নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

র্দুনীতি মুক্ত বাংলাদেশ চায়।

আসুন উষ্কানী মূলক রাজনৈতিক বক্তব্য পরিহার করি।

মুকুল সালাহউদ্দীন

নোংরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা গ্রাস করতেছে আমাদের হৃদয়, রাজনৈতিক নোংরা আবেশ ধ্বংস করতেছে আমাদের ব্যাক্তিগত পারিবারিক ও বন্ধুত্ব সর্ম্পক, আসুন সুস্থ ও সুন্দর রাজনীতি করি, দেশকে প্রতিহিংসা মুলক রাজনীতির কবল হতে মুক্ত করি। @সালাহউদ্দীন মুকুল

মুকুল সালাহউদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি মজার সত্য ঘটনা, বিবাহ অনুষ্টানের সময় বিভ্রান্ত।

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৭

প্রতিটি মানুষের জীবণে কোন না কোন এক সময় এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যা কখনো চির স্বরণীয় ও মজার হয়। এই রকম একটি মজার ঘটনা আপনদের সাথে শেয়ার করলাম।



আমার মা একবার আজ হতে প্রায় ১৪ বছর আগে ১৯৯৯ সালে, দিন তারিখ টিক মনে নেই, চট্টগ্রাম শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে (ষোলশহরের বিয়েবাড়ী) যান বিয়ের অনুষ্টানে। বিয়েটি ছিল আমার মা এর জেঠাত ভাইয়ের, যে বিয়েতে যাচ্ছিল আসলে সেই বিযের অনুষ্টানটি ছিল রাতে, কিন্তু আমরা কেউ ভাল করে বিবাহের দাওয়াত পত্রটি পড়ে দেখিনায়, আমি তখন এইচ,এস,সি ফাইনাল পরীক্ষার ব্যস্ততায় আমি মায়ের সাথে যেতে পারিনায়, মা আমার বড়ীস্থ আমার এক জেটাত ভাই কে নিয়ে যান সাথে ঐ বিবাহ অনুষ্টানে। রাতের বিবাহ হলেও ভুলে মা ও আমার জেটাত ভাই দিনের বেলায় চলে যায় কমিউনিটি সেন্টারে। বিবাহ অনুষ্টান স্থলে গিয়ে দেখেন সবাই অচেনা। কাউকে মা চিনতে পারতেছিল না।



সাধারণত বিবাহ অনুষ্টান স্থলে কনে পক্ষ ও কনে পক্ষের অথিতিরা আগে হাজির হয় কমিউনিটি সেন্টারে , বর পক্ষ হাজির হয় পরে। তায় প্রথমে মা প্রথমে ভাবছিল হয়তো কিছুক্ষণ পর আসবে বর পক্ষ ও বরযাত্রীরা,



কিন্তু একি ব্যাপার ইতি মধ্যে কয়েটি বাস বরযাত্রী বিবাহে অনুষ্টানে এসে দাওয়াত খেয়ে চলে গেছে কিন্তু মা কাউকে চিনতে পারলনা।



এবার মা চিন্তা করলো, পরে ভাবলো হয়তো বিবাহ অনুষ্টানে প্রচুর মেহমানের সমাগম হয়, সবাইকে তো চেনা সম্ভব নয়, হয়তো আরো বর যাত্রী আসবে পরে সেখানে পরিচিতরা থাকবে।



বিবাহের উপহার হিসেবে মা একটি দামী শাড়ী নিয়ে যায় , সেই শারীটিও মা বরপক্ষ হতে যে উপহার সামগ্রী গ্রহণ করতেছিল তাকে দিয়ে দেন।



ইতি মধ্যে একজন কনে পক্ষের মহিলা এসে মাকে জিজ্ঞাসা করেন, বর আমার মায়ের কি হন?

মা উত্তর দিল বর আমার ভাই ,,

যেহেতু বরের বোন,তায় তারা আমার মাকে নিয়ে বেশ খাতির যত্ন করে খাবার দেন ও বেশ আপ্যায়ন করেন । কিন্তু ঐ মহিলার কথাবার্তায় একপর্যাযে মা বুঝতে পরলো হয়তো ভুল কমিউনিটি সেন্টারে এসেছে । তায় এক জনকে জিজ্ঞাসা করলেন (এটাকি ষোলশহর বিয়ে বাড়ী ক্লাব” ঐ ব্যক্তি উত্তর দিল হ্যাঁ, এবার মা আরো বেশী চিন্তায় পড়ে গেলেন , কি ব্যাপার ক্লাব তো টিক আছে কিন্তু একে বারে সবাই অচেনা? ঐ সময় মোবাইল ফোন সবার কাছে তেমন একটা ছিলনা, মা কমিউনিটি সেন্টারের বাইরে গিযে কলসেন্টার হতে আমার মামার বাড়ীর পার্শ্বে অবস্থিত একটি কলসেন্টারে ফোন করেন। কল সেন্টারের মালিক কে জিজ্ঞাসা করেন ঐ ( রোকন) আমার মায়ের জেঠাত ভাই, এর বিবাহ কোন কমিউনিটি সেন্টারে ও কখন হবে।



