নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শেষ পর্যন্ত লেখাটাই থাকে। টিভি, রেডিও, ওয়েবসাইট, চলচ্চিত্র, মঞ্চ, বিজ্ঞাপণ, ব্লগ - লেখার যতো মাধ্যম সবখানেই লিখতে হবে। পৃথিবী পাল্টে গেছে - এখন আমরা দুহাতের দশ আঙুলেই লিখি।

মুম রহমান

পেশাদার ও নেশাদার লেখক, মাঝে মাঝে কবি

মুম রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দূর্ঘটনা

২২ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭



১.

খোলা রিক্সাটাকে পাল তোলা নৌকা মনে হচ্ছিলো। আজ বিকালের বাতাসটা কোন দিক থেকে এসেছে কে জানে, তবে বাতাসে মহুয়ার গন্ধ আছে! এই রকম বাতাসে পাষন্ডেরও প্রেমিক হতে মন চায়, অথচ বুবুন বিরক্ত। সে চোখমুখ কুচকে গুগলিং করে যাচ্ছে। মোবাইলের স্ক্রিনে একের পর এক ফ্রি এমপি থ্রি খুঁজে যাচ্ছে। বুবনের মেজাজ ভালো নেই। ইদানিং বাইরে বেরুলেই রনিকে সঙ্গে জুড়ে দেয় মা। বুবুন বুঝতে পারে না ৯ বছরের এই পিচ্চি ছেলেটা তার কি কাজে দেবে, নাকি মা রনিকে রেখেছে ওর উপর নজরদারি করতে! বুবুনের বিরক্তিটা আরো বাড়ে রনির পা নাচানো দেখে।

বুবুন রিক্সায় হুড তোলা পছন্দ করে না। সঙ্গে ফেউ রাখাও পছন্দ করে না। মানুষ কি আর সব পছন্দ-অপছন্দ মানতে পারে? বুবুন তখন রিক্সায় হুড তুলে বসা, মোবাইলে গুগলিং করছিলো আর ফেউ হিসাবে পাশে বসে থাকা পা রনি নাচিয়ে যাচ্ছিলো। আর রিক্সাটাও চলছিলো বেয়ারার মতো। ইদানিং রিক্সাঅলাগুলো হয়েছে ট্রাক ড্রাইভারদের মতো বেপড়োয়া। বুবুন ইতোমধ্যেই কয়েকবার রিক্সাঅলাকে বলেছে, বামে চাপিয়ে চালাতে, সে সমানে ওভারটেক করে যাচ্ছে, একটু জ্যাম দেখলেই রং সাইডে রিক্সা ঢুকিয়ে দিচ্ছে।

পল্টনের বাকটা নিতে গিয়েই ঘটনাটা ঘটলো। অনেকক্ষণ আটকে থাকার পর সিগনাল ছেঁড়ে দিতেই রিক্সা হুড়মুড় করে টান দিলো, আর অন্যপাশে সিগনাল পড়ে যাচ্ছে দেখে মিনিবাসটা টান দিলো চরম তাড়াহুড়ায়। একটা বোম ফাটার মতো আওয়াজ হলো, সম্ভবত রিক্সার চাকা ফাটা কিংবা রিক্সাঅলার খুলি ফাটার শব্দ। বুবুন ছিটকে পড়লো আইল্যান্ডের উপর। রনি রাস্তায় পড়ে থাকলো পরিত্যক্ত কলার খোসার মতো।

বাসঅলাকে আটক করা হলো। ট্রাফিক সার্জন এগিয়ে এলো। জনগণ এলো। এরমধ্যে একজন বুবুনের পার্স ও মোবাইলটা সরিয়ে ফেললো। একজন রনিকে তুলে ধরলো। সে গলা কাটা গরুর মতো গো গো করছে। বুবুন অজ্ঞান। রিক্সাঅলার থ্যাতলানো শরীর আর ছিটকে পড়া মগজের দিকে কেউ তখনও মনোযোগ দেয়নি। ধরাধরি করে বুবুন আর রনিকে পিজিতে নেয়া হলো। পিজি থেকে রনিকে পাঠানো হলো পঙ্গুতে। বুবুনের ইতোমধ্যেই জ্ঞান ফিরেছে। তার কপালে তিনটা আর কনুইয়ের কাছে দুটো সেলাই পড়েছে, আর দুয়েক জায়গায় ছড়ে গেছে। ব্যস, এর বেশি কিছুই হয়নি। জ্ঞান ফিরতেই সে চিৎকার করতে লাগলো, আমার মোবাইল, আমার মোবাইল! একজন ওয়ার্ড বয় ছুটে এলো, আপনের সাথে তো কিছু আছিলো না, আপনের একসিডেন্ট হইছে।

বুবুন বললো, প্লিজ, আমাকে একটা মোবাইল দিন, আমি ফোন করবো।

- আপনে নাম্বার বলেন, মিনিট কিন্তু দশ টাকা।

বুবুন নাম্বার বলে।



২.

