নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আস্ সালামু আলাইকুম্

আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-)

নীল-দর্পণ

নগণ্য একজন মানুষ। পছন্দ করি গল্পের বই পড়তে, রান্না করতে। খুব ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াতে। ইচ্ছে আছে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়ানোর।

নীল-দর্পণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরচে পড়া সিন্দুকে বন্দী সোনালী শৈশব

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪

শৈশবের স্মৃতি নিয়ে লিখতে বসে অনেকবার থমকে গেছি, এত এত স্মৃতি হুড়মুড় করে চলে আসে সোনালী স্মৃতির পাতা থেকে কোনটা রেখে কোনটাকে জায়গা দেবো ভেবে হিমশিম খাচ্ছিলাম! আবার অনেক কিছু আগেও কিছু ব্লগে শেয়ার করেছিলাম সব মিলিয়ে কী করি আজ ভেবে না পাই, ঐদিকে কন্যাদের জন্যে সুযোগ নাই এসব করে করে দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে!
কিছুদিন আগে খবর পেলাম আমাদের এলাকার 'জমিলা' মারা গেছেন। এই জমিলা বুড়ির ছিল মাথায় সমস্যা, মানুষের বাথরুমের পেছনে, বাঁশ ঝাড়, জংগল ঝাড়ু দিতো সারাক্ষণ, পাতা, ছেঁড়া কাগজ, ময়লা কুড়াতো। যতদিন শক্তি ছিল এসব করতো। ওনার বাড়িটার প্রতি ছিল দূর্ণিবার আকর্ষণ। চারপাশে ঘন করে গাছ লাগানোয় আলাদা বেড়া ছিল না গাছের ঝোপ ই ছিল বাড়ীর বেড়া। ক্ষেতের ভেতর একলা একটা ঘর, সেখানে তার একলার বসবাস। স্বামী নাই, ছেলেরা শহরে থাকে। সমবয়সীদের নিয়ে পুকুরে গোসলে যাওয়ার আগে জমিলা বুড়ির বাড়ীতে কাপড় রেখে বাড়ীর সামনের মিষ্টিআলু ক্ষেতে ঘন্টাখানেক গুলুম খুঁজে খুঁজে খেয়ে গোসলে যেতাম। সেখান থেকে ফিরে আসার সময় আবার ঘন্টাখানেক আলু ক্ষেতে গুলুম খেয়ে বুড়ির বাড়ি এসে কাপড় বদলে তার বাড়ীর আনাচে কানাচে ঘুরঘুর করে তারপর বাড়ী ফিরতাম ঘরে ঢোকার সাহস হতো না কারন অন্ধকার, এলোমেলো ঘর ছিল। একবার মনে হয় তাও সংগী সাথীদের সাথে গেছিলাম। সেবার বুড়ির ভাতিজা কোরবানীর ঈদে উট কোরবানী দিয়ে গ্রামে বিলি করে। ঈদের পরে গিয়ে দেখি ঘরের এমাথা ওমাথায় দড়ি টানিয়ে উঠের কন্ঠনালী (কলিজার সাথে কচকচে যে হাড়ওয়ালা একটা অংশ থাকে পাইপের মত) গেঁথে ঝুলিয়ে রেখেছে শুকাতে! বুড়ি হাপুস হুপুস করে পান্তাভাত খাচ্ছিল কী দিয়ে যেন। বুড়ি মরে গেলেয়াও এই স্মৃতি তো সোনালী বাক্সেই জমা হয়ে আছে আর তো কখনো ফিরে আসবে না। আল্লাহ জান্নাত নসীব করুক উনাকে, দুনিয়ার সকল কষ্টের উর্ধ্বে চলে গেছে।

