাংলাদেশে আরো এক বড় ধরনের আন্দোলন অপেক্ষা করছে । একুশে' বলতে শুধু বাঙলা ভাষার কথা নয় বরং সকল জাতিস্বত্তাদের অধিকারের তাৎপর্যমন্ডিত এক গৌরবময় ইতিহাস এবং নিজস্ব ভাষায় কথা বলার এবং পড়াশুনা করার অধিকারের সংগ্রামী প্রতীক। ধন্যবাদ মঞ্জুরুল ভাইয়া অসাধারণ এক লেখা লেখার জন্য সেই সাথে ব্লগকতৃকপক্ষকে ও ধন্যবাদ লেখাটি প্রথম পাতায় দাঁড় করিয়ে রাখার জন্য।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪৫

মনজুরুল হক বলেছেন: এটা খুবই সত্যি কথা। আমাদের আরো বড় ধরণের একটা ঝাঁকির দরকার।

আপনার কথা দিয়েই উত্তর দিচ্ছি....."ভাষার জন্য বাংলাদেশে আরো এক বড় ধরনের আন্দোলন অপেক্ষা করছে । একুশে' বলতে শুধু বাঙলা ভাষার কথা নয় বরং সকল জাতিস্বত্তাদের অধিকারের তাৎপর্যমন্ডিত এক গৌরবময় ইতিহাস এবং নিজস্ব ভাষায় কথা বলার এবং পড়াশুনা করার অধিকারের সংগ্রামী প্রতীক।"

৬৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৪১

জহুরুল ইসলাম স্ট্রীম বলেছেন: লেখাটি অত্যন্ত বাস্তব। ধন্যবাদ্
উদাসী স্বপ্নকে বলি...ডাইনামিজম মানে কি এই যে বাংলার সাথে হিন্দি বা ইংলিশ মিশিয়ে হিন্দি বা ইংলিশ টানে বাংলা বলা?
যদি তাই হয় তাহলে বাংলা ভাষার জন্য এই ডাইনামিজমের প্রয়োজন আছে কি না তা দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে।

এই যে নতুন একটি টান `একসেন্ট' শুরু হয়েছে তারো উৎসাহদাতা করপোরেট গোষ্ঠি, পুজিপতিরা যাদের কাছে -যেভাবেই হোক যেকোন মূল্যেই হোক -পুজি বৃদ্ধিটাই আসল । সেখানে ভাল মন্দ্ ন্যয় অন্যায় বিচার করবে কে?
ধিক এই বিকৃত সাংস্কৃতির ধ্বজাধারীদের।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫০

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ জহুরুল ইসলাম স্ট্রীম।
উদাসীর ডাইনামিজম নিয়ে পরে কথা বলার জন্য উদাসীকে বলে রেখেছি। এখানে ওটা শুরু করলে এই পোস্ট আর নড়বে না। উদাসী কোন দৃষ্টিকোণ থেকে উপমাটি দিয়েছেন তাও বুঝি।

কোন ইজম দিয়ে কিভাবে কার কার হাঁড়ি শূণ্য করা যাও তা তো কম দেখলাম না! এখন কেউ যদি মনে করে ব্রিটিশরা না আসলে এই বাংলায় রেল আসত না, পাকশিতে বৃহৎ রেল সেতু হত না! তাকে কি বোঝাবেন? যা হোক ওই প্রসঙ্গ নিয়ে উদাসী না পাড়েন, আমিই কথা পাড়ব সময় করে। তখন অংশ নেয়ার জন্য আপনাকে আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম।

৬৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৪১

প্রতিবাদী কন্ঠস্বর বলেছেন: আমরা একদিকে বাংলা ভাষার স্বকীয়তা, বাংলা ভাষার ‘সতীত্ব’ নিয়ে হাপিত্যেশ করছি, অন্য দিকে আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম ফেরিওলা ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়ায়, বিশেষ করে বেসরকারি রেডিও চ্যানেলগুলোতে এক অদ্ভুত ধরণের ‘জারজ বাংলা’ মেনে নিয়েছি!
সারা দিন রাত রেডিও-টিভি চ্যানেলগুলোতে দেশের ধীমানরা জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা দিচ্ছেন, অথচ কেউ প্রতিবাদী হয়ে বলছেন না যে এটা বাংলা নয়! এভাবে বাংলাকে ‘ধর্ষণ’ করার কোনো অধিকার তোমাদের নেই! বলছেন না, প্রতিবাদ করছেন না, সেও তো এমনি এমনি না। সেখানেও বিকিকিনি! ধীমান বুদ্ধিজীবী আলোচকরা জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা দিয়ে তো খালি হাতে ফিরছেন না! তাকেও ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে কড়কড়ে কারেন্সি! কেউ কেউ আবার একে ‘বাক স্বাধীনতা’ নাম দিয়ে এর পক্ষে ওকালতিও করছেন।

দারুন লিখেছেন মনজু ভাই।

প্রমিথিউস আনবাউন্ড বলেছেন: একটি বিষয় ভাবা দরকার ভাষার দাবী কিংবা মুক্তিযুদ্ধ যেনো আমাদের মাঝে উগ্র জাতিয়তাবোধের লালন না করে। আমাদের ভাষা সংগ্রাম এর অন্তর্গত নির্যাস যেনো প্রত্যেকটি জাতির মুক্তির লড়াই সংগ্রামের প্রেরনা হয়ে ওঠে।

একদম ঠিক বলেছেন উনি......আর এ বিষয়টা নিয়ে বিশদ ভাবে লিখবেন একসময় মনজু ভাই আশা রাখছি..

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫৩

মনজুরুল হক বলেছেন: ওহ হো! প্রতিবাদী কন্ঠস্বর! আপনি বোধ হয় উগ্র জাতীয়তাবোধ নিয়ে লেখাটা দেখেন নি! সেই লেখায় উগ্র ভ্রাতঃদের আস্ফালনও দেখেননি। আচ্ছা আপনাকে সেই লিঙ্কটা মেইল করে দেব।

৬৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৩০

ঠান্ডা বরফ বলেছেন: চেতনার কথা শুনতে শুনতে চেতনা ভোঁতা হয়ে গেছে...লেখার জন্য ধন্যবাদ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫৫

মনজুরুল হক বলেছেন: ভোঁতা চেতনায় আবার শান দিন। সামনেই কাজে লাগবে।
সামনের সময় খুব খারাপ!

৬৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৫২

ঝটিকা বলেছেন: আমার অনেকদিনের জমান মনের কথাগুলো খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে তুলে ধরেছেন। অনেকেই দেখলাম লেখাটার মূল উদ্দেশ্যটা ধরতে পারেনি।

যাই হোক, আসলে আমরা আমাদের অতীতের ত্যাগ, অর্জন-প্রেরণা কোন কিছুকেই অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করিনা। আমাদের শ্রদ্ধা, ভালবাসা, সন্মান কোন কিছুই আন্তরিক না, তাই আমাদের মধ্যে কখনই দেশের প্রতি কোন দায় বদ্ধতা জন্মায় না।

যা করি তার সবটুকুই লোক দেখান ভন্ডামি, আমরা পরিনত হই রং-চং মাখা একদিনের ফানুসে। সে জন্য এধরনের দিন গুলোতে আমরা নতুন কোন শপথে উদ্দিপ্ত হইনা, বরং কিভাবে-কত জাক যমক করে পালন করা যায় সে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫৮

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনার লেখা এই কথাগুলোই মূল বিষয়। আপনি অনুধাবন করেছেন জেনে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

"আসলে আমরা আমাদের অতীতের ত্যাগ, অর্জন-প্রেরণা কোন কিছুকেই অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করিনা। আমাদের শ্রদ্ধা, ভালবাসা, সন্মান কোন কিছুই আন্তরিক না, তাই আমাদের মধ্যে কখনই দেশের প্রতি কোন দায় বদ্ধতা জন্মায় না।"

এখনো সময় ফুরিয়ে যায়নি ঝটিকা।

৬৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:০৫

ক্রান্তিলগ্ন বলেছেন: অন্তরের গভীর থেকে আপনার জন্য রইল অশেষ শ্রদ্ধা।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৪

মনজুরুল হক বলেছেন: অনেক ধ্যবাদ আপনাকে।
তবে শ্রদ্ধা নয় সাথে থাকার অঙ্গিকার পেলেই আমি খুশি হব।
শ্রদ্ধা পাওয়ার মত কেউ নই আমি। অতি সাধারণ একজন।
ভালো থাকুন।

৬৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:১০

ক্রান্তিলগ্ন বলেছেন: ফেইসবুকে শেয়ার করিতে পারিতেছি না, এটু ব্যাপারটা দেখিবেন?

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৭

মনজুরুল হক বলেছেন: ব্লগের কোন একটা সমস্যার কারণে কেউই এটা শেয়ার করতে পারিনি।
কি আর করা যাবে! এর সমাধান আমার জানা নেই ভাই।

৬৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:১২

ক্রান্তিলগ্ন বলেছেন: আপনি লেখাটি পত্রিকায় পাঠান। (প্রথম আলো কিংবা কালের কণ্ঠ; যাহাতে অনেক মানুষ আপনার এই লেখা পড়িতে পারে।)

৭০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:১৭

নেটপোকা বলেছেন: একটু দ্বিমত পোষণ করছি:

আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারিকে জাতিসঙ্ঘ কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করাতে খারাপ কিছু হয় নি। বরং আমি মনে করি, ভাষার বন্ধনে আবদ্ধ আমাদের ক্ষুদ্র জাতি-রাষ্ট্রের পরিচয় বিশ্ব-দরবারে তুলে ধরার ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব কম নয়। কয়েক হাজার ভাষার ভিড়ে প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত অনন্য গৌরবের অধিকারী শুধু আমার মায়ের ভাষার জন্যই দুনিয়া জুড়ে এই দিবসটি পালিত হয় - এটি আমার জন্য কম গর্বের বিষয় নয়। এই দিবসটির প্রেক্ষিতেই আজ আমরা বাংলাকে জাতিসঙ্ঘের সপ্তম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার দাবিটি জোরেসোরে উচ্চারণ করতে পারছি।

একদিকে "ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকে ‘মহান একুশের বইমেলা’ নাম দিয়ে ‘আনন্দমেলা’র প্রচলন করছে" বলে প্রতিবাদ করলেন, আবার অন্যদিকে এই আনন্দমেলাতেই নিজের একটি বই প্রকাশ করে সেই আনন্দের সামিল হলেন - একটু স্ববিরোধী হয়ে গেল না?

তাই আমি ব্লগার ইচ্ছেফড়িংয়ের সাথে একমত। এই ব্লগের কর্তৃপক্ষ একদিকে ব্লগের সদর দরজায় একুশের সিজনাল ব্যানার আর বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের বিজ্ঞাপন ঝুলিয়ে চেতনার ব্যবসা করছে, আবার অন্যদিকে একুশে ফেব্রুয়ারি ও বইমেলার বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী একটি পোস্টকে স্টিকি করেছে!

বিশ্বে ব্যক্তি হিসেবে জর্জ বুশ এক নম্বর ভণ্ড হলে, জাতি হিসেবে বাংগালিও এক নম্বর ভণ্ড - এ কথা হলফ করে বলতে পারি।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১৬

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনার "একটু দ্বিমত" এর উত্তরে বলছিঃ

১. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হওয়ায় কোন ক্ষতি নেই বরং সুনাম। তবে সেটিই একুশের মূল পরিচয় হলে আপত্তি আছে। এখন সেটিকেই মূলে নেয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলেই এই প্রতিবাদ।

২. এটাও মহান একুশেকে "ব্যবহার করে বাণিজ্য"! এবং এর বিরোধী। আমার বা আপনার বইয়ের পাণ্ডলিপি প্রকাশকের হাতে বছরের যে সময়েই দেয়া হোক, তারা প্রকাশ করবেন ফেব্রুয়ারিতে। এই বাণিজ্যের অংশীদার লেখক নয়, প্রকাশক।

৩. ব্লগ কর্তৃপক্ষ চেতনার ব্যবসা করছেন না। এই মাসে না হয় বইয়ের বিজ্ঞাপন থেকে ৫০০ করে টাকা আসবে। তারপর? সারা বছর এই ব্লগ কি দিয়ে চলে? কত টাকা লাগে কোন ধারণা আছে আপনার? কে দেয় সেই টাকা? আমি-আপনি-আমরা? কেউ না।

৭১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:১৯

মুজিব রহমান বলেছেন: এটা বিশ্বায়নের ফল। সবকিছু অবশ্যই নষ্টদের অধিকারে যাবে। আমার প্রিয় বাংলা ভাষা এখন গরীবের ভাষায় পরিণত হয়েছে। ব্যাংক বীমা কোথাও বাংলার কদর নেই। কর্পোরেটরা তাদের বাহিরের প্রেমিক ভাবের ভিতরে থাকে ধর্ষকামীতা। আমাদের বোকা বানিয়ে হাতিয়ে নেয় পকেটের পয়সা। এখন এদেশের কেউ বাংলার পক্ষে নেই, এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই বাংলা ভাষা এদেশেও দ্বিতীয় ভাষায় বা তৃতীয় ভাষায় পরিণত হবে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১৯

মনজুরুল হক বলেছেন: বাংলা এখনই দ্বিতীয় ভাষা! এখন আর বাংলায় জীবন বৃত্তান্ত দিলে চাকরি হবে না।
দয়া করে একটু ক্যাডেট কলেজগুলোতে ঢুঁ মেরে দেখুন। বাংলা শুনতে হলে আপনাকে
শেষ পর্যন্ত রেকর্ড প্লেয়ার বাজাতে হবে!

৭২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:২০

রেজোওয়ানা বলেছেন: "একে অপরকে শহীদ দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে" সত্যই হতাশা জনক। পরবর্তি প্রজন্মের মধ্যে সেই বোধের সঞ্চার কিভবে হবে, ভাষা আন্দোনল বা স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক ইতিহাস পূর্নাঙ্গ ভাবে এখনও পর্যন্ত আমরা কোথাও লিখে উঠতে পারলাম না!!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২২

মনজুরুল হক বলেছেন: সেকি রেজোয়ানা! আপনি দেখেননি এই ভাষার মাসে ব্রায়ান এডামস আসছেন! বিগ বি এসছেন! সাথে আসছেন ঐশ্বরিয়া রাই! একুশে উপলক্ষে গুলশানে রক ব্যান্ড কনসার্ট শুরু হলো বলে.......... শুধু দেখে যান...।

৭৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৩৮

মনুমনু বলেছেন: শকুনের চোখ পড়েছে এই বাংলায়

৭৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:০৮

জাগরূ৪৯ বলেছেন:
সভ্যতার নামে শুয়োরের বাচ্চারা জিতে যাবে এটা হবে না। কাল 'তারা বাংলা' চ্যানেলে দেখলাম দাদারা ২১ শে ফেব্রুয়ারী বানিজ্য ধান্দ্ধার উন্মেষ কালে উপনিত হিন্দি রাজ্যে।এটা রুখতে হবে। কিছু কিছু গৌরব শেয়ার করতে নেই।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২৩

মনজুরুল হক বলেছেন: একদম ঠিক কথা। কিছু কিছু গৌরব শেয়ার করতে নেই।

৭৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:০৯

প িথক বলেছেন: অসাধারন একটা লেখার জন্য ধন্যবাদ.

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২৪

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।

৭৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:১৭

লুকার বলেছেন:

লেখা খুব ভাল হইছে, তয় কিছুই বুঝি নাই!

বামদের নিয়া এই এক সমস্যা, তারা সহজ জিনিসের জটিল ব্যাখ্যা দিতে পছন্দ করে। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তো কেউ ভোলে নাই। বইপত্রে বিস্তর আছে। নতুন প্রজন্ম পড়াশোনা করতে চায় না, তাগো জন্য ফিল্ম জাতীয় কিছু থাকলে ভাল হইত, কিন্তু এইসব বানানোর মত মেধাবী পরিচালক দেশে নাই।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২৫

মনজুরুল হক বলেছেন: আরে আরে কি কন লুকার! আমি আবার বাম হইলাম কবে!
আমি তো ডান হাতে লিখি!

৭৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:২১

ঘুনেপোকা বলেছেন: ১৯৭২ সালের আগ পর্যন্ত একুশে ফেব্রুয়ারিতে খুব ভোরে লখো মানুষ খালি পায়ে শহীদ বেদিমূলে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছিল। সেই শ্রদ্ধা নিবেদনে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিলনা। ছিল ভাইয়ের রক্তে কেনা মায়ের ভাষার প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা।

৭৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:২৪

হিরম্ময় কারিগর বলেছেন: চমৎকার একটি লেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২৭

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ।

৭৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৩৩

ঘুনেপোকা বলেছেন: এই লেখাটা অসাধারণ হইছে। লেখকে কি বলব, আপনার সত সাহসের প্রসংশা না করে পারছি না।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২৮

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনার এই কমেন্টই আমার পুরষ্কার।

৮০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৪৯

ইউনুস খান বলেছেন: কর্পোরেট বেনিয়াদের কাছে ভাষা আন্দোলন, শোষণকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, একাত্তরের স্বাধীনতা সবকিছুই ব্যাবসা হয়ে উঠছে। এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

আপনার লিখাটা ভালো লাগছে। কিছু জায়গায় হয়তো দ্বিমত আছে তবে সর্বোপরি লিখাটা অসাধারণ হইছে।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৩১

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনার দ্বিমতসহ শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ।

দ্বিমত থাকা দোষের কিছু নয়, বরং দ্বিমত না থাকাই দোষের।
অনেক অনেক দ্বিমত, বহুমত একত্রে বিশ্লেষণের পরই সঠিক মত উঠে আসে।

৮১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৫৫

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: খুব কি সরলীকৃত হয়ে গেল না? কর্পোরেটদের হাতে যদিও আমাদের দিবসসমূহ প্রভাবিত - তবে এখনো এই দিবসটি আমাদেরই। হাজার হাজার মানুষ প্রভাত ফেরী করে শহীদ মিনারে যায়। উপরে কর্পোরেট ঝাণ্ডা ঝুললেও আমার মতে একুশ আমাদের মানুষের ঢল তা স্বত:স্ফুর্ত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিবর্তন স্বাভাবিক। প্রযুক্তি বদলে গেছে, জীবনের জটিলতা বৃদ্ধি পেয়েছে, নতুন প্রজন্মের উপর বিশ্বায়নের অনস্বীকার্য প্রভাব পড়েছে। চলিত ভাষাও অনেক বদলেছে। শিশুরা রঙিন ছাপ পিঠে নিয়ে বইমেলায় গিয়েছে..

এই শত পরিবর্তনের ভিড়েও একুশ এখনো আমাদের চেতনার গভীরে প্রোথিত মনে হয়। এত সহজে তাকে কেউ দখল করে ফেলবে মনে হয় না। দেশের যে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ এখনো শহীদ মিনার থেকেই শুরু হয়। হয়তো কিছু বাজওয়ার্ড আছে - সর্বস্তরে বাংলা বা প্রমিতকরণ ..এটা থাকতেই পারে। ভাষা শহীদদের রক্তদানে ভাষার গৌরবে গৌরবাহ্নিত হয়ে মোড়ে মোড়ে বর্ণমালার উৎসব হলে, জামায় একুশের ছবি এঁকে রাখলে তার অন্তর্গত কারণটা একুশের এই দিনটির প্রতি আমাদের টান। এটা অবশ্যই কর্পোরেট বেনিয়াদের তৈরী নয়।

নতুন প্রজন্ম ভুল উচ্চারণ করে বাংলা বলায় ভাষা জারজ হয়ে গেছে বা ভাষাকে ধর্ষিত হয়ে যাওয়ার মত শব্দগুলোতে খানিকটা আবেগপ্রবণ মনে হল মনজুর ভাইকে।

ধন্যবাদ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০৭

মনজুরুল হক বলেছেন: স্বদেশ, এবার নিয়ে তিন বার আপনার মন্তব্যের উত্তর লিখছি। জানিনা এটাও হারিয়ে যাবে কি না! সমস্যা নিয়ে সিস্টেমেও জানিয়েছি। তাও সেই ইরর! যা হোক।

আসলে ব্যাপারটা দেখার ভিন্নতা। আপনি দেখছেন....."উপরে কর্পোরেট ঝাণ্ডা ঝুললেও আমার মতে একুশ আমাদের মানুষের ঢল তা স্বত:স্ফুর্ত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিবর্তন স্বাভাবিক। প্রযুক্তি বদলে গেছে, জীবনের জটিলতা বৃদ্ধি পেয়েছে, নতুন প্রজন্মের উপর বিশ্বায়নের অনস্বীকার্য প্রভাব পড়েছে। চলিত ভাষাও অনেক বদলেছে। শিশুরা রঙিন ছাপ পিঠে নিয়ে বইমেলায় গিয়েছে.." এভাবে। ভাবছেন প্রযুক্তির বদল।

আমি ভাবছি বদল নয়, সুচতুরভাবে বদলানো হয়েছে বা হচ্ছে। কেননা দ্রোহকে কেউই পছন্দ করে না। সরকার তো করেই না করপোরেটও না। তাই দ্রোহকে সরিয়ে রেওয়াজকে সামনে আনা হচ্ছে।

"জামায় একুশের ছবি এঁকে রাখলে তার অন্তর্গত কারণটা একুশের এই দিনটির প্রতি আমাদের টান।"
আপনি একে বলছেন "টান"। আমি বলছি প্রদর্শন বাতিক। এই প্রদর্শন বাতিকই এক সময় "টান"কে বিতাড়িত করে যায়গা করে নেবে/নিয়েছেও। এটাও সেই ইংরেজি
6কে উল্টো করে দেখা 9 এর মত।

আর জারজ শব্দটা এসে গেছে সত্যিই আবেগের যায়গা থেকে। একটা পরগাছা শ্রেণী কয়েকটা চ্যানেলকে বশ করে এক বিজাতীয় বাংলা গেলাচ্ছে জাতিকে। যারা একাজটি করছে তারাই নাকি জাতির আগামী বুদ্ধিবৃত্তিক নিউক্লিয়ার্স। এটা দেখে ঘেন্নায় জারজ শব্দটা চলে এসেছে। একে তো ভুল বাংলা বলছে! আবার সেই ভুলকে বলছে গণতান্ত্রিক অধিকার! রাগ কি এমনি এমনি আসে!