জাকির সাহেব ফোন পেয়ে দিশেহারা হয়ে গেলেন। প্রথমেই সব রাগ গিয়ে পড়লো বউ মিথিলার উপর। তিনি গাড়িতে বসে বউকে ফোন দিলেন।

- কতোদিন বলেছি, মেয়েকে একা বের হতে দেবে না!

- কেন, ও তো রনিকে নিয়ে বের হয়েছে।

- গাড়ি ছাড়া কেন বের হতে দিয়েছ?

- তোমার ড্রাইভার না আসলে আমি কী করবো? কিন্ত হয়েছে টা কি?

- বুবুন এক্সিডেন্ট করেছে।

- কি!

- উত্তেজিত হয়ো না। তেমন কিছু হয়নি। আমি যাচ্ছি।

- আমিও যাবো।

- আমিন সাহেবের গাড়ি পাঠিয়েছি। ওটায় আসো।



৩.

ইমার্জেন্সির নোংরা স্ট্রেচারটা আর সহ্য হচ্ছিলো না বুবুনের। সে ওঠে এসে পায়চারি করছিলো। এখন তার শরীরে কোন ব্যথা নেই। কিন্তু রিক্সাঅলা আর রনি কথা মনে পড়ছে তার। কে যেন বলেছে, রিক্সাঅলাটা মারা গেছে। রনিকে পাঠানো হয়েছে অন্যত্র। সে কি বেঁচে আছে?

জাকির সাহেব ইমার্জেন্সিতে ঢোকার মুখেই বুবুনকে দেখে ছুটে আসেন।

- কী হয়েছে, দেখি মা।

তিনি বুবুনের কপাল আর হাতের ব্যান্ডেজ দেখলেন।

- কোথায় ডিউটি ডাক্তার কোথায়? এই তুমি কে?

- বাবা ওকে বিশটা টাকা দাও।

- এই যে আপনি এইদিকে আসুন। এইটা কি হাসপাতাল? ছিঃ! ডিরেক্টর কোথায় তাকে ডাকুন।

সদ্য এন্টার্নি করা ডিউটি ডাক্তার মামুন এগিয়ে আসে। সে জহির সাহেবকে চিনতে পেরেছে। দূর্ঘটনার এই এক সমস্যা। বড় মানুষরা অনেক সময় সরকারি হাসপাতালে চলে আসে। আর তারা আসা মানেই হম্বিতম্বি, হৈচৈ। মামুন মনে মনে আতঙ্কিত হয়। এখনই হয়তো সাংবাদিক, মন্ত্রী ফন্ত্রী চলে আসবে। তার আজ একটু আগে বাসায় যাওয়ার কথা, ছেলেটার শরীর ভাল নেই।

- স্যার স্লামালেকুম। আমি ওনার স্টিচ দিয়েছি। আমি ডাক্তার মামুন।

- কী স্টিচ দিয়েছেন?

- স্যরি?

- কসমেটিক স্টিচ দিয়েছেন? ওর কপালে কি দাগ থেকে যাবে?

- না, আমরা তো সাধারণত কসমেটিক স্টিচ দেই না, তবে উনার...

- সাধারণত! আমার মেয়ের ব্যাপারটি আপনার কাছে সাধারণ মনে হয়েছে!

- বাবা, রনি...

- হ্যাঁ, ওর সঙ্গে যে আমাদের কাজের ছেলেটি ছিলো সে কোথায়?

- ওকে পঙ্গুতে রেফার করা হয়েছে। ওর বাম পাটা হাটুর উপর থেকে ফেলে দিতে হবে, ব্লিডিং হয়েছে প্রচুর, লাইফ থ্রেট আছে।

- আচ্ছা, সেটা পরে দেখছি, এখন বলুন, আমার মেয়ের পরবর্তী চিকিৎসা কি?

- স্যার, উনাকে বাসায় নিয়ে যেতেন পারেন, উনি আউট অব ডেঞ্জার।

- কী বলছেন আপনি? মাথায় আঘাত পেয়েছে আপনি ব্যাপারটাকে আমল দিচ্ছেন না? সিটি স্ক্যান করিয়েছেন?

- জ্বি না।

- জ্বি না! মাই গড! কী পাশ আপনি? না, না, আপনার সঙ্গে কথা বললে হবে না। আপনার ডিরেক্টরকে খবর দিন, ইমিডিয়টি আসতে বলুন। ওকে আমি বামরুগাদে নিয়ে যাবো।

- স্যার, উনার তেমন কিছু হয়নি...

