![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা আমাদের নিজেদের আকল বুদ্ধি নিয়ে খুব আস্থাশীল। কিন্তু আমাদের জানা নেই যে এই ধ্যান ধারণা কতটা নিরাপদ?
বর্তমানে বিশ্বে মোটামুটি তিনটি মতাদর্শ সবচেয়ে জনপ্রিয়।
*বিজ্ঞান
*যুক্তি দর্শন
*ইসলামী দর্শন
আর জানার মাধ্যম হচ্ছে তিনটি
1. পঞ্চেন্দ্রিয়
2.জ্ঞান বুদ্ধি বা বিবেক
3.ঐশী জ্ঞান
আসুন এবার জেনে নেই বাস্তবতা জানার জন্য কারা কি ধরনের জ্ঞানার্জনের মাধ্যম অবলম্বন করে।
প্রথমে বিজ্ঞান
তারা সব কিছুর বাছবিচার করে পঞ্চেন্দ্রিয় র মাধ্যমে বা বাহ্যিক ভাবে যা দেখা যায় তার উপর ভিত্তি করে। তারা যুক্তি দিয়ে কোন কিছু বিচার করেনা। একারণেই আমরা দেখেছি যে বিজ্ঞানের সুত্র কয়েক বছর পর পর পরিবর্তন হচ্ছে। আজ এক সুত্র নিয়ে সারাবিশ্ব মাতামাতি করছে তো কাল গবেষণায় তা ভুল প্রমাণিত হয়ে আর এক সুত্র পেশ করছে। কোন গবেষণাই চূড়ান্ত গবেষণা নই। আর কোন বিজ্ঞানি এ ঘোষনা দিতে পারবেনা যে তার মতামতই চূড়ান্ত মত।
দ্বিতীয়তে দার্শনিকদের দেখি
তারা সবকিছুই বিচার করে যুক্তির আলোকে। যুক্তি যদি বলে ঠিক, তাহলে গ্রহণযোগ্য অন্যথায় পরিত্যাজ্য। একারণে লেলিনবাদ, মার্ক্সবাদ এধরনের যুক্তি ভিত্তিক মতবাদগুলো কখনো খুব গ্রহণযোগ্যতার জোয়ার আসলেও, একসময় সেই নদীতে ভাটা আসে। এবং অনেক সময় তা পরিণত হয় মরা নদীতে। যেমন. সম্রাজ্যবাদের জন্মস্থান রাশিয়াতেই এখন সম্রাজ্যবাদীদসম্রাজ্যবাদ চরম অবহেলিত।
সবশেষে আসি ইসলামে।
ইসলামে বাছবিচারের মাধ্যম ঐশী জ্ঞান। সোজা কথায় কোরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াস( যা কিনা কোরআন -হাদিস অনুযায়ী হওয়া আবশ্যক)।আর ইসলামের রীতি নীতি সব সময় এক থাকে । এর মাঝে পরিবর্তন আসবেনা ।প্রথম দুটি দর্শনের নীতি নির্ধারক হচ্ছে মানুষ । আর শেষের দর্শনের নীতি নির্ধারক হচ্ছে স্বয়ং মানুষের স্রষ্টা ।অর্থাৎ আল্লাহ রব্বুল আলামিন। মানুষের জ্ঞানে ত্রুটি আছে ।তাই তাদের উদ্ভাবিত রীতিতে পরিবর্তন আনা লাগে।আর আল্লাহ তায়ালা সব চেয়ে বড় জ্ঞানী ।তার জ্ঞানে কোন ত্রুটি থাকার বিষয় কল্পনাই করা যায় না।
এখন সিদ্ধান্ত আপনার হাতে। আপনি যদি চান আপনি আপনার বিষয় ভুল নীতি নির্ধারকদের কাছে অর্পণ করতে পারেন ,আবার ভুলের থেকে যিনি পবিত্র তার কাছেও আরপন করতে পারেন।
©somewhere in net ltd.