নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাসুদ কামাল

মাসুদ কামাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রসফায়ার, গুম এবং র‌্যাবের অন্তিম গন্তব্য

১৪ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এলিট ফোর্স র‌্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ান বা র‌্যাবকে এবারের মত এত বড় বিতর্কের মুখে সম্ভবত পড়তে হয়নি। শুরুর দিকে কিছু কিছু ঘটনায় বেশ প্রশংসিত হয়েছে এরা। বিশেষ করে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলে সশস্ত্র চরমপন্থীদের দমনে খুবই সাফল্য দেখিয়েছে। এরপর কিছু শীর্ষ সন্ত্রাসী ধৃত এবং ক্রসফায়ারে নিহত হয়। এসময়ে ক্রসফায়ার বিষয়টা এত ঘন ঘন ঘটতে থাকে যে, এর সত্যতা নিয়ে অনেকের মনেই সন্দেহ দেখা দেয়। তারপরও এ নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য হয়নি। অনেককে তখন বলতে শোনা গেছে, এই সব শীর্ষসন্ত্রাসী এর আগে বহুবার ধরা পড়েছে, জেলে গেছে। কিন্তু আটকে তো রাখা যায়নি। বরং জেল থেকে বের হয়ে এসে আগের চেয়েও ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করেছে। অনেকে আবার জেলখানায় থেকেও অব্যাহত রেখেছে তাদের অপরাধ কার্যক্রম। তাই, প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা যেহেতু তাদেরকে থামাতে পারছে না, তখন ক্রসফায়ারে নিকেশ হওয়াটা বরং মন্দের ভালো।

সন্দেহ নেই, যু্ক্তি হিসাবে এটা তেমন জোরালো নয়, এবং কিছুটা কু-যুক্তিই। তারপরও ওই সময়ে দেখেছি, ক্রসফায়ার নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা উসখুস ভাব থাকলেও সেটা কখনো প্রকাশ্য সমালোচনার পর্যায়ে যায়নি। কিন্তু এরপর যতই সময় গেছে, বেড়েছে ক্রসফায়ার নিয়ে মানুষের সন্দেহ। যখন সেই ‘ক্রসফায়ার’ শীর্ষ সন্ত্রাসীর গন্ডি পেরিয়ে ব্যবহৃত হতে থাকলো রাজনৈতিক নেতা-কর্মী কিংবা সাধারণ মানুষের উপর, ক্রমশ সেই সন্দেহ পরিণত হলো উদ্বেগ আর আতঙ্কে।

ঝালকাঠির লিমনের কথাই ধরা যাক। লিমনের পায়ে র‌্যাবের গুলি নিয়ে দেশজুড়ে অনেক হইচই হয়েছে। এ নিয়ে এত বেশি লেখালেখি হয়েছে যে, আসলে সেদিন কি ঘটেছে তা বুঝতে কারও আর বাকি নেই। এত কিছুর পরেও র‌্যাব কিন্তু এক চুল নড়েনি তাদের সেই মুখস্ত গল্প থেকে। অনেককে এমনও বলতে শুনেছি, গুলি যদি পায়ে না লেগে লিমনের বুকে লাগতো, তাহলেই আর কোন ঝামেলায় পড়তে হতো না র‌্যাবকে। ‘ক্রসফায়ার’ এর বিশাল তালিকায় আর একটি সংখ্যাই কেবল বাড়তো।

তবে লিমনের এই ঘটনার পর থেকেই সম্ভবত কিছুটা কমতে থাকে ক্রসফায়ার, আর সেই সঙ্গে ব্যস্তানুপাতিক হারে বাড়তে থাকে গুমের ঘটনা। একটা মানুষ হঠাৎ করেই হাওয়া হয়ে যাচ্ছে, তাকে আর খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। আর পাওয়া গেলেও অনেক দিন পর হয়তো মিলছে তার লাশ, ভেসে উঠছে কোন নদী বা ডোবায়। গুমের ঘটনাতেও অবধারিতভাবে চলে আসছে র‌্যাবের নাম। র‌্যাব পরিচয়ে কিছু সশস্ত্র লোক মানুষের বাড়িতে ঢুকে কোন একজনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। পরে তার আর কোন সন্ধান মিলছে না। এ নিয়ে র‌্যাব অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা সরাসরি অস্বীকার করছে। বলছে- না, এরকম কাউকে তারা ধরে আনেনি। ব্যাস, এভাবেই গুম হয়ে যাচ্ছে জলজ্যান্ত একজন মানুষ। এনিয়ে বাদ প্রতিবাদের আর কোন সুযোগ থাকছে না।

