![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাগত, হে ব্লগ পরিব্রাযক! মোল্লা সাদরার ব্লগে আপনাকে সুস্বাগতম!
আমার ব্লগ নাম দেখেই অনেকে আঁতকে উঠবেন। এই আমলে নামের আগে মোল্লা থাকাটা সমীচীন নয় মোটেই। স্থানীয়ভাবেও মোল্লা শব্দটি এই মুসলিম জনসংখ্যাধিক্যের দেশে মোটামুটি একটি ডেরোগেটোরি টার্ম, অথবা, তাচ্ছিল্য প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। আর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল, এবং বর্তমান ভূ – রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে ‘মোল্লা’ টাইটেলটি তো ত্রাশের সঞ্চার ঘটাতে বাধ্য। হে হে হে।
অত্যুৎসাহী কেউ যদি গুগুলে নাম ঢুন্ডে এন্টার বাটনে ইতোমধ্যে একখানা ঠুয়া দিয়ে থাকেন, এই নামের আদি উৎস খুঁজবার উদ্দেশ্যে – তাহলে কেউ কেউ আবার এই ব্লগের মধ্যে পারসিক প্রোপ্যাগান্ডা খুঁজে পাইতে পারেন। মোল্লা সাদরা, সাফাবিদ পারশিয়ার একজন অন্যতম অস্তিত্ববাদী দার্শনিক ছিলেন, ধর্মীয় দিকে যিনি ছিলেন ইমামি শিয়া।
১৫৭১ সালে, ইরানের সিরাজ নগরের ফার্স প্রদেশে মোল্লা সাদরার জন্ম। এই প্রদেশটিকে সাফাবি সরকার মোটামুটি স্বায়ত্তশাসন দিয়ে রেখেছিল। সাদরার বাবা, খাজা ইব্রাহীম কাভামি ছিলেন এই প্রদেশের উচশিক্ষিত, প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এবং প্রশাসক। দীর্ঘদিন নিঃসন্তান থাকবার পর তিনি এই পুত্র সন্তানের জনক হন। প্রাথমিকভাবে এই সন্তানের শিরোনাম মোহাম্মদ, এবং ডাকনাম ইব্রাহীম রাখা হলেও পরিবারের সবাই তাকে ‘সাদরা’ – নামেই ডাকা শুরু করেন। ‘সাদরা’ শব্দের আভিধানিক অর্থ প্রধান কাজী / বিচারক। চিফ জাস্টিস, এবং হেড ক্লারিক। পরবর্তী জীবনে তার খ্যাতি আরও ছড়িয়ে পড়লে তার নামের আগে শিরোনাম হিসেবে ‘মোল্লা’ যুক্ত হয়, তৎকালীন পারস্যে যার আভিধানিক অর্থ ছিল অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তি।
পারস্যের উচ্চকোটি পরিবারের সন্তানদের মতো মোল্লা সাদরার প্রাথমিক পড়াশোনা গৃহে, গৃহশিক্ষকদের কাছেই শুরু হয়। এখন যেমন সন্তানদের জন্যে বাবা মা’রা শৈশবে মূলত সেপারা – কোরআন, এবং পরবর্তীতে ইংরেজি – গণিত ইত্যাদি বিষয়ে মৌলভী – মাষ্টার রেখে পড়ান, ৫০০ বছর আগের পারস্যে ব্যাপারটা অমন ছিল না। মোল্লা সাদরাকে গৃহশিক্ষকদের কাছে ফার্সি – আরবি ভাষা ও সাহিত্য, ক্যালিগ্রাফি অঙ্কন, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, হাকিমি, ইসলামিক জুরিসপ্রুডেন্স ইত্যাদির পাশাপাশি ঘোড়ায় চড়া, কমব্যাট টেকনিক, শিকার এবং অস্ত্র চালনের শিক্ষা লাভ করেন। পরিনত বয়সে তিনি পড়াশোনা করেন কাজভিন, এবং ইস্ফাহানে, হাদিস শাস্ত্র, দর্শন, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব, এবং হেরমেন্যুটিক্স – এ। যদিও সাদরার মূল আগ্রহের বিষয় ছিল বরাবর মিস্টিক্যাল ফিলোসফি, বা আধ্যাত্মপ্রসূত দর্শন। সাফাবি পারস্যের ইস্ফাহান ছিল জ্ঞান বিজ্ঞানের তীর্থস্থল। সাদরার দু’জন প্রধানতম শিক্ষকের নাম আমরা জানতে পারি, তাদের মধ্যে বাহাউদ্দিন আল আমিলি ছিলেন তত্ত্বীয় গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, প্রকৌশল ও স্থাপত্যবিদ্যার স্বনামধন্য শিক্ষক। অপরদিকে, মোল্লা সাদরার অপর শিক্ষক, মীর দামাদ, ছিলেন পেরিপেট্যাটিক / অ্যারিস্টোটলিয়ান দর্শন, এবং সুহরাওয়ার্দী সুফি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শিহাবুদ্দিন সুহরাওয়ার্দীর ইশরাকি / ইল্যুমিনেশনিস্ট ইসলামিক দর্শনের বড় উস্তাদ। মূলত মীর দামাদকেই মোল্লা সাদরা তার মূল উস্তাদ, এবং আধ্যাত্মিক রেহবার / পথ প্রদর্শক মানতেন।
শিক্ষা সমাপ্তির পর, ইমামি শিয়া উলামাদের প্রচলিত ধর্ম ও দর্শন ব্যাখ্যার কিছুটা বাইরে গিয়ে আনঅর্থোডক্স উপায়ে নিজের প্রশিক্ষন, এবং তৎসংক্রান্ত মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে ইস্ফাহানের শিয়া ক্লারিকদের রোষের শিকার হয়ে ইস্ফাহান ত্যাগ করা লাগে মুল্লা সাদরার। পারস্যেরই কুম শহরের কাছাকাছি এক গ্রামে থেকে কিছুদিন পড়াশোনা, শিক্ষকতা, দর্শন চর্চা এবং লেখালিখির কাজ চালিয়ে যাওয়ার ফাঁকেই তিনি তার জন্মভূমি সিরাজ থেকে ডাক পান। সিরাজের ফার্স প্রদেশের গভর্নর আলী কুলী খান প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার দায়িত্ব নিতে বলা হয় তাকে। এই মাদ্রাসা থেকেই মোল্লা সাদরা তার পরবর্তী শিক্ষা ও ইসলামিক দর্শন সংক্রান্ত গবেষণার প্রকল্প চালিয়ে যান।
বর্তমান সময়ে অস্তিত্ববাদী দর্শন যেভাবে প্রচলিত, তার থেকে অ্যাপ্রোচের দিক থেকে অনেক ভিন্ন হলেও, এক্সিস্টেনশিয়াল, বা অস্তিত্ববাদী দর্শনের জনক বলা হয় তাকে। এছাড়াও ‘হারাকাত – আল – জাওহারিয়্যাহ’ , বা চৈতন্য প্রবাহ, কার্যকারণসম্বন্ধ, জ্ঞানের এপিস্টেমোলজি, সত্য এবং বাস্তবতা – ইত্যাদি বিষয়ে খুব মৌলিক কিছু চিন্তা ও কাজ রেখে যান। পরবর্তীতে, যখন দর্শন নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লেখা শুরু করবো – তখন মোল্লা সাদরার চিন্তা ও দর্শনের ব্যাপারে বিস্তারিত লেখার সুযোগ হবে। ১৬৩৫ খ্রিষ্টাব্দে, ৬৪ বছর বয়সে মোল্লা সাদরার জীবনাবসান হয়। ইসলামিক দর্শন চিন্তার সমসাময়িক সময়ের প্রধান কসমোপলিটান ফিগার, অ্যামেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সৈয়দ হুসাইন নসরের লেখায় মোল্লা সাদরার কাজ প্রাসঙ্গিকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
যাই হোক , ইসলামের চিন্তা ও দর্শনের যে বিশাল এবং ডাইভারস একটা জগত অনুন্মচিত অবস্থায় পড়ে আছে বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে, এই চিন্তার জায়গা থেকে এই ব্লগ লিখবার সূচনা। মূলত ইসলামিক দর্শন, ও চিন্তার জগতকেই এক্সপ্লোর করা হবে এই ব্লগে। একই সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বাংলার দর্শন, বৌদ্ধ দর্শন, এবং পাশ্চাত্য দর্শনের পঠনপাঠন এবং আলোচনাও করা হবে এই ব্লগে।
এতক্ষণ পর্যন্ত সঙ্গে থাকার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ, হে ব্লগ পরিব্রাজক!
