![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার, আমি আরও বেশী জানতে, শিখতে, অর্জন করতে চাই, মহান আলাহ রব্বুল আলামিনের নিকট চাওয়া, তিনি যেন আমাকে সঠিক জ্ঞান দান করেন
ইহুদিরা আসমানী কিতাব প্রাপ্ত জাতি। তাদের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র তাওরাতে রসূল(সঃ) এর আগমনের পূর্বাভাস দেয়া আছে। রসূল (সঃ) এর আবির্ভাবের কিছুকাল পূর্বেই বিভিন্ন লক্ষণ দেখে ইহুদিরা বুঝতে পারে, শেষ নবীর আগমন ঘটতে আর বেশী বাকি নেই। তারা অন্যান্য জাতির মানুষের কাছে প্রচার করত: শেষ নবী খুব শীঘ্রই আমাদের মাঝে চলে আসবেন। তিঁনি চলে আসলে আমাদের কোন চিন্তা থাকবে না। তখন আমরা সকলেই উনার আনুগত্য স্বীকার করব।
.
হজরত মুহাম্মদ(সঃ) এর নবুওয়াত প্রাপ্তির পর উঁনার বৈশিষ্ট ও লক্ষণ বিচার করে ইহুদিরা কনফার্ম হতে পারে যে, পবিত্র তাওরাত কিতাবে ভবিষ্যতবাণীকৃত শেষ নবীই হলেন হজরত মুহাম্মদ(সঃ)। কিন্তু ইহুদিরা রসূল(সঃ) এর আনুগত্য স্বীকার করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে পারেনি। কারন মুহাম্মদ(সঃ) ছিলেন একজন অইহুদি। একজন অইহুদির আনুগত্য স্বীকার করতে তারা মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলনা। তারা কোন দিন ভাবতে পারেনি, মহান আল্লাহ শেষ নবী হিসাবে একজন অইহুদিকে মনোনীত করবেন।
.
বর্তমানে আমরাও আসমানী কিতাব প্রাপ্ত জাতি। আমরাও অবগত আছি ইতিহাসের সমাপ্তিকালে হজরত ঈশা(আঃ) এর আগমন ঘটবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই মানুষিকভাবে প্রস্তুত ইমাম মাহদী ও হজরত ঈশা(আঃ) এর আগমন ঘটলে উঁনাদের আনুগত্য করার জন্য। কিন্তু উঁনাদের আগমন হওয়ার পর অনেকের পক্ষেই সম্ভব হবেনা উঁনাদের আনুগত্য করা।
.
ভন্ড পীরেরমুরিদরা পারবেনা উঁনাদের আনুগত্য করতে, কারন উঁনাদের আনুগত্য করতে হলে ভন্ড পীরের মুখে লাথি মারতে হবে। অবৈধভাবে যারা কোটি কোটি টাকা উপার্জন করছে তারা উঁনাদের আনুগত্য শিকার করবে না, কারন তা করতে গেলে অবৈধ আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
.
আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আছে যারা মনে করে: একমাত্র হজরত মুহাম্মদ(সঃ) এর অনুসারীরাই আল্লাহর প্রিয় বান্দা, তারাই জান্নাত পাবে আর অন্যান্য সকল জাতি জাহান্নামী। তাদের পক্ষেও উঁনাদের আনুগত্য স্বীকার করা সহজ হবে না। কারন হজরত ঈশা(আঃ) এসে অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন না। অর্থোডক্স খ্রিস্টানরাও উনার আনুগত্য স্বীকার করবেন। তখন হয়তো হজরত মুহাম্মদ(সঃ) উঁনার উম্মত দাবিদার অহংকারী ব্যক্তিগণ হজরত ঈসা (আঃ) এবং ইমাম মাহদীকে ইহুদি খ্রিস্টানদের দালাল হিসাবে আখ্যায়িত করবে।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ বলেন “ইহুদিরা মোহাম্মেদ কে (সত্য নবী হিসাবে) এমনভাবে চিনে, যেভাবে তাদের সন্তানকে চেনে ” (সুরা আন-আম ২০)
©somewhere in net ltd.