আমার সবচাইতে সোনালী দিন গ্রামের শীতকালকে ঘিরে। দুইধারে গম, পেঁয়াজ, খেসারী, সরিষা ক্ষেতের আইল দিয়ে কলসী হাতে কুয়াশার চাদরে ঢাকা ভোর বেলা যখন খেজুর রস আনতে দূরে যেতাম, সরিষা ফুলের সাথে খালি কলসী বাড়ি মেরে যেতে যেতে একসময় কলসীর পেটে হলুদ ফুলের পাঁপড়িতে ভরে যেতো। চষা ক্ষেয়ের ঝুরঝুরে মাটি শিশিরে ভিজে নরম হয়ে থাকায় স্যান্ডেলের নিচে জমে এমন ভারী হতো যে একেক স্যান্ডেল কয়েক মন ভারী লাগতো। এটাও তখন উপভোগ্য ছিল যে আরে হালকা স্যান্ডেলটা কেমন যাদুর বলে ভারী হয়ে গেল! যখন পা আর চলতই না তখন একটা পাটকাঠি বা গাছের ডাল খুঁজে বসে পড়তাম স্যান্ডেলের তলার মাটি খুঁচিতে তুলতে। তখনকার জন্যে খুব সাধারন দিন হলেও এখন এসবই জীবনের সেরা সুন্দর দিনগুলোর মাঝে অন্যতম হয়ে গেছে।

অনেক অনেক স্মৃতি থাকলেও ভাবছি বেশি লিখবোনা। শেষ করছি অন্যতম সুন্দর কিছু কথা মনে করে। তখনকার জন্যে এটা অন্যায় ছিল এখনো অন্যায় তবে কেউ নিশ্চই এই লেখা পড়ে এসব শিখবে না। ব্লগার নীল সাধু ভাইয়ার স্মৃতিচারণ পড়ে মনে পড়তো আমরা দুই তিন বান্ধবী মিলে দেখা দেখি বা জিজ্ঞেস করে লিখতাম। রোল কাছাকাছি থাকায় সিট পরতো আগে পেছনে। আমার পেছনে থাকতো বান্ধবী এনীর সিট। কোন কিছু দেখানোর প্রয়োজন পরলে দ্রুত মূল খাতা শেষ করে লুজ শিট নিয়ে লিখতাম এরপর যেটা থেকে দেখানোর প্রয়োজন লিখতে লিখতেই হাতের নিচ দিয়ে একটু ঝুলিয়ে দিতাম এনী দেখে লিখতো। আমার থেকে এভাবেই দেখতো। তবে আমি সামনে থাকায় ওর থেকে এই টেকনিক কাজে লাগতো না, তখন ও লিখে পাশে রেখে দিতো আমি পেছন ফিরে দেখে লিখতাম। সবসময় বুঝতাম কারো থেকে দেখে/শুনে লিখতে হলেও নিজে পড়ালেখা থাকা লাগে নয়তো কবি গুরুর জায়গায় "কবি গরু" হয়ে যেতে পারে! এত চমতকার ছিল দিনগুলো মাঝে মাঝে মনটা হাহাকার করে এই ভেবে যে, যেই দিন গেছে একেবারেই গেছে!

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সোনালি শৈশবকে মরচে পড়া সিন্দুক থেকে বের করে আমাদের সামনে উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ। ভালো লাগলো।

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:৫৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: প্রথম মন্তব্য এবং ভালোলাগায় আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
ব্লগের এই আয়োজনটি খুব ভালো লেগেছে, এই সুবাদে সবার ঝুলি থেকে সুন্দর সুন্দর কিছু মূহর্ত বের হয়ে আসবে একসাথে।

২| ২০ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:১২

শেরজা তপন বলেছেন: অতি সাধারণ শৈশবের স্মৃতি থেকেও মানুষ দুর্লভ কিছু মনি মানিক্য বের করে আনে।
ফেলে আসা শৈশব সব সময়ই রঙিন সুন্দর।
আপনার শৈশবের স্মৃতি কথা ভাল লেগেছে কিন্তু লেখাটা বেশ ছোট হয়ে গেছে আরো কিছু স্মৃতির কথা উঠে আসলে ভালো লাগতো।

২০ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২

নীল-দর্পণ বলেছেন: অনেক কিছুই মাথায় আসছিল কিন্তু ভাবলাম বেশি লিখলে পড়তে বিরক্তি আসে কিনা…। এইটুক লেখা আবার ৩/৪বার বিরতি দিয়ে লিখতে হয়েছে কন্যাদের সামলে। সময় এখন তাদের। :)
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আন্তরিক মন্তব্যের জন্যে।

