নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সর্দি, কাশি, কিংবা শ্বাস কষ্টের উপসর্গ ছাড়াও শত-শত মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছেন জাপান, জার্মানি ও আমেরিকার বৈজ্ঞানিকরা।

১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮



এই যে শুনছেন, আপনাকে বলছি?

কোন প্রকার সর্দি, কাশি, কিংবা শ্বাস কষ্টের উপসর্গ ছাড়াও শত-শত মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছেন জাপান, জার্মানি ও আমেরিকার বৈজ্ঞানিকরা।

একাধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পাওয়া গেছে যে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করে এমন একাধিক রোগী পাওয়া গেছে যাদের মধ্যে রোগের কোন উপসর্গই দেখা যায় নাই। অর্থাৎ, তাদের কারো সর্দি, কাশি, কিংবা শ্বাস কষ্টের উপসর্গ দেখা যায় নি। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা গেছে তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি।

চীনের উহান শহর থেকে ৫৬৫ জন জাপানি নাগরিকে জাপানে ফেরত নিয়ে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করে ৩১ % এর মাঝে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছে জাপানের Hokkaido University এর গবেষকরা অথচ একই শহর থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের কারো শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ পায় নাই বাংলাদেশ সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা। জাপানের সমুদ্র উপকূলে আটকে পড়া প্রমদতরী ডায়মন্ড প্রিন্স নামক জাহাজের ৩৭১১ জন যাত্রী ও ক্রুদের পরীক্ষা করে ৬৩৪ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ঐ ৬৩৪ জনের প্রায় ১৮% করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে রোগের কোন উপসর্গই দেখা যায় নাই কিন্তু পরীক্ষায় তাদের শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে। একই ভাবে, সিঙ্গাপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৪৮% এর শরীরে সর্দি, কাশি, কিংবা শ্বাস কষ্টের উপসর্গ দেখা যায় নি করোনা ভাইরাস পরীক্ষার পূর্বে। উপরে উল্লেখিত দুইটি পরিসংখ্যানই ইতিমধ্যে গবেষণা জার্নালে প্রকাশ হয়েছে।

মার্চ মাসের ১০ তারিখে ইসরাইল থেকে জার্মানিতে যাওয়া ২৪ জন যাত্রীকে পরীক্ষা করে ৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছে Dr. Sandra Ciesek, director of the Institute of Medical Virology in Frankfurt, Germany। ঐ ৭ জনের মধ্যে ৪ জনের শরীরে রোগের কোন উপসর্গই দেখা যায় নি। পরীক্ষার রেজাল্টে পাওয়া গেছে যে সকল রোগীর শরীরে কোন উপসর্গ দেখা যায় নি তাদের শরীরে উপস্থিত ভাইরাসের ঘনত্ব প্রায় উপসর্গ দেখা দেওয়া রোগীদের অপেক্ষা অনেক বেশি ছিলও। "Seven of the 24 passengers tested positive for coronavirus. Four of those had no symptoms, and Ciesek was surprised to find that the viral load of the specimens from the asymptomatic patients was higher than the viral load of the specimens from the three patients who did have symptoms.
Viral load is a measure of the concentration of the virus in someone's respiratory secretions. A higher load means that someone is more likely to spread the infection to other people."

উপরোক্ত তথ্যগুলো কি নির্দেশ করতেছে? বিদেশ থেকে আগত (বিশেষ করে সেই সকল দেশ থেকে যেখানে ইতিমধ্যেই ব্যাপক আকারে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে) কোন মানুষের শরীরে সর্দি, কাশি, কিংবা শ্বাস কষ্টের উপসর্গ দেখা না যাওয়া মানে এই না যে সেই ব্যক্তি করোনা ভাইরাস মুক্ত।

