![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমরা শুধায়েছিলে মোরে ডাকি পরিচয় কোনো আছে নাকি, যাবে কোনখানে। আমি শুধু বলেছি, কে জানে। ... সেই গান শুনি কুসুমিত তরুতলে তরুণতরুণী তুলিল অশোক, মোর হাতে দিয়ে তারা কহিল, 'এ আমাদেরই লোক।' আর কিছু নয়, সে মোর প্রথম পরিচয়। ... সেতারেতে বাঁধিলাম তার, গাহিলাম আরবার--- 'মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক, আমি তোমাদেরই লোক, আর কিছু নয়--- এই হোক শেষ পরিচয়।' আমার নয়, রবিবুড়োর লেখা। আমি ওরচে ঢের ভালো লিখি। তবে লিখি কম। পড়ি বেশি।
চীনা ফিসফাস সবাই খেলেছি আমরা। এক সারিতে বসে থাকে এক দঙ্গল লোকজন। প্রান্তিক এক জনের কানে ফিসফাস করে দ্রুত কিছু বলতে হয়। সে যা শুনেছে তা পাশের জনের কানে বলে। এভাবে দূষিত হয়ে বাক্যটা শেষের জনের কাছে গিয়ে দাঁড়ায় অন্যরকম। হয়তো প্রথম জনকে বললেন, আমি তোমার খালাতো বোনকে ভালোবাসি, শেষের জনের মুখ দিয়ে বেরোবে, কা তব কান্তা কস্তে পুত্র! আমি একটা চীনা ফিসফাসের প্রস্তাব দিচ্ছি। একটা গল্প শুরু করা হবে, খানিক দূর এগিয়ে নিয়ে সেটা ছেড়ে দেয়া হবে আরেকজনের হাতে। কার হাতে ছাড়া হবে, সেটাও ঐ অংশের লেখক বা লেখিকা ঠিক করে নেবেন। তো, কে কে খেলতে উৎসাহী একটু কমেন্ট করে জানান, আমি প্রথম ফিসফাসটা শুরু করি। ধন্যবাদ।
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ৮:০২
লুনা রুশদী বলেছেন: আমি খেলবো!
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ৮:০২
হিমু বলেছেন: আমিও আছি। কে শুরু করবেন, মুখফোড়?
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ৮:০২
অতিথি বলেছেন: বাহ। বেশ বেশ। চৌধুরী, রুশদী আর হিমু খেলবেন।
ঠিক আছে, প্রথম ফিসফাস আমিই শুরু করি। এরপর খেলবেন চৌধুরী। তবে চৌধুরী ভাই, এই ব্লগে প্রচুর নাবালেগ, ধর্মকাতর ও নাস্তিকফান্ডু আছেন। তাঁদের দিলে চোট আমরা না দেই।
ফিসফাস 01
ঘরের আলো নিভে যায়, বদরুলের মোবাইলের আলো জ্বলে ওঠে। মুঠোফোন, মনে মনে হাসে বদরুল। ওরে মুঠোর মধ্যে কতকিছু নিলাম, সবকিছুর আগে কি মুঠো বলা যায় রে পাগল? নির্মলেন্দু গুণ, আমি বলি তুই শুন .. ..। না থাক।
পিড়িং পিড়িং ফোন বাজে, অরুণিমা ফোন ধরে না। বদরুল শঙ্কিত হয়ে ওঠে। অরুণিমা কি বাপের কাছে ধরা খেলো? সামনে অরুণিমার প্রিটেস্ট পরীক্ষা, চামার বাপটা কি তাহলে মোবাইল জব্দ করলো? এ কি ব্লগ পেয়েছিস নাকি রে চাইলেই জব্দ করবি, য়্যাঁ? ভাবতে ভাবতে অরুণিমা ফোন ধরে।
বদরুল সশব্দে চুমো খায় মুঠো ফোনে, লালা পড়ে এটার ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ নষ্ট হবে কিছুদিন পরই। যত চুম্বন সইতে হয়েছে বেচারাকে। কত নারীর প্রতি নিক্ষিপ্ত চুম্বনে ভিজে ঢোল হচ্ছে বেচারা। এতো চুমো একা অরুণিমাকে দিলে মেয়েটা র্যাবিস হয়ে মরতো।
অরুণিমা চুমোর উত্তর দেয় না, গোমড়া গলায় শুধু বলে, "কী চাও?"
বদরুল আকাশ থেকে পড়ে। কী চাও মানে?
(চৌধুরী শুরু করেন এর পর থেকে। দুষ্টুমি কইরেন না দাদা।)
৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ৯:০২
অতিথি বলেছেন: আমি কি চাই তা তো শোনামাত্রই বোঝার কথা,যাই হোক মুখে বলে, ''শুয়ে পড়ছিলা?''
: রাত 12টার সময় ফোন কইরা জিগ্যেস করে শুয়ে পড়ছিলা..আর তোমাকে না বলছি পরীক্ষার সময় ফোন না করতে.....
:কি করবো জানেমন...তোমার ভয়েস না শুনে চোখে অন্ধকার দেখতে পারিনা..
:মানে ?
: মানে ঘুমাতে পারিনা আর কি। একটা গাঢ় ঘন ঘুমের জন্যে প্রথমে চাই মিষ্টি একটা স্বপ্ন তার পর নিকষ অন্ধকার!
: এরকম জড়াইয়া জড়াইয়া কথা বলো ক্যান ? আমি এখন ঘুমাবো সকালে হেকমতুল্লাহ স্যারের বাসায় যাবো সাজেশান আনতে
:ইসস...রোম্যান্টিক অ্যাটমোসফেয়ারটা একেবারে পাটাপুতা দিয়া পিষা মারলা,
কোথায় বদরুলের প্রেম আর কোথায় হেকমতের নোট
: রাখলাম
:এই এই এই অ্যামন জান সবে তো বাজে 12টা..আরও কিছুক্ষন চলুক আজকের সম্ভাষণ
ধুম ! ধুম! দরজায় শব্দ..অরু অরু..
:অ্যাই মা ডাকছে ভাগো আজকে
৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ৯:০২
অতিথি বলেছেন: সরি মূদ্রণ প্রমাদ :
''অ্যামন কোরোনা জান''
৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ১০:০২
লুনা রুশদী বলেছেন: উফ! বাঁচা গেলো। এই ছাগলকে নিয়ে ভালো ঝামেলা হয়েছে। এই লোকের সাথে দুইএকবার আইআরসি তে কথা হয়েছিল, তখন তো বেশ ভালো একটা নিক নিয়েছিল - মুখফোড়। বেশ বুদ্ধিমান বুদ্ধিমান নাম। তারমধ্যে সেদিন কথাবাতর্াও বেশ জমাটি বলছিল। তাই ফোন নাম্বার দিতে আপত্তি হয় নাই। আসল নাম যে এইরকম ক্ষ্যাত কে জানতো? - বদরুল, নামের মধ্যেই বদ আছে।
আর রিসিভারের মধ্যে ওই বাজে চুমুর শব্দ! মনে হয় একগাদা থুথু ঢেলে দিলো গায়ের মধ্যে। ছিঃ ! অরুণিমার ফোনের প্রেমিকদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর চুমু খায় শিহাব। কি নরম, মিষ্টি!
