নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

কাল্পনিক_ভালোবাসা

একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।

কাল্পনিক_ভালোবাসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গরম ব্লগে নরম ব্লগিং! কিছু প্রিয় ও মজার মুহুর্তের স্মৃতিচারন করার অপচেষ্টা।

৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪৩

কয়েকদিন ধরে ব্লগ বেশ উত্তপ্ত। কেন উত্তপ্ত, কি কারন এবং কি তাহার সমাধান এই বিষয়ে আপাতত আর কিছু বলতে ইচ্ছা করছে না। সত্যি বলতে সামগ্রিক বিষয়টি যথেষ্ট বিরক্তির উদ্রেক সৃষ্টি করেছে। মডারেশন টিমের সহনশীলতাকে অনেকেই দুর্বলতা হিসাবে দেখছেন আবার অনেকেই পান থেকে চুন খসলেই নিজেকে সম্মানহারা মনে করছেন। উভয়ক্ষেত্রে বিষয়টি দুঃখজনক। লেবু বেশি টেপার ফল কখনই মিষ্টি হয় না। তাছাড়া ব্লগ স্কুল কলেজ নয়, আমরা এখানে কেউ কারো শিক্ষক নই। আমি আশা করব, আমাদের সম্মানিত ব্লগাররা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে বুঝবেন এবং ব্লগের পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সহযোগিতা করবেন। মডারেশন টিম ব্লগ নিয়ম প্রয়োগের ক্ষেত্রে ব্লগারদের প্রতি সহনশীলতা বাদ দেয়, তাহলে আমাদের অনেকের জন্য ব্লগিং বেশ কঠিন হয়ে যাবে। পাশাপাশি, আমি কিছু কিছু ব্লগারের ক্ষেত্রে খুবই আপত্তিজনকভাবে দ্বিচারিতা লক্ষ্য করছি। এই ধরনের দ্বিচারিতাকে 'সহজ সরল মনের অধিকারী' হিসাবে ব্যাখ্যা করার কোন সুযোগ নেই।

আরেকটি বিষয়। গত ১৯ তারিখ থেকে ব্লগের নির্বাচিত পাতাটি সাময়িক বন্ধ আছে, আগামী দুই একদিনের মধ্যে তা পুনরায় চালু হবে। এটা ব্লগের প্রতি ব্লগ কর্তৃপক্ষের হতাশা থেকে নয় বরং কারিগরী ত্রুটি থেকেই সৃষ্টি। আমরা ধারনা করেছিলাম, এই সমস্যাটি আরো আগেই সমাধান হবে, তাই আলাদা করে কোন নোটিস প্রদান করা হয় নি।

অনেক কঠিন কঠিন কথা বলে ফেললাম, এবার কিছু আনন্দের কথা বলি। ব্লগার সোহানী আপা তাঁর বই বিক্রির টাকার একটা অংশ আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন এবং অনুরোধ করেছেন দরিদ্র শিশুরদের জন্য যেন এই ফান্ডটি খরচ করা হয়। আমি অচিরেই এই বিষয়ে একটি আলাদা পোস্ট দিয়ে এই সংক্রান্ত কার্যক্রম প্রকাশ করব। পাশাপাশি, আপাকে ধন্যবাদ এত চমৎকার একটি মানবিক উদ্যোগ গ্রহন করার জন্য। আমাদের ব্লগাররা সব সময় প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে বিভিন্ন মানবিক কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং আশা করি ভবিষ্যতেও থাকবেন।



এবার মুল পোস্টে আসি। ব্লগেও গরম, বাইরেও গরম। ভাবলাম এই গরমে কিছু আনন্দের স্মৃতিচারন করি। এতে যদি গরম কিছুটা কমে তাহলে সেটা খুবই উপভোগ্য হবে। আমি আমার এই মজার অভিজ্ঞতাগুলো কয়েকটি শিরোনামে আলাদা আলাদা করে লিখলাম। যদি আপনাদের পড়ে ভালো লাগে, তাহলে সেটাই হবে আমার একমাত্র প্রাপ্তি।

ঈদ যাত্রাঃ
আমার মা আর বাবা হচ্ছেন দুসম্পর্কে মামাতো ফুপাতো ভাই বোন। আমি খুব ছোট থাকতেই আমার দাদাদাদী মারা যান। ফলে আমার বাবাকে আমার নানানানী অসম্ভব আদর ও স্নেহ করতেন। অবশ্য আমার বাবা বাড়ির বড় জামাই হিসাবে যতটা না আদর ভালোবাসা পেয়েছেন, তারচেয়ে বেশি পেয়েছেন ভাগ্নে হিসাবে। আমার মামা, খালারা সবাই ঢাকায় আমাদের বাসায় থেকে পড়াশোনা করেছেন এবং তাদের বিয়ে শাদীর পর সবাই আমরা একই বিল্ডিং এর বিভিন্ন ফ্ল্যাটে থাকতাম। ঈদ আসলে আমরা দলবেঁধে বাড়িতে রওনা হতাম। ঢাকা থেকে ১৫/২০ জনের একটা বিশাল দলবল নিয়ে এক সাথে গ্রামে যাত্রা ছিলো আমাদের জন্য খুব আনন্দের একটা উপলক্ষ।

যেদিন বাসায় আব্বা ঘোষনা দিতেন আমরা অমুক দিন বাড়িতে যাচ্ছি, সেদিন থেকে আমাদের মনে একটা চাঞ্চল্য সৃষ্টি হতো। আমরা দিন গুনতাম, কবে সেই কাংখিত দিন আসবে। দেখা যেত, গ্রামে যাওয়ার কয়েকদিন আগে থেকেই আমরা সবাই এক বাসায় চলে আসছি। গাদাগাদি করে ঘুমাচ্ছি, খাওয়া দাওয়া করছি। এক বাসায় ইফতার তো আরেক বাসায় সেহেরি!

যখন বেশ ছোট ছিলাম, তখন ট্রেনে বাড়িতে যেতাম। আমার মনে পড়ে, খুব ভোরে আমাদের ট্রেন ছাড়ত। সকাল সাড়ে ছয়টায়। এই উত্তেজনায় রাতে আমার কখনই ঘুম আসত না। আমি সেহেরী করেই রেডি। আব্বা আম্মা হাসতেন। আমরা বেবী ট্যাক্সি বা রিকশায় করে দল বেঁধে কমলাপুর স্টেশনে যেতাম। তখন অবশ্য আমাদের পরিবারের সদস্য এত বেশি ছিলো না। সব মিলিয়ে ৭/৮ জন। আগের দিন বাবা এলাকার পরিচিত বেবীটেক্সি ড্রাইভারদের বলে রাখতেন। সকাল বেলা যখন বারান্দা থেকে শুনতাম যে বেবী ট্যাক্সি চলে এসেছে, আমি দৌড়ে নিচে নেমে গিয়ে বেবী টেক্সিতে বসে থাকতাম, কখন স্টেশনের দিকে রওনা হবো। স্টেশনে পৌঁছে ট্রেনটা দেখতে পেলেই বুকের হার্টবিট বেড়ে যেত। ট্রেনটা যখন হুইসেল দিয়ে ছাড়ত, তখন একটা অদ্ভুত আনন্দ হতো। কি অদ্ভুত ছেলেমানুষী আচরন! এখন ভাবতেই হাসি পায়। অথচ যদি ভেবে দেখি, এইগুলোর আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের স্মৃতি।

