![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাল লাগে জোছনা রাতে মেঘ হয়ে আকাশে ভাসতে।
কেমন আছি সৌদি আরবে - ষোলতম পর্ব
আমরা একটি সৌদি বিয়ের দাওয়াত পেলাম।দাওয়াতের কথা শুনে আমার স্ত্রীতো ঘাবড়ে গেল কারন সে ওখানে একাকী করবেটা কি!সেতো আরবী কথা বলাই শিখেনি।আর আমিও স্ত্রীসহ দাওয়াত পেয়ে ভাবনায় পড়লাম কারন ওখানে গিয়ে আমাদেরকে কি করতে হবে না হবে,আমিও খুব একটা জানিনা !
আমার এক পাকিস্তানী কলিগ আমাকে শান্ত করলো এই বলে যে তিনিও ঐ দাওয়াতে স্ত্রীসহ যাচ্ছে।তাই আমার স্ত্রীর সেখানে গিয়ে একাকীত্বের ঝামেলা আর রইলোনা।আর আমি জিজ্ঞেস করে জানলাম তিনি খালি হাতেই যাবেন।কারন এখানে উপহার দেয়ার নিয়ম একটু ভিন্ন।যেমন নিকট আত্মীয়রা আগেরদিন বাড়ীতে গিয়ে বিভিন্ন উপহার দিয়ে আসবে।আর কেঊ কেউ নগদ টাকাও দেবে তবে খুবই গোপনে মুঠো ভরে। যাতে অন্য কারো জানার উপায় না থাকে কে কত দিল!
বিয়ের দিন রাত ন’টায় আমরা নির্দিস্ট কমিউনিটি সেন্টারে পৌছলাম।সারি সারি দামী গাড়ীতে বিয়ের সেন্টারটি ভড়ে গিয়েছে,এক প্রান্তের গেট দিয়ে মহিলারা ঢুকছেন আর অন্য প্রান্তের গেট দিয়ে পুরুষরা।আমি ওদেরকে মহিলাদের গেটে পৌছে দিয়ে আমাদের গেট দিয়ে প্রবেশ করলাম।দেখলাম বারান্দাতেই বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছে অভ্যাগতদের স্বাগত জানাতে।আমাকে যিনি চেনেন তিনি আমাকে মজলিশ রুমের রাস্তা পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে গেলেন।সে এক বিশাল হল রুম একদম সিনেমা হলের মতো সারি সারি সোফাতে লোকজন বসে গল্প গুজব করছে আর শেষ প্রান্তে স্টেজ় বানিয়ে বর এবং তার বাবা-চাচারা সারিবদ্ভভাবে বসে আছেন।
আমি অন্যান্য আগতদের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে বরের নিকট গেলাম।লক্ষ্য করলাম আমার আগের লোকজন সকলের সঙ্গে হাত ও নাক মিলিয়ে কুশল বিনিময় করছেন আর বর অর্থাৎ জামাইকে বিয়ে করার জন্য শুভেচ্ছা (মবরুক) জানাচ্ছেন।দেখাদেখি আমিও তাই করলাম তবে যেহেতু জামাই আমাকে চিনতো তাই সে নিজেই অন্যান্য মুরুব্বীদেরকে আমার পরিচয় জানিয়ে দিচ্ছিল।জামাইয়ের সঙ্গে এক সারিতে বসা প্রায় বারোজনের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ফিরে গেলাম সারিবদ্ব আসনে।
সেখানে বসার পর পরই আমাদের মুখে শরীরে ধুপের ধোয়া দিয়ে গেলেন এক খাদেম। তারপর এলো গাহওয়া(আরবী কফি),চা এবং খেজুর।এগুলো টুকটাক মুখে দিয়ে সবাই গল্প করে যাচ্ছে।ছোট ছেলেরা দৌড়াদৌড়ি করে খেলা ও দুস্টামী করে যাচ্ছিল ।তাদের কেউ কেউ আবার কাধে বেল্ট লাগানো আসল পিস্টল নিয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে।জানলাম এটাও তাদের জাতীয় পোষাক।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই কক্ষে বড় তো দুরের কথা কোন কোলের মেয়ে শিগুও দেখা গেলনা।
