![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গুছিয়ে কিছুই লিখতে পারি না কিন্তু মনে অনেক গল্প জমা আছে, সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা তিনি যেন একদিনের জন্য হলেও আমাকে লেখার ক্ষমতা দান করেন।
ঘটনা-১ঃ প্রেসক্লাবের সামনে দিয়া যাইতেছিলাম গতকাল দেখলাম বিএনপির একটা মানববন্ধন চলতেছে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুধু অশান্তির একমাত্র কারন ছিলো মাইকটা তারপরও মোটামুটি ভদ্র পরিবেশ। হঠাত দেখলাম আরেক গ্রুপ আসলো এদের ব্যানারে লিখা "বাংলাদেশ আওয়ামী প্রজন্ম লীগ" নাম দেইখা তো আমি টাস্কিত তারপর টাস্কি ভাঙ্গতেও বেশিক্ষন লাগ্লো না কারন উনারা আশা মাত্রই পুলিশের সামনে অপরপক্ষ কে লক্ষ করে তুমুলভাবে পালটা বক্তৃতা দেয়া শুরু করলেন আমাদের অবস্থা তো তখন শোচনীয় !! তারপর "মরারে মারস ক্যান?? মরায় লড়ে চড়ে ক্যান?? প্রবাদ বানীর সম্পূর্ণ প্রয়োগ দেখানের জন্য একই জায়গায় বিএনপির আরেক গ্রুপ আসে মানব বন্ধন করতে!!!! আমরা জনগন সম্পূর্ণ মরি না শুধু নড়া চড়া করি!!!
ঘটনা-২ ঃ অনেকেই হয়তো পত্রিকায় গতকালের হরতালে মতিঝিলের পীরজংগি মাজার এলাকায় বাসে আগুন দেয়ার সচিত্র সংবাদটা পড়ে থাকবেন দেশের স্বনামধন্য দুটি পত্রিকায় এই ঘটনাটি সচিত্র এসেছে। এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা কারণ ঢাকা শহরের সবচেয়ে নামকরা তিনটা স্কুল(মতিঝিল সরকারি বালক, মতিঝিল আইডিয়াল, মতিঝিল মডেল) এই জায়গায় অবস্থিত। আর এর খুব কাছেই শাহজাহানপুর থানা তাই এই জায়গায় সবসময় ১০-১৫ জন পুলিশ থাকে। এইবার আসল কথায় আসি, দুর্ভাগ্যবশত ঘটনাটি যে জায়গায় ঘটেছে সেটা আমার বাসার খুব কাছেই আমরা মাজারের সামনেই দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম হঠাত কয়েকজন পুলিশ এসে আমাদেরকে লক্ষ করে বলতে লাগলো বাবারা চইলা যাও কালকে হরতাল সমস্যা হইতে পারে, আর দোকানদারকে বললো এইখানে যাতে কেউ কোন গাড়ি না রাখে। আমরা গত দুই ঘন্টা ধরে আড্ডা দিচ্ছিলাম তখন কিছু বলে নাই এখন হঠাত আইসা এই কথাগুলো বলায় আমাদের কাছে একটু খটকা লাগলো তারপর আবার যথারিতি আড্ডায় ডুইবা গেলাম কথা হইতেছিলো বিশ্ব বাণিজ্য নিয়া বাংলাদেশের কথা মাথায়ই নাই!!! তার কিছুক্ষণ পর দুইটা স্বনামধন্য পত্রিকার সাংবাদিকের গাড়ি আসলো আইসা তারা ক্যামেরা টেমেরা ঠিকঠাক কইরা আমাদের সাথেই চা খাইতে বসলো। তাদের চা খাওয়া শেষ হইতে না হইতেই চিৎকার আগুন আগুন!! সাংবাদিক দুইজন দোউড়াইয়া গেলো না না পানির জন্য না ছবির জন্য তাদের কাছে খবরের মূল্য জীবনের চেয়ে বেশী!!! আর আমরা তো হতভম্ভ হইয়া বইসা ছিলাম তারপর দোউড়াইয়া গেলাম পানি আনতে। তারপর চিন্তা কইরা দেখলাম আমরা কি একটা একটা সাজানো নাটক দেখলাম??? আল্লাহ্ই ভালো জানে!! রাতে ফোন আসলো ওই এলাকার কিছু বন্ধুকে তাদের বাসার সামনে থেকে পুলিশ থানায় নিয়া গেছে। যারা রাজনৈতিক পরিচয় দিতে পারছে তারা মাফ পাইছে বাকিরা ৩০০০-৪০০০ টাকা দিয়া বাসায় আসছে!!
বিঃ দ্রঃ এই লিখা দেয়ার পর আমি নিরাপদ কিনা সেটা নিশ্চিত না!! যদি ধইরা নিয়াই যায়, আমি একটা ভালা পোলা, কেউ কি এই সাক্ষিটা দিতে পারবেন???
পুনশ্চঃ আমরা আমজনতা নাটক দেখতে পছন্দ করি তাই আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের নাটক দেখানো হইতেছে। বাঙ্গালীদের একটা খুব ভালো গুণ হইলো পৃথিবীর যেকোনো বিষয় নিয়া তারা নিখুঁতভাবে সমান দুই ভাগে ভাগ হইয়া এক পক্ষ আরেক পক্ষরে গালি দিতে থাকে, আর যদি তাদের দুই পক্ষের ভুল নিয়া কেউ কিছু বলে তাইলে তো কাম সারছে!! এইবার সাপ আর বেজি এক পক্ষ হইয়া বেচারা ইন্দুররে দোউড়ানো শুরু করে, তারপর ইন্দুর মারা শেষ হইলে আবার যেই লাউ সেই কদু!!! ফেসবুকে অনেকে আমারে ছাগু কইয়া গাইল দেয় আবার অনেকে কয় আপনে মানুষ না আওয়ামীলীগ?? ভাইরে আমি একজন খাটি আমজনতা, ছিল্লা কাইট্টা লবন দিয়া খাওয়ার মত আম জনতা, মাথায় কাঁঠাল ভাইঙ্গা খাওয়ার মত জনতা, আমি দেশরে ভালোবাসি এইটাই আমার অপরাধ আপনারা কাঁঠাল খান আর আম খান আমার আপত্তি নাই আমার কথা হইলো খাওয়ার পরে আমের আঁটি আর কাঁঠালের বিচিটা মাটিতে পুইতা দিয়েন তাইলে আমার দেশ আরো দুইটা গাছ পাইবো, আমার দেশের মানুষ আরো কিছুটা অক্সিজেন পাইবো। আর আপনারা খাওয়াদাওয়া শেষ কইরা মাথা ঠান্ডা হইলে দেশটার কথা একটু ভাইবেন। আর নাইলে আবার আমারে গালি দিয়েন!!!!
বিঃ বিঃ দ্রঃ লেখাটা শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধইরা পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!! লিখাটির মুল লিঙ্ক
©somewhere in net ltd.