ঠিক আছে, র‌্যাব তাকে ধরে নিয়ে যায়নি, তাহলে কারা ধরে নিয়ে গেল? এই অপহরণকারীদের ধরাও কি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাজ নয়। র‌্যাবকে কিন্তু কখনোই দেখা যায়নি, ওই অজ্ঞাত অপহরণকারীদের ধরার জন্য ব্যতিব্যস্ত হতে। বরং দেখা গেছে, ‘আমরা ধরে আনিনি,’ এই কথাটুকু উচ্চারণের মাধ্যমেই নিজেদের দায়িত্ব শেষ করতে। আর এই আচরণ থেকেই যা বোঝার বুঝে নিয়েছে জনগণ।

গুম প্রজেক্টের বাড়াবাড়ি লক্ষ্য করা গেছে গত চার-পাঁচ বছর ধরে। বলা যায়, একেবারে শুরু থেকেই এই ‘গুম’ অস্ত্রটি ব্যবহার হতে থাকে বিরোধী রাজনীতিবিদদের উপর। ক্রসফায়ারের তুলনায় এটা অনেকটাই নিরাপদ এ কারণে যে, এখান আর আলাদা করে কোন গল্প বানাতে হয় না। ‘আমরা ধরে আনিনি,’ ‘কে ধরে নিয়ে গেছে, বলতে পারবো না,’ এই রকম দু’একটা আপ্তবাক্য উচ্চারণের মাধ্যমেই শেষ করে দেয়া যায় এই অধ্যায়। চৌধুরী আলম এবং ইলিয়াস আলী’র মত বিএনপি নেতা সফলভাবে গুম হয়ে যাওয়ার পর, এ ধারা যে দ্রুততার সঙ্গে বাড়তে থাকবে, এই ধারণা নিয়ে আর গবেষণা করতে হয়নি। বলাবাহুল্য বেড়েছে তা, এবং সেটা বেশি বেশি প্রয়োগ হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের উপরেই। তবে এখানে একটা কথা বলা দরকার, সব গুমের পেছনেই যে সন্দেহভাজন হিসাবে র‌্যাবের নাম উচ্চারিত হয়েছে, তা হয়তো নয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এদের নামই এসেছে।

একটা উদাহরণের দিকে তাকানো যাক। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এর আগের দু’তিন মাস রাজধানীতে বিরোধী আন্দোলন বেশ দানা পাকিয়ে উঠছিল। ঠিক এই সময়েই নগরীতে কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মী গুম হতে থাকে। নবেম্বর থেকে ডিসেম্বর, কেবল এই দুই মাসেই এই ঢাকা মহানগরী থেকে একে একে ২২ জন বিএনপি’র নেতা কর্মী গুম হয়ে যান। এদের প্রায় প্রত্যেককেই যার যার বাড়ি থেকে র‌্যাব পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অপহৃতদের আত্মীয় স্বজন পরে র‌্যাব অফিসে যোগাযোগ করেছে, কিন্তু কোন সন্ধান পায়নি, র‌্যাব অস্বীকার করেছে তাদেরকে তুলে নিয়ে আসার কথা। রাতারাতি বেমালুম হাওয়া হয়ে গেছেন- এই নেতা কর্মীরা।

