নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আস্ সালামু আলাইকুম্

আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-)

নীল-দর্পণ

নগণ্য একজন মানুষ। পছন্দ করি গল্পের বই পড়তে, রান্না করতে। খুব ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াতে। ইচ্ছে আছে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়ানোর।

নীল-দর্পণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক বছরের গল্প

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৫

মানুষের জীবন গতিশীল না বলে বরং সময় গতিশীল কথাটি বেশি যুক্তিযুক্ত। জীবন কখনো কখনো থমকে গেলেও সময় কখনো থমকে দাঁড়ায় না। গত একটি বছরে জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বলা যায় নতুন কয়েকটি অধ্যায়ে প্রবেশ করেছি প্রায় কাছাকাছি সময়ে। সামহোয়ার ইন ব্লগটা এক সময় খুব আপন ছিল, নানান ব্যস্ততায়, নানান কারনে ব্লগে আসা কমে গেলেও সেই আগের মতই আপন জায়গা আছে তাই অনেক মুহুর্ত শেয়ার করেছি এখানে। বরাবরের মতই আজও এসেছি সেই কারনে। ভয়, শংকা, আনন্দ, বিষাদ এবং শূণ্যতা নিয়ে কেটেছে একটি বছর। আজ গল্প বলবো সেই একটি বছরের।
নতুন একটি অধ্যায়ে প্রবেশ করেছিলাম সেটি আগের ব্লগেই বলেছিলাম। জীবনের প্রথম বাসা থেকে একা কোথাও যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলাম ভার্সিটি লাইফে ডিপার্টমেন্ট থেকে সবার সাথে সাগর এবং পাহাড় দেখতে যাওয়ার। কক্সবাজার-বান্দরবান ট্যুরটি ছিল জীবনের সেরা কিছু সময়ের অন্যতম। সাগর এবং পাহারের প্রেমে পড়ে গেছিলাম সেবার। গত বছর এই সময়ে বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়ী পর্যটন এলাকা কক্সবাজার জেলায়। সাগর এবং পাহাড় দুটোর মাঝে বাড়ী। হানিমুনও হয়েছিল সাগর এবং পাহাড়ে অর্থাৎ কক্সবাজার এবং সাজেকে।
যাইহোক অক্টোবরে কক্সবাজার-সাজেক ট্যুর বেশ সুন্দর মতই শেষ হল। এরপর ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ সৌদি আরবের উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিলাম। হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত হ্য় যাওয়ার। সময় স্বল্পতার জন্যে মাত্র ১০দিনের ভিসা করি আমরা। এটা নিয়ে বেশ মনোক্ষুণ্ণ থাকে এবং এখনো আফসোস হয় আরেকটু বেশি সময় নিয়ে যাওয়ার দরকার ছিল। তার পরেও মক্কায় ভাসুর, বরের বন্ধু, মদিনায় বরের বন্ধু এবং জেদ্দায় খালা শ্বাশুড়ি এবং মামা শ্বশুর থাকায় ঘোরাঘুরি এবং সব কিছু বেশ সহজ এবং সুন্দর হয়। অল্প সময়ে অনেক বেশি উপভোগ করেছিলাম।
১। জেদ্দা বিমান বন্দর নেমে বাসের অপেক্ষায় ছায়া মানব আর ছায়া মানবী। ছায়ামানবীটি সিম সংক্রান্ত ভালই ধরা খেয়েছিল এখানে..


২। মাইলের পর মাইল বিস্তীর্ণ মরুভূমি আর পাহাড়!


৩। মিনার তাবু, হজ্জের সময় যেগুলো হাজীদের পদচারনায় সমাগম থাকে সেগুলো এখন জনমানব শূণ্য।

৪। মুজদালিফা;


৫। মুজদালিফায় রাস্তার দুইপাশে এমন বড় বড় সবুজ গাছ দেখে মনেই হবে না মরুর দেশে এসেছি!

৬। আরাফার ময়দানে হযরত আদম (আ.) এবং হযরত হাওয়া (আ) এর দেখা যেখানে হয়েছিল সেখান থেকে নিচের এবং চারপাশের দৃশ্য

এখানে একটি স্তম্ভে ইংরেজি, উর্দূ এবং সম্ভবত বাংলায়ও ছিল, ৩/৪টি ভাষায় লেখা আছে এখানে সেজদাহ করা বা নামাজ পড়ায় কোন ফজিলত নেই। ফজিলতের আশায় এখানে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। তার পরেও দেখা যায় কিছু মানুষ নামাজ আদায় করছে এখানে।
যাহোক অনেক রোদ এবং গরম থাকায় দেখলাম এক মহিলা অজ্ঞান হয়ে পরেছেন। এখানে কেউ গেলে সাথে ছাতা এবং পানি নেওয়া আবশ্যক।
৭। মুজদালিফায় মসজিদ।