- ডোন্ট ট্রাই টু টিচ মি... যা বলছি তাই করুন। ডিরেক্টরকে আসতে বলুন।

ডিরেক্টরকে আর আসতে বলা লাগলো না। তিনি স্বয়ং হাজির।

- এই যে মাজাহার ভাই, হাসপাতালটাকে কী করে রেখেছেন? মেয়েটা মাথায় আঘাত পেয়েছে, অথচ কোন সিটি স্ক্যানই করানো হয়নি। আমি এসে দেখি সে বাইরে হাটাহাটি করছে।

- জাকির সাহেব, আমার রূমে আসুন।

- না, না, ফর্মালিটির সময় এখন না। আচ্ছা, বল তো, এতো জায়গা থাকতে তুই এখানে এলি কেন?



- আমার তো কোন জ্ঞান ছিলো না। কারা যেন... পাপা, আমার মোবাইল, ব্যাগ এইসবও...

- মিসিং! কী একটা জাত হয়েছি আমরা! যাক, ও সব নিয়ে পরে ভাবলেও হবে, আইজিকে বললেই সব বেরিয়ে যাবে। মাজহার সাহেব, আমি ওকে বামরুগাদে নিয়ে যেতে চাই, এয়ার এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে, আপনি কি কোন রেফারেন্স দিতে পারেন।

- ব্যস্ত হবেন না। আমি দেখছি, তোমাকে দেখেছে কে মা?

ডাক্তার মামুন পাশেই ছিলো। সে বড় বড় বোলচালে একটু বিরক্তই হচ্ছিলো। আমাদের দেশের বড়লোকদের একটু হেচকি উঠলে বিদেশে চেকআপ করার খায়েশ জেগেছে!

- স্যার, আমি উনার স্টিচ দিয়েছি।

- হোয়াট ডু ইউ থিঙ্ক।

- সি ইজ ওকে, কমপ্লিটলি ওকে। আমার মনে হয় না...

- আপনার কি মনে হয় না হয় দ্যাটস নট ইম্পর্টেন্ট। আই ডোন্ট বিলিভ ইন ইউর ট্রিটমেন্ট প্রসিডিওর। ভেরি আন হাইজিনিক। আয় মা, তুই গাড়িতে ওঠ।

জাকির সাহেব এগুতে নেন। এরমধ্যেই একজন ইন্সপেক্টর এসে সেল্যুট ঠোকে।

- স্যার, বাস ড্রাইভারটা ধরা পড়েছে। মালিককেও ধরেছি আমরা। ওরা ক্ষতিপূরণ দিতে রাজী। দূর্ঘটনার উপর তো আর কারো...

- টু হেল উইথ ইউর ক্ষতিপূরণ! আই ওয়ান্ট সি দ্য ড্রাইভার হে্গংড। বাট, এ সব নিয়ে পরে ভাববো, আমি এখান থেকে ইউনাটেড যাবো, আমার সঙ্গে আসুন, রাস্তা ক্লিয়ার থাকা দরকার। আয় মা।

কাউকে আর দ্বিতীয় কথা বলার সুযোগ না দিয়ে বুবুনকে নিয়ে তিনি গাড়িতে উঠলেন। সেক্রেটারি এবার পুলিশের গাড়িতে উঠলো। ম্যাডামকে ফোন করে সে ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে তারা ইউনাইটেডে যাচ্ছে। পুলিশের হর্নে রাস্তা পরিষ্কার করে তারা এগুতে থাকেন আর ডাক্তার মামুন হাপ ছেড়ে বাঁচে। তবু তার একটু নার্ভাস লাগে যখন দেখে ডিরেক্টর মাজাহার স্যার তার দিকে তাকিয়ে আছে।

সে মিনমিন স্বরে বলে, স্যার, আমার মনে হয় না আমরা কোন গাফিলতি করেছি। সিম্পল এক্সসিডেন্ট কেইস। স্টিচটাও যতœ নিয়ে দেয়া হয়েছে, কোন স্কার থাকবে না। আমি...

- ইটস ওকে, গো টু ইউর ডিউটি।

ডাক্তার মামুন পালিয়ে বাঁচে।



৩.

জাকির সাহেবের একমাত্র মেয়ে বলে কথা। তারা ইউনাইটেডে পৌঁছানোর আগেই সিটি স্ক্যান থেকে শুরু করে ওটি পর্যন্ত সব রেডি। সৌভাগ্যক্রমে বুবুনের শরীরে আর কোন আঘাত বা বড় কোন সমস্যা কোন পরীক্ষাতেই ধরা পড়লো না। প্রফেসর মতুর্জা অবশ্য বন্ধু জাকিরকে জানালেন, মেয়ে শক পেয়েছে, বড় ধরণের শক, বাইরে কোথাও থেকে ঘুরে আসলে ভালো।

ইতোমধ্যে মিথিলাও এসে হাজির। তিনি মেয়েকে আগেই বাড়ি থেকে বার হতে দিতে চাচ্ছিলেন না। এখন সে জন্য বকতে নিলেন। কিন্তু প্রফেসর মতুর্জা বললেন, ভাবী, ডোন্ট বি হার্স উইথ হার। লেট হার বি চিয়ার আপ।

বুবুন অবশ্য কিছুতেই চিয়ার আপ হতে পারছে না। সে থেকে থেকেই বলার চেষ্টা করছে, পাপা রনি...