আব্বা মাঝে মাঝে খুব মজার কাজ করতেন। একবার রোজার ঈদের সময় আব্বা ব্যবসায়িক কাজে খুব ব্যস্ত ছিলেন। আমাদের গ্রামে যাওয়ার সময়টা ছিলো অনিশ্চিত। আমি অফিসে কাজ করছিলাম, হঠাৎ আব্বা ফোন দিয়ে বললেন, তুমি আগামীকাল হাফবেলা ছুটি নিয়ে নাও। আগামীকাল দুপুরে আমরা গ্রামে রওনা হবো। বড় হয়ে যাওয়ার পরেও কেন যেন আব্বার কথা শুনে পেটের ভেতর একটা অদ্ভুত উত্তেজনা অনুভব করলাম। পরদিন অফিসে খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলাম। চারিদিকে ঈদের ছুটির একটা আমেজ। সেদিনই সম্ভবত শেষ কর্মদিবস ছিলো। দুপুর দুইটায় আব্বা ফোন দিয়ে বললেন, তুমি বাসায় আসো, একটু ঝামেলা হয়েছে।

আমি মহা দুঃশ্চিন্তায় বনানী থেকে এক প্রকার উড়ে কলাবাগানের বাসায় এলাম। এসে হাঁপাতে হাঁপাতে জিজ্ঞেস করলাম, আব্বা কি ঝামেলা?
আব্বা হাসিমুখে বললেন, তেমন কিছু না। আমাদের সাথে আরো কয়েকজন যাবে। মালপত্র এক গাড়িতে জায়গা হচ্ছে না, তুমি তোমার মেঝ খালার গাড়িটায় মালপত্র ভরে চালিয়ে নিয়ে আসো।

মেঝ খালার গাড়ির কথা শুনে আমি মনে মনে প্রমোদ গুনলাম। ইহা প্রাগৈতিহাসিক আমলের ম্যানুয়াল গিয়্যার সমৃদ্ধ টয়োটা ৯০ এসই লিমিটেড গাড়ি। জীবনে একবার ভুল করে, নিজের ড্রাইভিং দক্ষতা দেখাতে গিয়ে খালার এই গাড়িটি আমি চালিয়ে কলাবাগান থেকে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। ব্যাস! সেই থেকে এই গাড়ি চালানোর দায়িত্ব আমার। কারন প্রথমত ম্যানুয়াল গিয়্যার তেমন কেউ চালাতে পারে না। দুই এই গাড়িটির প্রথম গিয়ার তেমন কাজ করে না, এই গাড়িটি সেকেন্ড গিয়্যারে কাজ করে এবং আরো বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করলে তা আপনাকে অসীম সার্ভিস প্রদান করবে। কোন ড্রাইভার এই হ্যাপা নিয়ে গাড়ি চালাবে না। একবার গ্রামে যাওয়ার সময় কাঁচপুর ব্রিজের ঢালে প্রায় ঘন্টাখানেক জ্যামে আটকে থেকে আমার খালার ড্রাইভার প্রায় তাৎক্ষনিকভাবে চাকরি ছেড়ে চলে গিয়েছিলে।

যাইহোক, যেতে যেতে ইফতারির সময় হয়ে গেলো। আমার বাবা আর মামাকে দেখলাম রাস্তার পাশে একটা মাঠের মধ্যে বিশাল আয়োজন করে চাদর বিছাচ্ছেন। আশেরপাশের ছেলেপেলেরা বেশ উৎসাহ নিয়ে ব্যাপারটা দেখছেন। কয়েকজনকে ডাক দিলাম আমাদের সাথে ইফতারের জন্য। তারা সবাই চলে এলেন। আসলে আগে মানুষের মনে বেশি সংকীর্নতা ছিলো না। সবাই সহজ সরল ছিলেন। কেউ বাসা থেকে দৌড়ে কলের ঠান্ডা পানি আনলেন, কেউ বা আনলেন মুড়ি। আমার বাবা হয়ত এমন কিছু আগে থেকে পরিকল্পনা করেছিলেন। তাই সেইভাবেই তিনি ইফতার আয়োজন করেছেন। মাশাল্লাহ আমাদের জন্য যে ইফতার ছিলো, সেই ইফতার দিয়ে প্রায় আরো ১০/১২ জন মানুষ অনায়াসে খুব ভালোভাবে ইফতার সম্পন্ন করতে পারলো।

সবার সাথে ইফতার করে, পাশের মসজিদে নামাজ পড়ে, ফেরার সময় ঐ বাড়িতে আমাদের দাওয়াত গ্রহন করে সবাই ধীরে সুস্থে আবার রওনা হলাম।! এইগুলো ছিলো আমাদের ঈদ আনন্দ! আমাদের ঈদে বাড়ি যাত্রা!


নতুন চাকরীঃ স্যার কই?
আমার একজন সিনিয়র সহকর্মী একটি নামকরা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য হিসাবে যোগদান করলেন। তাঁর অধীনে আমি সরাসরি কাজ না করলেও উপচার্য অফিসের মুখপাত্র হিসাবে তাঁর সাথে আমার বেশ অনেকগুলো ছোট বড় প্রজেক্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিলো। তিনি ছিলেন খুবই করিৎ কর্মা একজন ব্যক্তি, অপ্রয়োজনীয় বুর‍্যোক্রেসীকে তিনি ঘৃণা করতেন। এই কাজ করতে গিয়ে তিনি অনেকের বিরাগভাজন যেমন হয়েছেন, তেমনি ছাত্রছাত্রীদের কাছেও প্রিয় ছিলেন।

তো যাইহোক, তিনি নতুন প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেই আমাকে ডেকে পাঠালেন। আমি তখন বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি আর গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। হঠাৎ স্যার একদিন ফোন দিয়ে বললেন, এ্যাই! তুমি কই? আমার অফিসে এখনই আসো

আমি ভেবেছি, স্যার বুঝি এমনিতেই দেখা করতে ডেকেছেন। আমি খুবই সাধারনভাবে নন ফরমাল ওয়েতে তাঁর অফিসে গেলাম। গিয়ে দেখি সর্বনাসের চুড়ান্ত! বোর্ড মিটিং রুমে তিনি বসে আছেন সাথে বোর্ড অব ট্রাস্টির লোকজন। আমাকে দেখেই একটা কটমট দৃষ্টি দিয়ে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখলেন। তারপর সবার দিকে তাকিয়ে বললেন, আমি একে আমাদের চট্রগ্রাম ক্যাম্পাসের জন্য নিয়োগ দিতে চাই। ও দীর্ঘদিন প্ল্যানিং এন্ড ডেভলেপমেন্ট বিভাগে কাজ করেছে, আই ওয়ান্ট হিম।

সবাই বললেন, ওয়েল! আপনাকে আমরা নির্বাচন করেছি। আর আপনি যাকে নির্বাচন করবেন তার ব্যাপারে সেই হিসাবে আমাদের কোন আপত্তি থাকার কথা না। তবে যাই করেন না কেন, কাজ দ্রুত শুরু হওয়া চাই। আর একটা বিষয়, আপনি যে কাজের জন্য একে পাঠাচ্ছেন, ওর বয়সটা বেশি কম হয়ে যাচ্ছে না? আরো সিনিয়র কাউকে দায়িত্ব দিলে ভালো হত না?