গাড়ীতে চলার পথে ছিলাম বিধায় সামনা সামনি ছবি তোলা যায়নি।
সৌদিতে একটি নিয়ম হল গাড়ীতে ড্রাইভারের পাশের সিট খালি রাখা যাবে না এটা ভাড়ার গাড়ী হোক কিংবা নিজস্ব। বরের বন্ধুদের গাড়ীতে চড়ার সময় ড্রাইভিং সিটে যখন যে বন্ধু নিয়ে যেতো সে থাকত এবং বর। প্রথম দিকে একটু কেমন কেমন লাগছিল। বরের বন্ধু একদিন জিজ্ঞেস করছে পেছনে একা বসতে খারাপ লাগছে কিনা। বললাম খারাপ লাগছে না বরং এটা ভাবতেই ভালো লাগছে যে ড্রাইভার এবং গার্ড নিয়ে আমি ঘুরতে বের হয়েছি। B-)
অসম্ভব ভালো লেগেছে তায়েফের ভ্রমনটি, যদিও খুব আফসোস লেগেছে দিনের বেলা যাইনি বলে। আছরের পরে রওনা হয়ে তায়েফ পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। আমরা কেবল রাতের তায়েফ দেখেছি। কেউ গেলে এমন ভাবে যাবেন যাতে দিনের আলো থাকতে পৌছাতে পারেন এবং রাতের বেলা ফিরবেন।
৮। জিগজ্যাগ দেখা যাচ্ছে এটা পাহাড়ী রাস্তা


৯। মনোমুগ্ধকর বিভিন্ন রকমের লাইটিং রাস্তাজুড়ে

১০। মসজিদে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস; এখানে এশার নামাজ আদায় করে মক্কার উদ্দ্যেশ্যে রওনা হই।


১১। মদিনায় যাবার পথে; জনমানবহীন ধূ ধূ মরুভূমি আর পাথুরে পাহাড় চোখে পড়বে, মাঝে মাঝে ছোট ঝোপালো গাছ।


১২। মদিনায় জ্বীন পাহাড়ের এলাকা

সময় স্বল্পতায় এত বেশি দৌড়ের উপর থাকতে হয়েছে যে পরের দিকে খুব মেজাজ খারাপ হয়েছে কেন আরেকটু সময় নিয়ে আসিনি সেি জন্যে। মদিনায় কেবল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছি। জেদ্দায় খালা শ্বাশুড়ী নতুন বউ বরনের জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন। সেখানে গিয়ে দেখি এলাহী কান্ড! কল্পনার বাইরে ছিল সেখানকার আয়োজন। আমাদের জন্যে এশার থেকে অপেক্ষায় ছিলেন খালাম্মা আর আমরা সেখানে পৌছাই রাত প্রায় দুইটায়। বাড়ীর গেটে ঢুকতেই আতশবাজী জ্বালিয়ে হৈহৈ রবে সারপ্রাইজ!

