নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কিছু বলছিনা। তার মানে এইনা আমার কিছু বলার নেই।

কিবয়াল

ওকে ওকে ঠিকাছে বুঝছিতো--------------------

কিবয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু লেখা পেয়েছি-- আরো কিছু ছোট গল্প পেলে বই একটা হয়ে যাবে

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৭

গত কাল একটা পোস্ট দিয়েছিলাম (একুশে বইমেলায় প্রকাশের জন্য বই চাই) কয়েকজনের কাছ থেকে কিছু লেখা পেয়েছি। এর মধ্যে এম . এম ওবায়দুর রহমান কয়েকটা গল্প পছন্দ হয়েছে। আরো কিছু ছোট গল্প পেলে বই একটা হয়ে যাবে আশা করছি।



কারো কোন ভাল লেখা থাকলে নির্দ্বিধায় পাঠিয়ে দিন।



এম . এম ওবায়দুর রহমান সাহেবের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি আপনার লেখা বেশ ভাল। আপনার পাঠানো উপন্যাসটা পড়ছি। ছোট গল্প এখনও সব পড়া হয়নি। সিদ্ধান্ত জানাতে একটু সময় লাগবে। আশা করছি জানুয়ারীর প্রথম সাপ্তাহের মধ্যে জানাতে পারবো। বইমেলা উপলক্ষ্যে প্রায় ২০+ বই এখন প্রকাশের প্রক্রিয়ায় রয়েছে এজন্য ব্যস্ততা একটু বেশী।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন:

দেখেন ভাই গল্প কয়টি পছন্দ হয় কিনা
সর্ব স্বতঃ লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত ।
মোবাইল ০১৯৩৮৭৮৮৯৩৩



