![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কে হায় বসিয়া অঙ্গভরিয়া গোধূলির মায়া মাখো?!
বিদেশ বিভূঁই।
যা দেখি বেশিরভাগেই খটকা লাগে।
সার্জারিতে গিয়েছিলাম। না এপইন্টম্যান্ট নয়; এম্নিতেই, একটু ইনফরমেইশান দরকার।
বৃস্টিতে ভিজে ভিজে হাটতে হাটতে যাওয়া।
এ দেশে কখন যে বৃষ্টি নামবে আর কখন যে রোদ চমকাবে কে জানে।
হালকা রোধ আর সাগরছোঁয়া ফুরফুরে হাওয়া, দেখে শুনে বেরিয়ে পড়া।
কিলোমিটার খানেক হাটতে হবে। গরমের দিনের উপযোগি পোশাক গায়ে। হাফ স্লিভড্ হালকা সামার টি শার্ট, ক্যাপ,গ্যাভার্ডিন ট্রাউজার্স আর স্পর্টস শু। আহা! আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ...।
বৃটেইনে ওরা তিন ডাব্লিউতে বিশ্বাস রাখেনা। এই তিন ব্যাপারে ওরা নাস্তিক। উয়ার্ক, ওম্যান এবং উয়েদার। এই তিনের কোন গ্যারান্টি নেই। ঠিকলে ঠিকছে; না ঠিকলে নাই। কতকটা মেইড ইন চায়না টাইপ। তাই হাঁটতে বেরুলে রোদ এবং বৃষ্টি উভয়টার জন্য প্রিপ'রেইশান নিয়েই বেরুনো উচিৎ। বুদ্ধিমানেরা সাধারণতঃ তা-ই করে থাকেন।
আমি খুব বুদ্ধিমান না; বৃষ্টির জন্য প্রিপ'রেইশান নিয়ে বেরুইনি। হাতে ছাতা নেই।
কার ঠেকা পড়ছে কোমল রোদের মধ্যে বৃষ্টি প্রতিরোধক ছাতা হাতে ঘুরে বেড়ায়।
আমি এক যাযাবর... পথেই ঠিকান তাই... পথেই বেঁধেছি মোর ঘর... ...
শিষ কাটতে কাটতে পথ চলার আনন্দই আলাদা।
তবে নিয়ম হল, হাত থাকতে হবে ছাতামুক্ত। আন্নাহয় এই আনন্দ পাওয়া যাবে না।
... এবং ভুলের মাশুল দিলাম। অর্ধেক পথ অতিক্রম করতে না করতেই বৃষ্টি নামল। গুড়ি গুড়ি না, মুষলধারে ঝুমবৃষ্টি। বলা নেই কওয়া নেই। কোন নৌটিশ দেবার প্রয়োজনও মনে করেনি। এটা গ্রীষ্মমন্ডলীয় আরামদায়ক উষ্ণ ধারা হলে তো কথাই ছিলো না; জমিয়ে হাটা যেতো। এটা হচ্ছে শীতের দেশের বরফশীতল ঠাণ্ডা বৃষ্টি। চামড়া, মাংস বেধ করে হাড্ডি পর্যন্ত কাঁপন ধরিয়ে দেবে।
শার্ট বেয়ে ট্রাউজার গড়িয়ে নামছে পানি। এ অবস্থায় সার্জারির দোয়ারে ধাক্কা দিলাম। ব্যাটউয়িং ডৌর। ধাক্কা দিতেই পিছাতে শুরু করল। পিছাতে পিছাতে দেয়াল থেকে এক ইঞ্চি দুরে থাকতে, রিভার্স শুরু করবে; ফিরে আসবে আগের জায়গায়। এই পিছিয়ে যাওয়া এবং সামনের দিকে ফিরে আসার সময়ের মধ্যেই আপনাকে ইন করতে হবে। অর্থাৎ তাড়াতাড়ি। তাড়াতাড়ি-ই ইন করলাম এবং ইয়া বড় এক ধাক্কা খেলাম।
না কোন মানুষের সাথে নয়। সামনের ছবি দেখে। বড়সড় এক ফ্রেইম ঝুলানো; কোন ঝরনা, গাছপালা বা নৈঃসর্গিক দৃশ্য নয়। ছবির পুরু ক্যানভাস জুড়েই শোভা পাচ্ছে বিশাল এক ছাতা। ব্যঙের ছাতা। রঙ্গিন।
জীবনে বহু ব্যাঙের ছাতা দেখেছি। গোয়াল ঘরের পিছে, স্যাতস্যাতে জায়গায় কিংবা বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে চাষ করা হচ্ছে এমন। সবগুলোই ছিলো শাদা কিংবা বাদামি। কিন্তু এটা দেখা যাচ্ছে রঙ্গিন। লাল রঙ্গের। খুব একটা অবাক হলাম না । বিদেশী ব্যাঙ, হয়ত রঙ্গিন ছাতাই ব্যবহার ক'রে। কে জানে। নীচে সুন্দর করে ডিজাইন দিয়ে বড় বড় অক্ষরে লেখা, ''মাশরুম পাওয়ার''
মানে কি? এটা কি খুব পাওয়ারফুল ছাতা। সম্ভবত এই ছাতার নীচে থাকলে শুধু বৃষ্টি না তুষার ঝরলেও ব্যাঙের তেমন কিছু হয় না। এ দেশে তুষারপাত হয়; এতএব তুষার প্রতিরোধক ছাতা ব্যাঙের দরকার হতেই পারে। বিচিত্র কি!