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৯
মোল্লা সাদরা বলেছেন: আপনার উপস্থিতি ও মন্তব্য আমাকে প্রাণিত করিয়াছে ভ্রাতা। মঙ্গল হউক। ওয়াস সালাম।
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ ব্লগিং। আপনার ব্লগ আইডি গ্রহণের নেপথ্যে কাহিনী জানলাম।প্রথম পোস্ট হলেও আপনার লেখনী সাবলীল। আগামীতে এরকম আরও অনেক কাহিনীর ঝাঁপি খুলে ব্লগকে আরও প্রানবন্ত করে তুলুন- সেই প্রত্যাশাই করি।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫১
মোল্লা সাদরা বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ প্রিয় ভ্রাতা। আশা করি ভালো কিছু লিখা উপহার দিতে পারবো। অন্তত চেষ্টা থাকবে সেরকমই। প্রাণিত হইলাম আপনার মন্তব্য ও উপস্থিতিতে। মঙ্গল হউক
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ব্লগে স্বাগতম। সুফি ঘরানার মানুষদের সংখ্যা দিনকে দিন কমে যাচ্ছে।
এরই মাঝে আপনার আগমন ব্লগকে নিশ্চিৎ গতিশীল করবে।
শুভ ব্লগিং।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫৪
মোল্লা সাদরা বলেছেন: আপ্লুত হইলাম আপনার মন্তব্যে প্রিয় ভ্রাতা। বহুদিনের খাহেস, পড়িয়া - শুনিয়া - আলাপ করিয়া যাহাকিছু অর্জন করিয়াছি, তার কিয়দাংশ আপনাদের খেদমতে উপস্থাপন করার। আশা করি ভাবের আদান প্রদানে উপকৃত হইব। মঙ্গল হউক আপনার।
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১০
সোবুজ বলেছেন: নামে কিবা আসে যায়।অনেক কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন।সুরটা করলেন একটা বস্তাপচা দর্শন দিয়ে।দর্শনের অনেক রথি মহারথী আছে।ইসলামীক দর্শন বর্তমান বিশ্বে অচল মাল।গুটি কয় মোল্লা ছাড়া কেউ চর্চা করে না।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩৯
মোল্লা সাদরা বলেছেন: মঙ্গল হউক ভ্রাতা। ইসলামিক দর্শন, অথবা সাধারন ভাবে বলতে গেলে, দর্শন বিষয়টি নিয়া আপনার জানাশোনার পরিধি বড়ই ব্যাপক, আপনার তাচ্ছিল্যব্যাঞ্জক মন্তব্যে ইহাই প্রতিভাত হয়। ইসলামিক দর্শনকে ফুটা পয়সা বিবেচনা করিলেন কি উহার জ্ঞানকাণ্ডের এপিস্টেমলজির প্রতি আপনার বৈরীতার কারনে?
৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১২
সোবুজ বলেছেন: শুরুটা হবে।
৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:০৬
সাসুম বলেছেন: আপনার লেখনি ও প্রতিউত্তর দেখেই ধরে নেয়া যায়- বহু পুরাতন ঘাগু মাল আপনি। বহু ঘাটের পানি খাওয়া মাঝি। জানেন বুঝেন ব্লগের হালচাল এবং নাম করনের কাহিনী বর্ণনা করে নাম নিয়ে ক্যাচাল থেকে মুক্তি পেলেন।
আশা করি মজলিশে শুরা, গাধা সিন্ডিকেট কিংবা হাম্বা সিন্ডিকেট এর অংশ হয়ে দলাদলি, ম্যা ম্যা সিন্ডিকেটের পিটচাপড়াচাপড়ি ব্লগিং না বরং নিজের মত করে নিজের মতবাদ, চিন্তা এবং লেখনি আমাদের জানান দিবেন।
ভাল থাকুন। হ্যাপি ব্লগিং
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৪৯
মোল্লা সাদরা বলেছেন: সুস্বাগতম আমার ব্লগে, ভ্রাতা। এই ব্লগখানা খুলিবার প্রায় একদশককাল সময় লইয়া পড়িতেছি , দেখিতেছি ব্লগের নানা মুনির নানা কাণ্ডকারখানা। আপনি আপনার এই নিকে সচল বছর এক হইলো বোধয়। অফলাইনে থাকা অবস্থায় দু'খানা বস্তু বরাবর চক্ষে ধরা পড়ে, এক, আপনার মুখছবির সবুজরঙ্গা ছাগলখানা, আর আপনার মোটামুটি যৌক্তিক আলাপের মধ্যে গালিগালাজের দহরম মহরম। ধরেন, আমাকে, হয়ত প্রশংসা করিতে গিয়াই বলিলেন, পুরাতন ঘাগু মাল। আপনার শ্রদ্ধেয় ওয়ালেদ সাহেব যদি দুনিয়াবি মুয়ামালা মুয়াশারায় পটু হন, উনাকেউ কি আপনি পুরাতন ঘাগু মাল বলিবেন? না, সম্ভবত। তো এই অপ্রয়োজনীয় বিশেষণগুলি আমা, বা আমাদিগের প্রতিই বা কেন নিক্ষেপ? নিজের এই নিকখানার শানে নুযূল ব্যাখ্যা না করিলে যদি ক্যাচালে পড়িতে হয়, তবে তো তা আপনাদিগের অজ্ঞতা স্পষ্ট করে।
যাহাই হউক, যাদের আপনি মোটাদাগে সিন্ডিকেটভুক্ত করিলেন, বিভাজন অতটা সাদাকালো নহে, বোধ করি। মধ্যিখানের ছাইরঙ্গা অংশগুলিও দেখিতে, জানিতে, বুঝিতে, ও স্বীকার করিতে শিখা অধ্যাপক জাফর ইকবাল সাহেবের শিষ্যের কাছ হইতে কাম্য।
আলাপ তো চলিবেই। জাজমেন্টাল মন্তব্য, অপ্রয়োজনীয় বিশেষণের ব্যবহার কম করিবার অনুরোধ জ্ঞাপন করি।
মঙ্গল হউক!
৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৫
সাসুম বলেছেন: আলাপ আর হবেনা মনে হয়, কারন আপনি সিম্পল জিনিষ কেও জটিল করে তুলিয়াছেন। আপ্নাকে ঘাগু মাল মানে পাকা ও অত্যন্ত চালাক লোক এবং বহু ঘাটের পানি খাওয়া মাঝি মানে অনেক অভিজ্ঞ মানুষ হিসেবে বুঝানোর চেস্টা করিয়াছিলাম বাংলা বাগধারা ইউজ করে। বাট আপনি সেটাকে নেগেটিভ ভাবে নিয়েছেন। এরপর আপনার এবং আপনাদিগকে অপ্রয়োজনীয় বিশেষণ নিক্ষেপ করি বলে যে অপবাদ দিলেন সেটা ও একটা প্রশ্ন তুলে দিলো।
তারপর আমি যেসব সিন্ডিকেট এর কথা তুলিয়াছি তাহাদের পক্ষে জাস্টিফিকেশান তুলে আরো একবার আমার সন্দেহ সত্য করে তুল্লেন।
আলাপ চলিবেনা বলেই আশা করছি কারন আমি আলাপ করতে চাইলে আলাপের জন্য যথার্থ স্পেস দরকার হয়। আপনার কথা থেকে একদম ক্লিয়ার সে স্পেস কখনো আপনি দিবেন না বরং পেছাবেন খালি।
ও হ্যা, জাফর ইকবাল কে নিয়ে ট্রলিং টা জরুরি ছিল- আমি মানুষ ফিল্টার করতে জাফর ইকবাল ইউজ করি। ইহা খুব দামী ফিল্টার। আর আমি কারো শিষ্য না, আমি জ্ঞানের শিষ্য। জ্ঞান বাড়াতে যার কাছে যাওয়া প্রয়োজন আমি তার কাছেই যাই। কারন, কি জ্ঞান গ্রহন করতে হবে সেটা বুঝার মত জ্ঞান অর্জন করে ফেলেছি কারো শিষ্য হবার জ্বালা হল তখন তার বদনাম ও বাজে কাজের দায়ভার নিতে হয়, সেটা আমি কখনোই কারো কাছ থেকে গ্রহন করতে রাজি নই।
যাই হোক, আপ্নার সমমনা লোকদের অভাব হবেনা। পিটচাপড়াচাপড়ি ব্লগিং হোক আর ইন্ডিভিজুয়াল হোক - আপনার লিখা চলুক। ভাল থাকুন, হ্যাপি ব্লগিং।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৩
মোল্লা সাদরা বলেছেন: ঘাগু - শব্দখানা নেতিবাচক, ভ্রাতা; এখন আপোনি যাহাই বুঝাইতে চাহেন না কেন। 'ঘাগু' , 'দাগী' শব্দটির প্রতিশব্দ হিসেবে বাঙ্গালাভাষায় ব্যবহৃত হয়। কোথায় যেন পড়িয়াছিলাম, অধ্যাপক জাফর ইকবাল সাহেব আঞ্জেনিয়ারিং এর শিক্ষার্থীরা অধিক হারে জঙ্গিবাদে জড়াইতেছে দেখিয়া মন্তব্য করিয়াছিলেন, তাহাদিগেরে ধরিয়া ধরিয়া সাহিত্য পড়াইতে হইবে, যাহাতে শূন্য আর একের বাইনারিতে দুনিয়া পরিমাপের পরিবর্তে উহাদের মনের সুকমল বৃত্তিগুলিন প্রস্ফুটিত হয়। ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে এক একটি বিষয় অ্যাপ্রোচ করিবার ও বুঝিবার সক্ষমতা তৈরি হয়। আপোনার শিক্ষকের সূত্র ধরিয়া আরও খানিকটা যোগ করি, ধর্মীয় জঙ্গিভাবাপন্ন আঞ্জেনিয়ারদের ন্যায় সেকুলার বর্ণবাদী জাতিবাদী জঙ্গি আঞ্জেনিয়ারদেরও খানিকটা সাহিত্যপঠন বোধকরি ইত্যকার দাবীতে পরিণত হইয়া গিয়াছে। উহাদেরও শব্দের চয়ন, দুনিয়া দেখিবার দৃষ্টিভঙ্গীতে বড়সড় ঘাপলা থাকিয়া যায়, ধরাইয়া দিবা মাত্রই ফোঁস করিয়া উঠে।
আপনি সদা গালি দিয়া থাকেন, এবং গর্বিতভঙ্গীতে গালি দিয়া থাকেন - ইহা পর্দার ছবি তুলিয়া এইখানে ভাগ করিয়া লওয়া সম্ভব, কিন্তু, জরুরত মনে করিতেছি না। ইহা উল্লেখ করা যদি আপোনার প্রতি অপবাদ প্রদান করা হইয়া থাকে, উহা আপোনার বিবেচনা। দশজনে মনে হয় না আপনার সঙ্গে ঐক্যমত্য পোষণ করিবে। যাহাই হউক, আমাকে গালি দেবার আগ পর্যন্ত আপোনার গালিদিবার খাসলত একান্তই আপোনার সমস্যা। আপোনি উহার মুখামুখি হইয়া তাহা ডিল করেন, অথবা চোখ বুজিয়া থাকেন, আমার উহাতে তেমন কিছু যায় আসে না।
সিন্ডিকেটের ইস্যুতে আমার মন্তব্যখানা ছিল, তাহারা আসলে অতটা সাদাকালো না, যতটা সাদায় এবং কালোয় আপনি উহাদের চরিত্র অঙ্কন করিলেন। তাহারা তাহাও, এবং তাহার উরধে বা নিম্নে আরও অনেক কিছু। আপোনি নিজেকে জ্ঞানান্নেশী দাবী করেন। উহাদের চরিত্রের সেই গ্রে সাইডগুলি খুঁজিয়া বাহির করা আপোনার জন্যে জরুরী। নিজেকে জ্ঞানান্নেশী দাবী করিয়া জাজমেন্টাল ব্লকহেডদিগের মতোন আচরন করিলে মানুষ জ্ঞানান্নেশীর বদলে জ্ঞানপাপী বলিবে।
বাকি রহিল আমার প্রতি আপোনার সন্দেহ, আর আপোনার ফিল্টারসমূহের আলাপ। তা এই সমস্ত বস্তুনিচয়, তথা আপকর্তৃক প্রণীত ফিল্টার ও সন্দেহাদিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবার দায়ঠ্যাকা কাহার আছে এই ব্লগপাড়া, বা বেগমপাড়া, অথবা বৃহৎবঙ্গদেশে?