দরজায় এখনো নক করছে আম্মা! চোখে একটু ঘুম ঘুম ভাব ফুটিয়ে তুলে, একহাত দিয়ে চোখ কচলাতে কচলাতে দরজা খুললো অরুণিমা। কিছু বলার আগেই আম্মা অনেক কিছু বলে ফেললো -
- কিরে অরু, এইরকম গরুর মতন দাঁড়িয়ে আছিস আর এদিকে যে কান্ড ঘটছে একটা খবর আছে তোর?
- কি হইছে?
- আরে নীচের তলার ফারহানার চাচাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না গতকাল থেকে।
আজকে ওদের বাসায় একটা চিঠি এসেছে, রাত 11টার সময় একটা টোকাই এসে দিয়ে গেছে চিঠি। ওইটা নিয়ে হুলস্থুল! চিঠির নাকি একটা শব্দও বোঝা যাচ্ছেনা, কি সব কোড লেখা, আর কাগজের মধ্যে ফাহিমের একগাছি কাটা চুল।
- হায় হায়! তোমরা জানলা কিভাবে?
- ফারহানা বলে গেলো। তোর আব্বাতো গেল ওদের বাসায়, চল আমরাও যাই।
..
৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সকাল ১১:০২
অতিথি বলেছেন: ওই হিমু .....তুমি কই??
৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সকাল ১১:০২
:) বলেছেন: সুমন : হিমু আসার আগে একটু কাহিনীটা আগায় নেন না !
১০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সকাল ১১:০২
অতিথি বলেছেন: না না আগে এক রাউন্ডঘুরুক.....নিমাই চলবে )
১১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সকাল ১১:০২
:) বলেছেন: আবার জিংগায়....
১২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সকাল ১১:০২
অতিথি বলেছেন: ভালোইতো জমছিলো, কিন্তু হিমু হালায় গেল কই? অর তো পেরেম টেরেম করার কথা না। মনে অয় চান্দেরে খাইতে বাইরে গেছে। কিন্তু ফুলিশ ধরবো তো...!! তহন গপপ লেগবো কেঠা???
১৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সকাল ১১:০২
অপ বাক বলেছেন: এটা সিরিজ গল্প হয়ে যাচ্ছে, ফিসফাস পর্যায়ে নাই রে ভাই।
১৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ দুপুর ১২:০২
হিমু বলেছেন: (ওরে খোদা, দেরি করে ফেললাম! সরি গুরু।)
অরুণিমা অন্যমনস্ক হয়ে বলে, "যাই।" মা খেয়াল করেন না অনেক কিছুই, তাড়াহুড়ো করে বেড়িয়ে যান।
অরুণিমা আয়নার সামনে এসে দাঁড়ায়। টিমটিম বাতি জ্বলছে ঘরে, একপাশ থেকে আলো এসে পড়েছে তার গায়ে। আবছায়ায় ঢুলুঢুলু চোখে দাঁড়িয়ে সে, তার চোখের নিচের কালি অন্ধকারকে আরো গাঢ় করে দিচ্ছে।
ফারহানা। দেড় বছর ধরে ফারহানার সাথে বাক্যালাপ নেই অরুর। দেড় বছর আগে, যেদিন প্রথম শিহাবের সাথে ফারহানাকে দেখেছে অরুণিমা, সেদিন থেকেই কী একটা কাঁটা বুকে বিঁধে আস্তে আস্তে বেড়েছে। শিহাব, দুষ্টু মিষ্টি শিহাব, পারলো এভাবে আমাকে ছেড়ে ফারহানার মতো একটা ধান্ধাবাজের সাথে গোয়েঠে ইনসটিটুটে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের সন্ধ্যায় যেতে?
বেশ হয়েছে ফারহানার লুচ্চা চাচাটাকে পাকড়ে ধরে নিয়ে গেছে। হারামজাদা বদমায়েশটা সারাদিন ঘরে বসে থাকে, আর আমাকে দেখলেই বিশ্রী চোখে তাকিয়ে থাকে, আমাকে চোখ দিয়ে চাটে, ভাবে অরুণিমা।
আবার পিঁ পিঁ করে সুর বেজে ওঠে অরুণিমার মোবাইলে, অরুণিমার আবছায়ায় পড়ে থাকা চোখ জ্বলে ওঠে। বদরুলের কি সামান্যতম আক্কেলজ্ঞান নাই?
কিন্তু ফোন তুলে সেখানে ভেসে ওঠা নামটা দেখে অরুণিমার বুকে যেন ঠান্ডা একটা হাওয়া খেলে যায়! কী চায় শিহাব এতো রাতে, এতো রাত পর?
...
(এর পর কে খেলবেন? আর তেলাপোকা ভাই, আমি আপনার বাবার বয়সী, হালাটালা নই)
১৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ দুপুর ১২:০২
অপ বাক বলেছেন: মসজিদের পাশে দাড়িয়ে অরুনিমা কথা শুরু করে, সামনে বহুজাতিক বিজ্ঞপনের আলো,
কি দরকার তোমার, কেনো এত দিন পর এই হঠাৎ খবর নেওয়া?
অনেক দিন পর ফিরলাম তোমাদের শহরে, এখানে এসে জামশেদের কাছ থেকে পেলাম তোমার মুঠোফোনের ঠিকানা, অনেকদিনের পরে শুধু জানতে ইচ্ছা হলো কেমন আছো, তাই কথা বলা অন্য কিছু নয়।
কোথায় ছিলে এত দিন, কোন চুলায়? নিরুদ্দেশে যাওয়ার আগে খেয়াল ছিলো না, আমি অপেক্ষায় আছি?
শহরের যান্ত্রিকতায় মগজের মরচে পড়েছিলো, সেখানে তাজা হাওয়ার পরশ লাগাতে ছিলাম সিরাজগঞ্জ, যমুনার পাড়ে বসে কিংবা নৌকায় কিংবা সমু মিয়ার চায়ের দোকানে, সব সময় তওমার কথা ভেবেছি, বিশ্বাস না হলে কিছুই বলার নেই। আর তুমি যখন ইউনিভার্সিটি ছিলে সেই তোমাকে মেলাতে পারছিলাম না
চাকরিজীবি তোমার খোলসের ভেতরে। তাই নিজের সাথে বোঝাপরা করতে ছুটি নিয়েছিলাম। তারপর শুনলাম তুমি রেশাদের সাথে ঘুরছো, ভাবলাম খোসা ছাড়ানোর মতো তউমি আমাকে বিসর্জন দিয়ে নতুন ভাবে শুরু করতে চাইছো সব, তাই গত 2 বছর যোগাযোগ রাখি নি।
হঠাৎ সশব্দে ব্রেক কষলো একটা মিনি বাস, একটা আর্তচিৎকার, রক্তপিপাসু বাঙালি সন্তানদের সদর্প ধাওয়া, মসজিদের পাশ থেকে কিছু লোক অজু ফেলে দৌড় দিলো সেদিকে।
১৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ দুপুর ১২:০২
অতিথি বলেছেন: ভাই অপবাক , অরুণিমা কিনতু স্কুলে পড়ে, সামনে প্রিটেস্ট পরীক্ষা ।
১৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ দুপুর ১২:০২
অপ বাক বলেছেন: সরি...... ফিসফাস বলে কথা। যেভাবে ইচ্চা সাজানো যাবে ভাবছিলাম।
১৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ দুপুর ১২:০২
অপ বাক বলেছেন: এটাকে অবশ্য ম্যাজিক রিয়ালিটির দোহাই দিয়ে শুদ্ধ করা যায়, দেশ কাল এসবের নিয়মনীতি গুড়িয়ে দিয়ে...................
১৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ দুপুর ১২:০২
অতিথি বলেছেন: হুমমম...............
২০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ দুপুর ১২:০২
হিমু বলেছেন: অপু ভাই, আবার লিখেন। মুখফোড় মিয়ার তো খবর নাই।
২১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ দুপুর ১:০২
অপ বাক বলেছেন: ভাই সংশোধনি দিয়া লিখি। গল্পের গরু তো আকাশে উঠালে চলবো না।
২২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ দুপুর ১:০২
অতিথি বলেছেন: চলুক। এখন সবই হালাল ।
২৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ দুপুর ১:০২
অপ বাক বলেছেন: এর 6 বছর আগে ঠিক এভাবেই শিহাবের সাথে কথা হয়েছিলো একবার। তখন এইচ এস সি প্রিটেষ্ট চলছিলো। সে রাতে শিহাব ফোনে করেছিলো 14 মাস পর। তখন প্রতিটা দিনের হিসাব রাখতো অরুনিমা। অভিমান ছিলো অনেক, অনেক অভিযোগ ছিলো জীবন নিয়ে। একটা মৃতু্য বোধ ,অনিশ্চয়তা ঘিরে ছিলো ওকে গত 14 মাস। কিভাবে পারলো শিহাব এমনটা করতে?
জেমসের "দুঃখওয়ালা" গান সিডিতে চাপিয়ে কথোপকথন শ ূরু করলো।
২৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ দুপুর ১:০২
অপ বাক বলেছেন: সুমন ভাই এস এস সি বেশি কম হয়ে যায়, 2 বছর বাড়াইয়া দিলাম,
২৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ দুপুর ১:০২
অতিথি বলেছেন: গানের শব্দে অন্তত বাইরের হাউকাউ একটু কম কানে আসবে।
ঃতারপর বলো ফারহানার সাথে কেমন চলছে ?
ঃ আরে ধুর! কোন দুঃখে যে তোমাদের বাড়ীওয়ালার মেয়েকে নিয়ে মজেছিলাম ! হ্যা...ফিগারটা মন্দ না কিন্তু ভিতরে কিন্তু ভিতরে কিসসু নেই...
ঃ খবরদার এরকম বিশ্রী করে কথা বলবা না
ঃ আরে আরে চ্যাতো কেন....জমাই
ঃ থাকো তুমি তোমার জমানো নিয়ে
ফোন রেখে দেয় অরুনিমা.....
এরকমই ছিল শিহাব । ওর ফোনে র জন্যে মোবাইল মুঠো করে ঘুমতো একসময়..এতসব চুড়ান্ত অশ্লিতার পরও
২৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ দুপুর ২:০২
অতিথি বলেছেন: অরুণিমা সেই রাতটার কথা ভোলেনি অন্য কারণে। শিহাব নয়, বদরুল নয়, ফোন এসেছিলো দিলদারের কাছ থেকে।
দিলদারকে একবারই দেখেছিলো অরু, বান্ধবী রুক্সানার বড় বোনের বিয়েতে। দিলদার দেখতে মন্দ নয়, বরং বেশ ভালোই, ঠা ঠা করে হাসে, ভুল সুরেও গান গেয়ে যাওয়ার সাহস আছে, মেয়েদের হাত দেখে বেড়ানোর জন্যে তার বুকপকেটে একটা আতশ কাঁচ থাকে।
অরুণিমাও হাত দেখে দেবার বায়না করেছিলো, ঝানু দিলদার তাকে আপাদমস্তক খুঁটিয়ে দেখে হেসেছিলো চেশায়ারবিলি্লর মতো করে। তারপর হাত উলেটপালেট দেখে কী বুঝেছিলো সে কে জানে, আলগোছে একটা কার্ড গছিয়ে দিয়েছিলো অরুণিমার হাতে। ওর মোবাইল নাম্বার আছে ওখানে।
অরুণিমা একদিন এমনিই আনমনা হয়ে ফোন করেছিলো, কিন্তু দিলদার সেদিন কী একটা কাজে ব্যস্ত ছিলো, হাঁপাচ্ছিলো বেচারা, শুধু বলেছিলো, আমি পরে ফোন করবো তোমাকে।
আর তারপর, অনেকদিন পর, সে রাতে, সে মাঝরাতে এসেছিলো দিলদারের ফোন, "কেমন আছো রুনি?"
অরুণিমা ধাক্কা খেয়েছিলো, রুনি আবার কোন হারামজাদী? কিন্তু দিলদার বুঝিয়ে দিয়েছিলো পরক্ষণেই, শুরুর অ আর শেষের মা ছেঁটে সে মূর্ধ্য ণ কে দন্ত্য করে নিয়েছে, আর নামটাকে ফুল থেকে কলি বানিয়ে নিয়েছে, রুনি।
অরু খিলখিল করে হেসে বলেছিলো, "অ মা! আপনি এতো দুষ্টু?"
.. ..
(ভাই, খ্যালেন কে খেলবেন।)
২৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:০২
অতিথি বলেছেন: প্রশ্রয় পেলে বাঁদর মাথায় উঠে। আর দিলদার খিলখিল হাসিকে সম্মতি ধরে নিয়েই পালটা প্রশ্ন করে, দুষ্টামির দেখেছো কি? টসটসে টমেটো তুমি?
বিশেষ মনে নেই এরপর আরও কি কি বলেছিলো দিলদার। শুধু মনে আছে গা ঘিংহিনে একটা অনুভুতি নিয়ে কাপতে কাপতে বিছানায়?
ভয় হয়েছিলো? না বোধ হয় এই অনুভুতিকে ভয় বলে না? ঘৃনা কিংবা অসহায়ত্ব কিংবা কোনো এক শিরোনামহীন অনুভুতি এটা।
চোখে মুখে পানি দিয়ে অনেকক্ষন বাবা- মায়ের ঘরের সামনে দাড়িয়ে ছিলো, পরে গভীর রাতে কেনি জি ছেড়ে কেঁদেছে। ঘুম এসেছিলো, দুস্বপ্নের তাড়া খেয়ে বারংবার মনে হয়েছে মানুষ এত ঠুনকো কেনো? বদরূলের কামুক চুম্বনের শব্দ বা শিহাবের হালকা রঙ্গমেশানো অশ্লিলতা এমন হীনতার অনুভুতি দেয় না, হয়তো খানিকটা চেনা বলেই,
সকালে নাস্তার টেবিলে বাবার সস্নেহ উদ্্বেগ
মামনি কি হয়েছে, ড়াতে ঘুমাওনি?
