![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাতীয়তাবাদী ব্লগার । তবে কাইজ্জার মধ্যে নাই । কর্পোরেট কালচারে অভ্যস্ত । ব্যস্ততার মাঝে সামুতেই আসি ।
ধর্ষকের মুখে যেমন শালীন পোশাকের আলোচনা মানায় না, সেরকমভাবে ধর্ষণের ঘটনার সময় ‘নারীর শালীন পোশাক’ নিয়ে আলোচনা প্রাসঙ্গিক নয়। কোন মেয়ে তার নিম্নরুচির কারণে অশালীন পোশাক পড়লে আমি যদি তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ি, তবে আমার রুচি আর মূল্যবোধ কোথায় গিয়ে ঠেকে? তাই, পোশাকের শালীনতা নিয়ে অন্যদিন আলোচনা করা যাবে।
ছোট্ট একটি দৃশ্যপট তুলে ধরছি। কোন এক ক্ষয়িষ্ণু সমাজে একটি বিদ্যালয় শিশু ধর্ষিত হলো এক শালীন পোশাকের ধর্ষকের হাতে। ধর্ষককে সমাজের মুখোমুখি করা হলে, সে বললো, “মেয়েটি আমার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলো অশালীন পোশাকে। আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নি। আমার কী দোষ? বলুন?” সেই সমাজের কর্তৃপক্ষ তা মাথানিচু করে মেনে নিলো। মুরুব্বিরা বললেন, “হ, তা তো হতেই পারে। মেয়েরা আজকাল যা বেপর্দা হয়েছে! ধর্ষণ তো হবেই।” মেয়েটিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবার সুপারিশের মাঝখানে একটি ‘প্রগতিশীল সুপারিশ’ দিলেন অন্য একজন মুরুব্বি। তারপর তিনি মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে বললেন, “যাও মেয়ে! বেপর্দা কাপড় পড়ো আবার বিচার নিয়ে আসো! এরপর থেকে সাবধানে থাকবে।” সেই ধর্ষকের যে শাস্তিই হোক না কেন, তা সে গৌরবের বলেই মনে করেছে, কারণ একজন অশালীন পোশাকের মেয়েকে শালীন হবার বাস্তব শিক্ষা সে দিতে পেরেছে।
এমন একটি পরিস্থিতিতে আপনার কী অবস্থান হবে? তবে কি অশালীন পোশাকের মেয়ের সংখ্যা অনুপাতে ‘শালীন ধর্ষকের’ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়া উচিত নয়? কোথায় গেলো আমাদের নীতিবোধ আর আত্মনিয়ন্ত্রণ?
“তুমি অধম বলে আমি উত্তম হবো না কেন?” নারীর পোশাক খাটো বলেই তাকে ধর্ষণ করতে হবে - এ হলো বিকৃত মানসিকতা, যা পশুর সাথে আমাদের পার্থক্যকে কমিয়ে দিচ্ছে দিনকে দিন। অন্তত ধর্ষণের সময় নারীর পোশাকের আলাপ করা উচিত নয়, তাতে অপরাধী প্রশ্রয় পায়। সমাজে শালীনতা, ব্যক্তিগত রুচিবোধ, পারিবারিক মূল্যবোধ - ইত্যাদি আলাপের সময় পোশাকের বিষয়টি প্রাসঙ্গিক, ধর্ষণের আলোচনায় নয়। ধর্ষক হলো নরপশু, তাকে ঘৃণা ও শাস্তি পেতে হবে। যারা ধর্ষণের ঘটনায় নারীর পোশাকের আলোচনা তুলেন, তারা প্রকারান্তরে ধর্ষকেরই পক্ষ নেন।
ধর্ষকের শাস্তি হতেই হবে, নারী বিবস্ত্র থাকলেও অপরাধ ধর্ষকেরই। ধর্ষককে দিতে হবে তাৎক্ষণিক শাস্তি আর আন্তরিক ঘৃণা।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৯
নজরুলের লাঠি বলেছেন: আমাদের দেশের মেয়েরা যে পোশাক পরে সেটা যথেষ্ট শালীন । তারপরও ধর্ষন হয়। যদি এই সব পোশাক নির্ভর ধর্ষকেরা ইউরোপ যেত তবে তাদের যে কি অবস্থা হতো ! ইস ভাবতেই গা শিউরে উঠছে !
