![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার বিরোধিতা করে রাজাকার হতে চাইনা। আমি নারী কোটার বিরোধিতা করে পুরুষতান্ত্রিক মধ্যযুগী হতে চাইনা। আমি উপজাতি কোটার বিরোধিতা করে শান্তিচুক্তির শত্রু হতে চাইনা।
সংবিধানের সকল নাগরিকের সমান মৌলিক অধিকার কথাটা কাইটা দিয়া আমগো মত সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন গোরে বাইন্ধা বংগোপসাগরে ফালায়া দেন।"
আজকে শাহবাগে যেই ছেলেমেয়ে গুলা গ্যাদার করসে তাদের বিরুদ্ধে একটা প্রচার চালানো হইসে - তারা নাকি স্লোগান দিসে 'মুক্তিযোদ্ধাদের গালে গালে............ তালে তালে'.. এটা অসম্ভব।
যত লেবু কচলা কচলি-ই হোক না কেন - এটা অসম্ভব ! খোদ জামাত-ই মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা আয়োজন করে পেছনের কলংক মোছার জন্য।
কারা এটা প্রচার করসে ? বুঝে নিন।
এই ছেলে মেয়েগুলার অনেকেই কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে শাহবাগ বিক্ষোভের শুরুতে ছিলো। সেই একই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গালি তাদেরকেই এখন দেয়া হচ্ছে।
কেন ?
তাদের ভেন্যু শাহবাগ। সেটা শাহবাগ না হয়ে প্রেসক্লাব হলে তাদের বিপক্ষে এই মিথ্যা প্রচারনাটা চালানো হতোনা।
এবার কিছু সিরিয়াস কথা বলিঃ
দেশে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কত - এটা আলোচনায় আসছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা ৩০ % হওয়ায়। আমার কাছে এটা আসল পয়েন্ট মনে হয়না।
আসল পয়েন্টটা হচ্ছে - ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের গড়পড়তা বয়স কত ছিলো ? ধরে নিলাম ১৮। সম্ভবত তার চেয়ে বেশী। তারপরো ১৮ ধরে নিলাম। তাহলে এই মুক্তিযোদ্ধারা যদি দেশ স্বাধীনের ২-৫ বছরের ভেতরে বিয়ে করে ইমিডিয়েটলী সন্তানের বাবা হন - সেক্ষেত্রে তাদের সন্তানের জন্ম হবে ৭৩ থেকে ৭৬ এর ভেতরে।
এই সময়ে যেসব মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জন্মেছেন তাদের সবার বয়স ন্যুনতম ৩৭ বছর। বিসিএস দেয়ার বয়স সীমা ৭ বছর আগেই পার হয়ে গেছে।
যাদের জন্ম ১৯৮৩ তে , দেশ স্বাধীনের ১২ বছর পর - তারা এই ২০১৩ তেই ৩০ বছরের বয়স সীমা পেরিয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে তাদের মুক্তিযোদ্ধা পিতা বিয়ে করেছেন গড়পড়তা দেশ স্বাধীনের ১০ বছর পর , গড়পড়তা ৩০ বছর বয়সে।
১৯৮৮ সালের গেজেট অনুযায়ী দেশে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৭০ হাজার + আরো কিছু। এটা সঠিক না। অনেক মুক্তিযোদ্ধাই স্বীকৃতি বা মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট পাননি , অনেকেই নেননি, গাঁ করেননি এই ভেবে যে - চেনা বামনের পৈতা লাগবেনা।
আরো একটা ফ্যাক্টর আছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বড় পারসেন্টেজটাই নিম্নবিত্ত কিংবা নিম্ন মধ্যবিত্ত। উচ্চবিত্তের সন্তান মুক্তিযোদ্ধা ছিলো - এটা খুব রেয়ার কেঈস। শিক্ষিত মধ্যবিত্তরা সবকালেই ভীতু। সুতরাং কতজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আসলেই শিক্ষিত হতে পেরেছেন এটা অনেক বড় একটা ফ্যাক্ট।
সুতরাং দেশে আসলে কতজন মুক্তিযোদ্ধার কোয়ালিফাইড সন্তান ৩০ বছরের বয়সসীমার ভেতরে আছেন যারা বিসিএস এর ৩০% এর এত বড় একটা স্লাইস অকুপাই করবেন ?