পরীক্ষাকে ভয় পেলে চলে?
ইচ্ছে হয়েছিলো বাবার বুকের ভিতরে লুকিয়ে থাকে কিন্তু মানুষেরও সীমাবদ্ধতা থাকে।
২৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:০২
অতিথি বলেছেন: শালার ফোনেটিক এ র চেয়ে মাউস চেপে লেখা ভালো, যাই হোক বল পাস দিলাম কে ধরবে??
২৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০২
লুনা রুশদী বলেছেন: ট্র্যস একদম! বইটা বন্ধ করে উঠে দাঁড়ান ইলোরা জামান। এর নাম উপন্যাস? মাথা নেই মুন্ডু নেই। শুরু হলো বদরুলকে দিয়ে, কিন্তু পরে আর সে বেচারার কোন খবরই নাই, এসএসসি পরীক্ষার প্রিটেস্টের আগেই নায়িকা হঠাৎ মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রেম করা শুরু করলো - কিয়ের মধ্যে কি! আর লেখকের ছদ্মনামের কি ছিরি! মুখফোড় অপবাক। আর অর্থই বা কি এইনামের? অপবাক বলে কোন শব্দ আছে কিনা আল্লাই জানে! লেখা পড়ে ইচ্ছা হয় মুখফোড়ের ফ এর মাথায় একটা চন্দ্রবিন্দু জুড়ে দিতে, তাহলে আর সেলাই করা মুখ থেকে অপবাক বের হবেনা।
যাইহোক এই জিনিষ পড়ে সময় নষ্ট করার কোন মানে নাই। অবশ্য নষ্ট করা ছাড়া আর কি করবেন এই বেহুদা সময় নিয়ে ভেবে পাননা ইলোরা। কয়েক মাস আগে তাদের ডিভোর্সটা পাকাপাকি হয়ে গেলো। তার আগেও আলাদা থাকছিলেন একবছরেরও বেশী, কিন্তু তখন আরো দুই মহিলার সাথে একটা ফ্ল্যাট শেয়ার করছিলেন অকল্যান্ড সেন্ট্রালে। গল্পে, ঝগড়ায়, রাগারাগিতে সেই দিনগুলিও ভালোই কেটেছে। কিন্তু কি ভুত সাওয়ার হলো মাথায়, নিজের মতো করে থাকার ইচ্ছা হলো।
আর তাই এই ইডনিটটা কিনে ফেলেছেন একটা শহরতলি মতো জায়গায়। খুব নিরিবিলি। সামনে একটা ইট বাঁধানো ছোট কোর্টইয়ার্ড। আর একদম গেটের কাছে একপাশের বেড়া বেয়ে উঠছে মাধবীলতার ঝাড়। সুন্দর গন্ধ খুব। গত সপ্তাহে দুইটা কিউই ফ্রুটের গাছ কিনে লাগিয়েছেন অন্য পাশের বেড়ার সামনে। হয় কিনা কে জানে। কিউয়ি খুব ঠান্ডার ফল, সাধারণত ক্রাইষ্টচার্চ এর জন্য ভালো লাগা। অকল্যান্ডেও যদিও প্রচুর শীত পড়ে শীতকালে, গরমে বেশ ভ্যাপসা গরমও হয়।
বেশ শান্তি শান্তি আছে বাসাটা। আর একদম শেষের ইউনিট বলে আলপটকা রাস্তা থেকে কেউ চলে আসে না বাড়ির ভেতরে। মাঝে মাঝে শুধু একটা বেড়াল আসে। চক্রবক্রা ট্যাবি টরটইসশেল। কাঁচের দরজার ওইপাশে দুই পায়ের উপরে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে খেলা দেখায়। ভালো লাগে।
তবে এর মধ্যে এক বিপত্তি হয়েছে। এমনিতে তাঁর বাড়ীর বেড়াতে কোন রঙ নেই। হঠাৎ একদিন অফিস যাবার পথে দেখলেন বেড়ার একটা কাঠে কে যেন সাদা রঙ দিয়ে গেছে।
কাউকে এদিকে যেতে আসতেও দেখেননি তিনি। অবশ্য তার বাড়ীর সাথে লাগোয়া একটা ঝোপঝাড় মতো জায়গা আছে, কেউ যায়না সেখানে। ইলোরাও যান নাই। কালকে রাতে মনে হলো ফিসফিস মতো কথাবাতর্া শুনছেন। আবার ঘুমের ঘোর মনে করে পাত্তা দেন নাই। তবে বেড়ার সাদা রঙ আর কাল রাতের ফিসফিস মিলে একটা কেমন অসস্তি হচ্ছে ঠিকই।
তখনও ইলোরা বুঝতে পারেন নাই কি ভয়ঙ্কর সময় রয়েছে সামনে!..
...
৩০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০২
অতিথি বলেছেন: আফা নিউজিল্যান্ডে বনবাস দিলে তো বিপদ, এখন কেমতে বাংলাদেশে ফেরোত আনা যায় সেইটা কন?
৩১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ৮:০২
লুনা রুশদী বলেছেন: ভাইবা বাইর করেন ভাইজান।
ওহ বলে রাখি, টাইপ করতে ভুল হয়েছে এক জায়গায়। কিউই নিয়ে লেখার সময় একটা বাক্য বেখাপপা লাগবে - ওইটা আসলে হওয়ার কথা - সাধারণত ক্রাইষ্টচার্চ এর জন্য ভালো জায়গা
৩২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ৮:০২
হিমু বলেছেন: ইলোরা ব্যাগ গোছাতে গোছাতে নিজের কিসমতকে গালাগালি করেন। কোন দুঃখে যে কামরুজ্জামানকে ডিভোর্স দিলেন তিনি! এখন একা এই ভুতুড়ে বাড়িতে থেকে কবে ভূতের হাতে মরেন!
ব্যাগ গোছাতে গোছাতে একবার বেড়ার দিকে চোখ পড়ে তাঁর। বেড়ার দুয়েকটা কাঠ বাদামী আছে কেবল, বাকি সবক'টা কাঠে সাদা কালো রঙ করা। কেমন একটা ভুতুড়ে নক্সা ফুটে উঠেছে বেড়ায়, ইলোরার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।
ফিসফাস কথাগুলো হপ্তা ভরে শুনতে হয়েছে তাকে। ভাষাটা ঠিক ধরতে পারেননি ইলোরা। একবার যেমন মনে হলো কেউ বলছে, আঁরে তুই হাগ্গল হাইছৎনি। ইলোরা ইংরেজি জানেন, বাংলা জানেন, হিন্দিফিল্মের অন্ধভক্ত কামরুজ্জামানের পাল্লায় পড়ে সিনেমা দেখতে দেখতে হিন্দিও শিখে ফেলেছেন খানিকটা, কিন্তু এই অদ্ভূত ভাষা তিনি জানেন না।
কোন ঝুঁকি নিতে রাজি নন ইলোরা। আজই বাড়ি তালা দিয়ে চাবি মালিককে বুঝিয়ে দিয়ে তিনি কিছুটা দিন কাটিয়ে আসবেন বাংলাদেশে। শ্রীমঙ্গলে এক চায়ের বাগানে তাঁর ছোট ভাই হেকমৎ ম্যানেজার, ওর ওখানে মাসখানেক থেকে তারপরে ফিরবেন। যাবার আগে পুলিশের কাছে একটা বিশদ অভিযোগ ঠুকে যেতে ভুলবেন না।
কিউয়ি ফল আর মাধবীলতার কথা ভেবে ইলোরা জামানের মন খারাপ হয়। কিন্তু মনে মনে ভাবেন ছেলেবেলায় পড়া পরশুরামের গল্প, আপনমনেই বিড়বিড় করেন, রহিবে পিতার নাম আপুনি বাঁচিলে!