অনেককেই বলতে শুনি, দেশে এই মুহূর্তে কোন শক্তিশালী বিরোধীদল নেই। ৫ জানুয়ারীর মত একটা ভোটারবিহীন নির্বাচনের পরও, দেশজুড়ে নানা অন্যায় অত্যাচার অনিয়ম হওয়ার পরও, কেন বিশাল জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও বিএনপি কিছু করতে পারছে না? কেন বিএনপি’র নেতাকর্মীদের দেখা যাচ্ছে না রাজপথে? এতসব প্রশ্নকে যখন চৌধুরী আলম, ইলিয়াস আলী কিংবা মহানগরীর ওই ২২ নেতাকর্মীর পরিণতির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়, তখন আর বিস্মিত হওয়ার খুব বেশি সুযোগ থাকে না।

একথা সত্য, রাজনৈতিক গুম খুনগুলোর পিছনে যদি আসলেই র‌্যাবের হাত থেকে থাকে, তাহলে তারও পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক কারণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হাত। তাদের প্রশ্রয়ে কিংবা চাপে পড়েই হয়তো এধরনের অপকর্ম করতে হয়েছে। রাজনীতিবিদদের হয়ে অন্যায় কাজ করতে করতে এক পর্যায়ে সশস্ত্র কোন বাহিনীর সদস্যরা যদি নিজেদের ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে একই ধরনের অপকর্ম করতে শুরু করে, সেটাকেও কিন্তু খুব বেশি অস্বাভাবিক বলা যাবে না। হয়তো নারায়ণগঞ্জের ঘটনাটি সেরকমই কিছু।

তবে, সবশেষ নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় র‌্যাবকে নিয়ে সারাদেশে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, এ থেকে এই বাহিনীটি কিভাবে বের হয়ে আসবে, তা যেন রীতিমত গবেষণার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এবার তাদের গায়ে রীতিমত ‘ভাড়াটে খুনি’র লেবেল লাগানো যায় কিনা, সে আলোচনাও চলছে অনেকের মধ্যে। যে বাহিনীকে নিয়ে সরকার এক সময় গর্ব করতো, তাদের ভাবমূর্তির এই যে করুণ পতন, এটা সত্যই বেদনাদায়ক। র‌্যাবের জন্ম যাদের হাতে, সেই বিএনপিই এখন দাবি তুলেছে একে বিলুপ্ত করে দিতে। একই ধরনের দাবি উচ্চারিত হয়েছে দেশের সুশীল সমাজ এবং এমনকি বিদেশী দাতা সংস্থা এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকেও। এতসব দাবির বিপরীতে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, র‌্যাব বিলুপ্তির কোন প্রশ্নই ওঠে না। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই দৃঢ় বক্তব্য কতটুকু স্থায়িত্ব পাবে-বলা মুশকিল।

শেষ পর্যন্ত র‌্যাব যদি বিলুপ্তও হয়ে যায়, তারপরও মানতে হবে র‌্যাব দারুনভাবে সফল হয়েছে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে। মাথায় পট্টি বাধা কালো পোশাকধারী এই বাহিনীটিকে দেখলে নিরীহ সাধারণ মানুষ এখন আর আস্বস্ত হয় না, বরং আতঙ্কিত হয়। র‌্যাব কাউকে ধরে নিয়ে গেলে, হোক সে বড় অপরাধী, ছোটখাটো অপরাধী কিংবা একেবারেই নিরপরাধী, সকলের মনে চিন্তা থাকে একটাই, আর তা হচ্ছে মৃত্যুভয়। তাই র‌্যাব ধরে নিয়ে গেলে স্বীকোরক্তি আদায় একেবারেই সহজ হয়ে যায়। র‌্যাবকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেকার এই যে ভীতিকর অনুভূতি, সন্দেহ নেই এটাই র‌্যাবের সবচেয়ে বড় অর্জন।