স্যার বললেন, আমার কাছে কাজটাই মুখ্য। বয়স দিয়ে কি হবে? ইতিমধ্যে তো বেশি বয়সের একজনকে আমরা রেখে দেখেছি। কোন ফিডব্যাক পাচ্ছি না।

আমার সামনেই এই সব আলাপ হচ্ছে। আমি মাননীয় স্পীকার হয়ে সকলের দিকে চেয়ে আছি। আমি রাজি কি না, আমি করব কি না - এই সব কোন ম্যাটারই না যেন স্যারের কাছে! কি নিশ্চিতে তিনি আমার হয়ে কথা বলে যাচ্ছেন। আমার দিকে চেয়ে বললেন, তুমি আগামী চট্রগ্রাম চলে যাও। ট্রেনের টিকিট কাটা আছে। আগামী দুই সাপ্তাহের মধ্যে চট্রগ্রাম ক্যাম্পাসের সকল সমস্যা, সম্ভাব্য সলিউশন ও ক্ষেত্র বিশেষে কেমন খরচ প্রয়োজন তা যাচাই করে আমার ও ট্রাস্টি বোর্ডের সামনে রিপোর্ট দিবা। তোমার রিপোর্টিং বস আমি আর ট্রাস্টি বোর্ড। বাকি কাউকে গোনার প্রয়োজন নাই। আর তোমাকে পাঠাচ্ছি ভিসি অফিস আর ওপিডি ডিপার্টমেন্টের কর্ডিনেটর হিসাবে। এই দুই সাপ্তাহে ক্যাম্পাসের কোন ছোট খাটো বিষয়ে যদি আমার সিদ্ধান্ত প্রয়োজন হয় তাহলে তুমি প্রাথমিকভাবে আমার সাথে আলাপ করে সেই সিদ্ধান্ত জানাবা। আমি চাই না, চট্রগ্রাম ক্যাম্পাসের দায়িত্বরত কেউ একটা পিন কেনার জন্য আমার এক ঘন্টা সময় নষ্ট করে।

স্যার, আমি কি তাহলে হোটেলে উঠব?

ট্রাস্টি বোর্ডের একজন বললেন, হোটেলে কেন থাকবেন? আমাদের নিজস্ব বাসা আছে। আপনার জন্য সেখানে ইতিমধ্যে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে।

আমি আর কিছু না বলে অফিস থেকে বের হয়ে আসলাম। একটা কফিশপে ঢুকে একগ্লাস ঠান্ডা পানি আর কফি খেলাম। মাথা ঠান্ডা করে সবার আগে বাসায় ফোন দিলাম। আম্মা আব্বা দুইজনেই আমার এই আকস্মিক চাকুরির যোগদানে কিছুটা বিরক্ত। পরে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলে শান্ত করলাম।

সকালে যখন চট্রগ্রামে পৌঁছলাম, তখন আমার নাম্বারে একটা ফোন আসল। একজন স্থানীয় টোনে শুদ্ধ ভাষায় বললেন, আসসালামু আলাইকুম স্যার! আপনাকে রিসিভ করতে আমি অফিস থেকে আসছি। আপনার বগির সামনেই আমাকে পাবেন।

আমি ট্রেন থেকে ব্যাগ ট্যাগ নিয়ে প্ল্যাটফর্মে নামলাম। দুরে নীল শার্ট পড়া এক লোক ছাড়া অন্য কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। সবাই যে যার মত চলে যাচ্ছে। আমি ঐ নাম্বারে ফোন দিলাম। দেখি ঐ নীল শার্ট পড়া লোকই হন্তদন্ত হয়ে বলল, স্যার!! আমি তো এখানে আছি, আপনি কই?
আমার সাথে চোখাচোখি হতে বেচারা কিছুটা হতাশ হলো। আমাকে ভালো করে দেখে বললেন, কর্ডিনেটর স্যার কই? স্যারের তো ট্রেন আসার কথা। আমি কিছুটা দ্বিধায় পড়লাম। ভাবলাম, স্যারের যে স্বভাব আর কাকে কাকে আমার সাথে পাঠিয়েছেন আল্লাহই জানে। আমি বললাম, আর তো কেউ আসে নাই।

দেখলাম নীল শার্ট পড়া লোকটা কাকে যেন ফোন দিয়ে বলল, স্যার কর্ডিনেটর স্যার তো আসে নাই। অন্য এক স্টাফ আসছে যে! উনাকে কি গাড়িতে করে নিয়ে আসব?

সম্ভবত হ্যাঁ জবাব শোনার পর তিনি আমাকে ইশারায় বললেন তাঁর পিছু নিতে। আমি এই সব ভারী ব্যাগ নিয়ে পুরো প্ল্যাটফর্ম হেঁটে গাড়িতে এসে বললাম। পুরো পথ বেচারা কাকে যেন ফোনে বিচার দিচ্ছিলো, এত ভোরে উঠে তাঁকে ডিউটিতে পাঠানো হইছে অথচ স্যারই আসে নাই।

যাইহোক, আমাকে অফিসের বাসায় নামিয়ে দিলেন। আমি একটু ফ্রেস ট্রেস হয়ে রেডি হতেই দেখি ঢাকা থেকে ভিসি স্যার ফোন দিলেন। ফোন দিয়ে খোঁজ খবর নিলেন। আর নতুন কাজের ইনস্ট্রাকশন দিলেন। আমি বুঝলাম, স্যার আমার অবস্থা টাইট করে ছাড়বেন।

যাইহোক, রেডি হয়ে অফিসে গেলাম। প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করলাম। বিভিন্ন বিল্ডিং, ল্যাব আর লাইব্রেরী ঘুরে ঘুরে দেখে রুমে ঢুকে মাত্র পানি মুখে দিচ্ছিলাম, হুড়মুড় করে আমার রুমে সকালের ড্রাইভার প্রবেশ করলেন। বিস্ফোরিত নয়নে বললেন। স্যার আপনি যে নতুন স্যার এটা আমারে কেন বলেন নাই? আমি স্যার আপনার সাথে এই বেয়াদপি করলাম, হ্যান তেন আরো বহু কি যেন বললেন।

সত্যি বলতে আমি এই পুরোটা সময় দাঁত বের করে হাসছিলাম। পরে বেচারাকে শান্ত করে কাজে ফেরত পাঠালাম। এই চাকরীতে গিয়ে আমি একটা জিনিস শিখলাম - সুশীল সিন্ডিকেট খুব ভয়াবহ জিনিস। এরা খুব মিষ্টি হাসি দিয়ে একটা নির্দিষ্ট শ্রেনীর ব্রেণ ওয়াস করে। পাশাপাশি, আঞ্চলিকতাকে অনেকেই অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে নিজেদের অপরাধ ও অকর্ম্যতাকে ঢাকে। একটা প্রতিষ্ঠানে যদি পেশাদারিত্ব না থাকে, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানটি টিকতে পারে না। বলা বাহুল্য এই প্রতিষ্ঠানটি এই সকল দোষে প্রচন্ড জর্জরিত ছিলো। এই প্রতিষ্ঠানটিকে নতুন রুপে সাজানোর জন্য যে কষ্ট আমি করেছিলাম, সেটা আমার কাছে খুবই আনন্দের একটি অভিজ্ঞতা। শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো কিছু করতে পেরেছি, তাদের ভালোবাসা পেয়েছি এটাও আমার জন্য একটি আনন্দের ঘটনা।

পাঠক অনেক বড় একটি লেখা দিলাম। যদি বিরক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে অগ্রীম দুঃখ প্রকাশ করছি। আপনারাও চাইলে লিখতে পারেন আপনাদের জীবনের এই ধরনের নানা স্মৃতি, আনন্দ ও বেদনার গল্প!