.. ..
৩৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ১০:০২
অতিথি বলেছেন: আহ ঢাকা দেখা যাচ্ছে, কী বদলে গেছে শহরটা। সবুজ রঙের যেনো আকাল পড়েছে, আকাশ থেকে জানালা গলে চোখ টানে না আর, দৃষ্টিটা ক্যামন ধাক্কা খেয়ে ফিরে ফিরে আসে। অথচ লাল-সবুজের বাংলাদেশ নিয়ে গর্বে মাটিতে পা পড়ে না ইলোরার, নিজেকে তিনি সান্তনা দেন, হয়তো এখন শীতকাল বলে প্রকৃতি ধূসর, আবার মনে মনে হিসেব মিলিয়ে দেখেন, নাহ শীতকাল তো নয়, তাহলে? তাহলে কি তার মনের ভেতরই জমাটি শীত মোটা কাঁথায় নিজেকে মুড়ে আছে? হতে পারে, নিজের ওপর দিয়ে ঝড়টা তো কম গেলো না। ঝড়ো হাওয়ার প্রতিটি দমকা তিনি একাই সামলেছেন।
আজকাল প্রায়ই মনে হয়, যদি একটা বাচ্চা থাকতো তাহলে কী হতো? কী করতেন তিনি? পারতেন কী এতো সহজে কামরুজ্জামানকে ছেড়ে বেহুলার মতো একা একাই ভাসিয়ে দিতে ভেলা?
সত্যিইতো, শুধুমাত্র সন্তানের কথা ভেবে কতো মেয়েকেই তো সয়ে যেতে হয় নরকযন্ত্রণা, সন্তানকে পিতার স্নেহ থেকে বঞ্চিত না করার অজুহাতে আজীবন আপোষ করতে হয় আপন সত্ত্বার সঙ্গেই। ইলোরা ভাবেন, ততোক্ষণে ঢাকার মাটি ছুঁয়েছে আকাশজান।
আহ আকাশবালিকার গলার স্বরটিও কী মিষ্টি লাগছে, অথচ এই দীর্ঘ পথে যতোবার ওর কথা কানে এসেছে ততোবার ইলোরার মনে হয়েছে, ইস মেয়েটির গলার স্বরটা কী কর্কশ, মানুষের চেহারার সৌন্দর্যের সঙ্গে যদি গলার স্বরটারও একটা মিল থাকতো! ইলোরার হঠাৎ করেই মনে পড়ে যায়, কামরুলের চেহারায় আলগা একটা পৌরুষীয় সৌন্দর্য আছে, যা তাকে মুগ্ধ করেছিল, অথচ ওই সুন্দরের পেছনে যে এতোটা কদর্যতা লুকিয়ে থাকতে পারে সেটা কেউ বিশ্বাসই হয়তো করবে না, ইলোরা নিজেও তো প্রথমে বিশ্বাস করতে চাননি, বরং নিজের দোষত্রুটি খুজে বের করার চেষ্টা করেছেন, তারপর অনেক পথ পেরিয়ে, মেনে-মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টার সাধ্য অতিক্রম করে তিনি ফিরে এসেছেন।
আহ আবারও কামরুল? এই লোকটা কি ওর পিছু কোনওদিনও ছাড়বে না? ইলোরা জোর করে নিজের মন থেকে ওই সৌন্দর্যের পেছনে নোংরা থিকথিকে কাঁদা ঝেড়ে ফেলে গট গট করে বেরিয়ে আসেন বাইরে, সোনাঝুরি রোদে হাসছে ঢাকা...নাহ আকাশ থেকে যতোটা ধূসর মনে হয়েছিল ততোটা ধূসরতা তো দেখা যাচ্ছে না, বরং সবুজে সবুজে ছয়লাব চারিদিক, যেনো গাঢ় সবুজ পাতায় পড়ে থাকা চলকে চলকে পড়া রোদেলা.....
৩৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ১:০২
আকাশনীলা বলেছেন: আজ রাতটা নাহিন এর ওখানে কাটিয়ে সকালে সিলেট এর ট্রেনে।টগ্গি পেরিয়ে আসার পর চার দিকে সাবুজ আর সবুজ।রেল লাইনের দুপাড় ধরে ধান
ক্ষেত।জানালা জুরে বাতাসে টানা টানি, মেলে ধরতে ইচ্ছে হচ্ছে সব।চুলগুলু খুলে দিয়ে অনেক নির্ভার লাগছে তার।
এখন বর্ষা কাল। এমনি বর্ষার দিনে সবুজ প্রান্তরে হারিয়ে গিয়েছিল একদিন ।সারা দিন হেটে বেড়িয়েছিল এই গ্রাম থেকে ঐ গ্রাম। এতটুকু ক্লান্ত লাগেনি। বিকেলের আলো ফুরিয়ে এলে , এসে বসেছিল এক রাস্তার ঢালে। পিছনে এমনি ধানক্ষেত, ঢাল বেয়ে নিচে নেমে গেলে নাদী, নদীর ওপাড় মিশে আছে ওপাড়ের রাস্তার ঢালে।
তার কত গ্লল্প। যা বলে তাতে ই হাসি আসছিল। ভুলে গিয়েছিল কোন সকালে বাসা থেকে বের হয়েছিল, এখন ও খাওয়া হয়নি। রাস্তায় বড় ভাইয়াকে দেখে বাসার কথা মনে হয়েছিল।ও বলছিল কিছু বলবে না। ইলোরাও জানত কিছু বলবে না ।কিন্তু ভয় লাগছিল কেনো?
তার অনেক পর বদরুলের সাথে প্রথম প্রেমে পড়া , বিয়ে।
কেনো এখন ও ঐ একটি দিন কে ই তার নিজের মনে হয়।এখন ও চোখ বন্ধ করলে সেই হাসি, সেই বাতাসের ফিসফিসানী শুনতে পায়।
এমন একটা দিন বদরুলের সাথে ও হতে পারত, বদরুল তাকে কি দিতে পারত?
তখন ই সিদ্ধান্ত নেয়া, এবার একবারের জন্য হলে ও সেই মানুষটার সাথে দেখা করব। কোথায় খুজব.....
