![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক দিন ধরে লিখবো লিখবো করেও লিখা হয়ে উঠছিলো না বিভিন্ন ব্যাস্ততা আর নানা প্রতিকূলতার কারনে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল বাসায় ল্যাপটপ কাজ করে না আর অফিসে বাংলা সফ্টওয়্যার। আজকে অনেক বাঁধা ডিঙ্গিয়ে বসে পড়লাম, নিজেকে আর ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। সহায়তা নিলাম অনলাইন টেক্সট এডিটরের।
ওর নামটা ভাবতেই মাসফির মনের গভীরে চলে আসে রানীমূখার্জীর ছবি। ও দেখতে একদম ছিল রানীর মত, মায়াময়। যাকে দেখলেই ইচ্ছে করতো একটু ছুঁয়ে দেখতে। ওর সাথে মাসফির প্রথম দেখা হয়েছিল মাসফিরই এক পাগলাটে বন্ধুর মাধ্যমে। মাসফি তখন একটি নামকরা আবাসিক কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষে পড়ে। তখন মাসফির ও ওর ছুটি চলছিল। একদিন মাসফির বন্ধু সাবির এসে মাসফিকে বলছে- দোস্ত তুই-ই একমাত্র আমাকে উদ্ধার করতে পারিস!
মাসফি - আগে কি হয়েছে খুলে বলবি তো?
সাবির - আগে তুই আমাকে কথা দে, যে তুই আমাকে বাঁচাবি। আমি অতকিছু জানিনা তোকে যেতেই হবে।
মাসফি - আরে বাবা কোথায় যেতে হবে না বললে কিভাবে যাব?
সাবির - একটা মেয়ে আছে ঐ আবাসিক কলেজে পড়ে তাকে অংক করাতে তোর ওদের বাসায় যেতে হবে।
মাসফি - চিনি না জানি না হুট করে একটা মেয়ের বাসায় যাওয়া যায় নাকি?
সাবির - দোস্ত!তুই কথা দিছিস যাবি এখন আবার ঢং করস কে? আর তুইতো জানিস আমার অংকের কি অবস্থা। আমি গেলে পুরাই প্রেস্টিজ পাংচার হয়ে যাবে। আর তুইতো আমার অংকের ভরসা।
মাসফি - আরে ব্যাটা! ঢং করমু কেন? আমি কি আগে জানতাম তুই আমারে ধাক্কা দিয়া সাগরে ফালায় দিবি।
সাবির - চিন্তা করিস না। মেয়েটা কিন্তু সুন্দরী আছে?
মাসফি - তুইকি আমাকে প্রেম করার জন্য পাঠাচ্ছিস নাকি অংক করানোর জন্য?
মাসফি মেয়েদের সামনে সহজে স্বাভাবিক হতে পারেনা। সবসময় একটু দূরে দূরেই থাকে, দরকার না হলে কথা বলেনা। চোখ তুলে অনেক সময় তাকায়ও না। অনেকেই মনে করে এটা মাসফির দূর্বলতা, কিন্তু এটা মাসফির মেয়ে বা নারীদের প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধা। খুব অস্বস্তিতে পড়ে গেল মাসফি, কি করবো না করবো কিছুই বুঝতে পারছে না। মাসফি জানে সাবির একটা নাছোড় বান্দা ও ঠিকই নিয়ে যাবে। অনেকক্ষন চিন্তা করে, চিন্তা করাই বাদ দিয়ে দিল মাসফি এই ভেবে- যা হয় পরে দেখা যাবে।
(চলবে)
©somewhere in net ltd.