নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শেরপা

দেখতে চাই ধরনী

মুনতাসির

আমি পাহাড়ে চড়ি,সাগরে ডুবি, পৃথিবী আমার প্রেম

মুনতাসির › বিস্তারিত পোস্টঃ

বণিকাবৃত্তি এবং বিল্পবের জন্য আমার মায়া কান্না!

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৬





ছবিটি তার ফেস বুক থেকে নেওয়া ।



এই কদিনে যে একবছর চলে গেছে সেটা আজকে আমার বন্ধুর ফেসবুক স্টেটাস দেখে বুঝতে পারলাম। সত্যিই সময় কত দ্রুত যায়। তার মটরসাইকেলে করে অলমোস্ট প্রতিদিন মিরপুর যাওয়া হতো। এমনই একটা দিনে আমার আরোহী বন্ধু বলল- ভাই আজকে একটু মহাখালি হয়ে যেতে হবে, আমার এক বন্ধু হাসপাতালে। স্বার্থপর আমি বললাম - রাতে বাড়ি ফিরবে তো? হু, ফিরবো। তার এমন হু খুব বেশি শোনা হয়নি আমার। আমি কথা না বাড়িয়ে বাইকের পিছনে বসলাম।



মহাখালির হাসপাতালের গেটে পৌছতে যে সময়টুকু তাতেই যেনে গেলাম তার বন্ধু বিল্পব মহাখালি ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মোটর সাইকেল এস্কিডেন্ট করেছে। এবং অবস্থা গুরুতর।



বাইক থেকে নামার পর প্রায়ই সবাই চেনা মুখ। ফোটো সাংবাদিক বন্ধুরা ভীর করে আছে। এ কথা সেকথায় যেটা পরিস্খার - অবস্থা ভাল না।



হু অবস্থা সত্যিই ভাল ছিল না। ফোটো সাংবাদিক বিল্পব মারা গেলেন। না আমার বন্ধু ছিলেন না কোন দিন। চেহারায় চেনা হলেও সখ্যতাও ছিল না। কিন্তু আমার অনেক অনেক প্রিয় মানুষরা একই পেশায় জীবিকা চালায়। তাদের সাথে নিছক আড্ডার মাধ্যমে অনেক কিছুই জানতে পারা যেত। আবার এমই এক বন্ধুর সাথে আমি রোজ বাড়ি ফিরি।



সে সময় বণিকবার্তা বলে যে পত্রিকাটি বিশাল বিশাল বিলবোর্ড ঢাকা শহরে সাটিয়ে ছিল সেই পত্রিকাতেই বিল্পব কাজ করতেন। তবে মজার বিষয় ছিল - মুমুর্শ বিল্পব তখন প্রডাক্ট হয়ে গিয়েছিলেন। তার জন্য, তার বন্ধু মহলের জন্য তার নামের সাথে তার কর্মস্থলের নামটিও এসেছিল প্রায় সব মিডিয়াতে। এতে বিল্পবের লাভ না হয়েও আতুর ঘর থেকে বের হওয়া শিশুটির বেশ নামডাক হয়েছিল যা গাটের পয়সা খরচ করে বিলবোর্ডেও হয়েছিল কিনা জানি না।



গত বছর এমন একটা দিনে বিল্পব মারা যান, আর সেই সদ্য জন্ম নেয়া পত্রিকাটিও একটি বছর পার করে আসে। তবে মজার ব্যপার হলো বিল্পবের নামে কোন কলাম হলো না, আমার মতো করে মায়া কান্নাও কাদলোনা কেউ পত্রিকার পাতায়। তবে তার বন্ধুরা মনে হয়না চিšিত তবে কষ্টটা যে আছে সেটা বোঝা যায়।



সবাই ভুলে যায় বা যাবে কিন্তু একটা প্রতিষ্টানের কিছুটা নৈকিতা থাকা দরকার। কেননা পরিচলনা পষর্দের মানুষদের যেমন দাম থাকে, তাদের কর্মচারিদেও দাম থাকা দরকার।



বন্ধুরা মিলে বিল্পবের জন্য একটা ৩ কলাম ৪ ইঞ্চির একটা এড দিলে হয়তো না ভাল ছাড় পাওয়া যেত। তবে হু তাতে তাদের বণিকাবৃত্তি আরও বাড়তো।

সরি আমার মায়া কান্নার জন্য। তবে আমার ফোটো সাংবাদিক বন্ধুদের জন্যও সরি - বণিকাবৃত্ত সমাজে তোমরা বণিক না হলেও বণিকা!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

টু-ইমদাদ বলেছেন: সহমর্মিতা বিপ্লবের পরিবারের জন্য. . .

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.