নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসি বাংলাদেশ

মিঃ আতিক

ব্লগার

মিঃ আতিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্তু লারমা কে?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১১

গত শুক্রবার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী নেতা সন্তু লারমার ব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান বলেছেন, 'সন্তু লারমা চায় না, পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিরা থাকুক। তাকে (সন্তু লারমা) এই অধিকার কে দিয়েছে? ওই ব্যক্তি কিভাবে ওখান থেকে বাঙালিদের সরে যেতে বলে? সে কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নয়। তার বাংলাদেশের আইডেন্টিটি নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ভূমিকা কি ছিল তাও কেউ জানে না।'

বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সন্তু লারমা আজকে পাহাড়ে বাঙালি উচ্ছেদ করে শুধু দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রেই লিপ্ত নয়, বরং সে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী ঘৃণ্য নীলনকশা বাস্তবায়নে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছে। উল্লেখ্য, এই সন্তু লারমার পূর্বপুরুষরা স্বাধীনতার সময়ও পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষ অবলম্বন করে ঘৃণ্য রাজাকারের ভূমিকায় ছিল এবং মুক্তিযোদ্ধা ও এদেশবাসীকে হত্যা করেছিলো।
বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সন্তু লারমা পাহাড় থেকে বাংলাদেশীদের হটানোর নেপথ্যে ‘উপজাতি’দেরকে ‘আদিবাসী’ বলে প্রচার করছে। যা বাংলাদেশের সংবিধান বিরোধী। কারণ সংবিধানে এসব নৃ-গোষ্ঠীকে ‘উপজাতি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী নেতা সন্তু লারমার এই অপতৎপরতার প্রধান উদ্দেশ্য হলো- বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা একটি দেশ প্রতিষ্ঠা করা। আর এর পেছনে কাজ করছে মার্কিন সম্রাজ্যবাদী শক্তি ও ইহুদী লবিং। সিএচটি কমিশন হলো ইহুদী সম্রাজ্যবাদীদের দোসর। ফলে পাহাড়ে তৈরি হয়েছে দেশবিরোধী কিছু উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন। জেএসএস এবং ইউপিডিএফ যাদের মধ্যে প্রধান। এরা সশস্ত্র এবং সংগঠিত। দেশবিরোধী আর এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতারা কিন্তু শুধু বিদেশী নয়, দেশী হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, সোশাল ওয়ার্কার, মানবাধিকার কর্মী, এনজিও তথাকথিত সুশীল ব্যক্তি ইত্যাদি ছদ্মবেশে পাহাড়ে অবস্থান করে এরা বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি সন্ত্রাসীদের অর্থ সহায়তা দিয়ে চলেছে আর এই অর্থের ৯০ ভাগই ব্যবহার করা হচ্ছে মায়ানমার ও ভারত থেকে অস্ত্র সংগ্রহে।

১৯৭৯ সালের ১৯শে ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ২টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত সময়ে ঘুমন্ত মানুষের উপর রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলা সদর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম কলঙ্কজনক অধ্যায় লংগদু গণহত্যা করে ৩৮ হাজার বাঙালিকে হত্যা করেছিলো বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী নেতা সন্তু লারমার নেতৃত্বে জেএসএস। বাঙালিদের প্রত্যেকটি গ্রামে অগ্নি সংযোগসহ লুটতরাজ, সামনে যে বাঙালিকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে, বাঙালি নারীদের গণসম্ভ্রমহরণ ও পরে হত্যা, নরকীয়তা সৃষ্টি করেছিলো খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। এছাড়া কাউখালী গণহত্যা, বেতছড়ি গণহত্যাসহ প্রায় ১৫টির মতো গণহত্যার মাধ্যমে এই সন্তু লারমা প্রায় লাখখানেক বাঙালিকে হত্যা করেছে।
সঙ্গতকারনেই বলতে চাই, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে কোনো প্রকার স্বাধীনতা বিরোধীদের অভয়ারণ্য হতে পারে না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সন্তু লারমা সুযোগের সন্ধানী

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগে স্বাঘতম

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৬

মিঃ আতিক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে কোনো প্রকার স্বাধীনতা বিরোধীদের অভয়ারণ্য হতে পারে না -- অবশ্যই তা পারেনা।

এখানে প্রকাশিত আপনার প্রথম লেখাটি দিয়েই আপনার ব্লগ পড়া শুরু করলাম। বাংলা ব্লগের এ আসরে আপনাকে সুস্বাগতম জানাচ্ছি। এখানে আপনার বিচরণ স্বচ্ছন্দ হোক, আনন্দময় হোক, দীর্ঘস্থায়ী হোক, ফলপ্রসূ হোক!

০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ১১:১৯

মিঃ আতিক বলেছেন: আপনার দোয়া আগামী দিনের পাথেয়।আপনার মতো গুণী জনের উৎসাহ পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। ভালো থাকবেন প্রিয়,জড়িয়ে রাখবেন আমাদের মায়ার বাহুডোরে।

৪| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ১১:১৮

মিঃ আতিক বলেছেন:

আপনার দোয়া আগামী দিনের পাথেয়।আপনার মতো গুণী জনের উৎসাহ পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। ভালো থাকবেন প্রিয়,জড়িয়ে রাখবেন আমাদের মায়ার বাহুডোরে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.