ধন্যবাদ স্বদেশ হাসনাইন।

৮২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:২১

প্রজন্ম একুশ বলেছেন: মনজুরুল ভাইয়ের বরাবরের মতই তেজদীপ্ত লেখা। একুশ প্রতিবাদ, সংগ্রামের প্রতীক। তা কোনভাবেই অই অর্থে উৎসব নয়। নতুন প্রজন্ম একটু ভিন্ন মেসেজ পাচ্ছে।

তবে দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা আরবী হলে অবশ্যই প্রতিবাদ করব, কেন করবনা?

'ভাষাশহীদ'-এর স্থলে কি 'ভাষাসৈনিক' ব্যবহার হচ্ছে? আর সৈনিক বললেই কি তাতে সেনাবাহিনী ঢুকে পড়ছে? যাঁরা একুশ-এ মৃত্যুবরণ করেননি, তাঁরা তো আর শহীদ নন। তাঁদেরকে হয়ত 'ভাষাসৈনিক' বলা হচ্ছে। শহীদ ভাইদেরকে 'শহীদ' বলার পরিবর্তে ইন্টেনশনালী 'সৈনিক' বলা হচ্ছে বলে আমার জানা নেই।

একুশ এখন 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস'। এটা কি সমস্যা তৈরী করল? এটা একটা স্বীকৃতি। এটা পৃথিবীর সকল জাতির মায়ের ভাষা রক্ষা, লালনের প্রেরণা যোগাবে। আমরা তাঁর গর্বিত অগ্রদূত।

বিচারকের রায়ের ভাষা চালুর ব্যাপারে কর্পোরেট কি করছে আপনার কথায় বোঝা গেলনা। সর্বস্তরে বাংলা চালু হলেই ভাষা আন্দোলনের মূল্যায়ন হবে কিনা আপনি প্রশ্ন তুলেছেন। আমি আপনার অই প্যারার মাথামুন্ডু কিছুই বুঝলামনা। আমার অক্ষমতা হয়ত।

হ্যাঁ, অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ না করেই এমনকি বিরোধিতা করেও মুক্তিযোদ্ধা সাজতে চাইছে। ভাষা আন্দোলন না করেও ভাষাসৈনিক সাজতে চাইছে। পত্রিকাগুলোও সেটা নিয়ে প্রতিবেদন বিক্রী করছে।

জাপানি গাড়ি বিক্রেতারা ‘বাংলাকে ভালোবেসে’ গাড়িরে ব্লুবুক বাংলায় করে দিচ্ছে!- আপনি লিখেছেন। ভালোবেসে বাংলায় করে দিচ্ছে- কোথায় পেলেন বা কে বললো বলুনতো? বাংলায় দিচ্ছে বোঝার সুবিধার জন্য। হ্যাঁ, বাংলায় এসএমএস পাঠাতে চাই আমি, যে কারণে বাংলায় ব্লগ লিখি।

অবশ্যই আর.জে-দের বাংলা চয়নের বিরুদ্ধে বলতে হবে। অইগুলো বয়কট করতে হবে আমাদেরকে।

তবে ফেব্রুয়ারীতে বই'মেলা' বা অন্য কোন 'মেলা' হলেই যে আমরা শহীদদের প্রতি অসম্মান করছি, তা আমার মনে হয়না। ফেব্রুয়ারীতে গায়ে রঙ্গীন বর্ণমালা অংকনের মাঝেও আমি সমস্যা দেখিনা।

মনজুরুল ভাই, ভাববেননা আপনার পোস্টের মূল সুর আমি ধরতে পারিনি। আমাদের ভাষায়, মুক্তিযুদ্ধে, বাংগালীপনায় বেনিয়ার কুটখেলা আমাদেরকেই রুখতে হবে আমাদের নিত্যদিনের আচরণে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:১০

মনজুরুল হক বলেছেন: "মনজুরুল ভাই, ভাববেননা আপনার পোস্টের মূল সুর আমি ধরতে পারিনি। আমাদের ভাষায়, মুক্তিযুদ্ধে, বাংগালীপনায় বেনিয়ার কুটখেলা আমাদেরকেই রুখতে হবে আমাদের নিত্যদিনের আচরণে।"

আর এ কারণেই আপনার মন্তব্যের বিস্তারিত উত্তর দিলাম না। পয়েন্ট ধরে ধরে লিখতে গেলে এই পোস্ট আরো বড় এবং ভারী হয়ে যাবে। আপাতত এটুকুই।

ভালো থাকবেন।

৮৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:২৯

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: কর্পোরেট গুলো তাদের হীনস্বার্থে হয়তো ডুকেছে। সেটা তাদের নিজস্ব ব্যপার কিন্তু তার জন্য বাংগালীর চেতনা আমাদের দিবস গুলো মোটেই আমাদের আবেগ পরিবর্তন হয়না।শহীদ দিবস, পহেলা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস আমাদেরই, কেউ কখনোই নিতে পারবেনা আমাদের কাছ থেকে। কারন সেসব দিনের কথা শুনে আমাদের চোখ ভরে যায় এখনো।
বইমেলা কে ২১শে ফেব্রুয়ারীর চেতনা থেকে আলাদা করে বিনোদন হিসেবে চিহ্নিত করা মনে হয় ঠিক হয়নি। বইমেলা এবং একুশ অস্তিত্বের অংশ।
অবশ্যই রাস্ট্রপতি এবং সরকার প্রধান বাস্তব কারনে রাষ্ত্র ও সরকারের প্রতিনিধি সে অর্থে পুরো দেশের জনগন, আকাশ, বাতাস, মাটি, পশু প্রানী, পাখি, ফুল ফল শস্যকনা রাষ্ট্রে নিহিত সব কিছুরই প্রতিনিধি। সুতরাং অবশ্যই সবার আগে তারাই শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করবেন। না করা টাই অন্যায় হবে।

কর্পোরেট, সরকার গুলো বা অন্যান্যদের সমালোচনা করে এ সময়ে বাহবা নেয়া যায় শজেই। যেমন আপনি ২১শে বইমেলা উপলক্ষে বই প্রকাশ করছেন, বিনিময়ে টাকা বা মাসোহারা নিবেন বা পাবেন। আমাদের মিডিয়াতে টিভি ও এফএমে বাংলাভাষার বলাৎকার অনেক কাল ধরেই চলছে। আপনি সমালোচনা মুলক পোস্ট দিলেন ২১উপলক্ষেই। আমিও আমলে নিলাম ।

৮৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৫১

টিংকু ট্রাভেলার বলেছেন: মনে পড়ে যায়, সেই দুনিয়া কাপানো ৩০ মিনিট... একুশে ফেব্রুয়ারী, আমিকি ভুলিতে পারি :(

০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ১:২৪

মনজুরুল হক বলেছেন: মামা অনেক দিন দেখলাম। সব খবর ভাল তো?

৮৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৫৩

১১স্টার বলেছেন: ২১ এর বানিজ্যিক ব্যবহার বন্ধ হোক। অন্তর থেকে উপলব্দী করে আসুন ফুলের ডালা নয়, মাত্র একটা গোলাপ বা একটা পাপড়ি দেই তাই যথেষ্ট।

৮৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৫৪

রমিত বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন।
এই কথাগুলোই আমি প্রতিনিয়ত বলি, যেখানেই সুযোগ পাই। বন্ধুমহলে, পথেঘাটে, ড্রয়িংরুমে। লোকে বোঝে কি বোঝেনা জানিনা, তাও বলি। এতদিন ভাবতাম আমি একা। এখন দেখছি না, আপনিও আছেন, আরো অনেকেই আছে।
ভাষা আন্দোলনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল, মাতৃভাষায় শিক্ষা। যা আমরা আজও বাস্তবায়ন করতে পারিনি।

আমাদের রয়েছে চেতনার সংকট।
Click This Link

০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ১:২৮

মনজুরুল হক বলেছেন: দুঃখিত রমিত। কি করে যেন আইম এত এত কমেন্টের উত্তর দিলাম! অথচ আপনার এই অসাধারণ কমেন্টের বিষয়টা চোখ এড়িয়ে গেল! আবারো দুঃখ প্রকাশ করছি রমিত।

চেতনার সংকট কথাটাই তো কাউকে বোঝানো যাচ্ছে না। করপোরেট ধামাকায় পুরো সমাজটা মনে করছে বায়ান্নতেই সে চেতনার জয় হয়েছে! তাই এখন আর কিছু করার দরকার নেই!

৮৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:০৮

রমিত বলেছেন: ভাষা আন্দোলনে আমরা বাংলাদেশীরাই সব চাইতে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলাম ও সাফল্য এনেছিলাম। তবে, আরও কয়েকটি জাতি ভাষা আন্দোলন করেছিল। আমি দুটি জাতির কথা জানি, হিন্দি ভাষার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল তামিলরা, এবং রুশ ভাষার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল জর্জিয়ানরা।

০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ১:৩১

মনজুরুল হক বলেছেন: হ্যাঁ রমিত। তবে আরো আছে। আসামের শিলচরে বাঙলা ভাষা রক্ষার দাবিতে ১৬ জন মানুষের শহীদ হওয়ার নজির আছে। তা ছাড়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আঞ্চলিক ভাষার অধিকার রক্ষায় এখনো পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষীর ভেতর সংগ্রাম চলছে। সেটা হয়ত ততটা প্রকাশ্য নয়, তাই সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসছে না।

৮৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:২০

নীলসাধু বলেছেন: সুন্দর একটি লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ শ্রদ্ধা জানাই।

ভালো থাকুন।
শুভকামনা নিরন্তর~

০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ১:৩৩

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ নীলসাধু।
ভালো থাকুন।

৮৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:২২

রাহা বলেছেন: একুশে ফেব্রুয়ারীর সেই ফুলচোরেরা কি আজও আছে ??

০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ১:৩৪

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ রাহা।

৯০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৪৪

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: প্রায় অসাধারণ লেখা।আবেগী হলেও।

'প্রায়' শব্দটা ব্যবহার করলাম, শেষের স্তবকের আগের স্তবকে অতি আবেগের প্রকাশ দেখে।

সময়ের সাথে শোক কমে আসবে,স্বাভাবিক।মানতেই হবে এটা,ইচ্ছা না থাকলেও।
শোক অটুট রাখার খুব দরকার ও নেই,দরকার চেতনা অটুট রাখা।

বর্ণমালা খচিত পোশাকের পরিকল্পনা করছেন যে পোশাক পরিকল্পক, কিংবা যে শিশু টি একুশের এই দিনে গালে মুখে বর্ণ আঁকছে, সেটা যে একেবারেই ভাষাপ্রেম থেকে নয়,তা কিন্তু নয়।

আগে দরকার নিজস্ব শুদ্ধি ( দেখুন,আপনার এই লেখাতেও অনেক ইংরেজী শব্দ আপনি ব্যবহার করেছেন,এজন্যে কিন্তু আমি বলতে পারি না যেএই লেখকের ভাষাপ্রেম কম!) ,তারপর সামাজিক শুদ্ধি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৪১

মনজুরুল হক বলেছেন: এই পোস্টের কোথাও কি বলা হয়েছে যে ইংরেজি বলা যাবে না , শেখা যাবে না, ইংরেজিই বাঙলাকে ধর্ষীতা করছে? পোস্টের মূল সুর কিন্তু ইংরেজি বিরোধীতা নয়, আনুষ্ঠানিকতা দিয়ে মূল চেতনাকে দূরে সরিয়ে দেয়ার সুচতুর করপোরেট চেষ্টার বিরোধীতা করা হয়েছে।

বর্নমালা খোচিত পোশাক কেন? এটা ফ্যাশন-শো? নাকি উৎসব? আমার প্রতিবাদ এখানেই। শোকের দিনকে ফ্যাশন উৎসব বানানোর চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।

শোকের শপথ কি হতে পারে? শোককে শক্তিতে পরিনত করার নতুন শপথ হতে পারে। নতুন নতুন অন্যায়ের প্রতিবাদের সূচনা হতে পারে। তা কি ফ্যাশন ডিজাইন করে আঁকিবুকি দিয়ে? না প্রতিরোধের শপথ নিয়ে?

৯১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৪৯

মুখচোরা বলেছেন: এ কথা ঠিক যে, শুধু শহীদ দিবস নয় সব কিছুই এখন বাণিজ্যের খোরাক এবং অন্তঃসারশুন্য উৎসবে পরিনত হচ্ছে।ভোগবাদী সভ্যতার চরম পরিনতির দিকে আমরা এগুচ্ছি।

০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ১:৩৯

মনজুরুল হক বলেছেন: "ভোগবাদী সভ্যতার চরম পরিনতির দিকে আমরা এগুচ্ছি"।
ঠিক। তবে এখন আর এগুচ্ছি না বলে বরং বলা যেতে পারে পৌছে গেছি!

৯২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:১০

আমি সুখী মানুষ বলেছেন: আমরা একদিকে বাংলা ভাষার স্বকীয়তা,
বাংলা ভাষার ‘সতীত্ব’ নিয়ে হাপিত্যেশ
করছি , অন্য দিকে আমাদের সাংস্কৃতিক
কর্মকাণ্ডের অন্যতম
ফেরিওলা ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়ায়,
বিশেষ করে বেসরকারি রেডিও
চ্যানেলগুলোতে এক অদ্ভুত ধরণের
‘জারজ বাংলা’ মেনে নিয়েছি !
সারা দিন রাত রেডিও-
টিভি চ্যানেলগুলোতে দেশের
ধীমানরা জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা দিচ্ছেন,
অথচ কেউ প্রতিবাদী হয়ে বলছেন
না যে এটা বাংলা নয় !
এভাবে বাংলাকে ‘ধর্ষণ’ করার
কোনো অধিকার তোমাদের নেই ! বলছেন
না, প্রতিবাদ করছেন না l

shohomot.

০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ১:৪০

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৩৫

শিমুল আহমেদ বলেছেন: যদি আগামী কয়েক বছর পর শহীদ দিবসে জমজমাট কনসার্টের আয়োজন করে বলিউড-হলিউডের নামকরা গাইয়ে বা অভিনেতা এনে পুষ্পার্ঘ অর্পণের ডেমো করা হয়!
সকালেই একজন একুশে ফেব্রুয়ারির শুভেচ্ছা জানাইয়া মেসেজ করছে মেজাজ এত খারাপ হইছে ।
অসাধারন পোস্ট হয়েছে মঞ্জুরুল ভাই । পুরাই কইস্যা থাব্রা । কেন জানি ফেবুতে শেয়ার দিতে পারতেছি না :( মেজাজ পুরাই গরম X(

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মনজুরুল হক বলেছেন: সামহোয়্যারের কোন বাগ হবে। আরো কেউ কেউ বলেছেন, তারাও লিঙ্ক দিতে পারছেন না।

আর একবার চেষ্টা করো। হতে পারে।
ভালো থেকো শিমুল।

৯৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৩৮

পারভেজ বলেছেন: আমরা অনেকেই ভুলে গেছি, একুশে ফেব্রুয়ারী আসলে শহীদ দিবস, যেদিন শোক দিবস পালনের কারণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকতো!
আজকাল কেউ আর সেটা তাকিয়েও দেখেনা বোধকরি। শোক দিবস এখন শোক উৎসব দিবস।
তবে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পৃথকভাবে কর্মসূচী পালনের ব্যাপারে কোন বাঁধাও নেই।

০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ১:৪৩

মনজুরুল হক বলেছেন: দুঃখিত পারভেজ। এই পোস্টটা করার পর এত বেশী যান্ত্রিক সমস্যা হয়েছিল যে সবার কমেন্টের উত্তর দিতে পারিনি। একটা উত্তর তিন চারবার করে লিখতে হয়েছে। এই যেমন আপনার উত্তর দিচ্ছি ৮ দিন পর! ভাবা যায়?

সহমত পারভেজ। আমার বক্তব্যও সেটাই। উৎসব কেন হবে? মৃত্যু নিয়ে উৎসব কেন?

৯৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৪৫

স্বপ্নরাজ বলেছেন: একুশের এইদিনে সকল ভাষাশহীদের প্রতি সালাম।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪১

মনজুরুল হক বলেছেন: পরম কৃতজ্ঞতায় অবনত মস্তকে
সশ্রদ্ধ সালাম।

৯৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৫০

কাউসার আলম বলেছেন: বিচিত্র এই দেশ, সেলুকাস!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৫

মনজুরুল হক বলেছেন: দেশ বিচিত্র না কাউসার আলম। বিচিত্র এদেশের এক শ্রেণীর ভণ্ডরা।

৯৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১৬

অনন্ত দিগন্ত বলেছেন: আজকের দিনটিকে নীচে নামাতে নামাতে এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে যে আমরা ভুলেই যাচ্ছি এই দিনটির আসল ইতিহাস, তাৎপর্য আর সাধারণ মানুষের অতি সাধারন, সৎ আবেগ গুলো ...

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মনজুরুল হক বলেছেন:
...মাটিচাপা দিয়েছে করপোরেট শকুনের বাচ্চারা।
যারা প্রাণ দিয়ে ভাষা রক্ষা করেছে
তারা আজ বিস্মৃত প্রায়!
শকুন শেয়ালে চারিধার ঘিরে ফেলেছে
বাকি নেই কিছু আর.....

৯৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:৩৬

কক বলেছেন: শোক যদি শক্তিতে রুপান্তরীত হয়, সমস্যা কি? আপনি নিজে ভাষার জন্য কি করেছেন? কর্পোরেট দের গালী দেওয়ার আগে চিন্তা করেন ওরা বানিজ্য না করলে আপনার পেট কতটুকু খালি থাকতো?

ধরেন আজকেও আমরা জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত রাখলাম, শহীদের জন্য কান্নাকাটি করলাম......এতে দেখের কি লাভ হবে? যার পেটে আজকে খাওয়া নাই....আপনার ২১শে কান্নার কারনে কি তার পেটে ২ মুঠো ভাত আসবে?

কর্পরেটদের কল্যানে ২১ যে ভাষা দিবস এখন তা বিশ্ববাসী জানে.....এতে কার ক্ষতি হলো বুঝলাম না।

২১ আসলেই আপানদের ভাষার কথা মনে পরে। সময় করে আরো লিখবো....আগে অন্যদের মনতব্যগুলো পরি। আর আপনে দয়াকরে অন্যভাষা ইউজ করা ছেরে দেন......শুধু বাংলা বলেন.....কেদারা......;)

৯৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:৩৮

কক বলেছেন: @অনন্ত দিগন্ত .....আজকের দিনটিকে নীচে নামাতে নামাতে এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে যে আমরা ভুলেই যাচ্ছি এই দিনটির আসল ইতিহাস, তাৎপর্য আর সাধারণ মানুষের অতি সাধারন, সৎ আবেগ গুলো ...
এটা আপ্নার ব্যার্থতা....কোনো কর্পোরেট এর জন্য দায়ী না। কোথায়, আমিতো ভুলি নাই......আমি ২১শের ইতিহাস ভালোভাবেই জানি.....আপনার মনে রাখতে সমস্যা হচ্ছে কোথায়?

১০০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখাটি ভালো, তবে আক্রমণাত্মক ও আবেগী; কোনও বিশ্লেষণ বা দিকনির্দেশনা কিংবা গঠনমূলক সুপারিশমালা নেই এতে। কিছু কিছু ভালো উপাদান আছে, যেমন মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষাসৈনিকগণের সংখ্যা। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কি কিছু করণীয় আছে? থাকলে তা হাইলাইট করতে পারতেন। 'জারজ বাংলা' প্রতিরোধের জন্যই বা কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে?