গ্রাম বাংলার গল্প বিচিত্রা


h
রচনায় মোঃ জিল্লুর রহমান মাসুদ মি য়া
গল্প এক* বাঁধভাঙ্গা
গাঁয়ের একটি কুঁড়েঘর , বৃদ্ধ করিম ছেলের পানে তাকায় ক বাপ ধান পাকল কিনা ,ক্ষেতের কি সমছার । এ বছর খুব ভালা ফলন, ক্ষেতের বায় চাইলে ঘরে আইবার
মন লয়না বাজান । এবার স্বস্তি বোধ করে করিম সব আল্লার ইচ্ছা বুঝলে গেলবছর
তো এক মুট ধান ঘরে আনবার পারিনাই , কি কষ্টে যে দিন গেল – কথা থামিয়ে
দেয় ছমিরন এমন দিনে হা হুতাশ বাদ দিয়া কামে যাও ,গেল বছরের দাদ অহনি তুলতে অইব, এইবার মাতবরের ট্যাঁয় বন্ধক জমি ছুডামু আর রাবেয়ার একটা বিহিত করমু ।ছোট ছেলে অনু আবদার করে বাজান আমাগো গাইডা আনবানা , আনমু। এবার হাত তালি দেয় অনু কি মজা কি মজা ,আচ্ছা বাজান
আমারে একটা লাল জামা কিইনা দিবানা । দিমু লগে বই দিমু স্কুলে ভর্তি কইরা
দিমু ঐ সবদর মাস্টরের পোলার মত বুঝলে । হাছা কইছ বাজান আমি ইশকুলে
যামু হুররে । পানের ডিব্বা লয়ে ছমিরন, ক্ষেতে গেলে কিষাণির বাও এই লও পান।
আকাশে ঘন কাল মেঘ বাতাসের জুড় ক্রমশ বাড়ে ,বিষণ্ণ মনে বাড়ী ফিরে করিম
কি গো গেদুর বাপ সয়াল সয়াল যে, হু বিবি খবর ভালা না হুনলাম জোয়ার আইছে
হাওরে পানি হু হু কইরা বারতাছে , দেত গামছাটা মতবর বাড়িত যাই দেহি কোন
বিহিত অয় কিনা । করিম হনহন ছুটে নছিমন মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে উঠানে ।
অনু ধির ধিরে মায়ের কাছে ভিড়ে মা ক্ষিদা লাগছে খাওন দেও ।দূর হু অভাগা
মায়ের বকুনি খেয়ে রান্না ঘরে ছুটে সে । এই বুবু মার মন খারাপ কেন বাজানে
কি হেরে বকা দিল ।না তবে পানি তে তলাইয়া গেছে ধান বুঝলে এখন খাবি আয়
চোখ বড় বড় করে ভাত গিলতে থাকে অনু হঠাৎ প্রস্ন করে আপু এত পানি কই
থাইকা আইয়ে ,ঐ যে পাহাড় আছেনা ওইটার ওপাশে বিরাট একটা দেশ ।
হু অইহানে বুঝি খালি পানি আর পানি ।এবার রাবেয়া ধমকায় চুপ এত পণ্ডিতি
ভালা না।
খাইয়া বাজানের খুজ ল দেখ কই আছে । রাবেয়ার বুক থেকে একটা
রঙ্গিন সপ্ন মিলিয়ে যায় ।গত বছর তার বিয়ে ভেঙ্গে গেছিল পাত্রপক্ষকে যৌতুক
দিতে না পারায় ।
মাতবর জহিরুল্লা জনা কয়েক লোক নিয়ে শলা পরামর্শে রত। ঝরের বেগে করিম উপস্থিত মাতবর সাব বাধের গোঁড়ায় পানি ভাঙ্গলে সব শেষ অইয়া যাইব । একটা
হতাশা ছুখে মুখে তার । বহ মিয়া মাথা ঘরম কইরনা আল্লারে ডাহ দেহি হুগলে
মিইলা কিছু করবার পারি কিনা । মাতবর কাঁচা পাকা দাড়ি তে হাত বুলায় দ্রস্তে ছুটে আসে রবি চাষি সর্বনাশ আমাগো ঠগার বাধ ভাইংগা গেছে । খবর টা শুনেকরিমের মাথায় যেন বাজ পড়ল । পরক্ষনেই সংজ্ঞা হীন দেহটা কে ঘিরে একটা জটলা ।গ্রাম্য ডাক্তার নাড়ী পরিক্ষা করে হাসপাতালে পাটানোর পরামর্শ দেয়।তখন ছমিরনের মুখে বাধভাঙ্গা জোয়ারের মত বিলাপ সর্বনাশা পানি হায়রে আমাগো সব ভাসাইয়া লইয়া গেল ।
মাসুদ রানা , রচনা ৩/৩/২০১২ইং ।
গ্রাম বাংলার গল্প বিচিত্রা
গল্প ২* ভুতের ভয় ।
আষাঢ় মাস , বর্ষায় পানি চারিদিকে থৈ থৈ । সবে সন্ধ্যা আকাশে তারকার মিটিমিটি হাসি ।সৈয়দ পুর গ্রামের একটি উঠানে মজুম আলী তার ছেলেকে
তাগদা দেয় ।বাপ লাইট টা জ্বালা আইজ আউল্লারা দিতে অইব ।বাজান লাইটের
তেল নাই , দূর বোকা সেলবরসের বাজার থাইকা আইজকা আনলাম দেখ তোর
মায়ের টাই । হু আন তাছি
অনেক চেষ্টায় পাম্প লাইট ধরায় বাপ পুত ।কয়েকটা ছেলে মেয়ে আলো ছায়ায়
দুষ্টুমি করে ওদেরকে ঘিরে ।ছোট গনি বাবার গাঁ ছুয় বাজান আমিও যাব ।না বাপ
আরেক দিন , মোহন ভয় দেখায় আমরা যেইহানে যামু হেইহানে থাহে ইয়া বড়
রাক্ষস ।কথা শুনে গনির আবদার মাটি হয়ে যায় ।
বৈঠা লয়ে হাল ধরে পড়শি মবুল । গ্রাম থেকে ধিরে ধিরে নাও এগিয়ে যায় পশ্চিমে
পাশেই খালিজানা নদী ,তীরে কাশবন আর সারি সারি পাট ক্ষেত । ক্ষনে ক্ষনে নিশাচর পাখিরা ডেকে উটে । মকবুল হটাৎ চি ৎ কার করে ভাইজান সামনের জলা ডা য় পানি দাব্রাইতাছে মনে অয় বড় মাছ ।টিক আছে নায়ের বাতা এই দিকে ফিরা
নিঝুম রাত , কুঁচ টা সর্বশক্তিতে পানির মধ্য ছুড়ে শিকারি ,একটা বিশাল রুই মাছ উটে আসে নির্জলা পানি ছিটিয়ে । মোহন খুশিতে লাফায় । ছোট বড় বেশ কয়েক টা মাছ ধরা পড়ে নায়ের কূলে শব্দ হয় চড়চড় । এক সময় ওরা জলা বিল নদী পেরিয়ে বহুদুরে চলে আসে । আকাশের দিকে মুখ তুলে বাজখাই গলায় মকবুল
ডাকে ভাইজান সারা আসমান জুড়ে কালা সাজ ঝড় আইব ।হা তাই ত ফিরতি পথ ধরতে অইব নাও ঘোড়া । মকবুল প্রান পনে বৈটা চালায় অদুরে জলারভিতর থেকে
পেঁচার কর্কশ শব্দ ভেসে আসে ।হটাৎ ঘন আধারে ছেয়ে যায় পৃথিবী শুরু হয় ঝড়।
ডেউয়ের ধাক্কায় বারবার দুলে নাও ,ঝমঝম নামে বৃষ্টি ।খেকিয়ে উটে মোহন বাজান এখন উপায় ।প্রচণ্ড বাতাসে দপ করে নিভে যায় বাতি । এক জায়গায় নাও
ভিড়িয়ে অরা ছাতা মাতায় বসে থাকে টায় । বহুক্ষন তাণ্ডব চলে একসময় ধিরেধিরে সব টাণ্ডা হয়ে আসে । জীবনে এত আধার দেখেনি ওরা ।চেষ্টা করে মজুম
আলী বাতিটা জালাতে কিন্তু কিছুতেই জলছেনা এদিকে ম্যাচের কাঁটিও শেষ ।
আবার ও ঝোপের ভিতর থেকে বিশ্রী ঘর্ঘর শব্দ কানে আসে ,ভয়ে অজানা আশংকায় শিহরিত হয় তিন জনেই । মজুম আলী তাঁরা দেয় মকবুল আল্লার নাম লইয়া এবার রয়ানা দেই কেমুন ,কি কন ভাইজান আন্ধাইরের মধ্য ত কিছুই দেহা যায়না । বাজান এই দেহ একটা লাইট , হু
।আলোটা ধিরেধিরে অদের দিকে এগিয়ে আসে। মকবুল চেচায় ভাইজান ভয় নাই বাত্তির ফসরে টিক মত এবার পথ দেহুম । বৈটা সামনে চলে। জলে শব্দ উটে ঝপাৎ ঝপাৎ সকলে নিরব চলার যেন শেষ নাই । নাও থেকে একটা মাছ হটাৎ লাফিয়ে পড়ে পানিতে শব্দ হয় ঝুপ , বাজান বাজান বড় মাছটা ত ছইলা গেল

