নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আস্ সালামু আলাইকুম্

আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-)

নীল-দর্পণ

নগণ্য একজন মানুষ। পছন্দ করি গল্পের বই পড়তে, রান্না করতে। খুব ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াতে। ইচ্ছে আছে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়ানোর।

নীল-দর্পণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে ভাগ্য রক্তে বহন করে এনেছিলো মেয়েটি !

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

নিজের তিন ছেলে দুই মেয়ের মতই দেবরের মেয়ে রাণুকে নিজের মনে করেই লালন পালন করেছেন হামিদা বেগম।রাণুকে জন্ম দেবার পর পর-ই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে ওর মা। পাগল বউ নিয়ে সংসার চলেনা বলে আবার বিয়ে করান দেবরকে। ফলাফল যা হবার তাই হয়! সৎ মায়ের ঘরে ঠাঁই হয়নি ছোট্ট রাণু। ছোট্ট রাণুর মিষ্টি চেহারাও মন গলাতে পরেনি সৎ মা'র। আর রাণুর জন্মদাত্রী মার ঠাঁই হয় তার মা অর্থাৎ রাণুর নানুর কাছে!



দেবর যাতে একটু শান্তিতে সংসার করতে পারে, কোন অশান্তি না হয় তাই রাণুকে নিজের বুকে তুলে নেন হামিদা বেগম। নিজের পাঁচ ছেলেমেয়ের মতই লালন-পালন করেন রাণুকে। বরং একটু বেশী ভালবাসা সবসময় রাণুর জন্যে ছিলো, তা নিয়ে যে নিজের ছেলেমেয়েরা একআধটু হিংসে করনি তা নয়। কিন্তু এতে ভালবাসা একবিন্দুও কমেনি বরং বেড়েছে প্রতিমুহুর্তে। ভাইবোনরাও ভালবাসতো রাণুকে।



জন্মের পর নিজের মা'কে চেনেনি মেয়েটি। মা বলতে চিনেছে হামিদা বেগমকেই। আস্তে আস্তে সত্য জানতে পারলেও কখনো দুঃখ হয়নি। কেননা চাচী; যে কিনা তার মায়ের ভুমিকা পালন করেছেন স্বেচ্ছায়, তিনি কখনই তাকে মায়ের অভাব বুঝতে দেননি। একসময় বাবাও তাকে নিতে অস্বীকার করে। কখনো কখনো কষ্ট যে লাগেনি তা নয় কিন্তু সেই অভাবও বোধ করেনি।



দুরন্ত শৈশব, উচ্ছল কৈশোর পেরিয়ে সদ্য যৌবনে পা দেয় রাণু। দেখতে যেমন মায়ের মতই সুন্দরী তেমনি লক্ষ্মী হয়েছে মেয়েটি। ঘরময় যখন ঘুরে বেড়ায় কত কী ভাবেন হামিদা বেগম! মেয়েটিকে এবার বিয়ে দিতে হবে। কিন্তু তার এত আদরের ধনকে কিভাবে বিদায় দেবেন! ভাবলেই দুমড়ে মুচড়ে যান ভেতরে ভেতরে। এরই মাঝে একদিন পাত্র পক্ষ এসে দেখে যায় রাণুকে। মেয়ে তাদের পছন্দও হয়ে যায়। ঠিক হয় সামনের সপ্তাহে ছেলের অভিভাবক এসে আংটি পড়িয়ে যাবে আর বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে যাবে। রাতে ঘুমতে এসে স্বামী আফজাল সাহেব তেমনটিই জানালেন

= সামনের বৃহস্পতিবার ছেলের বাড়ী থেকে রাণুকে আংটি পড়াতে আসবে বলে খবর দিয়েছে। বাজার সদাই কী কী লাগবে লিস্ট করে দিও তো কাল।

(মনে হল আসমান ভেংগে পড়লো স্বামীর মুখে খবরটি শুনে)

~~ কী বলছো তুমি! আমার এত আদরের ধন, আামার মানিককে পর করে দেবো! কোথায় দিবো, কিভাবে রাখবে ওকে, কিভাবে থাকবে.....

= পাগলামী করো না, নিজের দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছো না? ওদের কিভাবে দিয়েছো.....