'প্রভাতফেরী'র ব্যাপারে যেটা বলেছেন, সেটা যুক্তিসঙ্গত ও তথ্যসম্বদ্ধ নয়। সরকারের প্রটোকলের ব্যাপারেও যা বলেছেন তাতে জ্ঞানের ঘাটতি লক্ষণীয়। এ অংশটুকুতে শুধু আবেগের আশ্রয় নিয়েছেন, একটু বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের প্রয়োজন ছিল। যেমন, ১৯৭২-এর আগের মতো এখনও যদি শুধু সকালবেলার সামান্য প্রভাতফেরীর মধ্যে ভাষাদিবসের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ থাকতো, তা-ই হতো ভাষা শহীদদের জন্য চরম অমর্যাদাকর একটা বিষয়। যে ভাষাআন্দোলনের ভেতর ৭১-এর বীজ লুকিয়ে ছিল, দেশ স্বাধীন হবার অব্যবহিত পর সেই শহীদ দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা দানই ছিল রাষ্ট্রের প্রধানতম কাজ, যেটি এর আগে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন অসম্ভব ছিল। প্রায়শ দেখবেন, ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ অনেক সংগঠন আছে, যারা রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কামনায় দিনের পর দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আজকের মতো শহীদ দিবস এভাবে উদ্‌যাপিত না হলে 'এভাবে' উদ্‌যাপনের জন্য সরকার পতনের আন্দোলন হওয়াও অসম্ভব কিছু হতো না। তেমনি, রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ মিনারে যেসব কার্যক্রম হয়, ওগুলো টিভিতে না দেখালে তখন আবার টিভি-সরকার এঁদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠতাম। প্বথিবীর প্রতিটা দেশে রাষ্ট্রীয় দিবস পালনের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রটোকল মেনে চলা হয়; এখন আপনি যা দেখছেন তা উন্নত দেশ থেকে শিক্ষা গ্রহণের ফলেই এটা করা সম্ভব হচ্ছে। দিনে দিনে আমাদের এ্যাকসেস যেমন বাড়ছে বিভিন্ন উন্নত দেশের উন্নত সভ্যতায়, তার ফলও আমরা পাচ্ছি। ২য় বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের স্মরণ দিবসটি যেভাবে পালন করা হয়, সুযোগ ও সময় থাকলে সেগুলো দেখে নেবেন; আর ইতোমধ্যে দেখা হয়ে থাকলে আপনার লেখার সুর পরিমার্জন করে নিতে পারেন। আজ থেকে ৩৫ বছর আগে আমার গ্রামের স্কুলে যেভাবে প্রভাতফেরি হতো খালি পায়ে, স্কুল চত্বর থেকে দীর্ঘ সড়ক পথে, 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো' গাইতে গাইতে, আজও তা হয়, আরও বড় কলেবরে। কারণ, ৩৫ বছর আগের চেয়ে ৭১ আর ৫২ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা এখন অনেক বেশি, বিশেষ করে ৯১-তে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা চালু হবার পর থেকে। খোঁজ নিয়ে দেখুন, আপনার বাল্যকালের স্কুলটিরও এমনই উৎকর্ষ ঘটেছে।

শহীদ দিবসকে 'ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে' ঘোষণা স্রেফ ইচ্ছে পোষণ করা, আর তা হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ছিল না। এর পেছনে অনেক শ্রম দিতে হয়েছে কিছু মানুষকে, অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। সে পটভূমিকা যদি আপনার জানা থাকে, তাহলে এর প্রতি, আর এর পেছনের মানুষগুলোর প্রতি আপনার সম্মান অনেক গুণ বাড়বে। বিদেশের মাটিতে যখন অন্য দেশের মানুষ এসে এ দিবসটিতে আপনাকে উইশ করবে, সালাম, রফিক, বরকত, বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চাইবে, তখন নানা কারণে আপনার বুক উঁচু হতে থাকবে, আর চোখ ভরে উঠবে অশ্রুতে।

বর্তমানে ভাষা শহীদ দিবস যেভাবে পালিত হচ্ছে, সরকারের কাছে এটাই কাম্য ছিল। টিভি চ্যানলেগুলো যাঁদের খুঁজে বের করে সামান্য এক্সপোজার দিচ্ছেন, এটাই তাঁদের পবিত্র দায়িত্ব। এ কাজগুলোকে নেগেটিভলি হাইলাইট না করে আমাদের উচিত কীভাবে এর উৎকর্য সাধন করা যায়, তার প্রতি নজর দেয়া।


সময় থাকলে পড়বেন : ভাষা আন্দোলনের স্বজাতীয় ভিলেন

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৩৪

মনজুরুল হক বলেছেন: "প্রভাতফেরী" চালু করেছিল সালাম বরকত রফিক জব্বারতের সতীর্থরা এবং সহযোদ্ধারা। তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের আমতলায় ইট দিয়ে নিজেরা একটা মিনার বানিয়ে প্রত্যুষে সেখানে ফুল দিয়ে প্রথম শ্রদ্ধা জানিয়েছিল। সেই থেকেই প্রভাতফেরীর চল। তেপ্পান্ন থেকে বাহাত্তর পর্যন্ত সেটাই পালন করা হত।
রাত বারটার পর শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি সেই সময়কার সরকার করেছিল। তারা তো সকালেও কাজটি করতে পারতেন! যেখানে "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি", "প্রভাতফেরী" শব্দগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে আমার সংস্কৃতিতে গেঁথে আছে, সেখানে কেন রাত বারটা?

আর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশ বাদে বাকি বিশ্ব যেন এটা উপলব্ধি করে সে জন্য। বাংলাদেশ বাদে বাকি বিশ্ব পালন করবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আমরা পালন করব ভাষা শহীদ দিবস। এটা আমাদের আনন্দের দিন নয়। আমাদের শোকের দিন। ভাই হারানোর দিন। সেই দিনটিকে যারা উৎসব হিসেবে পালনের চেষ্টা করছে এবং বহুলাংশে সফলও হয়েছে, এই লেখা তার প্রতিবাদ।

১০১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:৫৬

অনন্ত দিগন্ত বলেছেন: @ কক -- মন্তব্য না বুঝলে জিজ্ঞেস করা ভাল যে আপনি এই মন্তব্যে কি বুঝাতে চেয়েছেন ...

বুঝলাম আপনি বাংলা ভাষার ইতিহাস খুব ভাল ভাবে জানেন, এবং সে টা শুধু আজকের দিনের জন্য নয়, বরং সারা বছরের জন্য ... আপনিই বলেন , ভাষার জন্য আপনি নিজে কি করেছেন ?

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৪

মনজুরুল হক বলেছেন: অনন্ত। ভাইয়া সব কথায় কান দিতে নেই। স্টিকি পোস্টের লেখকের একটা সাধারণ সমস্যা হচ্ছে অনেকেই এখানে এসে দ্বিমত প্রকাশ করবেন। কিন্তু এখানে তিনি যা বললেন অন্যত্র হয়ত তার উল্টোটা বলবেন। তবুও তর্কের খাতিরে তর্ক চালিয়ে যাবেন।

আর যারা করপোরেটকে সমালোচনা করার কারণে ক্ষিপ্ত হচ্ছেন তাদের নিশ্চই ক্ষিপ্ত হওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। তেমনি আমাদেরও গণতান্ত্রিক অধিকার আছে করপোরেট ভণ্ডামির মুখোস উন্মোচনের।

১০২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:১১

Mukit বলেছেন: আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি লেখার জন্য।
সত্যি কথা বলতে কি,গত বেশ কিছু ঘন্টা ধরে প্রার্থণা করে যাচ্ছি আজ যেন কোথাও ফুল দিতে গিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। আজ যেন ফুল দেওয়ারি দিন,সবাইকে ফুল দিতেই হবে। আমাদের দেশের বেশীরভাগ মানুষের জন্য আজকের দিনটি কেমন যেন উৎসবার উদযাপনের দিন হয়ে গিয়েছে। দঃখজনক হলেও সত্যি যে আজ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নেই বিশেষ কোন আয়োজন। তবে সবার কাছে মিন্তি থাকবে এটাই,আপনারা অন্তত আজকের দিনে,একটিবারের জন্য হলেও আপনাদের প্রার্থণায় ভাষা-শহীদদের নাম নিন। তাদের ত্যাগের কথা একটিবার স্মরণ করুণ,তাদের আত্মার শান্তির জয় প্রার্থণা করুন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৭

মনজুরুল হক বলেছেন: ভাষা শহীদরা এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদরা মরে বেঁচেছেন। আব্দুল মতিন এখন প্রায় বাকশক্তিহীন। তার শক্তি থাকলে তিনি এই বেলেল্লাপনায় অসহ্য হয়ে চিৎকার করতেন!
আমার ব্যক্তিগত ধারণা একুশ না হলে একাত্তর ঘটতে আরো অনেক দিন অপেক্ষা করতে হত এই জাতিকে।

আপনাকে আন্তরিক শ্রদ্ধা।

১০৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আর, প্রথম ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, 'মধ্যরাটের শহীদ মিনার আমার নয়।' এটা একটু হাস্যকর ঠেকছে। মধ্যরাতের আগে থেকেই শহীদ মিনারে যে মানুষের ঢল নামতে থাকে, যা চলে প্রায় সারাদিন, এ মানুষের ঢল যদি আপনার না হয়ে থাকে, তাহলে আপনি বাঙালি জাতির কেউ নন, বাঙালির আত্মিকও আপনি হতে পারেন নি তাহলে। এঁরা তো প্রাণের টানেই এখানে আসে, ঐদিন কি সংসদ ভবনের চত্বরে এতো মানুষের ভিড় জমে? শেষ ছবিতে 'তেপ্পান্ন'র যে ছবিটা দেখাচ্ছেন, আমি নিশ্চিত নই (আপনি কোনও সূত্রও দেন নি) ওটা কোন সময়ের কোন জায়গার ছবি, কিন্তু ওটাও একটা জনমানুষের জমায়েত। ২০১১ আর ১৯৫৩- এ দুটো জমায়েতের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়? ২য় ছবি,যেটাকে কর্পোরেট কালচার বলছেন, এটাতে দোষের কিছু তো দেখছি না। আমার সাড়ে ৪ বছরের ছেলে বইমেলায় ঢুকতে ঢুকতে জিজ্ঞাসা করে, এটা কীসের মেলা? বইয়ের মেলা কেন? গালে, কপালে পতাকার রং লাগাতে কান্নাকাটি করে, আর ওটা কী জিনিস তা জানতে চায়। এর সবই ভালো দিক আছে, মন্দ দিকটা হলো আপনার নিজের, যদি না আপনার সন্তান এ ব্যাপারে সম্যক জ্ঞান না দিতে পারেন। আমার ছেলেমেয়েরা যে বয়সে ৭১, ৫২ সম্পর্কে জানতে পারছে, আর উদ্বুদ্ধ হচ্ছে, আমি কমপক্ষে ২/৩ বছর বেশি বয়সে এতোখানি জানতে পেরেছি। আর ছেলেমেয়েদের পক্ষে এসব জানা সম্ভব হয়েছে কর্পোরেট কালচারের দ্বারাই, আর আছে তার মা-বাবার অবদান।

কাজেই, নিজের বাঙালির একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করলে এটা আমার নয়, ওটা আমার, এ ধরনের কথাবার্তা মুখ দিয়ে বের হয় না।

ধন্যবাদ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৮

মনজুরুল হক বলেছেন: খলিল সাহেব আমার পোস্টে আপনাকে দেখলে বিরক্তি বোধ করি। কেন তা নিশ্চই আপনার মনে আছে। পুরোনো কথা তুলছি না। আর বর্তমানকে ইগনোর করলাম।

১০৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৫৩

আমি একাত্তর বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া............।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৪০

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১০৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:১৮

মনজুরুল হক বলেছেন:
সমায়াভাবে সবার মন্তব্যের উত্তর দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। কেউ কেউ ধরে নিচ্ছেন এই পোস্টে বোধ করি ইংরেজি ভাষা ব্যবহারের বিরুদ্ধাচারণ করা হচ্ছে। ব্যাপারটি ঠিক তা নয়। এই পোস্টের মূল কথা হচ্ছে যে মহান ব্রত নিয়ে ভাষা রক্ষার আন্দোলন শুরু হয়েছিল সেই গৌরবের যায়গা থেকে করপোরেট বেনিয়া আর এদেশি দোসররা একুশকে শুধুই আনন্দ উৎসবে রূপ দিতে চাচ্ছে। আমার প্রতিবাদ এখানেই।

সেটি কেবলই ভাষা রক্ষার আন্দোলন ছিল না। ছিল ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ। সেই প্রতিবাদ ভাষা রক্ষার জন্য না হয়ে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধেও হতে পারত। যেহেতু ঔপনিবেশিক শাসকরা তাদের উপনিবেশের প্রজাদের প্রথমে ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল, তাই প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল ভাষা রক্ষার জন্য। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকরা যদি বলত ‘বাংলা বা উর্দু নয়, ইংরেজিই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। তাতেও বাঙালি প্রতিবাদী হত। কেননা সাতচল্লিশে পাকিস্তান গঠনের পর পরই বাঙালির মোহভঙ্গ শুরু। যা একাত্তরে এসে পূর্ণতা পায়। বাঙালি তার স্বাধীন সার্বভৌম স্বদেশ পায়। সেটি কেবলই ভাষা রক্ষার আন্দোলন ছিল না। ছিল ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ। সেই প্রতিবাদ ভাষা রক্ষার জন্য না হয়ে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধেও হতে পারত। যেহেতু ঔপনিবেশিক শাসকরা তাদের উপনিবেশের প্রজাদের প্রথমে ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল, তাই প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল ভাষা রক্ষার জন্য।

১০৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:২১

মনজুরুল হক বলেছেন: @অয়োময়। একই কমেন্ট ১৪/১৫ বার করার জন্য আপনাকে ব্লক করা হ'ল।

১০৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:২৫

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: স্টিকি পোস্টটি সরানো হোক......................

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:১৫

মনজুরুল হক বলেছেন: খলিল সাহেবের এটা কততম নিক?

১০৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৪৩

নাজনীন১ বলেছেন: ১৯৯৭ সালে প্রথম আমার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার দেখা হয়, সকাল নয়টার দিকে যখন শহীদ মিনারের কাছাকাছি পৌঁছালাম, তখন থেকে প্রায় পরবর্তীতে আধা ঘন্টা ধরে মাইকে ঘোষণা দেয়া হচ্ছিল, সাংস্কৃতিক ঐক্য জোটের পক্ষ থেকে জনাব "........." শহীদ মিনারের বেদীতে ফুল দিতে আসছেন.........একই ঘোষণা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে গেছিলাম। এরপর যখন ফিরতি পথে প্রায় টিএসসির কাছাকাছি, তখনই হঠাৎ পুলিশের দৌড় ঝাপ শুরু হলো।

কি ব্যাপার? ঐক্য জোটের নেতা জনাব "......" ক্ষিপ্ত জনতার হাতে প্রহৃত হয়েছেন। পরেরদিন ওই খবর শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি দৈনিকে ছাপাও হয়েছিল, যদিও দাবী করা হয়েছিল ওইটা মৌলবাদীদের কাজ, আসলে ছিল ক্ষিপ্ত জনতার কাজ। কারণ, ঐ সময়টায় শহীদদের চেয়েও বেশি মর্যাদা দেয়া হচ্ছিল জনাব "........."কে। তো, এনারাই কিন্তু আমাদের তথাকথিত চেতনাধারী, তারাই এই দিবসটাকে মূলত উৎসবে পরিণত করেছে, কর্পোরেটরা এনাদের থেকেই সাহস পেয়েছে, পন্থা খুঁজে পেয়েছে ২১শে ফেব্রুয়ারীকে নিয়ে উৎসব করার।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৮

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনি অনেক কিছু দেখেন নি নাজনীন। ওই সময় লীগ আর দল এর ছাত্ররা তাদের নেতাদের ছবি মিনারে টাঙানোর জন্য রক্তারক্তিও করত। মুজিব-জিয়ার ছবির ফ্রেম ছিড়ে কে কার উপরে লটকাবে তার প্রতিযোগিতা চলত।

আগেই বলেছি; পুঁজির ধর্ম মুনাফা। তা সে যেভাবেই হোক। আপনি যদি মৃত আত্মিয়ের লাশ মাটি দেয়ার সময় কান্নাকাটির জন্য লোক ভাড়া করতে চান তাও তারা সাপ্লাই দেবে! আমেরিকাতে এরকম কোম্পানি আছে।

১০৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৫১

চিরসবুজ মানব বলেছেন: ফাউল কথাবার্তা।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:১৯

মনজুরুল হক বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

১১০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০১

রাহিদুল সামান্না রকি বলেছেন: ত্রিশ মিনিটের ভাষা আন্দোলন অথবা ৭১রে চিঠি ।
আমার ইতিহাস, রক্ত ঝড়া স্বাধনীতা, সার্বভৌমত্ব সব আজ গ্রামীনফোনের পণ্য।

সাথে আছে সুধী মহাজনরা। শ্লোগান চলছে পাল্টে দিতে হবে সব। পাল্টে যাবার স্রোতে আমার আমাদের হাজার বছরের তিলে তিলে গড়ে ওঠা সংস্কৃতি পাল্টে দিতে চাচ্ছি ডিজুসকে কেন্দ্র করে। পাল্টে দেওয়া অথবা বিকিয়ে দেওয়াই যেন আজ সবচেয়ে বড় কথা। পাল্টাতে হবে সব, নতুন স্বাদে, সব পাল্টে দেওয়াই আজকের সংস্কৃতি।

ভাড়াটে বুদ্ধিজীবি মিলন মেলা (সংস্কৃতি রাজাকার) গ্রামীনফোন তোমার সাথে আছি, ভয় নেই। কীসের সংস্কৃতি, কিসের ইতিহাস। সকল বাধ ভাঙ্গার আয়োজন আজ। আমরা দেশের সুধী মহাজন। আমরা যা বলি তাই হয়। আমরা ছাড়ার জাতির সবকটা গাধা, গরু, ছাগল। সংস্কৃতি রক্ষক-ধারক-বহক সবই আমরা। আমরা উদার টাকার কাছে বেচতে পারি মা-মাটি, বউ-বেটি সবই। আমরা সুধী মহাজন। চালাও ব্যবসা গ্রামীনফোন। সাবাস হে গ্রামীনফোন সাবাস।

জাতিকে সোচ্চার করার পবিত্র দায়িত্ব নিয়েছে আজ গ্রামীনফোন । আজ বিপ্লবী ত্রিশ মিনিট, পাল্টে যাবে বাংলাদেশ!!! !!!!

পাল্টে যাবার কিংবা বদলে দেবার নেশায় সুধী মহাজনদের ছায়ায় দলে দলে জড় হচ্ছে পতঙ্গের দল । রক্তে আজ পাল্টে দেবার নেশা। কিছু একটা হবে।
কি হবে?
কি হবে?


একটা কিছু তো হবেই। হতেই হবে। আজ ডাক এসেছে গ্রামীনফোন থেকে। কোন কিছুতো না হয়ে পারে না। যা তা নয় গ্রামীনফোন ত্রিশ মিনিট । ভাষায় ডিজুস ভার্সন দিয়ে ধর্ষক গ্রামীনফোন আজ ভাষা দিবসে ডাক দিয়েছে পাল্টে যাবার, বিপ্লবী ডাক। জুস হইছে রে জুস।

:)দেখ আমি ঠোটে লাল লিপস্টিক কপালে সবুজ টিপ দিয়ে এসেছি। ইন্টার নেটে অনেক খুজাখুজি করে এই ড্রেসটা বানিয়েছি। দেখ তো মেকাপটা তেমনি হয়ছে কিনা? যেমনটা ছিল ৫২।
:Dহয়েছে, তোমাকে আজ যা লাগে না। ক্যামেরার কাছাকাছি থেকো কিন্তু।

:)বিষয়টা আমি কিন্তু ব্যাপক এনজয় করছি। অফটার অল আমাদের মায়ের ভাষাটা রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব নিয়ে গ্রামীনফোন এগিয়ে এসেছে ।

:Dহ্যাঁ । এসো আমরা প্রার্থনা করি গ্রামীনফোনের মহা উদ্যোগে স্বাগত জানিয়ে। আর এই হাজার মানুষের ভিড়ে তোমার বুক এতো কাছ থেকে স্পশ করার সুযোগটা করে দেওয়ার জন্য। ত্রিশ মিনিট স্বার্থক হোক।

মহা অপরাধী গ্রামীনফোন আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন, গৌরব সবকিছুকে তার পণ্যের খাতায় বিক্রিয়ে দিয়ে ডিজুস সংস্কৃতি মিশ্রনে ব্যবসা পরিচালন করছে। সাধুদের কন্ঠ আজ স্তব্ধ কারণ তাদের গ্রামীনফোনের দয়া ক্যামেরায় দেখাবে।

সারাদেশ দেখবে। সাধু সাধু হে গ্রামীনফোন। সব মাপ তোদের জন্য।
আমরা পুজিবাদ বিরোধী, বিশ্বয়ান বিরোধী, সামরাজ্যবাদ বিরোধী নানা শ্লোগান আছে আ মাদের, কপোরেটদের রুখার দৃপ্ত প্রত্যয়ই আমাদের শক্তি। আমরা কপোরেটদের বেশ্যা | আমাদের রুখার আছে কে?

আমরা কলঙ্কমুক্ত সুধী মহাজন। আমরা নিধারন করি কে মৌলবাদ আর কোন শা....লা...রা দালাল। আমাদের সার্টিফিকেট চলে আজ দেশের সংস্কৃতি-মুক্তচিন্তার আন্দোলন। আমরা মুক্ত চিন্তার ধারক। ভয় নেই আমাদের ভাড়া করিয়াছ তো চিন্তাহীন। যে শা.......লা প্রতিবাদ করবে। সাথে তারে সংস্কৃতি দুষণের দায়ে দন্ডিত করিব। কঠোর শাস্তি, কঠোর শাস্তি হবে তার। শালাকে কটর মৌলবাদ বানিয়ে দিব। নয়ত শা...লা..কে বাম বানিয়ে জেলে দিব। কালো কাপড়ে চোখ বেধে...... চরমপন্থি ঠা শ্ (ইন্নাল্লি)।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫১

মনজুরুল হক বলেছেন: রাহিদুল সামান্না রকি । আপনার এই মন্তব্যের কোনো উত্তর নেই। শুধু এতটুকুই বলা যায়...... অসাধারণ! স্যালুট জানালাম।

১১১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৯

সোহরাব সুমন বলেছেন: এই সব ধান্দা বাজি বন্ধ করা দরকার !


