![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাতীয়তাবাদী ব্লগার । তবে কাইজ্জার মধ্যে নাই । কর্পোরেট কালচারে অভ্যস্ত । ব্যস্ততার মাঝে সামুতেই আসি ।
পৃথিবী ও নভোমন্ডলে, জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে সর্বোপরি জীবন ও জগতের পরতে পরতে বিশ্বজগতের প্রতিপালক এক, একক ও অপ্রতিদ্বন্ধী সত্তা মহান আল্লাহর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ও নিরঙ্কুশ সার্বভৌমত্বের প্রমাণ বিরাজিত। তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ও তাঁর আনুগত্যের কাছে আত্মসমর্পনের জন্যে বোধসম্পন্ন, চিন্তাশীল ও বিচক্ষণ ব্যক্তির জন্য এসব নিদর্শন যথেষ্ট। আল-কুরআনের ভাষ্যে তা উঠে এসেছে এভাবে :
তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে এক নিদর্শন এই যে, তিনি মৃত্তিকা থেকে তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। এখন তোমরা মানুষ, পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছ [সূরা রূম, আয়াত : ২০]।
তাঁর আরও এক নিদর্শন হচেছ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃজন এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র। নিশ্চয় এতে জ্ঞানীদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে [সূরা রূম, আয়াত : ২২]
নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধস¤পন্ন লোকদের জন্যে [সূরা আ’লে ইমরান, আয়াত : ১৯০]।
আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গীনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পার¯পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে [সূরা রুম, আয়াত : ২১]।
তাঁর আরও নিদর্শন: তিনি তোমাদেরকে দেখান বিদ্যুৎ, ভয় ও ভরসার জন্যে এবং আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তদ্দ¡ারা ভূমির মৃত্যুর পর তাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমান লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে [সূরা রুম, আয়াত : ২৪]।
তাঁর অন্যতম নিদর্শন এই যে, তাঁরই আদেশে আকাশ ও পৃথিবী প্রতিন্ঠিত আছে। অতঃপর যখন তিনি মৃত্তিকা থেকে উঠার জন্যে তোমাদের ডাক দেবেন, তখন তোমরা উঠে আসবে [সূরা রুম, আয়াত : ২৫]।
তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে একটি এই যে, তিনি সুসংবাদবাহী বায়ু প্রেরণ করেন, যাতে তিনি তাঁর অনুগ্রহ তোমাদের আ¯¦াদন করান এবং যাতে তাঁর নির্দেশে জাহাজসমূহ বিচরণ করে এবং যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ তালাশ কর এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হও [সূরা রুম, আয়াত : ৪৬] ।
তাঁর এক নিদর্শন এই যে, তুমি ভূমিকে দেখবে অনুর্বর পড়ে আছে। অতঃপর আমি যখন তার উপর বৃষ্টি বর্ষণ করি, তখন সে শস্যশ্যামল ও ¯ফীত হয়। নিশ্চয় যিনি একে জীবিত করেন, তিনি জীবিত করবেন মৃতদেরকেও। নিশ্চয় তিনি সবকিছু করতে সক্ষম [সূরা হামীম সিজদাহ, আয়াত : ৩৯]।
সমুদ্রে ভাসমান পর্বতসম জাহাজসমূহ তাঁর অন্যতম নিদর্শন [সূরা শোআরা, আয়াত : ৩২]।
আমি মূসাকে নিদর্শনাবলী সহ প্রেরণ করেছিলাম যে, ¯¦জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে আনয়ন এবং তাদেরকে আল্লাহ্র দিনসমূহ স¥রণ করান। নিশ্চয় এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে [সূরা ইবরাহিম, আয়াত : ৫]।
এ পানি দ্বারা তোমাদের জন্যে উৎপাদন করেন ফসল, যয়তুন, খেজুর, আঙ্গুর ও সর্বপ্রকার ফল। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে [সূরা ইবরাহিম, আয়াত ১১]।
তোমাদের জন্যে পৃথিবীতে যেসব রং-বেরঙের বস্তূ ছড়িয়ে দিয়েছেন, সেগুলোতে নিদর্শন রয়েছে তাদের জন্যে যারা চিন্তা-ভাবনা করে [সূরা নাহ্ল, আয়াত : ১৩]।
এবং তিনি পথ নির্ণায়ক বহু চিহ্ন সৃষ্টি করেছেন, এবং তারকা দ্বারা ও মানুষ পথের নির্দেশ পায় [সূরা নাহ্ল, আয়াত : ১৬]।
তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ্র অনুগ্রহে জাহাজ সমুদ্রে চলাচল করে, যাতে তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী প্রদর্শন করেন? নিশ্চয় এতে প্রত্যেক সহনশীল, কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্যে নিদর্শন রয়েছে। যখন তাদেরকে মেঘমালা সদৃশ তরঙ্গ আচছাদিত করে নেয়, তখন তারা খাঁটি মনে আল্লাহকে ডাকতে থাকে। অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে স্থলভাগের দিকে উদ্ধার করে আনেন, তখন তাদের কেউ কেউ সরল পথে চলে। কেবল মিথ্যাচারী, অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিই আমার নিদর্শনাবলী অ¯¦ীকার করে [সূরা লোকমান, আয়াত৩১-৩২]।
যে ব্যক্তিকে তার পালনকর্তার আয়াতসমূহ দ্বারা উপদেশ দান করা হয়, অতঃপর সে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার চেয়ে যালেম আর কে? আমি অপরাধীদেরকে শাস্তি দেব [সূরা সিজদা, আয়াত : ২২]।
আমি ফেরাউনকে আমার সব নিদর্শন দেখিয়ে দিয়েছি, অতঃপর সে মিথ্যা আরোপ করেছে এবং অমান্য করেছে [সূরা ত্বো’য়াহা, আয়াত : ৫৬]।
আমি এদের পূর্বে অনেক সম্প্রদায়কে ধবংস করেছি। যাদের বাসভুমিতে এরা বিচরণ করে, এটা কি এদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করল না? নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমানদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে [সূরা ত্বো’য়াহা, আয়াত : ১২৮]।
এতে সšেদহ নেই যে, আমার নিদর্শন সমুহের প্রতি যেসব লোক অ¯¦ীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পাল্টে দেব অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব আ¯¦াদন করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় [সূরা নিসা, আয়াত : ৫৬]।
এবং নিদর্শন রয়েছে তাদের কাহিনীতে; যখন আমি তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম অশুভ বায়ু [সূরা আয্ যারিয়াত, আয়াত : ৪১]।
এতে কি তাদের চোখ খোলেনি যে, আমি তাদের পূর্বে অনেক সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি, যাদের বাড়ী-ঘরে এরা বিচরণ করে। অবশ্যই এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে। তারা কি শোনে না? [সূরা সিজদা, আয়াত : ২৬]
কেবল তারাই আমার আয়াতসমূহের প্রতি ঈমান আনে, যারা আয়াতসমূহ দ্বারা উপদেশপ্রাপ্ত হয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং অহংকারমুক্ত হয়ে তাদের পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করে [সূরা সিজদা, আয়াত : ১৫]. আসুন, আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে তাঁর সন্তষ্টির পথ ধরে চলি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৫
বোকামন বলেছেন: আল্লাহু আকবার