৩৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ১:০২
নাহিদ বলেছেন: এতো কষ্ট করে খোজার দরকার কি? হাতের মোঠোফোন দিয়ে একটু সময় নষ্ট করলাম...যদি ওর দেখা না পাই নিশ্চইয় একটা সান্তনা তো পাব. দুখিত, বদরুল মিয়া কে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না.. একটু পরে চেষ্টা করেন..ধন্যবাদ
৩৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ২:০২
অপ বাক বলেছেন: ইশ্বর কর্মকার চ্যানেল বদলান।তিনি নিয়মিত বাঙালি রমনির ইতিকথা নাটকটি দেখেন। নাট্যকার লুনা রূশদি, এই হয়েছে আজকালকার ফ্যাশন, হাবিজাবি নাম নিয়ে নেওয়া, এটা কি ঐ সালমান রূশদির সম্পর্কিত কেউ? ঐ বেটাকে তো ইরানের মোল্লারা মৃতু্য পরোয়ানা দিলো, একেও তো তাহলে কতল করার কথা। নাকি এও নামের শেষাংশ ব্যাবহার করছে জনপ্রিয়তার খাতিরে। বলা যায় না, আকাশ সংস্কৃতির যুগে ধান্দাবাজে ভরে গেছে চ্যানেলগুলো। আর নাটকটাও হচ্ছে যা ইচ্ছা তাই ধরনের, গল্পের বুনন ঠিক নেই, অনেক দিন বিজ্ঞাপনের পর শুরু হলো, প্রথমে ভেবেছিলেন বোধহয় কিশোরী মেয়েটার জীবন নিয়ে ঘটনা আগাবে, তিন পর্ব ঠিকমতো যেতে না যেতে এক ডিভোর্সি মহিলা উড়ে এসে জুড়ে বসলো। রাতের আধারে মোমবাতি জ্বেলে এ ঘর ও ঘর করছে, এই হলো নাটকের অবস্থা, বড় আশা নিয়ে দেখছিলেন, কিছুই বুঝে উঠতে পারলেন না কেনই বা ইলোরা জামানকে ধরে সিলেটে ট্রান্সপোর্ট করলেন নাট্যকার। আর কয়েকপর্ব দেখবেন, যদি এর মধ্যে জমাতে পারে নাটকটা।
আসলে বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পরে এ নাটকের দর্শক হওয়া মোটেও উচিত হয় নি। নতুন নাট্যকারদের দিয়ে নাটক লেখানোর ফল এমনই হয়। আর 30 মিনিটের স্লটে নাটক 10 মিনিট, 20 মিনিটে কত কি যে দেখায় ওরা, এত এত বিজ্ঞাপনের ভীড়ে সঠিক পন্যটা কিভাবে কেনে মানুষ?
ইশ্বর কর্মকার থাকেন সাত মহলা বাড়ীতে। চিলেকোঠার এই একটা ঘর তিনি নিজের মতো সাজিয়ে নিয়েছেন। প্রতি ফ্লোরের প্রতিটি ঘর থেকে বাথরূম পর্যন্ত তিনি ক্যামেরা লাগিয়ে পর্যবেক্ষন করেন। চিলেকোঠার দেয়াল জুড়ে হাজার হাজার স্ক্রিন, এর মাঝে একটা বন্ধ করে তিনি 41 চ্যানেলের নাটকটা দেখছিলেন। অবশ্য সমস্যা নেই, যেটুকু সময় তিনি নাটক দেখেন তা রেকর্ড করা থাকে, তিনি পরে অবসরে দেখে নেন।
এই মহলের সব কটা বাসিন্দাই ঘাঘু আসামির মতো। একটু চোখের আড়াল করিেল অনর্থ বাধিয়ে বসে থাকে।
এইতো সেদিন তিনি দুরবিনে দেখছিলেন উল্কাবৃষ্টি, রঙ্গিন আলোর ফোয়ারা আকাশ দিয়ে ছুটে যাচ্ছে, মাত্র একটা রাত তিনি ছিলেন না, এর মধ্যে 3 তলার দুই বাসিন্দা কাজিয়া শুরু করে দিলো। শুধু তাই না এক বেটা আরেক বেটার ঘরে গিয়া ককটেল ফাটায়া আসলো। ওরাতো নির্বোধ, ওদের দিয়া কি হবে, নিজের ক্ষতি যদি বুঝতো, কিন্তু তাদের ঝগড়াফ্যাসাদে তার এই প্রাসাদের ইট কাঠ কড়িবর্গা ঝুনা ঝুনা হয়ে গেলো।
তিনি প্রতি দিনই চিন্তা করেন 3 তলার বাসিন্দাদের বাসা থেকে তাড়িয়ে দিবেন, কিন্তু ওরা থাকবে কোথায় এ চিন্তা করে প্রতিবার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।
তিনি রেকর্ড করা অংশগুলো দেখা শুরু করেন.............................
এই হয়েছে আজকালকার ধারাবাহিক নাটকের বাস্তবতা,
৩৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ২:০২
অতিথি বলেছেন: চীনা ফিসফাস কোথায়। এতো ধারাবাহিক গল্প লেখা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসে মন না দিয়ে আমরা খাতা চালাচালি করতাম। আর লেখতাম মজার মজার মন্তব্য, পালটা মন্তব্য। বিশ্ববিদ্যালয় শেষে ভেবেছিলাম সেসব লেখা দিয়ে একটি বই প্রকাশ করবো। হয় নি। কোনো কোনো লেখা বেশ মজার হয়ে ওঠে।
৩৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সকাল ৯:০২
হিমু বলেছেন: ঈশ্বর কর্মকার চ্যানেল পালেট কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করার পর আচমকা একটি চ্যানেলে এসে স্থিতু হলেন। আহ। বাংলা সিনেমা। কতদিন দেখা হয় না। সেই কৈশোরে স্কুল ফাঁকি দিয়ে কবরীশাবানারাজ্জাক জর্জরিত চলচ্চিত্রগুলি গিলতেন, তিনি আর তাঁর সহপাঠী ইউনুস। আজ ইউনুস কোথায়, আর তিনি কোথায়। দীর্ঘশ্বাস ফেলেন তিনি। ইনিচ্চা! এতো এতো লেখাপড়া করে সে কি না সুদখোর কাবুলিঅলা হলো।
ইউনুসের চিন্তা মাথা থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে বাংলা সিনেমায় মন দ্যান কর্মকার। কিন্তু ক্রমে তাঁর চোয়াল ঝুলে আসে।
নায়িকার চরিত্রে যে বিশালবক্ষা মেয়েটি, সে পুকুর পাড়ে গান গাইতে গাইতে গায়ে সরিষার তেল মাখছে। সরিষার তেলের বোতলটির ওপর কড়া জুম করা হলো, দেখা গেলো সেটি নারিকেল মার্কা সরিষার তেল। দর্শকগণ জেনে গেলো নায়িকা কোকিলা নারিকেল মার্কা সরিষার তেল গায়ে মাখে। বিজ্ঞাপন। নায়িকা কোকিলার শরীরের অনাবৃত তেলসিক্ত অঞ্চলগুলির ওপরও ক্যামেরার মনোযোগী চোখ ঘোরাফেরা করে কিছুক্ষণ। গোসলই তো করবেন, তাই কোকিলা অন্তর্বাসের পরোয়া করেননি, ফিনফিনে পাতলা শাড়ি পেঁচিয়েই ঘাটে চলে এসেছেন।
