নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শালীন ভাষায় সাহসী উচ্চারণ

মুফতি মুহাম্মাদ শোয়াইব

সম্পাদক, মাসিক আরবি ম্যাগাজিন ‘আলহেরা’

মুফতি মুহাম্মাদ শোয়াইব › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাকির নায়েক কেন প্রিয়?

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১২

বর্তমানে কিছু মুসলমান আছে যাদের নিকট ড.জাকির নায়েক বা নুমান আলী খানরা অত্যন্ত প্রিয়। এর কারণ অনেক তালাশ করলাম। হয়তো তারা বলবেন, এর কারণ হলো তারা অনেক জ্ঞানী, ধর্মীয় বিষয়ে বোদ্ধা। অথচ বিষয়টি মোটেও এমন নয়।কারণ একজন জ্ঞানীর পরিচয় পাওয়া যায় তার রচনাবলীর মাধ্যমে। অথচ আমরা এ ধরণের ডক্টরদের এমন কোন রচনা পাই না যা সারা বিশ্বে সমানভাবে সমাদৃত ও সর্বজন গ্রহণযোগ্য।
এর বিপরীতে আমরা যদি ওলামায়ে দেওবন্দের সুযোগ্য সন্তানদের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই তাদের রচনা আরব অনারব সকল জায়গায় বিশাল সমাদৃত। তাঁদের কোন রচনার কথা বলবো। বলতে গেলে স্ট্যাটাস কলামে পরিণত হয়ে যাবে।
তবুও দুয়েকটা উদাহরণ দেই। ধরুণ আল্লামা জফর আহমাদ ‌‌উসমানীর ইলাউস সুনান। দালিলিক হাদিস উপস্থাপনে, হাদিস শাস্ত্র ও ফিকাহ শাস্ত্রের আলোকে উক্ত গ্রন্থ যে কতটা সমৃদ্ধ তা বিদগ্ধ পাঠক মাত্রই জানেন। এরপর পড়ুন নিকট অতীতের অন্যতম হাদিস বিশারদ শাব্বির আহমাদ উসমানীর মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাতহুল মুলহিম। এবং বর্তমান সময়ের অন্যতম বিদগ্ধ আলেম ও গবেষক আল্লামা তাকী উসমানী দা, বা, এর তাকমিলায়ে ফাতহুল মুলহিম। গ্রন্থদ্বয় পাঠ করে আরব বিশ্বও হতবাক হয়েছে যে অনারব অালেমদ্বয়ের পক্ষে কী করে এত সাবলীল ও মানোত্তীর্ণ আরবীতে এতবড় ব্যাখ্যাগ্রন্থ লেখা সম্ভব!!
এতো অাধুনিক শিক্ষিতদের ভাষায় অজ্ঞ দেওবন্দীদের গবেষণাকর্মের চিত্র .
পক্ষান্তরে জাকির নায়েক বা নুমান আলী খানের মতো ব্যক্তিদের থেকে হাদিসের ছোট্ট কোন পুস্তিকাও রচয়িত হয়েছে বলে মনে হয় না। হলে তো অন্তত কানে আসত।
তবুও এধরণের ডক্টরদের প্রতি কিছু আধুনিক শিক্ষিত মুসলমান যুবক যুবতীদের শ্রদ্ধা ও ভক্তির কারণ আমার কাছে যা মনে হয় তা হলো তাদের বক্তব্যগুলো সর্বদাই এমন এক ইসলামের পথ দেখায় যা অতি সহজ। যা পালন করতে মুজাহাদা করতে হয় না। নফসের সাথে ঝগড়া মারামারি করতে হয় না। অর্থাৎ যে ইসলাম নফসের নিকটও খুব পছন্দনীয় ও প্রিয়।।
তাতে থাকে না মারেফাতে এলাহীর গভীর তাৎপর্য, থাকে না মুহাব্বতে রাসুলের হাকিকী চিত্র। ফলে তাদের কথার দ্বারা সাময়িকভাবে কর্ণসুখ অর্জন হলেও দীলের গভীরে কোন আছর পড়ে না।
এজন্য এ ধরণের ডক্টরদের ভক্তদের নিকট কোরআন চর্চা হলো অশুদ্ধ উচ্চরণ আর ইংলিশ কোন তাফসীর গ্রন্থ অধ্যয়ন। হিজাব অর্থ হলো মাথায় পট্টি বেধে মাহরাম গায়রে মাহরাম সবার সাথেই অবাধে ওঠাবসা ও গল্পালোচনা। আর ফিকাহ অর্থ হলো মাযহাব অনুসরণ না করেই এবং হাদিস শাস্ত্রের অ আ না জেনেই দুয়েকটা হাদিসের কিতাব পড়ে মাযহাবীদের উপর চড়াও হওয়া।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১১

নাজমুল আহসান েসাহান বলেছেন: আপ্নার অনেক কিচ্ছু জানার বাকি আছে....

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫২

সতী সত্যান্বেষী বলেছেন: সক্রেটিস ও আব্দুর রাজ্জাক স্যার খুবই অজ্ঞান লোক ছিলেন, কারণ তাঁরা তেমন কিছুই লিখে যাননি।
আর পরনিন্দার মত বিশুদ্ধ টেস্টি খাবার হতে নেই। মুফতী সাব, বলবেন কি কি কি করলে পরনিন্দা হয় (ধর্মমতে)?
ডঃ নায়েক -এর ভক্ত না হলেও এ প্রশ্ন করা যায় কি না, সে ফতোয়াও দিন দয়া করে।

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
পরনিন্দা, পরচর্চা জানি ইসলামে কোন দৃস্টিতে দেখা হয়??

তুমি আগে অনেক ঘাস খাইয়া আসো, তাজা দুর্বা ঘাস। তাইলে ডাঃ জাকিরের পোষা ছাগল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারতেও পারো।

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

আশালিনা আকীফাহ্‌ বলেছেন: আপনি যদি ড.জাকির নায়েক বা নুমান আলী খান-এর চেয়ে আরও উত্তম রুপে ইসলামের দাওয়াত দিতে পারেন, তবে আপনিও মানুষের কাছে তাদের তুলনায় আরও প্রিয় হবেন।

মহান আল্লাহ্ পাক তাদেঁর এই গুন এবং জ্ঞান দিয়েছেন বলেই মানুষ সহজেই তাদের দাওয়াত গ্রহণ করেন এবং তাঁরাও মানুষের কাছে প্রিয়।

আপনি তাঁদের প্রতি এভাবে বিরুদ্ধাচরণ করে কেবল আপনার হিংসাত্মক মনোভাব প্রকাশ করছেন আর এতে আপনার প্রতিই মানুষের খারাপ ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে।

লেখকের প্রতি বিনয়ের সাথে অনুরোধ থাকবে, দয়া করে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না ॥

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.