নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার মত করে অন্যদের যতটুকু ভালবাসি অন্যরা আমাকে ততটুকু ভালবাসে না।
বাড়ি থেকে মাত্র চার ঘন্টা কি সাড়ে চার ঘন্টার রাস্তা দূরে থাকি।তারপরও বাড়ি যেতে পারি না এক মাস!বাসা থেকে নিষেধ করেছে আসার দরকার নাই।তারপরও যেতে ছেয়েছিলাম কিন্তু কি এক ভয় যে মনের ভেতর ঢুকে গেছে আর যেতে পারিনি।বাসে উঠতেই এখন সবচেয়ে বড় ভয়।না জানি যে বাসে উঠব সে বাসে পেট্রোল বোমা হামলার শিকার হয়।
যখন মনে মনে ভাবি কোন বাসে করে বাড়ি যাচ্ছি আর সেই বাসে দুর্বিত্তরা পেট্রোল বোমা ছুড়ে দিয়েছে, বাসে আগুন জ্বলছে দাউ দাউ করে,সেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছে আমার গায়ে তখন নিজের অজান্তেই শিউরে উঠি।
এই তো সেদিন চা বানাতে যেয়ে হাতে একটু গরম চা পড়েছিল।তাতেই হাতের চামড়াতে কি জ্বলুনী।আর যারা আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাচ্ছে! না আর ভাবতে পারছি না।যার কষ্ট সেই বুঝে আমরা একটু উপলব্ধি করার চেষ্টা করি মাত্র।তাই রাজনিতীর বলি হওয়া ঔ সব পুড়ে যাওয়া মানুষের কষ্ট আমরা কখনই পুরোপুরিভাবে উপলবদ্ধি করতে পারব না।
এদেশের সকল রাজনীতি দলেরই যে শুধু মাত্র ক্ষমতার লোভ তা সকল সাধারন জনগনই বোঝে।কিন্তু বুঝেও তাদের কিছু করার থাকে না।
দেশে রাজনীতির কারনে যে ঘটনায় ঘটুক না কেন তার জন্য এই সাধারন জনগনই দায়ী!কি ভাবে?কারন দেশে এই আম জনতা না থাকলে তো কোন দলই থাকতো না।
আর সহিংসতা হত্যার রাজনীতি তো অনেক দূরের কথা!
যেহেতু কোন রাজনীতি দলই দেশের সকল সহিংসতার দায় নিজেরদের ঘাড়ে নেন না তখন দোষ তো এই আমরা সাধারন মানুষের উপরই এসে পড়ে।
দেশে যে মানুষ পুড়িয়ে মারার রাজনীতি শুরু হয়েছে তা সহজেই শেষ হবে না এ কথা অকপটেই বলা যায়।আর কত মানুষ পুড়লে তারপর বাংলার রাজনীতি শান্ত হবে তার হিসাব ও জানা নেই কারও।পুড়ে যারা মারা গেছে তারা এক প্রকার বেঁচে গেছেই বলা যায়।
এখন মাঘ মাসের প্রায় শেষের দিক।ইতি মধ্যেই প্রকৃতিতে বসন্তের বার্তা এসে গেছে।কয়েক দিন পরেই শুরু হবে ঋতু রাজ বসন্ত।বসন্তের এই আগমনে শীতের জীর্নতা দূর করে আমারা পাব এক নতুন প্রকৃতি।
আমরা এই নতুন প্রকৃতির মত বাংলার রাজনীতিকেও নতুন রুপে দেখতে চাই যেখানে থাকবে না হানাহানি আর মানুষ পুড়িয়ে মারার মত বিভৎষ কিছু।আর যদি রাজনীতিতে যদি কোন পরিবর্তন না হয় তাহলে বলতেই হয়-
কি আর হবে
শীত শেষে এই ফাগুনে
পুড়ছে মানুষ
জ্বলন্ত ঔ আগুনে।
©somewhere in net ltd.