নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাসুদ কামাল

মাসুদ কামাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচারক অভিশংসন বিতর্ক ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ

২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:১৫



সেদিন এক প্রতিবেশীর সঙ্গে আলাপ হচ্ছিল রাজনীতি নিয়ে। ভদ্রলোক নিজে রাজনীতি করেন না, তবে অবসরে এ বিষয়ে কথা বলতে পছন্দ করেন। এ কথা সে কথার পর হঠাৎ করেই উঠল স্থানীয় সংসদ সদস্যের দায়িত্বের কথা। তিনি হুট করেই জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আচ্ছা এ এলাকার এমপি যেন কে?’



‘আগেরবার কে ছিলেন মনে আছে?’ জানতে চাইলাম আমি।



‘কেন মনে থাকবে না, এরশাদ ছিলেন।’



‘কাকে হারিয়ে তিনি এমপি হয়েছিলেন সেটা মনে আছে?’



‘হুম, তাও বেশ মনে আছে। বিএনপির হান্নান শাহকে হারিয়ে তিনি এমপি হলেন। কিন্তু এবারের টা মনে নেই কেন? আসলেই বলুন তো, আমাদের এমপি কে?’



অনেক চেষ্টা করেও ভদ্রলোক স্থানীয় এমপির নাম বলতে না পারায় তাকে কিছুটা লজ্জিতই মনে হলো। আমি যখন জানালাম আমাদের এলাকার সংসদ সদস্যের নাম আবুল কালাম আজাদ, তখন তিনি আর একবার যেন বিস্মিত হলেন। বললেন, ‘এইটা আবার কে? ইনি কি আওয়ামী লীগের নাকি জাতীয় পার্টির?’



এ ঘটনার পরবর্তী দুইদিনে বিষয়টি নিয়ে আমি একটা পরীক্ষার মতো চালালাম। দোকানে জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে, রিকশায় উঠে, ফুটপাতের পাশের দোকানে চা খেতে, অনেকের কাছেই জানতে চাইলাম, কে যেন এমপি আমাদের? বিচিত্র সব উত্তর পেলাম। তবে নামটা বলতে পারলেন না কেউই।



উনি এখন মাননীয় সংসদ সদস্য। ওনাকে কেউ চেনেন না। তাঁকে যখন কেউ চেনেন না, তখন ওনারই বা কি দায় ঠেকেছে এলাকার মানুষকে চেনার? অথচ নিয়তি হচ্ছে, যাদেরকে তিনি চেনেন না তাদেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি জাতীয় সংসদে। সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় সংসদের আসন্ন অধিবেশনে সংবিধান সংশোধনের জন্য যখন ভোটের প্রশ্ন ওঠবে, তখন তিনি ভোট দেবেন। গণতান্ত্রিক রীতি অনুযায়ী, তার মতামত বিবেচিত হবে এই এলাকার মানুষের প্রতিনিধিত্বশীল মত হিসেবে!



এ রকম অজ্ঞাত কুলশীল এমপির সংখ্যা দেশে এখন একেবারে কম নেই। এই বাইচান্স এমপিগণ যে কাজটি করতে যাচ্ছেন, সেটি কিন্তু মোটেই গুরুত্বহীন নয়। আজ থেকে দশ-বিশ বছর পর এই গুরুত্বহীনদের কৃতকর্মই কিন্তু নিয়তি হিসেবে লটকে থাকবে আমাদের মাথার ওপর। আসলে দায়টা কি কেবলই নিরীহ এই এমপিদের ওপর চাপানো ঠিক হচ্ছে? সিদ্ধান্ত তো নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এখন এমপিগণের কেবল কোনো প্রশ্নবিহীন সম্মতির পালা।