দূর ছাই রাখ তর মাছ দেহছ না কেমন বিপদ আল্লাহুর নাম ল । মকবুল নড়েচড়ে বসে কি অলক্ষন কার মুখ দেইখা যে আইলাম বুঝবার পারিনা । এবার সামনের
লাইট টা দপ করে নিভে যায় । এবার আবছা আধারে একটা নিকষ কাল মুখ পানির উপরে দাঁড়িয়ে ভেংচি কাটে । মকবুলের হাত থেকে বৈটা পড়ে যায়
মোহন চিৎকার দিয়ে উটে বাজান ভুত/ বুকটা শুকিয়ে কাক হয়ে যায় মজুম আলীর
ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে নরম শিশিরের ছোঁয়ায় ওদের জ্ঞান ফিরে ।
[ সেস্থান থেকে ওদের বাড়ী ফিরে ভয় কাটাতে সময় লেগেছিল বহু দিন ]
নাসুদ রানা , রচনা ২/১০/২০১২ইং ।












গ্রাম বাংলার গল্প বিচিত্রা
তিন * দখলদার
মনু রাখাল ,তার পরনে তেল ছিট ছিটে জামা ।হাতে কাস্তে ও কাঁচা ,সোনা ঝরা রোদ টিকরে পড়ে সকালের শিশির ভেজা ঘাসে । তার প্রিয় লাল গাইটি কচি নরম
ঘাসে মুখ ডুবিয়ে চিবোয় আর বাছুর টি পাশেই তিরিং বিরিং লাফায় ।এই নতুন অথিতি বিচিত্র পৃথিবীর মোহে অন্ধ ।নীল আকাশে ঝাকে ঝাকে পাখির ডানায় রুদ্র
ছায়ার খেলা , গুনগুন সুরে গান গেয়ে ঘাস কাটে সে ।
নিরবতা ভেদ করে একটা কণ্ঠ, চমকে উটে মনু। কে আমার ক্ষেতে ঘাস কাটিস এত বড় সাহস , জি চাচা ঘাস ত হগলেই কাটে, চুপ এই জমি এহন আমার । এইহানে আর কেউ ঘাস কাট তে পারবনা বুঝলে । যা এক্ষনি জায়গা ছাইরা চইলা যা । হতাৎ হাতটা ছেপে ধরে গজ গজ করতে করতে বাড়ীর দিকে ছুটে মনু। উঠানে খেলা করছিল ছোট বোন শিলা ।ওকে দেখে দৌড়ে আসে ভাইয়া তোমার হাতে লাল রঙ আমারে একটু দাও ।উঃ মনেই ছিলনা ওটা রঙ নয় রক্ত কেটে গেছে বুঝলে । ইস মা মা দেখ না ভাইয়ার হাত কেটে ফেলেছে , গনুর মা হালিশা রান্না ঘর থেকে ছুটে আসে কই দেহি,তরে বেবাক সময় কই সাবধান থাকতে তুই হুনস না তুই কি অহন ছুডু । শিলা লতা পাতা খুজে আনে ছেঁচে হাতে লাগায় ,মা ন্যাকড়া দিয়ে বেধে দেয় ।
নদীর নাম কংস। তীরে দাঁড়িয়ে গনু ,দুপুরের রোদ টিকরে পড়ে গাঁয়ে ।কত স্মৃতি মনে
জাগে ।ইয়ার বন্ধুদের লয়ে মাছ ধরা সাতার কাঁটা গাছের ডালে বসে আপন মনে বাঁশি বাজানো ,দুলির সাথে মাটির পুতুল খেলা আরও কত কি , এখন মরা নদী

