![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত কয়েকদিন ধরে ব্লগ ও পত্রিকাগুলোতে তুরিন আফরোজকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ দেখছি। পত্রিকা ভাষ্যমতে তুরিন আফরোজ ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছেন অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীর কাছে। প্রমান হিসেবে ট্রাইব্যূনালের কাছে নাকি পৌনে তিন ঘন্টার অডিও রেকর্ডিংও আছে।
কয়েকদিন আগে আমাদের সাবেক প্রধান বিচারপতি এস.কে সিনহা সাহেবের একাউন্টে ৪ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে পত্রিকাতে সংবাদ দেখলাম। সেটা নাকি অবৈধ ভাবে আয় করা। সাবেক প্রধান বিচারপতির দূর্নীতির অনুসন্ধান করছে তদন্ত দল।
পত্রিকার সংবাদ কতটুকু সত্য সেটা আমার জানা নেই। সাবেক প্রধান বিচারপতি বা প্রসিকিউটর অপরাধী না নির্দোষ সেটার বিচার সময়ের কাছেই থাক। আপাতত বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠা নিয়ে কিছু বলি।
কে কিভাবে টাকা আয় করছে তাতে আমার কোন ইন্টারেষ্ট নেই। আদার ব্যাপারী হয়ে জাহাজের খবর নেওয়ার দরকার মনে করি না। আমি সাধারণ পাবলিক সাধারণ ভাবেই বুঝতে চেষ্টা করি। আমার প্রশ্ন হল, যদি একজন প্রধান বিচারপতি যখন নিজেই দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন তখন তার অধীনস্তগন কি করবেন? যিনি নিজেই অন্যায়ের বিচার করবেন তিনিই যদি অন্যায় করেন তখন আর কি বলার থাকে? যে প্রসিকিউটরের কাজ হল চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সে প্রসিকিউটর নিজেই যদি অভিযুক্ত থেকে ঘুষ চান তখন সেটা নিশ্চই শোভনীয় নয়। সাধারন জনগন হিসেবে এসব নিউজ পড়ার পর আমাদের মনে হয়, সর্ষেতেই ভূত। যারা নিজেরাই দূর্নীতিবাজ তারা আবার আমাদের কি বিচার করবেন?
আমি ঢালাওভাবে পুরো বিচার বিভাগকে উদ্দেশ্য করছি না। কারন আমার নিজের আত্মীয়-স্বজনও বিচার বিভাগে আছে এবং ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বও পালন করছে।
তবে ঢালাওভাবে একটা কথা বলতে চাই, এই দেশে এখনও যখন কারও সাথে কারও সমস্যা সৃষ্টি হয় তখন একজন অন্যজনকে বলে, I will see you in court.
কারন সাধারন জনগন হিসেবে সে জানে, যখন স্থানীয়ভাবে সমস্যার সমাধান হবে না, যখন পুলিশ তাকে সাহায্য করে না, যখন প্রশাসন তার কথা শুনে না তখন কোর্ট শুনবে তার কথা। কোর্ট তাকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিবে। বিচার বিভাগের উপর এই বিশ্বাস এখনও সাধারণ মানুষের মনে আছে। সুতারাং, একজন বিচারক হিসেবে, একজন প্রসিকিউটর হিসেবে ও বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট সবারই উচিত সাধারন মানুষের এই বিশ্বাস, এই আস্থাকে সম্মান করা। বিচারক-প্রসিকিউটর সবাই নিজেদের এবং বিচার বিভাগের সম্মানকে সমুন্নত রাখতে দূর্নীতির উর্ধ্বে উঠে ন্যায়-বিচারে ভূমিকা রাখবেন আমরা এই বিশ্বাস করি।
ধন্যবাদ।
মোহাম্মদ মুরাদ পাভেল
©somewhere in net ltd.