বাইরে তখন যুবক বয়সী ছেলেরা লম্বা তরবারী নিয়ে গোল হয়ে হেলেদুলে গান গাইছে আর কেউ কেউ তরবারী উচু করে নেচে যাচ্ছে।
এভাবে বেশ কিছুক্ষন চলার পর এক মুরুব্বী সবাইকে পাশের রুমে খাবারের জন্য আমন্ত্রন জানাতেই সবাই হুরমুর করে ছুটলেন খাবারের রুমে ।ওদিকে জামাইও পেছনের দরজা দিয়ে কনের সঙ্গে একত্রে বসে খাওয়ার জন্য চলে গেলেন।আর আমরাও ঊঠে পাশের রুমে গেলাম।গিয়ে দেখলাম মেঝেতে বড় বড় গোল প্লেটে দুম্বা এবং উটের বিড়িয়ানী (লাহাম মান্দি),সাথে সালাদ,পানি,বিভিন্ন ফল ও পেপসি সাজিয়ে রেখেছ।এক এক প্লেটে প্রায় চার থেকে ছয় জন করে বসা যায়।আমি পাকিস্তানী কলিগ ছেলে-পেলেসহ সাত জন ছিলাম।একটু বড় মাংস দেখে এক প্লেটে বসে গেলাম। এককোয়ার্টার (রোবা)দুম্বা ছিল আমাদের প্লেটে সবাই মিলে আমরা খেয়ে শেষ করতে পারলামনা।লক্ষ্য করলাম প্রায় সবাই আধাপ্লেটও শেষ না করে উঠে যাচ্ছে।আমরাও উঠে ওয়াশরুমে গেলাম।ফিরে এসে আবারো শুরু করলাম হরেক রকমের আরবীয় মিস্টি, কেক,চকোলেট ও আইসক্রীম খাওয়ার পর্ব।
এরই মধ্যে লক্ষ্য করলাম অনেকেই চলে যাওয়া শুরু করেছেন।আমিও চলে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার আমার স্ত্রীকে মোবাইল করলাম ।কিন্তু সে রিসিভ না করায় আমি একটু চিন্তিত হয়েই হোস্টের নিকট গেলাম। তিনি বললেন মহিলাদের এখনো খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করেননি।আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম তাহলে সবাই যে চলে যাচ্ছে?তিনি হেসে বললেন তারা আবারো ফিরে আসবে তাদের ফ্যামিলীদের নিয়ে যেতে।আর আমি কথা বলতে চাইলে মহিলাদের গেটে গিয়ে মাইক দিয়ে নাম ডাকতে পারি।কারন ভেতরে কোন মোবাইল নিয়ে যেতে নিষেধ আছে।আমি বুঝলামনা কেন মোবাইল নিয়ে যেতে নিষেধ আছে, যতোক্ষননা আমার স্ত্রী আমার নিকট ফিরে আসলেন।
রাত প্রায় দেড়টার দিকে আমি মহিলাদের গেটে গিয়ে মাইক্রফোন হাতে নিয়ে ওর নাম ধরে ডাক দিলাম।তখন আরো অনেকেই ডাকাডাকি করছিলেন।ওদিকে বাইরে থেকে আমরা মহিলাদের গানের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম।।আমার স্ত্রী বাইরে এসেই মিটিমটি হাসতে শুরু করলো,ব্যাপার বুজলামনা।সঙ্গে বাচ্চা ছিল তাই ঘটনা জানতে অপেক্ষা করতে হলো বাড়ী পৌছা পর্যন্ত।
বাড়ীতে ফিরেই আমার স্ত্রী বলতে শুরু করলো ওর অভিজ্ঞতার কথা।অন্দর মহলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই ক্যামেরাযুক্ত সব মোবাইল ফোনগুলো সিকিঊরিটিতে থাকা মহিলারা নাকি নিয়ে নেয় যাতে কেউ সেখানকার ছবি তুলে না নেয়! জিজ্ঞেস করলাম কেন ছবি তুলতে অসুবিদা কোথায় ? সে মুচকি হেসে বললো,আরবীয় মেয়েদের যা ড্রেস দেখেছে তা ছিল কল্পনাতীত রকমের স্বল্প ,তাদের অর্ধনগ্ন বুক,বগল ও পায়ের বেশিরভাগই অংশ দেখে মেয়ে হয়েও নাকি তাদের লজ্জা লাগছিল।তবে কোন কোন মহিলা মুখে নেকাব দিয়েও ছিল বটে।