আবার পরিবর্তন করা হচ্ছে আমাদের সংবিধান। এবার বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতাটা কার হাতে থাকবে, সেটা নতুন করে ঠিক করা হচ্ছে। ১৯৭২-এর সংবিধানে যেমনটি ছিল পুরো দায়িত্বটি জাতীয় সংসদের হাতে, সেটিই আবার ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এটা ঠিক হচ্ছে কি ঠিক হচ্ছে নাÑ সেটা অনেক বড় বিতর্ক। তবে এটা ঠিক, পরিবর্তনটা হচ্ছে পবিত্র সংবিধানে। তাই কাজটিকে একেবারে ছোটখাটো বলে উড়িয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যেকোনো বড় কাজ একটু চিন্তাভাবনা করে করা ভালো। যে প্রক্রিয়ায় কাজটি করা হচ্ছে, তাতে এই সিদ্ধান্তের পেছনে চিন্তাভাবনা বা গবেষণা কতটুকু হয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।



বলা হয়ে থাকে পবিত্র কোরআন ছাড়া আর কোনো কিছুই নাকি অপরিবর্তনীয় নয়। সংবিধান হলো রাষ্ট্রপরিচালনার পবিত্র গ্রন্থ। তবে এটা পরিবর্তন করা যায়, পরিবর্তন কীভাবে করতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত সংবিধানের মধ্যেই বলে দেওয়া আছে। পরিবর্তন করা যায় বলে কি এটা হুটহাট যখন তখন করতে হবে? এই পরিবর্তনটাকে কিছুটা কঠিন করতেই দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের সম্মতির কথা বলা হয়েছে। তত্ত্বগতভাবে কোনো সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। তাই স্বাভাবিক সময়ে চাইলেই সংবিধান সংশোধন করা যায় না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, তত্ত্বগত সেই কঠিন কাজটি এখন খুবই সহজ হয়ে গেছে। ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩ জনকে এখন কোনো ভোট ছাড়াই নির্বাচিত করে আনা যায়। কোনো নির্মাণকাজের টেন্ডার আহ্বান করা হলে সেখানে যদি একজন মাত্র ব্যক্তি দরপত্র জমা দেয় তাহলে সেটা গ্রহণ করা হয় না। তখন স্বচ্ছতার খাতিরে পুনরায় টেন্ডার আহ্বান করা হয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবশ্য এ ধরনের স্বচ্ছতার কোনো প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা যায়নি। তাই নিয়মটা সেখানে অন্যরকম। তো, ১৫৩ জন যদি বিনা নির্বাচনেই জেতে, তাহলে দুই-তৃতীয়াংশ পেতে আর তেমন কিছু তো বাকি থাকে না। সে কারণেই সংবিধান সংশোধন এখন আর তেমন কঠিন কোনো কাজ নয়।



কাজটা সহজ হয়ে গেছে বলেই কি যখন ইচ্ছা তখন সেটা করতে হবে? পরিমিতিবোধ বলে কি কিছু থাকবে না। এই মুহূর্তে দেশ ও জাতির সবচেয়ে বড় সমস্যা কি এই বিচারকদের অভিশংসন? আর কোনো কাজ নেই? স্বাধীনতার পর গত ৪৩ বছরে ১৫ বার সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। ১৬তম সংশোধনীর সবকিছু চূড়ান্তপ্রায়। রাষ্ট্রপরিচালনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থটির এত ঘন ঘন সংশোধনকে স্বাভাবিক বলা যায় না। এটা শাসকদের অস্থিরতার পরিচয় বহন করে। এই তো বিগত জাতীয় সংসদেও একবার সংশোধন করা হলো, বাতিল করা হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। আমি যতটুকু বুঝি, তখন এই সংশোধনের বিপক্ষেই ছিল দেশের বেশিরভাগ মানুষের মত। সরকারি দল অবশ্য তখন বিষয়টিকে একটু আড়াল করতে বার বার ’৭২-এর সংবিধানে ফেরৎ যাওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু সেটা যে আদৌ সত্য ছিল না, সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে সঙ্গেই টের পাওয়া গেছে। ’৭২-এর সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হয়েছিল, সেটা ফিরিয়ে আনা হয়নি। আরো অনেক কিছুই যে ফিরিয়ে আনা হবে না, সেটা তো বোঝা গিয়েছিল একেবারে শুরুতেই। ’৭২-এর সংবিধান প্রণয়নের সময় যে একমাত্র ব্যক্তিটি সেখানে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিলেন, তাকেই যখন দেওয়া হলো সংবিধান সংশোধনের জন্য গঠিত কমিটির প্রধান হিসেবে, তখন ধরেই নেওয়া যায় আর যাই হোক ’৭২-এর সংবিধান ফিরে আসছে না।