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ২টার দিকে শুরু করে একটু একটু লিখছিলেন, আর সেভ করছিলেন, যখন পাবলিশ করেন তখন ৫ঃ৩৩ বাজে, পোস্ট যথারীতি অনেক নীচে নেমে গিয়েছিল। আমি সেখানে একটা কমেন্ট করেছিলাম। কমেন্ট সেন্ড করার পর দেখি পোস্ট নাই :( আমার কমেন্ট ফিরিয়ে দিন

'স্যার কই' গল্প পড়ে হাসছিলাম। গল্পের ছলে যে মেজেজ দিলেন সেটা দারুণ, তার সাথে একমত।

৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, আসলে একটানা লেখা খুব কঠিন একটি বিষয়। এক সাথে ব্লগের অন্য লেখাও পড়তে হয় আবার নিজের লেখাও লিখতে হচ্ছে! আর আমাদের প্রিয় বাগ ভাই তো আছেনই। তাই প্রকাশ করার পর অনেক নিচে নেমে গিয়েছিলো।

আপনাকে ধন্যবাদ প্রিয় সোনাবীজ ভাই কষ্ট করে এত বড় পোস্ট পড়েছেন। আপনি একজন মনযোগী পাঠক, সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

২| ৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রাতের বেলা ভ্যাপসা গরম ভুলে যাই লজ্জা শরম ব্লগেও তার প্রভাব পড়েছে মনে হয়। গ্রীষ্মের দাবদাহে অস্থির জীবন। পাচবার ভূমিকম্প হলো সিলেটে আর যে গরম মনে হয় বড় বন্যা হবে এবার । করোণা ব্যাধির পাশাপাশি দূর্যোগ ছাড়ছে না ।

৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সেলিম ভাই সেটাই। বড় আশংকার মধ্যে আছি। আল্লাহ যেন আমাদের রক্ষা করেন। আমাদের তো সচেতনতা খুবই কম। পলাশ ভাই এই ব্যাপারে বেশ কিছু পুর্বাভাস দিয়েছেন। তিনি এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ। ফলে কিছুটা চিন্তার ভাজ তো কপালে পড়ছেই।

৩| ৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩

জটিল ভাই বলেছেন:
সুন্দর ও গভীর অর্থপূর্ণ পোস্ট। অনেককিছু বুঝলাম। ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল :)

৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মাফ করবেন, এটা প্রশ্ন ছিলো। আপনার প্রোফাইলে সৌদি আরবের পতাকা কেন? এটা কি ধর্মীয় ভালোবাসা থেকে?

৪| ৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৬

শাহ আজিজ বলেছেন: ভালই অ্যাসেসমেনট - সুশীল সিন্ডিকেট ।। বাংলাদেশটা এখন সুশীলদের হাতে ।




ভাল লাগলো তোমার লেখা ।

৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আজিজ ভাই! কর্মক্ষেত্রে এই ধরনের পাবলিকদের ক্ষপ্পরে নিশ্চয় কম বেশি আমরা সবাই পড়েছি।

৫| ৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৭

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ব্লগাররা অনেকদিন ধরে রেস্টুরেন্টে খেতে পারছেন না, তাই গরম হয়ে আছেন। আপনার রেস্টুরেন্টে দাওয়াত দিন, সবাই ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।

৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: লক ডাউনের মধ্যে রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা নাই। 8-| B-))

৬| ৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




খুব সম্ভব ২০০২-২০০৩ এর কথা। এমনই আম কাঁঠালের সিজন। আমি ভাওয়াল রাজাবাড়ী হতে আসছি পথে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্টে থেমেছি পথের পাশে স্তুপ করে কাঁঠাল রাখা দেখে। আমি দুইটি কাঁঠাল কিনি খুব অল্প দামে। রাজেন্দ্রপুর থেকে ঢাকা কলাবাগান আসতে আসতে পুরো গাড়ি কাঁঠালের মজাদার এক ঘ্রাণে ভরে গেছে।

বাসায় এনে কাঁঠাল ভেঙে যা বার হয়েছে কমলা রঙের গোল রসগোল্লা সদৃশ যার স্বাদ এই পৃথিবীর না অন্য কোনো ভূবনের। হয়তো বা স্বর্গেরও হতে পারে। মন্তব্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছি কাাঁঠাল জায়গা পরিবর্তনে ও কাঁঠালের বীজে একই জাত বিদ্যমান থাকে না। এই কাঁঠালের বেলায়ও তা হয়েছে একই বীজে একই কাঁঠাল আমরা পাইনি। বীজ থেকে ভিন্ন জাতের কাঁঠাল হয়েছে সেই স্বাদ আর এই স্বাদ এক না। - এ বিষয়ে বিস্তারিত হয়তো কোনো একদিন ব্লগে লিখবো।

মরিশাসের একটি পরিকল্পিত হত্যা মামলার ঘটনা নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে। আমার শরীর তেমন ভালো যাচ্ছে না। আমার জন্য দোয়া করবেন।

৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে দ্রুত সুস্থ করুক, এই প্রার্থনা রইল।

৭| ৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০

জটিল ভাই বলেছেন: লেখক বলেছেন: মাফ করবেন, এটা প্রশ্ন ছিলো। আপনার প্রোফাইলে সৌদি আরবের পতাকা কেন? এটা কি ধর্মীয় ভালোবাসা থেকে?

ছিঃ ভাই, এখানে মাফের প্রসঙ্গ টেনে কষ্ট দেবেন না। হুম্। আমার প্রোফাইলের ছবিটা ধর্মীয় ভালবাসা হতে। আমার পছন্দের রং সবুজ। তো যখন রেজিস্ট্রেসন করি তখন সবুজের উপর কলেমা লিখা একটা ছবি দিতে গিয়ে এটা ভালো লাগে এবং দেওয়া হয়। পতাকা হিসেবে নয়, কলেমার প্রতি ভালবাসা আর প্রিয় রঙ্গের সমন্বয় শুধুমাত্র। এরপর এতোদিন যাবৎ থাকায় আলাদা একটা মায়া চলে এসেছে যে ব্যাপারটা আশা করি আপনিও উপলব্ধি করতে পারেন। প্রতিউত্তরের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। :)

৮| ৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো

৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপা।

৯| ৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনি প্রাইভেট ইউনিভার্সিতে কাজ করেছেন; ওখানে কি পড়ালেখা হয়?

৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: যদি মানসম্মত পড়াশোনার কথা বলেন - তাহলে দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা খুব একটা সুবিধার না। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানের কারিকুলাম নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। বুয়েটের সাবেক ভিসি সাইফুল ইসলাম একজন ভয়াবহ শিক্ষক ছিলেন। উনার কাছে একবার প্রস্তাব রেখেছিলাম ট্রিপল ই বিভাগের কারিকুলামের আপডেট করার জন্য। যেন আমাদের ছাত্ররা ক্রেডিট ট্রান্সফার বা ইসিএ তে ভালো পারসেন্টেজ পায় এবং বিদেশে সার্টিফিকেটের মুল্য বাড়ে। তিনি আমাকে বললেন- তোমার এত মাথা ব্যাথ্যা কেন ? এরা বড়লোকের ছেলে! এরা কোন মতে পাশ করলেই হলো। উনি নিজেও বুয়েটের কারিকুলাম নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না। ভারত যেখানে কারিকুলামের দিক দিয়ে অন্তত ২০ বছর আগানো আছে, আমরা এখনও ২০ বছর পিছিয়ে আছি।

১০| ৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সোহানী বলেছেন: নতুন স্যারের কর্মযজ্ঞ জেনে ভালো লাগছে। এরকম একটি প্রতিষ্ঠানকে সাইজ করার অভিজ্ঞতার কারনেই জানা আপু আপনারে এমন দায়িত্বে নিয়োজিত করছে B-)

ঈদের আনন্দতো ওটাই। বাড়ি যাওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি, ইফতার, জার্নি, অকারনে রাগ করা আবার তা ভাঙ্গা, ঈদের নামাজ, সালামী...... আহ্ কত স্মৃতি কত আনন্দ।

ম্যানুয়েল গিয়ার চালানোর অভিজ্ঞতা থাকলে জার্মানে আপনার গাড়ি চালাতে কোন অসুবিধা হবে না। কারন ওরা এখনো ম্যানুয়েল গিয়ার প্রেফার করে, অটো কম। আর আমাদের এখানে উল্টো। ম্যানুয়েল গিয়ার কেউ চালায় শুনলে সবাই হাসে।

ব্লগে এমন কিছু সবসময়ই ছিল ও আছে। সবার মন মানসিকতা একরকম নয় বলেই এডমিনিস্ট্রেশান ডিপার্টমেন্ট B:-/ । আপনি আমি চাকরী করে কিছু আয় রোজগার করতে পারছি......... B-))