কিন্তু অতর্কিতে সেই পবিত্র কর্মটিতে বাধা পড়ে জনৈক গুম্ফবানের বেরসিকতায়। মুহুহুহুহু মুহুমর্ূহু হাসিতে মাঠঘাট প্রকম্পিত করে ভিলেন গজনফর এসে কোকিলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গে হস্তক্ষেপ শুরু করে। কোকিলার পছন্দ হয় না ব্যাপারটা, সে ছটফট করতে থাকে, তার হাতে এখন অনেক কাজ, আরো অনেক স্থানে তৈলমর্দন বাকি, তাকে নাইতে হবে, তারপর বাড়ি ফিরে ভাত খেয়ে অভিসারে বেরোতে হবে নায়ক গেলমান খানের সাথে, গজনফরের লাম্পট্যে তার দেরি হয়ে যাচ্ছে।
গজনফর তার বহুদিনের ভিলেনি জীবনের শিক্ষায় পোক্ত, সে নিপুণ হাতে দুয়েক টানেই সেই ফিনফিনে শাড়ির শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে কোকিলাকে, কিন্তু দর্শকদের অনেকদিনের মনস্কামনা পূর্ণ হতে না হতেই কোকিলা ডুব দেয় গলাজলে। সেই কাজলকালো পুকুরের কাকচক্ষু জলে কোকিলার অনেক কিছুই হারিয়ে যায়।
গজনফরও যখন তার পরিধেয় লুঙ্গিটিকে মালকোঁচা মেরে কোকিলার ধারেকাছে ডাইভ দেয়ার উদ্যোগ করছে, মনে হচ্ছে আজ সে কোকিলাকে নিজের হাতে গোসল না করিয়ে বাড়ি ফিরবে না, এমন সময় আবারও চারিদিকের স্থানকালপাত্র প্রকম্পিত হয়ে ওঠে এক ভীষণ গর্জনে। হারেরেরেরেরেরে বলে তেড়ে আসে কচি নায়ক গেলমান খান, তার এখনও মোচ ফোটেনি, শরীরটিও লিকলিকে, কিন্তু হাতের পাকা বাঁশের লাঠিটি বলে দিচ্ছে আজ গজনফরের কপালে দুঃখ ও ব্যান্ডেজ রয়েছে।
গজনফরের আর পুকুরে ঝাঁপ দেয়া হয় না, সে কোত্থেকে একটা বাঁশের লাঠি যোগাড় করে ঝাঁপিয়ে পড়ে গেলমান খানের ওপর, প্রচন্ড লাঠালাঠিতে ফুলকি ছুটতে থাকে আকাশে বাতাসে, কোকিলা ছোট হাতে বড় বক্ষ ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা করে এবার কোমরপানিতে উঠে এসে দুই কামেলের লাঠির লড়াই দেখতে থাকে। দর্শকরা রূদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করতে থাকে, কখন গেলমান একটি নিপুণ বাড়ি বসিয়ে দেবে গজনফরের মস্তকে, আর কোকিলা হাত খুলে হাততালি দিয়ে উঠবে, অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারি হবে আপামর সিনেমাখোরের।
.. .. ..
৩৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ৮:০২
অতিথি বলেছেন: আরে ধুর ! এতক্ষন মারামারি দেখতে ভাল্লাগে ? এই জন্যেই দেশের কিছু হচ্ছেনা..গ্লাসে চুমুক দিলেন ঈশ্বর বাবু। আরে ধুরো..এবার রীতিমত বিরক্তি নিয়ে গ্লাস রেখে দেন। দশর্ণায় এত বড় একটা ইন্ডাস্ট্রী করেছে এতলেককে বেতন দিচ্ছে...শালার হুইস্কি বানাতে শিখলোনা এখনও । এর থেকে আমাদের সময়কার নীলক্ষেতি বাংলাও ভালো ছিল..কত রথী মহারথীর সাক্ষাত মিলতো সেই অস্থায়ী শুড়ি খানায় ! ক্ষুদ্র মোহাম্মদ রকিবুল্লাহ, মনোয়ার হোসেন...নায়করাজ সাজ্জাদ.....মন পড়েছে ছবিটার কথা.....কি যেন নাম...হ্যা ভড়ংবাজ....হেভি একটা গানছিল :
শিকারী শিকার খোজে-
বোতলে মাতাল!
লাইটপোস্ট তুমি খোজ কারে...
আমি কিছু বলব না..সং পথে চলবো না...
হঠাৎ শোকেজের কাঁচে নিজের অস্পষ্ট ছায়াচিত্র দেখে চমকে ওঠেন শ্রীঈশ্বর কর্মকার.......নিন্দিত কেরুই কি তবে নন্দনকাননের রসময় রমণীয় পথ দেখাবে ?
৪০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সকাল ৯:০২
অতিথি বলেছেন: গজনফর ততক্ষণে ভূপাতিত এবং কোকিলা যথানিয়মে সেঁটে গেছে গেলমান খানের সিনায়................'সিনায় সিনায় লাগে টান..........সিনায় সিনায়'..সোফার উপরেই ঢলে পড়েন ঈশ্বর কর্মকার...পড়ে থাকে মেদবতী নায়িকার কূচযূগশোভিত চালচিত্র, বোতলে পেগ খানেক কেরু এন্ড কোং আর তার সহপাঠী ইউনুস.....
৪১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ বিকাল ৪:০২
অতিথি বলেছেন: জাগো বাহে কুণ্ঠে সবাই !!!!!
৪২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০২
অতিথি বলেছেন: কি ব্যাপার? কেরু শুইনা সব ভাগলো নাকি?
৪৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০২
অপ বাক বলেছেন: মুখফোড় কোথা বাছা দুধ খেতে গেলে? নাকি তোমার উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাওয়া তহবন ধুচ্ছো গঙ্গা জলে??
৪৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০২
অতিথি বলেছেন: কেউ খ্যালে না ক্যান? ঘটনা কী? অপু ভাই খ্যালেন না আপনি! আমি গঙ্গাজলে তহবন মাইজা আসি।
৪৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০২
অতিথি বলেছেন: এখন না রাসেলের ল্যাখার কথা ?
৪৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ৮:০২
অতিথি বলেছেন: লুনা রূশদির টার্ন ছিলো?
বেচারা কি মনের দুখে বনবাসে গেলো?