এই কোটায় যদি ১০০ টা সিট থাকে এবং অনূর্ধ ৩০ বছর বয়সের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সেই অনুপাতে স্বাধীনতার ৪৩ তম বছরে ৩০ জনো পাওয়া যাবে বলে আমি বিশ্বাস করিনা।
বাকী ৭০ জন ভুয়া।
অন্যায় এবং ক্ষোভটা আসলে এখানে। এই ৩০% কোটা পুরোটা অ্যালট করার জন্য যথেষ্ট সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ২০১৩ সালের বাংলাদেশে নাই। কমনসেন্স দিয়ে চিন্তা করে দেখুন - আসলেই নাই।
তাহলে কিভাবে এই ৩০% কোটার ১০০% -ই পুরন হয়ে যাচ্ছে ?
এইচ টি ইমামদের টেবিলের তলার বাম হাতের লেনদেনে।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি - মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা কোনভাবেই ২০১৩ সালে এসে ৭ % এর বেশী হওয়া উচিত না। উইথ বিগেস্ট মার্জিন এটা ১০ % হতে পারে। এর বেশী কোনভাবেই হওয়া উচিত না।
যেখানে এক কিউতে ১০০০ জন ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য ৬০ রুটি
সেখানে আরেক কিউতে ১০ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের জন্য ৩০ টা রুটি।
যারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আপনারা সবাই আপনাদের বাবাকে নিয়ে গর্বিত।
আর গর্বিত মানুষদের আত্নসম্মানবোধ থাকে সাধারন মানুষের চেয়ে বেশী।
উপরে যতগুলো ফ্যাক্ট বললাম সব চিন্তা করে আপনাদের বিবেক থেকে বলুন - এই ২০১৩ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৭ % এর বেশী হওয়া কি কোনভাবেই যৌক্তিক ?
এবার একটা ছেলের ক্ষোভের কথা বলি। আমার ফ্রেন্ডলিস্টের রাজশাহী মেডিকেল পড়ুয়া উপল সাইদুজ্জামানের স্ট্যাটাস এটাঃ
"আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার বিরোধিতা করে রাজাকার হতে চাইনা। আমি নারী কোটার বিরোধিতা করে পুরুষতান্ত্রিক মধ্যযুগী হতে চাইনা। আমি উপজাতি কোটার বিরোধিতা করে শান্তিচুক্তির শত্রু হতে চাইনা।
সংবিধানের সকল নাগরিকের সমান মৌলিক অধিকার কথাটা কাইটা দিয়া আমগো মত সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন গোরে বাইন্ধা বংগোপসাগরে ফালায়া দেন।"
এই স্ট্যাটাসটা নিয়ে আমার মুল্যায়নঃ
ব্যাপক ! উপরের কথা গুলোতে ১০০ তে ১০০। এদেশে অপবাদ থেকে বেঁচে থাকতে চাইলে বোবা হয়ে বেঁচে থাকুন। বোবার কোন শত্রু নাই।
আমার পরিস্কার মনে আছে - এক্স পিএসসি চেয়ারম্যান ডঃ সাদত হুসাইন (এক্স- হোম সেক্রেটারি, ক্যাবিনেট সেক্রেটারি) মুক্তিযোদ্ধা কোটা কমাতে চেয়েছিলেন বলে উনাকে সেই পুরান গালি দেয়া হয়েছিলো।
ধারনা করুন গালিটা কি ?
(কৃতজ্ঞতা: দাসত্ব)
২| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২১
সোহেল সি এস ই বলেছেন: এই লোটা ভর্তি কোটা নিয়ে যারা মোটা কথা বলে তাদের বোটাসহ মূলৎপাটন করলে গোটা দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটা এখন সময়ের দাবি।
৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
দেশপ্রেমিক পোলা বলেছেন: শালা তুই একটা রাজাকার। আপনাকে দেই নি, প্রশ্নের উত্তরটি দিয়েছি।
শুধু শুধু ৩০% কোটা রাজনীতি না খেলে, মুক্তিযোদ্ধাদের সবাইকে বিসিএস ক্যাডার বানিয়ে দেয়া হোক। মেধা না থাকলে কাউকে শুধু শুধু কোন আসনে বসানো আর অপদার্থ দিয়ে দেশ চালানো একই ফল বয়ে আনছে আনবে। সাধারণ জনগন সব ভুলে বিসিএস পরীক্ষা বাদ দিয়ে খেতে খামারে চাষাবাদ করে খাও।
৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
আিম এক যাযাবর বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধার সন্তান-নাতি কোটা কোনভাবেই ২০১৩ সালে এসে ৫ % এর বেশী কোনোমতেই হওয়া উচিত না।
৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
সোহেল সি এস ই বলেছেন: বাবার ডিগ্রীর সার্টিফিকেট দিয়ে তোমার চাকুরী না হলে বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিয়ে তোমার চাকুরী হবে কেন? সব জায়গায় কোটা আর কোটা। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় আর এখন চাকুরীতেও। পরকালেও দাবি করো কোটা। আজকে সেহরীর শেষ সময় ৩ টা বেজে ৪৭ মিনিটে। কিন্তু কোটাধারীদের জন্য ৩ টা বেজে (৪৭ যোগ ৩) =৫০মিনিটে।
৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: পৃথিবীতে সবচাইতে দুর্নীতিগ্রস্হ দেশের মারাত্মক দুর্নীতিবাজ রাজনীতিাবিদ, আমলা, পিএসসির কর্মকর্তারা যারা ঘুষ দিয়ে পাশ করে চাকরী পেয়েছে এরা সবাই নিজ স্বার্থ দলীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য পকেট ভারি করার জন্য কোটা সিস্টেমটা জিয়িয়ে রেখেছে। দুনিয়ার কোথাও এটা নেই। অবশ্য দুনিয়ায় এত চোট্টা পকেটমার আমলা রাজনীতিবিদও নেই। এরা ঢেউ গুনে টাকা নেয়!
৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬
উবু বলেছেন: আপনার কথাগুলো ১০০% সঠিক। সত্য কথা বলার জন্য আপনাকে হাজরো ছালাম।
পোস্টের জন্য আপনাকে ১০০ টা প্লাস।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
সজিব ইসলাম বলেছেন: তোমাদের আন্দোলনকে ১০০% সমর্থন করি। কিন্তু তোমরা কি চিন্তা করেছ বিসিএস ক্যাডারে তোমরা কেন টিকবে? তোমাদেরতো যোগ্যতা বলতে একটাই সেটা হলো মেধা। মেধা একটা যোগ্যতা হলো, তোমরা না পার পিস্তল চালাতে না পার চাপাতি গুরাতে, না পার টেন্ডার চিনতাই করতে । তোমরা চেয়ারে বসলেওতো ঘুষ খেতে পারবানা, আর তোমাদের বেশির ভাগ ছেলেমেয়ের মা বাবা গ্রামে থাকে কৃষি কাজ করে তাদেরওতো যোগ্যতা নেই।
যাই হোক তবে সাবধানে থেকো তোমাদের ভিতর কেউ কেউ এটাকে রাজনৈতিক রুপ দেওয়ার চেস্টা করবে। এটা তোমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন, আশা করি এই আন্দোলনে তোমরা বিজয়ী হবে।
৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
কে এম শিহাব উদ্দিন বলেছেন: আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার বিরোধিতা করে রাজাকার হতে চাইনা। আমি নারী কোটার বিরোধিতা করে পুরুষতান্ত্রিক মধ্যযুগী হতে চাইনা। আমি উপজাতি কোটার বিরোধিতা করে শান্তিচুক্তির শত্রু হতে চাইনা।
সংবিধানের সকল নাগরিকের সমান মৌলিক অধিকার কথাটা কাইটা দিয়া আমগো মত সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন গোরে বাইন্ধা বংগোপসাগরে ফালায়া দেন।"
.
অস্থির হইছে ভাই।
পোস্টে প্লাস।
১০| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
ধীবর বলেছেন: পুর্ন সহমত
১১| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯
িভৃতচারী বলেছেন: "আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার বিরোধিতা করে রাজাকার হতে চাইনা। আমি নারী কোটার বিরোধিতা করে পুরুষতান্ত্রিক মধ্যযুগী হতে চাইনা। আমি উপজাতি কোটার বিরোধিতা করে শান্তিচুক্তির শত্রু হতে চাইনা।
সংবিধানের সকল নাগরিকের সমান মৌলিক অধিকার কথাটা কাইটা দিয়া আমগো মত সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন গোরে বাইন্ধা বংগোপসাগরে ফালায়া দেন।"
পুর্ন সহমত
১২| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০০
আসফি আজাদ বলেছেন: সবাইssosobai ডঃ সাদত হুসাইন না। সমস্ত কোটাই তুলে দেওয়া উচিত। সরকারের মূল কাজ অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে সামনে এগিয়ে আসবার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দেওয়া...অর্থাৎ মাছ ধরে দেওয়া না, বরং মাছ ধরা শিখিয়ে দেওয়া এবং প্রাথমিকভাবে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
আমিনুল ইসলাম সজিব বলেছেন: আমি বুঝিনা যাদের মেধা নাই তাদের কেন সরকারি ক্ষেত্রে পদ দিতে সরকারের এত চুলকানি!!!!!! পিএসসি তে আখাম্বা অপদার্থ ____( সংযম করিলাম) কর্মকর্তাগুলোও কোটার ফলেই মনে হয় চাকরি পাইছিল আর এজন্যই অদের মাথায় এত গোবর ... অদের পশ্চাতদেশে কষিয়ে লাখি মারা দরকার ...