~~ বুঝি সবই, তাইতো বুকে পাথর চাপা দিয়ে সেদিন সাজিয়ে পাঠিয়েছিলাম ছেলে পক্ষের সামনে। কিন্তু ওরা যখন বলে গেলো মেয়ে পছন্দ হয়েছে ওদের। বিশ্বাস কর প্রতিটি মুহুর্ত আমার বুকের ভেতর কিভাবে রক্তক্ষরণ হচ্ছে....আমি কাউকে বোঝাতে পারছিনা।

=আচ্ছা হামিদা, তুমি এখন এই পাগলামী করলে হবে?



~~ শোন, তুমি ওদের বলে দাও মেয়ে আমরা এখন বিয়ে দেবোনা বা কী অযুহাত দেখাবে সেটা তুমি বুঝবে। আমি এখন মেয়ে বিয়ে দেবোনা।

= হামিদা এটা কী ধরনের জেদ তোমার......

~~ আমি যা বলেছি তাই হবে

(লাইট নিভিয়ে পাশ ফিরে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকেন হামিদা বেগম)।

আফজাল সাহেব নিজের স্ত্রীকে চেনেন। স্ত্রী যেহেতু বলেছেন এ বিয়ে তার মানে হচ্ছে না। তিনি খুব ভাল করেই জানেন রাণুর জন্যে স্ত্রীর আলাদা একটি জগত রয়েছে, যেখানে পৃথিবীর আর কারো প্রবেশাধিকার নেই, আর কারো স্থান নেই।



আপাতত বিয়েটি ঠেকালেও হামিদা বেগম নিজেই চিন্তা করেন কয়দিন এভাবে মেয়েকে নিজের কাছে রাখবেন। আর নিজের শরীরও তেমন ভাল যাচ্ছেনা ইদানিং। ডায়াবেটিস তো আছেই। ব্লাড প্রেশারটাও বেশী থাকে ইদানিং। ডাক্তার বলেছেন ওজন কমাতে। কিন্তু হাঁটতেই কষ্ট হয়। শরীরের এ অবস্থা। দুই মেয়েকে বিয়ে দিলেও তিন ছেলে এখনো রয়েছে। দুই ছেলে দুবাইতে ব্যবসা করে। ছোট ছেলে ভার্সিটিতে সবে ভর্তি হলো, ওকে নিয়ে এখনো চিন্তা করতে না হলেও বাকী দুইজনের বিয়ের বয়স হয়েছে। রাণুকে বিয়ে দিয়েই বড় ছেলেকে বিয়ে করাবেন বলে ভেবে রেখেছেন। কিন্তু রাণু......ভাবলেই ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে যান তিনি। কিভাবে তার এই কলিজার টুকরাকে তুলে দেবেন পরের হাতে....কিভাবে....ভাবতেই পারেননা।



********************************

বড় ননদ মীনা এসেছে বাসায়। মীনার পুরো পরিবারের আজ দাওয়াত ছিলো ভাইয়ের বাসায়। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষে মীনা, মীনার স্বামী, হামিদা বেগম আর আজমল সাহেব বসেছেন একসাথে। একপর্যায়ে উঠে রাণুর কথা। মিনা বলি বলি করেও কিছু বলতে চাচ্ছিলো। এক পর্যায়ে বলেই ফেললো

= আচ্ছা ভাবী রাণুকে তো তুমি নিজের কাছেই রেখে দিতে পারো...

~~ নিজের কাছে....কিভাবে...আমি জানি আমি জেদ করছি কিন্তু একসময় তো বিয়ে দিতেই হবে...

= রাণুকে বিয়ে দিয়ে শাহেদের জন্যে বউ আনবে ভেবেছো....

~~ হ্যাঁ ভেবেছিলাম তো সেরকম-ই....

= তা রাণুকেই বউ করে রেখে দাও না....তোমার মেয়ে তোমার কাছে-ই থাকলো আবার ছেলের বউ ও হলো।

** কথাটা তুই মন্দ বলিসনি মীনা ( পাশ থেকে বলে ওঠেন আজমল সাহেব)

~~ কিন্তু আত্নীয়স্বজন অন্যরা কে কি বলবে.... (আমতা আমতা করে বলেন হামিদা বেগম)

= আরে রাখো অন্যের কথা। অন্যের কথায় কি এসে যায়! আর আত্নীস্বজনরা কেউ কিছু মনে করবেনা। আমরা সবাই কি বুঝিনা তোমার অবস্থা!