স্যাৎ করে মনে পড়লো, আরে…!
তুষার নামলে ছাতা তো ছাতা; যে ঢিবিতে ছাতা গজায় সেই ঢিবি পর্যন্ত তলিয়ে যায় তুষারের নীচে। এই ছাতা তুষারের বিরুদ্ধে ব্যঙের কি আর এমন উপকারে আসবে?!
না এটা ব্যঙ সংক্রান্ত কোনো বিষয় নয়। হতে পারে না। তাইলে কি হতে পারে?
আমি ভাবলাম, বৃষ্টি বাদলার দিন না হলেও ছাতা হাতে নিয়ে বেরুনোর গুরুত্বের উপর হয়ত কোন প্রচারণা মূলক পোস্টার হবে। সার্জারি এই কাজটা করে। সিজন্যাল রুগ বালাই যাতে না হয় সে জন্যে সময়োপযোগী বিভিন্ন প্রচার-প্রচারনা চালায় তারা। এই প্রচারনাগুলো আমি মন দিয়ে পড়ি।
প্রতিটি পোস্টার, প্রতিটি লিফলেট,
প্রতিটি ব্রুশো, প্রতিটি পামলেট।
প্রত্যাকটির প্রতিটি পৃস্টা। প্রতিটি পৃস্টার প্রতিটি লাইন। প্রতিটি লাইনের প্রতিটি অক্ষর। দাঁড়ি কমা কোলন সেমিকোলন সহ।
তবে আজ আর কাকভেজা হয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়তে ইচ্ছে করছে না। সোজা কাউন্টারে গিয়ে তথ্যটা নিয়ে বাসায় ফিরে গেলেই হয়। যে জন্য আসা। কিন্তু এদিকে আর কবে আসা হবে কে জানে। সার্জারির লেইটেস্ট প্রচারণা না জেনেই চলে যাবো?! তা ক্যামনে হয়?
আন্দাজ করলাম, ছোট ছোট অক্ষরে হয়ত লেখা আছে, “আকাশে বৃষ্টির আনাগোনা না থাকলেও খালি হাতে না বেরিয়ে; সব সময় ছাতা নিয়ে বেরুন। কখন আবহাওয়া কোন রুপ নেয় তার কোন গ্যারান্টি নেই। একই দিনে আপনি চার ঋতুর দেখাও পেতে পারেন।
- বিনীত
কর্তৃপক্ষ ”
কাছে এগিয়ে গেলাম। মন দিয়ে পড়া শুরু করলাম এবং অবাক হলাম। ব্যঙেদের কোন বিষয়ই না। যা বলা হয়েছে সারাটাই মানুষদেরকে। যা লেখা হয়েছে সারাটাই মনুষ্য প্রজাতির উপকারার্থে।
ছবির নীচে পয়েন্ট দিয়ে দিয়ে সুন্দর করে ঘুচিয়ে লেখাঃ
এই ব্যঙের ছাতা এতো-ই পাওয়ারফুল যে এটা যদি কাঁচা খান কিংবা নিদেনপক্ষে রান্না করে হলেও খান, তাহলে আপনি যে উপকার পাবেন তা হলোঃ
# কিডনি রোগ এবং এলার্জি প্রতিরোধ করবে।
# মাশরুমে চর্বি ও শর্করা কম থাকায় এবং আঁশ বেশি থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য আদর্শ খাবার। আশযুক্ত খাবার মানুষের হজম প্রক্রিয়ার জন্য অপরিহার্য।
# ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
# রুচি বর্ধক, পেটের পীড়ার নিয়ামক।
# স্নায়ুতন্ত্র ও স্পাইনাল কর্ড সুস্থ রাখে। তাই হাইপার টেনশান দূর হয়, মেরুদন্ড দৃঢ় হয় এবং ব্রেইন সুস্থ থাকে।
# মাশরুমে প্রচুর পরিমাণ গ্লাইকোজিন থাকাতে শক্তি বর্ধক হিসেবে কাজ করে। তাই যৌন অক্ষম রুগিদের জন্য এটি একটি শক্তিবর্ধক।
# মশরুমের ইলুডিন M এবং S থাকাতে আমশয়ের উপকারি।
# ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধ করে।
# রক্তশুন্যতা দূর হয়।
# জন্ডিস এড় বিরুদ্ধে লড়াই করে।