আলাপ করিতে আপোনার যথার্থ স্পেস লাগে, বলিলেন। উহা এইখানে পাইবেন না, তাহাও বলিলেন। বলি, এই "যথার্থ স্পেস" - এর গণ্ডি মাপিবে কে? আপোনি? কোনটা আলাপের অগ্রসরায়মানতা, আর কোনটা পশ্চাৎপসরন, উহা পরিমাপ করিবে কে? আপোনিই? মাশরেক ও মাগরেবের সমস্ত তালগাছ আপোনারই?
ঘাগুমালের মতো নেতিবাচক শব্দকে আপনার মনের কুঠুরিতে প্রবেশ করিয়া আমার উহার মধ্যে ইতিবাচকতা খুঁজিতে হইবে। আমি উহাতে ব্যারথ হইয়াছি। কিন্তু একখানা লেজিট ইস্যুতে আপোনার শিক্ষক জাফর ইকবাল সাহেবের নাম জপিতেই উহা আপোনার কাছে জাফর ইকবাল সাহেবকে নিয়া ট্রল হিসেবে প্রতিভাত হইলো। আপনি উহা ইতিবাচকরূপে লইতে ব্যারথ হইলেন। আমাতে - আপোনাতে তফাৎ কোথায় রইলো তবে?
জ্ঞান তো বিমূর্ত বস্তু। আলাদাভাবে তাহা লাভ করিবার উপায় নাই। মূর্ত শিক্ষকের প্রয়োজন ওখানেই। যাহাই হউক, মাত্র তেত্রিশ বছর বয়স্কালে আপোনার বোধিলাভ হইয়াছে, জ্ঞান কাহাকে বলে, কিভাবে উহা লাভ করিতে হয়, সবই বুঝিয়া গেছেন - এমত ধারনা লইয়া আছেন, আপোনার জন্যে তাহা ভালোই। আমাদিগের ধর্মে মোটামুটি ৪০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগে প্রাজ্ঞতার স্তরে পৌঁছাইতে। তবে আপোনার কাছে যাহা জ্ঞান মনে হয়, উহাই জ্ঞান, আর বাকি সবার কাছে যাহা জ্ঞান মনে হয় - উহা তেজপাতা, এমন উন্নাসিকতা কাহারো ভেতরে শিক্ষা প্রবেশ করিবার লক্ষন নহে। চিন্তা করিয়া দেখিতে অনুরোধ করিলাম।
মঙ্গল হউক।
৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৫
নতুন বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৪
মোল্লা সাদরা বলেছেন: মঙ্গল হউক ভ্রাতা!
৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৭
সাসুম বলেছেন: ঘাগু কে নেতিবাচক ধরলেন, এটা বড়ই কস্ট পাইলাম। যাই হোক- আপনার মন, আপনার ধরার অধিকার।
জাফর সাহেব এই কথা কখন বলেছেন কিনা জানিনা, বাট যাহারা আমাকে চিনেন ও জানেন তাহারা এটাও জানেন আমি বাংলাদেশের সায়েন্স এডুকেশানে ফিলোসফি, সাইকোলজি এবং স্টাটিস্টকিস পড়ানোর জন্য বহু বছর ধরে বলে আসছি। বাংলাদেশের বুয়েট , মেডিকেল এবং ঢাবি উন্নত মানের প্যারা মজিদ বিনির্মান করেন, ইহা নিয়ে আমি বহু বছর কাল ধরে ট্রল করে আসিয়াছি। আমাকে সে আলাপ দিয়ে লাভ নেই।
জাফর সাহেব সাহিত্য পড়ানোর আলাপ দিলেও সেটা কোন অংশেই খারাপ আলাপ নয়। বংগদেশে জাফর সাহেব কে যাহারা ঘৃণা করে তাহারা ৯৯% ঘৃণা করে পাকি প্রেম আর এন্টি বাংলাদেশ মেন্টালিটি থেকে, খুব কম সংখ্যক ঘৃণা করে উনার নীরবতাকে। আর বেশ বড় সংখ্যক দেখতে পারেন না বা সমালোচনা করেন- উনার আওয়ামীলিগ প্রীতি থেকে। এখন, কথায় কথায় জাফর সাহেব কে ট্রল করা কিংবা যে কোন আলাপের শুরুতে জাফর সাহেবকে টেনে আনা আপনার কোন রিজনিং সেটা আমার জানা নেই। হতে পারে উপরের যে কোন একটা কারন, কিংবা আপ্নার ভিন্ন রিজনিং ও থাকতে পারে।
এইবার আপনার ভুল ধারনা টা বোধ করি ভাংগানো দরকার- আমি বর্ণবাদী কিংবা জাতীয়তাবাদী কোন টাই না। সো আমাকে সে একই ব্রাকেটে ফেলা টা আপনার উচিত হয় নাই।
বাকি রইল- জাফর সাহেব। আমি বাঙ্গাল মাফি ২টা ফিল্টার দিয়ে। এক শেখ মুজিব আর ৭১, মুক্তিযুদ্ধ এবং আরেক টা জাফর ইকবাল।
এই দুই জিনিষ নিয়া যাহারা বিজনেস করে তাহাদিগিকে সকাল বিকাল যেমন ধৌত করি তেমনি যাহারা এই দুই বিষয় কে নিয়া ট্রল করে তাহাদিগকেও।
আর বাকি রইল- খারাপ ভাষা প্রয়োগ বা গালি। দুনিয়ার সবাই যদি ফুলে ফুলে টোকাটুকি খেলত- তাহলে এত অস্ত্রের দরকার ছিলনা। সবার কাছে থেকে পিটচাপড়াচাপড়ি পাবেন এটা আশা করা বাতুলতা। সবাই ভাল, সুন্দর কথা বলে, কোলাকুলি করে, আমি না হয় খারাপ হলাম গালি দিয়ে।
আমি কোথাও দাবি করিনাই আমার এই ৩৩ বছর বয়সে বোধিলাভ হয়েছে , শুধু বলেছি কোথা থেকে জ্ঞান আহরন করা যাবে সেটা বুঝার মত জ্ঞান আহরন করতে সক্ষম হয়েছি। নিউটন, আইন্সটাইন, নোয়াম চমস্কি কিংবা শ্রোডীংগার যেটা বুঝায় সেটাও জ্ঞান, আরিফ আজাদ যা বুঝায় সেটাও জ্ঞান। এখন কোনটা আপনি আরোহন করবেন সেটা যদি বুঝতেই না পারেন তাহলে তো সমস্যা হয়ে যায়। আমি নিজেকে কোথাও জ্ঞানী বলে সজ্ঞানে দাবি করিয়াছি বলে মনে পড়ে না, তবে অন্তত কেউ ভুল কিছু বলতে আসলে সেটা ধরিয়ে দেয়ার চেস্টা করি।
