নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিভৃতচারী

জ্ঞানের দৈন্য আমি পূরণ করি-অধ্যয়ন দিয়ে আর মেধার দৈন্য –অনুশীলন দিয়ে

খান ইখতিয়ার

আমার প্রিয় শিক্ষক কবিয়াল এস,এম, নুরুল আলম (মরহুম) বলতেন,'অখ্যাত থেক তবু কুখ্যাত হয়োনা'। আমি আমার এই সাধাসিধে জীবনে এই শিক্ষাটুকু পরম ভক্তির সাথে মেনে চলার চেষ্টা করি।

খান ইখতিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বালিশ তলায় ছবি

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১

গোলমালটা পাকাল তো

ঠোঁট পাতলা ববি,

জোর গলাতে বলল হেঁকে

বালিশ তলায় ছবি।

থমকে সবে চাইল ফিরে

ছবির কিবা দোষ,

ববির হাতের নাড়া দেখে

ফিরে পেল হুঁশ।

তার হাতেতে পাচ্ছে শোভা

একটা রঙ্গিন ছবি,

দাঁত খেলানো হাসি দিয়ে

দিচ্ছে যেন দাবি।

আমি তখন বইটা হাতে

হাসছি মিটিমিটি,

ঝন্টুটা ঐ কোণায় বসে

হেসেই লুটোপুটি।

মন্টু কপাল কুঁচকে বলে

কোথায় পেলি এটা,

কে পেলরে ও সুন্দরী

কপাল মোদের ফাটা।

ববি চোখের কোণা দিয়ে

আমার দিকে চায়,

তার মানে ঐ ছবির হদিস

আমার বালিশটায়।

সেন্টু বলে ডাকব আমি

মিষ্টি করে ভাবী,

পেশ করিতে তারপরেতে

হাজার খানেক দাবী।

মন্টু বলে আপা ডাকাই

সবচে হবে ভালা,

চাহিদাও কম হবেনা

হব যখন শালা।

কক্ষজুড়ে চলছে শুধু

হৈহৈ রৈরৈ,

কেউবা ধরে কানটি চেপে

মিষ্টি মোদের কৈ।

বলতে আমি চাইছি তবু

কে শোনে কার কথা,

ববিটা কয় গলা ছেড়ে

তোর কি মাথাব্যাথা।

রহস্যটা খুলেই বলি

ছাড়া পেতে জান,

ঝন্টুটা আর আমি মিলে

করছি একটা প্ল্যান।

নিমের মাজন বাজারজাতের

কারখানাটি দিয়ে,

যদি কিছু আয় করা যায়

এই ভাবনা নিয়ে।

বোতলজাতের লেবেল নিয়ে

কী করা যায় বল,

ঝন্টু বলে ছবি একটা

নিয়ে আসি চল।

ঝন্টু আসে ছবি নিয়ে

তেলেগু না তামিল,

দাঁত খেলানো হাসি দেখেই

পেয়ে গেলাম মিল।

বালিশ তলা খুঁজে ববি

পেয়ে গেল ছবি,

বইয়ের পাতায় মুখ লুকোলাম

কে হল কার ভাবী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.