মাত্র দুই বছরের মাথায় এখন আবার বলা হচ্ছে বিচারপতি অভিশংসনের বিষয়ে ’৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাওয়ার কথা। যদি ’৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাওয়াটাই মূল লক্ষ্য থাকে, তাহলে সেটা তখনই করা হলো না কেন? কদিন পর পর একটা করে নতুন বিতর্কের জন্ম দেওয়ার দরকারই বা কেন?



আমাদের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের একটা স্লোগান খুব শোনা যায়। একদল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ বাস্তবায়ন করার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত, আর এক দল জিয়াউর রহমানের। যা তারা করে গেছেন, সেগুলো আদর্শ, আর যা করতে পারেননি সেগুলো স্বপ্ন। নিজেদের যেকোনো কাজ, যখনই কোনো প্রতিবাদের মুখে পড়ে কিংবা পড়তে পারে বলে তারা ধারণা করে, তখনই অজুহাত হিসেবে এই আদর্শ আর স্বপ্নের ধুয়া তোলা হয়। ’৭২-এর সংবিধানকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিফলন হিসেবেই বিচার করা হয়। এবারও অনেকে বললেন, এই যে বিচারকদের অভিশংসন জাতীয় সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া, এটা বঙ্গবন্ধুরই আদর্শ। আসলে কি তাই? যতদূর জানি, ’৭২-এর সংবিধানে এটা জাতীয় সংসদের হাতেই ছিল। এরপর ’৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর আমলেই যখন চতুর্থ সংশোধনী করা হয়েছিল, পাল্টে দেওয়া হয় এই ধারাটি। তাহলে পরিবর্তনটা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর হাত দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর হাত দিয়ে করা একটা পরিবর্তনকে পাল্টে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা এতটা উঠেপড়ে লেগেছেন কেন? তাড়াহুড়াই বা করছেন কেন? অথচ দেখুন এই দেশে বঙ্গবন্ধুর নাম নিয়ে অপকর্ম কিন্তু কম হয়নি। ছোট্ট একটা উদাহরণ দিই। বিগত আমলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের লগোটা পরিবর্তন করা হলো। আগের সেই উড়ন্ত বলাকার চেহারায় একটু পরিবর্তন এলো। নতুন লোগো খুবই প্রশংসিত হলো, আমার নিজের কাছেও এটিকে খুবই আধুনিক আর স্মার্ট মনে হলো। কিন্তু হলে কি হবে, দিনকয়েক পরেই আবার দেখলাম ফিরে এসেছে আগের লোগোটি। কারণটা কি? জানা গেল কে নাকি বলেছে আগের লোগোটা বঙ্গবন্ধুর খুবই পছন্দের ছিল। বিষয়টি বঙ্গবন্ধু কন্যার কানেও গেছে। অগত্যা, ফের প্রত্যাবর্তন পুরনো লোগোতে! বঙ্গবন্ধুর প্রতি এই যে নিঃশর্ত আনুগত্য, কোথায় গেল এবার ১৬শ’ সংশোধনীর প্রশ্নে।