~~ ঠিক আছে দেখি.....





**************************************

অনেক ভেবে চিন্তে ধুমধাম করে অনুষ্ঠান করে রাণুকে নিজের কাছেই রাখেন, ছেলের বউ করে। কিন্তু মানুষের ভাগ্যে যে কত কী থাকে আগে থেকে কেউ কি বলতে পারে! বিয়ের বছরখানেক পরে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে রাণু। হাসপাতালে মাস খানেক চিকিৎসার পরে সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরে। বছর দুই পরে ফুটফুটে একটি মেয়ের জন্ম দিয়ে মায়ের ভাগ্য বরন করে রাণু! পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে, ঠিক যেমনটি হয়েছিল ওর মায়ের বেলায়। হামিদা বেগম ভেবে পাননা খোদার একী ইচ্ছা! এই দুঃখী মেয়েটির কপালেই কেন এমনটি ঘটলো।

নাতনী-কলিজার টুকরা মেয়ে দুজনের দেখাশোনা করেন হামিদা বেগম নিজে। যার জন্যে নিজের শরীরের দিকে তাকানোর সুযোগ পাননি।



জীবন সংসারে কত কী যে ঘটে থাকে! হঠাৎ একদিন স্ট্রোক করেন হামিদা বেগম। তাৎক্ষনিক লক্ষনে তাই মনে হয়েছে। কিন্তু হসপিটালে নেয়ার পরে ডাক্তার জানান স্ট্রোক হয়নি এবং আসলেই কি হয়েছে ঠিক ধরতে পারেনি। দুই মাসের মত হসপিটাল-বাসায় ভোগার পরে চলে যান কলিজার টুকরা রাণুকে একা ফেলে সংসারের মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে।



সংসারের সবাই স্বাভিক অবস্থায় ফিরে গেলেও ৫২ বছরের জীবন সংগীকে হারানো মানতে পারছেননা আজমল সাহেব। প্রতিটি মুহুর্ত তিনি শূণ্যতাকে অনুভব করেন।



***********************************

ঠিক হয় শাহেদকে আবারো বিয়ে করানো হবে। রাণুর মা নাহয় তার মায়ের কাছে ছিলো। কিন্তু রাণু! ও কার কাছে থাকবে। কী হবে হতভাগীটির। আর কিইবা হবে ওর মেয়ের ভাগ্যে!

হতভাগীটি যে কী হারিয়েছে, কী হারাচ্ছে তা বোঝার অবস্থায় নেই!!

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৯

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
গপ ভালো লাগলো। এটা আবার সত্যি অবলম্বনে লেখা না তো আবার?

মাঝে ব্রাকেট দেয়ার কারন বুঝলাম না। পাঠক তো ঘটনার সাথে মিশে যাবে। কিন্তু আপনি ব্রাকেট দেওয়াতে মনে হচ্ছে নাটক পড়ছি। আলো আঁধারীর ব্যাপারটা পাঠককে ধরতে হবে। #:-S

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: যে ব্যাপারটি মুখে বলে দেয়ার প্রয়োজন নেই, সেটিই ব্রাকেটে আটকে দিয়েছি। যাতে পাঠক অবস্থাটা বুঝতে পারেন। ঠিক বোঝাতে পেরেছি কিনা জানিনা।

নির্মম সত্য যে এটা সত্যি অবলম্বনে লেখা!!

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১১

মামুন রশিদ বলেছেন: আমার তো মনে হয়, আবার সত্যি গল্প! আবার ফার্স্ট কাজিনের সাথে বিয়ে!

তবে রাণুর দুর্ভাগ্য রাণুর মেয়ের জীবনে চক্রাকারে ফিরে আসাটা কষ্টের । এরকম না হলেও পারত!

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: এটা সত্যি গল্প-ই। আমাদের জীবনটা গল্প-উপন্যাসের মতই। নাকি গল্প-উপন্যাস-ই আমাদের জীবন থেকে নেয়া হয়.....পরের টাই ঠিক!!


সত্যিই, কী দরকার ছিল রাণুর মেয়ের জীবনে এমনটি ঘটার.....