মনু খেয়াল রাখে কখন পাহারাদার আসে, হুররে হুররে চেচামেচিতে কানে তালা ,
অনেকেইমাছ ধরে , কাদা সরিয়েউবু হয়ে পানি ঠানে ফলে গর্তে প্রচুর টেংরা পুঁটি ও ছোট মাছ জমা হয় । হাতের মুট ভরে ভরে যারযার ছোকরায় তুলে । হইরল হইরল সাবধান কণ্ঠ শুনে সবে ত্বরা করে নদী থেকে উটে পড়ে । মনুর ভাগ্য মন্দ হইরল চান্দু এসেই ওর ছোকরা জালি আটক করে , এই নবাবের পুত গাং কি তোর বাপ দাদার ,হু আমার বাপ দাদারই দে আমার ঢেক জালি দে ,না দিমুনা ,।
মনুর রাগ চরমে উটে একটা ডিল ছুড়ে ও পাহারাদারের কপালে , ডিল টা খেয়ে অজ্ঞান হয়ে ডলে যায় সে , আর মনু ভয়ে কাপতে কাপতে বাড়ীর দিকে ছুটে ।
মা রাহেলা গনুর দিকে তাকিয়ে চমকে উটে তর এই হালত কেন মাছ কিছু পাইছস ,
না তয় এক কাম করছি বিলের হইরল আমার জালি খাইরা নিবার চাইছিল
হেরে এক ঘায় মাটিত হুয়াইয়া ধিছি । সর্বনাশ অহন আমরার কি অইবরে বাজান
উটানে গলা ভেজে রহমত ভাবিছাব ,কি আর অইব ভাতিজা যে কাজ কইরা আইল
নির্ঘাত জেল , হায় আল্লাহু এহন উপায় । পুলিশের তারা আর জেলের ভাত খাইতে না চাইলে গনুরে এক্ষনি বাড়ি থাইকা বাইর কইরা দিতে অইব । হু যা ভালা অয় তাই কর আমি আর কিচ্ছু বুঝিনা ।
গনুর মা চিন্তা কইরনা আমার পরিচিত লোক আছে চাঁদ পুরে ঐখানেই গিয়া থাকুক
ভেজাল শেষ অইলে পরে নিয়া আইমুনে কেমন , কিন্তু যাওয়ার খরছ সাথে ত একটা পয়সাও নাই , তা আমি দেখছি । মুখ ভার করে গনু বোবা কান্নায় ভেংগে পড়ে মা রাহেলাও বোন শিলা ।
বাড়ী থেকে বের হয় গনু একটা ঝাপসা স্মৃতি ভেসে উটে তার মনে ,এই সেইচাচাজি ঘাস কাঁটার সময় যে ধমক দিছিল ,লাল গাই ও তার বকনা বাছুর
তাকে দেখে হাম্বা হাম্বা ডাকে। দূরে গাছের ছায়ায় দেখে দুলির সেই মিষ্টি
ভরা দুষ্টুমি ছবি । গাড়ির হুইসেলে তন্দ্রা কাটে ওর ।
মাসুদ রানা রচনা ২/৭/ ২০১২ ইং সোমবার ঢাকা মির পুর সময় রাত ১১ঘ ,


গ্রাম বাংলার গল্প বিচিত্রা
চার , ভানবাসি
মা মা ভাত দে ভাত দে চিৎকার করে কাঁদে ছোট শিশু , বাড়ির উটানে থই থই বন্যার পানি । ভাংগা বেড়ার ফাঁক গলে বাতাসের ঝাপটায় শিষ আসে ঘরে , ছালার ছট দিয়ে ঘর মেরামতে ব্যাস্ত লক্ষ্মী ,মেয়ের কান্নায় বিরক্তি লাগে পাশ ফিরে টাস করে অর গালে বসায় ধুম চর ।বান্দরনি এত খাই খাই করস কেন মরবার পারস্ না আর কত জালাবি ক । আরও জুরে সুরে মাটিতে পড়ে কাদে অবুজ শিশু , অনেকক্ষণ কাজ করে মা আর মেয়ে কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে পড়ে মেযে । কলার বেলায় চড়ে বসু ডাকে মা এহনি লও পশ্চিম পাড়ায় , কেন রে আবু কি ব্যাপার ,
চেয়ারম্যান সাব চিরা মুড়ি ডাইল হজ্ঞলরে দিতাছে শেষে গেলে টগবা ।হাছা কইছস বাজান ,মাইয়া আমার প্যাডের জালায় গুমাইয়া গেল তয় খাড়া আমি এহনি
আহি ।
ঘুমন্ত মেয়েকে কুলে লয়ে মা ছেলে ছুটে মিয়া বাড়ীতে । অনেক মানুষের হৈ হল্লা
মেম্বার রতন চৌকিদার কে নির্দেশ দেয়, সব যেন সারিতে দ্বারায় নইলে রিলিফ
বন্ধ করে দেওয়া হবে । দুতিন জন চৌকিদার বাঁশি বাজায় অনবরত, মাঝে
মাঝে লাটি দিয়ে আঘাত করে ,কার ও গায়ে কিন্তু কে শুনে কার কথা । যারা রিলিফ বিলানোতে ব্যস্ত তারা বিরক্তি বোধ করে , কেউ যৎসামান্য পায় আবার কেউ গালি দেয় ,চেচা মেচি শুনে কুলের শিশুটি জাগে ,মাগো প্যাডে বড় খিদা এই দেহ কুত্তায় ক্যামনে খায় আমারে দিবা , কুকুর ও কাকের খাওয়া দেখে মা ধমকে উটে, এই বসু
বেহলের মত খারাইয়া রইছস কেন , বেবাক মাইন সে পাইল আর মগ ভাগ্য অহন
এক্টা দানাও মিল্লনা । বসু হটাৎ খেয়াল করে, জটলার মধ্য থেকে দুতিন জন লোক কি নিয়ে তারা তারি সরে পড়ে । দাতে দাত কাটে সে , তখন ওর মুখে একটা শব্দ ফুটে চুর চু ।
মাসুদ রানা , রচনা ৬/১/২০১২ইং ।