৩| ২০ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের শৈশব জানতে আমার ভালো লাগে।

২০ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমারো ভালো লাগে, কেবল শৈশব না পুরো জীবনের গল্প শুনতেই ভালো লাগে। শুনতে হয়ত অবাক লাগবে আমি ঘন্টার পর ঘন্টা জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে মানুষ দেখে পার করতে পারি। কেউ ব্যস্ত হয়ে কাজে যাচ্ছে, কেউ বাসায় ফিরছে এক ফনা কলা হাতে, কারো হসপিটালে যাবার তাড়া হাতে মাল্টা নিয়ে, কারো বাচ্চা স্কুল থেকে নিয়ে বাসায় ফিরে রান্নার তাড়া…আবার কারো কোন তাড়াই নাই……এসব দেখতে এবং ভাবতে খুব ভালো লাগে আমার।

৪| ২০ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০২

মিরোরডডল বলেছেন:



গুলুম কি নীলাপু?

বুড়ি হাপুস হুপুস করে পান্তাভাত খাচ্ছিল কী দিয়ে যেন
আহা! এভাবে কাউকে খেতে দেখলে আমার মায়া লাগে।

শৈশবে প্রতিবছর শীতে গ্রামে যাওয়া হতো। ভোরবেলা খেজুর রস দিয়ে দিন শুরু। এ যেনো অমৃত সুধা!
এখন গাছকাটা খেজুরের রস পাওয়া বিরল। শেষ পেয়েছিলাম ২০১৭তে।

সরিষা ফুলের সাথে খালি কলসী বাড়ি মেরে যেতে যেতে একসময় কলসীর পেটে হলুদ ফুলের পাঁপড়িতে ভরে যেতো।
দৃশ্যটা চিন্তা করলাম আপু :)


২০ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:২৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: গুলুমকে সম্ভবত গ্রাউন্ড চেরি বলে।
আমি যেই ছবিটা দিলাম এটাকে আমরা দুধ গুলুম বলতাম। এটা কেঊ পেলে সে খুশিতে ডগমগ হতো, মজা বেশি তাই। আরো দুই রকম খেতাম ছোট ছোট লাল আর কালো রংয়ের।

খেজুর রস যে কবে খেয়েছি ভুলেই গেছি। পাটাঠি দিয়ে পাইপ বানিয়ে তা দিয়ে ঠান্ডা রস খাওয়া শীতের সকালে আহা কী দিন ছিল!

৫| ২০ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৩৬

মিরোরডডল বলেছেন:



নাহ ঠিক চিনতে পারলাম না।
লটকনের মতো মনে হচ্ছে কিন্তু লটকন না।
ছোট ছোট লাল আর কালো রংয়ের, ওটা মনে হয় চিনি, নাম জানিনা।

২১ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:৫৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: না না লটকন না আপু। গুগলে ছবিও পেলাম না তাই দেখাতে পারছি না।

৬| ২১ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল-দর্পণ,




মরচে পড়া সিন্দুক থেকে স্মৃতির যে চাদর তুলে এনে রোদে দিয়েছেন তাতে এখনও "ন্যাপথালিন" এর সুগন্ধ মাখা।

খেজুরের রস আনতে গিয়ে শিশির ভেজা মাটি জমে জমে স্যান্ডেল ভারী হওয়ার ঘটনায় আমারও তুমুল কষ্টের একটি শৈশব স্মৃতির কথা মনে পড়লো।
বছর শেষের স্কুল ছুটিতে দাদাবাড়ী বেরাতে গিয়ে কাজিনরা মিলে প্লান হলো চুরি করে খেজুরের রস খাওয়া। তো রাত তিনটায় কাঁথা মুড়ি দিয়ে রসের মাটির হাড়ি চুরি করা হলো। আমি গ্রামের কাজিনদের মেহমান বলে মাটির হাড়িটি আমার হাতেই দেয়া হলো। এর মধ্যেই গৃহস্থবাড়ীর ভেতর থেকে আওয়াজ এলো - বাগানে কে রে? আমরা তো সবাই পড়িমড়ি করে দৌঁড়। কলাই ডালের খেত মাড়িয়ে যেতে হয়েছিলো বলে স্যান্ডেল দুটি আপনার শৈশবের মতো শিশির ভেজা মাটিতে ওজনদার হয়ে গেছিলো। ঐ ভারী স্যান্ডেল নিয়েই দৌঁড়ুচ্ছিলুম। ভাগ্য ভালো ধরা খাইনি। তো আমাদের বাড়ীর কাচারী ঘরের কাছে এসে স্যান্ডেলের মাটি সরাতে কাচারী ঘরের সামনে রাখা বেছানো ইটে পা ঘসতে গেছি। ব্যাসসসসসসসস.......ব্যালান্স রাখতে না পেরে ধপ্পাস "পপাৎ ধরণীতল।" সাথে রসের হাড়িটিও। রস সব মাটিতে আর আমি বেকুব। :((