Click This Link

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৩২

মনজুরুল হক বলেছেন: সেটাই তো বলতে চাচ্ছি......

১১২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২১

নাজনীন১ বলেছেন: আর পোস্টে আরবী ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার মতো অপ্রাসঙ্গিক কিছু কথা এসেছে। এ ব্যাপারে আমার নিজস্ব কিছু মতামত তুলে ধরছি, আরবীকে ২য় বা তয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দরকার নাই। যেটা দরকার সেটা হলো মুসলিমদের কোরআনিক আরবী জানা, গ্রামাটিক্যাল স্ট্রাকচার জানা, যাতে করে কুরআন পড়ে বুঝতে পারে যে কোন মুসলিম। আর এর জন্য হাই স্কুল লেভেলে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই সরকারের তরফ থেকে ভালো সিলেবাস, এবং দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া দরকার। এর জন্য আরবীকে রাষ্ট্রভাষা করার কোন দরকার নেই। ধন্যবাদ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মনজুরুল হক বলেছেন: ধর্ম মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করুন। যেহতু রাষ্ট্রধর্ম সংবিধানের কপালে খোদাই হয়ে গেছে, হয়ত এক্ষেত্রেও কামিয়াব হওয়া যাবে!

১১৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৩

আলিম আল রাজি বলেছেন: আমার লেখাটা পড়ার অনুরোধ থাকলো Click This Link

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:১৩

মনজুরুল হক বলেছেন: আচ্ছা সময় করে পড়ব অবশ্যই।

১১৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪০

বল্টু মিয়া বলেছেন: ভালো লাগে নাই। কেন লাগে নাই তা লেখার মুড এ নাই ।

[সত্য কথা কইছি]

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১১

মনজুরুল হক বলেছেন: হা হা হা! বল্টু মিয়া, আছেন কেমন? আমি আমার পোস্ট আবার পড়লাম। কিন্তু কোথাও
"এই পোস্ট বল্টু মিয়াকে ভাল লাগিতেই হইবে" খুঁজে পেলাম না!

যাই হোক সত্য বলার জন্য ধন্যবাদ।

১১৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৩

মনিং_ষ্টার বলেছেন: গ্রামীনফোন তার ডিজুস নামক ব্র্যান্ডএর বিজ্ঞাপন দিয়া গত কয়েক বছরে ভাষার সবচেয়ে বিকৃতি ঘটিয়েছে ।সেই হারামীফোন যে কোন জাতীয় দিবসে সবচেয়ে বেশী লাফালাফী করে।মনে হয় ঘাড় ধইরা দেশ থেকে বের করে দেই।কি করমু সেই ক্ষেমতা নাই।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:২০

মনজুরুল হক বলেছেন: তা ঠিক। আমাদের সেই ক্ষমতা নাই। তবে প্রতিবাদের ক্ষমতা মনে এখনো শেষ হয়নি। জনে জনে প্রতিবাদ হোক। প্রতিরোধ হোক। হোক বর্জন কিংবা ঘৃণাসহ প্রত্যাখ্যান।

ধন্যবাদ ।

১১৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সপ্নীল বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য লগইন করলাম। অসাধারন একটি লেখা লিখেছেন। যদিও আপনার এ লেখায় কিছু যাবে আসবে না কর্পোরেট রাঘব বোয়ালদের। বাংলাদেশে এখন প্রতিটা আনুষ্ঠানিকতাই কর্পোরেট বেনিয়া কতৃক ছিনতাই হয়ে গেছে। দেশে এখন দিবসের কোন অভাব নাই, ভালবাসা দিবস!!!, মা দিবস!!! বাবা দিবস!! আর প্রতিটা দিবসেই এ কর্পোরেট বেনিয়ারা মিলিয়ন ডলারের ব্যাবসা করে যাচ্ছে পাবলিকের মাথায় কাঠাল ভেংগে। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলো এক্ষেত্রে মুল ভুমিকা পালন করছে। কবে যে ওরা কিলা কিলি দিবস নামে কিছু চালু করে বসে সে চিন্তায় আছি!!!

মা কে ভালবাসার জন্য/বাবাকে ভালবাসার জন্য কি কোন দিবসের দরকার আছে? আর যারা ডিজুস যুগে এটা পালন করছে, খোজ নিয়ে দেখেন বাবা মা তো দুরের খবর, এলাকার মুরুব্বিদেরও ঠিক মত সম্মানটুকু করে না।

আমি গুছিয়ে লিখতে পারলাম না, আশা করি বুঝতে পেরেছেন কি বলতে চাচ্ছি?

আবারও ধন্যবাদ, সুন্দর আর সময়োপযোগী একটি লেখার জন্য।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:১৮

মনজুরুল হক বলেছেন: যতটুকু বলেছেন তা-ই যথেষ্ট। বিপদের এই প্রকাশভঙ্গিটুকুও আমরা অনেকে ধরতে পারি না। আপনি পেরেছেন।

আবার সেই গোঁড়ার কথাঃ করপোরেট পুঁজি সবখানেই ব্যবসা খোঁজে। আর আমার দেশে তাকে খুঁজতে হয়না, আমাদের দেশের কর্তাব্যক্তিরা শ্রদ্ধাসহ তাদের হাতে ব্যবসার সুযোগ তুলে দেন। কি আর করার আছে! চলুক বাণিজ্য! বাঙালি বেঁচতে বেঁচতে বাবা-মাকেও বেঁচা শুরু করেছে। নিজে তো বিক্রি হয়েছেই। এখন আর কি বাকি আছে সেটাই ভাববার বিষয়!

১১৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪২

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: আমিও তো বলি নি এমন কথা!
আপনার ক্ষিপ্ত হবার কারণ টা বুঝলাম না!

তবে আমি মনে করি, যখন আমার হাতে সুন্দর বাঙলা শব্দ আছে,কেন আমি আমার লেখায় ইংরেজী শব্দ আনবো? ভাষায় অন্য ভাষার শব্দের আগমন হবেই,এটা সবখানেই হচ্ছে।কিন্তু সেটা তখনই যখন আমার ভাষায় ঐ শব্দ টা নেই। অন্য ভাষার শব্দ এসে আমার ভাষার একটা শব্দ কে স্থানচ্যুত করে দেবে,তা দূষন বৈ অন্য কিছু নয়।

যেমন ,ধরেন , 'বুর্জোয়া সংস্কৃতি'ই লিখব আমি,'কর্পোরেট কালচার' নয়।


আমি আগের মন্তব্যে বলেছি, শোক নয়,চেতনাকেই সমুন্নত রাখা অত্যাবশ্যক। নিজের চেতনা কে যদি আমরা পারস্পরিক ঝালাই করে নিই,বুর্জোয়াদের এমন কোন সাধ্য নেই,আমাদের চেতনা নিয়ে ব্যবসা ফাঁদে!
আর বুর্জোয়া সমাজের ধর্ম তো এটাই। সে এই সুযোগ নিলে তাকে দোষারোপ করা চলে না, দোষ তারই,যার চেতনা নিয়ে সে ব্যবসা করছে,কেননা চেতনায়- নিজস্বতায় ঘাটতি আছে বলেই ব্যবসার সুযোগ টা পাচ্ছে।

আরেকটা কথা, ভাষার প্রতি সম্মান আমরা কতটুকু দেখাই। বের হলেই অসংখ্য বাঙলা লেখা দেখি। অবাক লাগে, নির্ভুল লেখা হাতেগোণা।

কয়েকদিন আগে বন্দর থেকে ফিরছিলাম। দেওয়ানহাটে একটা আবাসন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেখলাম।পুরোটা ইংরেজী তে,একটা মাত্র বাঙলা বাক্য তাতে,কিন্তু সেখানে তিনটা ভুল বানান!

আগে এই ঝালাই গুলোর কথা বলছি। বুর্জোয়া ঠেকানোর চেষ্টা তখনই সফল হবে, যখন আমরা নিজেরা শুদ্ধ হয়ে উঠবো।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৫৬

মনজুরুল হক বলেছেন: দুঃখিত পাপতাড়ুয়া। আপনি ভুল বুঝছেন। আমি ক্ষিপ্ত হইনি। আমি বলতে চেয়েছি শুধু ইংরেজি বিরোধীতা নয়। এই পোস্টের মূল যায়গা হচ্ছে একুশকে বাণিজ্যিকীকরণ এর বিরোধীতা।

'বুর্জোয়া সংস্কৃতি'ই লিখব আমি,'কর্পোরেট কালচার'। এখানেও একটু সমস্যা হচ্ছে। করপোরেট কালচার মানে কিন্তু বুর্জোয়া সংস্কৃতি নয়। ক্যাপিটালিস্ট কালচারকে বরং বুর্জোয়া সংস্কৃতি বলা যেতে পারে। করপোরেট কালচারের বাংলা হতে পারে "বাজার অর্থনীতিজাত একচেটিয়াকরণ সংস্কৃতি"। বড্ড দাঁতভাঙ্গা নয় শব্দটা?

আবারো বলি- আমার প্রধান প্রতিবাদ একুশকে বাণিজ্যিকীকরণে। আর সেটি করপোরেট সংমিশ্রণ ঘটিয়ে করার কারণে। জাতীয় পুঁজির এই দুঃসাহস হবে না।
নিশ্চই এবারের বিজয় দিবসে সংসদ ভবনের সামনে গ্রামীণ এর জাতীয় সঙ্গীত বিতর্কের কথা মনে আছে আপনার! দেশের সব বরেণ্য শিল্পীদের দিয়ে তারা এবার এক নতুন কায়দায় শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মহড়া দিয়েছিল। যা উপস্থিত এক মন্ত্রীকেও বিব্রত করেছিল। ওরা এসব বারে বারেই করবে। আমার সবই মেনে নেব। কারণ দেশের অধিকাংশ পত্র পত্রিকা চলে ওদের বিজ্ঞাপনের টাকায়।

১১৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫০

নেটপোকা বলেছেন: লেখক বলেছেন: দেশ বিচিত্র না কাউসার আলম। বিচিত্র এদেশের এক শ্রেণীর ভণ্ডরা।

এদেশে কে ভন্ড নয়, বলবেন কি? আমার ৭১ নম্বর মন্তব্যের আলোকে উত্তর পেলে খুশি হব।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:০৪

মনজুরুল হক বলেছেন: এক লাইনে বলি.....

পরজীবী অধিকাংশ শিক্ষিত মানুষই কোনো না কোনোভাবে ভণ্ড। তবে তা বাদে খেটে খাওয়া দরিদ্র যে বিশাল জনগোষ্ঠি তারা ভণ্ড নন। আমাদের দুর্ভাগ্য যে সমাজের প্রধান স্রোতধারায় তাদের স্থান নেই। সেটার নিয়ন্ত্রক ওই শিক্ষিত ভণ্ডরাই।

১১৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৪

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: মনজুরুল ভাই, আরেকটা কথা,আপনি উপরে এক জায়গায় বলেছেন যে এই লেখা টি একুশ কে উৎসবে রুপান্তরের চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। এই চিন্তা থেকেই আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

কিন্তু আপনার লেখা টা পড়লে এই প্রতিবাদ টা প্রকট হয়ে উঠে না,প্রচ্ছন্ন রয়েই যায় আবেগের ছড়াছড়ি তে!

আরেক জায়গায় বলেছেন, আপনার বাসার পাশে সারাদিন রুপবানের কোমর দুলানো নাচ বেজেছে! তারমানে কেউ যায় নি ওখানে,যারা বাজাচ্ছে তাদের বলতে যে আজ এই গান বাজানো ঠিক না ,বরঙ 'আমার ভাইয়ের...' বাজাও!

আপনি নিজেই কি যেতে পারতেন না!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৩৬

মনজুরুল হক বলেছেন: হাহাহা! আমার মত ছাপোষা লেখকের মাথা ফাটানোর জন্য ওখানে অনেকে বসে আছেন। যদি ওখানে কাউকে রেপ করা হচ্ছে দেখে প্রতিবাদ করতাম তাহলে জনসমর্থন পেলেও পেতে পারতাম। কিন্তু ওই সমাজের মাথারাই বলবে- ওই মিয়া, পুলাপাইন গান গাইছে তো তুমার কি? হেরা তো মদ খাইতেছে না!

অবশ্য এখানেও যে কেউ বলতে পারেন- করপোরেটরা দখল করেছে তাতে তোমার কি?

১২০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৬

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: @ আকাশের তারাগুলি... স্টিকি পোস্ট টি কেন সরানো হবে সেটা আগে পরিষ্কার করুন। তারপর এমন একটা পোস্টের লিংক দিন,যেটা এই পোস্ট কে সরিয়ে স্টিকি হবার যোগ্যতা রাখে,ভালো হয় আপনার লেখা কোন পোস্ট হলে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৩৪

মনজুরুল হক বলেছেন: পাপতাড়ুয়া এই আকাশের তারাগুলি ওরফে "সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই" ওরফে
ফারিহান মাহমুদ ওরফে খলিল সাব ময়দানে আছেন বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়ে। ঘেউ ঘেউ করতে দিন।

১২১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:০০

শেষ তারা বলেছেন: একুশ কে ঘিরে যত নোংরামী, তার প্রতিবাদ করে এত চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ। তবে, কিছু কিছু অংশ অস্পষ্ট লেগেছে।

প্রথমত, ভাষা আন্দোলন এ ভাষাই একমাত্র দাবীর বিষয় ছিল না। এ ব্যাপারে আমার কোন দ্বিমত নেই। কিন্তু প্রশ্ন হল, ভাষার ব্যাপারটা নিয়ে চাপ না দেওয়া হলে তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে এত্ত তাড়াতাড়ি কি এরকম একটা আপামর জনতার অংশগ্রহনে স্বাধিকার আন্দোলন ঘটতে পারত?

'অমর একুশে বই মেলা' ও 'ভাষা সৈনিক' শব্দটির বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগটা বুঝতে পারলাম না।

পরিশেষে একটা ব্যক্তিগত মতামত। কাউকে ভালোবাসলে সেটা কিন্তু জীবনে অন্তত একবার ঘটা করে না বললে একটা অপূর্ণতা থেকে যায়। একুশে ফেব্রুয়ারী একটা দিন, যে দিন আমরা খোলা গলায় বলতে পারি, আমরা ভালোবাসি মাকে, মায়ের ভাষাকে। আজকের দিনটা না থাকলে যে ভালোবাসতাম না, তা নয়; কিন্তু অব্যক্ত ভালোবাসা বোঝার ক্ষমতা নিয়ে সকলে পৃথিবীতে আসে না। তাছাড়া, ভাষা আন্দোলনের ফলাফল কিন্তু করুন নয়। আমাদের অধিকার আমরা আদায় করতে পেরেছি। সুতরাং, সামান্য আনন্দ উৎসব মনে হয় না শহীদ দের অবমাননা করে। তাহলে তো বিজয় দিবসেও শোক পালন করা উচিত।

ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি রইল অসীম শ্রদ্ধা। আবার ধন্যবাদ, এমন গন সচেতনতা মূলক প্রতিবাদী লেখার জন্য।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:২৮

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনি ভাল একটি প্রসঙ্গ তুলেছেন। লিখতে লিখতে ক্লান্তি লাগছে। তাই সংক্ষেপে বলছিঃ

"অমর একুশে বই মেলা" অনেক আগে থেকেই বাণিজ্যিকীকরণ হয়েছে। বাঙলা একাডেমি সরকারি ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান। সারা বছর কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারির বেতন ভাতা ছাড়া আর কোনো খরচ নেই। এমনও না যে তারা যে বই প্রকাশ করে তাতে তাদের লোকসান গুনতে হয়! তারা সরকারি বেতন ভাতা পান। তার পরও কেন বই মেলায় পাঁচ/দশ আয়তনের একটা স্টলের ভাড়া ২৫ হাজার! ওই টাকা ব্যয় না হলে প্রকাশক কি আরো কম দামে বই বেচতে পারত না? কেন প্রকাশকের কমপক্ষে ২৫টি নিজস্ব প্রকাশিত বই থাকতে হবে? কেন মেলার ভেতরে এনজিওর(যারা সাজসজ্জার সৌজন্যকারি) স্টল থাকবে, অথচ ভালো ভালো প্রকাশদের অনেককে বাইরে বসতে হবে?
এর উত্তর একটিই- তারা বৃহৎ প্রকাশকদের কাছে জিম্মি অথবা বিক্রি হয়েছেন। এখানেও সেই একচেটিয়া পুঁজির আগ্রাসন। একটা উদাহরণ দেখুনঃ

Kallol Mustafa বাংলা একাডেমি ক্রমশ কর্পোরেটের দাড়োয়ান হয়ে উঠছে... আজাইড়া অনেক প্রকাশনি ভেতরে স্টল পেলেও সংহতির স্টল মূল চত্বরের বাইরে কেন? এর উত্তর পরিস্কার হয়ে উঠে যখন আমরা দেখি বদরুদ্দীন উমরের "ড. ইউনুসের দারিদ্র বাণিজ্য" বইটি প্রকাশের "অপরাধে" "শ্রাবণ প্রকাশনি"কে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে হুমকি দেয়া হয় যে আগামী ১০ বছরেও তাদেরকে আর স্টল বরাদ্দ দেয়া হবে না! (এটা ফেসবুক থেকে কপি করলাম)

আর সৈনিক? সৈন্য শব্দটার ভেতরে এক ধরণের সামরিকীকরণের চিন্তা লুকোনো।
জিয়ার সামরিক শাসনে আগে সৈনিক বলা হত না। কলমজীবী যিনি লিখে জীবিকা নির্বাহ করেন তাকেও কেন "কলম সৈনিক" বলা হবে? তাহলে আমরা যারা ব্লগে লিখছি তারা "ব্লগ সৈনিক"! এভাবে উত্তরণ ঘটতে ঘটতে "ব্লগ মেজর", "ব্লগ জেনারেল", ফিল্ড মার্শাল!! কেন?
যে লোকটি গতর খেটে জীবিকা নির্বাহ করে তাকে কি "শ্রমসৈনিক" গার্মেন্ট শ্রমিককে কি "সেলাইসৈনিক" বলা হচ্ছে? না। কেননা তাহলে তো শ্রেণী বিভাজন সম্পূর্ণ হয়না! এই শব্দ আমদানির পেছনের উদ্দেশ্য শ্রেণী হিসেবে বিশেষ বিশেষ শ্রেণীকে সমাজে আলাদা করে প্রদর্শন করা।

সম্ভবত এর পরও আমি পরিষ্কার করতে পারিনি। পরে এ নিয়ে আরো কথা হতে পারে। ভালো থাকবেন।

১২২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মনজুরুল হক সাহেব,

আমার ১০১ নং কমেন্টের জবাব দিলেন বিশুদ্ধ ভদ্রলোকের মতো, কিন্তু ১০৪ নং কমেন্টে গিয়ে জবাব না দিয়ে ক্ষেপে গেলেন, ব্যাপারটা ধৃষ্টতাপূর্ণ ও অভদ্রজনোচিত। জবাব দিতে না পারলে এড়িয়ে যান, আপনাকে যে সবকিছু জানতে হবে বা বুঝতে হবে তাতো নয়, এবং যেগুলোর জবাব দিয়েছেন সেগুলো যে সবাই শিরোধার্য মেনে নিচ্ছেন তাও নয়। আপনি কিছু উদ্ভট বিতর্কের অবতারণা করছেন, যা উপরে অনেক ব্লগারই খণ্ডন করার চেষ্টা করেছেন। আপনি যদি আমার সাথে একমত না হোন, খুবই উত্তম, এবং আমিও আপনার সাথে একমত না বলেই কমেন্টে জানিয়েছি। কিন্তু আকস্মিকভাবে ২য় কমেন্টে অপমানজনক কথা লিখবেন, এটা অসামাজিক। ১০১ নং কমেন্টে আপনার রি-এ্যাকশন এরকম হলে আপনার সামান্য প্রজ্ঞার পরিচয় পেতাম, কিন্তু ১০৪ নং কমেন্টে রি-এ্যাক্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে আমার কমেন্টের জবাব আপনার জানা নেই। এটা খুব বোকামি করে ফেলেছেন মনজুরুল হক সাহেব। আর এ পোস্টটা স্টিকি করা হয়েছে, যেখানে সব ব্লগারের কমেন্ট দেবার মৌলিক অধিকার রয়েছে। আমার কমেন্টে আপত্তিকর কোনও কিছু ছিল না, যার দরুণ আপনি সংঘাতে নামতে পারেন।

আর আগে আপনার সাথে আমার কী হয়েছে তা মনে নেই। ব্লগে বা ফেইসবুকে অনেকের সাথেই অনেক মনোমালিন্য ঘটে থাকে, সেটা বেশিদিন ধরে রাখা সম্ভব হয় না বলেই আমার ধারণা। আর জেনে বা না জেনে যদি আপনাকে কোনওদিন মনোকষ্ট দিয়ে থাকি, প্লিজ, ক্ষমা করবেন।

১২৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৩৮

েমজবাহুল কাওছাইন বলেছেন: শুধু ২১ নয় , সব কিছুর মধ্যেই যে একটা লোকদেখানোর প্রতিযোগীতা চলছে, টিভি স্ক্রিন বা প্রতিকার পাতায় লেখা বা ছবিউঠানোই মুখ্য হয়ে উঠেছে , বুকের ভিতর লালন করা ভালবাসা নয় বরং মুল বিষয়ের থেকে আমি নিজেই যে বড় এটার একটা সুন্দর প্রতিচ্ছবি তুলে ধরার জন্য লেখককে ধন্যবাদ দেয়া যেতেই পারে । ৫২‌‌র একুশ আর ডিজিটাল ২১ এর মধ্যে পার্থক্য দেখলাম গতকাল রাত্রে- পত্রিকার পাতায় ফুলের মালা ও ব্যানার সহ ছবি তুলার জন্য শহীদ মিনারের মুল বেদিতে জুতা পায়ে উঠতে ও এতটুকু দ্বিধা করেনি কেও কেও.........