ঐ মোবাইল কলসেন্টারের মালিক আমার নানার বাড়ীর পার্শ্বস্থ লোক তায় তিনি আমার মামার বাড়ীর সবাইকে ভাল করে চিনতেন ও জানতেন, তিনি আমার মাকে জানালেন , বিয়ে হবে চট্টগ্রামের ষোলশহরের বিয়ে বাড়ী নামক ক্লাবে, বিবাহ অনুষ্টান রাত্রের বেলায়।



এবার মা সঠিক উত্তর পেলেন, কমিউনিটি সেন্টার টিক আছে, শুধু টিক নেই টাইমের , অনুষ্টান হবে রাতে। বিবাহের টাইম সিডিউলটা ভাল করে কেউ দেখিনায় আমরা। না দেখে অনুষ্টানে চলে যায আমার মা।



মা সত্য ব্যাপারটি যখন জানতে পারেন তখন খুবই বিভ্রত আবস্থায় পড়ে যান, ইতি মধ্যে যে উপহারটি নিয়ে অনুষ্টানে গিয়েছিল তাও দিয়ে দিয়েছেন, সেটাতো আর ফেরত নেওয়া সম্ভব নয়, তাছাড়া যদি সাবই ব্যাপারটি জেনে যান সাবই হাসাহাসি করতে পারেন বা হয়তো কেউ ফ্রট ভাবতে পারেন, কি করবেন বুজতে পারতেছিলনা মা,



পরে আমার মা ও আমার জেঠাত ভাই অনেকটা চুপি চুপি কাউকে কিছু না বলে আস্তে আস্তে বিবাহ অনুষ্টান স্থল ত্যাগ করেন,



পরে আবার আমার মা ঐ বিবাহ অনুষ্টান স্থল হতে গ্রামে আমার নানা বাড়ী ফিরে আসেন, পুরো ব্যাপারটি আমার মা প্রথমে গোপন রাখেন , কউকে এই ব্যাপারে কিছু বলেন নি, আবার অন্যএকটি শাড়ী কিনে উপহার দেন আমার মায়ের জেঠাত ভায়ের বিয়েতে,



বাড়ীতে আসে মা আমাদের এই কথা বলেন, পুরো ব্যাপারটি শুনে আমারা ভাই বোন সহ বাড়ীস্থ সবাই খুবই হাসাহাসি করে, এখনো খুবই হাসি পায় সেই কথাটি মনে পড়লে।



মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

টানিম বলেছেন: B-) B-) B-) B-) B-) B-)

২| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: =p~ =p~ =p~

৩| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

কালোপরী বলেছেন: আমার আপুর বিয়েতে আমন্ত্রিত এক মামা দুপুরের বদলে রাতে চলে গিয়েছিলেন আর ওখানে ডিনার সেট গিফট দিয়ে এসেছিলেন

/:) /:) /:)

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫২

মুকুল সালাহউদ্দীন বলেছেন: খুবই হাস্যকর ও মাজার ঘটনা, সবই সর্তক থাকবেন বিয়ের কার্ডে ভাল করে টাইম সিডিউল দেখে নেওয়া উত্তম, তাছাড়া এখন মোবইলের যুগ মনে হয় সেই রকম বিভ্রন্ত আর হবার সম্ভবনা নেই।

৪| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৮

শুটকাভাই বলেছেন: এটা ঠিক আমার বেলায়ও হয়েছিল।

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৭

মুকুল সালাহউদ্দীন বলেছেন: আপনার ঘটনাটি বিস্তারিত লিখলে একটু মজা পেতাম।

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৯

খাটাস বলেছেন: ভাই চরম মজার অভিজ্ঞতা। :) :) :) কিন্তু সময়ের ব্যাপার টা শেষে লিখলে মানে অভিজ্ঞতার পাঞ্চ লাইন টা শেষে লিখলে আরও বেশি জমত। :#> সে যা হোক, প্লাস দিয়ে আপনার মজার পোষ্টে সামিল হলাম।

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

মুকুল সালাহউদ্দীন বলেছেন: ভাল ও সাজিয়ে সুন্দর করে লেখার মত ক্ষমতা নেই, তারপও চেষ্টা করি মনের কিছু ভাল লাগার কথা লিখতে । ধন্যবাদ

৬| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:০৫

হাটহাজারী, চট্ট্রগাম। বলেছেন: সত্তি অনেক মজা পেলাম, অসাধারণ একটি মজার ঘটনা জানলাম, অনেক অনেক ধন্যবাদ, এই রমক একটি মজার ঘটনা শেয়ার করার জন্য,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.