ভেতরে আমাদের মতো লম্বা সারিতে তাদের না বসিয়ে গোল টেবিলের ব্যাবস্থা ছিল।অন্যদিকে স্টেজ বানিয়ে ভাড়াটে গায়িকা দিয়ে গান শুনিয়েছে আর আত্মীয় মেয়েরা স্টেজে উঠে হাত উঠিয়ে পালাক্রমে নেচেছে আর গেয়েছে।ওদিকে খাবারে ব্যবস্থা ছিল বুফে স্টাইলে।সারি সারি সাজানো মিস্টি,কেক,চকোলেট,আইস্ক্রীম,নানান রকম ফল,জুস প্রায় ৬০টি পদের ছিল প্রথম থেকেই।তাই সেখানে প্রবেসের পর থেকেই যে যার ইচ্ছে মতো খাবার উঠিয়ে নিয়ে খেয়েছে।যা আমাদের পুরষদের ওখানে এতোটা ব্যপক খাবার ছিলনা! এছাড়া মুল খাবারের আয়োজনেও নাকি সব মিলিয়ে ৩০টির মতো আইটেম ছিল যার নামই সে জানেনা!
কনের রুম ছিল ভিন্নস্থানে।সে ফুল দিয়ে সাজানো খাটে বসে ছিল একাকী একটি ধবধবে সাদা পোষাকে।আর সবাই তাকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছে।তবে খাবারের সময় জামাই এসে গেলে সেই রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়।আর খাবারের পরপরই আমার স্ত্রী চলে আসে।তাই শেষ পর্যন্ত আর কি কি হয়ে ছিল আমরা আর জানতে পারলামনা।
তবে শুনেছি ঐ পার্টি হল থেকে নুতন দম্পতি তাদের বাড়ীতে না গিয়ে সোজা হোটেলে উঠবে।
পুনশ্চঃ এখানে ব্যবহার করা ছবিগুলো নেট থেকে নেয়া।
আগে কিছু লেখা পর্ব
Click This Link
Click This Link
Click This Link
২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:০৯
মোঃমোজাম হক বলেছেন: ভাই ধন্যবাদ।ব্লগে আজকাল রাজনীতির মরশুম চলছে।তাই চাদরে গা ডেকে ব্লগিং করছি!
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৪২
ওয়াসওয়াসিফ বলেছেন: এই পরথম কারও লেখা পরে ভাল লাগলো....ধন্যবাদ
২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৪৪
মোঃমোজাম হক বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।
আপনাকেও আমার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা রইলো
৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৪৪
নামহীন আমি বলেছেন: ২ বার প্লাস দিলাম
২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৪৬
মোঃমোজাম হক বলেছেন: কিভাবে ২ বার প্লাস দেয়া যায়?
আপনাকেও ডাবল শুভেচ্ছা।
৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৫১
চাষী বলেছেন: ভাল লাগছে। অনেক কিছু যানা গেল।
২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৪৮
মোঃমোজাম হক বলেছেন: আপনাকেও আমার শুভেচ্ছা জানাই
৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৫৮
মামুন বিদ্রোহী বলেছেন: আমিও কয়েকবার গেছিলাম এইসব বিয়েতে। সৌদিদের কি যে অবস্থা
২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৫১
মোঃমোজাম হক বলেছেন: সত্যিই খাওয়া দাওয়াতে তারা খুব অপচয় করে।
তা কোন এলাকায় থাকেন বা থাকতেন আপনি?
৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:২৪
দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: ভাল লাগল। ব্লগে কোন মৌসুম চলতেছে, এইসব নিয়ে এত ভাইবেননা, ভাল পোস্ট দিয়ে যান, অনেক পাঠক পাবেন, নিশ্চিন্ত থাকেন।
২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৫৪
মোঃমোজাম হক বলেছেন: আপনার সাজেশন পেয়ে ধন্য হলাম।
ভাল লাগার জন্য আরেকটি ধন্যবাদ দিলাম
৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:০০
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
জ্বি, তেনারা অন্দরমহলে অতিব সংক্ষিপ্ত পোষাক পরিধান করিয়া থাকেন ।
মোজাম ভাই, ভাবীরে নিয়া আছেন, একদিন আমগোরে দাওয়াত দিয়া খাওয়ান
দেখি এই সুবাদে রিয়াদ প্রবাসীগো একটা ব্লগাড্ডা হইয়া যায় কিনা ?
২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:১০
মোঃমোজাম হক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাদের দোয়ায় আমি আল-খুবারে আছি।
সময় ও সুযোগমতো দেখা হবে ইনশাল্লাহ।
৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:০৭
উরা-ধুর০০৭ বলেছেন: আপনার এই সিরিজের (কেমন আছি সৌদি আরবে) পর্ব গুলা খুব ভালো লাগে.........আই টাইপ এর লিখা গুলা একটু ঘন ঘন দিলে ভালো হয়........
২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:১৬
মোঃমোজাম হক বলেছেন: আসলে সময় বের করে লেখা লেখি করা সব সময় সম্ভব হয়না।তাছাড়া লেখার মতো অভিজ্ঞতাও থাকতে হবেতো! :>
৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:২২
দ্যা ডক্টর বলেছেন: আমি কাতারে ঘটনাক্রমে একবার বরযাত্রী হয়েছিলাম তবে বিয়ে খাইনি। আসছিলাম ক্লাস থেকে, রাস্তায় পড়ে যাই বরের গাড়ির বহরের মাঝে। সবার সামনে ব্লু মাজেরাতি'তে বর আর তার পিছে ত্রিশেক এসইউভি/ট্রাক। সবাই ইমারজেন্সি সিগন্যালে, হর্ণ বাজিয়ে রাস্তার দুই ট্র্যাক ধরে এমনভাবে চালাচ্ছিল তার মাঝ থেকে বের হয়ে আসাও মুশকিল। অনেকদূর একসাথে বরযাত্রীদের সাথে এসে এক রাউন্ডএবাউটে আমার গন্তব্যের দিকে ফিরে যাই.....
ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
২৬ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:৫৩
মোঃমোজাম হক বলেছেন: আপনিওতো দেখছি অভিজ্ঞতা নিয়েছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:২৫
ফিরোজ-২ বলেছেন: +++
২৬ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:৫৫
মোঃমোজাম হক বলেছেন: আমার আগের লেখাগুলোতে আপনাকে পেতাম।অনেকদিন পর আপনার ট্রিপল প্লাস পেয়ে ভাল লাগছে।
ধন্যবাদ ভাই
১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:০৮
মোঃ সাদেকুর রহমান বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগলো।
২৬ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:৫৬
মোঃমোজাম হক বলেছেন: উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ
১২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:২২
ম্যাকানিক বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার লেখা দেখলাম মোজাম ভাই।
জীবনে প্রথমবার সৌদীদের বিয়ে খেতে গিয়ে রিতিমত বেকুব হয়ে গিয়েছিলাম।
সেই সময় থাকি ব্যাচেলর তাই নিজে রান্না বান্না ছাড়া ফাও কিছু ইসপিশাল খাবো সেই আনন্দে এক সৌদী সহকর্মীর বিয়েতে গিয়েছিলাম।
সুলেমানি চা আর গাওয়া তখন তিতা লাগে মুখে আর খাজুর আমার গলা দিয়া নামতে চায় না।