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:২৫

মনজুরুল হক বলেছেন: ভাইরে! আপনাকে-আমাকে কেউ যদি এখন বলে একাত্তরে ওটা স্বাধীনতার যুদ্ধ ছিল না। ছিল গৃহযুদ্ধ! তখন কি মনে হবে?

বেলেল্লপনা বা জুতা নিয়ে বেদিমূলে ওঠা তো সামান্য বিচ্যুতি। বড় শয়তানি হচ্ছে ভাষা আন্দোলনের মূল বিষয়কে ভুলিয়ে দেয়া! সেটা যে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ সেটাই আজ বিস্মরণ করিয়ে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

১২৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৪০

ক্রান্তিলগ্ন বলেছেন: বিজ্ঞাপন

১২৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:১৬

স্বপ্নবাজ জুয়েল বলেছেন: চমৎকার লাগলো।

কঠিনভাবে একমত।

কি করতে হবে বলুন, শুরু করি।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:২৭

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ। লেখকরা আর কি করতে পারে বলুন! তারা সমস্যাটা ধরিয়ে দিতে পারে। সমাধান করবেন যারা শাসন ক্ষমতায় আছেন তারা। তারা ব্যর্থ হলে সম্মিলিত জনগণ। তবে এখনো সে সময় আসেনি।

১২৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৩১

আজন্ম ক্রীতদাস বলেছেন: আমার দেখা মতে কিছু মানুষ আছে যারা কোন ব্যাপারের ভাল কোন অংশকে কে ভাল বলে, আর সমালোচনার যোগ্য কোন অংশকে সমালোচনা করে / আর এক প্রকার আছে যারা কোন ব্যাপারের কোন দোষই দেখে না, ওই নির্দিষ্ট ব্যাপারের সবই তার কাছে ভাল/ আর এক প্রকার আছে যারা কিছুই দেক্তারে না, সব কিছুতেই দোষ খুঁইজা পায়।
আপনে হইলেন তিন নাম্বার দলের। ভাষাদিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও আপনার ভাল ঠেকে না, রাষ্ট্রীয় ভাবে পালন করা হয় সেটাও ভাল ঠেকে না। এমনকি আমার বিশ্বাস, আজকে যদি শুধু প্রভাতফেরী পালন করা হত সেটাও আপনে দেক্তারতেন না। আপনে কইতেন, ঔপনিবেশীকতার বিরুদ্ধের আন্দোলন প্রভাতফেরীর মধ্যে আটকায়া রাখা হইছে।
সবকিছুর বিরুদ্ধে কওয়াটা এখন সুশীলতার স্টাইল হয়া গেছে।

কর্পোরেটদের ইতরামি আমারও পছন্দ না। কিন্তু একটা ব্যাপার ভাবেন, আজকে গ্রামীন, বাংলালিংক টাইপ কোম্পানীগুলা আপনার মতে আমাদের আবেগের জায়গা গুলা নিয়া বাণিজ্য করতেছে। তারা্ আমাদের দেশপ্রেম-স্বাধীনতা-ভাষা আন্দোলন এইসব নিয়া এ্যাড বানায়। আচ্ছা এমন যদি হইত তারা এইসব নিয়া কখনোই এ্যাড না বানাইয়া যার যার দেশের কোম্পানী তাদের আদর্শ অনুযায়ী এ্যাড বানাইতো তাহলে আপনি সেটা মাইনা নিতেন?
আমার কাছে বরঞ্চ মনে হয় এগুলো এসব কোম্পানীর আমাদের দেশের সংস্কৃতির কাছে পরাজয় স্বীকার করা। আমাদের দেশে বাণিজ্য করতেছে তাই আমাদের তেল দেয়া লাগতেছে। তারা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মত তাদের সংস্কৃতি আমাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে না। আমাগো টাকা তাগো পকেটে যাইতেছে এই আপত্তি থাকলে এইসব কোম্পানীগুলারে দেশ থিকা বিদায় করানোর ধান্ধা করেন। আমাগো চেতনা নিয়া তারা খেলতেছে এইসব ফাঁকা কথার দাম নাই।

অয়োময়ের কমেন্ট কাটলেন কেন বুঝলাম না। পোস্ট স্টিকি হওয়ায় এখন এইটা শুধু আপনার ব্যক্তিগত ইস্যু না যে ইচ্ছা হইল আর ধুম কইরা কাইটা দিলেন,আপনার লেখা এখন ব্লগ ইস্যু। এমনকি সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই এর কমেন্টের উত্তরেও আপনি মাথা গরম করা কথা ছাড়া ভাল কিছু বলেন নাই। অথচ তার কথা আমার কাছে যথেষ্ট যৌক্তিক মনে হল, সুউত্তর আশা করছি।




২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৫১

মনজুরুল হক বলেছেন: সুউত্তর আশা করছেন? আমার উত্তর "সু" নাই হতে পারে।

অয়োময় এর যেমন স্বাধীনতা আছে যা খুশি কমেন্ট করার তেমনি লেখকেরও স্বাধীনতা আছে সেই কমেন্টের উত্তর না দেয়ার। গত রাতে ৫/৬ বার করা কমেন্টের উত্তর না দেয়ায় তিনি সেই একই কমেন্ট ১২/১৪ বার করেছেন। আমি একটি রেখে বাকিগুলি মুছে দিয়েছিলাম। এর পর দেখলাম তিনি আমার নামে পোস্ট দিয়ে বসলেন। তখন সেই কমেন্টও মুছে দিয়েছি।

আর সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই এর বিষয়ে কথা না বাড়াই। তার বিষয় তাকেই ভাবতে দিন।
ধন্যবাদ।

১২৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৫০

আজন্ম ক্রীতদাস বলেছেন: অয়োময় এর কমেন্ট- ধরে নিচ্ছি আপনি ভুলে মুছে দিয়েছেন:
Click This Link

১২৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:২৯

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: লেখাটার খুব দরকার ছিল। স্যালুট মনজু ভাই!

=========================================

এই বেজন্মা করপোরেট কালচারের ভেতর যারা অতিকষ্টে নিরবে নিভৃতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের জন্য চোখের জল ফেলছেন তারা সেই দ্রোহ আর সংগ্রামের এই করুণ পরিনতি দেখে কি-ইবা করতে পারি! হ্যাঁ, একটি কাজই করতে পারি। আর তা হলো সেই সব বীর শহীদদের কাছে নতজানু হয়ে করজোড়ে ক্ষমা প্রর্থণা!

=========================================


২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩১

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ কুঙ্গ থাঙ। আপনাকে এখানে দেখব ভাবিনি। যা হোক।

যদিও বেশির ভাগ পাঠক সমস্যাটির গুরুত্ব বুঝতে পারছেন। তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়ে এই পোস্টকে সমৃদ্ধও করেছেন।

কিন্তু এখানেও কিছু মানুষের মনে হচ্ছে মনজুরুল হক করপোরেট পাহাড়ে টোকা দিয়ে কবিরা গুনাহ্ করে বসেছেন! এবার তাকে ফাঁসীতে ঝোলানো হোক। হা হা হা!

১২৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৩৮

আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: দারুন বিশ্লেষন!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:২৮

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ শান্ত।

১৩০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৫৭

মৃতস্বর বলেছেন: আমরা কেন জানি হেরে যাচ্ছি, কর্পোরেটওয়ালাদের বিপুল চেষ্টার বিপরীতে যেন কিছুই করবার ক্ষমতা নেই। অদ্ভুত লাগে যখন দেখি সবাই আফিমের নেশায় ডুবে আছে, কেউ বুঝতে চায়না বা বোঝার চেষ্টাও করেনা।

আমার মনেহয় একটা বিপরীত চিত্র যদি দেখানো যেত, তাহলে হয়ত আর এভাবে হারতে হতো না।

লেখাটি ভীষণ ভালো লেগেছে। লেখককে ধন্যবাদ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩৮

মনজুরুল হক বলেছেন: মনটা খারাপ করে দিলেন মৃতস্বর। প্রচণ্ড করপোরেট শক্তির বিরুদ্ধে ক্রমাগত সাত-আট বছর ধরে লিখে চলেছি পত্র-পত্রিকায়। সেই ক্ষেত্রেও কোনো সঙ্গী পাইনি। কেননা যারা সঙ্গী হবেন তারা বিক্রি হয়েছেন বা হওয়ার লাইনে আছেন।

এখানে এই ব্লগেও সেই একই দশা। একমাত্র আশা-ভরসা আপনারা যারা তরুন তাদের গর্জে ওঠা। আফিমের নেশায় যারা বুঁদ হয়ে আছেন থাকতে দিন তাদের সেভাবেই।
তাদের পেছনে ফেলে আপনারাই পারেন এই ধীরে অথচ নিশ্চিভাবে গ্রাস করতে থাকা দানবকে রুখে দিতে।

আমার কলম চলবে। আপনাদের মুষ্টিবদ্ধ হাত উদ্বেলিত হোক। সমন্বিত হোক। প্রতিবাদী হোক।

১৩১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:০৭

অনিক বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

একুশে ফেব্রুয়ারী এখন মেয়েদের গালে আলপনা আর ফুলে ফুলে সাজার ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে, শহীদ দিবস বা শোক দিবস এখন আর মাতৃভাষা রক্ষার সেই প্রতিবাদ আর সংগ্রামের প্রতীক নয় বরং আনন্দ আর উদ্দীপনা প্রকাশের দিন, ক্যামেরার সামনে নিজেকে জাহির করার প্রতিযোগিতা।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৫১

মনজুরুল হক বলেছেন: এরই প্রতিবাদে এই পোস্ট।
ধন্যবাদ আপনাকে সাহসী উচ্চারণের জন্য।

১৩২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:২৫

সত্যান্বেষী বলেছেন: কক বলেছেন: "শোক যদি শক্তিতে রুপান্তরীত হয়, সমস্যা কি? আপনি নিজে ভাষার জন্য কি করেছেন? কর্পোরেট দের গালী দেওয়ার আগে চিন্তা করেন ওরা বানিজ্য না করলে আপনার পেট কতটুকু খালি থাকতো?"

এবং একটি অবরোহী প্রমান:

আল্লাহতায়ালা মানুষের রিজিক দাতা।
কর্পোরেটগন খানা-খাদ্য দিয়ে ককের পেট ভরান।
সুতরাং কর্পোরেটগনই ককের *।


২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:০২

মনজুরুল হক বলেছেন:
সুতরাং কর্পোরেটগনই ককের *!!!!!

অত:পর আমি তাহাদের বুকে মোহরাঙ্কিত করিয়া দিয়াছি.......

১৩৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪৭

বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: অসাধারণ !!!!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:০৩

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ রুবেল।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:১৩

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ রুবেল।

১৩৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২১

সিস্টেম বলেছেন: করপোরেট বেনিয়াদের সঙ্গে শাসকদের এই সখ্যতা যে মহান একুশকে দ্রোহের প্রতীক থেকে ‘সেলিব্রেশন ডে’ বানিয়ে দিচ্ছে সেদিকে আমাদের বিদ্যা বুদ্ধির ব্যাপারিদের নজর আছে বলে মনে হচ্ছে না। তারা যে এই দিনকে সামনে রেখে বিভিন্ন ফ্যাশন ডিজাইন করছে, কস্টিউম বানাচ্ছে, শাড়ি-পাঞ্জাবীর জমিনে বর্ণমালা বসিয়ে সঙ সাজার প্রতিযোগীতা করছে, গালে-মুখে-হাতে-কপালে বর্ণমালা লিখে দিনটিকে রং উৎসব বা ‘কালারফুল ডে’ বানাচ্ছে


ভাই কাল রাতে আমাকে একজন ফেসবুকে বলল একুশের শুভেচ্ছা। আমি ২ মিনিট টাসকি খেয়ে বসে রইলাম। কোন জবাব দিলাম না।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:২১

মনজুরুল হক বলেছেন: ২০২১ সালের টুয়েন্টিফার্স্ট ডে ডিজে পার্টিতে ইনভাইট পেয়ে যেতে পারেন! তারও আগে পাবেন একুশ স্যুভেনির, একুশ পাঞ্জাবী, একুশ শাড়ি, একুশ চাবির রিং, একুশ কুর্তা।

কি আর বলবেন? বলবেন "হ্যাপী একুশে ফেব্রুয়ারি"!! দেখবেন তাতেও তারা হ্যাপী!

১৩৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৩৫

রাজুমেহদী বলেছেন: শুধু একুশ নিয়ে নয় , ভন্ড প্রতারক মুখুষ ধারি প্রচলিত রাজনিতী বিদদের মুখুশ খুলে দিন ধারুন লেখেছেন

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৩৬

মনজুরুল হক বলেছেন: তাই করা উচিৎ

১৩৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৩৯

চতুষ্কোণ বলেছেন: লেখাটির জন্য ধন্যবাদ মন্জুরুল ভাই।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:২৩

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

১৩৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:১৮

রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: মনজু ভাই, আপনার পোস্টের সূত্র ধরে একজনের খুঁচাখুঁচিতে একটা পোস্ট দিয়েছি-
'ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে ইসলাম ও তৎসংশ্লিষ্ট ঘটনাপ্রবাহ'বরাবরঃ অয়োময়

কিন্তু সে পোস্ট সংশ্লিষ্ট কথা না বলে খালি টাইপিং মিসটেক ধরে! :(

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৫৩

মনজুরুল হক বলেছেন: অনেক দিন ব্লগের বাইরে ছিলাম বলে নিকের পেছনের লোকটা চিনতে পারছি না।
হ্যাঁ, তার বানান ভুল ধরার বাতিক আছে। সময় নাই। অনেক কমেন্টের উত্তর দিতে হচ্ছে। তা না হলে তার বাঙলা ভাষার ঠিঁকুজি বের করা যেত!

আমি একটু পরই তোমার পোস্টে যাচ্ছি। আমার এই পোস্টে কমেন্ট, শেয়ার নিয়ে খুব ঝামেলায় আছি। কমেন্ট করলেই নেই হয়ে যাচ্ছে...!

ছাই ব্যবহার করে দেখতে পার....

১৩৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪০

নিশাচর নাইম বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:২৫

মনজুরুল হক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাইম।

১৩৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৯

মনির হাসান বলেছেন: আমাদের কর্পোরেশনগুলো ভ্যালেন্টাইন ডে আর একুশে ফেব্রুয়ারীকে একাতারে নিয়ে এসেছে । জোড়া হয়ে ফুল হাতে শাহবাগ, ধানমন্ডি রিকশায় ঘোরার দিন ।

কর্পোরেশন কে যতনা দোষ দেব তার থেকে বেশি দোষ দেব আমাদের বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলো যারা এই সব কর্পোরেশনের পা চেটে জীবিকা নির্বাহ করে। এসব বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠানের কারা থাকে জানেন নিশ্চয়ই। আমাদের শিল্প সচেতন শ্রেনী এবং হবু বুদ্ধিজীবিরা।

নিঃসন্দেহে তাদের ধরে রামথাব্রা দেয়ার সময় হয়েছে। আপনার পোস্টা একটু হলেও সে কাজ করেছে।


তবে মনজু ভাই কিছু দ্বিমত আছে ... আমার ইদানিং চিন্তা হচ্ছে আমরা কি চেতনার মৌলবাদী হয়ে যাচ্ছি কিনা ?
চেতনার মৌলবাদী ব্যাপারটা ভালো না খারাপ ? জানিনা । যদিও দুই পক্ষেই আমার নিজস্ব যুক্তি আছে ... তবু এখনও সিদ্ধান্তে আসতে পারছিনা ।

ভালো থাকুন।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৪১

মনজুরুল হক বলেছেন: হাহাহা! মনির। মনজুরুল হক আর যাই হোক চেতনার ব্যাপারি নয়। তবে একটি ব্যাপারে আমি "মৌলবাদী" সেটি হচ্ছে .......

"শৃঙ্খল ছাড়া সর্বহারার হারাবার কিছু নেই/জয় করার জন্য রয়েছে গোটা বিশ্ব"।

১৪০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৫৯

সাজু কাজী বলেছেন: নতজানু হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
লেখককে ধন্যবাদ

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:২৭

মনজুরুল হক বলেছেন: আমাদের ঘোরলাগা আবেগ কেটে যাক। চেতনার মুক্তি ঘটুক। আমরা দ্রোহ আর প্রতিবাদকে শ্রদ্ধা করতে শিখি.....

১৪১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০১

আবিদ ফয়সাল বলেছেন: এভাবে চলতে থাকলে দুহাজার ত্রিশ সালেও বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ‘অন্যতম যোদ্ধা’ আবিষ্কার সম্ভব! এমনকি গানিতিক নিয়মে সেই ‘যোদ্ধার’ বয়স বায়ান্নতে এক বছর হলেও!


চরম সত্য বলেছেন । আমরা যথার্থই নিরুপায় ওদের বিরুদ্বে রুখে দাড়াতে । মাঝে মধ্যে মনে হয় সালাম, রফিক আর বরকতদেরকে আরেকবার জাগিয়ে তুলি আর ধ্বংস করে দেই এই বেনিয়াদের !!!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৪২

মনজুরুল হক বলেছেন: খুব সহজে এদের ধ্বংস করা যাবে না।
এর জন্য দরকার হবে লাগাতার প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ।

১৪২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:১৩

সুখী বাঙ্গালী বলেছেন: একুশ হচ্ছে জীবন দিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ। সেই অন্যায়কারীরাই যখন শহীদ মিনারের দখল নিয়ে ফুল দিয়ে শহীদদের সাথে কৌতুক করে তখন একেকবার মনে হয় শহীদ মিনার থেকে শহীদেরা বেরিয়ে এসে এদের গালে একটা চপেটাঘাত বসিয়ে দেবে। এটা একান্তই আমার অনুভুতি।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:১৯

মনজুরুল হক বলেছেন: তা আর হচ্ছে কই?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৪৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:১৬

সুখী বাঙ্গালী বলেছেন: একুশ হচ্ছে জীবন দিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ। সেই অন্যায়কারীরাই যখন শহীদ মিনারের দখল নিয়ে ফুল দিয়ে শহীদদের সাথে কৌতুক করে তখন একেকবার মনে হয় শহীদ মিনার থেকে শহীদেরা বেরিয়ে এসে এদের গালে একটা চপেটাঘাত বসিয়ে দেবে। এটা একান্তই আমার অনুভুতি।

১৪৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:১৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি আসলাম!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৪৯

মনজুরুল হক বলেছেন: আসলেন তো ভাল করলেন। এবার বসুন। দেখি আপনার কমেন্টের উত্তর দিতে পারি কি না!

১৪৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:৩০

স্বপীল বলেছেন: কার লেখায় যেন পড়েছিলাম ঠিক মনে পড়ছে না....বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় শহীদ হচ্ছে সত্য........যে চেতনায় ৫২'র ভাষা আন্দোলন সে চেতনা আজ পুঁজিবাদের ধারালো থাবায় ক্রমশ বিবর্ণ হচ্ছে....২৪শে ফেব্রুয়ারি তথাকথিত বিগ শো'র বেড়াজালে আটকে থাকবে না বাংলাদেশ...........বিপ্লবের পথচলা এখনো থেমে যায়নি.....৫২'র চেতনায় হবে বিপ্লব,বিপ্লবেই মুক্তি.................

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৫১

মনজুরুল হক বলেছেন: আমিও মনে করতে পারছি না। তবে কথাগুলি অসাধারণ।

১৪৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৫:২৬

অপ্রিয় সত্য ৭০০ বলেছেন: কাছে থাকুন.... ভালোবাসার টানে কাছে আনে.....ক্লিয়ারলি এহেড.....বি'কজ উই কেয়ার.!!!
+++

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৫৪

মনজুরুল হক বলেছেন: বাঙালি ভাবিতেছে তাহারা আমাদের "কেয়ার" লইতেছে তাহাই আমাদিগের চৌদ্দ পুরুষের ভাগ্যি! আহা ধন্য ধন্য তব প্রেম হে বহুজাতিক ব্যাপারি!

