![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা মুসলিম। আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ হবে আল্লাহর তায়ালার আদেশ অনুযায়ী। আমরা যে যেই কাজ করি, তার উচিৎ সেই কাজটা ইসলাম রীতিমতন আদায় করা। যে ব্যবসা করে সে ব্যবসার প্রয়োজনীয় মাসয়ালা জেনে নিবে।
যে মজদুরি করে সেও জেনে নিবে তার প্রয়োজনীয় মাসয়ালা। যেমনি ভাবে আমরা নামায পড়ার আগে নামাযের মাসয়ালা গুলো মোটামুটি জেনে নেই।
কিন্তু একটা বিষয় সম্পর্কে আমরা বড়ই উদাসীন। সেটা হল বিয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসয়ালা, যেগুলো জেনে নেয়া একান্ত প্রয়োজন।
সেইরকমই একটি বিষয় হচ্ছে
"তালাক" বা বিবাহ বিচ্ছেদ। মানুষ নিজের স্বভাবগত চাহিদা বৈধ ভাবে পূরনের জন্যই বিবাহ করে থাকে। কিন্তু তালাকের বিষয়টি ঠিকমতো না জানার কারণে স্বামী - স্ত্রীর পবিত্র সম্পর্ক হয়ে যায় অবৈধ। আর যারা ধর্ম মানে সে অবশ্যই তালাক মানবে।
তালাক এই বিষয়টি ইসলাম খুবই স্পর্শকাতর বিষয় হিসেবে গ্রহণ করেছে। এই তালাকের শব্দ যে নিজ স্ত্রীকে "তোমাকে তালাক দিলাম" স্পষ্টভাবে যদি কৌতুক করেও বলে তাহলে সেটা ও সত্যি হিসেবেই সাব্যস্ত হবে। রাগের মাথায়, মাতাল অবস্থায়, অথবা জোরপূর্বক বলতে বাধ্য করে তাহলে ও তালাক পতিত হয়ে যাবে। কিন্তু স্বামী - স্ত্রী এখন এত বেখবর যে তালাকের বিষয়টা একদম ছেলেখেলা মনে করে। ঝগড়া - ঝাটির সময়ে স্বামী স্ত্রীকে অনেক সময় বলে ফেলে "তোমাকে তিন তালাক দিলাম" কিন্তু স্বামী বেচারার অনুভূতিও যে এই ছোট্ট কথাটি বলার দ্বারা সে কত সুন্দর সম্পর্কে অবৈধ করে ফেলল। কত সহজ একটি বিষয়কে কত কঠিন বানিয়ে ফেলল।
এরপর কয়েকজন তো কখনো কখনো কোন আলেমের কাছে জিজ্ঞেস করে যে এখন কি করা যাবে? আর কয়েকজন তো এটাকে কোন বিষয়ই মনে করেনা। অনেকে বলতে পারে এত কিছুর কি দরকার? তখন তো তাকে বলা যেতে পারে এটা ইসলামের হুকুম। যদি তা না মানা যায় তাহলে বিয়ের প্রয়োজনটা কোথায়? তার জন্য তো গনিকালয় গুলো পসরা খুলে বসেই আছে।
যাই হোক কথা অনেক লম্বা হয়ে যাচ্ছে।
স্বামী বিয়ের মাধ্যমে স্ত্রীর উপর কিছু কর্তৃত্ব অর্জন করে। যেমন তার সাথে সহবাসের অধিকার এবং তাকে তালাক দেয়ার অধিকার। তবে স্ত্রীকে যদি স্বামী তালাক দেয়ার অধিকার প্রদান করে তাহলে সে তালাক দিতে পারে অন্যথায় স্ত্রী অভিভাবকদের মাধ্যমে বা বিচারকের মাধ্যমে স্বামীর থেকে তালাক আদায় করতে পারে যদি কোন যুক্তিসংগত কারণ থাকে।
ইসলাম তিন তালাক দেয়াকে প্রচন্ড ভাবে নিষেধ করেছে। স্বামী যদি তালাক দিতে একান্ত অপারগ হয় তাহলে সে এক তালাক দিবে। আর স্ত্রীর তিনটি ঋতুকাল অতিবাহিত করবে তাহলে তাদের বিবাহ বন্ধন শেষ হয়ে যাবে। স্ত্রীকে যদি ফিরিয়ে নিতে চায়, তাহলে পুনরায় মোহরানা দিয়ে আবার বিবাহ করবে। আর তিন ঋতুকালের মাঝে যদি স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে চায় তাহলে স্পর্শ বা চুম্বন বা নিবিড় ভাবে কাছে টেনে নিলেই হবে আর কিছু লাগবেনা।
কিন্তু খোদা না করুক যদি তিন তালাক দিয়ে ফেলে তাহলে আর কোন পথ বাকি থাকে না। আর যেই পথটি থাকে যেটাকে আমরা হিলা বিবাহ বলে থাকি তা খুবই বিশ্রী নোংরা একটি পথ।
মোটকথা : তালাক দিতে হলে এক তালাক। এর বেশি নয়। মাথা যতই খারাপ হোকনা কেন।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২৬
mrof বলেছেন: و إياك
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৪৮
সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ , আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন। কিন্তু আমার একটা বিষয় দ্বি মত আছে। - (কিন্তু খোদা না করুক যদি তিন তালাক দিয়ে ফেলে তাহলে আর কোন পথ বাকি থাকে না। আর যেই পথটি থাকে যেটাকে আমরা হিলা বিবাহ বলে থাকি তা খুবই বিশ্রী নোংরা একটি পথ।)
এই কথাটা আসলে ভিত্তি হিন। একটু বুঝে নিন।
হিলা বা হিল্লা হচ্ছে : তিন তালাকপ্রাপ্তাকে তালাকদাতা স্বামীর জন্য হালাল করার উদ্দেশ্যে অন্য ব্যক্তির সাথে এই শর্তে বিয়ে দেয় যে, ওই ব্যক্তি বিয়ের পর তাকে তালাক দেবে। নারী নিপীড়নের অন্যতম হাতিয়ার এই কুপ্রথাটি ইসলামী আইন নামে মুসলিম সমাজে বহুকাল থেকে প্রচলিত। অথচ ইসলামে এ ধরনের বিয়ের কোন সুযোগই নেই। কেননা, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যেখানে নারীর মর্যাদা ও অধিকার বিরুদ্ধ মুত’আ ও শিগার, বিয়ে বাতিল ও নিষিদ্ধ করেছেন যা প্রাক-ইসলামকাল থেকেই আরব সমাজে ব্যাপকভাবে চালু ছিল এবং ইসলামের প্রথম দিকে কিছুকাল মুসলিম সমাজেও তা বহাল ছিল (মদ হারাম করার মতোই ওই কুঅভ্যাস ও প্রথা পরিত্যাগে দৃঢ় মানসিক প্রস্তুতির জন্য যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত কারণে মুত’আ ও শিগার, বিয়ে বাতিলের সময় দেয়া হয়ে ছিল। আল্লাহ তাআলা মক্কা বিজয়ের দিন মুত’আ কিয়ামত পর্যন্ত হারাম করেন)।
মুত’আ হচ্ছে : বস্ত্র বা কোন কিছুর বিনিময়ে বিশেষ অবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক বিয়ে, যা প্রকৃত বিয়ের শর্তগুলো পূরণ করে না।
শিগার হচ্ছে : কোন ব্যক্তি র্কতৃক তার কন্যা বা বোনকে অপর ব্যক্তির সাথে এই শর্তে বিয়ে দেয়া যে সে নিজে ওই ব্যক্তির কন্যা বা বোনকে বিয়ে করবে এবং এ বিয়েতে কোন মোহর থাকবে না। এটা ছিল নারীর মোহর ফাকি দেয়ার এক চাতুর্যপূর্ণ কৌশল।
সুতরাং ইসলামে এ দুই বিয়ের মতো নারীর স্বাধীনতা, অধিকার ও মর্যাদা হানিকর নিপীড়নমূলক, হিলা, প্রথারও কোনো স্থান নেই, কিন্তু সত্য হলো, বর্তমান মুসলিম সমাজে অনুপ্রবেশিত এই ফিৎনার শিকার অগণিত নারীর জীবন আজো ডুবে যাচ্ছে অনিশ্চিত এক অন্ধকারে।
ভুল হলে ক্ষমা করবেন। ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৫৫
mrof বলেছেন: সুপ্ত ভাইয়া আমার পোস্টটি আরো অলঙ্কৃত করল। আমি পোস্টটি সংক্ষিপ্ত করার জন্য অনেক কিছুই ছেড়ে দিয়েছি।
মানুষ তালাক সম্পর্কে কেমন উদাসীন তা একটি ঘটনা থেকে অনেকটা স্পষ্ট হবে ইনশাল্লাহ।
আমার বাবার কাছে একলোক এসেছে তার মেয়েকে তার জামাই তিন তালাক দিয়ে একটি ডিভোর্স লেটার দিয়েছে জনৈক উকিল মারফত। কিছুদিন বাদে দুই পরিবারের বিরোধ শেষ হলে এখন তারা চাচ্ছে আবার মিলে যেতে। অথচ ডিভোর্স লেটারে কম্পিউটারে কম্পোজ করে জামাইবাবু সুন্দর করে দস্তখত দিয়েছে যে আমি সজ্ঞানে আমার স্ত্রীকে ১...২...৩...বায়েন দিলাম।
আর এখন বেচারা জামাই ছোট ছোট বাচ্চা গুলোর মুখের দিকে তাকিয়ে শশুরবাড়িতে জানিয়েছেন যে আমি শুধুমাত্র ভয় দেখতে এমন চিঠি দিয়েছি।
আরে বেটা ভয় দেখানোর আর জিনিস খুজেঁ পাসনা বুঝি? সে কতটা বোকা হলে এমনটা করে
আর শশুরবাড়ির লোকরাই কতটা নির্বোধ যে তিন তালাক মিমাংসা করার জন্য বাবার কাছে সালিশের মজলিশ করার চিন্তা করল?
আর উকিল মিয়াও মক্কেলের সহজ বিষয় টি বেছে নিতে কেন পরামর্শ দিলনা কেন? অনেক শুকরিয়া সুপ্ত ভাইয়া।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৮
হেজাজের কাফেলা বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন,ভাই।জাযাকাল্লাহ।