আর পরীক্ষার খাতা দেখাদেখি!!!!! সেসবও হয়েছে খুব সাহসের সাথে যেন দিগ্বিজয় করা হয়েছে। ;)

স্মৃতির এই লেখায় ভালোলাগার স্মৃতি রেখে গেলুম।

২১ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:০৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা হা আপনার স্মৃতিটা তখনের জন্যে দুঃখজনক হলেও খুবই মজার। আমার আফসোস হচ্ছে রসের হাড়িটার জন্যে, এত কষ্টের রস আহারে! :|

দেখাদেখি করতেও কিন্তু সাহস এবং যোগ্যতা লাগে। আমি কান খাড়া রাখতাম। কেউ বলাবলি করলে তার মাঝ থেকেই আমার প্রয়োজনীয়টুকু বের করে নিতাম। B-)

ভালো লাগাটুকু সযতনে তুলে নিলাম।
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন আপনার এত সুন্দর স্মৃতি শেয়ার করার জন্যে।

৭| ২১ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কিছু সুন্দর স্মৃতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২১ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:০৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্যে।

৮| ২১ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমার মন্তব্যর খুব সুন্দর উত্তর দিয়েছেন।

২১ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:০৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: খুব ভালো থাকবেন আমাদের সুরভী ভাবী এবং রাজকন্যাদের নিয়ে। :)

৯| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাদের এলাকার জমিলা বুড়ি'র মত ছোটবেলায় বার্ষিক পরীক্ষার পর যখন ছুটিতে নানাবাড়িতে বেড়াতে যেতাম, তখন সেখানেও আমরা এক বুড়িকে দেখতে পেতাম, যাকে ছোট বড় সবাই 'পাগলী' বলে ডাকতো। তিনি ছিলেন অপূর্বসুন্দরী এক বাকপ্রতিবন্ধী মহিলা। শূধুমাত্র বাকশক্তিহীন হবার কারণে তিনি তার পিতৃপ্রদত্ত নামটি চিরতরে হারিয়ে সবার দ্বারা নিতান্ত হেলাভরে 'পাগলী' নামে সম্বোধিত হতেন। তিনি আমার নানাবাড়িতে উদয়াস্ত ফুট ফরমাশ খেটে রাতে যাবার সময় খাবারের থালাটি তার দীর্ঘ আঁচলে ঢেকে এবং মাথায় ঘোমটা টেনে রাতের আঁধারে নিজ বাড়িমুখে চলে যেতেন। স্বামী-সন্তানহীন সেই একেলা বুড়িরও ছোট্ট ঘরটা ঘন গাছ-গাছালি দিয়ে ঘেরা ছিল, তাই সেটার চারপাশে আলাদা কোন বেড়া ছিল না।

"যেই দিন গেছে, একেবারেই গেছে" - হায়, এর চেয়ে বড় সত্য আর কিছুই নেই, যতই আমরা সেই দিনগুলোকে আবার ফিরে পেতে চাইনা কেন!

নস্টালজিয়া উদ্রেককারী পোস্টে অষ্টম প্লাস। + +

১৪ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:১৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: পাগলীরা দুনিয়াতে কষ্ট পেলেও পরজনমে যেন আল্লাহ শান্তিতে রাখেন এই দোয়া করি।
সযতনে তুলে নিলাম আপনার প্লাস টি। আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।

১০| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "সময় এখন তাদের" (২ নং প্রতিমন্তব্য) - ঠিক, ঠিক এবং একদম ঠিক কথা। আগে ওরা এবং পরে অন্য সবকিছু!

