![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার জানা উচিত
৬৫৬ হিজরীতে যখন বাগদাদ ধ্বংস হয়েছিল তার পূর্বের ঘটনা এটি।
ঐ সময়ে মাজহাবের কোন্দল নিয়ে পরিস্থিতি এমন জটিল হলো যে, এক মাজহাবের লোক আরেক মাজহাবের ইমামের পিছনে নামাজ হবে না বলে ফতোয়া দেওয়া শুরু করল।
ঠিক ঐ সময় চীনের মঙ্গলিয়া এলাকার দস্যু হালাকু খান, যারা এমন দস্যু ছিল নিজেদের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য কোন কিছু না পেলে নিজের ঘোড়ার পিঠে চাবুক মেরে রক্ত বের করে সে রক্ত পান করতো।
চিঙ্গিস খানের দৌহিত্র হালাকু খান আব্বাসীয় খলিফার শেষ সময়ে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল সে সময় পরপর ৭ বার বাগদাদে আক্রমণ করে। কিন্তু প্রতিবারই মুসলমানদের জয় হয়।
অবশেষে ৬৫৬ হিজরীর পূর্বে ইমাম শা'ফী মাজহাবের অনুসারীদের সাথে ইমাম আবূ হানিফা (রহঃ)-এর অনুসারীদের বিতর্ক হয় জেহেরী নামাজে সূরা ফাতিহার পূর্বে "বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম" সশব্দে পড়া নিয়ে।
শা'ফী মাজহাবের অনুসারীরা বলেছিল সশব্দে পড়তে হবে আর হানাফী মাজহাবের দাবী ছিল আস্তে পড়তে হবে ।
এ নিয়ে ঝগড়া করে হানাফী মাজহাবের লোকেরা শা'ফী মাজহাবের লোকজনের হাতে মার খেয়েছিল।
এরপর হানাফী মাজহাবের লোকরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য দস্যু হালাকু খানের সাথে আতাত করেছিল।
বাগদাদের লোকজনের সহযোগীতায় ৮ম বার ৬৫৬ হিজরীতে দস্যু হালাকু খান বাগদাদে আক্রমণ করে এবং সেদিন
হানাফী, শা'ফেয়ী, মালেকী ও হাম্বলী সকল মাজহাবের অনুসারীদেরকে দস্যু হালাকু বাহিনী কঁচু কাটা কেটেছিল এবং মুসলমানদের পরাজয় হয়েছিল।
খলিফা মুহতাসিম বিল্লাহকে চামড়ার বস্তায় ভরে কুঠার আঘাত করে করে হত্যা করা হয়েছিল।
কিন্তু আজ বাগদাদের ঘটনার মতো মুসলমানদের একটি দলই ছোটখাটো কিছু ফেরকা নিয়ে দস্যুদের সাথে হাত মিলিয়ে মুসলমানদেরই ধ্বংস করার চক্রান্ত করতে যাচ্ছে যার পরিণতি হতে পারে বাগদাদের মতো কারণ ইসলামের শত্রুদের কাছে কে হানাফী, কে মালেকী, কে শা'ফেয়ী আর কে হাম্বলী এটি বিষয় নয় তাদের মিশন মুসলমানদের ক্ষতি করা।
কাজেই আসুন দলাদলি না করে পবিত্র কোরআন এবং সহীহ হাদিসের উপর আমল করার চেষ্টা করি তাহলে শেষ হবে সকল মতবাদের অবসান তখনই ফিরে আসবে শান্তি আর ফিরে আসবে শৃঙ্খলা।
আল্লহ
আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝার তওফিক দিক এবং হক্কের উপর অবিচল রাখুক ।
©somewhere in net ltd.