নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুহাম্মাদ মারুফ

mrof

জলকরঙ্কের উন্নাদ

mrof › বিস্তারিত পোস্টঃ

বোকা পাঠান শাগরেদ ও তার উস্তাদজীকে শহীদ করার কিসসা

১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৪০

পাঠান জাতির লোকেরা সভাবগত ভাবে একটু বোকা ও একরোখা হয়ে থাকে। তারা যেটাই বুঝে সেটাই করে ফেলে। সাতপাচ কিছু ভাবেনা।
সেরকমই এক পাঠান সদ্য পড়াশুনা শেষ করা একছাত্রর কাহিনী
পড়াশোনা শেষ করে সে ভাবল, আমার উস্তাদজী কত কষ্ট করে আমাকে এলেম -কালাম শিখিয়েছেন। উনার জন্য বড় কিছু করা দরকার। সেই মাথা মোটা পাঠান চিন্তা করে কিছু পেলনা। কি আর করার অন্য আর এক পাঠানের সাথে পরামর্শ করল। তারা ভাবল অনেক টাকা পয়সা দিবে। কিন্তু পরক্ষণে আবার ভাবল, আচ্ছা টাকা পয়সা তো ভোগ বিলাস করে শেষ করে ফেলবে। শেষ না করতে পারলেও মরে গেলে সেগুলো তো আর কোন কাজে আসবেনা। এমন কিছু করা দরকার যা মরণের পরও কাজে আসবে।
ভাবতে ভাবতে তারা বের করল তাকে "শহীদ "করে ফেলি। আখেরাতে তাহলে খুব আরামে থাকবে দুনিয়ার কষ্ট থেকেও মুক্তি।
যেই ভাবা সেই কাজ।
তারা ফন্দি করল উস্তাদকে দাওয়াত দিয়ে এনে খাইয়ে দাইয়ে পরে শহীদ (মেরে )ফেলবে।
তার মাকে বলে রাখল উস্তাদজী এলে ভাল করে সমাদর করে খাওয়াতে।
উস্তাদজী এসে খাওয়া শুরু করে প্রায় শেষের দিকে। তখন পাঠানের মা তাকে বলল উস্তাদজী! ছাত্র তো বানিয়েছেন একটা বলদ। সে আপনাকে শহীদ করে ফেলার চিন্তা করেছে। বাঁচতে চাইলে পেছনের খিড়কি দিয়ে এখনই পালান।
এই কথা শুনে উস্তাদজীর আর মুখে আর কোন খানা ঢুকলনা।
দিল দৌড়. দৌড়াতে দৌড়াতে শাগরেদের পাঠান পিতাকে সামনে পেল। হাপাতে হাপাতে অভিযোগের সুরে বলতে লাগলো। আরে শুনেছেন নাকি আপনার ছেলে কী শুরু করেছে?
সে বললো কি হয়েছে?
আরে আপনার ছেলে আমাকে মেরে শহীদ করে আমার তাকে শিক্ষাদানের প্রতিদান দিতে চায়।
তা শুনেই পলায়নরত উস্তাদজীকে জাপটে ধরে বলল। আমার পুত্র পড়াশোনা শেষ করার পর কোন কিছু করার প্রথম পদক্ষেপ। এটা কিছুতেই ব্যর্থ হতে দেয়া যায়না।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার বোকাদের গল্প।

১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:১০

mrof বলেছেন: অপেক্ষা করুন আরো চমক আছে

২| ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেই পাঠান ছাত্রর চেতনা কি আমাদের রাজণৈতিক নেতাদের মাঝৈ ভাইরস হয়ে ঢুকে পড়েছে ;)

১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:২৩

mrof বলেছেন: রাজনীতির এই কলাকৌশল কেমন করে মুখে বলি।
একবার এসো গো সখা মনের দুয়ারও খুলি♩♩

৩| ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:১৬

mrof বলেছেন: রাজনীতির এই কলাকৌশল কেমন করে মুখে বলি।
একবার এসো গো সখা মনের দুয়ারও খুলি ♩♩♩

৪| ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:২৭

ইস্কান্দার মীর্যা বলেছেন: এই পাঠান হুজুরের মত লাখ লাখ মাওলানা আমাদের দেশের মাদ্রাসাগুলোতে কোমলমতি ছেলে মেয়েদের কোরান হাদিস পাঠদানের নামে জংগী-সন্ত্রাসী বানাচ্ছে। শিক্ষাদানের মত মহান দায়িত্ব এধরনের অন্ধ লোকজন পালন করছে, ভয়ংকর ব্যপার !