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাগ্যের কাছে আমরা সবাই অসহায় । চমৎকার গল্প লিখেছেন ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: সত্যিই অসহায় আমরা !!

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

সোজা কথা বলেছেন: হায়রে ! এমন দূর্ভাগ্য বুঝি রাণুর।সাথে ওর মেয়েটারও !

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: মেয়েটা.....ভাবতে পারি না....

৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৯

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: রাণুর জন্য খারাপ লাগছে !

আর ঘটনাটা যদি সত্যি হয় তাহলে রাণু এখন কেমন আছে, কোথায় আছে সেসব জানতে ইচ্ছা করছে

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: রাণুরতো মানসিক ভারসাম্য নেই। ওর মেয়েটা তার ফুপি অর্থাৎ রাণুর ননদের কাছে। আর সেই ননদ-ই এখন রাণুর দেখাশোনা করে। তবে কত দিন.....

৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কি দূর্ভাগ্য রানু মেয়েটার। পড়ে মনটাই খারাপ হয়ে গেল।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: এটাই জীবন....জীবন মাঝে মাঝে কেন এমন কঠিন, নিষ্ঠুর হয়....

৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০০

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আজকে একটা রজনীগন্ধা হাতে ব্লগ ডের অনুষ্ঠানে এসে পড়েন ;)

গল্প পরে পড়ব।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: স্বর্ণা'পু তো সাত সমুদ্দুর তেরো নদীর ওপারে। এপারে থাকলে নাহয়....। ;)

৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: মর্মান্তিক গল্প।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১২

নীল-দর্পণ বলেছেন: জীবনটাই যখন মর্মান্তিক তখন গল্পতো.....

৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: গল্প পড়ে মন খারাপ হয়ে গেলো :(


ভাল থাকুন। বাংলা ব্লগ দিবসের শুভেচ্ছা।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: মন খারাপ করা গল্প লিখেছি, মন খআরাপই হওয়ার কথা। তার জন্যে ক্ষমা চাইবোনা।

ভাল থাকবেন আপনিও

১০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: নাটকের ঢঙ্গে গল্পটা বেশ লাগছিলো । সত্যি কাহিনী জেনে খারাপ লাগলো । মানুষের জীবন কেনও এমন হয় কে জানে ! আর কেউ যেনও এমন দুর্ভাগ্য নিয়ে না আসে

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: আর কেউ যেনও এমন দুর্ভাগ্য নিয়ে না আসে

১১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৫

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: হুম

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: হমমম

১২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ছিঃ ছিঃ ক্ষমা চাইবেন কেন?? মন খারাপ হয়ে গেছে বলতে বুঝাতে চেয়েছি, আপনি গল্পটা ভালো লিখেছেন এবং রাণুর কষ্ট অনুভব করতে পেরেছি (যার পুরো কৃতিত্বই আপনার সুলেখনীর) তাই মন খারাপ :(


শুভ কামনা :)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমি বুঝতে পারছি :)

ভাল থাকবেন অনেক অনেক, অ্যাটলিস্ট চেষ্টা করবেন :)

১৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

শায়মা বলেছেন: কি সাংঘাতিক সত্যি গল্প লিখলে নীলুমনি।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

নীল-দর্পণ বলেছেন: মানুষের জীবনটা এত্ত জটিল-কষ্টের কেন.....

১৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: মাঝে মাঝে কোথায় হারাও নীলুমনি? নাকি নেট বিল দাওনা দেখে লাইন কেটে দেয়? :)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: হাহাহা.নেট বিল ঠিকই দেই। মাথায় লেখা-টেখা তেমন আসেনা বলে ই থেমে যাই।
(খোমা বইতে ঠিক হাজিরা দেই রোজ) ;) B-)

১৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪

উদাস কিশোর বলেছেন: :(

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: :(

১৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: নেট বিল দিয়ে কি লাভ বরং নেটের টাকা দিয়ে হাতির ঝিল বসে বসে ঝালমুড়ি খাও নাহয় কাকের বিরিয়ানি খাও আর নাহয় পিচির চিকেন পচা খাও

কেমন আছো তুমি ভাইয়া? কবে যে তোমার চানুচের রান্ধন খাবো কে জানে দেশে আসার আগে তোমাকে বলবো টিফিনকারি করে খাবার নিয়ে দাড়ায় থাকবা কইলাম