গ্রাম বাংলার গল্প বিচিত্রা
পাচ । সলিল সমাধি
১৪ টি পরম আত্মীয় এক সারিতে ধরম পাশা হাসপাতালের জমিনে , হাজারও মানুষের মৌন চলাফেরা । সবে নির্বাক । ওরা বাদশা গঞ্জ পাবলিক হাই স্কুলের শিক্ষার্থী ।
প্রতিদিনের মত ওরা একত্রিত হয় ঘাটে , হাওরের মুক্ত বায়ু প্রান জুড়ায় ।
জনি সম্পা তারিনা হালিমা চৈতি বাবুল রাকেশ আর ও অনেকেই । ট্রলার ঘাটে
ভিড়লে হুড়মুড় করে উটে পড়বে যাবে স্কুলে । স্কুলের সময় হয়ে গেল এখন ও ট্রলার আসছেনা কেন বাবুল , হু আসবে আসবে ঈষৎ গাঁড় নাড়ে জনি অই দেখ
মজার কাণ্ড , আকাশের দিকে তাকায় সবে এক ঝাক পাখি এক খণ্ড মেঘ ছুয়ে ছুয়ে
ওড়ে ।চৈতি টিস্পনি কাটে ,কই আমি ত কিছুই দেখছিনা । সম্পা জবাব দেয় তর
চোখে ব্যরাম দেখবি কেমনে । কথা শুনে আর সব খিল খিল হাসে ।
একসময় ট্রলার ঘাটে ভিড়ে । তিল পরিমান জায়গা নেই পা ফেলার । গাদা গাদি করে ওড়া উটে , গ্রামের নাম বালি জুড়ি , সারা আকাশ জুড়ে ভাসমান মেঘ মালা । পশ্চিমে একটা লাল বিজলী শিখা ধিরে ধিরে মিশে যায় হিমালয় পাহাড়ের পাদদেশে । বাতাসের ঝাপটায় ডেউয়ের ক্ষনা আঁচড়ে পড়ে নায়ে , ওদের নিস্পাপ
শরীরে ।পাশেই জেলেদের ছোট ছোট নৌকা , জলায় কত গুলো হাস সাতার কাটে । এইসব দৃশ্য দেখে দেখে ও রা এ গিয়ে যায় ।
নিরবতা বাঙ্গে মাহি আইজ স্কুলে যাইতে আমার মন চাইছিলনা , তারিনা হু আমারও। বাবুল আমি স্বপনে দেখলাম এক টা বিরাট জংগলে ছুটছি কিন্তু কোন
পথ খুজে পাচ্ছি লাম না , সেই থেকে আমার মনটা ভালনা । ধমক দেয় জনি দূর বোকা স্বপন আবার সত্য হয় নাকি ।
হটাৎ ইঞ্জিনের বিকট শব্দে কানে তালা লাগে ।কেঁপে উটে বুক , চারিদিকে শুধু পানি আর পানি । নৌকা ডুবে যায় ।
সলিল সমাধি হয় ওরা ।স্কুলের গন্তব্য ছাড়িয়ে , ওরা চলে যায় দূর সিমানায়
সেখান থেকে আর কোন দিন আমাদের স্বপ্নলোকে ফিরবেনা ।
[সত্য ঘটনা অবলম্বনে নাম ও কথা রূপক ]
মাসুদ রানা , রচনা ৬/৭/২০১২ ইং শুক্রবার









গ্রাম বাংলার গল্প বিচিত্রা
ছয় । বিষণ্ণ বিকেল ১
গ্রামের নাম কদম দেউলি বারহাট্যাঁ সদর ইউনিয়ন থেকে ২ কি মি পশ্চিমে । অনেকদিন পর বেড়াতে আসা , ভাগ্নে নিপন চিৎকার জুড়ে দিল , আম্মু আম্মু দেখ এসে মামা আইছে । আমাকে দেখে খুশিতে কেঁদে ফেলল বড় আপা এতদিন পর আমাদের কথা স্বরন হল বুঝি । বাড়ীর সব কে কেমন ইত্যাদি ।আরও অনেকেই ঘিরে ধরল ধিরে ধিরে জবাব দিলাম ।দুলাভাই কোথেকে এসে কান টেনে ধরল
শালা এতদিন পর ,ইস কান চিলে নিল ,ভঙ্গি দেখে সবে হেসে উটল ।
বন্ধু নয়নের সাথে গ্রামের ভিতরে বেড়াতে যাই, রেল ক্রসিং, পায়ে চলা পথ , পথের
উভয় পাশে সারি সারি গাছ ।পাখির কিচির মিচির শব্দ , জমিতে শাখ সবজী ও সবুজ ফসলের কেশর হাওয়ায় দুলে ।হটাৎ নয়ন ইশারা করে, দেখ দুষ্ট খুদে বেবি
অর সাথে কথা ক , কাছে ডাকতেই সামনে আসে পরনে লাল জামা । আমি কুলে তুলে নিলাম ।খুকি তোমার নাম কি, জুনিয়া বেশ সুন্দর নাম । তা তোমার বাড়ি কোথায় ,এই যে এখানে আব্বু আম্মু আপু আর আমি থাকি । ঝটপট জবাব হটাৎ আমাকে আঙ্গুল উচিয়ে দেখাল ঐ যে আপু ডাকে ।একটা মেয়েলি কণ্ঠ নয়ন ভাই মেহ মান কে নিয়ে বেড়াইয়া জান। হু আসি
মেঝে মাদুর বিছিয়ে দেয় মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে , আমার নাম সুজাতা
আপনাকে আমি ভাল করে চিনি শান্তা ভাবির ভাই তাইনা । বহুদিন পর এলেন ত
তাই স্বরন নাও থাকতে পারে ।
আমি শৈশব স্মৃতি চারনে সায় দিলাম হু তাই ত । নয়ন ওর দিকে চেয়ে
রইল ।পাখা মেলে এক জুড়া কবুতর উড়ল উঁটানে ।জুম্পা একটা খাতা লয়ে আকা
আকিতে ব্যস্ত , ওকে ডাকলাম ছবি একে দিলাম , সুজাতা উটে গেল তোমরা বস
আমি চা নিয়ে আসি ।
বিকেলের আকাশে তখন স্নিগ্ধ তা রাঙ্গা রবির অপরুপ ঝলক ।

