নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শালীন ভাষায় সাহসী উচ্চারণ

মুফতি মুহাম্মাদ শোয়াইব

সম্পাদক, মাসিক আরবি ম্যাগাজিন ‘আলহেরা’

মুফতি মুহাম্মাদ শোয়াইব › বিস্তারিত পোস্টঃ

অতি দানশীলতা ও কৃপণতা পরিত্যাজ্য

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৪৮

মুফতি মুহাম্মাদ শোয়াইব

মানুষের চাহিদার তুলনায় যেহেতু উপকরণ সীমিত, তাই সব চাহিদাই পূরণ হওয়ার নয়। কিছু চাহিদা মানুষকে পরিত্যাগ করতে হয়। তাই প্রথম চাহিদার ভেতর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয়গুলোকে আগে পূরণ করা উচিত। এটি যেমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তেমনি রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও। সুতরাং আগে নির্ণয় করা উচিত যে, কোন চাহিদাগুলো তার অপরিহার্য ও বাধ্যতামূলক। আগে সেগুলো পূরণ করতে হবে।

যেহেতু মানুষের চাহিদা সীমাহীন এবং তা মেটানোর উপকরণ সীমিত তাই মানুষ চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অগ্রসর হতে পারে না। এ সমস্যার সমাধানকল্পে ইসলাম মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। ব্যয়ের ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা এবং আয় অনুযায়ী ব্যয় করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে ইসলাম। আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হলে কিছুতেই সংসারের অভাব-অনটন কাটবে না। বরং অভাব-অনটনের পাশাপাশি অন্যের কাছে হাত পাততে হবে। অনেক সময় অবৈধ উপার্জনের দিকে পা বাড়াতে হবে। জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। বরকত উঠে যাবে। জীবনের সর্বক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন করলে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করা সহজ হয়ে যায়। অবাঞ্ছিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত চাহিদার চাপ থেকে রেহাই পেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাপন করা যায়।

যে কোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হওয়া অস্বাভাবিক নয়। দুর্ঘটনার শিকার হলে আর্থিক দায়দায়িত্ব বেড়ে যায়। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য কিছু অর্থ সঞ্চয় করে রাখা ভালো। সব সম্পদ দান করে দেয়া নিষিদ্ধ। হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) মৃত্যুর সময় তার সব সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান করে দেয়ার ব্যাপারে নবী করিম (সা.) কাছে অনুমতি চাইলেন। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, 'তুমি তোমার উত্তরাধিকারীকে পরমুখাপেক্ষী করে রেখে যাবে, যাতে তারা অন্যের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ফেরে; তার চেয়ে তাদের সম্পদের মালিক বানিয়ে রেখে যাওয়া ভালো।' এ কারণেই নিজ সম্পদের এক-তৃতীয়াংশের মধ্যে অসিয়ত করার বিধান রয়েছে। হজরত কাব (রা.) ধন-সম্পদ সদকা করে দিতে চাইলে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, 'তোমার ধন-সম্পদ থেকে কিছু রেখে দাও, এটি তোমার জন্য কল্যাণকর হবে।' (বোখারি)।

দানের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি যেমন কাম্য নয়, তেমনি খরচের ক্ষেত্রে কার্পণ্য করাও কাম্য নয়। পবিত্র কোরআনে কার্পণ্য করে নিজের ও পরিবারের জীবনকে কষ্টের ভেতর ঠেলে দিতে যেমন নিষেধ করা হয়েছে, তেমনি এত বেশি খরচ করতে নিষেধ করা হয়েছে, যা অপচয়ের পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
- See more at: Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.