১৩। ঘরে প্রবেশ করে দেখি একটি রুম আমাদের জন্যে সাজানো
খাবার খেতে বসে দেখি খাবারে চিটাগাং-কক্সবাজারের ঐতিহ্য পুরোপুরি চলে এসেছে হাজার হাজার মাইল পারি দিয়ে এই মরুভূমিতেও! বর-বউ দুজনের জন্যে দুটি আস্ত মুরগী ('দুরুস কুরা' বলে সম্ভবত কক্সবাজারের ভাষায়), চিংড়ি, গরুর নলা, গরুর মাংস, মাছ। খেতে বসে কান্নাকাটির জোগাড়! খাওয়া শেষ করে এলো বিভিন্ন রকম ফলে ভরা ডালা। ভেবেছিলাম এখানেই শেষ। কিন্তু দেখি তখনো বাকী রয়েছে! এবার এলো কেক কাটার পালা আর বউ-জামাই এর জন্যে গিফট। খালাম্মা এবং বাড়ির সবার আনন্দ দেখে মনেই হয়নি এদের সাথে প্রথম দেখা।
খুব আনন্দের সাথেই ১০টি দিন কেটে যায়। আনন্দ বা দুঃখ কোনটিই সাধারনত মানুষের জীবনে স্থায়ী হয় না। আগেই বলেছি জীবন তার নিজস্ব গতিতেই চলতে থাকে। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে চাকরীতে জয়েন করে চলে যাই কর্মস্থলে। এপ্রিলে বুঝতে পারি আমি নতুন পরিচয় পাচ্ছি, নতুন এবং কাংখিত আরেক অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। যখন জানতে পারলাম একই সাথে দুটি প্রাণ বেড়ে উঠছে আনন্দের সাথে ভয়-শংকা কাজ করছিল। নানান জটিলতার মাঝ দিয়ে অত্যন্ত কঠিন একটি জার্নি ছিল। ৯ মাসের জার্নিটি আমার ৬ মাসেই শেষ হয়ে যায়! ভাই-বোন দু'জন-ই NICU তে ছিল। ২৪ ঘন্টার আগেই মেয়েটি চলে যায় পৃথিবী ছেড়ে আর ছেলেটি ৫ম দিন। জীবিত থাকতে ছুঁয়ে দেখতে পারিনি আমার যাদুধনদের। প্রথম এবং শেষ গোসল দিয়ে নতুন কাপড়ে আতর সুরমা দিয়ে সাজিয়ে বিদায় জানাতে হয় তাদের। সুরমা দেবার সময় দু'জনের নিষ্প্রাণ চোখের মনি মনে ভেসে উঠলে মনে হয় দুনিয়ার সব অর্থহীন। দুনিয়ার কারো শান্ত্বনাই মনকে ঠান্ডা করতে পারে না। নিজের শান্ত্বনা নিজেই খুঁজি। কখনো বলি আল্লাহ বিবাহ বার্ষিকীর উপহার পাঠান আমাদের জন্যে জান্নাতের দুটো টিকেট! আমার কলিজার টুকরা দু'টো জান্নাতে খেলছে। অপেক্ষায় আছে আমাদের জন্যে। শেষ দিনে আমাদের না নিয়ে তারা জান্নাতে যাবে না। সেখানে দেখা পাবো। শূণ্য মাতৃত্ব নিয়ে আমি অপেক্ষায় আছি....।

(কারো কোন শান্ত্বনার আশায় নয়, বরং আনন্দের অভিজ্ঞতা যেমন শেয়ার করেছি এই ব্লগ পরিবারের সবার সাথে তেমনি কষ্টের অভিজ্ঞতাও করা যায় এই ভেবেই করা।)

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১৬

ওমেরা বলেছেন: কত আন্দদ নিয়ে পড়তেছিলাম আপুমনি । কিন্ত শেষটাতে এত দঃখজনক ঘটনা আছে কল্পনাও করতে পারিনি ।
আল্লাহ আপনাকে সবুর করার তৌফিক দিক। আমীন।


২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫২

নীল-দর্পণ বলেছেন: আনন্দ দুঃখ সবই তো জীবনের পার্ট এবং পাশাপাশিই চলে। চাইলেও বাদ দেওয়া যায় না কিছুই। আশা করি ভালো আছেন আপুনি। আল্লাহ রাখুন সব সময়।

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫২

জুন বলেছেন: নীল দর্পন সৌদি আরবে যখন ঘুরছিলেন, খালা শাশুড়ির বাড়িতে বসে আস্ত কুড়ার দুরুজ খাবার গল্প বলছেন তখন আমিও আপনার সেই আনন্দ চোখে দেখছিলাম । কিন্ত শেষে এসে .----- আহারে --- অবশ্যই তারা বেহেশতের বাগানে খেলছে । মহান আল্লাহ আপনার এই শোক সহ্য করার ক্ষমতা দিন আমীন ।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমিন। দোয়া করবেন আমাদের জন্যে।

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: এক বছরের গল্প যেন শেষের একটি কথায় এসে থমকে দাঁড়ালো, মুখ থুবরে পড়লো - "শূন্য মাতৃত্ব নিয়ে আমি অপেক্ষায় আছি...."!
আমার এ পোস্টে করা আপনার মন্তব্য থেকে (১২ নং) জেনেছিলাম, আপনি ২৫ মার্চ ২০২০ রাতে (দেশে 'লকডাউন' শুরু হবার আগের রাতে) আপনার কর্তব্যস্থল থেকে ঢাকায় এসেছিলেনঃ মেলবোর্নের দিনলিপিঃ ঘরে ফেরা, অনিশ্চিত পথে...(ষষ্ঠ ও শেষ পর্ব)
এর পরে এই লকডাউনের মাঝে কখন কিভাবে জেদ্দা গেলেন? যাহোক, পবিত্রভূমিতে যাবার সুযোগ পেয়েছেন এবং সেখানে প্রার্থনার সুযোগ পেয়েছেন, এটাও সৌভাগ্য।
আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন আপনার বুকের কষ্ট লাঘব করে দিন! এ কষ্ট কোন মানুষের সান্ত্বনার কথায় যাবার নয়! সবর ও সালাতের মাধ্যমে আল্লাহতা'লার সাহায্য প্রার্থনা করতে থাকুন।
দোয়া এবং শুভকামনা....