১৪৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:০৮

সুখী বাঙ্গালী বলেছেন: ঘুনেপোকা বলেছেন: ১৯৭২ সালের আগ পর্যন্ত একুশে ফেব্রুয়ারিতে খুব ভোরে লখো মানুষ খালি পায়ে শহীদ বেদিমূলে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছিল। সেই শ্রদ্ধা নিবেদনে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিলনা। ছিল ভাইয়ের রক্তে কেনা মায়ের ভাষার প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা

সহমত।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৫৬

মনজুরুল হক বলেছেন: আমিও সহমত ।

১৪৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:২৬

কক বলেছেন: স্টিকি পোস্টের লেখকের একটা সাধারণ সমস্যা হচ্ছে অনেকেই এখানে এসে দ্বিমত প্রকাশ করবেন। কিন্তু এখানে তিনি যা বললেন অন্যত্র হয়ত তার উল্টোটা বলবেন। তবুও তর্কের খাতিরে তর্ক চালিয়ে যাবেন।

আপ্নি বুঝি এমনটাই করেন? পোস্ট স্টিকি হইসে দেইখা মাথাডা আপ্নার গেসে। এমন ২/৪টা পোস্ট আমারও স্টিকি হইসে.....সব ড্রাফ কইরা রাখসি.....আমিতো ঐরকম সমস্যায় পরি নাই।
যাইহোক ....আলোচনা ভিন্নদিকে ধাবিত করার জন্য দুঃখিত। তবে কর্পোরেট সোসাল রেসপন্সিভিলিটি বলতে একটা কথা আছে। কর্পোরেটের খাইয়া কর্পোরেটেরে গালী দিলে খারাপ লাগে। এই দেখেন সামু......হেগোর ইনকাম থাকলে হেরাও কর্পোরেটগীরি ফলাইতো....টাকা নাই দেইখা আপ্নার এই পোস্ট স্টীকি করসে। আপ্নেও চরম ধর্জের সাথে উত্তর দিয়া যাইতাসেন। যাগোর যুক্তি ভালো লাগতাসে না.....হেগোরটা এভয়েড করতাসেন......এটাও আপ্নার গনতান্ত্রিক অধিকার;)....কিচ্ছু করার নাই।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:০৫

মনজুরুল হক বলেছেন: এই তো কি সুন্দর গুছাইয়া কহিতেছেন! আপনি যে বরাবরই গুছাইয়া কহিতে পারঙ্গম তাহা জানিতাম। তবে এই নিক হইতেও যে তাহা অব্যাহত রাখিতে সক্ষম হইবেন তা বিন্দুপরিমানে আঁচ করিতে পারি নাই।

তবে আপনি বিলক্ষণ জ্ঞাত আছেন যে আমি কর্পোরেটের খাইওনা পরিওনা। আর সামু বিষয়ে বোধ করি আপনার একটু রহিয়া সহিয়া বাক্য প্রক্ষেপণ করা শোভন হইবে। কেন তাহা আপনি সাম্যক অবগত।

গণতান্ত্রিক অধিকার। কিচ্চু করার নাই।:)

১৪৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৪২

ছোটমির্জা বলেছেন:
কোন উৎসব কেমন হবে তা আজ শেফ দেয়- কর্পোরেট।
আমাদের (শোক, বিজয়, ঈদ, নবান্ন, পুজা) উৎসব আজ হয়ে গেলে - যুগলের মহড়া দেবার উপলক্ষ মাত্র। লগে তাদের দেশপ্রেমী (পকেট পড়বেন) ভালবাসা ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:১১

মনজুরুল হক বলেছেন: ভালো বলেছেন মির্জা।

১৫০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৪৮

শাহেদ খান বলেছেন: অনেক রকম বিতর্ক হচ্ছে দেখছি!

যাই হোক ভাইয়া, "একুশে" উদযাপন নিয়ে অপব্যবহার কিন্তু বাঙালীর নতুন স্বভাব নয়, আমার খুব প্রিয় লেখক জহির রায়হানের এই লেখাটি পড়ে আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম...

কয়েকটি সংলাপ ('জহির রায়হান' রচিত)

আমরা চিরটাকাল হয়তো এমনটাই ছিলাম !

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:১৫

মনজুরুল হক বলেছেন: আমরা চিরটাকাল হয়তো এমনটাই ছিলাম !

আসলেই। আমরা কোনো কালেও সত্যিকারের গৌরবকে গৌরবে মহিমান্বিত করতে পারিনি। যা কিছু অগৌরব তা সানন্দে গ্রহণ করেছি।

১৫১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:২৩

মুহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেছেন: আমাদের গর্বের সবকিছু নিয়েই তো বানিজ্য হচ্ছে।অন্যদের দেশেও এরকম হয়।মুক্ত বাজার অর্থনীতির দেশে এটাই স্বাভাবিক।তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে আমাদের গর্বটাই হারিয়ে না যায় আনুষ্ঠানিকতার আড়ালে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩৬

মনজুরুল হক বলেছেন: হারিয়ে যাওয়ার খেসারতটা খুব কঠিনভাবে মেটাতে হয়। করপোরেটের হাত ধরে যে এদেশকেও তাদের মোড়লরা ইরাক বা আফগানিস্তান বানাবে না তার গ্যারান্টি কে দেবে? কেউ না। প্রথমে বাণিজ্য। পরে দখল। বিশ্বায়নের যুগে এখন আর সৈন্য সামন্ত নিয়ে দেশ জয় করার দরকার নেই। বাজার দখল করতে পারলেই চলে। বাজারই দেশকে তুলে দেবে তাদের হাতে।

১৫২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৪৫

শরিফ নজমুল বলেছেন: লিখাটা বরাবরের মতই ভাল হয়েছে।
ধন্যবাদ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫৫

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ শরিফ নজমুল।

১৫৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:১২

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: লেখক বলেছেন: খলিল সাহেবের এটা কততম নিক?
----------------------------------------------
আপনি নিজে একজন লেখক এবং বিশাল পোস্ট দিয়ে ২১শে সম্পর্কে আপনার অনেক ধারনা শেয়ার করলেন। নিজেকে সামথিং স্পেশাল হিসেবে প্রমান দেয়ারও চেষ্টা করলেন/ কিন্তু কমেন্ট করলেন আমার মত একজন জেনারেল পাবলিকের মত, এটা কি ঠিক হলো?

তাহলে সবারই কি এই রকম কততম নিক আছে? আপনার কয়টা নিক আছে লিস্টিটা দিবেন, জানা থাকবে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৪৭

মনজুরুল হক বলেছেন: ভুল হতে পারে। আপনাকে যার নিক বলে মনে করেছি আপনি সে না হলে দুঃখিত।
ভুলে যাবেন আশা করি।

তবে "স্টিকি পোস্টটি সরানো হোক......................" বলে যে মন্তব্য করেছেন সেটা কোন ক্ষোভ থেকে করলেন জানতে পারলে ভাল লাগত।

১৫৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:১৯

ম.শরীফ বলেছেন: লিখাটা ভাল লাগল।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৪৯

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৫০

কাঠুরিয়া. বলেছেন: চলেন বস্‌ !
এই উপলক্ষ্যে একটা বিপ্লব কইরা ফ্যালাই।

১৫৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:১৭

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: বুর্জোয়া সংস্কৃতি শব্দজোড় আক্ষরিকতা না ভেবেই বলেছি। কর্পোরেশন তো ক্যাপিটালিজমেরই অংশ!

আপনি এই জায়গায় অন্যত্র চলে গেছেন। আমি বলতে চাই, বাঙলা ব্যবহার যেখানে সম্ভব, সেখানে ইংরেজী শব্দ আনয়ন আমি দূষণীয় দেখি।


আরেকটা কথা, আপনি যেরকম নিজের মাথার নিরাপত্তা নিয়ে চেতনা ভাষাশহীদদের অপমান মেনে নিয়েছেন, আমরা সবাই এরকম করছি।

বুঝতে পারছেন, কেন চেতনার আগুনে এখন আর তাপ নেই,কেন কর্পোরেট নৃত্য সব জায়গায়?

সমস্যা বেশী আমাদেরই।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৫১

মনজুরুল হক বলেছেন: একা থেকে বহুজন হওয়ার চেষ্টাতেই এই পোস্ট।
তবে এটাই শেষ কথা নয়।
এমন আরো শত সহস্র প্রতিবাদ অব্যাহত থাকলে
তবেই প্রতিরোধ আশা করা যায়।

১৫৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৩৮

বলাক০৪ বলেছেন: কি বলতে চাচ্ছেন বুঝেছি মনে হয়। তবে আমার ভয় আরও গভীর। ভয় হয়, কবে না আমরে একুশের কথা সম্পূর্ণই ভুলে গিয়ে সেই দিনটাতেই না বসন্ত কিম্বা পিঠা উৎসব আয়োজন করি। ভাবতেও ভয় হচ্ছে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫৯

মনজুরুল হক বলেছেন: আলামত সেই রকমই। আর আপনার ভয়টা অমুলক নয়।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:০৮

ভোলেবাবা বলেছেন: একুশে ফেব্রুয়ারি এখন হয়েছে ভন্ডামী করার বড় একটি উপলক্ষ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৪

মনজুরুল হক বলেছেন: ভোলেবাবা। আমি এতটা রূঢ়ভাবে বলছি না। বলছি আনুষ্ঠানিকতাসর্বস্ব!অবশ্য এটাও এক অর্থে ভণ্ডামি বোঝায়।

১৫৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:২১

মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধূরী বলেছেন: ধন্যবাদ মনজুরুল হক আপনাকে...বর্তমান সময়ে একুশের শোক দিবস পালনেও কর্পোরেট মানষিকতার রুপকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য।
-------------------------------------------------------------------------------
ছোটবেলার প্রভাবফেরী আর বর্তমান সময়ের মধ্যরাতে ঘটা করে একুশের বেদীতে ফুল দেওয়া প্রতিযোগীতা দেখে সত্যি অবাক লাগে....... এটাকি শহীদ দিবস? শোকের দিন? নাকি একুশে ফেব্রুয়ারী নামক মাতৃভাষার জন্মদিন?
২১শের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসে রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের টিভিতে চেহারা প্রর্দশনের সেই কি প্রাণান্তর চেষ্টা, আহারে! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কোন মতে দু,এক জন আগলে রেখেছেন, তবে পিছন থেকে ঠেলাঠেলির কি এক প্রতিযোগীতা..যেন সেই নেতা বা নেত্রী তার নিজ হাতে ফুলের স্তবকটি ছুঁয়ে বেদীতে না রাখলে যেন শহীদরা তার উপর নাখোশ হবেন। আসলে এটা কি শহীদদের আত্নত্যাগের প্রতি তাদের ভালবাসার উপচে পড়া, নাকি টিভিতে নিজের চেহারা প্রদর্শন করে নিজেকে বড় নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা প্রাণান্তর চেষ্ঠা?
একই রুপ বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শহীদ বেদীতে ফুল দেওয়ার সময় সৃষ্টি হলো। খালেদা জিয়ার পাশে জয়নাল আবেদীন ফারুক অন্য নেতাদের ধাক্কায় প্রায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ার অবস্থা...তারপর বেগম জিয়ার চোখ বড় করে চাহনীও যেন ততটা কাজ দিচ্ছে না। মওদুদ সাহেব কোন মতে ধাক্কা সামলিয়ে বেগম জিয়াকে রক্ষার চেষ্টায় ছিলেন। অন্য দিকে বাম দলের জনাব বাদল ও হাসানুল হক ইনুর ফুলের স্তবকটি অন্য এক নেতা জোর করে আগেই শহীদ বেদীতে দেওয়ার চেষ্টায় জনাব বাদল সাহেবে অসহায় চাহনী ও হাসানুল হক ইনুর চোখ রাঁঙ্গানি কোনাটায় কি টিভি দর্শকদের চোখ এড়েয়ে গেছে?আর বারে বারে বিটিভির অনুষ্ঠান উপস্থাপক রামেন্দ্র মজুমদারের শৃংখলা নষ্ট না করে সুন্দর ভাবে সবাইকে শ্রদ্ধা জানানোর আহবান সত্ত্বেও এই প্রতিযোগীতা থামেনি। স্বাভাবিক ভাবে মনে প্রশ্ন জাগে রাজনৈতিক নেতাদের নিজেকে জাহির করার কেন এই প্রতিযোগীতা শহীদ বেদীতে গিয়েও? এটা কি শহীদের আত্নত্যাগকে সম্মান জানানো? নাকি লাইভ টিভি কাষ্টিং-এ কোন ফুল দেওয়ার প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠান?

ধন্যবাদ সবাইকে।
দেখুন অমর একুশ নিয়ে লেখা একটি পোষ্ট:- অমর একুশে:: এক রক্তাক্ত স্মৃতির ইতিহাস::

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১০

মনজুরুল হক বলেছেন: "২১শের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসে রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের টিভিতে চেহারা প্রর্দশনের সেই কি প্রাণান্তর চেষ্টা, আহারে! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কোন মতে দু,এক জন আগলে রেখেছেন, তবে পিছন থেকে ঠেলাঠেলির কি এক প্রতিযোগীতা..যেন সেই নেতা বা নেত্রী তার নিজ হাতে ফুলের স্তবকটি ছুঁয়ে বেদীতে না রাখলে যেন শহীদরা তার উপর নাখোশ হবেন। আসলে এটা কি শহীদদের আত্নত্যাগের প্রতি তাদের ভালবাসার উপচে পড়া, নাকি টিভিতে নিজের চেহারা প্রদর্শন করে নিজেকে বড় নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা প্রাণান্তর চেষ্ঠা?
একই রুপ বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শহীদ বেদীতে ফুল দেওয়ার সময় সৃষ্টি হলো। খালেদা জিয়ার পাশে জয়নাল আবেদীন ফারুক অন্য নেতাদের ধাক্কায় প্রায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ার অবস্থা...তারপর বেগম জিয়ার চোখ বড় করে চাহনীও যেন ততটা কাজ দিচ্ছে না। মওদুদ সাহেব কোন মতে ধাক্কা সামলিয়ে বেগম জিয়াকে রক্ষার চেষ্টায় ছিলেন।"

বছরের পর বছর এই নাটক হয়ে আসছে। বাইরের কেউ দেখলে লজ্জা পাবে! এই হচ্ছে আমাদের জাতীয় নেতা-নেত্রীদের অবস্থা। তাহলে এবার চিন্তা করুন ডিজুস প্রজন্ম কি করতে পারে! ভয়টা ওখানেই। প্রতি বছরই এই কামড়াকামড়ি বেড়ে চলেছে। নতুন প্রজন্ম এসব দেখছে আর "আদর্শ শিক্ষা" ভেবে তাই-ই অনুকরণ করছে।
একটু পরেই আপনার পোস্টে যাচ্ছি।

১৬০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:৪৩

কোহিন বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম,
একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি একসময় ছিলো জাতীয় শোক-দিবস। আমরা শোককে শক্তিতে পরিণত না করিয়া তাহার বদলে উৎসবে পরিণত করিয়াছি। তাহার পরে হঠাৎ করিয়া বলা শুরু হইলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস!!! আমার শোক আর আমার রহিলো না। তাহা ছিনতাই করা হইলো।
তথাকথিত আন্তর্জাতিকতার দোহাই দিয়া মুখবন্ধের চেষ্টা করা হইলো।
আরেকটি বিষয়। ১৯৫২ সালে যাহারাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়/ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছিলেন--তাহাদিগকেই এখন ধরিয়া আনিয়া ভাষা-সৈনিক বানানোর কসরৎ চলিতেছে।
অথচ ইতিহাস অন্য কথা কহিয়া থাকে। সেইদিন এই আন্দোলন ঢাকা শহরে কোনো প্রতিক্রয়া সৃষ্টি করিতে পারে নাই। যতক্ষণ না ছাত্র-হত্যার ঘটনা ঘটিয়াছে।
এতো ভাষা-সৈনিক কাহারা কী উদ্দেশ্য সংগ্রহ করিতেছে সেই বিষয়েও সজাগ হইবার প্রয়োজন রহিয়াছে।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
ছহি-ছালামতে থাকিবেন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১৭

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। ঘটনা প্রবাহ এই রকমই। এখন কি করা যাবে?
আমি বলছি, আসুন আমরা প্রতিবাদ অব্যাহত রাখি।

১৬১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৪০

মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: হ্যাঁ...

১৬২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৩০

সত্যান্বেষী বলেছেন: মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: "হ্যাঁ..."

সত্যি বলতে কি আপনার এই "হ্যাঁ..." টা আমার কাছে খুবই রহস্যময় লাগল। কেন যেন জানতে ইচ্ছে হয় এই "হ্যাঁ"র গুঢ়ার্থ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৯

মনজুরুল হক বলেছেন: সব গুঢ়ার্থ জানতে নেই সত্যান্বেষী!

মুর্শীদ বলিয়াছেন;
কিবা অর্থ, কিবা অনর্থ
তাহা খুঁজিতে
কেন রে মন তৃষার্ত?

১৬৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

তাহিন বলেছেন: সামাজিক দায়বদ্ধতার নামে কোম্পানিগুলোর নব্য বিজ্ঞাপনের কার্যক্রম বন্ধ করা উচিত। জাতীয় বিষয়ে এ ধরনের বিজ্ঞাপন তাদের প্রচারণাকে গতিশীল করে।

কোম্পানিগুলোর এধরনের কার্যক্রমকে বন্ধ করে.. তাদের কাজের প্রেক্ষিত পরিবেশ, প্রকৃতি ও মানুষের যে ক্ষতি হচ্ছে তার জন্য ক্ষতিপুরণ দিতে বাধ্য করা। সামাজিক দায়বদ্ধতার নামে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকারী কার্যক্রম ও মানুষের উপর প্রভাব বিস্তারের কার্যক্রম বন্ধ করা উচিত।

স্বাধীনতার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্থনৈতিক শোষন হতে মুক্ত করা। মোবাইল কোম্পানিগুলোর কাছে যোগাযোগখাত জিম্মি, মানুষ আজ অর্থনেতিক শোষনের

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৫৩

মনজুরুল হক বলেছেন: করপোরেট পুঁজির কাছে সবাই অসহায়। বাজার অর্থনীতি অবাধে চলতেও দেব, আবার নিয়ন্ত্রণও রাখব! তা তো হবে না! অবাধ বাণিজ্যের কালিমা গায়ে না মেখে উপায় কই?

হ্যাঁ, জাতীয় গরিমা-গৌরব এসব বিক্রির পেছনে আপনার-আমার স্বার্থ নেই। আমরা তা পারিও না। যারা পারেন, নিশ্চই তাদের স্বার্থ সেখানে নিহীত।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৬৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:০৫

বাকী বিল্লাহ বলেছেন: মধ্যরাতের একুশ আমাদের নয়...

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৫৮

মনজুরুল হক বলেছেন: আমাদের একুশ দ্রোহ, প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের। একুশ আমাদের প্রেরণা। সেই প্রেরণা কোনোভাবেই আমাদের এক দিনের আনন্দোৎসব নয়!!

১৬৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪৩

মাহবুব লীলেন বলেছেন:
আমার অনেকগুলো কথা বলে দিলেন
স্যালুট স্যার

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৫

মনজুরুল হক বলেছেন: কৃতজ্ঞতা লীলেন।
তবে এই নগণ্য মানুষকে স্যালুট দিয়ে বিব্রত করা কেন ভাই!

১৬৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫০

উসীমজদ্দীন বলেছেন: যদি আগামী কয়েক বছর পর শহীদ দিবসে জমজমাট কনসার্টের আয়োজন করে বলিউড-হলিউডের নামকরা গাইয়ে বা অভিনেতা এনে পুষ্পার্ঘ অর্পণের ডেমো করা হয়!

অবাক হওয়ার কিছু নেই!

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০১

মনজুরুল হক বলেছেন: আমি অন্তত অবাক হব না!

১৬৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫৮

তাশমিয়া বলেছেন: প্রচন্ড ক্ষোভ এবং আক্রোশ থেকে লেখা মনে হল।তাই হয়ত অনেক ক্ষেত্রেই ভাবনার অতিরন্ঞ্জন হয়েছে।

যেমন ২য় রাষ্ট্রভাষা হিসাবে আরবীকে মেনে নেয়া হবে এই চিন্তাটিকে অযৌক্তিক মনে হল।ধর্ম অলরেডী বেশিরভাগ মানুষের জীবনে আছে তাই সাম্প্রদায়িক মানসিকতার লোকজন ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে দেখতে চায়।অন্যদিকে বেশীরভাগ লোকে আরবী জানে না।তাই আরবী এদেশে রাজনৈতিক এবং সামাজিক কোন ক্ষেত্রেই গুরুত্ব পাবে না।

আবার,ভাষাসৈনিক শব্দটা যে উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হোকনা কেন,এর আবেদন মোটেও সেনাবাহিনীকেন্দ্রিক নয়।বরং শব্দটা সংগ্রামী মানসিকতা তুলে ধরে।

অন্যদিকে অতিরিক্ত বাণিজ্যিকীকরণ যে ভাষা আন্দোলন এবং সেই সাথে অন্যান্য জাতীয় গৌরবের বিষয়গুলোকে খুবই অগভীর এবং হালকাভাবে প্রকাশ করছে সেই বিষয়ে একমত প্রকাশ করছি।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:২৮

মনজুরুল হক বলেছেন: শুধু তাই নয়, ঘৃণাও।
১. পোস্ট আর একবার দেখুন। বলা হয়েছেঃ "যদি কোনো কারণে সরকার ঘোষণা করে"!
ধরে নিন সরকার তেমন ঘোষণা করবে না। মিটে গেল তো! এবার বলুন, ৭২ এর সংবিধান পুর্নমুদ্রণ বা পুনঃপ্রকাশ অথবা প্রথ্যাবর্তন যা-ই বলি সেখানে কি "বিসমিল্লাহ" এবং "রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম" ছিল? উত্তর হচ্ছে, না। তাহলে সেটা মেনে নিলাম কিভাবে? সংবাদপত্রে সামান্য লেখালেখির পর তো সবাই মেনে নিলাম। এ কারণে উপমাটি দেয়া হয়েছে।
২.সৈন্য শব্দটার ভেতরে এক ধরণের সামরিকীকরণের চিন্তা লুকোনো।
জিয়ার সামরিক শাসনে আগে সৈনিক বলা হত না।৫২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত ভাষা শহীদরা ভাষা শহীদই থাকলেন। হঠাৎ ৭৫ এর পর থেকে তাদের সৈনিক হতে হবে কেন? কলমজীবী যিনি লিখে জীবিকা নির্বাহ করেন তাকেও কেন "কলম সৈনিক" বলা হবে? তাহলে আমরা যারা ব্লগে লিখছি তারা "ব্লগ সৈনিক"! এভাবে উত্তরণ ঘটতে ঘটতে "ব্লগ মেজর", "ব্লগ জেনারেল", ফিল্ড মার্শাল!! কেন?