আর , যে বা যাহারা ২+২= ৫, এই সমীকরণ কে জ্ঞান মনে করে, তাহাদের এই জ্ঞান কে জ্ঞানের মর্যাদা দিতে আবার আপত্তি আছে। এই যায়গায় আমি এক্সট্রিমিস্ট। সো এমন মানসিকতাকে আপনি উন্নাসীকতা ধরিতেই পারেন, তাতে আমার আপত্তি নেই।
এই কারনে, বলেছিলাম- আপনি কে বা কাহারা হতে পারেন- এটা আমার সন্দেহ কেই সত্য প্রমাণিত করেছেন এবং আপনি যে একজন সেই সিন্ডিকেট এর লোক সেটা আবারো প্রমান করিলেন।
যাই হোক- এত কথা বলার কারনঃ মজলিশে শুরা সিন্ডিকেটের সাথে লাগালাগি না করার ব্যাপারে একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম অনেক আগেই। সো - আপনার সাথে এটাই ফাইনাল আলাপ । আপনার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হোক সামোহোয়ার ইন ব্লগ।
ভাল থাকুন। হ্যাপি ব্লগিং।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫১
মোল্লা সাদরা বলেছেন: ভ্রাতা, অ্যাপোলোজিস্ট হইবার প্রয়োজন নাই। কেন গালি দেন, উহা আমার আগ্রহের বিষয় নয়। আগের মন্তব্যে বলিয়াছিলাম গালি দেন, আপনি অস্বীকার করিয়াছিলেন, অতঃপর ব্যাখ্যা প্রদানপূর্বক স্বীকার করিয়া লইলেন গালিগালাজ আপোনার ব্লগিং অভ্যাসের অন্তর্গত। এই স্বীকার করাটুকুই যথেষ্ট। আর আঞ্জেনিয়ারদের সাহিত্য পড়াইতে হইবে - জাফর সাহেবের এই আলাপকে খারাপ আলাপ বলি নাই। বলিতেছিলাম যে, জঙ্গি সেকুলার আঞ্জেনিয়ারদেরও সাহিত্য পড়ানো হউক, যাহাতে উহাদের শব্দচয়ন, মেটাফোর ও সারকাজম ধরিতে পারার সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছলামকে কেবল আরিফ আজাদের সীমাবদ্ধ করিলে তাতে কেবল আপোনার এছলাম সংক্রান্ত অজ্ঞতা প্রকাশ পাইবে। এছলাম, বা মুছলিমদের কিছু যাইবে আসিবে না।
যাহা বলিলাম, সেন্স মেইক করিলো, আপনার সন্নিকটে?
১০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার কাছ থেকে ইন্টারেস্টিং অনেক বিষয়ে লেখা পাবার প্রত্যাশায় রইলাম।একটা পুরানো কনফ্লিক্ট দিয়েই শুরু করেন। শিয়া এবং সুন্নির জাস্টিফিকেশন নিয়ে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:০৩
মোল্লা সাদরা বলেছেন: প্রথম পাতায় দ্রুত এক্সেস প্রদান করিবার জন্য ধইন্যবাদ, সম্মানিত মডারেটর ভ্রাতা। লেখার বিষয়বস্তু ঠিক করিয়া দিলেন বটে, তবে শিয়া সুন্নি তুলনামূলক আলোচনা করিবার মতো পর্যাপ্ত কেতাবি জ্ঞান আমার নাই। কাজেই এই বিষয় দিয়াই লিখা শুরু করা আমার জন্যে প্রায় অসম্ভব।
দেশের, বা বিশ্বের সামগ্রিক পরিস্থিতি না বুঝিয়া, ধর্মগ্রন্থের আক্ষরিক অর্থ গ্রহন করেন, এমন কাটমোল্লাদের নিয়া আপনার ক্ষোভ পূর্ববর্তী বিবিধ লেখা ও মন্তব্যে প্রকাশ পাইয়াছে। "এহুদি নেছারা" দের লাইনে, তথা আংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা লাভ করিয়া বড় হওয়া মুছলমানদের প্রতিনিধি হিসেবে এই ব্লগে এছলাম সংক্রান্ত সাম্প্রতিক বিষয়ে মতামত রাখিব। তাতে শিয়া সুন্নি ইত্যাদি বিষয়ও চলিয়া আসিবে।
ঝুঁকি গ্রহন করিয়া মন্তব্য করিলেন, এই নিমিত্তে বিশেষ ধইন্যবাদ। ব্লগার সাসুম আপোনার এই মন্তব্যের সূত্র ধরিয়া একটু পর আবারো বলিবে, আপোনারা এই ব্লগকে সামহয়ারইনহাটহাজারি বানাইতে চান। এই মন্তব্য যদি করে, উহাকে দয়া করিয়া জিজ্ঞেস করিয়েন, পৃথিবীর বাঘা বাঘা সব বিশ্ববিদ্যালয় কেন এছলাম, এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের বিভাগ খুলিয়া বসিয়া থাকে। তাহারা কেন উহার পরামর্শ গ্রহন না করিয়া ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ডহাজারি, বা ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজহাজারিতে পরিণত হইতেছে দিন কে দিন।
মঙ্গল হউক।
১১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৪৮
নতুন বলেছেন: কাভা ভাই ভাল একটা জিনিস বলেছেন।
শিয়া সুন্নির শুধু রাজনিতিক কারন থেকে, এতে ধর্মের বিভাজন এবং বর্তমানে এর কি অবস্থা নিয়ে লিখুন। আপনার মোল্যা সাদরারও নিজে শিয়া পন্হি ছিলেন তাই না?
