![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার, আমি আরও বেশী জানতে, শিখতে, অর্জন করতে চাই, মহান আলাহ রব্বুল আলামিনের নিকট চাওয়া, তিনি যেন আমাকে সঠিক জ্ঞান দান করেন
গত ০৪/৭/১৭ইং তারিখ রাতে ফজরের আযানের কিছুক্ষণ পূর্বে অদ্ভুত একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম। স্বপ্নের শুরু হয়েছিল ভয় দিয়ে আর শেষ হয়েছিল আনন্দ দিয়ে।
.
আমি দেখলাম যে, একটা অপরিচিত জায়গায় গিয়েছি, সেখানে কোন এক অজানা কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। মানুষকে রাস্তায় বের হতে দেয়া হচ্ছে না। রাস্তায় কোন মানুষ দেখা গেলে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে ফেলছে। এই পরিস্থিতিতে জুম্মার নামাজের সময় হয়েছে তাই তখন পুলিশের গুলি খাওয়ার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে মসজিদে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ঘর থেকে বের হলাম। মসজিদের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর পুলিশ সামনে থেকে গুলি করা শুরু করল। আমি ভয়ের চোটে দৌড়াতে শুরু করলাম। পুলিশ নেই এমন জায়গায় এসে থামলাম। দেখি সেখানে আরও অনেক মুসল্লি জড়ো হয়েছে যারা জুম্মার নামাজ পড়তে মসজিদে এসেছিল কিন্তু পুলিশের তাড়া খেয়ে এখানে চলে এসেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে দেখলাম আরও অনেক মুসল্লি মসজিদের দিকে যাচ্ছে আবার পুলিশের তাড়া খেয়ে ফিরে আসছে। একটু দূরে একজন ব্যক্তি কি যেন বলছিলেন। উঁনার কথা শোনার জন্য আমি উঁনার দিকে এগিয়ে গেলাম। কাছে গিয়ে দেখলাম তিঁনি কথা বলছিলেন আর সকল মুসল্লিরা আস্তে আস্তে তাঁকে সামনে রেখে কাতার তৈরী করে জুম্মার নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে গেল। তিঁনি প্রথমে ইমাম হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন, কিন্তু সকল মুসলিমদের অনুরোধ এবং সমর্থনের পর তিঁনি ইমাম হতে রাজি হলেন। তখন আমার ভেতরের ভয় ভীতি সবকিছু দূর হয়ে গেল কারন সেখানে উপস্থিত সকল মুসল্লি এবং আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, হাদীসে ভবিষ্যতবাণীকৃত শেষ জমানার মুসলিমদের ধর্ম নেতা ইমাম মাহদী (আঃ) আবির্ভাব ঘটে গেছে, তিঁনি আমাদের জুম্মার নামাজ পড়ানোর জন্য ইমামের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন।
এরপর ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করলাম, আমি যেন ইমাম মাহদী (আঃ) অনুগত সৈনিক হিসাবে কাফের মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শামিল হতে পারি।
.
হাদীছে আছে ইমাম মাহদী (আঃ) এর আবির্ভাবের পর মালহামা (মহাযুদ্ধ) সংঘঠিত হবে।
.
সেই যুদ্ধে তিন ভাগের একভাগ মুসলিম পালিয়ে যাবে। তাদের তওবা আল্লাহ কোন দিন কবুল করবেন না।
.
তিন ভাগের একভাগ মুসলিম যুদ্ধ করে শহীদ হবেন। উঁনারা শ্রেষ্ট শহীদের মর্যাদা পাবেন।
.
অবশিষ্ট মুসলিমগণ কন্সেনটিনোপল বর্তমান তুরস্ক জয় করবেন।
.
এই হাদিছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হলোঃ তিন ভাগের একভাগ মুসলিমের কথা বলা হয়েছে যারা যুদ্ধ থেকে পালিয়ে যাবে এবং তাদের তওবা আল্লাহ কোন দিন কবুল করবেন না। স্বাভাবিকভাবে সকলের মনে হতে পারে হয়তো এসব মুসলিমরা যুদ্ধে অংশগ্রহন করবে তারপর যুদ্ধের ময়দান (Battle ground) থেকে পালিয়ে যাবে। কিন্তু এটা ভুল ধারনা। প্রকৃতপক্ষে পালিয়ে যাওয়া মুসলিম বলতে তাদেরই বুঝানো হয়েছে, যারা ইমাম মাহদী (আঃ) উঁনাকে শনাক্ত করতে পেরেও উঁনার অনুগত বাহিনীর সাথে মালহামায় অংশগ্রহন থেকে বিরত থাকবে।.
আল্লাহ আমাদের সকলকে ইমাম মাহদী (আঃ) কে চেনার এবং উঁনার অনুগত বাহিনীতে যোগ দিয়ে মালহামায় অংশগ্রহনের তৌফিক দান করুন। আমিন।
২| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০
সত্য খুঁজিয়া বেড়াই বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার নিয়ত ভাল।