আর সবার শেষে, কৃতজ্ঞতা ও অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার দায়িত্বটি নিজের কাঁধে তুলে নেবার জন্য।

৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১১:২৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী আপা। আপনার জন্য কৃতজ্ঞতা। আমাদের মানবিক মুল্যবোধ ইদানিং কমে যাচ্ছে। সেখানে আপনি এগিয়ে এসেছেন। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব সঠিক হাতে আপনার এই উপহারগুলো পৌঁছে দিতে।

আর ম্যানুয়াল গাড়ির কথা কি বলব আপা! ঢাকা শহরে পাপ হচ্ছে ম্যানুয়াল গাড়ি। যদিও আমি ভালোবাসি। কিন্তু ঢাকা মত একটি ট্রাফিক পুর্ন শহরে ইহা্র কথা চিন্তা করাও পাপ।

১১| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৪৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার দেশের বাড়ি যাওয়ার গল্প পড়ে আমার নিজের শৈশব স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আমরা যারা বাইরে থাকি , তাদের সন্তানেরা বিমানে চেপে দাদা/ নানা বাড়ী যায় এবং ঢাকা বিমানবন্দরে নেমেই তাদের ভুরু কুচকে যায়। মাঝে মাঝে তাদের ছোটবেলার গল্প শুনাই। ঈদের সময় আমরাও আপনার মত কাজিন্দের সাথে দলবেধে দাদাবাড়ি ঈদ করতে যেতাম। ঢাকার খুব কাছেরই এক জেলায় পৌছাতে সেই সময়ে তিনটা নদি ফেরী করে পার হতে হত।সে সময়ে সাত আট ঘন্টা লাগতো পৌছুতে । এখন লাগে দুই ঘন্টা। সেই সময়ে ছিল না আজকের সময়ের মত এসি বাস। কিন্ত সেইসব ননএসি বাসে বসেই রাস্তার দুধারের অপরুপ গ্রাম্য সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে ফেরিতে বসে চানাচুর /আমড়া খাবার মধুর অভিজ্ঞতা শুনে আমাদের সন্তানেরা আতঁকে উঠে। আসলে তারা জানে না যে কি ভয়ঙ্কর সুন্দর ছিল সেই সময়টা।

ধন্যবাদ সুন্দর সেই সময়টা মনে করিয়ে দেবার জন্য।

৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৪৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। আসলে আগে গ্রামে যে সুন্দর পরিবেশ ছিলো, এখন তা আর নেই বললেই চলে। ছোট বেলায় আমার যতদুর মনে পরে আমার গ্রামের বাড়িতে বাসে যাওয়ার সময় দুইটা বড় নদী ফেরিতে পার হতে হতো। একটা মেঘনা আরেকটা দাউদ কান্দি। এখন গ্রামের স্মৃতিচারন মনে হয় বেশ সেকেলে একটি জিনিসে পরিনত হয়েছে।

১২| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৫৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: ১৯ তারিখের বিষয়টা সিরিয়াসলি নিয়েছেন মনে হচ্ছে। বরফ গলানোর জন্য যে পোস্ট দিয়েছেন, সেটা খুব কাজে দিয়েছে মাশাআল্লাহ।

৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৪৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা। না সিরিয়াসলি না, তবে আমার উচিত ছিলো নোটিস দিয়ে জানানো। কিন্তু কিছুটা আলসেমীর কারনে মেঘে মেঘে হলো দেরী!! আর বরফ গললেই আমি খুশি।

১৩| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ৯:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা,




মডারেটর স্যার কই ? :(
এ যে দেখি কাল্পনিক কারো বাস্তব কথন।

দেখি, স্মৃতির কিছু আনন্দ- বেদনার গল্প লেখা যায় কিনা...........

৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৪৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা! আপনার লেখার অপেক্ষায় রইলুম ভাইয়া।

১৪| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ৯:২৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার 'স্যার কই' ঘটনাটি পড়ে মজা পেলাম। দুই দশক পূর্বে আমি আমার চাইতে ৬/৭ বৎসরের জুনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে এবং পাড়ার জুনিয়র বন্ধুদের সাথে চলাফেরা করতাম বলে আমার সমবয়সীদের প্রশ্নবানের সম্মুখীন হতাম। আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে এখনও আমাদের সমাজ তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে পুরোপুরি অভ্যস্থ হয় নি।

সাইফুল ইসলাম সাহেবকে আমার বুয়েটের ছাত্রাবস্থায় দেখার সুযোগ হয়েছিল, তিনি তখন লেকচারার হিসাবে কর্মরত। আমার কাছে তাকে চরম নিরীহ ও নির্লিপ্ত ব্যক্তি বলে মনে হয়েছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় যে পরিমান সাহস ও দৃঢ় মনোবলের প্রয়োজন তিনি সেই ক্যাটাগরিতে পড়েন না বলেই আমার মনে হয়।

৩১ শে মে, ২০২১ রাত ২:৫০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমি আসলে এই ভদ্রলোকের সাথে কাজ করেছিলাম। খুবই নীরহ ও নির্লিপ্তের পাশাপাশি তিনি খুবই অপমানজনক ধারনা পোষন করতেন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উপর। অথচ তিনি নিজে বুয়েট অনেক ক্লাস বাদ দিয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিতেন। তাঁর বেতন সেখানে ছয় ডিজিটের কম ছিলো না।

শুধুমাত্র তাঁর অনিহার কারনে তার বিভাগে গৎ বাঁধা সিলেবাস পড়ানো হত। ঐ বিশ্ববিদ্যলয় থেকে দেশে বাইরে যে সকল ছাত্রছাত্রী পড়তে গিয়েছেন এবং যে সকল তরুন শিক্ষক পড়তে গেছেন তারা সবাই তাঁকে ব্যক্তিহতভাবে অভিশাপ দেয়।

১৫| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। পড়ে খুবই আনন্দ পেলাম। সবচাইতে মজা পেলাম, সত্যি বলতে সামগ্রিক বিষয়টি যথেষ্ট বিরক্তির উদ্রেক সৃষ্টি করেছে। মডারেশন টিমের সহনশীলতাকে অনেকেই দুর্বলতা হিসাবে দেখছেন আবার অনেকেই পান থেকে চুন খসলেই নিজেকে সম্মানহারা মনে করছেন। এই লাইন ক'টা পড়ে!! :P

একটা ঘটনা মনে পড়লো। বুয়েটে যখন আবরারকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়, তখন আমার পরিচিত একজন পাড় আওয়ামীলীগারের বক্তব্য ছিল এমন, ওরা (বুয়েটলীগের নেতারা) উত্তেজিত হয়ে না হয় দু'একটা চড়-থাপ্পড় মেরেই ছিল, কিন্তু আবরারের এভাবে মরে যাওয়া কি ঠিক হয়েছে? পান থেকে চুন খসলেই ছাত্রলীগের সন্মানহানী করা হয়। এতো দূর্বল আর অসহনশীল মানুষের বেচে থাকার দরকারই বা কি? =p~

যাই হোক, পোষ্ট পছন্দ হয়েছে। লাইকড!!