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১১
মোল্লা সাদরা বলেছেন: আপোনি তো উচ্চমার্গীয় পামর! আমার নামখানা বিকৃত বানানে লিখিলেন!
যাহাই হউক, মোডারেটর মহোদয়ের মন্তব্যের উত্তরে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করিয়াছি। দেখিয়া লইবার অনুরোধ।
আর হ্যা, মোল্লা সাদরা ইমামি শিয়া ছিলেন।
১২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫৮
সাসুম বলেছেন: আপনার সব কিছুই আমার কাছে মেক সেন্স করে, কারন আপনি যা বলবেন তাই একমাত্র সত্য।
হ্যাপি ব্লগিং
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:০৮
মোল্লা সাদরা বলেছেন: কিন্তু আমি আমার সইত্য দিয়া আপোনাকে মাপিতে আগ্রহী নই। উহা আপোনার উপোর চাপাইয়া দিতেও আগ্রহী নই। আপোনার সইত্য নিয়া আপোনি খুশি থাকুন। যাহাকে আমি সইত্য মনে করি, উহাকে সইত্য মনে না হইলেও অন্তত অসম্মানসূচক বার্তা প্রেরনে বিরত থাকুন।
আপোনাকে একখানা শিল্লুক দিই। ভাঙ্গান পারিলে।
আপোনি বলিলেন, ২ যোগ ২ = ৫ যাহারা বলে, তাদের আপোনি উপহাসের চক্ষে দেখেন।
আমি বলিতেছি ২ যোগ ২ দুই = কোটিও হইতে পারে।
বলুন তো কিভাবে?
১৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২১
সাসুম বলেছেন: যাহাকে আমি সইত্য মনে করি, উহাকে সইত্য মনে না হইলেও অন্তত অসম্মানসূচক বার্তা প্রেরনে বিরত থাকুন।
আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন- আপনাকে কোন বার্তাই প্রদান করার ইচ্ছে নেই আমার, কারনঃ আমি বার্তা প্রদানের আগে বার্তা গ্রহীতার সে বার্তা গ্রহন করার ইচ্ছে ও সহ্য করার শক্তি আছে কিনা সেটা যাচাই করার চেস্টা করছি আজকাল। যেহেতু অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়ার আপনি, অনেক দিন ধরেই ব্লগের সকল নাড়ি নক্ষত্র খেয়াল রাখেন, আমি কোথায় কি বলেছি, আমার বয়স কত, আমি ব্লগে ধর্মজীবি দের কি বলে ডাকি, এটাও জানার কথা- আজকাল ঝামেলা এড়ানোর নিমিত্তে আমি ব্লগে খুব মানুষের পোস্টেই ইন্টারেক্ট করে থাকি।
না, শিল্লুক ভাংগানোর মত জ্ঞান নেই আমার, পারলাম না বলে দুঃখিত। তবে যেহেতু আপনি বলেছেন, সো ২ যোগ ২ দুই = কোটি হইলেও হইতে পারে।
আপনার লিখার আলোয় আলোকিত হোক চারদিক। হ্যাপি ব্লগিং।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮
মোল্লা সাদরা বলেছেন: এছলাম আগ্রহের হইলেই কেহ ধর্মজীবীতে পরিণত হয়, এমন সরলীকরণ তো শিক্ষাদীক্ষা ভেতরে প্রবেশ করিবার লক্ষন নহে।
যাহা হউক, কেবল বাইনারিতে চিন্তা করিতে থাকার সমস্যা হইলো, মানুষকেও নুড়িপাথর জ্ঞান করা। দুটি পাথরের সঙ্গে দুটি পাথর যোগ করিলে চারটি পাথর হইতে পারে। কিন্তু মানুষের বৈশিষ্ট্য তাহার রুহানিয়তে, বা স্পিরিচুয়াল কনশ্যান্সে। ইহা ধর্মতাত্ত্বিক হইতে পারে, ধর্মতত্ত্বের বাহিরে গিয়াও সম্ভব। এছলামের উদাহরন আপোনার ভালো লাগিবে না, তবে শ্রীচইতন্যদেবের উদাহরন দিই। খেয়াল করিয়া দেখুন নদীয়ায় যে ভাবের সমাহার আজ হইতে ছয়শত বছর আগে আরম্ভ হইয়াছিল, আজিকার বঙ্গের সনাতনীদের প্রতিবাদ প্রতিরোধ আধ্যাত্মবাদের চর্চাকেন্দ্র ইসকন উহার সম্প্রসারন মাত্র। এই শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু কি কেবলই একজন মানুষ? অথবা আইনস্টাইন, বা স্রডিঞ্জার, বা ফুঁকো, বা আমি, তথা মোল্লা সাদরা? সময়ে সময়ে তাই একজন মানুষ একাই মিলিয়ন - বিলিয়ন মানুষের সমকক্ষ জীবন যাপন করিবার সক্ষমতা রাখে। মানুষের রুহানিয়ত, বা স্পিরিচুয়াল কন্স্যান্সের তত্ত্বতালাশ যারা রাখে না, তাহাদের পক্ষে এই সমীকরণ বুঝা মুশকিল।
আপনি জন্মসূত্রে যে ধর্মমতের না, তাহার ভেক ধরিলেই কেবল বাকিরা ভেক উন্মোচন করিতে প্রয়াস পাইবে, নতুবা আপনি কোথাকার কে - তাহা লইয়া কারো মাথাব্যাথা থাকার কারন নাই। কি বলিতেছেন, উহাই আলোচনার বিষয়বস্তু হইবে বা হওয়া উচিৎ।
১৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫১
সাসুম বলেছেন: এই যে আপনি আমার শিক্ষাদীক্ষা নিয়া বড় প্রশ্ন তুইলা বস্লেন এবং বেশ ক বার দাবি করার চেস্টা করছেন- কোন ধরনের শিক্ষা দীক্ষা আমার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে নাই ইহা বড়ই মজার। এই প্রয়াস টা বেশ সুন্দর।
এইবার বাকি প্রশ্নের জবাবঃ ইস্লামিয়াত বা এছলামের উদাহরণ আমার ভাল লাগিবে না বরং আপনি শ্রীচইতন্যদেবের উদাহরণ দিলে আমার ভাল লাগিবে এই ধারনা কেন করলেন সেটা আমার বোধে আসিল না। আমার মনে পড়ে না, আমি এই ইহ জীবনে কখনো শ্রীচইতন্যদেবের পক্ষ লইয়া বা সে সমাজ লইয়া কিছু বলিয়াছি। এই যে আমাকে এন্টি ইসলামিক ধইরা নিয়া প্রো শ্রীচইতন্যদেবের ভাইবা নিলেন এটাও বড় মজার।