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪০
তামীম বলছি বলেছেন: কথা একটাই - ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
নারীর শালীন পোষাকের কথা আমিও বলি। কিন্তু সেটার মানে এই না যে সেটা ধর্ষকের অপরাধকে হালকা করে দিবে।
বরং নারীর শালীন পোষাকের কথা এই জন্য বলি যে কিছু কিছু আধা উন্মাদ মানুষকে অশালীন পোষাক পুরোপুরি উন্মাদ হতে প্রভাবিত করে। [যারা পুরোপুরি উন্মাদ, তাদের কথা বলছি না] আর তার পরে সে সামনে শালীন নারী/ অপ্রাপ্তবয়স্কা নারী যাই সুযোগমত পাবে - তাদেরকে দেখেই ধর্ষন করার প্রবণতা জাগ্রত হবে। আর তাই এখন দেখি বাচ্চারা বা প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রীরাও ধর্ষকদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
তাই পাগলা কুকুরদের মৃত্যুদন্ড দেওয়া ছাড়া সমাজ পরিষ্কার করার আর কোন উপায় নাই।
নারীর অশালীন পোষাক এবং পর্ণ - এই দুইটি জিনিস অনেক আধা পাগলাকে পুরোপুরি পাগল করতে বিশেষ অবদান রাখে।
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৫
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: একজন প্রস্টিটিউটকেও যদি জোরপূর্বক ধর্ষন করা হয় তাহলেও সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৮
জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: আপনার পোস্টের প্রত্যেকটা কথার সাথেই সহমত।
৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৩
এম এস সোহেল বলেছেন: কোন যুক্তি কিংবা পরিস্থিতি ধর্ষকের অনুকুলে যেতে পারেনা।
সুন্দর ভাবনা
মঙ্গলে থাকুন
৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৪
বিপদেআছি বলেছেন: একমত, রাস্তায় পয়সা পড়ে থাকলেও তা যেমন নে্ওয়া শোভন না তেমনি অশালীন কাপড় পরলেই ধর্ষন জায়েজ না।
@দায়িত্ববান নাগরিক, জোরপূর্বক ধর্ষন !! সম্মতিপূর্বক ধর্ষন আছে নাকি???
৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৭
রিওমারে বলেছেন: ধর্ষন যারা করে তারা একপ্রকার মানষিক প্রতিবন্ধি। তো এদের সোনা কর্তন করে দিলে সমাজে এরা উদাহরন হয়ে থাকতে পারে ধর্ষন এর শাস্তি হিসাবে।।
৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২০
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: বিপদেআছি @
আমারে আর টানিস না ভাই। লেখকরে জিগান।
সম্মতিপূর্বক ধর্ষন হয় না। সবার নিজস্ব পেশার মত প্রস্টিটিউটদের পেশাকেও আমি সম্মান জানাই।
১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৪
বিপদেআছি বলেছেন: দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: আমারে আর টানিস না ভাই।
১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩১
আহির মাহাসিন বলেছেন: ধর্ষকের শাস্তি হোক এটা সবাই চায়। কিন্তু শাস্তি দেয়ার মাধ্যমে কখনোই ধর্ষণ রোধ করা সম্ভব নয়। আমাদের আগে বের করতে হবে, কেন পুরুষরা ধর্ষণ করে। এবং সেই কারনের সমাধান করতে পারলেই ধর্ষণ রোধ করে সম্ভব।
Click This Link
১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৩
গোবর গণেশ বলেছেন: ধর্ষন না হওয়ার দুইটা উপায় থাকতে পারেঃ
১। সবার জন্য সেক্স উন্মুক্ত করে দিতে হবে যাতে কেউ আর জোর করে ধর্ষন করতে উৎসাহী না হয়, চাইলেই পাওয়া যায়।
২। কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকতে হবে, যাতে উপেক্ষাকারী/উপেক্ষাকারীনি-র যথাযোগ্য শাস্তি নিশ্চিত করা যায়।
উভয়ের সম্মতিতে হরহামেশাই যত্রতত্র রগরগে যৌন ক্রিয়া তথাকথিত প্রেমিক/প্রেমিকাদের মধ্যে চলছে। কাঁচা মাংসের স্বাদ পেলে তো বাঘও বন থেকে বেরিয়ে আসে। ধর্ষণগুলি এই কারণেই হয়ে থাকে বলে আমি মনে করি। খারাপ কাজে দ্রুত উৎসাহী হওয়া মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। এই ভিডিও টি দেখুন। কি মনে হয়?
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২০
হারানো ওয়াছিম বলেছেন: কথা সত্য, আপনি আমাকে নতুন করে ভাবতে শিখালেন। আপনাকে ধন্যবাদ।