৩১ শে মে, ২০২১ রাত ২:৪৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মাঝে মাঝে আমি চিন্তায় পড়ি যে আপনাকে আসলে কিভাবে সম্বোধন করব। ভুয়া ভাই বললে কেমন যেন শোনায় আবার মফিজ বললেও বিপদ! ভুম বললে কেমন যেন ন্যাকামি টাইপ মনে হয়। এত বড় বিপদ আমি সাম্প্রতিক সময়ে আর ফেস করি নাই।

আমি বেশ কয়েকজন ব্লগারের কাছ থেকে ফোন ও ব্যক্তিগত ইমেইল পেয়েছি। সবার নাকি মান সম্মান ধুলোয় মিটে গেছে। আমরা তাদেরকে চিনি না জানি না আরো অনেক কিছু। আমার পক্ষে তো আদৌ সবাইকে চেনা সম্ভব না। তো একবার জনৈক ব্লগার আমাকে ব্লগীয় অশিষ্টাচার নিয়ে অভিযোগ জানাতে ফোন দিলেন। প্রায় অনেকক্ষন তাঁর পরিবারের ঐতিহ্য ও প্রভাব শোনার পর আমার ধারনা হয়েছিলো - ভদ্রলোক খুব সম্ভবত মোঘল বংশের কেউ।

আমি যথা সম্ভব ফোনে বিগলিত হয়ে বললাম, আমাদের পারিবারিক কুষ্ঠিতে আমার দাদার দাদার দাদার বাবার মুখে আপনাদের পরিবারের কথা শুনেছিলাম। সবচেয়ে আনন্দের কথা সেই পুর্ব পুরুষ খুব সম্ভবত আপনাদের হাতিশালার একজন নগন্য মাহুত ছিলেন....। আমি কথা শেষ করতে পারি নি। তার আগেই ফোন কেটে গেলো।

যাইহোক, একজন প্রতিভাবান ব্লগারের এই অকাল প্রস্থানে জানা আপা আমাকে যে শো কজ করে নাই, এটাই কপালের ভাগ্য।

আবর্জনারও গুরুত্ব আছে। তাই আশায় আছি - যদি সার উৎপাদন করতে পারি। হাহা

ভালো থাকবেন প্রিয় ভুয়া মফিজ। শুভ ব্লগিং!

১৬| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৫৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কা_ভা, যে দেশে শিক্ষার উপর অর্থমন্ত্রী ভ্যাট আরোপ করে নিজের সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে সাফাই গেয়েছিলেন, সে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কে আর মাথা ঘামায় বলেন?

এদেশের আপাত সফল মানুষেরা চুড়ান্ত স্বার্থসচেতন। নিজেদের ছেলেমেয়েকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠিয়ে এদেশের শিক্ষাব্যবস্থার চূড়ান্ত সর্বনাশ করে ছেড়েছে। তার একটা ছোট্ট উদাহরণ আপনার লেখাতেই আছে।

আমিও জানতে চাই, স্যার কই???

৩১ শে মে, ২০২১ রাত ৩:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি বিশ্বাস করি, এই দেশে যারা সত্যিকারভাবে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করেছে তাঁরা সবাই এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে হতাশ। এই যে দেখুন, আমরা একটি প্রজন্মকে প্রায় ধবংস করে দিচ্ছি। একটা দীর্ঘ সময়েও আমরা একটি সুষ্ঠ ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রনোয়ন করতে পারলাম না। অথচ আমাদের মেধার অভাব নেই।

আমাদের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষনার সুযোগ খুবই সীমিত। বিশেষ করে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দুই একটি হাতে গনা প্রতিষ্ঠান বাদে কারোই গবেষনা করার সুযোগ নেই। সরকার বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নীতি নির্ধারন করেছে - এতে আসলে অনেক ফাক আছে। যার মাধ্যমে অনেকের কালো টাকা সাদা হচ্ছে। যে সংখ্যক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাদের মান যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ। শিক্ষাকে ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট হচ্ছে। এমন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে যাদের সার্টিফিকেটের মান আন্তর্জাতি মানদন্ডে শূন্য। অথচ সরকার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী ভর্তির অনুমোদন দিয়েছে। এরা দেশেও কোথাও চাকরি পাচ্ছে না। এর জবাব কে দিবে?

নৈতিক অবস্থান থেকেই একটা সময় স্যার পালিয়ে বেঁচেছেন - এই শিক্ষা নামক ব্যবসায়ীদের কবল থেকে।




১৭| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৩৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সব মিলিয়ে চমৎকার লিখেছেন। সত্যিই সুশীল নামক এই সমাজটা ভয়ংকর সিন্ডিকেট ।

৩১ শে মে, ২০২১ রাত ১২:২৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আলি ভাই!

১৮| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৫৩

কামাল১৮ বলেছেন: ঈদে বাড়ী যাবার অভিজ্ঞতা কম বেশি সকল বাঙ্গালীরই আছে,পড়ে ভালো লাগলো।বড় হলেও পড়ে উপভোগই করলাম।

৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১১:২৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে :) আপনার আগের নিক টি তো এখন আর জেনারেল নেই, সেই নিকে ফেরত গেলেই তো পারেন। প্রকাশ্যেই বললাম, কারন সবাই জানে ঐ নিকটি আপনার। ঐ নিকে আপনাকে দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছিলাম কি না!

১৯| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৪১

ঢুকিচেপা বলেছেন: “দুপুর দুইটায় আব্বা ফোন দিয়ে বললেন, তুমি বাসায় আসো, একটু ঝামেলা হয়েছে।”
আপনি বাসাতেও মডু ?

গল্প দুইটাই উপভোগ্য।
আপনার লেখা এধরনের পোস্ট যদি রিপোস্ট করেন তাহলে খুঁজে পড়ার সময় বাঁচতো।

৩১ শে মে, ২০২১ রাত ২:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট পড়ার জন্য। আমি সময় করে কিছু পোস্ট আপনার সাথে শেয়ার করব।

২০| ৩১ শে মে, ২০২১ রাত ১২:১৬

কামাল১৮ বলেছেন: ঐ নিক আমি আর খুঁজে বের করতে পারবোনা।মেয়ে তৈরি করে দেয়,এখন বললে রেগে যাবে।জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

৩১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:২৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ওহ! ওকে।

২১| ৩১ শে মে, ২০২১ রাত ২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: স্কুলে জীবনে একটা স্যার ছিলেন। তাকে আমি ভয় পেতাম। স্যারের ভয়ে পেছনের বেঞ্চে গিয়ে বসতাম। এমন ভাবে বসতাম স্যার যেন আমাকে দেখতে না পায়। কিন্তু স্যার সবার আগে আমাকেই পড়া ধরতেন। স্যার জীবন প্রায় তেজপাতা করে দিয়েছিলেন।

আপনার পোষ্টে মন্তব্য করতে ভয় পাই।
এমন কি আপনাকে অনলাইনে দেখলেও ভয় লাগে। আমি সামু ওপেন করে সবার আগে দেখি আপনি অনলাইনে আছেন কিনা। যদি থাকেন তো নড়েচড়ে বসি। না থাকলে আয়েশ করে বসি।

৩১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার মন্তব্যে আমি খুবই অবাক হলাম। আমাকে অনলাইনে দেখলে কেউ ভয় পায় - খুবই হাস্যকর কথা।

২২| ৩১ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আদ্যপান্ত এক টানে পড়ে ফেললাম। চমৎকার স্মৃতিকথাগুলো ভালো লাগলো। বিশেষ করে সপরিবারে গ্রামে ঈদযাত্রার সেই অনাবিল আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়া, পথের ধারে বসে আশপাশের ছেলেপুলেদের ডেকে নিয়ে একসাথে ইফতার করা, নীল শার্ট পড়া লোকটির আপনাকে চিনতে না পেরে পরে এসে আবার ক্ষমা চাওয়া, সুশীলগণের সিন্ডিকেট বিষয়ে কিছু ধারণাসহ বেশ কিছু শিক্ষনীয় বিষয়ের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ পোস্টটির জন্য কৃতজ্ঞতা। ভালো লাগা আপনার কয়েকটি পয়েন্ট-