জাতীয় সংসদের হাতে বিচারক অভিশংসনের ক্ষমতা থাকা না থাকা নিয়ে এখন বেশ কিছু বিতর্ক দেখা যাচ্ছে। এর পক্ষে, অর্থাৎ সরকারের পক্ষে যারা, তারা ইউরোপ আমেরিকার অনেক উদাহরণ দিয়েছেন। সেসব দেশে থাকলে আমাদের এখানে সমস্যাটা কোথায়? উদাহরণটি ভালো। আসলেই আমরা তো ইউরোপ আমেরিকার মতো হতেই চাচ্ছি। তাহলে তাদের পদ্ধতি অনুসরণে সমস্যা কি? কিন্তু যে প্রশ্নটি এখানে জরুরি তাহলো আমাদের পার্লামেন্ট কি ইউরোপ আমেরিকার মতো শক্তিশালী? ওই সব দেশে প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর অনেক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নিজ দলের সদস্যরাও অনেক সময় ভোট দিয়ে থাকে। আমাদের পার্লামেন্ট কি সেটা কল্পনাও করা যায়। বরং এখানে বিরোধিতার জন্য শাস্তির ব্যবস্থাই রাখা হয়েছে।



বিচারক অভিশংসনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে থাকলে, আমি নিজে তত্ত্বগত কোনো সমস্যা দেখি না। বরং এটি ভালোই অনেকটা। কারণ সংসদের কাছে থাকা মানে, জনগণের হাতে থাকা। কিন্তু বাস্তবে জনগণ আর সংসদ কি অভিন্ন? সংসদে কার মতামতের প্রতিফলন দেখা যায়? জনগণের নাকি প্রধানমন্ত্রীর? প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন, কিন্তু সংসদ তা বাতিল করে দিয়েছে, এমন উদাহরণ কি কেউ দিতে পারবেন এই দেশে? বিপরীত দিকে, সংসদে জনগণের মতামত উপেক্ষিত হওয়ার নজির তো ভুরি ভুরি। এই যে সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা পাওয়া, এই আইনটি কি জনদাবির প্রেক্ষিতে হয়েছে? আবার সর্বশেষ যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করা হলো, সেটাও কি জনদাবিরই প্রতিফলন? এই যদি হয় আমাদের পার্লামেন্টের বৈশিষ্ট্য, সেক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বের উদাহরণ দেওয়াটা কি খুব একটা লাগসই হয়?



এমনিতে আমাদের বিচারক নিয়োগ নিয়ে নানা ধরনের বিতর্ক দেখা যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে সুপ্রিমকোর্ট বার বিচারকদের বরণ অনুষ্ঠান পর্যন্ত বর্জন করে থাকেন। অনেক বিচারকের নামের সঙ্গে দলীয় পরিচিতির তকমাও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ফলে সংবিধানের এই সংশোধনের পর প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া বিচারকদের মধ্যে আবার আতঙ্ক জন্ম নেবে না তো? বিচারকদের মধ্যে যদি সার্বক্ষণিক অস্বস্তি বিরাজ করে, তাহলে বিচার কার্য পরিচালনা কতটুকু দ্বিধাহীন হবে তা নিয়েও প্রশ্ন থাকতে পারে। - See more at: Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৪

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: খুব সত্যি কথা বলেছেন। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে সংবিধানের যে পরিবর্তন করেছিলেন, ১৯৭৮ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়া সেই নিরংকুশ ক্ষমতাকে মূলতঃ বিচারপতিদের হাতেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এখন আম্লিগের কিছু নেতা, এবং তাদের প্রধান নেত্রীও, মিথ্যা বলছেন। উনাদের বক্তব্য শুনলে মনে হয়, প্রেসিডেন্ট জিয়া ১৯৭৮ সালে বিচারকদের অপসারণের ধারাটি পরিবর্তন করেন। অথচ এটি মোটেও সত্য নয়। এইটি মূল লেখাতেও আছে।

দেখা যাচ্ছে, ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের হাতেই তাদের নিজেদের ইতিহাসই বিকৃত হচ্ছে। তা হলে দেশের ইতিহাস বিকৃত হতে আর কত সময় লাগবে?

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৮

মাসুদ কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে সবাই নিজের নিজের সুবিধার জন্য কাজ করে। সুবিধার জন্য ইতিহাসকে অস্বীকার করে, মনগড়া ইতিহাস তৈরি করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.