| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই প্রশ্নটার উত্তর আমি নিজে নিশ্চিত নই। তাই প্রশ্নটা আপনাদের কাছেই ছুঁড়ে দিচ্ছি।
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম। সেখানে দেশপ্রেম ছিল অস্তিত্বের পূর্বশর্ত। বাঁচার প্রশ্নেই মানুষ লড়েছিল। তাই মুক্তিযুদ্ধকে এই আলোচনার বাইরে রাখাই যুক্তিযুক্ত। কারণ সেখানে দেশপ্রেম কোনো “উদাহরণ” ছিল না, ছিল একমাত্র রাস্তা।
কিন্তু প্রশ্নটা হলো স্বাধীনতার পর?
১৯৭১–এর পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন সময়টাকে আমরা সবচেয়ে বেশি দেশপ্রেমের সময় বলতে পারি? আদৌ কি এমন কোনো সময় ছিল? নাকি দেশপ্রেম সবসময়ই খণ্ডিত, অসম্পূর্ণ আর পরিস্থিতিনির্ভর ছিল? স্বাধীনতার পরপরই একটা সময় ছিল, যখন দেশপ্রেম মানে ছিল পুনর্গঠন। ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে একটি রাষ্ট্র দাঁড় করানোর চেষ্টা। কিন্তু সেই দেশপ্রেম খুব দ্রুতই দুর্ভিক্ষ, রাজনৈতিক অস্থিরতা আর ক্ষমতার দ্বন্দ্বে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
এখানে প্রশ্ন ওঠে দেশপ্রেম কি তখন কমে গিয়েছিল? নাকি মানুষ শুধু বেঁচে থাকার লড়াইয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিল যে দেশটা দূরের বিষয় হয়ে গিয়েছিল?
আশির দশকে আমরা দেখেছি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন। রাস্তায় নামা, মিছিল, গ্রেপ্তার, নির্যাতন। অনেকেই বলেন এই সময়টাই ছিল স্বাধীনতার পর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশপ্রেমের প্রকাশ। কিন্তু সেটাকে কি আমরা দেশপ্রেম বলব, না কি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই? নাকি দুটোই একসাথে? দেশপ্রেম কি রাষ্ট্রের পক্ষে দাঁড়ানো, নাকি রাষ্ট্রের ভুলের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো?
১৯৯০–এর পর গণতন্ত্র এলো। কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে কি দেশপ্রেম ব্যক্তিগত জীবনের পেছনে সরে গেল? মানুষ ব্যস্ত হলো চাকরি, ব্যবসা, বিদেশ যাওয়া, পরিবার নিয়ে। এই সময় থেকেই হয়তো দেশপ্রেম একটা উৎসবনির্ভর ব্যাপার হয়ে উঠল। ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট, পতাকার ছবি। প্রশ্ন হলো দেশপ্রেম কি ক্যালেন্ডারের বিষয় হয়ে গেল?
বিদেশে গিয়ে দেশপ্রেম
মজার বিষয় হলো, অনেক সময় দেখা যায় দেশের বাইরে গেলে দেশপ্রেম বেড়ে যায়। দূরে গেলে পতাকা আরও উজ্জ্বল লাগে, দেশের গান আরও আবেগী শোনায়। কিন্তু এই দেশপ্রেম কি দায়িত্ববোধে রূপ নেয়? নাকি তা নস্টালজিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে?
দেশপ্রেম কি শুধু অনুভূতি, না কি আচরণ?
আমরা কি কখনো বদলেছি?
এখানে এসে প্রশ্নটা আরও নির্দিষ্ট হয়ে যায়। কথায়, আবেগে, স্লোগানে নয় - আচরণে। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের সম্মিলিত আচরণে কি কখনো এমন কোনো পরিবর্তন দেখা গেছে, যাকে নির্দ্বিধায় দেশপ্রেম বলা যায়?
২|
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০০
ধুলো মেঘ বলেছেন: দেশপ্রেমের একমাত্র সময় ছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়কাল। কেবল মাত্র তখনই একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিকের সাতে দেশটি পড়েছিল। তিনি হাটে মাঠে ঘাটে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তার উদ্দেশ্য ছিল প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছানো - তাদের কথা শোনা। তিনি যে তাদের কতটা কাছে পৌঁছতে পেরেছিলেন, তার বড় নিদর্শন হচ্ছে তার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলটির আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। আর কোন দেশেই এরকম দেখা যাবেনা যে একজন সামরিক শাসকের প্রতিষ্ঠিত দল এতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
তিনি যে কেবল দেশের ভেতরেই তার কর্মকান্ডের স্বাক্ষর রেখেছিলেন, তাই নয়। বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠায়ও তার অবদান বিশাল। বৈরি প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান যে দীর্ঘ কালব্যাপী শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে ছিল - তার পেছনে তার প্রতিষ্ঠিত 'সার্ক' এর গুরুত্ব আছে। ইরাক ইরান যুদ্ধের সময় যুদ্ধ থামাতে তার তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মজার বিষয় হলো, অনেক সময় দেখা যায় দেশের বাইরে গেলে দেশপ্রেম বেড়ে যায়। দূরে গেলে পতাকা আরও উজ্জ্বল লাগে, দেশের গান আরও আবেগী শোনায়। কিন্তু এই দেশপ্রেম কি দায়িত্ববোধে রূপ নেয়? নাকি তা নস্টালজিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে? - যার পুরোটাই হচ্ছে ভ্রম বা আলগা আবেগ ছাড়া কিছুই নয়।