যাই হোক, আপ্নার যে স্পিরিচুয়াল লাইনের জ্ঞান সেটা নিয়ে কথা বলার মত জ্ঞান আমার নেই। সো তা নিয়ে আর কথা না বাড়াই। যেটা জানিনা সেটা নিয়ে ক্কথা বলতে চাওয়া বাতুলতা।
বাই দা রাস্তাঃ কোন মানব সন্তান জন্মসূত্রে কোন ধর্ম মতের হয়না। বড় হবার সাথে সাথে পরিবার, সমাজ ও পিতামাতা সন্তান অবুঝ থাকা অবস্থায় যে ধর্ম গ্রোথিত করার চেস্টা করে বড় হয়ে সে ধর্ম মতের হয়। সো জন্মসূতে ধর্মমত - একটা অতি জেনারাইজড মন্তব্য।
আপ্নি বড্ড জটিল বাংলা ভাষায় মন্তব্য করেন। এত জ্ঞানী হয়ে উঠতে পারিনাই বলে মাঝে মাঝে মন্তব্য ভুল বুঝে বলসে নিজ গুণে ক্ষমা করবেন। ইংরেজি মাধ্যমে পড়ালেখা করে এত জটিল বাংলা বলার ব্যুৎপত্তি অর্জন করার জন্য আপনার তারিফ করা যেতেই পারে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১১
মোল্লা সাদরা বলেছেন: ভ্রাতা, প্রোচৈতন্যদেবী হওয়ায় মুশকিল নাই, আমি নিজেও প্রোগৌরাঙ্গ। ইভেন বঙ্গঅঞ্চলে সনাতনীদের উপর প্রায়শই যে অনাচার চলে, তাহাতে প্রোইসকন হওয়াকেও আমি দোষের মনে করি না, কোন সনাতনীর পক্ষে। কিন্তু প্রোমোদী হইলে মুশকিল। উহা প্রোগোআজম হইয়া যাওয়ার মতো হইবে। বাংলার ভাবের আন্দোলন কেবল সনাতনীদের নিয়া নয়, উহাতে তৎকালীন ম্লেছ , ন্যাড়া, মুছলিমদেরও সম অংশগ্রহন ছিল। শ্রী গৌরাঙ্গের যে জাতপাতভেদী ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, উহা আমাদের সকলেরই লড়াই।
এছলাম আপনার এই ক্লেইম স্বীকার করে না যে মানুষ জন্মসূত্রে কোন ধর্ম লাভ করে না। এছলামের ক্লেইম হইলো - মানুষ জন্মায় একেশ্বরবাদী বা তৌহিদপন্থী হইয়া। তাহাকে পরে তাহার পিতৃপুরুষেরা নিজের মতো গড়িয়া পিটিয়া লয়। নোম চমস্কির মনুষ্যসন্তানের ভাষারপ্তকরন সংক্রান্ত মেন্টালিস্ট নোশন, বা ব্ল্যাকবক্স থিওরির মতো বিষয়টা অনেকটা। এখন এছলামের এই ক্লেইমকে স্রেফ একটা ক্লেইম হিসেবে দেখিতে পারেন। বিশ্বাস না হইলে হাসিতেও পারেন। কিন্তু আপোনার চিন্তার সঙ্গে এছলামি চিন্তার পার্থক্যটা পরিষ্কার করা আমার তরফ হইতে জরুরী।
আপোনার শিক্ষাদীক্ষা নিয়া জাজমেন্টাল মন্তব্য আমি আসলে করিতেছি না, আপোনি তাহার উপকরন তুলিয়া দিতেছিলেন আমার হস্তে। আরিফ আজাদ মানেই এছলাম, আর সাধারন বিশ্বাসী মানুষ মাত্রই ধর্ম ব্যবসায়ী - এই ধরনের সরলীকরণ কারো সম্পর্কে উন্নত ধারনা তৈরিতে বাঁধা হইয়া দাঁড়ায় আপনাতেই।
পরিশেষে, বৈরিতা চাই না ভ্রাতা। এই দেশ আপোনার, এই দেশ আমারও। সহনশীলরূপে বহু মতপথের মানুষের উপস্থিতিই এই কালে আমাদের দেশকে সামনে তরাইয়া লইয়া যাইবে। সেই নিমিত্তে অবদান আপনিও রাখুন, আমিও আমার তরফ হইতে চেষ্টা চালাইয়া যাই।
মঙ্গল হউক।
১৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩১
সাসুম বলেছেন: প্রথমত আমি সনাতন নিয়ে খুবই কম জ্ঞান রাখি, এটা আমার অজ্ঞানতা। এই কারনে, বংগ অঞ্চলে আমি সনাতন দের বহুধা বিভাজিত রুপ কে বিশ্লেষণ বা এক্সপ্লেইন করার মত কিছুই জানিনা একদম। এবং সত্য বলতে কি, জানার আগ্রহ ও ছিলনা। যাই হোক- আপনি লিখেন, আশা করি বেশ কিছু জানব।
দ্বিতীয়তঃ এছলাম কি স্বীকার করে আর কি করেনা সেটা দিয়ে তো আর সত্যতা যাচাই করা যাবেনা। এছলাম বর্তমান দুনিয়ার হাজার হাজার ধর্মের অন্যতম একটা ধর্ম এবং বর্তমানে দুনিয়ার প্রচলিত সকল ধর্মের মানুষ দের মাঝেই জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে থাকা ধর্ম মত, তো তাহাদের ক্লেইম কে আপনি সত্য জ্ঞান করতেই পারেন, আমার পক্ষে তো সেটা মেনে নেয়া লজিকালি পসিবল না। আর চমস্কির ভাষা নোশান এর সাথে ধর্মমতের রিলেশান তো অনেক বেশি অমিলের, মিলের চেয়ে।
আপ্নার তালগাছ আপনার, এটা আপনি নিজে ক্লেইম না করলেও আমি একদম শুরুতেই মানিয়া নিয়াছি এবং সেহেতু আপনার ফিউচার কোন কথায় বা লিখায় ইন্টারাক্ট থেকে বিরত থাকার প্রতিজ্ঞা ও করেছি। আর সাধারণ বিশ্বাসী দের কে আমি ধর্ম ব্যবসায়ী দের সাথে একই কাতারে দেখিনা। হয়ত অনেক সময় কথার টোনে ভাবতে পারেন সবাইকে এক কাতারে দেখি, বাট এরকম হাজার লাখো বিশ্বাসী আছে যারা কারো বস্তুগত একটা চুল পরিমান ক্ষতি না করেই একটা জীবন অতিবাহিত করে শান্তিতে মরে গেছে। সবাইকে এক কাতারে ধর্মব্যবসায়ী ট্যাগ দেয়া তো উচিত না, তাই না?? তারা তাদের বিশ্বাস নিয়েই জীবন কাটাইছে এবং কারো ক্ষতি করতে চায়নাই। তারাই আসল ধার্মিক।
বাট যখন তাদের মধ্য থেকে কেউ সেই ধর্মজীবিতাকে আরেকজনের মধ্যে জোর করে স্থানান্তর করতে চেয়েছে কিংবা কিংবা তার ধর্মের ভূল ও অবৈজ্ঞানিক কাজকর্ম কায়েম করতে চেয়েছে বাকি সবার মাঝে তখনই আমি তাকে ধর্মব্যবসায়ী নাম দিয়েছি। এতে যদি আমার অন্যায় হয়, সেটা ও মাথা পেতে মেনে নিলাম।
পরিশেষে, আমাদের সবার নীতি আছে, নীতি নিয়েই চলা উচিত। বৈরিতা না চাইলেও দেখেন আমাদের মাঝে কত কথা হয়ে গেল!