বাংলাদেশ সরকারের ভাষ্য মতে ইতালি ফেরত প্রবাসীদের বিমানবন্দরে করোনা ভাইরাস টেস্ট করে কারো মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায় নাই। এখন দেখা যাচ্ছে দেশে যত করোনা ভাইরাস রোগীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে তাদের প্রায় সবাই হয় ইতালি ফেরত না হয় ইতালি ফেরত কোন প্রবাসীর সংস্পর্শে এসেছেন বলে যানা যাচ্ছে। কয়েক দিন পূর্বে কথা প্রসঙ্গে এক বন্ধুকে বলেছিলাম যে ইতালি হতে আগত বাংলাদেশিরা প্রত্যেকেই এক একটা ট্রোজান হর্স। আমার কথাই সত্য প্রমাণিত হচ্ছে।

তথ্য সুত্র:

1)Infected people without symptoms might be driving the spread of coronavirus more than we realized


2) Study: 17.9% Of People With COVID-19 Coronavirus Had No Symptoms


3) Transmission of 2019-nCoV Infection from an Asymptomatic Contact in Germany

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: বিমান বন্দর কেন এখনো খোলা...???
বিমান কেন এখনো উড়ছে আকাশে???
এখনো কেন বিমান নামছে এই দেশে???

২| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: প্রবাসী ভাইয়েরা যে যেখানেই আছেন সেখানে থাকেন। আপনাদের থেকেই করোনা ছড়ালো বাংলাদেশে। নিজে বাঁচুন। পরিবার,সমাজ ও রাষ্টকে বাঁচান। মনে রাখবেন আপনিই আপনার পরিবারের প্রিয় লোকটির হত্যাকারী বনে যাচ্ছেন । তবুও কেন আপনারা চেক আপ করে করোনা পজিটিভ শুনলে হাসপাতাল হতে পালিয়ে যাচ্ছেন। সচেতন হউন। সাবধান হউন।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাংলাদেশে মহা বিপর্যয় না আসা পর্যন্ত সরকার ও জনগন কেউ সতর্ক হবে না।

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সম্ভব

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২২

আমি সাজিদ বলেছেন: আমাদের আল্লাহ দুইমাস সময় দিসিলেন, এই দুইমাসে আমরা আতসবাজি পুড়ানোর প্ল্যান করসি শুধু।

৬| ২০ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা কামাল পলাশ,





এমনটা হতেই পারে।
তাই প্রবাস থেকে বিশেষ করে ইতালী থেকে আসা প্রবাসীরা এক একটা টাইমবম্ব হয়তো। এটাকে জরুরী ভিত্তিতে আমলে নেয়া দরকার সরকার সহ সব মানুষের।

৭| ২১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:১৫

সোহানী বলেছেন: এটা পড়ে সত্যিই আতংকিত। কোন লক্ষন নেই কিন্তু ঠিকই ভাইরাস বহন করে চলছে ও অন্যকে গিফট্ করে চলছে!!

তোমার কি অবস্থা? হেন্ড সেনিটাইজার পাইছো?

৮| ২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গতদিনে ইতালীতে মারা গেল ৬৭৩ জন। সবচেয়ে ভয়ানক অবস্থা এখন ওখানে । মৃতের সংখ্যা ৪৮০০ ছাড়িয়ে গেছে ।
স্পর্শ এবং যৌনতা থেকে এরোগের বিস্তার হতে পারে । ইতালী ফেরতদের কড়া নজরদারিতে রাখা জরুরি ।

৯| ২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: এই আপাত সুস্থ মানুষেরা নির্দ্বিধায় রোগ ছড়াচ্ছে। এক গাণিতিক হিসাব দেখলাম এক্সপোনেনশিয়ালী বাড়ার ফলে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ২৫,০০,০০০ মানুষের হাসপাতালে চিকিৎসার দরকার হবে, অথচ এর ছোট অংশকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। অকল্পনীয় বড় মৃত্যুর মিছিল, জানিনা আমিও সেই মিছিলে থাকব কিনা। :((

১০| ২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৬

নতুন বলেছেন: যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তারা নিজেরা আক্রান্ত না হলেও সমাজে ছড়িয়ে দিতে পারে।

সামাজিক ভাবে দৈনন্দিন কাজে সবার একটু দুরত্ব রেখে চলাফেরা করা উচিত।

১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.