১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:১৯

mrof বলেছেন: আমাদের কোমলমতি শিশুরা পাঠান জাতির লোক না। তারা বাংগালী জাতি।
বাঙ্গালী জাতি কোনটা ভালো .কোনটা মন্দ সেটা মায়ের পেট থেকেই বুঝতে পারে। কোন হুজুরের কোন কথা বললে অন্ধের মতো আর চলেনা। কোরআন- হাদীস দিয়ে বিচার করে পরেই সেটা আমলে আনে।
মাদ্রাসার হুযুর যদি মন্দ কথা বলে তাহসেটা আমলে দেয়না। কারন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻣﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﻠﻪ
অর্থাৎ কোন মাখলুকের অনুসরণ করা যাবেনা আল্লাহর অসন্তুষ্টিতে।
তিনি ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ আরো বলেছেন ﺍﻟﺤﻼﻝ ﺑﻴﻦ ﻭﺍﻟﺤﺮﺍﻡ ﺑﻴﻦ ﻭﺑﻴﻨﻬﻤﺎ ﻣﺸﺘﺒﻬﺎﺕ
অর্থাৎহালাল হারাম স্পষ্ট এর মাঝে রয়েছে সন্দেহ পূর্ণ কিছু ..
এখন মাদ্রাসায় পড়ে দ্বীনের এলেম শিখে যদি হুযুরের কথায় হালাল হারাম সন্দেহ পূর্ণ বিষয়ে না বুঝে আমল করে তাহলে সে অযথাই মাদ্রাসায় আছে। সে এত কোরআন হাদিসের জ্ঞান অর্জন না করে স্কুলে ভর্তি হয়ে সরকারি চাকুরী করে ঘুষ খাওয়া ভাল ছিল। অথবা কলেজ ভার্সিটিতে পড়ে ধর্ষণের সেঞ্চুরী করা ভালো ছিলো। কারন মাদ্রাসায় আসে কোরআন হাদিস শিখে আল্লাহর পথে চলতে বেক্কল হুজুরের কথা মতো চলতে নয়।

৫| ১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:০৮

mrof বলেছেন: আমাদের কোমলমতি শিশুরা পাঠান জাতির লোক না। তারা বাংগালী জাতি।
বাঙ্গালী জাতি কোনটা ভালো .কোনটা মন্দ সেটা মায়ের পেট থেকেই বুঝতে পারে। কোন হুজুরের কোন কথা বললে অন্ধের মতো আর চলেনা। কোরআন- হাদীস দিয়ে বিচার করে পরেই সেটা আমলে আনে।
মাদ্রাসার হুযুর যদি মন্দ কথা বলে তাহসেটা আমলে দেয়না। কারন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন لا طاعة مخلوق في معصية الله
অর্থাৎ কোন মাখলুকের অনুসরণ করা যাবেনা আল্লাহর অসন্তুষ্টিতে।
তিনি صلى الله عليه وسلم আরো বলেছেন الحلال بين والحرام بين وبينهما مشتبهات
অর্থাৎ হালাল হারাম স্পষ্ট এর মাঝে রয়েছে সন্দেহ পূর্ণ কিছু ..
এখন মাদ্রাসায় পড়ে দ্বীনের এলেম শিখে যদি হুযুরের কথায় হালাল হারাম সন্দেহ পূর্ণ বিষয়ে না বুঝে আমল করে তাহলে সে অযথাই মাদ্রাসায় আছে। সে এত কোরআন হাদিসের জ্ঞান অর্জন না করে স্কুলে ভর্তি হয়ে সরকারি চাকুরী করে ঘুষ খাওয়া ভাল ছিল। অথবা কলেজ ভার্সিটিতে পড়ে ধর্ষণের সেঞ্চুরী করা ভালো ছিলো। কারন মাদ্রাসায় আসে কোরআন হাদিস শিখে আল্লাহর পথে চলতে বেক্কল হুজুরের কথা মতো চলতে নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.