মডারেশন টিমের সহনশীলতাকে অনেকেই দুর্বলতা হিসাবে দেখছেন আবার অনেকেই পান থেকে চুন খসলেই নিজেকে সম্মানহারা মনে করছেন। উভয়ক্ষেত্রে বিষয়টি দুঃখজনক।

-সহমত। ধৈর্য্য এবং বিশেষ করে সহনশীলতা। সর্বাবস্থায় আমাদের প্রত্যেকের নিকট থেকে সহনশীলতা কাম্য।

ব্লগার সোহানী আপা তাঁর বই বিক্রির টাকার একটা অংশ আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন এবং অনুরোধ করেছেন দরিদ্র শিশুরদের জন্য যেন এই ফান্ডটি খরচ করা হয়।

-চমৎকার এই কাজটির জন্য ব্লগার সোহানী আপাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

মেঝ খালার গাড়ির কথা শুনে আমি মনে মনে প্রমোদ গুনলাম। ইহা প্রাগৈতিহাসিক আমলের ম্যানুয়াল গিয়্যার সমৃদ্ধ টয়োটা ৯০ এসই লিমিটেড গাড়ি। জীবনে একবার ভুল করে, নিজের ড্রাইভিং দক্ষতা দেখাতে গিয়ে খালার এই গাড়িটি আমি চালিয়ে কলাবাগান থেকে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম।

-'প্রাগৈতিহাসিক' শব্দটার প্রয়োগে না হেসে পারা গেল না। আপনার রম্য রচনার হাত বরাবরই চমৎকার।

আমার সাথে চোখাচোখি হতে বেচারা কিছুটা হতাশ হলো। আমাকে ভালো করে দেখে বললেন, কর্ডিনেটর স্যার কই? স্যারের তো ট্রেন আসার কথা। আমি কিছুটা দ্বিধায় পড়লাম। ভাবলাম, স্যারের যে স্বভাব আর কাকে কাকে আমার সাথে পাঠিয়েছেন আল্লাহই জানে। আমি বললাম, আর তো কেউ আসে নাই।

-বেচারার আপনাকে দেখে কো-অর্ডিনেটর মনে না করার কারণ কি ছিল বলে মনে করেন? আপনি বয়সে তরুন ছিলেন বলেই তিনি আপনাকে চিনে নিতে না পারার এমন দ্বিধায় পড়েছিলেন কি?

আবারও ধন্যবাদ।

৩১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে নকিব ভাই।

আমাকে যে পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো, সেটা আমার বয়সের তুলনায় কিছুটা ভারী পোস্ট। সাধারনত এই ধরনের পোস্টে আরো সিনিয়র কোন ব্যক্তিকে সবাই প্রত্যাশা করেছিলো। ফলে আমাকে বেশ কিছুদিন কষ্ট করতে হয়েছিলো সকলের আস্থা অর্জনের জন্য। আমি যাকে রিপ্লেস করেছিলাম, তিনি বয়সে আমার প্রায় দ্বিগুন ছিলেন। তাই হয়ত এই দ্বিধা।

২৩| ৩১ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:২৮

জুন বলেছেন: বয়স দিয়ে কি হবে!! ইতিমধ্যে একজনকে রেখেছিলাম কিন্ত কোন ফিডব্যাক তো পাচ্ছি না আপনার লেখায় এই লাইনটাই জবরদস্ত হয়েছে কাভা :``>>
গত দুইদিন ধরে আমরা ফিডব্যাক দিচ্ছি কি না B-)
মজার ঈদ সেই পুরনো গ্রামের ঈদ যা এখন আধ শহুরে চেহারায় পালটে গেছে অনেকটাই।
সোহানীর জন্য রইলো আন্তরিক অভিনন্দন।

৩১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা, প্রিয় জুন আপা আশা করি ভালো আছেন। আপনার ভ্রমন পোস্টের অপেক্ষায় থাকি। আপনার ও পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা রইল।

আপু আমার একটা অদ্ভুত কথা মনে হয়। আমার মনে হয়, আগের দিনগুলো অনেক ভালো ছিলো। মানবিকতা ছিলো, মানুষ মানুষের জন্য কিছু করতে দ্বিধা করত না, আমাদের আনন্দগুলো মেকি ছিলো না। কিন্তু হয়ত এই প্রজন্মের সাথে আমরা তাল মেলাতে পারছি না। তাই হয়ত কোন কিছু পছন্দ হয় না।

২৪| ৩১ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:২৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: এই গরমে চমতকার নরম লেখার জন্য ধন্যবাদ।

শৈশবের কোথায় বেড়ানো বড়ই আনন্দের ব্যাপার এবং পরবর্তী জীবনের মজার স্মৃতির উপলক্ষ।আর পরিবারের এবং আপনজনদের সবার সাথে গ্রামের বাড়িতে ঈদের মজাই আলাদা এবং অন্যরকম এক আবহ তৈরী করে।

আসলেই আগে মানুষে মানুষে অনেক হৃদ্যতা ছিল এবং খুব সহজেই একে অন্যকে আপন করে নিত। বর্তমানে সভ্যতার অগ্রগতিতে মানুষ এগিয়েছে সত্যি কিন্তু মানবিকতা তথা মানুষে মানুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে গেছে।মানবিকতার জায়গায় এখন স্বার্থের জয়জয়কার এবং যে কোন সম্পর্ক এখন স্বার্থের ভিত্তিতে গড়ে উঠে।

কর্পোরেট কালচারে মানবিকতার স্থান নেই বললেই চলে ।আর তার সাথে সাথে আঞ্চলিকতা,স্বজনপ্রীতি এবং দলাদলি এসব কর্পোরেট কালচারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার অনুসংগ হিসাবে বেরিয়ে আসে ।আর এসব যখন একটি প্রতিষ্ঠানে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে তখন প্রতিষ্ঠানেের টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়ে।

৯০ এর দশকের ম্যানুয়াল গিয়ার গাড়ি চালানো আর চন্দ্রে গমন অনেকটা একই রকম ।আর আপনি গাড়ীর যে বর্ণনা দিলেন সেটা চালাতে ত বিশেষ ধরনের অভিজ্ঞতার দরকার তা বলাই বাহুল্য।

সবশেষে,ব্লগার বোন সোহানীর জন্য রইল উষ্ণ অভিনন্দন।

৩১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ চমৎকার প্রতিমন্তব্যের জন্য। আপনার সাথে দ্বিমত প্রকাশের সুযোগ নেই। আগে মানুষে মানুষে অনেকদ হৃদ্যতা ছিলো, এখন হয়ত এটা কল্পনাও করা যায় না। ইদানিং মানুষ সবাইকে মাপে টাকার মাপকাঠিতে। খুব কঠিন একটি পরিস্থিতি।

২৫| ৩১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:২০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
স্যার কই ? মজাই পাইলাম। এই গরমে একটু শরবত খাওয়ার মত মনে হলো পোস্টটাকে। +++

৩১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। এই গরমে শরবত খাওয়াতে পেরেছি বলে আনন্দ লাগছে।

