নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুরাদ পাভেল

মুরাদ পাভেল

বলার মত কিছুই নেই। ভাল কিছু করতে চাই, ভাল কিছু ম্যাসেজ পৌঁছাতে চাই..

মুরাদ পাভেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন মাহাথির ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট

১১ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫১


কেন আমাদের একজন মাহাথির নেই?

ধরে নিন, আমাদের দেশে এক ব্যক্তি টানা ২২ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায়। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি রাজনীতি এবং রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে অবসরে গেলেন। নিজের জায়গায় বসিয়ে দিলেন খুবই আস্থাভাজন একজনকে।

কিন্তু আস্থার জায়গাটা বিনষ্ট হলো দুর্নীতির বিষে। তিনি বুঝতে পারলেন শেষসময়ে এসে বিরাট ভুল করে ফেলেছেন। শত প্রচেষ্টায় ওই দুর্নীতিবাজকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারলেন না। শেষমেশ নিজের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে বিরোধী দলেই নাম লেখালেন; যে দলটি তার দলের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর সক্রিয় ছিলো!

বিরোধী দলে নাম লেখানোর পরে আমরা তাকে তো মেনে নিতামই না; বরং প্রথমেই তাকে বড় করে উপাধি দিতাম। এই উপাধির নাম হতো— ‘কাউয়া’। কেউ কেউ বলতাম তিনি হলেন ‘হাইব্রিড’ নেতা। ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’ উপাধিতেও ভূষিত করতাম অনেকে।

গোটা চিত্রনাট্যটা যদি আমাদের দেশের বেলায় হতো, তাহলে এই ‘কাউয়া’ নেতা কোনদিনই বিরোধী দলে ঢুকে সুবিধা করতে পারবেন না। দেশের মানুষ তার নাম ধরে ঘৃণার থু ছিটাতো।

কিন্তু দেশটা মালয়েশিয়া আর মানুষটি মাহাথির বলেই হয়তো চিত্রনাট্যের শেষটা একেবারেই অন্যরকম। তিনি বিরোধী দলে নাম লেখালেন নিজের শেষ সময়ের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে চান বলে। দেশের মানুষ তাকে মেনে নিলো। মাহাথির মাহাথির জয়ধ্বনি উঠলো। মাহাথিরের বুড়ো বয়সের ভেলকি দেখলো গোটা বিশ্ব।

মালয়েশিয়াকে নিয়ে আমাদের মধ্যেও বিরাট কৌতুহল। আমরা যখন ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’, মালয়েশিয়া তখন তলা-ঝুড়ি কোনোটাই না। অথচ কয়েক বছরের পট-পরিবর্তনে আমাদের দেশের মানুষ মালয়েশিয়ায় রুটি-রুজির ব্যবস্থা করতে চোরাই পথে জান হাতে নিয়ে যেতেও মরিয়া!

আমরা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের প্রতিই প্রশ্ন ছুঁড়ি— কেন আমাদের দেশে একজন মাহাথির নেই? কেন কেউ একজন মাহাথির হতে পারেন না? কেউ কেউ বলতে পারেন আমাদের বঙ্গবন্ধুই হতে পারতেন তেমন একজন। কিন্তু আমরাই আবার তাকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত করে ফেলি! আমরা তাকে রাজনীতির দণ্ডে না মেপে সার্বজনীন ভাবতে পারি না।

আমাদের দেশের মানুষের যে নিচু মানসিকতা, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলেও আমরা তাঁকে অখণ্ড চিন্তা করতে পারতাম না! জাতীয় নেতা নয়, আমরা তাঁকে দলীয় নেতা হিসেবে মনে করতাম।

মাহাথিরকে মালয়েশিয়ার মানুষ জাতীয় নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিলো। তাকে সমর্থন করেছিলো, সহযোগিতা করেছিলো। সে কারণেই তিনি বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত হতে পেরেছেন। আপামর জনসাধারণের সহযোগিতা পেয়েছিলেন বলেই তিনি বিরোধী দলে গিয়েও সফল।

আমি নিজেও আমাদের দেশে একজন মাহাথিরের শূন্যতা অনুভব করি। হয়তো আমরা তেমন কাউকে পেতাম। কিন্তু আমাদের বিশ্বাসঘাতকেরা সেই সুযোগটি রাখেনি।

দুই বছর দেশ শাসন করতে চান ৯২ বছর বয়সী মাহাথির মোহাম্মদ। শেষ মুহূর্তের ভুলটি শোধরাবেন। আবার স্বপ্ন দেখছে মালয়েশিয়ার মানুষ। তাদের স্বপ্ন সার্থক হবেই।

আমরাও এমন স্বপ্ন দেখি। কিন্তু আমাদের স্বপ্ন সার্থক হয় না। আমরা রাজনীতিতে নতুন নতুন উপাধির জনক। আমরা নতুনদের উৎসাহ দিতে কুণ্ঠাবোধ করি, মানুষকে হেয় করে কথা বলি। আমাদের হীন মানসিকতাই আমাদের স্বপ্নপূরণের সবচেয়ে ধারালো কাঁটা!

প্রথমে যে প্রশ্নটি করেছিলাম তার উত্তর দিই। কেন আমাদের একজন মাহাথির নেই? আসলে আমাদের অনেক মাহাথির আছে। আমাদের বড় অভাব হলো শিক্ষা। অভাব হলো অন্যের ভালো কাজটি অনুসরণ করতে পারার। আসলেই আমাদের অনেকজন মাহাথির আছে। শুধু নেই মালয়েশিয়ান মানুষের মতো মন-মানসিকতা।কেন আমাদের একজন মাহাথির নেই?