এতোক্ষণে জাকির সাহেবের সেদিকে মন গেলো।

তিনি মিথিলাকে আর বুবুনকে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলেন। আর সেক্রেটারি মোতালেবকে আদেশ দিলেন পঙ্গু গিয়ে রনির খোঁজ নিতে।



৪.

পঙ্গু হাসপাতালে তিন জন ডাক্তার থাকলে ত্রিশ জন রোগী থাকে। বাংলাদেশে সড়ক দূর্ঘটনা যে কোন ব্যাপার না শুধু মাত্র এই একটি হাসপাতালে আধ ঘণ্টা দাঁড়ালেই তা বোঝা যায়। হাত-পা কেটে ফেলা এখানে এতো অবলীলায় হয় যে টুকটাক এম্পুটিউশন নার্স-বয়রাও করে ফেলতে পারে।

মোতালেব এখানে ঢুকে দিশেহারা হয়ে যায়। ইমার্জেন্সিতে রনি নামে কারো এন্ট্রি নেয়। অন্য আরেক রুগির আত্মীয়র সূত্র ধরে সে জানতে পারে একটি বালককে দুজন লোক এখানে ধরাধরি করে এনেছিলো দুয়েক ঘণ্টা আগে। তার অপারেশন হয়েছে, এখন আইসিইউতে আছে।

কিন্তু আইসিইউতেও গিয়ে রনিকে পাওয়া যায় না। নার্স-ডাক্তার সবাই ব্যস্ত। অবশেষে জাকির সাহেবের নাম বলতেই তারা মোতালেবের সঙ্গে কথা বললেন। যা জানা গেলো তা খবরের ভাষায় এমন Ñ ‘আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ নয়-দশ বছরের অজ্ঞাতনামা একটি বালক সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে আসে। বাসার চাকায় তার দুটো পা-ই পিষ্ট হয়ে যাওয়া তা কেটে ফেলতে হয়। কিন্তু দূর্ঘটনাকালে এবং পরবর্তীতে রক্তপাত বন্ধ করতে না পারায় তার মৃত্যু হয়। এই লাশের মালিকানা এখনও কেউ দাবী করেনি।’

এই তথ্য জানার পর, মোতালেব ভাবতে বসে, খবরটা এক্ষুণি স্যার কে জানাবে কি না। স্যার হয়তো মেয়েকে নিয়ে এখনও দুশ্চিন্তায় আছে এটা চিন্তা করেও সে ফোন দিতে সংকোচ বোধ করতে থাকে। ইতোমধ্যেই চরম ক্ষুধা পাওয়া সে বাইরে থেকে একপিস ফ্রুট কেক আর এককাপ চা খেয়ে এনার্জি সংগ্রহ করে নেয়। পেট ভর্তি হওয়ায় সে কিছুটা সাহস পায় এবং জাকির সাহেবকে ফোন করে।

জাকির সাহেব অবশ্য ভীষণ দয়ালু মানুষ। তিনি খবর শোনা মাত্রই মোতালেবকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে দেন। নির্দেশনা মোতাবেক মোতালেব বাস মালিক সমিতির সাথে ক্ষতিপূরণের জন্যে যোগাযোগ করেন, লাশ মর্গ থেকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেন এবং লাশ নিজ উদ্যোগে দেশের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

উল্লেখ্য, এই সকল ব্যবস্থাই সুষ্ঠু ভাবে সমাপ্ত হয় এবং মৃতের চাচা (ইতোপূর্বেই বাবা-মা গত হওয়ায়) ক্ষতিপূরণ বাবদ নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা পায়।

আর এই দূর্ঘটনার শোক কাটিয়ে উঠতে ওই সপ্তাহেই বুবুন তার বাবা-মা’র সঙ্গে সুইজারল্যান্ড বেড়াতে যায়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: গরীবদের কেউ থাকে না ।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: সত্য! সত্য এমনও নিষ্ঠুর সুন্দর!

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শেষ লাইনটা কেমন করুণা জাগিয়ে দিল ওদের প্রতি।

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১০

মামুন রশিদ বলেছেন: মাহী ফ্লোরা বলেছেন: সত্য! সত্য এমনও নিষ্ঠুর সুন্দর!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.