কেন্র বারহাট্যাঁ সি কে বি উচ্চ বিদ্যালয় ম্যাট্রিক পরিক্ষা , আমরা যথা সময়ে যে যার রুমে উপস্থিত ,ঘণ্টার বেল বাজতেই প্রত্যকের সামনে এসে গেল প্রস্ন পত্র ।
সেদিন ইতিহাস একদম দরজার পাশেই বসা ,লিখে যাচ্চি মাথা নিচু করে দায়িত্ত্য প্রাপ্ত ম্যাজিসটেট সামনে এক টুকরা কাগজ হাতে , বাবু দ্বারাও ,আমি ত লিখছি
অযথা ঝামেলা কেন , আমার দিকে তাকিয়ে বলল তুমি খুব সাহসি, জি আমাকে আরও লিখতে হবে সময় কম প্লিজ । বেশ তিনি বেরিয়ে গেলেন মাথা নিচু করে । ৩
সমস্ত বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রি শিক্ষক গন ও স্বজন সমাজের উৎসুক দৃষ্টিতে বেশ উৎসাহ পেলাম । হৈ হল্লা ,আড্ডা বেড়ানো এই ভাবে কাটালাম বেশ কয়েকটা দিন । দুলাভাইকে সঙ্গে নিয়ে রওয়ানা হলাম বাড়ীর উদ্দেশ্য ,সঙ্গে নয়ন ও আবীর ।ট্রেন আসেনি তাই আমরা পায় চারি করছি এদিক অদিক দুলাভাই বললে অপেক্ষা কর
আমি চা খেয়ে আসি । আবীরের প্রস্ন কবি ভাই আমাদের এলাকা কেমন ,কি দেখলা ,দেখলাম অনেক কিছু , মানুষের জীবন চিত্র বড় ই বিচিত্র , সব যদি লিখে
যাই একটা বিরাট কাব্য হবে ।
নয়ন তা আমাকে নিয়ে কিছু লিখনা , লিখব ,ঐ যে ছুটে আসে দেখ তর মনের হরিন খবর রাখিস । চমকে উটে নয়ন , সুজাতা ও বান্ধবীরা মিলিত হয় ,কবি
ভাই অটগ্রাপ চাই ,সবে নোট প্যাড এগিয়ে দেয় । কথা না বাড়িয়ে সবার আবদার মিটিয়ে দিলাম । অরা চলে গেল । ডা ক বাংলার সামনে বেশ কিছু তরুণ আমাকে ঘিরে ধরল । কবি সাহেব আমরা আপনার স্বরচিত গান শুনতে চাই। আবির দমকে
উটে ফাজলামু , আমি আবির কে বুঝিয়ে অদের সময় দিলাম কিছুক্ষন ।
এবার মুখ তুলে তাকাতেই দেখি সবিক দাঁড়িয়ে, কবি ভাই তুমি , হু বোনের বাড়ী
বেড়াতে আসছিলাম আজি ফিরব । তাত বুঝলাম , কিন্তু কিভাবে যাবেন , কেন ট্রেনে । আসবেনা, বাংলা স্টেশনে আটক । লাইন চুতি হল বুঝি , হু । ওরা শ্যাম গঞ্জ থেকে কাট সংগ্রহ করে মোহন গঞ্জ যাবে । মুহূর্তে দুলাভাইও উপস্থিত , তার কথায় সায় দিয়ে আমরা অর ট্র্যাকে জায়গা নিলাম ।
ব্যস্তময় সড়ক কত যানবাহন ছুটে একের পর এক , আমরাও ছুটছি সম্মুখে , হটাৎ
আমার বুকটা কেঁপে উটল একটা ভ্যন আর লেগুনা মুখুমুখি , ট্র্যাক থামেনা বিগড়ে গেল বুঝি সম্মুখে পথ রুদ্ধ । ট্যাঁ ট্যাঁ করে ট্র্যাক টি একটা ওয়াক সোপের দোকানে গিয়ে ধাক্কা খেল । বিকট শব্দে কানে তালা লাগল , ঘটল দুর্ঘটনা । মুহূর্তে
হাজারও মানুষের চিৎকার চেচা মেচি ভেসে আসে কানে । যখন নিজেকে আবিস্কার
করলাম জনতার ভিড়ে তখন ভোঁতা বিবেকে টনক নড়ল আমি অক্ষত । বহুসময়
পর দুলা ভাই আবির নয়ন সবিক ওরা ও ফিরে এল । সবিকের মাথায় ব্যান্ডেজ পৃথিবীটা বড় বিষণ্ণ মনে হল /
মাসুদ রানা , রচনা ৭/৭/২০১২ ইং শনিবার ।

