নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জুলাই–আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে অধ্যাপক ও চিন্তক সলিমুল্লাহ খান বলছেন, ‘শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই ভালো ছিলেন না, সেটা তো বলাই বাহুল্য। কিন্তু জেন-জি শেখ হাসিনার চেয়ে ভালো কি না, সেটা এখন পরীক্ষা দিতে হবে।’
কয়েকদিন আগে ইউপিএল-এর এক বইয়ের আলোচনায় খান সাহেব এই মন্তব্য করেছেন। তিনি বিদ্বান মানুষ। তার কথায় নিশ্চয়ই কোনো কারণ এবং যৌক্তিকতা রয়েছে। কিন্তু এখানে একটি প্রশ্ন থেকে যায়, এই পরীক্ষা নেবে কে এবং পরীক্ষার খাতা দেখবে কে?
যেহেতু তিনি এমন একটি প্রজন্মের কথা বলেছেন, যাদের পরীক্ষা দিতে হবে, তবে কোন প্রজন্মের দায়িত্ব হবে এই পরীক্ষা নেওয়ার? বাংলাদেশের কোন প্রজন্ম তুলনামূলকভাবে ভালো বা কম দুর্নীতিপরায়ণ ছিল? স্বাধীনতার সময়ের যুবক, মধ্যবয়স্কদের কথা ধরা যায়, যারা দেশ গড়ার মূল কারিগর ছিলেন, যেমন খান সাহেব নিজে, তাদের কোন পদক্ষেপে দেশের উন্নতি হয়েছে? ৭২-৭৫, জিয়া সাহেবের আমল, এরশাদ সাহেবের আমল এবং পরবর্তী সরকারগুলোতে সেই প্রজন্মগুলোর অবস্থান কোথায় ছিল? ঠিক সেইভাবে, কোন প্রজন্মে বাংলাদেশের সামগ্রিক সামাজিক ও পারিবারিক মানদণ্ডের প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে?
এই প্রশ্নটা তাকে করার কোনো সুযোগ নেই, তাই আপনাদের করলাম।
নিউজ জেন-জি শেখ হাসিনার চেয়ে ভালো কি না, পরীক্ষা দিতে হবে
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: গেঞ্জি জেনারেশন সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাষ্পে আক্রান্ত।সমাজ, পরিবার নিয়ে ভাবনা কম। পড়াশোনা কম করে । গেঞ্জি জেনারেশনের মধ্যে ৩টি ভাগ রয়েছে। ধর্ম পরায়ণ গেঞ্জি, মর্ডান গেঞ্জি, মধ্যবিত্ত গেঞ্জি।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০৯
মুনতাসির বলেছেন: আপনার যুক্তির সাথে পর্ণ এবং মাদকদ্রব্যের একটা উদাহরণ দেয়া যায়। এ দুটোই চালায় বুড়রা। নতুন জেনারেশন তার আগের প্রজন্ম থেকে শেখে। আপনি একটা প্রজন্মকে যে নাম দিবেন, তারও আপনাকে সে ভাবে নাম দিবে। তাঁরা আপনাকে সম্মান করবে না গালি দিবে তা নির্ভর করবে আপনি তাদের কি ভাবে বড়ো করলেন। সম্মান দ্বিপাক্ষিক।
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫০
আমি সাজিদ বলেছেন: পরীক্ষা নিবে মিলেনিয়ালরা। সৈয়দ কুতুবের মন্তব্যও কিন্তু ভাবার মতোন।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১০
মুনতাসির বলেছেন: তবে ধরে নিতে হবে, মিলেনিয়াল রা কিছুটা হলে কম কুরুচিপূর্ণ বা কম দুরনিতিগ্রস্থ?
৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫১
আমি সাজিদ বলেছেন: ফেসবুক, টিকটকের, ইউটিউবের কথাই যদি ধরি : ডেভেলপ করেছে মিলেনিয়ালরা। আমি বলবো জেনজির প্রযুক্তিগত অগ্রগতির পেছনে জেনজির অবদান খুবই কম।
মিলেনিয়ালরা এনালগ থেকে ডিজিটালাইজড ওয়ার্লড পুরোটারই সাক্ষী। ওদের যে আউট অব বক্স চিন্তা করার ক্ষমতা ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় নিজেকে নেওয়ার উভমুখী ক্ষমতা আছে, সেটা আমাদের দেশের জেনজিদের নেই। আমি অন্য দেশের জেনজিদের কথা জানি না। আমাদের দেশের হিসেবেই বললাম।
পড়াশুনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তি কখনই শিখন ক্ষমতার বিকল্প হতে পারে না বরং সহায়ক হতে পারে। স্ক্রিন আর স্ক্রলিং যুগে মানুষের মনোযোগ কমেছে। আনফিল্টারড ইনফরমেশনের কারণে চিন্তা শক্তি অনেক সময় ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে। মিলেনিয়ালরা এই জায়গাটায় জেনজিদের তুলনায় কম আক্রান্ত।
বিগত দশ- পনেরো বছরে বাংলাদেশের আইটি, ইনোভেশন সব জায়গায় বেসরকারিভাবে লিড দিয়েছে মিলেনিয়ালরা ( ভালো খারাপ দুই অর্থেই) আমি মনে করি, জেনজির একটা বিরাট অংশের স্কিলের ঘাটতি আছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে : প্রথম আলোর মতো পত্রিকাগুলোর ন্যারেটিভ ফাঁপা বেলুনের মতো জেনজিদের ফুলিয়ে ফেলেছে। ওরা ওদের উইকনেস নিয়ে জানে না ও অন্য প্রজন্মকে ছোট করছে। মানুষ তখনই শক্তিশালী হওয়া শুরু করে যেদিন থেকে সে তার দুর্বলতা নিয়ে কাজ শুরু করে দেয়।
আমি বলবো মিলেনিয়ালরা কম কুরুচিপূর্ণ ও বেশী মানবিক।
৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৪
আমি সাজিদ বলেছেন: আমাদের দেশের জেনজিদের বিষয়ে আরেকটা কথা বলি : এদের যাদের বয়স এখন পঁচিশের নিচে, ওরা একটা অস্থির সময়ে বড় হয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে রাজনৈতিক দস্যুতা সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রকেই প্রভাবিত করেছে। স্কুল থেকে শুরু করে সকল প্রতিষ্ঠানের নৈতিক অবক্ষয় ঘটেছে ওই সময়। তখন কিন্তু আজকের মিলেনিয়ালদের একটা বিরাট অংশও স্ট্রাগলিং ফেইজে ছিল। তবে মিলেনিয়ালদের বেড়ে উঠার সময় প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির কারনে বড় আকারের সামাজিক অবক্ষয় হয় নাই। সমাজ কাঠামোও এতোটা ভেঙ্গে পড়ে নাই। এখন যেমন দেখছি।
আমি ভুল হতেও পারি। সময়ের অভিজ্ঞতায় আমার এইসব কথাও পরিবর্তন হতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো-মন্দতেও পক্ষপাতিত্ব থাকে- কাজেই সঠিক উত্তর পাবেন না।