৪৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ৮:০২
অতিথি বলেছেন: এর ই মাঝে কেটে গেছে থুককু রাত নেমেছে বলে অনেক আগে একটা গান ছিল। অরু সেই গানটা খুব শুনতো তখন। কলি বয়ষ বলে কথা। এর মাঝে কত বদরুল, কামরুল, জামরুল, ভীমরুল জীবনে আসলো আর গেলো, তার ইয়ত্তা নেই। এমন কি মিষ্টি শিহাব এর দুষ্ট কথাও কোথায় চলে গেল বাবার পছন্দের বাতেন কে দেখার পর। মানুষ এত ভদ্্র আর অমায়িক হয় অরুর তা জানা ছিলনা। জানবেই বা কেমনে? ও কি আর তেমন মানুষের সাথে মিশতে পেরেছে? সব গুলাই তো ঢুতুরা ফুলের মত ছিল, অথচ তাকে ফাসাবার জন্ন তখন কত মিষ্টি মিষ্টি কথা।
আচ্ছা ঐ বেটা কেমন আছে, সারাক্ষন পাগলা পানিতে ডুবে থাকতো আর দেশ ও জাতির ফিউচার নিরুপন করতো। কি জানি নামটা চান্দুর...ও হে, মনে পড়েছে, ইশ্বর বাবু। নামটা এরকম হলে কি হবে, শালা একটা ভন্ড বাবু। আমাকে প্রথম দেখাতেই টেরা চোখে টিপ মারলো? আমি ও মা কা বেটি, কম পানি কি খাওয়াইছি... হে হে হে...
পুরনো দিনের 'ইন্টারনেট' এ এরকম সার্ফিং করতে করতে হঠাৎ ই কলিং বেল এর শব্দে আৎকে উঠে অরু। এ সময় আবার কে এল? রাগে গজগজ করতে করতে এগিয়ে যায় দরজার দিকে মিসেস আরুনিমা বাতেন...।
৪৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ৯:০২
অতিথি বলেছেন: বাতেন সাহেব মনে মনে গাল পাড়েন, উল্লুক মেয়েলোক। সারাটা দিন মোবাইল লইয়া প্যাকের প্যাকের কইরা কান দুইটার বারোটা বাজাইছে। বেল টিপি হুনে না।
অরুণিমা দরজা খুলতেই বাতেন সাহেব মিষ্টি হাসেন, "অরুমণি, কী করছিলে?" ভাষার ব্যাপারে বাতেন খুবই সচেতন, প্রমীত ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করেন, তবে ভাবনার কাজটা সারেন ভানর্াকুলারে।
অরুণিমা কিছু বলেন না। বাতেন সাহেব দুপদাপ করে শোবার ঘরের দিকে এগিয়ে যান।
কাজের মেয়ে রাখেন না অরুণিমা। একটু কষ্ট হয়, কিন্তু অনেক হুজ্জত থেকে বাঁচা যায়।
বাবার পছন্দে এই লুচ্চা বাতেনকে বিয়ে করে কী যে একটা অভিশপ্তজীবন কাটাচ্ছেন অরুণিমা। এরকম পাঁড় লম্পটকে বাবা কী দেখে পছন্দ করেছিলেন কে জানে? সবসময় তো বাংলা একাডেমীর ভাষায় কথা বলে, আদবকায়দা দেখে মনে হয় নিষ্কাম সাধু, কিন্তু ব্যাটা লোচারাম এতো পাজি যে অরুণিমা গত দশবছরে বাড়িতে কোন বুয়া রাখেননি। ভুক্তভোগী কয়েক বুয়াকে চুপিচুপি বিদায় করার পর তাঁকেই এখন ঘরের সমস্ত কাজ সামলাতে হয়। বাতেন মাঝে মাঝে মিষ্টি করে বোঝাতে আসে, তিনি তখন রক্তিম চোখে তাকান। অনেক বদরুল কামরুল শিহাব ওহাব চড়িয়ে এসেছেন অরুণিমা, ওসব মিষ্টি কথায় তিনি ভোলেন না।
শোবার ঘর থেকে বাতেন সাহেবের প্রমীত কাশির শব্দ শোনা যায়, অরুণিমা বিতৃষ্ণ মুখে রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ান।
৪৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ১১:০২
অতিথি বলেছেন: সাবাস ভাতিজা, চলুক গাড়ী যাত্রাবাড়ি
৫০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ দুপুর ১২:০২
অতিথি বলেছেন: কিন তু লুনা রুশদী নিরব কেন?
৫১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ দুপুর ১২:০২
অতিথি বলেছেন: চৌধুরী একটু আগে বাড়ান না কেন?
৫২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সকাল ৮:০২
লুনা রুশদী বলেছেন: আমি কিছুদিন অনলাইনে ছিলাম না তাই নিরব। তবে এই গল্পটা তো অনেক ঘাটের পানি খেয়ে ফেলছে অলরেডি। অন্য একটা শুরু করা যায় না?
৫৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সকাল ৮:০২
অপ বাক বলেছেন: বাতেন সাহেবের এই কাশি কোনো বাতেনি বিষয় না, অরুনিমা বুঝে এর অর্থ কি?
এখন গিয়ে সারাদিনের বৃত্তান্ত দিতে হবে,কখন খেলে কখন ঘুমালে, কেউ বাসায় এসেছইলো কিনা?
এমন সন্দেহ বাতিক লোকটার।
বিজ্ঞাপন বিরতিতে ইশ্বর কর্মকারের নেশাভ্রান্ত চোখ দেখে কুমকুম পর্দায়?
চোখ রগরে মাথা ঝাকিয়ে নিশ্চিত হতে চান, কুমকুমকেই দেখছেন নাকি এটাও স্বপ্নদৃশ্য।
কার্যত এই সাত মহলা বাড়ীতে অলস সময় কাটানো ছাড়া ইশ্বর কর্মকারের কিছুই করার নেই আর। ইয়ার বন্ধুরা যে যার জগতে চলে গেছে। জিউস, ইন্দ্র, শংকর সবাই ব্যাস্ত। ফোনেও যোগাযোগ রাখা হয় না এখন।
আর টিভি পর্দায় এই কুমকুমকে দেখলেন কিনা এটা নিশ্চিত হতে কি মোস্তাফিজকে ফোন করবেন তিনি?
কুমকুম..........................1991 এর ধানমন্ডির মাঠে, এরপর প্রবর্তনায়, তখন ইশ্বর লিখতেন হালকা দু কলম।
৫৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ বিকাল ৩:০২
অতিথি বলেছেন: এই ফিসফাস আনুষ্ঠানিকভভাবে ক্ষ্যামা দিলাম। চৌধুরী আরেকখানা ফিসফাস শুরু করেছেন, ভাইসব ও নারীগণ ঐখানে অবদান রাখেন। ধন্যবাদ সব ফিসফিসারুকে।
৫৫| ২২ শে জুলাই, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪
অতিথি বলেছেন: আবারও শুরু করতে হবে মনে হচ্ছে।
৫৬| ২২ শে জুলাই, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬
মাশীদ বলেছেন: করে ফেল।
৫৭| ২২ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১১:২৯
অতিথি বলেছেন: করেন মিয়া । কিছু একটা করা দরকার...
৫৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ রাত ১২:৪৫
অতিথি বলেছেন: এইটা আবার শুরু করা দকর্ার
৫৯| ০৩ রা জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
আরিফুর রহমান বলেছেন: খাইচে!
৬০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১২
হাসান রেজভী বলেছেন: অসাধারণ
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ রাত ৮:০২
অতিথি বলেছেন: আপনি শুরু করেন