আমার নিজের যতটুকু মনে হয়, র‌্যাবের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সত্য হোক আর মিথ্যা হোক, এদের নিয়ে যে বিতর্ক আর আতঙ্ক আজ জনমনে, এরপর এমন একটি বাহিনীর টিকে থাকা কষ্টকর। আমরা স্মরণ করতে পারি রক্ষীবাহিনীর কথা। প্রবল পরাক্রমশালী সেই বাহিনীটিও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেনি। রক্ষীবাহিনী এখন ইতিহাস, কালো ইতিহাস। সেই ইতিহাসের ফাঁকে ফাঁকে বাহিনীটিকে নিয়ে প্রচলিত আছে নানা গল্প, কৌতুক। হয়তো বছর কয়েক পরে, র‌্যাবকে নিয়েও তেমন কিছু কৌতুক শোনা যাবে।

সম্ভাব্য তেমন একটা কৌতুক দিয়েই না হয় শেষ করা যাক আজকের লেখা।

মন্ত্রী মশায় সপরিবারে অবসর বিনোদনে গেছেন জঙ্গলের ধারের রিসোর্টে। তার আদরের কন্যার ততোধিক আদরের খরগোশ ‘পিংকি’ হঠাৎ করেই জঙ্গলে ঢুকে গেল, আর ফিরে এলো না। কন্যা কান্না করছে, পিতার মন খারাপ। ডাকলেন তিনি পুলিশ বাহিনীকে। মন্ত্রীকন্যার খরগোশ বলে কথা। পুলিশ পুরো জঙ্গল তন্নতন্ন করে খুঁজলো। বনে অনেক প্রাণী পাওয়া গেলেও খরগোশটিকে পাওয়া গেল না। তারা ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে দিলো।

মন্ত্রী ডাকলেন ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চকে। ডিবি এসেই বনের চারদিকে নিরাপত্তা বেস্টনি তৈরি করে ফেললো। তারপর বনের মধ্যে ঢুকে প্রতিটি প্রাণীকে তালিকাভূক্ত করলো, গাছগুলোর তালিকা করলো। বড় প্রাণী, ছোট প্রাণী, বড় গাছ, ছোট গাছ- এভাবে একটা ডাটাবেজ করলো। তারপর সেই ডাটাবেজ কম্পিউটারে মন্ত্রীকে দেখিয়ে প্রমাণ করে দিল, বনের মধ্যে আর যা-ই থাক পিংকি নাই। তারা এমন ইঙ্গিতও করলো, খরগোশটিকে সম্ভবত বড় কোন প্রাণী খেয়ে ফেলেছে।

মন্ত্রী সাহেব এবার ডাকলেন র‌্যাবকে। র‌্যাবের একটা বাহিনী ঢুকে গেল বনের মধ্যে। প্রথমেই তাদের সঙ্গে দেখা হলো একটি কুকুরের । জিজ্ঞাসা করলো- তুমি কি খরগোশ পিংকি? জবাবে কুকুরটি না সূচক মাথা নাড়তেই তাকে গুলি করে মেরে ফেলা হলো। এভাবে একটি একটি করে যে প্রাণীটিই সামনে এলো, জিজ্ঞাসা করলো একই প্রশ্ন। ‘না’ বলার সঙ্গে সঙ্গেই গুলি। কিছুক্ষণ পর র‌্যাব সদস্যরা বীরদর্পে বন থেকে বের হলো। তাদের হাতে আধমরা একটা শুকর। শুকরটি ভালোভাবে হাঁটতেও পারছে না। কিন্তু তাড়স্বরে বলছে, আমিই খরগোশ, আমিই পিংকি!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

মদন বলেছেন: আমিই খরগোশ, আমিই পিংকি!