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমিতো ভাবছি কিসের টিফিনকারি আমি বরং ব্যাগ নিয়ে দাড়ায় থাকবো। চকলেট আনবেন সেগুলো তো আবার আমার ই বহন করা লাগবে সারা পথ আনবেন কিলান্ত হয়ে যাবেন তাই আর কষ্ট দেবোনা ;) B-)

১৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৫০

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: এই জন্য বাচচা কাচ্চা লগে বেশি কথা কইতে নাই সুযোগ পাইলেই চকলেট খুজে :)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১১

নীল-দর্পণ বলেছেন: :|| বুরা মানুষ তো এই জন্যেই ভাল না। খালি ক্যাট ক্যাট করে। চকলেট তো বাচ্চারাই খুজবে। ঐটা তো আর বুড়াদের কাজ না /:)

(আসল কথা হইলো আমি চকলেট তেমন পছন্দর করিনা হুদ্দাই কইলাম) :P

১৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১১

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: কি! !!!!!? আমারে বুড়ো কইলা? এত বড় কথা হাতের লাঠিটা কই রাখলাম

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪১

নীল-দর্পণ বলেছেন: এই লন চশমা

চশমা ছাড়া তো কিসুই দেখেন্না লাঠি খুইজা পাইবেন কেম্নে /:)

১৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০

শরীফ উদ্দীন বলেছেন: রাণু এখন মোটামুটি ভাল আছে। তবে কখন যে আবার সমস্যা হয় বলা যায় না। এইতো কয়েক দিন আগে দেখে আসলাম রাণুর জন্মদাত্রী মা কে। সত্যিই কষ্টকর।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: সব সময় মোটামুটি ভালই থাকুক। নিজে যাতে অন্তত নিজের দেখাশুনা করতে পারে

২০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৫১

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: নীলু কেমন আছো ভাইয়া তুমি? নাস্তা করসো?

পরীক্ষা কেমন হইসে? রেজাল্ট ভালো হবে নাকি ডাববা মারবা? পাত্র পক্ষের নিকট মাথা নিচু কইরোনা আমার কইলাম :)


ব্লগে খাজুরি আলাপ করসি কেই আবার মাইন্ড খায় কিনা :(

একখান ফেবু চেয়ার বানাতে হবে বসে বসে আড্ডা দিতে যদিও সময় বড়ই কম:(

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: যেই টাইমে এই কমেন্ট দিসেন ঐটাইমে ঘুম থেকে উঠে পিঁড়ি খটখট করে পরোটা বানাইসি :|

ভাল আছি ভাইয়া। আপনি ভাল আছেন তো? যার খাওয়ার দরকার সে খাগ্গা মাইন্ড :P

কী রেজাল্ট যে হবে.....ডাব্বা যদি মারিও আপনি কটকট করে বলবেন আপনার বোন হাড়িপাতিল ঘটর-মটর করতে জানে ভাল...তাইলে হবেনা? ;) B-))

২১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫১

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: ওহ তাহলে ঐ সময় এত পরোটা বানাইসো যে সেটা বসে বসে খেতে খেতে তোমার সন্ধ্যা ৬টা বাজছে? খাওয়ার সময়তো আর রিপ্লাই দেয়া যায়না তাইনা? সেটা আমি বুঝি তয় এত পরোটা বানাইলা কেমনে এটা খাইলা কেমনে এই পরোটা গুলো বানাইয়া রাকসিলা কই আর কি দিয়া খাইসো এত ডিম ঝোল কোই পাইসো?

আহারে বেচারী কি ধকলটাইনা গেল সারাটাদিন চার দিকে এত খাওয়া তোমাকে একাই খেতে হয় আচ্ছা আমাদের দেশে কাজের লোক পাওয়া যায় জানি কিন্তু খাওয়ার লোক নাই? তাহলে তোমসর একটু হেল্প হইতো

আল্লাহ জানে ব্লগে পাত্র পক্ষ উকি দেয় কিনা তাহলে বিয়ে ষর এই জীবনে দিতে হবেনা পরকালে যদি কোন সিস্টেম থাকে তাহলে রক্ষে

