নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুহাম্মাদ মারুফ

mrof

জলকরঙ্কের উন্নাদ

mrof › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুযুর তারাবির নামাজ আর একটু তারাতারি পড়ায়না ক্যান?

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৬

আজ তারাবির নামাজের সময় আমার পাশে দুজন হাফেজ সাহেবের খুব সমালোচনা করছিল।

বলছিল." কি ব্যাপার? হাফেজ সাহেব দেহি লোকমা খাইল।" হুযুরে এত আস্তে পড়ায় ক্যা? "

এধরনের আরো নানান মন্তব্য করছিল প্রতি সালামের পর। যেন প্রতি সালামের পর হুযুর সম্পর্কে মন্তব্য করা একটা ফযিলত পূর্ণ অযিফা। ১১ তম রাকাতে যখন দ্বিতীয় হাফেজ সাহেব আসল এবং ২ রাকাত পড়াল তখন বলল এই হুযুর দেখি আরো slow .আর সহ্য হলো না। তাকে বললাম তারাতারি করে তেলাওয়াত করলে কি কোরআনের হক আদায় হবে? তারাতারি করে যদি পড়ায় তাহলে বেশি থেকে ১০ মিনিট অতিরিক্ত লাগতে পারে। এই ১০ মিনিট কি অপেক্ষা করা যায়না? তখন আরেকজন বলল, অনেক জায়গায় তো খুব তারাতারি পড়ায়। আমি তাকে বললাম, কোনটা উচিৎ? এরপর তারা আর কোন কথা বলল না। আর নামাজও অন্যান্য দিনের ন্যায় একই সময় শেষ হল।

কোরআন শরীফ পড়ার নিয়ম হলো তার্তিল বা ধিরে সুস্থে পড়া। কিন্তু এই মুসল্লীদের কারণে হাফেজ সাহেবরা তারাতারি নামাজ পড়াতে বাধ্য হয়।

সাধারণ মুসল্লীরা কোরআনের একটা পৃষ্ঠাও মনে হয় শুদ্ধ করে পড়তে পারবেনা। এখন যদি হাফেজ সাহেবের পিছে দাড়িয়ে কোরআনের হক আদায় করে তার্তিলের মদ গুন্নাহ আদায় করে পড়া হতো তাহলে তারাবির মাধ্যমে সহীহ্ শুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াতে সোয়াব পেয়ে যেত। কিন্তু নিজেরাই সোয়াবের এই রাস্তা বন্ধের কারণ হয়েছে। আমাদের যতো তারা মসজিদে আসার পরই শুরু হয়। কিন্তু যখন আমরা বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে থাকি বা বিদ্যুৎ বিলের লাইনে দাড়াই, তখন কারও কোন তারা নেই! এসব ক্ষেত্রে আমাদের খুব ধৈর্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে! কিন্তু এবাদতের ক্ষেত্রে যতো তাড়াহুড়া।

রমজান হচ্ছে এবাদতের মাস। এই মাসে যতটা সম্ভব এবাদতে ব্যস্ত থাকা উচিৎ। এজন্য আমরা হাফেজ সাহেবদের কাছে নিবেদন করতে পারি যে, নামাজের তেলাওয়াতটা যেন ধীরে সুস্থে তার্তিলের করা হয়। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে যেন তাঁর মহা গ্রন্থ সঠিক ভাবে পড়া ও সে অনুযায়ী আমল করার তাওফীক দান করেন। (আমিন)

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

আহলান বলেছেন: আমিন

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৬

mrof বলেছেন: جزاكم الله تعالي خيرا

২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: আমীন আল্লাহ কবুল করুক.
প্রায় প্র‌্তিদিনই মনে হয়, তবে আজ ৮ রাকাত পড়ার ভাবছি চলে যাব। কিন্তু পাশের ৭০ উদ্ধে বয়স্ক লোককে দেখে ভাবলাম , তিনি বয়স্ক মানুষ, তিনি দীর্ঘক্ষন দাড়িয়ে থাকতে পারলে আমরা পারব না কেন? এটা ভেবে আর গেলাম না।

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৩

mrof বলেছেন: আল্লাহ আপনার এবাদতের উত্তম প্রতিদিন দিক

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০০

অদ্ভুত স্বপ্ন বলেছেন: একেবারে ঠিক কথাটাই বলেছেন ভাই । হুজুরদের (হাফেজ) তেলোয়াত বুঝতে কষ্ট হয় অতি দ্রুত পড়ার কারণে। আমাদের দেশের হাফেযদের তারাবী নামাযের সময় এই অতি দ্রুত কোরআন তেলোওয়াত করার সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে আসা উচিত।

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৫

mrof বলেছেন: আসুন আমরা সেই চর্চা শুরু করি। جزاكم الله خيرا

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

মশিকুর বলেছেন:
আমিন

৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

একিউমেন০৮ বলেছেন: আমিন

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

আরজু পনি বলেছেন:

গতকাল জুম্মার নামাযের সময় রাস্তায় আটকে ছিলাম...তখন দেখলাম মানুষ একা নামায পড়ার সময় কিভাবে সেজদাতে চুরি করে !

তারা ছওয়াবও চাইবে আবার তারাহুরায় হুলস্থুলও করবে !

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৭

mrof বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ

৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২৮

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
একই ঘটনা ঘটেছে আজ আমার সামনেও। শুদ্ধ উচ্চারণটা যদি কানে বাজে এবং মনোযোগী হওয়া যায় মোটেও দীর্ঘ মনে হয় না। আজ আমি সামনের কাতার থেকে তারাবিহ আলহামদুলিল্লাহ বেশ উপভোগ করেছি। মহান আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করুণ। আমিন।

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৭

mrof বলেছেন: আসলে তারাতারি ও আস্তে পড়ার পার্থক্য ১০ কি ১৫ মিনিটের এর বেশি না আর এতটুকু সময় আমরা মহান কালামের জন্য দিতে কার্পণ্য করি। কোরআনের একটি মুজেযা হলো সেটা যতই পড়ি বা শুনি তা কখনোই বিরক্তিকর লাগবেনা। কিন্তু প্রেমের চিঠি ১০০ বারেরও কম পড়লে এক সময় না এক সময় বিরক্তি আসবেই। আমাদের অন্ত্ররে আল্লাহ কোরআনের নূর ও মোহাব্বত ঢেলে দিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.