যে লোকটি গতর খেটে জীবিকা নির্বাহ করে তাকে কি "শ্রমসৈনিক" গার্মেন্ট শ্রমিককে কি "সেলাইসৈনিক" বলা হচ্ছে? না। কেননা তাহলে তো শ্রেণী বিভাজন সম্পূর্ণ হয়না! এই শব্দ আমদানির পেছনের উদ্দেশ্য শ্রেণী হিসেবে বিশেষ বিশেষ শ্রেণীকে সমাজে আলাদা করে প্রদর্শন করা।

ধন্যবাদ।

১৬৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৫

বিবর্তনবাদী বলেছেন: সব কথার বড় কথা হচ্ছে, বাংলা নিয়ে এখন যা চলছে তা কিন্তু তরুণ প্রজন্ম সাদরে গ্রহন করছে। অর্থাৎ এর ডিমান্ড আছে। আর যার ডিমান্ড আছে তা টিকে থাকতে বাধ্য।

জগদীশ চন্দ্র বসু তার গবেষণাকর্মগুলো বাংলা ভাষায় প্রকাশ করার চেষ্টা করতেন। একসময় ক্ষান্ত দিলেন কারন বাংলায় তার পাঠক নেই। সাধারণ লোক পদার্থবিদ্যা বোঝে না, যিনি বোঝেন তার ঝোঁক ইংরেজীতে পড়ার।

অতএব, সময়ের সাথে অভিজোতিত হয়েই ভাষা টিকে থাকবে নতুন রূপে। আমাদের বাংলাভাষা এখন যেমন তেমন আগে ছিল না। তেমনি, এখন যেমন তেমনি ভবিষ্যতেও থাকবে না।

চেতনা প্রকাশের মাধ্যমও এখন নতুন। একসময় রাস্তায় দেওয়ালে চিকা মেরে প্রতিবাদ হত, এখন ব্লগিং করেও সরকার ফেলার আন্দোলন পরিচালনা করা যায়। একুশে ফেব্রুয়ারির ব্যাপারটাও এমনই মনে হয়।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৩

মনজুরুল হক বলেছেন: "তরুণ প্রজন্ম সাদরে গ্রহন করছে। অর্থাৎ এর ডিমান্ড আছে। আর যার ডিমান্ড আছে তা টিকে থাকতে বাধ্য। "
বাহ্, বেশ ভাল বললেন তো! তার মানে সমাজে যার ডিমান্ড বা চাহিদা আছে তা তরুন প্রজন্ম সাদরে গ্রহণ করছে! বেশ তো, যতদূর বুঝি তরুনদের আরো কিছু বিষয়ের ডিমান্ড বা চাহিদা আছে। যেমন, অবাধে মেলামেশা, লিভ টুগেদার, রগরগে ছবি দেখা, মিলা-জেমসদের রক্ত গরম করা কনসার্ট দেখা ইত্যাদি ইত্যাদি। সে সময় আবার রে রে করে ওঠেন কেন সমাজপতিরা? ওই ডিমান্ডগুলোকি ডিমান্ড নয়? কি বলেন বিবর্তনবাদী?

বিষয়টি এমন নয়। ওসব ডিমান্ড টিমান্ড কিছু না। এসব গেলানো হচ্ছে। খাওয়ানো নয় কিন্তু! গেলানো। পেট ভরা থাকলে খাওয়নো যায় না। তখন গেলাতে হয়।

কোনো অনুপান ছাড়াই মহান একুশে ফেব্রুয়ারি তার স্বকীতা নিয়ে বছরের পর বছর
পালিত হয়ে আসছিল। বাঙলা বাঙলার মত ঠিকই ছিল। তাকে সাজসজ্জা দিয়ে নতুনরূপে হাজির করার পেছনে যে করপোরেট স্বার্থ সেটি আপনি আমলে নিচ্ছেন না। এটাও করপোরেট "সাফল্য"। বদলে দাও! ভোঁতা করে দাও! জয় করপোরেট বাবার জয়!!!

১৬৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৪১

বাঘ মামা বলেছেন: আপনার লেখায় অনেক যুক্তিকতা থাকলেও এখানে ক্ষোভ ও আবেগের দখল ছিলো বেশি,

দেশ,ধর্ম,ইতিহাস ও র্রাষ্টযন্ত্রের মত বড় বিষয় গুলো নিয়ে লিখতে গেলে কখনো দলিল বহির্ভুত বক্তব্য ও আবেগ মোড়ানো কথা ষ্টিকি পর্যায়ে আসেনা,তবে আপনার পোস্ট থেকে জানার বুঝার ও বুঝানোর অনেক কিছু আছে,এবং এই পোস্ট সময় উপযোগী তা থেকে বের হবার উপায় নেই,এমন পোস্ট গুলো নিয়ে আলোচনা হলে অনেক বিষয় উঠে আসে,অনেক ভ্রান্ত ও ভুল ব্যাখ্যার অবসান হয়,তা নিয়ে পরে আবার আসছি।

তবে পোস্ট ভালো লেগেছে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৫১

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনার কাছে আরো আলোচনা আশা করছি।

১৭০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০৪

পারভেজ আলম বলেছেন: সময়োপযোগী পোস্টের জন্য আপনাকে এবং পোস্ট স্টিকি করায় সামুকে ধন্যবাদ। গতবছর এই বিষয়ে কিছু পোস্ট দিছিলাম। একুশের চেতনা সহজাত ভাবেই গোলকায়নের নামে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী, এই চেতনাকে গোলকায়নের ফাদে ফেললে আমরাই ফাদে আটকা পরি।

আবারো ধন্যবাদ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৫৩

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পারভেজ।
এ বিষয়ে আরো কথা হবে।
ভাল থাকুন।

১৭১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:১৩

সাদাকালো` বলেছেন: প্রিয়তে +++++

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৫৬

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ সাদাকালো।

১৭২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৪০

সবুজ০০৭০০৭ বলেছেন: অসাধারন লেখার জন্য ধন্যবাদ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৫৭

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৭৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৪১

সবুজ০০৭০০৭ বলেছেন: অবস্বই প্রিয়তে।

১৭৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৫৫

কক বলেছেন: আর সামু বিষয়ে বোধ করি আপনার একটু রহিয়া সহিয়া বাক্য প্রক্ষেপণ করা শোভন হইবে। কেন তাহা আপনি সাম্যক অবগত।

সামু আমাকে ব্যান করিলে ব্লগাইবো না......উনারা ব্যান করিতেই পারেন
কারন ইহাও উনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিচ্চু করার নাই;)

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:০০

মনজুরুল হক বলেছেন: উহারা যে আপনাকে ব্যান নামক কলঙ্কতিলক পরাইবে না তাহাও আপনি সাম্যক অবগত।

কিচ্ছু করার আছে?

১৭৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:২০

নষ্টালজিয়া বলেছেন: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে এগুলো মেনে নিতেই হবে। মেনে নানেয়া মানেই ডিজিটাল এর 'টাল' সামলাতে নাপারার ব্যার্থতা! চিন্তা ভাবনায় আমাদের ব্যাকগীয়ারে যাওয়াটা য়্যানালগীয়! ইনশাল্লাহ এমন একদিন আসবে-যেদিন আমরা পিসি,র সামনে বসেই শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ভার্সুয়ালী শহীদের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবো।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৮

মনজুরুল হক বলেছেন: শব্দ বটে একটা, ডিজিটাল! এর মানে যে কি সেটাই তো এর নির্মাতারা জনগণকে আজো বোঝাতে পারলেন না!

ঠিকই। ভার্চুয়ালিই শ্রদ্ধ জানানোর চল হয়ে যেতে পারে। সামনে কি আছে তা ভেবে আতংকিত হওয়ার বদলে রাগ,ঘেন্নাটাই বেশি আসে।

কবে আবার কেউ বলে বসবে "হ্যাপী ল্যাঙ্গুয়েজ ডে!"

১৭৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৩১

সজল৯৫ বলেছেন: খুব ভাল লেগেছে পড়ে। প্রিয়তে রাখলাম। আমরা অনেক সময় গোলক ধাঁধাঁর চক্করে পড়ে যাই কারণ, সব দলেই ভাড়াটে বুদ্ধিজীবি আছে দলীয় আঙ্গীকেই কথা বলে আমরা সেটা বুঝি তাই আরও জানি ওদের সব কথা সত্যি নয়। কিন্তু যেটা বুঝিনা তা হল ওদের কথার কোন অংশটা নেব আর কোনটা বাদ দেব। কারণ সত্যটাকে মিথ্যার প্রলেপ দিয়ে এমন এক কাটলেট বানানো হয় যে বিভ্রান্ত না হয়ে উপায় থাকেনা।
তাই চাই সত্যগুলো বের হয়ে আসুক যারা কোন লেজুড়বৃত্তি করেননা তারা সাধ্য মত তুলে ধরুন সত্য গুলোকে সত্যর আঘাতে মিথ্যা চুর্ন হয়ে যাবে এক সময় টিকে থাকবে সত্য।

সত্য প্রতিষ্টিত হবেই।

আরো তথ্যবহুল লেখা চাই, চাই শুধু সমালোচনা নয় সাথে নিজস্ব দৃষ্টিভংগি থেকে করনীয় দিক নির্দেশনা।

ধন্যবাদ সুন্দর একটি লেখার জন্য।+++

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০৭

মনজুরুল হক বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

এই লেখায় যে তথ্য দেয়া যেত তা আপনার-আমার সবারই জানা। তাই সেই সব সংবাদপত্রের লিঙ্ক দেইনি। তবে চেষ্টা থাকবে ভবিষ্যতে এবিষয়ে আরো তথ্যবহুল ঘনটাক্রম জানানোর।

শুভেচ্ছা রইল।

১৭৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৩২

নীরজন বলেছেন: এত তর্ক বিতর্কের মাঝে আমার একটু কথা ছিল....
২১ তারিখ শাহবাগ, ঢাবি আর ছবির হাট এলাকায় অফিস শেষ করে গিয়েছিলাম...এমনিতেই যাওয়া.....কোন উপলক্ষ্যে নয়। দেখলাম....সেজে গুজে লাল-কালো-সাদা শাড়ী আর পাঞ্জাবীতে একুশ উৎসব উদযাপন.....
কেন যেন ভালো লাগলো না......কি জানি হয়তো এখনো অতটা স্মার্ট হয়ে উঠতে পারি নাই.....ছোটবেলা থেকে মা এর শিখিয়ে দেওয়া শোক এর দিন কিংবা কালো ব্যাজকে এখনও ভুলে যেতে পারি নি...

সত্যি বলতে কি...আমি আসলে এটা ভুলে যেতে চাইও না...
একুশ আমার গর্ব.....আমার অহংকার.....আমার ভাই হারানোর দিন...তাই আমার শোকের দিন....

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:০৫

মনজুরুল হক বলেছেন: জানিনা এর ব্যাখ্যা কি! আপনাকে কি বলব! আমরা বড় হয়েছি খুব সকালে কালো ব্যাজ পরে নগ্ন পায়ে শোক মিছিল করে। আমাদের অগ্রজদের মুখে সেই সব ইতিহাস শুনে কখন যে চোখের কোণা ভিজে উঠত বুঝতাম না। সে সময় হয়ত মিডিয়া, টিভি ক্যামেরা এসব ছিল না, কিন্তু আমাদের প্রজন্মের কখনো মনে হয়নি যে এটা "উৎসব"!

আজ এখন এই প্রজন্ম যে এটাকে উৎসব মনে করে কেতা দুরস্ত পোশাক-আশাক পরছে তা তো ওরা চায়নি। ওদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।

আর যারা চাপিয়ে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেই এই পোস্ট কিছু বলবার চেষ্টা করেছি।

আমাদের তো জীবনটাই দুঃখ কষ্টে ঘেরা। আমাদের তো আর প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাঁদতে হয় না ভাড়াটে রুদালীদের মত! আমাদের তো ভাইয়ের কথা মনে হলেই কান্না আসে! তাহলে কেন এই কেতাসর্বস্ব আয়োজন?

পণ্য। করপোরেটরা এটাকে পণ্য বানিয়েছে। আমাদের রাজনীতিবিদরা, সংস্কৃতির মোড়লরা সেই পণ্য বানানোয় সাহায্য করেছে। তার বিরুদ্ধে এই পোস্ট প্রতিবাদ।

ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৭৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৫০

অগ্নিবীনা বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:০৬

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৫৮

অনিন্দিতা_একা বলেছেন: ভালো লাগল... ছোট বেলায় খুব ভোরে উঠে রাতেই গেথে রাখা মালা নিয়ে খালি পায়ে হেটে শহীদ মিনার যাওয়ার স্মৃতি মনে পড়ল... অনেক দিন আর যাই না... ঢাকাবাসী হউয়ার পর থেকে...

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০৪

মনজুরুল হক বলেছেন: কিছুদিন পর আমাদের কারো আর যাবার দরকার পড়বে না। পেশাদার লোকজন তৈরি হবে শোক, শ্রদ্ধা, সালাম, কৃতজ্ঞতা এসব জানানোর। তারা আজিমপুরে যেয়ে ভাড়ায় কেঁদেও আসবে!

১৮০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:২২

তৃষ্ণার্ত বলেছেন: ভাল লেখা। লেখার মূলসুরের আবেগের সঙ্গে আমিও একমত। তবে কিছু ক্ষেত্রে নৈরাশ্যবাদী আবেগের অতিপ্রকাশ মনে হয়েছে।

ফেব্রুয়ারী এখন তরুণদের উৎসবের মাস। পহেলা ফাল্গুন, তার পরই তথাকথিত ভ্যালেন্টাইন্স ডে (হায়রে!!) এবং যথাক্রমে একুশে ফেব্রুয়ারীতে উৎসবের চূড়ান্ত। আর সারা মাস জুড়ে বইমেলাতো আছেই।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০৮

মনজুরুল হক বলেছেন: ঠিক বলেছেন। কিছু কিছু বিষয়ে আবেগগে নৈরাশ্যই মনে হয়। এ দোষ এড়াতে পারিনি।
আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে আবেগের বিপরীতে আনুষ্ঠানিকতা দেখে দেখে হতাশা গ্রাস করেছে।

এই পোস্ট লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে তরুনরা যেন যার যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদী হয়। এইসব অনাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে শেখে।

আপনারাই সেই তরুনদের অন্যতম প্রতিনিধি।

১৮১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৩১

তাশফী বলেছেন: প্রতি বছর শহীদ দিবস নিয়া এই ধরনের প্যান প্যানানি লেখার বাণিজ্য যে কবে শেষ হবে? তথ্য উপাত্তের খবর নাই, শুধুই কথার ফুলঝুরি ।

১৮২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৫০

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কর্পোরেট থাবাটা সবচেয়ে বেশি পড়েছে রাজনীতিতে। এখন কর্পোরেট স্বার্থ না দেখলে গদিতে যাওয়া যায় না। সুতরাং জনগণকে ব্যাপক গণতান্ত্রিক মগজ ধোলাইয়ের ফলে রাষ্ট্র যন্ত্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে কর্পোরেটদের দখল। তাইতো সব কিছুতে বাণিজ্য ও কর্পোরেটদের স্বার্থ দেখার দায়িত্ব এখন স্বয়ং রাষ্ট্রই গ্রহণ করেছে।
তাছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থার নামে আমরা বছর বছর যে কর্পোরেটদের সেবাদাস তৈরি করছি, তার ফলেই আজ শোক ও প্রতিবাদ পরিণত হয়ে যায় উৎসবে এবং আমরা সবাই তাতে সামিল হতে পারলে গর্বিত হই।
আপনার মতো এই রকম পাল্টা মগজ ধোলাই (এই লেখা) না চালু হলে এ থেকে মুক্তি নেই আমাদের।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩১

মনজুরুল হক বলেছেন: শামীম ভাই। যা বলার তা তো আপনি বলেই দিলেন।
এটাই আসল কথা যে, রাষ্ট্র নিজেই এখন করপোরেট দখলে চলে গেছে। সেখান থেকে রাষ্ট্রকে মুক্ত করা না গেলে রাষ্ট্রের বাকি শাখা-প্রশাখাকে মুক্ত করা যাবে না।

পাল্টা মগজ ধোলাইয়ের ক্ষেত্রও খুব সহজ এবং সর্পিল নয়। সেখানে সঙ্ঘবদ্ধ শক্তির প্রয়োজন।

আমি এই পোস্টের মাধ্যেমে সেটাই বোঝাতে চাচ্ছি যে, আমরা যার যার অবস্থান থেকে এ নিয়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখি। লেখালেখি অব্যাহত রাখি।

এ বিষয়ে আপনার আরো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আশা করছি।

১৮৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১৯

হাম্বা বলেছেন: সামান্য কয়েক জায়গায় একমত না হলেও আপনাকে সাবাশ

নজরুলের কথায়

"এই অসুন্দরের শ্রদ্ধা নিবেদনের শ্রাদ্ধ দিনে বন্ধু, তুমি যেন যেওনা"

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:১৮

মনজুরুল হক বলেছেন: একমত হতে না পারার কথা দ্ব্যার্থহীনভাবে বলায় আপনাকে ধন্যবাদ। সব কিছুতে একমত হওয়া আসলে ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবোধকে অস্বীকার করা।

আমাদের সকল শ্রদ্ধা আমাদের মত করেই দিতে দাও!
আমার কান্নাকে সুরের রং মিশিয়ে শ্রুতমধুর করো না!

১৮৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:২১

হাম্বা বলেছেন: সামান্য কয়েক জায়গায় একমত না হলেও আপনাকে সাবাশ

নজরুলের কথায়

"এই অসুন্দরের শ্রদ্ধা নিবেদনের শ্রাদ্ধ দিনে বন্ধু, তুমি যেন যেওনা"

১৮৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:২৪

রুদ্র রেজা বলেছেন: াল

১৮৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:২৫

রুদ্র রেজা বলেছেন: ভাল লেখা

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:২৭

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:০৪

মামুন মাহফুজ বলেছেন: সাহসী উচ্চারণ!
সেই একুশকে আর পাই না। খুব ভোরে চুরি করা ফুল নিয়ে শীতে কেঁপে কেঁপে যেতাম শহীদ মিনারে....এখনতো ভয়ে থাকি, কোন পর্যণ্ত গিয়ে আটকে যাবো। বন্ধুদের গলায় দেখি শ্রদ্ধা জানাবার পাশ। আমার ভায়ের রক্তে রঞ্জিত স্মৃতিচিহ্নে ফুল দিতে পাশ লাগবে?

তারচেয়ে বেশি অবাক হই, যখন দেখি অমুক সংগঠনের, কর্পোরেটের উদ্যোগে ভাষা দিবস পালিত-- সংবাদ, তখন বুঝি কী মোক্ষম ব্যবসার ফাঁদটাই না পেতেছে ওরা। একটি দিনও নিজেদের নামটি ব্যতিত ভাষাকে মর্যাদা দিতে চায় না কর্পোরেট দালালেরা।

ধন্যবাদ! আপনার সাহসী লেখার জন্য।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৩৫

মনজুরুল হক বলেছেন: গ্রাস করতে করতে বৈশাখ তো গেছেই। এখন বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস এবং একুশ নিয়ে চলছে করপোরেট বাণিজ্য।

খুব অবাক হই, যখন দেখি আমাদের জাতির বিবেক বলে দাবিদার বুদ্ধিজীবীরা কয়টা টাকার লোভে তাদের সুরে সুর মিলিয়ে কোরাস গায়!

আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৮৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:১২

জারনো বলেছেন: আমার বুঝতে কষ্ট হয়। শহীদ দিবস আসলেই কী শোকের না উৎসবের ? ভাষার জন্য যে সকল বীর শহীদ হয়ছেন সেই দিবস উৎযাপনের ভাবগাম্ভীর্য বজায় থাকে কী? এই সব করণে এখন হীদ মিনারে যাবার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছি। ব শিঘ্রই শোকের ভাবগাম্ভীর্য নিয়ে শহীদ দিবস আমাদের মাঝে ফিরে আসবে এই প্রত্যাশায়।

ধন্যবাদ মঞ্জুরুল হক আপনাকে

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৪৬

মনজুরুল হক বলেছেন: প্রত্যাশা নিয়েই আরো একেকটি দিন বাঁচি।

পোস্ট পড়া এবং মন্তব্য করে সংহতি প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।

১৮৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:১৭

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: ধন্যবাদ.......

আপনার সাথে দ্বিমত প্রকাশ করে সাধারন মানের একটা কমেন্ট করেছি অলরেডী।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:০৫

মনজুরুল হক বলেছেন: সমস্যা নেই।

১৯০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:২০

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: কর্পোরেটের সবচেয়ে বড় থাবাটা মিডিয়ায় পড়েছে সেটা কেউ কখনো বড় গলায় বলবে না, কারন অনেক, টাকার লোলুপ গন্ধ। আর সেখান থেকেই অন্য জায়গায় বিচরিত।টা সবাই বলতে অভ্যস্ত, নিজের চুরিটা লুকিয়ে রেখে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩৯

মনজুরুল হক বলেছেন: মন্তব্য লিখছি আর হাওয়া হয়ে যাচ্ছে!
যা হোক। আপনি ঠিক বলেছেন। তবে মিডিয়া তো আজ দখল হয়নি। এদেশের ধনীদের যখন অঢেল টাকা হয় তখন তারা সমাজে পাকাপোক্ত স্থান, মর্যাদা, নিজের ব্যবসা-বাণিজ্য রক্ষার্থে একটা মিডিয়া হাউস খুলে বসে।

করপোরেট আসার পর যেটা হয়েছে, এখন আর মিডিয়াকে তাবেদার খুঁজতে হয়না। করপোরেট তাবেদাররা সয়ং এসে হাজির হয়।

মিডিয়া টাইকুন আর করপোরেট বেনিয়া, উভয়ে মিলে সোনায় সোহাগা!