# শিশুদের দাঁত ও হাড় গটনে অত্যন্ত কার্যকরি।
# কোলেস্টেরল কমায় তাই হৃদরোগ ও হাই ব্লাডপ্রেশার নিরাময় হয়।
# গর্ভবতী মা ও শিশুরা নিয়মিত খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
# মাশরুমে ট্রাইটারপিন থাকাতে এটি এইডস এর প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
এ জন্যে প্রচুর পরিমাণে মাশরুম খান। সকাল বিকাল না পারলেও দিনে অন্তত একবার খান। আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাশরুম রাখুন, রাখতে ভুলবেন না।
এইবার বুঝা গেলো মাশরুমের মাহাত্ম্য। এল্ল্যাগাইতো কই ব্যাঙের সর্দি-জ্বর হয় না কেরে। সারাদিন-ইতো পানিতে থাকে। বৃস্টিতে ভিজে। লাফালাফি ক’রে। এই পাওয়ারফুল ছাতার নীচে থাকে বলেই মনে হয় এতো ঝড়বৃস্টি-তুষার খাওয়ার পরও তাপ সর্দি জাতীয় রোগ নিয়ে কোন ব্যাঙকে ভোগতে শোনা যায়নি। ব্যাঙের আবার সর্দি! লোকে তাচ্ছিল্য করেই বলে। হুহ!
সিদ্দান্ত নিয়েই ফেললাম, যতোই পিচ্ছিল হোক আর যতোই টেইস্টলেস হোক; খাবো। এখন থেকেই মশারুম খাবো। আজই মাশরুমের সন্দানে বের হবো। কোথায় বাবা ব্যঙ আর কোথায় তোমার ছাতা! খারাও, আমি আইতাছি। ͼͽ
২| ২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:১৬
জুন বলেছেন: প্রথমে ভাবলাম লিফলেটে আনবিক বোমার মাশরুম আকৃতির ছাতার কথা লেখা আছে। কত বিদ্ধংসী, অমানবিক এক অস্ত্র। নাহ এ ছাতা মানুষের উপকারী ছাতা। ভালোলাগলো আপনার লেখার স্টাইল সাথে মাশরুমের এত এত উপকারিতার কথা জেনে।
৩| ২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
চাকার মতো চলমান
৪| ২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:০৭
বিজন রয় বলেছেন: ভাল পোস্ট। অনেক কিছু জানা হলো।
৫| ২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: লেখা ভালো লেগেছে। তবে এত বানান ভুল হলে তা দৃষ্টিকটু দেখায়। হয়ত টাইপিং মিসটেক। প্লিজ, সংশোধন করে নিন।
৬| ২২ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২
বাব-উল-হাবীব বলেছেন: না। টাইপিং মিস্টেইক নয়। ইচ্ছে করেই এরকম করা। পড়ে যাতে মনে হয় , গল্প পড়ছেন্না বরং কেউ আপনার সাথে গল্প করছে।
এই ব্লগেই আরেকটা লেখা আছে। নীচের কমেন্টে লিংক দিচ্ছি। দেখে নিতে পারেন। বানান সব ঠিক আছে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
৭| ২২ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬
বাব-উল-হাবীব বলেছেন: Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:০৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খুব মজার করে লিখেছেন।
কিছু বানানে প্রবলেম আছে, ঠিক করে নিলে আরো সুখপাঠ্য হতো।
ছাতা খেলেও জ্বর সর্দি হয়না, কোথাও যাওয়ার সময় কাছে রাখলেও হয়না