গ্রাম বাংলার গল্প বিচিত্রা
সাত সেবা মোঃ মাসুদ রানা রচনা ১২, ৭, ২০১২ ইং

মা কই যাও , হাসপাতালে ‘ কেন ? ঐযে পটকা ওর বউয়ের মারাত্তক অসুখ ।
আমাকেও যেতে হবে ,না তরা শুয়ে পড় ‘ আমি এক্ষুনি এসে পড়ব । আধার রাত ,
ঘরে শম্পা সাদিক আবুল পড়া থামিয়ে গল্প করে , ধমকে উটে যতিন । এই বই বন্ধ করে ফাজলামু হচ্ছে না । জি ভাইয়া আমরা এতক্ষন পড় ছিলাম আম্মা ত হাসপাতালে। কেন আবার কি আপদ । ঐ উত্তর পাড়ার বেলুয়া ভাবি হের বাচ্ছা অইব । বুঝলাম তাইলে ঘুমিয়ে পড় , শম্পা’ ভাইয়া একটা গল্প বলনা । হুম
সাদিক ভাইয়া ভুতের কিচ্ছা কও আবুল নাভাইয়া রাক্ষসের , শম্পা ওদের কথা শুনবানা ভাইয়া শিয়ালের টা কও । বলছি বলছি এক দেশে ছিল একজন রাজা । রাজ্য কোন কিছুর অভাব ছিলনা। মন্ত্রি শাস্ত্রি পাত্র মিত্র দাসদাসি সে এক এলাহি কাণ্ড। রাজার ছিল এক বিচিত্র খেয়াল । ছোট্ট শিশু বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দেয়া । কেন সে দেশে কি বড় মানুষ নাই , প্রশ্নটা শুনে দাঁত খেলিয়ে হাসে
কাজের লোক গনি । থাকবনা কেন না থাকলে আমরা ও কিছুদিনের মধ্য চইলা যামু। হেই দেশে ত আর অভাব নাই । চিৎকার করে শম্পা ভাইয়া মুট কোটা কথার মধ্য বের লাগায় । বাইরে থেকে হটাৎ একটা চিৎকার ভেসে আসে ওদের
কানে ।গনু বিষয় টা কি একটু দেখনা এগিয়ে । ভাইজান পুবের আসমান ডা ফসর দেহা যায় মনে অয় আগুন লাগছে । আবির ও মনু কলসি লয়ে ছুটে আগুন নিবানোতে । একদল সমবয়সী কিশোর পড়ে ওদের সামনে , নয়ন ব্যপার কি এদিকে হইহল্লা কেন ।আবির ভাই মেম্বরের পোলা বসু তুহিনদের ডাব চুরি করতে গিয়া ধরা খাইছে । ভালাই অইল অহন মেম্বর বুঝক কথায় কথায় খালি মাইনসেরে দুস ধরে । আর সব , টিক গনু ভাই টিক কইছ , আবির এবার সবাই কে ইশারা করে । যা হবার হোক , তোমাদের কি মনে আছে সামনের দিন কার কি দায়িত্য
মনু ‘ এইযে বেলির বিয়ার কথা কইতাছে । বাপ লেংড়া গরিব মানুষ । এই তুমি চুপ কর , কাল তোমাদের এমনিতেই স্কুল বন্ধ তাই না ‘ সকলে জি । তাহলে সবাই এসে পড় গ্রামের মান ইজ্জত ত রক্ষা করতে হবে। সকলে জি । এবার আস । সবাইচলে যায়
আবির ভাই’ মতলব কি কিছু বুজলা ,হু ওরা পোলাও পাক করব । এই বয়সে আমরা কত কি করছি তাই না । সর্বনাশ বাকি গল্প না শুনে ওরা ঘুমুবেনা চল চল
হা চল ।

ঘরে আসতেই শম্পা , ভাইয়া মিলাদ বাড়ী থেকে আব্বা আইয়েনা কেন । মনু মামাজানের হায়াত বাড়ব ঐ তো এক্কেবারে সামনে খাড়া । মামনি তোমরা এখনও
ঘুমাওনি , এই লও পুটুলি কিছু তবারক আছে খেয়ে নাও , আর তোমাদের আম্মা
এক্ষনি এসে পড়বে । আবীর মনু কে, চল চল ওঁদের কে এবার আব্বাই সামাল দিক। আমরা একটু চাঁদের ফসরে এগিয়ে যাই হাসপাতাল পর্যন্ত । তাভাইজান হারিকেন লাগবে । না বরং টর্চ লাইট টা নিয়া আয় , জি আপনে খারান আমি এক্ষনি ঘর থাইকা আই ।
বেলি ও জলি উম্মাদের মত এগিয়ে আসে , আরে আবির ভাই তারাতারি আইও আব্বা হটাৎ বেহুস অইয়া পইড়া গেছে ।কেন , কি হয়েছে । গেছিল পশ্চিমের বন্ধ
বাড়ী ফিরা এমন অইল । তাই চল দেখি । ৩
বাড়ীর আঙ্গিনায় পা রাখতেই মিলিত হৈ চৈ শুনা যায় । বৃদ্ধ কমল সরকার বিছানায় ।মাথায় পানি ঢালে বিবি , আবিরকে দেখেই কান্নায় ভেংগে পড়ে , বাবা অহন কি অইব । চাচি চিন্তা কইরনা আল্লাকে ডাক । পাশে বসতেই ধিরে ধিরে চোখ খুলে তাকায় বৃদ্ধ , চাচা চাচা এখন কেমন । না বাবা আর বাছবার আশা নাই , আমি মইরা গেলে তোমরা আমার মাইয়া ২জন রে দেইখ । আরে চাচা এমন কথা কইতে
নাই , মরন বাঁচন তো মালিকের ইচ্ছায় । বেলি আমাদের বাড়িত গিয়ে দেখ ভিটামিনের একটা ফাইল আছে নিয়া আয় , হু আচ্ছা ।

