নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাতৃভাষা বাংলায় আব হাওয়া বিজ্ঞান চর্চা: (পর্ব ৮: বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা ভয়ংকর রকম ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ২০০০ সালের পর থেকে)

২২ শে জুন, ২০২১ ভোর ৪:৩৯



বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা ভয়ংকর রকম ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ২০০০ সালের পর থেকে। নিচে সংযুক্ত চিত্রটি নির্দেশ করতেছে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির চিত্র ১৮৭০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত। এই চিত্রটি নির্দেশ করতেছে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা ১৯০১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৯৭১-২০০০ এর গড় তাপমাত্রা অপেক্ষা কি পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে (লাল রং) কিংবা কমে গেছে (নীল রং)। এই চিত্রটিকে বলা যায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা কমার বিচ্যুতির চিত্র। এই চিত্রে ১৯৭১-২০০০ এর গড় তাপমাত্রা অপেক্ষা প্লাস/মাইনাস ২ দশমিক ৬ স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন (+/- 2.6 standard deviation) তাপমাত্রার বিচ্যুতির মান দেখানো হয়েছে। এই চিত্র স্পষ্ট নির্দেশ করতেছে যে ১৯২১ সালে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা অনেক কম ছিলও ১৯৭১-২০০০ এর গড় তাপমাত্রা অপেক্ষা। পক্ষান্তরে ২০২১ সালের গড় তাপমাত্রা ১৯৭১-২০০০ এর গড় তাপমাত্রা অপেক্ষা অনেক বেশি। এই চিত্রের ডান ডিকের বছরগুলোতে বিশেষ করে সাম্প্রতিক কালে বছরগুলোতে (২০০০ সালের পর থেকে) বাংলাদেশের তাপমাত্রা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের অর্থ সামাজিক অবস্থার উপরে; মানুষের দৈনন্দিন জীবনের উপরে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধিজনিত রোগের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে; মানুষে শরীর খুব দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়বে যার কারণে অল্প সময়ে ক্লান্ত হয়ে পড়বে; দিনের বড় একটা সময় বাহিরে কাজ করে যেমন রিকশাওয়ালা, কৃষক, ট্রাফিক পুলিশ ইত্যাদি পেশার মানুষের কর্মক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে। সবচেয়ে বড় হুমকি হবে হিট-স্ট্রোক জনিত কারনে মানুষের মৃত্যুর হার বেড়ে যাচ্ছে।

ছবি কৃতজ্ঞতা: বিশ্বের বিভিন্ন স্হানের বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার বোঝাতে এই ছবিটি আবিষ্কার করেছেন বিশ্বের শীর্ষস্হানীয় জলবায়ু পরিবর্তন গবেষক ও যুক্তরাজ্যের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এড হকিংস।




মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০২১ ভোর ৪:৫৮

সোহানী বলেছেন: খুব স্বাভাবিক। যে পরিমান প্রাকৃতিক ভারসাম্য দরকার তার ছিটেফোটাও নেই। বরং এ দঙ্গল ইটের জঙ্গল।

২২ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপু যা বলেছেন। আদিবাসি একটি প্রবাদ শেয়ার কার লোভ সামলাতে পারলাম না " “When the last tree is cut down, the last fish eaten and the last stream poisoned, you will realize that you cannot eat money.”"

২| ২২ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:০০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সবাই মিলে গাছ লাগাতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.