তয় এখন যাই ভাইয়া :)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:২৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: এত্ত সুন্দর টাইমিং! ২০নং কমেন্টটা করেছিলেন সকাল ৮.৫১ তে ২১ নং টা রাত ৮.৫১ তে :D

আরে না না সন্ধ্যা পর্যন্ত পরোটা খাইনি। তবে দুপুর থেকে যা খাইসি বিকেল পর্যন্ত....বলবো নাকি? আশেপাশে পাত্র পক্ষ থাকলে? :-*

থাক যা আছে কপালে চুপি চুপি বলেইফেলি, দুপুরে বসুন্ধরা সিটি গিয়ে বান্ধবীদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে চিকেন ফ্রাই, পেপসি, তেহারী, হট কফি, কোল্ড কফি খেয়েছি। B-)) তাইতো সন্ধ্যা ছয়টা বেজে গেলো :(

২২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩০

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: ? এগুলো অলৌকিকতা টাইমিং মিলিয়ে কমেন্ট করা হেকমত বলতে পারো :-/

কি বললা বুঝলামনা উপরের খাবার গুলো দেকসো নাকি খাইসো

দেকলে ঠিক আছে কিন্তু খাইলে একটু টেনশিত হবো তাও আবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা

কার মানিব্যগরে এতিম করলা বইন?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:১১

নীল-দর্পণ বলেছেন: দুপুর থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত। খেয়েছি B-))

তেহারী এক বান্ধবী খাইয়েছে, চিকেন ফ্রাই আরেক বান্ধবী। পেপসি বান্ধবীর ছোটবোন আর সর্বশেষে কফির বিল আমি দিয়েছি। সো যৌথভাবে সবার পার্স থেকেই গিয়েছে। কারো মানিব্যাগ এতিম করিনি।

আমিতো গুডগার্ল। কারো মানিব্যাগ এতিম করিনা B-)

২৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:১৯

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: ভুলিনাইরে বইন আমি মনে আছে সব যখন নাখাল পাড়ায় ছিলাম তুমি আমারে মদন বানাইয়া কত খাইসো আমার মানিব্যাগরে এতিম বানাইসো সব ভুইলা গেলা?

সবাই বিল দিসে বড় বড় গুলা আর তুমি দিসো কফির বিল তাও মনে।হয় একটা কফিরে ৭ ভাগ করছো তাইনা?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: এএএএএহহহহ....আমি নাখালপাড়ায় কারো মানিব্যাগ এতিম করিনাইক্কা হুহ /:)

বড় বড় বিল দুইটা দুই বিবাহিত মহিলা (দুই বান্ধবী) দিসে। কথা ছিলো আমাদের তো আর বর নাই তাই পেপসির বিল আমি আর ছোট বোন শেয়ারে দিবো, তাও একলিটার। পরে ভাবলাম থাক শেয়ারে না দিয়ে বরং আরেকটা আইটেম বাড়ুক ;) :P

২৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৫

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: কেমন আছো নিলু?

তুমি মাঝে মাঝে কোথায় হারাও বলোতো?

ফেবুতে থাকা হয় বেশি তাইনা?

কার লগে টাংকি মারো?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২২

নীল-দর্পণ বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আর বলবেন না, টাংকি মারার মানুষের কি অভাব আছে? তাও আবার ফেবুতে ;) B-))

আসলে লেখার মতন কিছু মাথায় আসেনা তাই হারিয়ে যাই....

আজ পোষ্ট দিলাম একটা :)

আপনি কেমন আছেন? :)

২৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৭

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: হতভাগীটি যে কী হারিয়েছে, কী হারাচ্ছে তা বোঝার অবস্থায় নেই!! :( :( :( :( :( :( :( :(

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২২

নীল-দর্পণ বলেছেন: সেটাই :(

২৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:০৪

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: আমি ভালো আছি

ওহতাই? !!!

ফেবুর তাহলে এত গুন?
আমি একখান আইডি বানাবো আজকেই

ব্লগে আসতে হলে কি পোস্ট দিতেই হবে নাকি ?

পোস্টের সময় পোস্ট দিবা বাকি সময় কেমেন্ট করবা দামি দামি কমেন্ট বুঝলা?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৪০

নীল-দর্পণ বলেছেন: দামী দামী কমেন্ট করবো! :-* আমাকে তো কেউ দাম দিবেনা =p~ :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.