মনু আবিরের পাশে দ্বারায় , এহনই লও ভাইজান আম্মাজান ডাকে ।
হু আসি , চাচি বেলির কাছে ঔ ষ দ দিয়ে দিই কুসুম গরম পানি দিয়ে খাইয়ে দিও কেমন । আচ্ছা মনু চল ,এহন দেহি আমার শইল ডাই ভালা লাগতাছেনা । হু ভাইজান না গুমাইলে অসুখ দেহা দিব । উভয়ে বাড়ির দিকে পা চালায় ।
সমাপ্ত ।





গ্রাম বাংলার গল্প বিচিত্রা
পরিনতি ৮ এম ,জি , রহমান মাসুদ মিয়া ।
বৈঠক ঘর । প্রায় সময় দেন দরবার ,গানের আসর একটা না একটা লেগেই থাকে । ঘরমের দিন , বাড়ির কর্তা অনেক সময় ধরে হুক্কা ঠানে । তাল পাতার পাখা দিয়ে
বাতাস করে বৃদ্ধ চৌকিদার । তামাক শেষ হতে না হতেই নতুন করে হুক্কা সাজায় , হটাৎ গলা ঝাঁরে ,ভাইজান একটা কথা কমু । হু একটা কেন দশ টা ক । জি মানে খালেক সাব আইব জানি কিজবাই করুম গরু না খাসি । আগে আসুক বুঝলে খুশিদ । বুঝলাম কিন্তু মন্ত্রি বাজিসটার হেগ খাওনই ত আলাদা মিয়াঁ ভাই । চিন্তার কোন কারন নাই সুলতান কে দিয়া পুকুর থাইকা কয়ডা বড় মাছ ঊটাবি আর যা লাগে সব লিখে দেই বাদশাগঞ্জের বাজার থেকে তরিগরিনিয়া আসবি । জি আচ্ছা,

ঘাটে ভিড়ে বাউল্ল্যা ডিঙ্গি , সব মানুষের ভিড় থেকে চওড়া সুটাম দেহি মন্ত্রি বাড়ির
কর্তা কে জড়িয়ে আলিঙ্গন করে গিয়াস উদ্দিন মিয়াঁ কেমন আছ । ভাল আছি আল্লাহুর রহমতে , বুরকা পড়া মেম ও তার ছেলেরা দেখেই এগিয়ে আসে । বাড়িতে খুশির আমেজ দুই বন্ধুর মিলন সমচারে । একজন পাকপাকিস্তান পার্লামেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল আর অন্যজন পঞ্চায়েত সরকার । তাদের কে ঘিরে হাজারও মানুষের উৎসুক দৃষ্টি ।






প্রিয় দেশ বাসি
সাহিত্য সমাজের দর্পণ , সমাজের সব মানুষের সুখ দুখ আনন্দ বেদনার চিত্র
পুষ্পটিত হয় কবির কবিতা গল্প উপন্যাসে তথা সাহিত্যর সকল শাখায় ।জ্ঞান ও বিবেক সব চাইতে মানুষের বড় বন্ধু আর সে জ্ঞান আহরন হয় ভাল বই পড়ে । কবিদের ক্ষুরদার লেখনিতে সমস্ত জাতি পায় সটীক দিক নির্দেশনা ।সুন্দর সুসভ্য জাতি গটনে যুগযুগ ধরে কবি সাহিতিয়ক গন জ্ঞান ,বিজ্ঞানে ,চিন্তা চেতনায় উন্নত করে সমাজ ও পরিবেশ । তাদের যথার্থ মুল্যায়ন ও সৃজনশীল মননে সব মহলকে সহযোগিতা করা একান্ত কর্তব্য । প্রচারে জাতীয় কবি সংসদ ও সাহিত্য সমাজ বাংলাদেশ ।





..




১-২

অপূর্ন বলেছেন: ভালো লিখেছেন ভাই

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১০

এম . এম ওবায়দুর রহমান বলেছেন: আমি ঠিক জানিনা্ আমার লেখা গল্প গুলো আপনারা প্রকাশ করবেন কিনা?
তবে আপনার পোষ্টে এ আমার নাম দেখে খুব ভাল লাগলো।
অনুপ্রনিত হলাম। মেল করে নাম্বার চাই ছিলাম । পেলে খুশি হতাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.