২| ১৪ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫

তাসমিয়া আফরোজ তৃষা বলেছেন: RAB নিয়ে যত গল্প সব মনে পড়ছে

৩| ১৪ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: লেখাটা ভালো হয়েছে। সাথে কৌতুক টাও। +++++++

৪| ১৪ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১

মিতক্ষরা বলেছেন: বিগত কয়েক মাসে যেভাবে র‌্যাব গুম অপহরনের সংস্কৃতি তৈরী করেছে তাতে এটা পরিষ্কার যে র‌্যাবের বিলুপ্তি হওয়াটা সময়ের দাবী। রক্ষী বাহিনী যেভাবে জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবার কারনে বিলুপ্ত হয়েছে তেমনি র‌্যাবকেও বিলুপ্ত করতে হবে। পুলিশ বাহিনীর সাথে র‌্যাবের কোন তুলনা হয়না কারন পুলিশ বাহিনী একটি নিয়মের মধ্যে চলে - এরেস্ট ওয়ারেন্ট দিয়ে গ্রেফতার করে এবং পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু অস্বাভাবিক এবং তদন্ত সাপেক্ষ। কিন্তু র‌্যাব একটি এলিট বাহিনী যারা যখন তখন যাকে তাকে তুলে নিয়ে যায়, গুম করে এবং ক্রশ ফায়ারে দেয়। র‌্যাবের তুলনা রক্ষী বাহিনী কিংবা চসেস্কুর গুপ্ত পুলিশের সাথে যাদের কাজ ছিল বিরোধী কিংবা বিদ্রোহীদের দমন। কোন ভাবেই আইন শৃংখলা রক্ষা নয়। র‌্যাব প্রথম দিকে হয়তবা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ক্রশ ফায়ারে দিয়ে কিছুটা জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। কিন্তু এখন এটা একটি খুনে বাহিনীতে পরিনত হয়েছে। পত্রিকায় র‌্যাব নিয়ে নানা গাল গল্প দেখছি। তাই নারায়ন গন্জ্ঞের ঘটনাই একমাত্র - এটা বিশ্বাস করা কঠিন।

৫| ১৪ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২

মিতক্ষরা বলেছেন: বিগত কয়েক মাসে যেভাবে র‌্যাব গুম অপহরনের সংস্কৃতি তৈরী করেছে তাতে এটা পরিষ্কার যে র‌্যাবের বিলুপ্তি হওয়াটা সময়ের দাবী। রক্ষী বাহিনী যেভাবে জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবার কারনে বিলুপ্ত হয়েছে তেমনি র‌্যাবকেও বিলুপ্ত করতে হবে। পুলিশ বাহিনীর সাথে র‌্যাবের কোন তুলনা হয়না কারন পুলিশ বাহিনী একটি নিয়মের মধ্যে চলে - এরেস্ট ওয়ারেন্ট দিয়ে গ্রেফতার করে এবং পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু অস্বাভাবিক এবং তদন্ত সাপেক্ষ। কিন্তু র‌্যাব একটি এলিট বাহিনী যারা যখন তখন যাকে তাকে তুলে নিয়ে যায়, গুম করে এবং ক্রশ ফায়ারে দেয়। র‌্যাবের তুলনা রক্ষী বাহিনী কিংবা চসেস্কুর গুপ্ত পুলিশের সাথে যাদের কাজ ছিল বিরোধী কিংবা বিদ্রোহীদের দমন। কোন ভাবেই আইন শৃংখলা রক্ষা নয়। র‌্যাব প্রথম দিকে হয়তবা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ক্রশ ফায়ারে দিয়ে কিছুটা জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। কিন্তু এখন এটা একটি খুনে বাহিনীতে পরিনত হয়েছে। পত্রিকায় র‌্যাব নিয়ে নানা গাল গল্প দেখছি। তাই নারায়ন গন্জ্ঞের ঘটনাই একমাত্র - এটা বিশ্বাস করা কঠিন।

৬| ১৪ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১

সিকদারভাই বলেছেন: মাথায় পট্টি বাধা কালো পোশাকধারী এই বাহিনীটিকে দেখলে নিরীহ সাধারণ মানুষ এখন আর আস্বস্ত হয় না, বরং আতঙ্কিত হয়।
স হমত।

৭| ২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪

একটু স্বপ্ন বলেছেন: সময়োপযোগী একটা দরকারী লেখা। লেখাটি সাপ্তাহিকীতে প্রকাশিত হওয়ার পরপরই পড়েছি। সবার স্বার্থে ওই লিংকটিও শেয়ার করছি..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.