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

নীল-দর্পণ বলেছেন: লকডাউনের মাঝে জেদ্দা যাইনি, গিয়েছিলাম ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে।
মনযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং অনেক আগের করা মন্তব্যও মনে রেখেছেন! আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।

৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

মোঃমোজাম হক বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে ঢুকে অনুসারিতদের আঙ্গিনায় আগে যাই। সেই হিসেবে আপনার লেখা পড়তে শুরু করেছিলাম।
আপনি এতো বড় দুঃখ বুকে চেপে ভালই লিখে যাচ্ছিলেন।
শেষে এসে ধাক্কা খেলাম। শান্তনা দেয়ার ভাষা নেই,আল্লাহতা'লার নিকট দোয়া চাই আপনি আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন।
শুভ কামনা

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

নীল-দর্পণ বলেছেন: খুব করে চাই দুজনেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে। কতটা পারবো ছুটি শেষ কর্মস্থলে ফিরলে বুঝতে পারবো।
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন। আপনাদের দোয়াই আমাদের শান্ত্বনা।

৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭

আমি সাজিদ বলেছেন: শেষে খুব খারাপ লাগলো। শান্তনা দেওয়ার ভাষা নেই। শুভ কামনা সবসময়।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩

নীল-দর্পণ বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন সাজিদ।

৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্লগ মারফত তোমাকে আপন ভেবেছিলাম। সেই ব্লগের সূত্রেই দীর্ঘ বিরতির পর তোমার জীবনের নতুন অধ্যায়, অর্জন, বিসর্জনের কথা জানলাম। মনে হলো, খুব আপন মনে করেই আমাদের বললে। তোমার জীবন আবার সুশোভিত হয়ে উঠবে আনন্দের ছায়ায়। শুভকামনা রইলো।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০

নীল-দর্পণ বলেছেন: ব্লগে এলে আপনাদের খুঁজি আগে যে আপনারা আছেন কিনা। যখন দেখি আছেন মনে হয় খুব আপন জায়গায় এসেছি। আরো অনেক অনেক দিন যাতে থাকেন এভাবেই সেই কামনা করি।

৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩২

করুণাধারা বলেছেন: একবছর তো হয়নি নীল দর্পণ, মনে হয় এই সেদিন বিয়ের সুখবর দেয়া পোস্ট পড়ে শুভকামনা জানালাম... আজকের পোস্ট পড়তেও খুব ভালো লাগছিল, কী চমৎকার সব ছবি আর আনন্দের গল্প। তবে শেষে এসে দুঃখ পেলাম, আবার ভালো লাগলো আপনার সবর দেখে।

আল্লাহ নিশ্চয়ই আপনার সবরের উত্তম প্রতিদান দেবেন। শুভেচ্ছা রইল।

২২ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমি দুঃখিত যে রেগুলার বসতে পারি না বলে উততর দিতে দেরি হয়ে যায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ, দোয়া করবেন আমাদের জন্যে। ভালো থাকবেন।

৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৭

মেহবুবা বলেছেন: তোমার মত একটা মজার মানুষ হাসিখুশি প্রাণবন্ত মানুষের জীবনে এমন করে দুঃখ এলো।
আল্লাহ্ তোমাকে ভাল রাখুক ভাল পুরস্কার দিক সেই দোয়া করি আল্লাহর কাছে ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুন, সুস্থ রাখুন

৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: ঠিক কি বলবো বুঝতে পারছিনা । আলহামদুলিল্লাহ,আল্লাহ আপনাকে সবর করার তৈফিক দিয়েছেন ।
আল্লাহ সামনের সামনের দিনগুলো আরো অনেক সুন্দর আর আনন্দময় করে দিক তার জন্য অনেক দোয়া রইলো ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: পোস্টটা আপনার অনুপ্রেরনায় লেখা। আরো আগে লেখার কথা ছিল কিন্তু লিখি লিখবো করে বাচ্চাগুলোর অস্তিত্ব টের পাই নিজের মাঝে। এত বেশি অসুস্থ ছিলাম তখন যে টানা বসে থেকে লেখা সম্ভব হতো না। যখন লেখার শক্তি হল তখন দুঃখের ঘটনা যোগ হয়েগেছে তাই এটা বাদ দিয়ে আর লিখতে পারলাম না। দোয়া করবেন বন্ধু সামনের দিনগুলো যাতে আর কোন কঠিন পরীক্ষায় না ফেলেন আল্লাহ।

১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আশা করছি, শীঘ্রই একটা নতুন লেখা নিয়ে উপস্থিত হবেন।
শুভকামনা নিরন্তর....