ত সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে মূল খাবার দিলো রাত দুইটায় আর আমার তখন রিতিমত ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাচি অবস্থা।
এর পরে আরো অনেক বিয়ে খাইছি তবে এইরকম ধরা আর খাই নাই কারন বাসা থেকেই পেট ভরে খেয়ে যেতাম।
নাজরানের দিকের বিয়েতে উলু ধ্বনি দিত কনে আসতে নিলে।
আর সবার কোমরে থাকে লাম মার্কা চাক্কু।
আর ঝুলাইন্না পিস্তলের মধ্যে যারটা যত পুরানো সে তত খানদানি আরব।
বিয়ের অনুষ্ঠান গুলির আরেকটা মজার দিক হলো আরবিতে উপস্থিত ছন্দ মিলিয়ে কথা বলা বা ধাধা জিজ্ঞেস করা।
তবে শহুরে আরবদের বিয়ের স্টাইল আবার ভিন্ন।
অধিকাংশই তিন থেকে পাচ তারা হোটেলে বিয়ের ব্যাবস্থা করে সাথে বুফে স্টাইলে খাবার সার্ভ করে।
অনেকে আবার দুইটা অনুষ্ঠান করে একটা আরবদের জন্য আরেকটা বিদেশী সাদিক দের জন্য।
আর এইটা মনে হয় আপনার ক্যায়ফাল হাল সউদি আরবের ষোলতম পর্ব হবে।
২৮ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:০০
মোঃমোজাম হক বলেছেন: ধন্যবাদ ম্যাকানিক ভাই।ঐযে বললাম রাজনীতির ব্লগ দেখে একটুও ভরষা পাইনা,কেউ আমার কাচা হাতের অভিজ্ঞতার কথা পড়বেন কিনা!
আমার মনে হয় আমারচে আপনার বিয়ে সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা অনেক বেশী।তবে আমি পুর্বাঞ্চলে যতগুলো বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছি সব এই আমার অভিজ্ঞতার মতোই।
ভুল সবি ভুল
১৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:৩৪
কাঠের খাঁচা বলেছেন: মজা পাইলাম পইড়া।
আরবদের তলোয়ার নাচের ফডুক দেইখা হাহাপগে।
একসাথে খাওয়ার ব্যাপারটা মজা লাগল। আমাদের দেশেও তবলীগ জামাতের মধ্যে এই জিনিসটা প্রচলিত। যদিও খাবার নষ্ট করাটা নিন্দনীয়।
শেষ্মেষ আপনাদের কম আইটেমের খানা দেবার তেব্র পরতিবাদ করা হইল। পুলারা কি মানুষ না!!!
২৮ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:০২
মোঃমোজাম হক বলেছেন: আমাদের পুরুষ জাতের সঙ্গে সহমতের জন্য ধন্যবাদ।
১৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:৩৫
নষ্ট ছেলে বলেছেন: বোরকা পইড়া মেয়েদের সাথে ঢুকা যায় না?
২৮ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:০৫
মোঃমোজাম হক বলেছেন: ভাই জনে জনে তরবারি আর বন্দুক লইয়া ঘুরাফিরা করে কার ঘারে কয়টা মাথা যে রিস্ক লইবে?
তবে আওপ্নার মতো সাহসী কেউ আসলে পেছনে থাকবো
১৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:৪০
আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: জটিলতো। +++
২৮ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:১০
মোঃমোজাম হক বলেছেন: প্লাসের জন্য ধন্যবাদ
১৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:৪৯
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: এচলামি চভ্যতার পেরাণকেন্দ্র, বিচিত্র এ দেশ, সত্যিই চেলুকাচ।
২৮ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:১৪
মোঃমোজাম হক বলেছেন: ভাই কি নাস্তিক নাকি? তাহলে ইসলামিক নামটাও বদলান।
ইসলামকে বিকৃত করে লেখায় প্রতিবাদ জানালাম।
১৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:১৫
পুরাতন বলেছেন: মজা লাগলো... অনেক ছোট বেলায় সৌদী বিয়ে খেয়েছিলাম,বেশী কিছু মনে নেই... উটের আস্ত রান প্লেটে দিয়েছিল ...
৩০ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:৩০
মোঃমোজাম হক বলেছেন: আস্ত রানের কতোটুকু খেয়েছিলেন?
১৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:৩১
সুপ্ত সবুজ বলেছেন: বাংলাদেশে কাঠের বেঞ্চে বসে মুরগীর হাড্ডি চাবাইতে চাবাইতে আপনার লেখাটা পড়ে আমারও এমন একটা বিবাহ খাওয়ার শখ জাগলো। তবে জীবনে তাহা মনে হয় স্বপ্নই থেকে যাবে।
৩০ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:৩১
মোঃমোজাম হক বলেছেন: কামনা করি স্বপ্ন যেন সত্যি হয়
১৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:৫০
বিদ্যালয় বলেছেন: উলুধ্বনি , ধূপ এগুলো তো ইন্দুটা ব্যবহার করে । সৌদি মেয়ে গুলোন তো জব্বর সেইরকম আপনার স্ত্রী ভাগ্যবতী বটে । উনি ওকানে কি অস্বতি বোধ করেননি?
৩০ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:৩৭
মোঃমোজাম হক বলেছেন: হ্যা লজ্জা পেয়েছিল লেখেছিতো।
আমরা বাইরে থেকে ভাবতেই পারিনা তারা পোষাক আশাকে কতোটা উগ্র!
তবে অন্দর মহলেও কাজিনরা ঢুকতে পারেনা তাই কাপড় ছেড়ে উলংগ থাকলেই বা কি
আপনার ড্রেস দেখে কিন্তু সৌদিয়ান মনে হচ্ছে।
২০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:০৪
মানবী বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে পোস্টটি। সবচেয়ে ভালো লেগেছে পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের খাবারের আয়োজন অনেক বেশী ভালো ছিলো এমন জেনে, কারণ আগ কোথাও শুনেছিলাম উৎসব অনুষ্ঠানে পুরুষরা খাওয়া শেষ করার পর খান্চায় পড়ে থাকা উচ্ছিষ্ট অন্দরমহলে পাঠিয়ে মহিলাদের খেতে দেয়!!
বিবাহ অনুষ্ঠানে উলু ধ্বনি, ধূপধুনো.. এসব আরবদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতির অংশ, ঠিক যেমন বাংলাদেশে মুসলিমদের বিয়েতে গায়ে হলুদ একটি ঐতিহ্য বা সংস্কৃতির অংশ।
অনেকে ধর্ম আর সংস্কৃতিকে গুলিয়ে ফেলে "ধর্ম গেলো.. ধর্ন গেলো " রব তুলে!
নতুন এক সংস্কৃতির বিয়ের অনুষ্ঠানের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
৩১ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:৩৭
মোঃমোজাম হক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
মহিলারা উচ্ছিস্ট খায় এটা আমারো শুনা ছিল কিন্তু হবে হয়তো অজ পাড়া গায়ে।কিন্তু শহরে উল্টোই দেখলাম।
২১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪৬
পারভেজ বলেছেন: মজার জিনিষ জানা গেল
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫৮
মোঃমোজাম হক বলেছেন: জ্বি,আপনাকে ধন্যবাদ
২২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৪
অপ্রিয় সত্য ৭০০ বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:০৭
মোঃমোজাম হক বলেছেন: থ্যাঙ্কস এ লট
২৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:২৬
আকাশ_পাগলা বলেছেন: জাতীয় পোষাকের ব্যাপারটা বুঝলাম না বস।
২৮ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:৩১
মোঃমোজাম হক বলেছেন: আসলে সৌদিরা সবসময় এক ধরনের সাদা আলখেল্লাহ (আরবীতে বলে তোপ) পড়ে থাকে।কিন্তু বিয়ে বা অন্যকোন অনুষ্ঠানে মোটা কাপড়ের একটু ঝকমকে ড্রেসের সঙ্গে কোমরে বেল্টসহ বন্দুক থাকে।এগুলি হয়তো সরকারদ্বারা নির্দেশিত নয় তবে ব্যপকহারে ব্যবহার করা হয়।আমরা যেমন লুঙ্গি ঈদে পাঞ্জাবী পড়ি আরকি!