এই দেশ আপোনার, এই দেশ আমারও। সহনশীলরূপে বহু মতপথের মানুষের উপস্থিতিই এই কালে আমাদের দেশকে সামনে তরাইয়া লইয়া যাইবে।
ইহা হইলেও তো কোন অসুবিধাই ছিল না, কিন্তু এই দেশ কে যখন সোনার মদীনা বা বাংলাস্তান বানাতে চায় নিজের একমাত্র সহীহ ধর্ম মতে, যখন দেশের আগা কেটে মোসল্মানি করে দেয়, যখন দেশকে ধর্মের আবরণে মুড়িয়ে দেয়- তখন এক্সসাথে কি করে থাকা হয়? তখন না চাইলেও তো কনফ্লিক্ট লাগেই। তখন মানুষ জাস্টিফাই শুরু করে, আমি আগে মুসলিম তারপর বাংগালি। তো, এই মেন্টালিটি চেঞ্জ না করলে কেম্নে হবে আমাদের সবার সহাবস্থান?
আমাদের এছলামিস্ট রা যখন সহাবস্থান কে মেনে নিতে শিখবে এবং নিজের ধর্ম একমাত্র তালগাছ বাকি সব ধর্ম, সমাজ, সভ্যতা, জ্ঞান বিজ্ঞান মান্দার গাছ- এই ধারনা থেকে বের হয়ে আসবে সেদিন ই আসবে একমাত্র বিজয়।
কারন, যখন অসম যুদ্ধ হয় তখন শান্তি কায়েম করতে এগিয়ে আসতে হয় যারা পরিমানে অনেক অনেক বেশি তাদের কেই।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০২
মোল্লা সাদরা বলেছেন: ভ্রাতঃ, প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করিতেছি দেরীতে প্রত্যুত্তর করিবার জইন্যে। সময় বাহির করিতে সমস্যা হইতেছিল। যাহা হউক, আপোনার মন্তব্য মনোযোগসহ পড়িলাম পুনরায়। সংক্ষেপে কহি, আপোনি এই উপমহাদেশের সমাজব্যবস্থা ও সিয়াসত / রাজনীতি বুঝিতে চাইলে সনাতন ধর্ম কীভাবে বিস্তৃতি লাভ করিয়াছে, তাহা বুঝিতেই হইবে। উহা বাদ দিয়া সম্ভব ধর্ম - দর্শন - রাজনীতি কোনকিছুই আলোচনা করা সম্ভব নহে। এছলাম ঈদৃশ ধর্মও তাহার আকার আঙ্গিক লাভ করিয়াছে সনাতন ধর্মের সঙ্গে বোঝাপড়া - লেনদেন করিয়াই।
আপোনার সঙ্গে এ বিষয়েও ঐক্যমত্য পোষণ করিতেছি যে - অসম যুদ্ধের সময় শান্তি কায়েম করিবার গুরুদায়িত্ব সংখ্যাগুরুদের কাঁধেই বর্তায়। তবে উপমহাদেশের সিয়াসত এখনও নিয়ন্ত্রন করে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র। ঐখানের বান্দারা রামরাজত্ব কায়েম করিবার খোয়াব দেখিতে থাকিলে তাহার জের এই পর্যন্ত আসিতে বাধ্য।
মঙ্গল হউক! পোস্ট দিন কিছু, ভাবের আদান প্রদানের সুযোগ হইবে!
১৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ব্লগিং লাইফে যতটুকু বুঝলাম তাতে বলা যায় আপনি এই লাইনে একজন ঝানু পাবলিক (পজেটিভ ভাবে নিয়েন ) এবং আপনার কাছে প্রত্যাশা করছি সেই রকম কিছুই ! জমবে ভালো ! শুভকামনা।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৪
মোল্লা সাদরা বলেছেন: মঙ্গল হউক ভ্রাতা! প্রীত হইলাম আপোনার শুভেচ্ছাজনিত মন্তব্যে! নতুন লেখার পীঠে আপোনার সঙ্গে ভাবের আদান প্রদান হইবে আরও এই আশা রাখি!
১৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৬
রংবাজপোলা বলেছেন: জব্বর লিখছেন।
লেহার থাইক্যা নিচার মন্তব্য গুলা পইরা বেবাক মমজা লইলাম।
কদমবুসি লইয়েন
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৬
মোল্লা সাদরা বলেছেন: আরররররে রংবাজপুলা নিকি! কদমবুছি লয়া কি করুম ভাও, হাই ফাইভ দেউনজে
১৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: সুস্বাগতম । শুরুতেই ক্যাচালে জড়িয়ে গেলেন?
নিজের মতো ব্লগিং করুন। ঝামেলা এড়িয়ে চলুন।
১৯| ১৫ ই মে, ২০২২ সকাল ১০:০০
নতুন নকিব বলেছেন:
স্বাগত। সুস্বাগত। স্বাগতম। এখানে আপনার পথচলা শুভ হোক।
২০| ১৫ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:৪০
জ্যাকেল বলেছেন: যে জেগে ঘুমায় উহাকে জাগানোর চেস্টা বৃথা। তবে এক কাজ করা যায় পানি দিয়া ভিজাই দেওয়া যায় যাতে এক্সকিউজ না করে পরবর্তীতে। হাঃহাঃহাঃ
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সামু ব্লগে স্বাগতম আপনাকে।
প্রথমেই নিকের রহস্য উন্মেচন করে পোস্ট দেয়ায় ধন্যবাদ।