![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা বাংলাদেশিরা বিমান মাটিতে নামার সাথে সাথেই উঠে দাঁড়াতে পছন্দ করি। চাকা রানওয়েতে স্পর্শ করলো কি করলো না, তখনই আমরা সিটবেল্ট খুলে ফেলি, উঠে দাঁড়াই, ওভারহেড বিন থেকে ব্যাগ টানাটানি শুরু করি — যেন আগে নামার জন্য কোনো পুরস্কার আছে। এটা আমরা সবাই দেখেছি, এতে বিরক্তও হয়েছি, এবং হয়তো কোনো একসময় নিজেরাও করে ফেলেছি।
কিন্তু ব্যাপারটা কী জানেন? আমি সবসময় ভেবেছিলাম আমাদের সমস্যা। একেবারে বাংলাদেশিদের একান্ত অভ্যাস, যা নিয়ে আমরা নিজেরাই নালিশ করি — আমাদের অধৈর্যতা, নিয়ম না মানার একটা দৃষ্টান্ত।
তারপর ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের এক ফ্লাইটে উঠলাম — আদ্দিস আবাবা থেকে বুয়েনোস আইরেস, সাও পাওলোতে এক বিরতি।
সাও পাওলোয় বিমান নামলো। সিটবেল্টের সংকেত তখনও জ্বলছে, ইঞ্জিন গর্জন করছে। আর তখনই — একদল যাত্রী উঠে দাঁড়ালেন! শুধু দু-একজন নয়, অনেক জন! কেবিন ক্রু বারবার অনুরোধ করছে বসে থাকতে, কিন্তু কেউ শুনছে, কেউ শুনছে না। অপেক্ষা করুন, এটা এখানে-ও হয়?
তারপর বুয়েনোস আইরেসে আবার একই দৃশ্য! বিমান পুরোপুরি থামেনি, কিন্তু যাত্রীরা উঠে দাঁড়িয়ে, ব্যাগ নিতে ব্যস্ত। আবারও কেবিন ক্রুদের হস্তক্ষেপ।
সেই মুহূর্তেই মাথায় ঢুকলো — এটা শুধু আমাদের বিষয় নয়মানুষের স্বভাব!
আমরা এতদিন ধরে ভেবেছি, এটা একটা লজ্জাজনক বাংলাদেশি অভ্যাস, যা বদলানো দরকার। কিন্তু কী দেখলাম? এটা ব্রাজিলে হয়। এটা আর্জেন্টিনায় হয়। এটা সর্বত্র হয়। হয়তো এটা দীর্ঘক্ষণ ধাতব টিউবের ভেতরে বন্দী থাকার অধৈর্যতা। হয়তো এটা অবচেতন মনে গন্তব্যে পৌঁছানোর উত্তেজনা। অথবা হতে পারে, আমাদের সবার মধ্যেই আগে বের হওয়ার একটা সহজাত প্রবৃত্তি আছে।
তাই, পরেরবার যখন ঢাকাগামী কোনো বিমানে কেউ একটু তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়াবে, বিরক্ত হয়ে মাথা নাড়িয়ে আহ, বাংলাদেশিরা! বরং ভাবুন, আহ, মানুষ!
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৮
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার ব্লগ পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।