২৬| ৩১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:২৬

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনাদের বাড়ি যাওয়ার ব্যাপারটা আমার বেশ লেগেছে, আমরাও খালাতো ভাই বোন মিলিয়ে ৫০ জন, ১১ খালার বিশাল বাহিনী। ছোটবেলায় আমরা সবাই মিলে লঞ্চে নানু বাড়ি বেড়াতে যাতাম , ঢাকা থেকে যেতাম ১৮ জন, খুলনা থেকে ১২ জন বাকিরা বরিশালের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থা করতো। কারা আগে পৌছাবে এটা নিয়ে একটা হুলুস্থুল স্বভাবতই যারা বরিশাল থাকতো তারাই আগে পৌছাতো এবং তাদের দায়িত্ব থাকতো অন্যদের স্বাগতম জানানো। এক সাথে লঞ্চ থেকে নামা, নদীর অন্যপারে মামা কে দাড়িয়ে থাকতে দেখা, বিশাল বিষখালী নদী পার হওয়া ছোট্ট নৌকায়, নৌকা থেকে নামতে গিয়ে যথারিতি আমার চিতপটাং হয়ে পরে যাওয়া, আম্মার বকুনি, আব্বার মুচকি হাসি, ভাই বোনদের তিরষ্কার, এক দৌড়ে মামার কোলে ঝাপ দেয়া (এটা আমার ব্যাক্তিগত অধিকার, এখনো ৪২ বছর বয়সে মামার কোলে মাথা দিয়ে ঘুমাই) সব মিলিয়ে চূড়ান্ত আনন্দ ছিলো। শীতের সকালে একসাথে নাস্তা করা, দেখার মতো একটা ব্যাপার হত যে আমরা সবাই মিলে গেলে মামা স্থানীয় হাটের সব কিছু কিনে আনতো, গ্রামে একটা কথা ছিলো গাজীর ভাগ্নেরা আসছে হাটে আর কিছুই পাওয়া যাবে না।

৩১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন অভিজ্ঞতা, আমাদের যাদের ফ্যামিলিতে অনেক সদস্য আছেন তাঁরা সত্যি অনেক ভাগ্যবান। আপনার মামার জন্য রইল অনেক শ্রদ্ধা। মামার আদর অন্যরকম।

২৭| ৩১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার দুই অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।
আমার ও মনে আছে, দাদার বাড়ি যাবার সময় পথে খুব অপরিচিত পরিবারের আতিথিয়তা।

৩১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:২৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। অনেকদিন মনে হয় আপনার কবিতা পড়ি না। একটা সুন্দর আবৃতিযোগ্য কবিতা লিখুন।

২৮| ৩১ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪১

তারেক ফাহিম বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারন।
পাঠে ভালো লাগলো।

৩১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:২৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভেচ্ছা রইল।

২৯| ৩১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নাম সংক্রান্ত জটিলতায় আপনাকে বিপদে ফেলার জন্য দুঃখিত। তবে সান্তনার কথা হলো, বিপদে শুধু আপনি একাই নন; আমাদের আউলিয়া সাব…...মানে ইয়ে….চাদগাজী ভাইও আছেন। যদিও আপনাদের দুজনের বিপদের ডায়মেনশান ভিন্ন। জানেন নিশ্চয়ই, আমার এই নিক উনার একেবারেই না-পছন্দ!

আপনাকে নিশ্চিত করতে চাই, আমি মোঘল বংশের না। আমি প্রাচীণ বাংলার আদি ও অকৃত্তিম সেন বংশের বংশধর। একটা সময়ে সেন বংশের কয়েকটা শাখা মুসলমান হয়ে যায়। যেহেতু উনারা হিন্দু ছিলেন, সে'জন্যে আমি এই তথ্যটা কাউকে দেই না। কে আবার কি ট্যাগ লাগায়ে দেয়! আপন মনে করে আপনাকেই প্রথম বললাম। =p~

বংশ পরিচয় তো দিলাম; মাঝে-মধ্যে ইচ্ছা করে নামটাও বলে দিয়ে আপনাকে বিপদমুক্ত করি। তবে, বাস্তব-চিন্তা করলে সেটাকে ঠিক মনে হয় না। ব্লগিংটা আমার কাছে যেহেতু একটা শখ, শুধু শুধু এটা বন্ধ করার কোন মানে নাই। তবে আপনাকে কথা দিলাম, যেদিন বন্ধ করবো, সেদিন আপনাকে আমার আসল পরিচয় জানিয়েই যাবো। অবশ্য আপনি আবার আমার সম্পর্কে কি যেন একটা অনুমান করে বসে আছেন!!

আপনাকে যদিও আমি ভাই বলে সম্মোধন করি, আপনি বয়সে আমার থেকে অনেক ছোট। ভুয়া ভাই, মফিজ ভাই যেহেতু আপনার মতে কেমন যেন শোনায়, আপনি পোষ্টের শেষে যেভাবে ''প্রিয় ভুয়া মফিজ'' বলেছেন, সেটাই কন্টিনিউ করেন। আমার দিক থেকে কোন অসুবিধা নাই, আপনার সন্তুষ্টিই আমার সন্তুষ্টি। তাছাড়া এখানে স্কুলের পোলাপাইনও আমার নাম ধরে ডাকে……..সেখানে আপনি তো অন্ততঃ তাদের থেকে অনেক বড়! :P

আপনিও ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভ কামনা।

৩১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:২৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি আমার বয়সে বড় হয়েও ভাই বলেন, আমি খুবই বিব্রত হই, আমাদের ম হাসান ভাইও এই কাজ করেন। আমি ভীষন লজ্জিত হই। আপনারা বরং আমাকে নাম ধরে সম্বোধন করলেই আমি খুশি হতাম!!

আমি আপনার আসল পরিচয় কখনই জানতে চাই না। অর্থাৎ আমি চাই আপনি সব সময় ব্লগিং অব্যহত রাখেন।

শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয় ভুয়া মফিজ ভাই! ভালো থাকবেন।

৩০| ৩১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি যেই হই না কেন, আপনি এই ব্লগের মডারেটর। আপনার একটা ইজ্জৎ আছে। যে যেটা ডিজার্ভ করে, তাকে আমি সেটা আজীবন দিয়ে এসেছি। বাকী জীবনেও তার অন্যথা হবে না। তাছাড়া মডারেটর হিসাবে আপনি আমাদের যেই অত্যাচার সহ্য করেন, সেটার কারনে এটা আমার তরফ থেকে একটা রিকগনিশান বা এপ্রিসিয়েশান হিসাবেই না হয় নিলেন!! অসুবিধা কি? মা.হাসানও সম্ভবতঃ বিষয়টাকে এভাবেই দেখে। আমি অবশ্য জানি না, অনুমান করলাম।

আবারও শুভেচ্ছা। :)

৩১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৪৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার প্রতিও শুভেচ্ছা রইল।

৩১| ০২ রা জুন, ২০২১ সকাল ৯:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার দ্বিতীয় গল্প সৌভাগ্যক্রমে আপনার মুখ থেকে শোনার অভিজ্ঞতা হয়েছিল।
ব্লগে অল্প কিছু কান্ডজ্ঞানহীণ ব্যক্তির জন্য যদি বেশিরভাগ ব্লগার বিরক্ত হয়, তাহলে সেটা আসলেই দূঃখজনক।
এইবয়স এসে পাঠাশালার মতো জালিবেত ব্যবহার তো ভালোকিছু হবে না।

৩২| ০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ১২:৩৪

একজন আরমান বলেছেন:
যে যাই বলুক আমার কাছে মনে হয় ব্লগ সেই আগের মতোই আছে। কিছু মফিজ আগেও ছিল এখনও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু এর মানে এই না যে ব্লগে কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্লগার নেই। ক্যাচাল, পোস্ট ফ্লাডিং, কমেন্ট ফ্লাডিং, আড্ডা, ট্যাগিং, সিন্ডিকেটবাজি এসব কিছু নিয়েই ব্লগ। আমার কাছে কিন্তু ভালোই লাগে ভাইয়া।

৩৩| ০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯

সিগনেচার নসিব বলেছেন: স্যার কই ? বয়স আর বেশভূষা দেখে আমরা অনেক সময় ই ভুল করে ফেলি। খুব বড় লেখা মনে হয়নি। স্মৃতিচারন পড়তে ভালোই লাগে !!

৩৪| ১২ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:৩১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আমি তো মনে হয় দিনে দিনে ব্লগ লেখা লেখী ভুলে যাচ্ছি ।
প্রায় এক বছর হলো লেখালেখী করি না। আমার কি পয়েন্ট কমে নাই ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.