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: এমন একটা চাকরী করি যেখানে অনেক বৈচিত্র দেখতে পাই কিন্তু ব্যস্ততায় বা ক্লান্তিতে লেখার কথা মনে হয় না। আমি চেষ্টা করবো কিছু শেয়ার করার । অনেক ধন্যবাদ জানবেন।

১১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৯

শায়মা বলেছেন: নীলুমনি

কতদিন পর এই নামে ডাকলাম আবার তোমাকে। কত কত দিন আসোনি তুমি এই ব্লগে। মনে পড়ে কত মজা করেছি আমরা একটা সময় রান্না বান্না নিয়ে লেখালিখি কমেন্টে।

তুমি কমিয়ে দিলে ব্লগে আসা তাই পোস্ট পড়তে গিয়ে ভাবছিলাম সবাই যেমন ব্যাস্ত হয়ে যায় তুমিও তেমনই হয়েছো।
বিয়ে হয়েছে এট আনন্দের হানিমুন। খুবই খুশি হয়েছিলাম।

কিন্তু বাবু দুইটার কথা জেনে খুব কষ্ট হলো।
বুঝতে পারছি তোমার কষ্টটাকেও।

নিশ্চয় তারা ভালো থাকবে জান্নাতের বাগানে।

তুমি মন খারাপ করলে কষ্ট পাবে তারা।

মন খারাপ করো না নীলুমনি!


অনেক ভালোবাসা .......

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: আশা করছি আমার শায়মা'পুনি অনেক অনেক ভালো আছে আগের মতই। ব্যস্ততায় এবং সামুতে লগিন জটিলতায় কম আসা হতো। এলেও লেখার সময় হয়ে ওঠে না।
আমি আরো ৫বছর পরেও ব্লগে এলে আমার শায়মাপুকে যাতে একদম আগের মতই দেখতে পাই সেই দোয়া করি।

১২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩১

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমি আগের মতই আছি।

যদিও মাঝে অনেক দিন গড়িয়ে গেছে...... অনেক চেইঞ্জও এসেছে পৃথিবীতে তবুও আমি আগের মতই আছি.....

অনেক অনেক ভালোবাসা নীলুমনি......

১৩| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০০

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: ইচ্ছাকরে হারিয়ে যাওয়াটা অন্যায়।
আশা করি খুব শিঘ্রি আপনার আরেকটা পোষ্ট পাবো।

২৪ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৩১

নীল-দর্পণ বলেছেন: ইনশাআল্লাহ সময় সুযোগ হলে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আসবো।

১৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:০৬

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আপনি কোন শহরে থাকেন।

২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:১৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: ঢাকায় থাকি।

১৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ! জান্নাতের হাতছানি আপনাদের দু'জনের জন্য! Please hold it tight!

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: ইনশাআল্লাহ

১৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১৭

শার্দূল ২২ বলেছেন: আমারতো এখনো বিশ্বাসই হয়না আমাদের নীলুমনি বিয়ে বুঝে। আমারতো মনে হতো বর তোমাকে নিতে এলে তুমি বলে বসবা আমি কই যাই, এই বেডা কেডা, আমি এত সাজলাম কেন।হাহাহা

অনেক সুন্দর একটা জীবন যাপন করবে সেই পার্থনা থাকলো। দোয়া রইলো জীবনের শেষদিন পর্যন্ত প্রিয়জনের প্রিয় হয়ে থাকবে।

( আমি আগেও বানানে কাঁচা ছিলাম দির্ঘ ৭/৮ বছর পর বাংলা টাইপে করতে এসে আরো লেজে গোবরে অবস্থা। আমাকে মানুষ বানানের জন্য মুর্খ্য বলছেনাতো? ) টেনশন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: হাহাহা বুঝতে বুঝতেই বিয়েটা হয়ে গেল! শুক্রবার রাতে ঠিক হল শনিবার রাতে বিয়ে হবে!

দোয়া রইলো জীবনের শেষদিন পর্যন্ত প্রিয়জনের প্রিয় হয়ে থাকবে।
এত সুন্দর দোয়ায় মনটা ভরে গেলে। এমন ভালোবাসার জন্যেই বারবার ফিরে আসি ব্লগে।

ভালো থাকবেন আপনিও, সব সময়।

বানান কী হল না হল তা নিয়ে টেনশন করলে তো লেখাই হবে না। লিখতে থাকুন টেনশন ফ্রি হয়ে। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.