![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সহকর্মী বললেন- একটা বিষয় খেয়াল করেছেন, বনানীর দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে হিন্দি মুভি পিঙ্ক এর কিন্তু দারুণ মিল রয়েছে।
আসলেই কি তাই? কিছু মিল হয়তো আছে। ধর্ষকরা উভয় ক্ষেত্রেই ধনীর বখে যাওয়া সন্তান। এখানেও হয়তো রাজনৈতিক চাপ থাকবে। ধর্ষিতাদের মুখোমুখি হতে হবে সামাজিক হেনেস্তার।
দুর্ভোগ আর নেতিবাচক দিকটুকু না হয় মিললো, কিন্তু বাকিটুকু কি আর মিলবে? এখানে দীপক সেহগাল (অমিতাভ অভিনীত চরিত্র) এর মত কেউ কি আছে? আমাদের পুলিশকে কি ওই রকম জবাবদিহিতার মধ্যে আনা যায়?
অগত্যা, যা হবার তাই হবে। নতুন কিছু আশা না করাই ভালো।
১০ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪০
মাসুদ কামাল বলেছেন: শাস্তি পেলে তো ভালোই। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় অর্থের প্রভাব রাজনীতিকেও ছাড়িয়ে যায়। সেরকম কিছু হলেই সমস্যা। আপনার মতো আমারও আশাবাদী হতে ইচ্ছা করছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ১৫ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬
মানবী বলেছেন: দুয়ের মাঝে মিলটা দেখে কিছুক্ষণের জন্য মনে হয়েছিলো ধর্ষকেরা সিনেমা দেখে উৎসাহী হয়ে কপিক্যাট হয়েছে কিনা!
বনানীর ভিকটিম দুজনের দীপক সেহগালের প্রয়োজন নেই, সৌভাগ্যক্রমে আমাদের মিডিয়া অনেক সরব ওদের পক্ষে। আমাদের মিডিয়া ম্যানরা ওদের পক্ষের দীপক সেহগাল।
একজন প্রকৃত দীপক সেহগালের প্রয়োজন হালিমাদের। কাকতালীয় ভাবে ওদের দুজনের নামই হালিমা, দেব শিশু আয়শার পাগলীনি প্রায় মা আর প্রচন্ড অভিমানে সব ছেড়ে যাওয়া সেই কন্সটেবল মেয়েটির নামও।
আয়শার মৃত্যুর জন্য দায়ি প্রধান আসামী ফারুক হোসেন আর তার ভাই শহিদ এখনও পলাতক। ভুল করে আরেক শহিদকে গ্রেফ্তার করেছিলো, হালিমা তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। তিনি শোক করবেন, স্বামী সন্তানের হত্যাকারীর বিচার চাইবেন না সিস্টেমের ভুল সংশোধনে ছুটাছুটি করে বেড়াবেন!
ইউনিয়ন পরিষদের যে মেম্বার যার নির্লিপ্ততা আর ভর্ৎসনায় প্রচন্ড অপমান আর অভিমানে হজরত আলী তার নিষ্পাপ শিশু কন্যাকে নিয়ে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন, তাকে ২রা মে গ্রেফ্তার করে ২ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়- আর কোন খবর কোথাও এসেছে কিনা জানিনা।
সবচেয়ে অসহায় ময়মনসিংহের কন্সটেবল হালিমা খাতুন। আমি নেটে তন্ন তন্ন করে খুঁজে কোন আপডেট জানতে পারিনি, জানিনা সেই ঘৃণ্য ধর্ষক এস আই মিজানুল গ্রেফ্তার হয়েছে কিনা। কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে কিনা ওসি দেলওয়ার আ্হমেদের বিরুদ্ধে যে হালিমার লিখিত কম্প্লেইন পাবার পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে অস্বীকার করে।
পুলিশের ভয়ে মিডিয়া চুপ, রাজনীতিবিদ চুপ, প্রশাসনও তাদের ঘাটাতে চায়না। সবচেয়ে বড় আয়রনি, শুধু নারী হবার অপরাধে আজ ভিক্টিম হালিমা নয় বরং সেই জঘণ্য অপরাধী মিজানুল আর দেলওয়ারদের নিজেদের লোক মনে করে তাদের রক্ষা করতে চাইছে আমাদের পুলিশ বাহীনি।
সেই হালিমাদের জন্য প্রয়োজন দীপক সেহগাল, যিনি শুধু সিনেমায় আসেন সুপার ম্যান, ব্যাট ম্যানের মতো বাস্তবে আসে শুধু আয়শা আর হালিমা খাতুনের ধর্ষকেরা।
ভালো থাকুন মাসুদ কামাল।
১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১:১৭
মাসুদ কামাল বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য "মানবী" আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন, হালিমাদের জন্যই আসলে সাহায্য দরকার। তারা বড়ই অসহায়। দেশের আনাচে কানাচে এমন নির্মম ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এর কয়টাই বা আর মিডিয়ার গোচরে আসে? আর এলেও প্রথাগত মিডিয়াগুলো কতটুকুই বা করতে পারে? তবু ভরসা- ঘটনার প্রকাশ, প্রতিবাদ এবং চাপ প্রয়োগের জন্য এখন ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে। সেই বিচারে বনানীর ধর্ষিতারা বোধকরি কিছুটা ভাগ্যবতী ই (?!)। আসলেই তারা মিডিয়ার বেশ সাপোর্ট পাচ্ছে। কিন্তু এই সমর্থনই কি সবকিছু? বিচার কি কিছু হবে? আমি কিন্তু তেমন একটা আশাবাদী নই। এ নিয়ে ঢাকার একটি সাপ্তাহিকে আমার একটা লেখা প্রকাশিত হয়েছে, অনেকটা আমার এই ছোট লেখাটিরই কিছুটা বর্ধিত অবয়বে। সেটিও পরের পোস্টে দিয়ে দিচ্ছি। সময় থাকলে পড়ে দেখতে পারেন।
১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১:১৯
মাসুদ কামাল বলেছেন: আর ভালো কথা, একটা তথ্য দেয়া দরকার- ওই পুলিশের এসআই মিজানুল গ্রেফতার হয়েছে।
৩| ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৫৩
মানবী বলেছেন: " কিন্তু এই সমর্থনই কি সবকিছু? বিচার কি কিছু হবে?"
- পুরোপুরি সহমত। এ সম্পর্কে আমার নিম্নমানের আনাড়ি লেখার একটি ব্লগ আছে, প্রথম পাতায় একটি পোস্ট থাকায় তা প্রকাশ করতে পারছিনা।
এস আই মিজানুলের গ্রেফ্তারের সংবাদটি দেবার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। তার গ্রেফ্তারের পর পর হালিমা বেগমের বাবা সংবাদ সন্মেলন করেছিলেন, সেসময় দু চারটি পত্রিকা আপডেট দিয়েছে- তারপর পিনপতন নিঃস্তব্ধতা।
ঢাকার পত্রিকায় প্রকাশিত আপনার সমৃদ্ধ লেখাটি পড়ার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।
ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:০১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভাগ্য ভালো রাজনৈতিক দলের লিংক নাই। সরকারও নাম কুড়ানোর সুযোগ পাবে! এবার শাস্তি পেতেই হবে...