১৯১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

বিপ্লব রহমান বলেছেন: সত্যিই একুশে ফেব্রুয়ারি দিন দিন নিছকই আনুষ্ঠানিকতায় পরিনত হয়েছে। আর দিন দিন বিস্তৃত হয়েছে সর্বস্তরে বাংলাভাষা চালুর অঙ্গীকার।

আদিবাসীদের মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকারও স্বাধীনতার ৪০ বছর পরেও উপেক্ষিত হয়ে আসছে। এ নিয়ে আমার একটি লেখা রয়েছে: আদিবাসী শিশু মাতৃভাষায় পড়বে কবে?

লেখককে চমৎকার একটি বিষয় ফোকাস করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। চলুক। :-B

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৩৮

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ বিপ্লব। সময় করে আপনার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে আসব।
আচ্ছা গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে কুঙ্গ থাঙ এর স্ট্যাটাসে কি হচ্ছে?
পাহাড়ি প্রশ্নে দেখলাম বিরাট বাহাস!

১৯২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমি আতকে উঠি.. যখন ৩ বছরের মেয়ে (থেকে কিশোরী, যুবতী গুনগুনিয়ে) গেয়ে উঠে - মাই নেম ইজ শীলা... শীলা কি জাওয়ানী--

শুধু একুশের দিনে নয়; বছরের সব কটি দিনে।
আতকে উঠি গিন্নির সিরিয়াল প্রিয়তায় -
আতকে উঠি ঈদের জামার নামকরণে হিন্দি আধিপত্যে!

২১শেতে ফুল দিয়ে এসেই ঝাপিয়ে পড়া হিন্দি চ্যানেলের বুকে :((


উর্দুকে ঝেটিয়ে বিদেয় করেছি কি হিন্দিতে আত্মহত্যা করবো বলে????

আমাদের স্বাত্মিক বোধের উন্মেষ হোক ঋজুতায়- প্রাণ থেকে প্রাণে, প্রাণের টানে।


২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৫২

মনজুরুল হক বলেছেন: "আমাদের স্বাত্মিক বোধের উন্মেষ হোক ঋজুতায়- প্রাণ থেকে প্রাণে, প্রাণের টানে।"

আমার ধারণা আপনার মত এত ঋজু উপলব্ধি যতক্ষণ আছে ততক্ষণ আমরা আশাবাদী হতে পারি। হয়ত আবার আমরা স্বত্তিক বোধের উন্মেষ ঘটাতে পারব।

কিন্তু হিন্দি আগ্রাসন তো বেনো জলের মত বাড়ছে! পশ্চিম বঙ্গ তো গেছেই, এবার এই বাংলা যাওয়ার পথে!

১৯৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:০৩

হাসান মোহাম্মাদ বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। হৃদয় ছুয়ে গেল একেবারে। বাংলা তো এত গুরুত্বপুর্ন ছিল না একাত্তরে। বীরেরা রক্ত দিয়ে মাটি ভিজিয়ে প্রমান করতে চেয়েছিল আমাদেরও নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রাখার অধিকার আছে। আছে আমাদেরও প্রান ভালবাসা।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৫৬

মনজুরুল হক বলেছেন: বহুজাতিক পুঁজির কাছে আত্মসমর্পণ!

আমাদের কোথায় নিয়ে যেতে পারে তার নজির দেখুন পহেলা বৈশাখ। বাঙালির নতুন বছরের মেঠো উৎসব এখন আর কোনো চাষাভূষার হাতে নেই। দখল করে নিয়েছে বহুজাতিক করপোরেশনগুলো। তাদের সৌজন্যে আনন্দ মিছিল হয়, হাত পাখা, পানির বোতল, ফেস্টুন, ব্যানার, মুখোস, পান্তা-ইলিশ, কস্টিউম সবই তাদের স্যেজন্যে! এখানে হালখাতার সেই বাঙালি চাষা কই?

স্বাধীনতা যুদ্ধের সেই চাষার ছেলে কই? এখন দেখা যাচ্ছে যুদ্ধ করেছে কেবল "বীর সেনানীরা"!!

১৯৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৩৮

আওরঙ্গ বলেছেন: আকাশের তারাগুলি বলেছেন: কর্পোরেটের সবচেয়ে বড় থাবাটা মিডিয়ায় পড়েছে সেটা কেউ কখনো বড় গলায় বলবে না, কারন অনেক, টাকার লোলুপ গন্ধ। আর সেখান থেকেই অন্য জায়গায় বিচরিত।টা সবাই বলতে অভ্যস্ত, নিজের চুরিটা লুকিয়ে রেখে।

১৯৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:১২

মনির হাসান বলেছেন: যা সন্দেহ করছিলাম তাই । কমেন্ট রেখে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল আপনি ভুল বুঝবেন । আমার আধা" মুখে আধা" পেটে কমেন্টখানা অবশ্য যথেষ্ঠ “ভুল বোঝাবুঝি” সহায়কই হয়েছে ।

মনজু ভাই ... চেতনার মৌলবাদ ব্যাপারটা আমার ইদানিংকার নিজস্ব ভাবনার । এই পোস্টের সাথে সেটা খুব কমই সম্পৃক্ত । সম্পর্ক যেটুক আছে সেটা পরে বলছি ।

চেতনার মৌলবাদীত্ব বলতে বোঝাচ্ছিলাম ... এই যে যেমন ধরুন আমরা ... এন্টিছাগুরা ছাগুদের ব্যাপারে সবসময় জিরো টলারেন্স জারি রাখি ... এটা কি একধরনের মৌলবাদীতা নয় । ব্যাপারটা শুধু ছাগু তাড়ানী না ... ৭১, ২১, ৫২ স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলা, বাংলাদেশ, বাঙ্গালীত্ব, ১লা বৈশাখ ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ে অনড় অবস্থানে থাকাটা কি মৌলবাদীত্ব কিনা । এটা নিয়ে ইদানিং নিজের ভেতর যুক্তি পালটা যুক্তি খেলছে । যদিও আমি এসব ব্যাপারে এখনও প্রচন্ড মৌলবাদী তারপরও মুক্তমনা বলে নিজের যে সামান্য অহংকারটুক আছে সেটার দায় থেকেই এরকম দ্বান্দিক অবস্থানে আসা । নিজের ভেতর যুক্তির,পালটা যুক্তির যুদ্ধ হচ্ছে । পরিনতি, উপসংহারের ব্যাপারে সম্পূর্ন অজ্ঞ ।



চেতনার বিকৃতি( যেমন গোআর ভাষাসৈনিক প্রপাগান্ডা) ঠেকাতে কাঠামো এবং নিয়ন্ত্রন আবশ্যক । তবে সেই কাঠামো বা নিয়ন্ত্রন যেন "ধরা যাবে না ছোয়া যাবে না বলা যাবে না কিছু" ... টাইপের ঐশ্বরীক স্পর্শকাতরতার পর্যায়ে না চলে যায় ।
আর এটাই আপনার সাথে আমার দ্বিমতের জায়গা, এবং চেতনার মৌলবাদীত্ব বিষয়ক সম্পর্কটা । গত বইমেলায় আপনার সাথে পরিচয় করিয়ে দিছলাম আমার এক বন্ধুর ... কামাল পারভেজ ... ও আমার ফেবু স্ট্যাটাসে কমেন্ট করেছে "‎@dipu - kal boimela gachilam bikal a, j obostha deklam tate mone holo j protita biplob /birdroho/ andolon jai bolish na ken sob gular e ekta certain time span ache, ekta time er por oi ideology r kaj kore na, notun kore abar suru korte hoy....eta kintu ekanto e amar personal opinion, mind korish na abar. Always there should be someone to carry the tourch. ... ভালো লেগেছে কথাটা ... "আইডিওলজির একটা টাইম স্প্যান থাকে" ... সময় একটা বড় অনুঘটক ... আইডিওলজির চেহারা বদলায় ... ভাব বদলায় ... শোক থেকে আনন্দে বিবর্তিত হয় । আর এটাও ঠিক মানুষ খুব বেশিক্ষন শোকে থাকতে পারেনা । কারবালার শোক মোহাররমে এসে ফিন্নী পায়েশের গন্ধে মাতে । মৃত্যু শোক চল্লিশার তেহেরী'তে । জানিনা ঠিকমতো বোঝাতে পারলাম কিনা ।


এখানে পুরো ব্যাপারটা বা অভিযোজন'টা প্রাকৃতিক এবং সময়ের হাত ধরে । আর আমাদের কর্পোরেট ছেনালীপনা, রাষ্ট্রের বিকৃত অনুষ্ঠানাদি, বাংলায়নের ভন্ডামী, নীতিনির্ধারন প্রক্রিয়াগুলো এই অভিযোজন'কে বিকৃত করছে ... ফলে চেতনার পঙ্গু সন্তান প্রসব আবশ্যাম্ভাবী । এবং সেই পঙ্গু সন্তান দিয়েই ভরে যাচ্ছে আমার আশপাশ । ... এখানে অর্থাৎ পোস্টের সিংহভাগে তাই আমি সুতীব্রভাবে একমত ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৫৭

মনজুরুল হক বলেছেন: না মনির। আমি ভুল বুঝিনি। তবে কিছুটা অবাক হয়েছি। তোমার এই কমেন্টের উত্তর দিতে একটু দেরি হবে।

""আইডিওলজির একটা টাইম স্প্যান থাকে" ... সময় একটা বড় অনুঘটক ... আইডিওলজির চেহারা বদলায় ... ভাব বদলায় ... শোক থেকে আনন্দে বিবর্তিত হয়।"

এটা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজ রাতেই সময় করে এ নিয়ে লিখব আশা করি।
তোমার ব্যস্ততা কি কমেছে?

১৯৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:০৫

আমি মাতাল বলেছেন: খালি পায়ে টপাটপ ফুল ফেইলা আইসা দায়িত্ব শেষ? হিন্দির দাপটে বাংলা ভাষার দফারফা! সেই দিকে নাই নজর! X( X( দেশের সুশীল শ্রেনীর বড় অংশ ভারত প্রীতি প্রবল। তাই মুখে কুলুপ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:০৩

মনজুরুল হক বলেছেন: আমাকে কোন দলে ফেললেন বোঝা গেল না!
যা হোক।
আমার মুখে কোন কালেও কুলুপ ছিলনা, এখনো নেই।
হিন্দির আগ্রাসনের পেছনে ভারতপ্রীতি নয়, সেখানেও করপোরেট চাকচিক্য।
আমাদের সামনে জৌলুশ আর ফ্যান্টাসী তুলে দেয়া হচ্ছে শত শত চ্যানেলের
মাধ্যমে। আমাদের আমোদপ্রিয় জনগণ সেই আফিমে বুঁদ হয়ে আছে।
এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন।
আমার কলমও এসবের বিরুদ্ধাচারণ করে। করবে।

১৯৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:০৭

দস্যু ঘচাং ফু বলেছেন: হিন্দি আফিম + কর্পরেট কোকেন = বিদ্ধস্ত বাংলাদেশী

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:১৮

মনজুরুল হক বলেছেন: হিন্দি আগ্রাসন তো বেনো জলের মত বাড়ছে! পশ্চিম বঙ্গ তো গেছেই, এবার এই বাংলা যাওয়ার পথে!

১৯৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:৫৭

ভাবসাধক বলেছেন: সৈনিক কালচারের সঙ্গে অপূর্বভাবে গেলানো হয়েছে করপোরেট কালচার। এই দুই অভূতপূর্ব কালচারের তোড়ে হারিয়ে গেছে মহান একুশ। গৌরবের একুশ। আত্মত্যাগের একুশ। স্বাধীনতার অনুঘটক একুশ। স্বাধীকারের বীজতলা একুশ। ঔপনিবেশিক শাসনমুক্তির একুশ। তার বদলে একুশের এখনকার পরিচয়- ‘ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে’!

১৯৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:০৫

মামুনুর রহমান খাঁন বলেছেন: নির্বোধ

হে নির্বোধগন!
কতিপয় কৃষ্ঞ বর্ণ লাগি
ঝরালে শোণিত তব
রাজপথের 'পরে-
কিসের তরে?

হে নির্বোধগণ!
নেতার বজ্রকণ্ঠস্বর করে শ্রবন
জেগে উঠলে উন্মত্তের ন্যায়,
কাটালে বিনিদ্র রাত্তির শত,
ঝড়-ঝঞ্জা পেছনে ফেলি।
প্রাণের মায়া ত্যাগ করে
রইলে দাঁড়ায়ে অস্ত্রের সুমুখে।

হে নির্বোধগণ!
মৃত্যুকে অবলীলায় হাসিমুখে
করলে বরণ,
হারালে ভগ্নি, ভ্রাতা,
প্রাণের স্বজন।
বুকের রক্তে করলে সিক্ত
সবুজ তৃণ-লতা,
নিয়েছ বিদায় হয়েছ রিক্ত।

হে নির্বোধগণ!
একবার, শুধু একবার
এসে দেখে যাও-
এ জাতির কাছে তোমরা
কেবল সার্কাসের সং
ছাড়া আর কিছু নও।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:২১

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ মামুনুর রহমান খাঁন। এটা কার কবিতা জানিনা। তবে যারই হোক এই কয়টি শব্দ দিয়ে শত শত কথা বোঝানো হয়েছে। অপূর্ব।

ভালো থাকুন।

২০০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:২৬

েতজস্বিনী বলেছেন: ভাইরে,আজকাল সব কিছুই ফ্যাশনের অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে,এবং আমাদের গণ্ডারের চামড়ায় ও সব সয়ে গেছে!!! :(
আর,রেডিও এর কল্যাণে শুদ্ধ ভাষার চর্চা ও তথাকথিত আধুনিক মানুষের কাছে 'ক্ষেত' হয়ে গিয়েছে!!! :(
যাইহোক,পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ১:৪৮

মনজুরুল হক বলেছেন: সেটাই। আমাদের চামড়া এখন গণ্ডারের মত হয়ে গেছে। অথচ এই জাতি মাত্র চল্লিশ বছর আগে পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী সৈন্যদের পরাজিত করে স্বাধীনতা এনেছিল!!

২০১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৪২

াহবুব বাবুই বলেছেন: ভালো লাগলো....

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:২৫

মনজুরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ মাহবুব বাবুই।

২০২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৩০

এ.কে.এম. সাঈদ বলেছেন: অনেকক্ষন সময় নিয়ে পুরোটা পড়লাম। পোস্ট তো বটেই; একটি মন্তব্যও বাদ দিইনি। অসম্ভব সুন্দর একটি লিখা একুশ নিয়ে। স্টিকি করার জন্য মডুকে ধন্যবাদ।

সবশেষে আপনাকে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা, সশ্রদ্ধ সালাম জানাচ্ছি।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:২৩

মনজুরুল হক বলেছেন: এতটা সময় নিয়ে শুধু পোস্ট নয়, মন্তব্যগুলোও পড়েছেন!
আপনার এই একাগ্রতা আর ভালোলাগাকে শ্রদ্ধা।

ভালো থাকুন সাঈদ।

২০৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৪৭

আহমদ ময়েজ বলেছেন:
একুশ বলতে আমাদের কৈশোরে প্রভাত ফেরি
আমাদের এ দিনটিকে ফিরিয়ে আনতে হবে

'ফিরিয়ে দাও আমার সেই প্রভাত ফেরি'

প্রভাত ফেরিকে থেকে আমাদেরকে ফিরিয়ে আনার প্রধান কারণ হলো, ছাত্রাবস্থায় শিশু-কিশোরদের একুশের চেতনা থেকে বিমুখ করা।
গভীর রাতে বেদীতে ফুল দিতে হলে রাত জাগতে হবে। আস্তে আস্তে অলসতা আসবে। শিশু-কিশোররা আর ওখানে যেতে পারবে না। কেবল রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের মুখোসধারী শাসকগোষ্ঠী ফুল দিয়ে নিজেদের বাহবাহ দেবে।
ভোরের সেই প্রভাতফেরি বা নীরব প্রতিবাদযাত্রাটিকে চিরতরে হত্যারই ষড়যন্ত্র এটি।

লেখার জন্য ধন্যবাদ।

০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ১২:৩৮

মনজুরুল হক বলেছেন: "ভোরের সেই প্রভাতফেরি বা নীরব প্রতিবাদযাত্রাটিকে চিরতরে হত্যারই ষড়যন্ত্র এটি।"

ঠিক বলেছেন আহমদ ময়েজ। উত্তর দিতে দেরি হওয়ায় দুঃখিত।

২০৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৪৯

আহমদ ময়েজ বলেছেন: দুইবার পোস্ট হয়ে যাওয়াতে দুঃখিত। মুছে ফেলবে খুশি হবো।

২০৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০১

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: রাইফেল, বুলেট আজ রূপসী শীলার যৌবন মাখা নরম ঠোট রূপে হাজির হয়েছে আমার কাছে।

০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ১২:৪৮

মনজুরুল হক বলেছেন: আমি গত তিন দিন নেটে ছিলাম না শোভন।
তোমার লেখাটা পড়ে পরে মন্তব্য করব ভাইয়া।

২০৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০৬

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: রাইফেল, বুলেট আজ রূপসী শীলার যৌবন মাখা নরম ঠোট রূপে হাজির হয়েছে আমার কাছে।

১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১:২৪

মনজুরুল হক বলেছেন: আশ্চর্যজনকভাবে এই শীলা কি জওয়ানী দেখার এবং তাকে সমর্থন করার মত মানুষের সংখ্যা অনেক বেশী শোভন। কি আর করতে পারি! বড় জোর স্কেপ করে নিজেকে লুকিয়ে রাখা। আর যেটা পারি তা হলো প্রতিবাদ। তা সে একজনে হলেও।

২০৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মামুনুর রহমান খাঁন বলেছেন: কবিতাটি আমার লেখা। ১৯৯৭/৯৮ এ লেখা

০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ১:১৮

মনজুরুল হক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুনুর রহমান খাঁন।
আপনি এত ভালো কবিতা লেখেন তা জানা ছিল না। অবশ্যি ব্লগে কবিতার পোস্ট খুব একটা পড়া হয়না, জানবই বা কিভাবে!

ভালো থাকবেন।

২০৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:৫৯

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: এই ভাল কথাগুলা বলার কারনেই তোমারে প্রত্তম পাতায় ঝুলাইয়া, ষ্টিকি কইরা সাজা দিছে ?? :P আহারে মনে হয় অনেক দিন ঝুইলা ছিলা, যাক এখনেতো মুক্তি পাইছো, তো আর কিন্তু এইরাম ভাল লেখা লিখিওনা। মডুরা মানুষ X( ভালা না। তারা যে কোন ভাল লেখা পাইলেই প্রত্তম পাতায় ঝুলাইয়া দ্যায়।














+++++

২০৯| ১৩ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:০৮

বল্টু মিয়া বলেছেন: আচ্ছা ভাই এই যে জার্মানির একটা কোম্পানি বাংলা ব্লগ নিয়া কি সব হাবিজাবি করতাছে , তারা নাকি শ্রেষ্ঠ ব্লগ কোনটা তা বের করবে !!! এইটা কিছু হইল ??? বিদেশী কর্পোরেট ওয়ালা আমাদের একুশের ভালোবাসা শিখায় , বাংলা ব্লগ নির্বাচন করে !

১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ২:১১

মনজুরুল হক বলেছেন: জার্মানির ওই কোম্পানি এমনি এমনি করছে না। জার্মান বেতার ডয়েচে ভেলে'র হয়ে কাজটা করছে ববস্।

বল্টু মিয়া, পৃথিবীর কোন ভাষারই কিন্তু "পেটেন্ট" করা নেই। ভাষা সবার জন্য উন্মূক্ত। আর তারা যেটা করছে সেটা ভাষা নিয়ে নয়, বাংলা ভাষায় লেখা রচনা নিয়ে।

ওদের বিষয়ে আর কিছু তেমন জানা নেই।
ভালো থাকুন।

২১০| ১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ২:৩২

লাল দরজা বলেছেন: বস, একুশে ফেব্রুয়ারী যে বাংলা ছাইড়া দুনিয়া ভ্রমনে বাইর হইছে এইটার কি উপায়! :D





Click This Link
Click This Link

বি: দ্র: পোষ্ট নিয়া আগেই কমেন্টাইছি। এইটা ভাই বন্ধু'র লগে একটা শেয়ারিং কমেন্ট অন্য কিছু না। :)

১৪ ই মার্চ, ২০১১ ভোর ৫:০৩

মনজুরুল হক বলেছেন: হায় হায়! কমেন্ট দেখলাম যেয়ে কিনা ভোর ৫টায়!
@লাল দরজা। আজ ভালোমন্দ কিছু লিখছি না। কাল কথা হবে। ভিডিওটাও নামালাম না।
ভাই-বন্ধুর সাথে শেয়ার হবে না তো কার সাথে হবে? কোন সমস্যা নাই।
শুভ রাত্রি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.