ধরে নিন, আমাদের দেশে এক ব্যক্তি টানা ২২ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায়। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি রাজনীতি এবং রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে অবসরে গেলেন। নিজের জায়গায় বসিয়ে দিলেন খুবই আস্থাভাজন একজনকে।

কিন্তু আস্থার জায়গাটা বিনষ্ট হলো দুর্নীতির বিষে। তিনি বুঝতে পারলেন শেষসময়ে এসে বিরাট ভুল করে ফেলেছেন। শত প্রচেষ্টায় ওই দুর্নীতিবাজকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারলেন না। শেষমেশ নিজের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে বিরোধী দলেই নাম লেখালেন; যে দলটি তার দলের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর সক্রিয় ছিলো!

বিরোধী দলে নাম লেখানোর পরে আমরা তাকে তো মেনে নিতামই না; বরং প্রথমেই তাকে বড় করে উপাধি দিতাম। এই উপাধির নাম হতো— ‘কাউয়া’। কেউ কেউ বলতাম তিনি হলেন ‘হাইব্রিড’ নেতা। ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’ উপাধিতেও ভূষিত করতাম অনেকে।

গোটা চিত্রনাট্যটা যদি আমাদের দেশের বেলায় হতো, তাহলে এই ‘কাউয়া’ নেতা কোনদিনই বিরোধী দলে ঢুকে সুবিধা করতে পারবেন না। দেশের মানুষ তার নাম ধরে ঘৃণার থু ছিটাতো।

কিন্তু দেশটা মালয়েশিয়া আর মানুষটি মাহাথির বলেই হয়তো চিত্রনাট্যের শেষটা একেবারেই অন্যরকম। তিনি বিরোধী দলে নাম লেখালেন নিজের শেষ সময়ের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে চান বলে। দেশের মানুষ তাকে মেনে নিলো। মাহাথির মাহাথির জয়ধ্বনি উঠলো। মাহাথিরের বুড়ো বয়সের ভেলকি দেখলো গোটা বিশ্ব।

মালয়েশিয়াকে নিয়ে আমাদের মধ্যেও বিরাট কৌতুহল। আমরা যখন ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’, মালয়েশিয়া তখন তলা-ঝুড়ি কোনোটাই না। অথচ কয়েক বছরের পট-পরিবর্তনে আমাদের দেশের মানুষ মালয়েশিয়ায় রুটি-রুজির ব্যবস্থা করতে চোরাই পথে জান হাতে নিয়ে যেতেও মরিয়া!

আমরা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের প্রতিই প্রশ্ন ছুঁড়ি— কেন আমাদের দেশে একজন মাহাথির নেই? কেন কেউ একজন মাহাথির হতে পারেন না? কেউ কেউ বলতে পারেন আমাদের বঙ্গবন্ধুই হতে পারতেন তেমন একজন। কিন্তু আমরাই আবার তাকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত করে ফেলি! আমরা তাকে রাজনীতির দণ্ডে না মেপে সার্বজনীন ভাবতে পারি না।

আমাদের দেশের মানুষের যে নিচু মানসিকতা, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলেও আমরা তাঁকে অখণ্ড চিন্তা করতে পারতাম না! জাতীয় নেতা নয়, আমরা তাঁকে দলীয় নেতা হিসেবে মনে করতাম।

মাহাথিরকে মালয়েশিয়ার মানুষ জাতীয় নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিলো। তাকে সমর্থন করেছিলো, সহযোগিতা করেছিলো। সে কারণেই তিনি বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত হতে পেরেছেন। আপামর জনসাধারণের সহযোগিতা পেয়েছিলেন বলেই তিনি বিরোধী দলে গিয়েও সফল।

আমি নিজেও আমাদের দেশে একজন মাহাথিরের শূন্যতা অনুভব করি। হয়তো আমরা তেমন কাউকে পেতাম। কিন্তু আমাদের বিশ্বাসঘাতকেরা সেই সুযোগটি রাখেনি।

দুই বছর দেশ শাসন করতে চান ৯২ বছর বয়সী মাহাথির মোহাম্মদ। শেষ মুহূর্তের ভুলটি শোধরাবেন। আবার স্বপ্ন দেখছে মালয়েশিয়ার মানুষ। তাদের স্বপ্ন সার্থক হবেই।

আমরাও এমন স্বপ্ন দেখি। কিন্তু আমাদের স্বপ্ন সার্থক হয় না। আমরা রাজনীতিতে নতুন নতুন উপাধির জনক। আমরা নতুনদের উৎসাহ দিতে কুণ্ঠাবোধ করি, মানুষকে হেয় করে কথা বলি। আমাদের হীন মানসিকতাই আমাদের স্বপ্নপূরণের সবচেয়ে ধারালো কাঁটা!

প্রথমে যে প্রশ্নটি করেছিলাম তার উত্তর দিই। কেন আমাদের একজন মাহাথির নেই? আসলে আমাদের অনেক মাহাথির আছে। আমাদের বড় অভাব হলো শিক্ষা। অভাব হলো অন্যের ভালো কাজটি অনুসরণ করতে পারার। আসলেই আমাদের অনেকজন মাহাথির আছে। শুধু নেই মালয়েশিয়ান মানুষের মতো মন-মানসিকতা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.