কি ভুলে রহিয়াছি মম, শুধরাইতে পারিব কি তব? (২য় পর্ব)

২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:১৭

মরীচিকার সাথে কেন নিজের মিল খুজে পাই তা হয়তো বলার অপেক্ষা রাখে না। কারন প্রচলিত সম্পর্কের কেউই আমার কাছ থেকে তারটুকু পায় না। সেজন্য বাবা-মা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধবী, শিক্ষকের আমার বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। সে থাক কিন্তু প্রচলিত অনেক কথাই আমি নিজের মত করে নিতে পারিনি। যেমন - ভালো হতে পয়সা লাগেনা। (মহর্ষী) হওয়া লাগে না এটা বুঝতে যে, ভালো হতেই পয়সা লাগে। মানব চরিত্র দুটো সত্তা নিয়ে গঠিত। একটি হল বাহ্যিক আর এটি হল অভ্যন্তরিন। আর দুটি সত্তাকেই সাবলিলভাবে গড়ে তুলতে চাইলে অর্থের প্রয়োজন অপরিসীম। যেমন শরীর ঠিক রাখতে চাইলে সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যের সাথে চাই নিয়মিত শরীরচর্চা। আর একটু রূপ সচেতন হলে তো প্রসাধনীর বিকল্প নেই। আর মনের খোরাকের যোগান দিতে গেলে তো অর্থ ছাড়া চিন্তা করাটাই মহাভুল। ভালো মানুষ হিসেবে পরিগনিত হতে চাইলে ভালো বই পড়া লাগবে, ভালো ও মানসম্পন্ন পরিধেয় লাগবে, সুন্দর ও মনোরম বাসস্থান, ভালো প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ মানসম্পন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হবে যা সুষম অর্থাগম ছাড়া অসম্ভব। আর খারাপ হবার তাড়না থাকলে তেমন পয়সা খরচ করতে হবে না। যেমন কোন নেশার আড্ডায় আতিথ্য গ্রহন করতে টাকা লাগে না। জীবনে অনেক বন্ধুকে দেখেছি সিনেমা হলের কথা, ধুমপান, পর্নোগ্রাফির সিডি বা বইয়ের কথা দ্বিতীয়বার বলা লাগে নি। কিন্তু কোন কোর্স, বই কেনা, বা অবশ্য প্রয়োজনীয় কোন দ্রব্যের কথা বললে পিছিয়ে গেছে। পৃথিবীর সবকিছুই আপেক্ষিক সেজন্য আমার চিন্তা অবলোকনের বিরুদ্ধে বলার মত অনেককেই পাওয়া যাবে। কিন্তু আমি আমার মতাদর্শ থেকে পিছিয়ে আসবনা। আমি এলাহী একটু অন্যরকম। আমি এটাও মানতে পারিনা "ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখোনা", "আদার ব্যাপারী হয়ে জাহাজের খবর নিয়ো না"। আমার তো মনে হয় যারা বিত্ত-বৈভব ও সম্মানের উচ্চ শিখরে আরোহন করে আছে তাদের ছেঁড়া কাঁথাটুকুই ছিল না। এই সব প্রচলিত প্রথা বা উক্তি কখনোই পালন করতে মন সায় দেয়নি। মাঝে মাঝে মনে হয় এসব পালন করলেই বুঝি একটা অবস্থান তৈরী হত। জীবন যুদ্ধে পরাজিত হয়ে একদিন এসবই হয়তো মেনে নেব ......



তবে আপাতত নয় ।।

০ টি +০/-০