"আবার কারো কোন তাড়াই নাই" (৩ নং প্রতিমন্তব্য) - এইসব মানুষের দলে বোধহয় এখন আমি পড়ি। :(

আহমেদ জী এস এর স্মৃতিচারণটাও ভালো লেগেছে।

১৪ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২০

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমি এই মন্তব্য পড়ছিলাম আর তাদের হাউকাউ শুনছিলাম। টিকতে না পেরে দুধ বানিয়ে দিলাম, খেয়েদেয়ে এবার দাবী পেসিফায়ার দিতে হবে (মানে হল ঘুমাবে) । একজনকে ঘুম পাড়িয়ে বসেছি, আবার একজন এসেছে। তাকে ঘুম পাড়িয়ে লিখতে বসলাম দেখি সে ঘুমায়নি! =p~ এসব নিয়েই দিন রাত যায়।

আমার মেয়েরা তাড়া না দিলে আমিও তাড়া না থাকা দলের সদস্য হই মাঝে মাঝে। তখন আপনার পোস্ট পড়ি, আবার তারার জন্যে মন্তব্য করে উঠতে পারি না!

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আন্তরিক সব মন্তব্যের জন্যে।

১১| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৩৬

সোহানী বলেছেন: ছোটবেলার স্মৃতি সে তো মধুর সবসময়। চমৎকার সে দৃশ্যগুলো চোখের সামনেই ভেসে উঠলো।

গ্রামের স্মৃতি আমার খুব বেশী নেই। তারপরও যা আছে তা লিখবো হয়তো একদিন। গ্রাম আমার বরাবরেই ভালো লাগে। কিন্তু খুব কমই যাওয়া হয়েছে এ জীবনে। এখনো সময় পেলেই দূরে কোথাও ছুটে যাই।

মিরোর মতো আমিও গুলুম চিনিনি। তুমি যে ফলের ছবি দিয়েছো তা এখানকার বাজারে পাওয়া যায়, এটাকে Physalis (Cape Gooseberry) বলে।


০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২৩

নীল-দর্পণ বলেছেন: লিখেফেলেন আপু একদিন সময় করে, যে কোন স্মৃতিকথা পড়তে খুব ভালো লাগে, মনে হয় যেন অন্যএকটা জগতে ঘুরে আসলাম

আপনাদের ওখানের বাজারে যা পাওয়াযায় ওগুলোকি কাঁচা? রান্না করে খেতে হয় নাকি পাকা? দেশে কিন্তু এসব কেউ কাঁচা খায় না।

১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০২

সোনালি কাবিন বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন।

১৩| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: কি খবর আপনার? আছেন কেমন?

০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?
কেউ ব্লগে এসে আমার খোঁজ নিচ্ছেন এটা ভাবনাতেই থাকে না কখনো!

পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো আছেন আশা করছি।

১৪| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৫

শায়মা বলেছেন: নীলমনি
তোমার জমিলাবুড়ির কথা শুনে আমার এক বুড়িকে মনে পড়লো আবুর মা।

মানুষের জীবনের ছেলেবেলা সবচেয়ে সুন্দর!!!!!

০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: আগে ভাবতাম ছেলেবেলা বুঝি সুন্দর না কেবল শাসন, লেখাপড়া হাবিজাবি ছিল।
এখন যত দিন যায় মনে হচ্ছে ওটাই ছিল সবচাইতে সুন্দর সময়।

১৫| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, ভাল আছি। :)
ফেইসবুকে যুক্ত হয়ে যান, তাহলে অন্ততঃ মাঝে মধ্যে আপডেট দেখতে পাবঃ https://www.facebook.com/sumon98316

১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৫০

নীল-দর্পণ বলেছেন: অবশ্যই :)

১৬| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: কই, ফেইসবুকে কোন বন্ধু হওয়ার অনুরোধ পেলাম না তো!! :)

১৭| ২১ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৪৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনি যেই লিংক দিয়েছেন সেটায় গেলে তো এড করার অপশন নেই, কেবল ফলো করার অপশন দেখালো তাই ফলোই দিলাম! B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.