আমি এগুলিকেই জাতীয় পোষাক বুঝিয়েছি।
একটি গ্রাজুয়েসন অনুষ্ঠানে তোপ পড়া এবং অনুষ্ঠানিক পোষাক পরিহিত দুজন সৌদি।তবে বন্দুকসহটা আপাতত দেখাতে পারছিনা।
২৪| ০১ লা মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৫
বিতর্কিত বিতার্কিক বলেছেন: বাংলাদেশি বিয়া খাইসি। সৌদি বিয়া খাই নাই। অদুর ভবিষ্যতে খামু এইরাম পসিবিলিটিও নাই।
ভালা লাগলো। ম্যালা কিছু শিগলাম।
০১ লা মে, ২০১২ রাত ৯:৩৭
মোঃমোজাম হক বলেছেন: হে হে বিয়া খালি খায় না খাওয়ায়ও
এই ষ্টাইলে ছেলে মেয়ের বিয়া দেয়ার ইচ্ছে রাখুন
২৫| ০১ লা মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৬
মেহবুবা বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পেরেছি । খাওয়াও হয়ে গেল বর্ননা শুনে ।
০১ লা মে, ২০১২ রাত ৯:৩৮
মোঃমোজাম হক বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ,এতো পুরানো পোষ্টে এসেছেন!
২৬| ০১ লা মে, ২০১২ রাত ১০:১৭
বিতর্কিত বিতার্কিক বলেছেন: এই ষ্টাইলে ছেলে মেয়ের বিয়া দেয়ার ইচ্ছে রাখুন
ভাই কইসেন ডা কি ?
আমি নিজেই পোলাপান।
এহনও বাপের হোটেল থেইকাই বেশি খাই।
বিবিএ শেষ করা (প্রায় শেষ, পাব্লিক ভার্সিটির সেশন জট নামক আগুনে জ্বলছি), চাকরি (চাকরি করার ইচ্ছা নাই, চাকরি দিতে চাই), বিয়া (বাপের টাকায় বউ পালার কোন ইচ্ছা নাই), হানিমুন ( ), পোলাপান (পোলা হয় না মাইয়া হয় কে জানে) , পোলাপানের স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি সব থুইয়া আপনি ডাইরেক্ট আমার মাইয়ার বিয়ার দাওয়াত নিয়া টেনশিত
যাক আশা করতে দোষ নাই।
ব্লগের মজা এইখানেই। আমি পিচ্চি না বুড়া ব্যাপার না। আপ্নেও ব্লগার আমিও ব্লগার।
০২ রা মে, ২০১২ রাত ১২:২১
মোঃমোজাম হক বলেছেন: আশা করতে দোষ নাই
২৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৩২
শামীম আরা সনি বলেছেন: খাওয়ার দাওয়ারের ছবি না দেয়ায় মাইনাস
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১১
মোঃমোজাম হক বলেছেন: আরে তখন খাবো নাকি ছবি তুলবো।আবার ছবি দেখলেওতো আপনার খেতে ইচ্ছে করতো
প্লিজ মাইনাস তুলে ষ্টার প্লাস কিছু একটা দিন
২৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৫৫
রেজা রাজকুমার বলেছেন: .... জিজ্ঞেস করলাম কেন ছবি তুলতে অসুবিদা কোথায় ? সে মুচকি হেসে বললো,আরবীয় মেয়েদের যা ড্রেস দেখেছে তা ছিল কল্পনাতীত রকমের স্বল্প ,তাদের অর্ধনগ্ন বুক,বগল ও পায়ের বেশিরভাগই অংশ দেখে মেয়ে হয়েও নাকি তাদের লজ্জা লাগছিল।তবে কোন কোন মহিলা মুখে নেকাব দিয়েও ছিল বটে।
এই না হলে শরীয়া ল'?
ভণ্ডামীর একতা সীমা থাকা দরকার, ইসলাম এর (সো কল্ড্) হেফাজতকারীদের সেটাও নাই।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১৭
মোঃমোজাম হক বলেছেন: আমি সৌদিদের সমর্থনে বলছিনা, জেনে রাখুন ওরা সেখানে শুধুমাত্র মেয়েদের প্রবেশ করিয়ে ছিল।
কোন পুরুষের সামনে মেয়েরা বে নেকাবী হয়নি।
আপনি শরিয়া আইন সম্পর্কে একটু পড়ে নিলে ভাল করবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:০২
উরা-ধুর০০৭ বলেছেন: ভাই.....বহুদিন পর আপনাকে দেখলাম ......
আর পোস্ট এ যথারীতি +.........