নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শেরপা

দেখতে চাই ধরনী

মুনতাসির

আমি পাহাড়ে চড়ি,সাগরে ডুবি, পৃথিবী আমার প্রেম

মুনতাসির › বিস্তারিত পোস্টঃ

্র্রযে দেশে রাষ্ট্রীয় ভাষার নাম মিথ্যা!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩০

আজ রাতে নিউ মার্কেট থেকে ৩৬ নাম্বার বাসে করে বাড়ি ফেরার সময় আমার পাশের সিটে বসা আরোহীর কাজে বেশ অবাকই হলাম। তারা তিন জন। আমার পাশে একজন আর তার পাশের সিটে আরও দুই জন। খানিকবাদে বাসটা যখন সোবহানবাগ মসজিদে সামনে, কন্ডাকটর ভাড়া নিতে আসলেন, তখন তিনি বললেন একটা ফুল আর দুইটা ছাত্র। কিন্তু ভাড়া দেয়ার আগপর্যন্ত তারা তাদের অফিস নিয়ে বেশ আলোচনা করছিলেন।

আমি খানিকটা হোচটই খেলাম। এমন কেন? তারা বেশ স্বচ্ছল তো বটেই। ১০ টাকা করে কম দেয়ার কিই বা কারন হতে পারে? কেনই বা এমন?

তখন আসলে বেশ কিছু প্রশ্ন নিজের মনেই এসে গেল -

শুরু করা যাক বৈশাখের প্রথম দিনের উজ্জাপন নিয়ে। না আমার মনে হয় স্লিলতাহানী নিয়ে যা হয়েছে তার কথা না। আমার প্রশ্ন হলো - বাঙ্গালীর প্রানের স্পন্দনের সে দিনে ভোরে কেন রবীন্দ্র সংগীত দিয়ে বর্ষ উজ্জাপন করা হয়? না এতে আমার কোন ব্যন্তিগত সমস্যা নাই। এমনও না যে আমার সেটা ভাললাগে না। তবে প্রশ্ন হলো হাজারো বছরের যে ইতিহাসের কথা আমরা বলি - আর সে তত্বের ভিত্তিতে রবীন্দ্র পূর্ববর্তী সময়ে কি বৈশাখ উজ্জাপন হতো না? যদি হতো তবে তা কি ভাবে হতো? আর এখনও গ্রাম বাংলায় যা হয় সেখানে কি হয়?
তবে কি আমরা শহরে মানুষেরা ভুল জানছি বা আমাদেরর কে ভুল জানানো হচ্ছে?


ঠিক সেভাবে, চৈত্র সংক্রান্তি আমাদের দেশে যে দিন হয়, পাশের দেশ ভারতে হয় তার পরের দিন। আবার ঈদ হয় তাদের সাথে মিল রেখে। আধুনিক বাঙ্গালী হবার কারনে কোলকাতার বন্ধুদেরকে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়ে ব্যপারটা জানতে পারলাম। আমি জানি না এটাকে কি বলে।

আমাদের নারী জাগরনের ডাক যারা দেন তারা কিন্তু জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়িরর বিরোধীতা করেন না। তারা নারী স্বাধীনতার ডাক দিয়ে নারীর প্রতি কি বিশাল হুমকি হয়ে দাড়ান। কি ভয়াবহ মিথ্যা ব্যপারটা। আর রাষ্ট্রিয় ভাবে আমরা ব্যপারটার বৈধতা দিয়েদেই। জন্ম নিয়ন্ত্রনে পুরুষের কি কোনই ভূমিকা নাই?

ঢাকা শহরের বেশ কিছু রাস্তায় রিকশা চলার কথা না। তবে কেন জানি সব পথেই এখন রিকশা চলে? তবে আইনের যে কথাটা বলা হচ্ছে সেটা কি রাষ্ট্রিয়ভাবে মিথ্যা বলা নয়?

আমাদের দেশ নাকি জলবায়ূ পরিবর্তনের জন্য বিশাল ভাবে হুমকির সম্মুখে। কথাটা আসালেও সত্য। তবে সে সত্যের মধ্যে আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাষ্টিয় ভাবে তার প্রতি কতটুকু শ্রদ্ধাপোষন করি তা বলা কঠিন। যদি তাই হয় তবে জলবায়ু পর্রিবতনের জন্য আমাদের অবদানও খুব কম হবার কথা না। সেটার জন্য বিশাল ঞ্জানের দরকার হয়না। পন্যেও বিঞ্জাপন থেকে শুরু করে, সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য আমরা যে ভাবে প্লাস্টিকের ব্যবহার করি তা আর কোন দেশে হয় কিনা আমার জানা নাই। শুধু তাই না- বিগত কয় বছরের পলিথিন প্যাকেট যাত খাবারের সংখ্যা যে ভাবে বেড়েছে তাতে পার ক্যাপিটা আন ম্যানেজ্ড প্লাস্টিকের পরিমানের দিক থেকে আমরা এখন পৃথিবীর ১০ম বৃহত্তর বজ্যর্ উৎপাদনকারী দেশ। যদি তাই হয় তো রাষ্ট্রিয় ভাবে দানখয়রাত চাবার অধিকার আমাদের কতটুকু? আর এটাও কি মিথ্যা না যে জলবায়ু পরিবতর্নে আমাদের কোন অবদান নাই?

আমার ক্ষুদ্র ঞ্জানে আর বাসে চলাচলের জন্যই মনে হয় এই বিষয় গুলো চখে পড়ে। আর আইনশৃঙখল, বিচার, নাগরিক শুবিধা, জনজীবনের নিরাপত্তা, চলাচলসহ আরও অনেক সোকল্ড অধিকার রিলেটেড গল্প গুলো নিয়ে আমাদের ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু কওে সামাজিক আর রাষ্ট্রিয় ভাবে যে মিথ্যাচার হয় তার জন্যই মনে হয় আমার পাশে বসা অতি ভদ্রলোক মিথ্যা বলে দুই জনের হাফ ভাড়া দিলেন। পরে তাকে জি¹েস করলাম ভাই, আপনারাতো সহকর্মী, ছাত্রতোকেউ না? উনিও হেসে বললেন, নাহ। তবে এই গাড়িতে তো যাত্রী দাড়াবার কথা না, তা হলে আমি ফুল ভাড়া কেন দিব? কথা একদম ঠিক। তবে কি আরেক মিথ্যার জন্য আরেক মিথ্যা আসে?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪১

ফাহাদ ইবনে মুরতাযা বলেছেন: ভাই, আমরা নিজেদের সাথেও মিথ্যা বলি।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৪:০৬

কেএসরথি বলেছেন: অথচ এই ব্যাপারে কিছু বললে মামলায় পড়ে জেলের ঘানি টানতে হবে।

৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: কিছু করার নাই, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, দেখব-দেখতেই থাকব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.